Tag: মন্ত্রিসভার বৈঠক

  • দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে জরুরি সভায় মন্ত্রীরা, আসতে পারে যেসব সিদ্ধান্ত

    দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে জরুরি সভায় মন্ত্রীরা, আসতে পারে যেসব সিদ্ধান্ত

    দেশজুড়ে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে ভাবনার শেষ নেই। বিষয়টি ঘিরে চলছে নানা আলোচনা। এর মধ্যেই প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে দ্রুত সময়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করতে জরুরি সভায় বসেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা।

    রোববার (২১ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে জরুরি এ সভা শুরু হয়। সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে আরও রয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।

    ধারণা করা হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি পরিস্থিতির সঙ্গে চাহিদা বিশ্লেষণ করে ঘাটতি চিহ্নিত করা এবং রমজানের আগে ঘাটতি মেটাতে পণ্য আমদানি সহজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

    এ ছাড়া চাল, আটা, তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, ডিম ও পোলট্রি পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করা কারসাজির হোতাদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থার কঠোর দৃষ্টান্ত স্থাপনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

  • রমজানে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

    রমজানে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

    রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পবিত্র রমজান ঘনিয়ে আসছে, মানুষ যাতে স্বস্তিতে থাকতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। এই মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো উচিত নয়।

    গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর নিজ বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, এটি একটি অনানুষ্ঠানিক মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল।

    সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী রমজানের সময় বিশেষ করে বড় মজুতদাররা যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির জন্য জরুরি পণ্য মজুত করতে না পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন।

    মন্ত্রীদের এই বিষয়ে নিয়মিত মজুত বিরোধী অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখুন যাতে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে।’

    প্রধানমন্ত্রীর সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের প্রথমে তাদের মন্ত্রণালয়ের সার্বিক বিষয়ে তথ্য জানার জন্য নির্দেশ দেন।

    সালাউদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণকর যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের সময় মন্ত্রীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন।

    এর আগে সকালে ঢাকা থেকে সড়ক পথে রওনা দিয়ে বেলা ১১টার দিকে দুদিনের সফরে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা ছিলেন।

    টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর পর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর সেখানে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। পরে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান সরকারপ্রধান।

    পঞ্চমবার সরকার গঠনের পর এটা তার প্রথম সফর। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুই দিনের সফরে নিজের নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • চলতি মাসে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ : সংশোধনী বিলের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা

    চলতি মাসে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ : সংশোধনী বিলের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা

    মন্ত্রিসভা ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এইচএসসি অথবা এর সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে আজ তিনটি সংশোধনী বিলের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ বৈঠকে যোগ দেন।

    বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের শর্তে মন্ত্রিসভায় আজ এই তিনটি বিলের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

    তিনি আরো বলেন, বৈঠকে এইচএসসি’র ফলাফল যেন ২৪ থেকে ২৫ জানুয়ারি অথবা সর্বোচ্চ ২৮ জানুয়ারির মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে সে লক্ষ্যে বিল তিনটি পার্লামেন্টের পরবর্তী প্রথম অধিবেশনেই উত্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    সচিব বলেন, সভায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে দুটি অধ্যাদেশ ও একটি আইন- ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অর্ডিনেন্স ১৯৬১ ও বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ড অর্ডিন্যান্স ২০১৮ এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন ২০২০ পাশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, সাত দিনের মধ্যে (১৮ জানুয়ারি) পার্লামেন্টের পরবর্তী অধিবেশন বসতে যাচ্ছে।
    বিদ্যমান আইনে পরীক্ষা গ্রহন না করেই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের কোন বিধান রাখা হয়নি।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পরীক্ষার আয়োজন করার সম্ভব নয়। তাই এই সংশোধনী বিলগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।

  • কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিভিন্ন সংস্থাকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ

    কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিভিন্ন সংস্থাকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ

    শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশে নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ার প্রেক্ষাপটে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন সরকারকে বাণিজ্যিক, শিল্প, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে ফেসমাস্ক পরা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার প্রচার-প্রচারণায় যুক্ত করার সুপারিশ করেছে।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘ফেসমাস্ক না পরার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করার পরেও লোকজনের এতে অনীহার প্রেক্ষাপটে মাঠ পর্যাযয়ের প্রশাসনের এ সুপারিশ এলো।’

    আনোয়ারুল আরো জানান, তারা ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এফবিসিসিআইসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য ফেসমাস্ক পরার প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।

    মন্ত্রিসভা মহামারী থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এটি মোকাবিলার উপায় নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে যোগ দিয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ বাংলাদেশ সচিবালয়স্থ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৈঠকে সংযুক্ত হন।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় জানান, তিনি ইতিমধ্যে তার দল আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় এবং বাড়ির বাইরে ফেসমাস্ক পরার বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

    আনোয়ারুল আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকলকে মানুষের মাঝে কাপড়ের তৈরি তিন স্তরের ফেসমাস্ক বিতরণ করতে বলেছেন, যাতে তারা এগুলো বারবার ব্যবহার করতে পারেন।

    তিনি ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর জন্য গণমাধ্যমকে অভিনন্দন জানান এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কথা উল্লেখ করে এ লক্ষ্যে আরো সহযোগিতা কামনা করেন।

    ‘শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে থাকলে সংক্রমণের হারও বাড়বে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে এবং অপরকে বাঁচাতে সবাইকে ফেসমাস্ক পরার স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলার অনুরোধ জানান।

  • এক ব্যক্তি কোম্পানী খোলার সুযোগ রেখে কোম্পানী আইনের খসড়ার অনুমোদন

    এক ব্যক্তি কোম্পানী খোলার সুযোগ রেখে কোম্পানী আইনের খসড়ার অনুমোদন

    দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগকে আরো এগিয়ে নিতে ‘এক ব্যক্তি কোম্পানি’ খোলার সুযোগ রেখে কোম্পানী (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন,২০২০ এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সকালে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে সচিবালয়ে বৈঠকরত মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সচিবদের সঙ্গে যোগ দেন।

    পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘এক ব্যক্তির কোম্পানি’ হল সেই কোম্পানি, যার বোর্ডে সদস্য থাকবেন কেবল একজন। পরিচালক এবং প্রধান ব্যক্তি একজন থাকেন বলে এ ধরনের কোম্পানি পর্ষদ সভা করা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নিয়মের ছাড় পাবে।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এক ব্যক্তির কোম্পানি- এটা আমাদের পারসেপশনে ছিল না। এটা আমাদের কাছে বিভিন্ন দিক থেকে প্রস্তাব এসেছে যে এক ব্যক্তিকে কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন করা হলে অনেক বিনিয়োগ আসবে।’

    সে কারণে এক ব্যক্তির কোম্পানির নিবন্ধন, পরিচালনা ও বিধি-বিধান সংশোধিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে হস্তান্তরকারীর ব্যক্তিগত উপস্থিতি এবং কমিশনের মাধ্যমে হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।’

    তিনি আরো বলেন,‘কোম্পানি উঠে গেলে পাওনাদারদের ঋণ পরিশোধে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমরা দেখেছি যখন কোম্পানি উঠে যায় তখন পাওনাদাররা ঘোরে।’

    কোম্পনি আইন সংশোধন করে অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধনের বিধান রাখা হচ্ছে বলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব উল্লেখ করেন।

    খন্দকার আনোয়ার বলেন, বর্তমান আইনে ১৪ দিনের নোটিসে বোর্ড মিটিং করার বিধান ছিল, সেটাকে এখন ২১ দিন করা হচ্ছে।

    ‘এক ব্যক্তির কোম্পানি খোলার সুযোগ এবং ২১ দিনে বোর্ড মিটিংয়ের ব্যবস্থা রাখায় বিশ্ব ব্যাংকের ব্যবসায় পরিবেশের সূচকে আমাদের পয়েন্ট বেড়ে যাবে.’বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর কোম্পানি আইন সংশোধন প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এখন এই আইন সংশোধনীর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া তা পাসের জন্য সংসদে তোলা হবে।

    এদিন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর কাজ সুনির্দিষ্ট করে দিতে ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০২০, এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    আইনে বলা হয়েছে-‘আইন লঙ্ঘন করে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো ভিসা বা রিক্রুটিং কাজ পরিচালনা করলে অনধিক ৬ মাসের কারাদ- বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।’

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ট্রাভেল এজেন্সির কাজ সুস্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে, তারা শুধু ভিসা করবে।’

    তিনি বলেন, ‘আইন বা বিধিমালা লঙ্ঘন করলে অনধিক ৬ মাসের কারাদ- বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ে দ-িত হবে, এরকম বিধান রাখা হয়েছে। এটা করা হয়েছে এ কারণে যে, অনেক সময় ট্রাভেল এজেন্সি রিক্রুটিং এজেন্সি হিসেবে কাজ করে, এতে আর তা করতে পারবে না। যদি করে তাহলে তাকে জরিমানা দিতে হবে। কারণ, রিক্রুটিং এজেন্সির রেজিস্ট্রেশন আলাদা।’

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যে, ট্রাভেল এজেন্সিগুলো ডুয়েল ফাংশন করে ফেলে। অথচ, তার কাজ হলো শুধু মানুষের টিকিট করে দেওয়া। কিন্তু রিক্রুটিং, অ্যাপয়মেন্ট, ভিসা নিয়ে অনেক ট্রাভেল এজেন্সি হ্যান্ডেল করে। যার ফলে আইনগতভাবে তাদের ধরা যেত না এতদিন। কিন্তু এখন থেকে নিশ্চিত হবে যে ট্রাভেল এজেন্সি ভিসা বা রিক্রুট হ্যান্ডেল করতে পারবে না।

    অনুমোদন সাপেক্ষে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো দেশে-বিদেশে শাখা খুলতে পারবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনের সংশোধনীতে ট্রাভেল এজেন্সি নিবন্ধন হস্তান্তর এবং শাখা কার্যালয় স্থাপনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। আগে হস্তান্তরের কোনো বিধান ছিল না।

    খন্দকার আনোয়ার আরো বলেন, আগে নিবন্ধনের দরখাস্ত করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফলো না করলে তা বাতিল হয়ে যেত। এখন প্রভিশন রাখা হয়েছে- দরখাস্ত করার পর ভ্যালিড কারণে ফলো করতে না পারলে পরবর্তীতে জরিমানা দিয়ে আবার ছয় মাস পর্যন্ত সময় পাবে। একই সাথ মামলা নিষ্পত্তি করতে সিআরপিসি থাকবে।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এদিন মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বানভাসি মানুষের যেন ত্রাণের কোনো ঘাটতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত থাকার ও নির্দেশ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে যে, রিলিফ ও রেসকিউ অপারেশন- এগুলো কীভাবে হচ্ছে, এ বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।

    এছাড়া, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন ফ্রান্স এবং সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ’র মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ‘টেকনিক্যাল কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট’র খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। একইসঙ্গে প্রতি বছর ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কতৃর্ক জারিকৃত এতদসংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে উহা অন্তভর্’ক্তকরনের প্রস্তাবও এদিন মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • খুলনায় দেশের পঞ্চম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে

    খুলনায় দেশের পঞ্চম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে

    দেশের পঞ্চম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে খুলনায়। এজন্য ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, খুলনা ২০২০’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    আজ সোমবার (১৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুমোদনের কথা জানান।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, সেবার মানোন্নয়ন এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণে সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সকল বিভাগীয় শহরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে মর্মে সরকারের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। সরকারের চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খুলনা জেলায় শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন।’

    তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত বিশেষজ্ঞ ও গবেষক তৈরি করার লক্ষ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মুখ্য উদ্দেশ্য। প্রস্তাবিত খসড়া আইনটি রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রণীত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনে মোট ৫৫টি ধারা রয়েছে। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণে বিধিমালা, প্রবিধানমালা ও সংবিধি প্রণয়নের বিধান রাখা হয়েছে।

    খসড়া আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনের ৪ থেকে ৬ ধারায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, এখতিয়ার এবং ক্ষমতার বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। ৯ ধারা ও ৪৩ ধারায় যথাক্রমে পরিদর্শন ও আর্থিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ভূমিকা উল্লেখ রয়েছে।’

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০ ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে রাষ্ট্রপতি এবং স্পিকারের মনোনীত প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অংশীজন ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সিন্ডিকেট গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। সিন্ডিকেটে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিদেরকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘খুলনা বিভাগের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউট এবং চিকিৎসা শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ডিজিটালি বিচারকার্য সম্পন্নে আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    ডিজিটালি বিচারকার্য সম্পন্নে আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য জিজিটাল মিডিয়ার সাহায্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে মন্ত্রিসভা ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সকালে গণভবনে বিশেষ ব্যবস্থায় অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। পরে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন।

    এছাড়া ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) আইন, ২০২০’ এর খসড়া এবং ‘দি ইনকাম ট্যাক্স (এমেনমেন্ড) অর্ডন্যান্স, ২০২০’ এর খসড়ারও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে।’

    তিনি বলেন, ‘এই ব্যবস্থায় আসামিকে জেলখানায় রেখে, আইনজীবীকে বাসায় রেখে ও সাক্ষীকে অন্য জায়গায় রেখে ভিডিও কনফারেন্সিং ও অন্যান্য ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিচারকার্য করা সম্ভব হবে। এটাই হলো এই অধ্যাদেশের মূল বিষয়।’

    তিনি আরো বলেন, ‘এখন আইন মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করবে। আর পার্লামেন্ট বসার প্রথম দিনই এটি সেখানে উপস্থাপিত হবে।’
    এই আইন প্রণয়নের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘ সময় ধরে আদালত বন্ধ থাকায় মামলা জট যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি বিচারপ্রার্থীগণ বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সে অবস্থা দূর করার লক্ষ্যে এবং বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য ভিডিও কসফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম করার জন্যই ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, যেহেতু সংসদ চলছে না, কাজেই এটিকে পাস করা যাবে না। তাই এটিকে অধ্যাদেশ আকারে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
    করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) রিটার্ন দাখিল করতে না পারলে জরিমানা ও সুদ দিতে হবে না। এমন বিধান রেখে ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) আইন, ২০২০’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনের একটা বিধান আছে, প্রত্যেক মাসের রিটার্নটা পরের মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হয়। কিন্তু এই কোভিড পরিস্থিতিতে অধিকাংশ জায়গায় ব্যবস্থা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত বন্ধ থাকার ফলে এটা সম্ভব হচ্ছেনা।’

    তিনি বলেন, ‘আইনের বিধান আছে যদি ১৫ তারিখের মধ্যে না হয় তাহলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও প্রতি একদিনের জন্য ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। এটা যেহেতু কারও কোনো ফল্ট না একটা প্রাকৃতিক বিষয় এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি আইনগুলোতেও ‘অ্যাক্টস অব গড’ নামে একটা প্রভিশন আছে তাই রাজস্ব বোর্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও প্রতি একদিনের জন্য ২ শতাংশ করে সুদ অব্যাহতি দিতে পারবে।’

    খন্দকার আনোয়ার বলেন, ‘বোর্ড জনস্বার্থে জরিমানা ও সুদ পরিশোধ ছাড়া দাখিলপত্র পেশের সময়সীমা বাড়াতে পারবে, যেটা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে হবে।’
    একইসঙ্গে ‘দি ইনকাম ট্যাক্স (এমেনমেন্ড) অর্ডন্যান্স,২০২০’ এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা, যেখানে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ তে একটি নতুন ধারা (১৮৪ জি) সংযুক্ত করে সময় গণনার বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে, বলেন তিনি।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,করোনাভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ লকডাউনমুক্ত এলাকাগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনসাধারণকেও সহযোগিতার তাগিদ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।

    তিনি বলেন,‘পার্টিকুলারলি সরকার কিছু কিছু জায়গায় ওপেন করে দিয়েছে। এখানে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এজেন্সিকে খুব স্ট্রিক্ট-ভিউতে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পাশাপাশি জনসাধরণকে কো-অপারেশন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। কারণ, এ জিনিসটা বুঝতে হবে যে, এটা একটা মহামারি এবং কমিউনিটি সাইটটাকে খুব গুরুত্ব দিতে হবে।’
    সচিব আরো বলেন,‘সোশ্যাল ডিসটেন্সিং যেটা আছে বা সেলফ কোয়ারেন্টিন আছে, এগুলো যদি জনগণ যথাযথভাবে মেনে চলার চেষ্টা না করেন তাহলে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখা দুষ্কর হবে।’

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • সব বন্দরকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে কঠোর নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

    সব বন্দরকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে কঠোর নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

    চীনে সৃষ্ট প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের বিষয়ে দেশের সব বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও স্থলবন্দরে আরো কঠোর নজরদারি এবং ডাবল চেকআপ কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    চীন থেকে সরাসরি বা অন্য কোনো দেশ হয়ে যারা এদেশে প্রবেশ করবেন, তারা কেউই যেন প্রতিটি বন্দরে স্থাপিত বিশেষ পরীক্ষা ছাড়া প্রবেশ করতে না পারেন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    এছাড়া এখন থেকে যারা চীনের উহান থেকে দেশে আসবেন, তাদের সকলকেই ডাবল চেকআপের পরও ১৪ দিন বিশেষ ব্যবস্থায় আলাদা করে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

    এর আগে সকাল ১০টায় তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অনির্ধারিত বিশেষ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

    সোমবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশব্যাপী নতুন করে আরো ২ হাজার ৮২৯ জন আক্রান্ত হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে মোট ১৭ হাজার ২শ হয়েছে।এ ভাইরাসে আরো ৫৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬১ জন।

  • ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ নিয়ন্ত্রণে খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ নিয়ন্ত্রণে খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    শিশুদের দিবাযত্ন কেন্দ্রেগুলোকে একটি আইনী কাঠামোয় আনা এবং বিশেষ করে এসব স্থাপনায় তালিকাভুক্ত কর্মজীবী নারীর শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন, ২০২০’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    আজ সকালে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে ‘লক্ষ্মীপুর এবং বগুড়ায় আরো দুটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রণীত আইনের খসড়াও নীতিগত অনুমোদন প্রদান করা হয়।

    বৈঠকের বিষয়ে আজ বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের অবহিতকরণকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আইনটি প্রণীত হলে নারীর ক্ষমতায়নের সুযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি শিশুর পরিচর্যাও সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।’

    তিনি বলেন, যেহেতু যৌথ পরিবার কমে যাচেছ এবং মহিলারা বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছেন তাই তাদের শিশুদের যাতে কর্মস্থানের আশাপাশের কোথাও লালন-পালন করা যায় সেজন্যই যেসব ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ গড়ে উঠছে, যেগুলো সঠিকভাবে পরিচালনার জন্যই এই আইন।

    এই আইনের ৭টি অধ্যায়ে ২৫টি ধারা আছে। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হচ্ছে-
    চার ধরনের শিশু ডে কেয়ার সেন্টারের কথা বলা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- প্রথমত, সরকার কর্তৃক ভর্তুকি প্রদান। দ্বিতীয়ত, সরকার অথবা সরকারি কোন দপ্তর বা অধিদপ্তর বা পরিদপ্তর অথবা সংবিধিবব্ধ সংস্থা বা কোন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা কর্তৃক বিনামূল্যে পরিচালিত, তৃতীয়ত, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত এবং চতুর্থত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা বেসরকারি সংস্থা বা সংঘ বা সমিতি বা কর্পোরেট সেক্টর বা শিল্প খাত কর্তৃক অলাভজনক উদ্দেশ্যে পরিচালিত।

    সচিব বলেন, আইনের ১৭ ধারায় প্রতিটি দিবাযত্ন কেন্দ্রে মাতৃ দুগ্ধ পানকারি শিশুদের জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত অবকাঠামো সুবিধাসম্পন্ন মাতৃ দুগ্ধ পানের স্থান রাখার বিষয় রয়েছে। এছাড়া, ১৮ ধারায় প্রতিটি দিবাযত্ন কেন্দ্রে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত অবকাঠামো সুবিধা রাখা হয়েছে।

    নতুন আইনে জরিমানা বা দন্ডের বিধান সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিশুর নিরাপত্তা বিঘ্ন ও ঘাটতির জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং কোন সংক্রামক রোগের তথ্য গোপন করলে তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড এবং অনুর্ধ্ব এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। এছাড়া, নিবন্ধন না করে এই ধরণের সেন্টার স্থাপন করলে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সনদ প্রদর্শন না করা পর্যন্ত দৈনিক ৫ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত হারে জরিমানা প্রদান করতে হবে।

    লক্ষ্মীপুর ও বগুড়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এজন্য ‘লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০’ ও ‘বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। খন্দকার আনোয়ার জানান, প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ্মীপুর জেলায় লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বগুড়া জেলায় বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য দুটি আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।

    লক্ষ্মীপুর ও বগুড়া জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হলেও এখনো স্থান নির্ধারণ করা হয়নি বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

    দুটি খসড়া আইনে ৫৫টি ধারা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও সংজ্ঞা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলোর মধ্যে ৯ ধারায় বিশ্ববিদ্যায় চান্সেলর, ১০ থেকে ১১ ধারায় ভাইস চ্যান্সেলর, ১২ ধারায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ১৩ ধারায় কোষাধ্যক্ষ, ১৮ থেকে ২০ ধারায় সিন্ডিকেট, ২১ থেকে ২২ ধারায় একাডেমিক কাউন্সিল, ২৯ থেকে ৩০ ধারায় অর্থ কমিটি সম্পর্কিত বিধান সন্নিবেশিত আছে।’

    এছাড়া আইনের আলোকে ২১টি অনুচ্ছেদ সংবলিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধির খসড়া আইনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    উল্লেখ্য, ইউজিসি’র তথ্য মতে-বর্তমানে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৪৪টি। নতুন দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৬টিতে। অন্যদিকে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১০৫টি। এর মধ্যে ৯০টিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত ২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ‘ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-’এর কনফারেন্স পার্টিজ-’এর ২৫তম বার্ষিক অধিবেশনের শীর্ষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।

    এছাড়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ইতালি ও গ্রীস সফর, আসেম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ সহ পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দুটি বিদেশ সফর এবং দুটি সেমিনারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয় বলেও সচিব জানান।

  • অষ্টম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগে কোটা পদ্ধতি থাকবে না

    অষ্টম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগে কোটা পদ্ধতি থাকবে না

    অষ্টম থেকে উপরের দিকের (১ম-৮ম) গ্রেডে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রেও কোটা পদ্ধতি থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    সোমবার (২০ জানুয়ারি) নন-ক্যাডার ৮ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বণ্টন পদ্ধতি সংক্রান্ত পরিপত্র সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এই অনুমোদনের কথা জানান।

    কোটা বাতিলের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের স্পষ্টকরণের জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) প্রস্তাব পাঠালে সেই প্রস্তাব অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে।

    বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় থেকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি নন ক্যাডার ৮ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে নাকি আগের কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে এ বিষয়টি স্পষ্টকরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।

    পরিপত্র জারির ব্যাপারে তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়, ৯ম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩ম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হবে। ৯ম গ্রেড এবং ১০ম থেকে ১৩ম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো।

    সচিব আরও বলেন, পরিপত্রে ৯ম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩ম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলেও আগের ১ম শ্রেণিভুক্ত ৮ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বণ্টন পদ্ধতি কী হবে সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই।

    খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ৯ম গ্রেড এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেড ছাড়াও ৮ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কোনো কোনো পদে সরাসরি নিয়োগ দিয়ে থাকে। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫’ এ শ্রেণির পরিবর্তে গ্রেড উল্লেখ করা হয়েছে এবং আগের ১ম শ্রেণির পদ বলতে ৯ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের পদকে বুঝানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে ‘৯ম গ্রেড’ এর স্থলে ‘৯ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেড’ উল্লেখ করে পরিপত্রটির সংশোধন প্রয়োজন বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়।

    কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ২০১৮ সালের ২ জুলাই কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে তা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে সরকার। এর আগে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেন।