মাস ছয়েক আগে বাংলায় তাণ্ডব চালিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এবার তাতে শেষ পেরেক পুঁতে দিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। আম্ফানের তাণ্ডবে ধ্বংস হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গ।
বুধবার (২০ মে) নবান্ন থেকে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এই কথা জানান।
মমতা বলেন, দুই ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গেছে…বাড়িঘর, নদী বাঁধ ভেঙে গেছে, ক্ষেত ভেসে গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, আম্পানের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।
সারাদিনই নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে ঝড়ের গতিপ্রকৃতি খোঁজখবর রাখছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, বাসন্তী, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড় থেকে যা খবর এসেছে তা ভয়াবহ। খারাপ খবর উত্তর ২৪ পরগনা থেকেও। তবে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেতে ৩-৪দিন লেগে যাবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এলাকার পর এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের সাহায্যে ৫ লাখ মানুষকে সরাতে পেরেছি।
নন্দীগ্রাম ও রামনগরসহ একাধিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম, রামনগর প্রভৃতি এলাকায় বড় ক্ষতি। দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা প্রায় ধ্বংস ঝড়ের দাপটে। গাছ পড়ে মানুষ মারা গেছেন। মোট ক্ষতি এখনও গণনা করা যায়নি। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কাকদ্বীপ, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর সব জায়গায় ধ্বংসের ছবি। রাজারহাট, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, গোসাবা, হাবড়া সব জায়গাই বিপর্যস্ত।
আম্ফানের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। এ দিন তা চরম আকার ধারণ করে। সারা দিন বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইছিলই। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সুন্দরবনে আম্ফানে আছড়ে পড়লে পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে।
সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে কলকাতায় গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ, ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার। সোয়া ৮টার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও, এখনও বিপদ কাটেনি বলে সতর্ক করেছেন মমতা।
২৪ ঘণ্টা/এম আর