Tag: মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

  • ভেজাল ওষুধ তৈরি করলে যাবজ্জীবন, আইনের খসড়া অনুমোদন

    ভেজাল ওষুধ তৈরি করলে যাবজ্জীবন, আইনের খসড়া অনুমোদন

    ভেজাল এবং নকল ওষুধ তৈরি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ঔষধ আইন ২০২২’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন আইনে ‘ঔষধ’-এর সঙ্গে ‘কসমেটিকস’ শব্দটিও যোগ করা হয়েছে। আইনটি এখন থেকে ‘ঔষধ এবং কসমেটিকস আইন-২০২২’ নামে হয়েছে।

    সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনের খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভা কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

    তিনি জানান, নতুন এই আইনে কোনও ওষুধ ক্ষতিকারক হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা বাজার থেকে বাতিল করার বিধান রাখা হয়েছে। আর এই আইন অনুযায়ী ওষুধের উৎপাদন থেকে সব ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।

    তিনি আরও জানান, এখন থেকে নতুন করে প্রসাধনী উৎপাদন করতে হলে সরকারের লাইসেন্স বা অনুমোদন নিতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন ঔষধ আইনে ৩০টি অপরাধ যুক্ত করা হয়েছে, যা আগে ছিল না।

    নতুন আইনে ভেজাল এবং নকল ওষুধ তৈরি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ‘ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর নিবন্ধন ছাড়া কারখানা থেকে ওষুধ উৎপাদন করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১০ বছরের কারাদণ্ড হবে।’

    প্রস্তাবিত এই আইনে কিছু ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করে দিবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

    আইনটিতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রসঙ্গও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না। কোনও দোকান থেকে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা হলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।’

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত আইনে মেডিক্যাল ডিভাইস ব্যবহার করার বিষয়েও নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি জানান, প্রসাধনী উৎপাদন এবং বিতরণও এই আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হবে। ওষুধ প্রসাধন অধিদফতর এর তদারকি করবে।

    এছাড়াও বৈঠকে ‘কপিরাইট আইন, ২০২২’-এর খসড়াও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একই বৈঠকে প্রতিবছর ১৬ জানুয়ারিকে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত এ বিষয়ে পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিক তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

  • সরকারি চাকরি আইনের সংশোধনী মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    সরকারি চাকরি আইনের সংশোধনী মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান (ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ) নিজেদের মতো বেতন কাঠামো নির্ধারণ ও আর্থিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে সম্মতি নেওয়ার বিধান রেখে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে।

    সোমবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন-২০২২ আবার পার্লামেন্টে পাঠানো হবে।

    এরআগে কেবল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নির্ধারণের বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের হাতে ছিল। কিন্তু এবার স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়টিও একই বিভাগের অধীন নিয়ে আসা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বেতন-ভাতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

    তবে সরকারি চাকরিজীবীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি নিয়ে এবারের বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি বলে তিনি জানান।

  • প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এর আগে দুপুর ১২টার পর জাতীয় সংসদ ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে অর্থমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা অংশ নেন।

    জানা গেছে, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বেশি। আগামী অর্থবছরের বাজেটে বড় ব্যয়ের বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। যেখানে বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

    সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন অর্থবছরের (২০২২-২৩) আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। যা চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বেশি। প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের আয়ের খাতগুলো থেকে কর বাবদ ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে এনবিআরকে ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।

    নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার আগামী অর্থবছরের প্রায় পৌনে ৭ লাখ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করা হবে। প্রত্যেকবারের মতো এবার সাধারণ জনগণকে প্রাধান্য দিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণের সরকার, তাই বাজেটেও সাধারণ জনগণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকার দেশের তথা জনগণের সার্বিক উন্নয়নে নানাভাবে চেষ্টা করছে। কোভিড পরিস্থিতিতেও আমাদের অর্জন প্রশংসনীয়। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। যার প্রভাব বাংলাদেশেও চলমান। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের সরকার প্রধানের বিচক্ষণতায় অন্যান্য দেশের থেকে এখনও আমরা ভালো অবস্থানে আছি। বৈশ্বিক এই চ্যালেঞ্জ নিয়েও এবারের বাজেটে দেশের তথা জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের রূপরেখা থাকবে।

    তিনি বলেন, বাজেটের একটি বিরাট অংশ দেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ব্যয় করা হবে। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ এবার উন্নয়ন বাজেটের জন্য বরাদ্দ থাকছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। বৈদেশিক অর্থায়ন ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়েই ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। এবারের উন্নয়ন বাজেটে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার, কোভিড-১৯ মোকাবিলা, অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দারিদ্র্য বিমোচন তথা দেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

  • ২০২১ সালে সরকারি ছুটি ২২ দিন, ৭ দিন পড়েছে শুক্র-শনিতে

    ২০২১ সালে সরকারি ছুটি ২২ দিন, ৭ দিন পড়েছে শুক্র-শনিতে

    ২০২১ সালের সরকারি ছুটি অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও সাধারণ ও নির্বাহী আদেশে ছুটি মিলিয়ে মোট ২২ দিন ছুটি থাকবে। এরমধ্যে সাতদিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার।

    আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে সীমিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই সভায় যোগ দেন।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০২১ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এর মধ্যে সাধারণ ছুটি ১৪ দিন। আর সরকারের নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে আট দিন। সব মিলিয়ে মোট ২২ দিন। সাধারণ ছুটির মধ্যে ছয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পড়েছে। নির্বাহী ছুটির আট দিনের মধ্যে একদিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন।

    বরাবরের মতো এবারও বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মুসলমানদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি রাখা হয়েছে পাঁচদিন, হিন্দুদের জন্য আটদিন, খ্রিস্টানদের জন্য আটদিন এবং বৌদ্ধদের জন্য পাঁচদিন।’

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • গভর্নর পদে বয়সসীমা ৬৭ বছর করে ‘দি বাংলাদেশ ব্যাংক (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২০’এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা

    গভর্নর পদে বয়সসীমা ৬৭ বছর করে ‘দি বাংলাদেশ ব্যাংক (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২০’এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা

    বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগের বয়সসীমা ৬৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৭ বছর করে ‘দি বাংলাদেশ ব্যাংক (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২০’এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    এর মাধ্যমে ‘৬৫ বছরের উর্ধ্বের কোন ব্যক্তিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর করা যাবে না’, সংক্রান্ত ‘অনুবিধিটি’ বিলুপ্ত হবে এবং সেক্ষেত্রে ৬৭ বছর পর্যন্ত এই পদে নিয়োগ প্রদান করা যাবে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন প্রদান করা হয়।

    পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করেন।

    তিনি বলেন, ‘বাস্তবতার নিরীখে মন্ত্রিসভা আলোচনা করে গভর্নরের বয়সসীমা ৬৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৭ বছর করে আইনের সংশোধনীটি অনুমোদন করেছে।’

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দি বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ (প্রেসিডেন্টস অর্ডার নম্বর ১২৭, ১৯৭২) এর আর্টিকেল ১০ এর অনুবিধি ৫ এর বিধান অনুযায়ী গভর্নরের কার্যকাল বা মেয়াদ চার বছর এবং তাকে পুনঃনিয়োগ করা যাবে।’

    ‘তবে, উক্ত অনুবিধি (৫) এর শর্তাংশে উল্লেখ রয়েছে যে, ৬৫ বছর বয়স পূর্তির পর কোনো ব্যক্তি গভর্নর পদে আসীন থাকতে পারবেন না’, বলেন তিনি।

    সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আর্থিক খাতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৫ বছর নির্ধারিত থাকায় আর্থিক খাতে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে ৬৫ বছরের পর নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয় না।’

    তিনি বলেন, ‘এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনকারি অভিজ্ঞ ব্যক্তিকেও ৬৫ বছরের পরে পুনঃনিয়োগ দেয়া সম্ভব হয় না।’

    ‘যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সর্বোচ্চ বয়সসীমা সংক্রান্ত ‘দি বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ (প্রেসিন্ডেন্টস অর্ডার নং: ১২৭ অব ১৯৭২) এর আর্টিকেল ১০ এর অনুবিধি (৫) এর শর্তাংশ জনস্বার্থে বিলুপ্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

    খন্দকার আনোয়ার বলেন, ‘আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারত এবং শ্রীলংকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণর এবং ডেপুটি গভর্নর পদের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমার উল্লেখ নেই শুধু মেয়াদকালের উল্লেখ রয়েছে।’

    এছাড়া এদিন, ‘আদালত কতৃর্ক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন এবং সরকারি মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েষ্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী এবং চীনের ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন-এর যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানী (প্রাইভেট) লিমিটেড (নবায়নযোগ্য) নামে কোম্পানী গঠনের প্রস্তাব এবং উহা গঠনের লক্ষ্যে এতদসংশ্লিষ্ট জয়েন্ট ভেঞ্চার, মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন এবং আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে।

    একইসঙ্গে প্রতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখকে ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কতৃর্ক জারিকৃত পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে উহা অন্তর্ভূক্তকরণের প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়।

    ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কাজ পরিচালনার (ভার্চুয়াল আদালত) জন্য এ সংক্রান্ত জারিকৃত অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য এদিন ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনটি কার্যকর হলে বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।’

    তিনি বলেন, ‘গত ৭ মে মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের পর ৯ মে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ জারি করেছে সরকার। এখন সংসদ অধিবেশন বসছে, তাই, অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা।

    খন্দকার আনোয়ার বলেন, ‘বিদ্যমান আইনের বিধান অনুযায়ী আদালতে মামলার পক্ষ বা তাদের পক্ষে নিযুক্ত বিজ্ঞ আইনজীবীদের এবং সাক্ষীদের সশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। সমগ্র বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ মহামারি রোধকল্পে এক মাসের অধিক সময় ধরে কতিপয় ব্যতিক্রম ব্যতীত আদালতসহ সরকারি-বেসরকারি সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা এবং মানুষের সমাগম হয় এমন সব কর্মকা- নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আদালতসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেয়া হলেও কোভিড-১৯ মহামারি রোধকল্পে অধিকতর জনসমাগমকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।’

    সচিব বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে দেশের সব আদালতে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অধ্যাদেশটিকে আইনে পরিণত করতে হলে একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে জাতীয় সংসদে উপস্থাপনপূর্বক অনুমোদন করাতে হবে।’ ‘অন্যথায় ৩০ দিন অতিবাহিত হলে অধ্যাদেশটি বাতিল হয়ে যাবে,’ বলেন তিনি।

    এছাড়া এদিন, ‘আদালত কতৃর্ক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন এবং সরকারি মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েষ্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী এবং চীনের চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন-এর যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানী (প্রাইভেট) লিমিটেড (রিনিওয়েবল) নামে কোম্পানী গঠনের প্রস্তাব এবং উহা গঠনের লক্ষ্যে এতদ সংশ্লিষ্ট জয়েন্ট ভেঞ্চার, মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন এবং আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশনে’র খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে।

    এ সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য নীতিমালা বাস্তবায়নকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অভ্যন্তরীণ ও আমদানীকৃত কয়লা, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), পরমাণু শক্তি ইত্যাদির সাথে সাথে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

    তিনি বলেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৫শ’ মেগাওয়াট পর্যন্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নের জন্য সরকারি মালিকানা ভিত্তিক ওয়েষ্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী লিমিটেড (নওপাজেকো) এবং চায়না পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড (সিএমসি) এর যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানী (প্রাইভেট) লিমিটেড (রিনিওয়েবল) নামে কোম্পানী গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

    সচিব বলেন, বর্নিত জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানী গঠনের ক্ষেত্রে নর্থ ওয়েষ্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডে’র শেয়ার হবে ৫০ শতাংশ এবং চায়না পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড (সিএমসি)-এর শেয়ার হবে ৫০ শতাংশ।

    খন্দকার আনোয়ার বলেন, প্রস্তাবিত কোম্পানীর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এটি একটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি সৌর ও বায়ু শক্তি) ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানী হবে। যার পরিশোধিত মূলধনের পরিমান হবে ১৬ কোটি টাকা।
    তিনি আরো বলেন, এর মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ এবং পরিবেশ দূষণ হ্রাস করা সম্ভব হবে।

    প্রতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখকে ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কতৃর্ক জারিকৃত পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে তা অন্তর্ভূক্তকরণের প্রস্তাব দেয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পরিসংখ্যানকে আরো জনকল্যাণমুখী ও মানুষের দোরগোড়ায় উপস্থাপনের জন্য ২৭ ফ্রেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

    তিনি আরো জানান, পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের জন্য ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে ‘পরিসংখ্যান আইন-২০১৩’ পাশ হয় এবং আইনটি ৩ মার্চ ২০১৩ তারিখে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    শিশুদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে একীভূত করে ‘বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে (পিএমও) আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন প্রদান করা হয়।

    ‘ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে একীভূত করে একুশটি ধারা সম্বলিত বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন-২০২০ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে,’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের একথা বলেন।তিনি বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৭ সালে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটি পরিচালনায় এতদিন কোন আইন ছিল না, বরং পূর্বের একটি অধ্যাদেশ অনুযায়ীই এটি চলছিল।‘কাজেই হাসপাতালটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে উক্ত অধ্যাদেশের আলোকে একটি পুর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ণের জন্যই খসড়াটি অনুমোদন করা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

    এই হাসপাতালে দরিদ্র এবং অসচ্ছলদের জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    মন্ত্রি পরিষদ সচিব আশা প্রকাশ করে বলেন, এই আইনের মাধ্যমে ঢাকা শিশু হাসপাতাল পরিচালিত হলে সর্বস্তরের শিশুদের উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুস্থ ও সবল জাতি গঠনে হাসপাতালটি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে।

    তিনি বলেন, উক্ত আইন অনুযায়ী ইনস্টিটিউটের সুষ্ঠু পরিচালনা ও প্রশাসন সার্বিকভাবে একটি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের ওপর ন্যাস্থ থাকবে। এ লক্ষ্যে সরকার একজন চেয়ারম্যানসহ ১২ সদস্য বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন করবে।

    সচিব বলেন, বোর্ডের চেয়ারম্যান ও মনোনীত সদস্যগণ তাঁদের মনোনয়নের তারিখ থেকে তিন বছর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকবেন। এছাড়া একজন পরিচালক থাকবেন যিনি প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

    এই আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

    মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সহযোগিতা চুক্তির খসড়া ও অনুমোদন করেছে।

    খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে বিশ্ব সংস্কৃতির মেলবন্ধনকে জোরালো করার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করে এবং ইতোমধ্যে বিশ্বের ৪৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন- এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক কৃষ্টি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণ এবং কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে। একইসঙ্গে চারুকলা, শিল্পকলা, শিল্প সংস্কৃতি ও সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে উভয় দেশের সংস্কৃতি সমৃদ্ধকরণ এবং সামগ্রিকভাবে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

    সচিব বলেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পাদিত সাংস্কৃতিক চুক্তির ধারাবাহিকতায় এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে অতি প্রাচীন সভ্যতার দেশ গ্রিসের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মাধ্যমে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে।

    এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যে কোন ধরনের ভাইরাস স্ক্রিনিংয়ে সক্ষম এক ধরনের বিশেষ প্রযুক্তি শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশকে প্রদানের প্রস্তাব করেছে কোরিয়া সরকার (দক্ষিণ কোরিয়া)।

    তিনি বলেন, এই নতুন প্রযুক্তি দেশের বিমানবন্দরগুলোতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করার জন্য স্থাপিত প্রযুক্তির সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে সংযুক্ত হবে। কোরিয়া সরকার লিখিতভাবে এখনও এই প্রস্তাব করেনি।অনুষ্ঠানিক পত্র পাওয়ার পর বিষয়টি বিশদভাবে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

    এছাড়াও, গত ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ‘আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক’ এবং ‘জায়েদ সাটেইনেবিলিটি এওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ এবং তাঁহার সভাপতিত্বে ‘রাষ্ট্রদূত সম্মেলন’ আয়োজন সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।

  • ভোটার তালিকা (সংশোধনী) আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    ভোটার তালিকা (সংশোধনী) আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    মন্ত্রিসভা বুধবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে আরো এক মাস সময় বৃদ্ধি করে ‘ভোটার তালিকা (সংশোধনী) আইন ২০১৯’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক বৈঠকে মন্ত্রিসভা এই অনুমোদন দিল।

    আজ বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিংকালে বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে সময় বাড়ানোর জন্য মন্ত্রিসভা আজ ‘ভোটার তালিকা (সংশোধনী) আইন ২০১৯’ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘২০০৯ সালের বিদ্যমান আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। এর লক্ষ্যে হচ্ছে সময়সীমা বাড়ানো। কারণ, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ২৯ দিনের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা কঠিন।

    তিনি বলেন, বৈঠকে আগামী ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে ১ মার্চ এ দিবস পালন করা হয়েছে।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, কৃষকরা যেন সুলভ মূল্যে কৃষি সামগ্রী কিনতে পারে ও সহজ শর্তে অল্প অথবা বিনা সুদে ঋণ পেতে পারে সে লক্ষে বৈঠকে ‘জাতীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতি-২০১৯’ এর খসড়ারও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’

    তিনি বলেন, এই নীতি কৃষি যান্ত্রীকিকরণের আওতা বৃদ্ধিতে এবং একই সাথে মজুর কম লাগায় উৎপাদন খরচ কমাতে সহায়ক হবে।
    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই নীতির ফলে কৃষি খাতে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হবে।
    বৈঠকে কৃষিজ পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সমবায় পদ্ধতি অন্তর্ভূক্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

    মন্ত্রিপরিষদ প্রতি বছরের ১ মার্চ ‘জাতীয় বীমা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার এবং তৃণমূলের জনগণকে দিবসটি সম্পর্কে অবগত করার লক্ষ্যে দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপন করার প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর দেশে বীমা শিল্প চালু করেছিলেন।

    বঙ্গবন্ধু ১৯৬০ সালের ১ মার্চ বীমা কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে সভায় ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    এই শিল্পের প্রসারে বঙ্গবন্ধু ‘বাংলাদেশ বীমা জাতীয়করণ আদেশ ১৯৭২ ও ইনস্যুরেন্স কোঅপারেশন অ্যাক্ট ১৯৭৩’ প্রণয়ন করেন।

  • সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০১৯-এর খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০১৯-এর খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক মৎস্য আহরণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে জেল-জরিমানার বিধান রেখে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০১৯-এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    নতুন আইনে এ সংক্রান্ত অপরাধের জন্য অনধিক তিন বছরের কারাদন্ড বা অনধিক পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ড অথবা বা উভয় দন্ড প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সকালে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন প্রদান করা হয়।

    ‘মন্ত্রিসভা বাংলাদেশের সীমানায় দেশি-বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক মৎস্য আহরণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে অনধিক তিন বছরের কারাদন্ড বা অনধিক পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ড অথবা বা উভয় দন্ডের বিধান রেখে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০১৯’এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে,’ বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দোকার আনোয়ারুল ইসলাম একথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘নতুন আইনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বাধা প্রদান, মৎস্য নৌযান, ইত্যাদির ক্ষতিসাধন, প্রমাণাদি ধ্বংস ইত্যাদি অপরাধে দন্ড যৌক্তিক পরিমানে বৃদ্ধি করে অনধিক দু’বছরের কারাদন্ড বা অপরাধ ভেদে ১০ লাখ টাকা এবং অনধিক ২৫ লাখ টাকা আর্থিক দন্ডের বিধান করা হয়েছে।’ অধ্যাদেশে শাস্তির মেয়াদ অনধিক ৩ বছর এবং জরিমানা ৫ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ছিল।

    সচিব বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সময়ে উক্ত এলকায় মৎস্য আহরণ, সমুদ্র যাত্রার অনুমতি ছাড়া মৎস্য আহরণ, আগমনী বার্তা প্রদান না করার অপরাধের দায়ে আহরিত মাছের মূল্যের সমপরিমান এবং তিন গুণ পরিমান প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করা যাবে।’

    অপরাধ সংঘটনে সহায়তা ও পুণসংঘটনের জন্য আইনের খসড়ায় দন্ডের বিধান রয়েছে উল্লেখ করে অনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘অপরাধ বিচারের ক্ষমতা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এবং মোবাইল কোর্টের এখতিয়ারাধীন রাখা হয়েছে।’

    সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইন কার্যকর হলে সামাুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ, এর টেকসই মজুদ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের মাধ্যমে সামুদ্রিক মৎস খাতে ব্লু-ইকোনমির সর্বাধিক উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।

    তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং সাহসী সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক আইনি লড়াইয়ের ফলে অর্জিত বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের ১ লাখ ১৮ হাজার ১১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় মৎস্য সম্পদ আহরণের মাধ্যমে ব্লু ইকোনমির অর্জনকে লক্ষ্য করে ১৯৮৩ সালে জারিকৃত এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশে’র (দি ফিশারিজ অর্ডন্যান্স, ১৯৮৩) সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন করে বাংলাভাষায় এই আইনের খসড়াটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

    সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য সম্পদের ব্যবস্থাপনা, আহরণ, সংরক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের জনগণের আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান তৈরীই এই আইন প্রণয়ণের লক্ষ্য।’

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এদিন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯’ এবং ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯’এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন প্রদান করে মন্ত্রিসভা।

    এছাড়া, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৯’ এর খসড়ার নীতিগত ও চুড়ান্ত অনুমোদন এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আওতায় ‘বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানী লিমিটেড’ শীর্ষক কোম্পানী গঠনের প্রস্তাব এবং উক্ত কোম্পানীর মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন (এমওএ) এবং আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশন (এওএ) এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

    একইসঙ্গে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘এক্সট্রাডিশন’ এবং ‘মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল এসিন্টেন্স ইন ক্রিমিনাল মেটারস’ সংক্রান্ত দুইটি চুক্তির খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন এবং ‘প্রটোকল রিলেটিং টু দি মাদ্রিদ এগ্রিমেন্ট কনসার্নিং দ্য ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন অব দি মার্কস ১৯৮৯’-এ বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

    খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ৫৫টি ধারা রয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘আইনের খসড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ অথরিটি হবে, কিভাবে ভিসি, প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ হবে এবং সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটির বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।’

    অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন যে রকম তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বউলাই ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হবে।’

    তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়ার ও অনুমোদন দেওয়া হয়।

    সচিব বলেন, এই আইনটিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় আইনের মতো করা হয়েছে এবং নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে।

    সুনামগঞ্জের প্রতিষ্ঠিত হবে বলা হলেও সেটি কোথায় হবে তা এখনো জানানো হয়নি।
    এ দু’টিসহ দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫০টিতে।

    গত সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

    ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৯’ এর খসড়ার নীতিগত ও চুড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমান আইনে কমিশন কর্তৃক ট্যারিফ কোনো অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যায় না। তা সংশোধন করে প্রস্তাবিত আইনে এক বা একাধিকবার পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘কমিশন কতৃর্ক নির্ধারিত ট্যারিফ কোন অর্থবছরে কমিশন উহার একক বা পৃথক আদেশ দ্বারা, প্রয়োজন অনুসারে এক বা একাধিকবার পরিবর্তন করতে পারবে।’

    তিনি বলেন, গত ২৫ থেকে ২৮ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তুরস্ক সফর এবং ১৯-২০ নভেম্বর তুরস্কের আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত তুরস্ক যৌথ কমিশনের পঞ্চম সভায় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়েও মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।

  • সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    রাষ্ট্রপতি ২০২০ সালে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে যে ভাষণ দেবেন তার খসড়া আজ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

    বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এবিষয়ে ব্রিফ করেন।

    বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।এই ভাষণে সমাজ-রাজনীতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রশাসনিক রাজনীতি ও কৌশল এবং উন্নয়ন দর্শন ও নির্দেশনা ইত্যাদি বিষয় স্থান পাবে।

    সংবিধানের ৭৩ (২) অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন এবং প্রতি বছর প্রথম অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতিকে ভাষণ দিতে হয়।

    তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে দেশের সার্বিক ও সামষ্টিক-অর্থনৈতিক অবস্থা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গৃহিত পদক্ষেপের সাফল্য,ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে বিভিন্ন সেক্টরে গৃহিত কর্মপরিকল্পনা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে গৃহিত বিভিন্ন কর্মসূচির বাস্তবানের বিষয় গুরুত্ব পাবে।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি,সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্ঠনি কর্মসূচির সম্প্রসারণ, যুদ্ধাপরাধিদের বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি, বৈদেশিক সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে সাফল্য ও প্রশাসনিক নীতি-কৌশল, উন্নয়ন দর্শন এবং দেশের উন্নয়নে দিকনির্দেশনাও গুরুত্ব পাবে।

    মন্ত্রিসভাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রন বোর্ডের সভাপতি এবং পশ্চিম বঙ্গ ক্রিকেট এসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে গত ২২ নভেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত ডে-নাইট টেষ্ট ম্যাচ এর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের বিষয়টিও অবহিত করা হয়।

  • মেরিটাইম অঞ্চল আইন-২০১৯-এর খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    মেরিটাইম অঞ্চল আইন-২০১৯-এর খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    সুনীল অর্থনীতির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো এবং সমুদ্র অঞ্চলে বিভিন্ন অপরাধ বিশেষ করে জলদস্যুতা প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশ মেরিটাইম অঞ্চল আইন-২০১৯’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন প্রদান করা হয়। পরে বিকেলে সচিবালয়ে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দোকার আনোয়ারুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘আনক্লোজ-১৯৮২’, সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত দুটি মামলা রায় (মিয়ানমান ও ভারত) ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মেরিটাইম অঞ্চল ঘোষণা ও সীমা নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিধিবিধান অন্তর্ভূক্ত করে ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম অঞ্চল আইন, ২০১৯’ এর একটি প্রাথমিক খসড়াটি প্রস্তুত করে।

    যার মধ্যে-সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণ, জলদস্যুতা, সশস্ত্র ডাকাতি, চুরি, সমুদ্রে সন্ত্রাস, নৌচলাচলের নিরাপত্তা বিরোধী অবৈধ কর্মকান্ড দমন ও শাস্তি প্রদান, সামুদ্রিক পরিবেশ ও সামুদ্রিক সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত, দূষণজনিত ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ, পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা ও সংরক্ষণ, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন, পর্যটন, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সুনীল অর্থনীতি প্রভৃতি রয়েছে বলেও তিনি জানান।

    মন্ত্রি পরিষদ সচিব বলেন, ‘সুনীল অর্থনীতি এবং সমুদ্র সম্পদের টেকসই অনুসন্ধান ও আহরণ হতে সর্বোচ্চ উপযোগিতা পাওয়ার পূর্বশর্ত হলো আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সঠিক মেরিটাইম অঞ্চল নির্ধারণ।’

    তিনি বলেন, আইনটি প্রণীত হলে তা ব্যাপকভিত্তিক ‘মেরিটাইম অঞ্চল নির্ধারণ’সহ ‘অভ্যন্তরীণ জলসীমা’ ও ‘রাষ্ট্রীয় জলসীমা’ ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত ‘একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল’ এবং ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানে সমুদ্র সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এছাড়া দলদস্যুতা, সমুদ্র সন্ত্রাস, সমুদ্র দূষণসহ সমুদ্রে সংঘটিত অপরাধসমূহ ও নৌ চলাচল নিরাপত্তা বিঘ্নকারী বেআইনি কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

    পাশাপাশি সামুদ্রিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সুষ্ঠু সমুদ্র ব্যবস্থাপনা, জীববৈচিত্র সংরক্ষণ এবং মেরিটাইম সহযোগিতা থেকে সুফল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এ আইনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়, বলেন তিনি।

    খসড়া আইনানুযায়ী দস্যুতার ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান সম্পর্কে খন্দকার আনোয়ার বলেন, ‘জলদস্যুতা, সশস্ত্র চুরি, সমুদ্র সন্ত্রাস করতে গিয়ে কেউ খুন করলে মৃত্যুদন্ড হবে। নরমাল কোন ব্যক্তি জলদস্যুতা বা সমুদ্র সন্ত্রাস করলে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন। আর যেগুলো দস্যুতা করে নেবে তা জব্ধ করা হবে।’

    তিনি বলেন, ‘কোন ব্যক্তি জলদস্যুতা বা সমুদ্র সন্ত্রাসের চেষ্টা বা সহায়তা করলে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদন্ড ও অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন। আর যদি (জলদস্যুতায়) সহযোগী হয় সহায়তা দেয় সেক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড ও অর্থ দন্ডে দন্ডিত হবেন।’
    সচিব বলেন, ‘ভিন্ন দেশের লোকও যদি আমাদের জলসীমায় এসে এসব অপরাধ করে তিনিও একই শাস্তি পাবেন।’

    বাংলাদেশের জলসীমা দিয়ে চলাচলের সময় বিদেশি জাহাজে কোন অপরাধ সংঘঠিত হলে অপরাধী গ্রেফতার ও তদন্ত এই আইনানুযায়ী পরিচালিত হবে বলেও জানান তিনি।

    মন্ত্রি পরিষদ সচিব বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ মেরিটাইম অঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ এবং সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরনের নিমিত্তে ‘দি টেরিটোরিয়্যাল ওয়াটার্স এন্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন। পরবর্তী সময়ে ‘১৯৮২ সালে ইউনাইটেড ন্যাশন্স কনভেনশন অন দি ল অব দি সী’ (আনক্লস-১৯৮২) শীর্ষক কনভেনশন জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হলে একই বছর ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ উক্ত কনভেনশন স্বাক্ষর করে।

    এদিন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘মন্ট্রিল প্রটোকল’ এর কিগালি সংশোধনী অনুস্বাক্ষরের প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়।

    কিগালি সংশোধনী ১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে কার্যকর হয়েছে। ২২ আগষ্ট ২০১৯ পর্যন্ত বিশ্বের ৮১টি দেশ সংশোধনীটি অনুস্বাক্ষর করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ অনুস্বাক্ষর করেছে। অন্যান্য দেশসমূহ অনুস্বাক্ষর প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

    খন্দোকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে জলবায়ু বান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তির প্রসার ঘটবে। ফলে, উল্লেখযোগ্য পরিমান গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পাবে যা প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে।’

    এদিন, ২০১৯ সালের হজ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিতকরণের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সাম্প্রতিক বিদেশ সফর সম্পর্কেও মন্ত্রিসভাকে অবহিতকরণ করা হয় বলেও মন্ত্রি পরিষদ সচিব উল্লেখ করেন।

  • পিপিপি সংশোধন আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    পিপিপি সংশোধন আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

    বিদ্যমান আইনে সরকার টু সরকার প্রকল্প গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (সংশোধান) আইন-২০১৯’র খসড়ার চূড়ান্ত নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ অপরাহ্নে বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

    বৈঠকের পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    তিনি বলেন, ‘জনগণের জীবন-মান উন্নয়ন, আর্থসামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা এবং অবকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মধ্যদিয়ে বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব আইন-২০১৫’ তথা ‘পিপিপি আইন’ প্রণয়ন করা হয়।’

    সচিব বলেন, ‘পিপিপি আইন,২০১৫ তে জি টু জি প্রকল্পের কোন বিধান ছিল না। কিন্তু পিপিপি আইন,২০১৫ প্রবর্তিত হওয়ার পর সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে পিপিপি প্রকল্প (জি টু জি পিপিপি) বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে।’

    তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ‘পলিসি ফর ইমপ্লিমেন্টিং পিপিপি প্রজক্টস থ্রু গভার্নমেন্ট টু গভার্নমেন্ট (জি টু জি) পার্টনারশীপ-২০১৭’র আওতায় জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এবং দুবাই’র সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। অন্যান্য দেশও এই প্রক্রিয়ায় প্রকল্প গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’

    ‘এর পরিপ্রেক্ষিতে কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক জি টু জি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আইনের ৮ ধারায় – ২ (৬ক),১৩ (৩) এবং ১৩ (৪) উপধারা সংযোজন করা হয়েছে,’বলেন তিনি।

    নতুন আইনের অন্যান্য সংশোধনীগুলো তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগের আইনে বোর্ড অব গভরনর্সের বছরে অন্তত ছয়টি সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে উল্লেখ আছে। বছরে ছয়টি সভা আয়োজন সময় সাপেক্ষ এবং সভাপতিসহ সদস্যদের সার্বক্ষণিক ব্যস্ততার নিরিখে তা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। এজন্য সংশোধিত আইনের ৩ ধারায় বোর্ড অব গভরনর্সের সভার সংখ্যা বছরে ছয়টির স্থলে একটি করা হয়েছে।’

    পিপিপি আইনের ৯ ধারায় কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলীতে পিপিপি সম্পর্কিত নীতিমালা/ প্রবিধি/ নির্দেশনা/ গাইডলাইন প্রণয়ন, অনুমোদন, গেজেটে প্রকাশ ও জারিকরণের বিষয় উল্লেখ আছে। নতুন আইনে নীতিমালা/ প্রবিধি/ নির্দেশনা ও গাইডলাইনের সঙ্গে ‘কার্যপ্রণালী’ শব্দটি সংযুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

    পিপিপি কর্তৃপক্ষের সাংগঠনিক কাঠামোতে কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান আইনের ১১ ধারায় পিপিপি কর্তৃপক্ষে সরাসরি নিয়োগ করা কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলী প্রবিধানের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে বলে উল্লেখ আছে। কর্তৃপক্ষে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আলাদা বিধানাবলী সংযোজনের ধারা সংশোধন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বোর্ড অব গভরনর্স অনুমোদিত গাইডলাইন বা বিধান যুক্ত করা হয়েছে।’

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পিপিপি আইনে চুক্তিকারী কর্তৃপক্ষ যে সব ক্ষেত্রে পিপিপি কর্তৃপক্ষের সহায়তা ও মতামত গ্রহণ করবে তা উল্লেখ আছে। পিপিপি প্রকল্প গ্রহণ থেকে শুরু করে চুক্তি স্বাক্ষর পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপ ও চুক্তি সংশোধনের ক্ষেত্রে সহায়তার বিষয় উল্লেখ আছে। তবে, অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায় যে, চুক্তি স্বাক্ষরের পর তা বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদান কার্যক্রম পরিবীক্ষণ পর্যায়েও পিপিপি কর্তৃপক্ষের সহায়তা প্রয়োজন হয়, যার উল্লেখ বিদ্যমান আইনে নেই। এ কারণে বিদ্যমান আইনে অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পাদনের পর চুক্তির আওতাধীন কার্যক্রমের পরিবীক্ষণ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পিপিপি কর্তৃপক্ষের মতামত ও সহায়তা গ্রহণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

    পিপিপি চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থার সার্বিক সহযোগিতার প্রয়োজন হয় উল্লেখ করে খন্দকার আনোয়ার বলেন, ‘এ কারণে পিপিপি চুক্তি সম্পাদনের পর সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প বাস্তবায়নে বেসরকারি অংশীদারকে সহায়তা দেয়ার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে প্রস্তাবিত আইনে।’

    সভায় বীরমুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান রাজনীতিক, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মঈনউদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।

  • মন্ত্রিসভায় ২০২০ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন

    মন্ত্রিসভায় ২০২০ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন

    ২০২০ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সে অনুযায়ী, আগামী বছরে সাধারণ ও নির্বাহী আদেশে মোট ছুটি থাকবে ২২ দিন।

    সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘২০২০ খ্রিস্টাব্দের ছুটির তালিকা’ অনুমোদন দেয়া হয়। ২২ দিনের মধ্যে ৮ দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার।

    বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

    সচিব বলেন, ২২ দিনের ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবসে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ৩ দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার পড়েছে।

    এ ছাড়া বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবসে ৮ দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।