Tag: মশা নিধন

  • মশা মারতে ঢাকা উত্তর ব্যয় করবে ১১৪ কোটি টাকা

    মশা মারতে ঢাকা উত্তর ব্যয় করবে ১১৪ কোটি টাকা

    রাজধানীতে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম এবং যন্ত্রপাতি কিনতে ১১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশ (ডিএনসিসি)।

    সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে এ তথ্য জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

    মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে এবার ৮৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। গত অর্থবছরে এই কার্যক্রমে ব্যয় ছিল ৫২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

    নতুন অর্থবছরে এই খাতে বাড়ানো হয়েছে ৬১ শতাংশ।
    মশার ওষুধ বাবদ ৪৫ কোটি টাকা, আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ফগারহুইল স্প্রে মেশিন পরিবহন ৫ কোটি টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বিশেষ কর্মসূচি ১ কোটি টাকা, আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ৩০ কোটি টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান পরিচালনার জন্য রাখা হয়েছ ২ কোটি টাকা।

    এ ছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি কিনতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ব্যয় করবে ৩০ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরে ছিল ১৫ কোটি টাকা। এই অর্থবছরে এ খাতে খরচ বৃদ্ধির হার শতভাগ।

    ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ৮৪ কোটি ৫০ লাখ এবং মশক নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি কিনতে ব্যয় করবে ৩০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মশার সঙ্গে যুদ্ধে এই অর্থবছরে ১১৪ কোটি টাকা খরচ করবে উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

    এদিকে বাজেট ঘোষণায় জানানো হয় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে আয় হিসেবে রাজস্ব খাত থেকে ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৩০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, অন্যান্য খাতে ১৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, সরকারি অনুদান (উন্নয়ন সহায়তা) ৫৪ কোটি ১২ লাখ। এছাড়া অর্বতক খাতে সাহায্য মঞ্জুরি ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা পাশাপাশি সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

    ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের মোট বাজেট ৫ হাজার ২৬৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। বাজেটে ব্যয় হিসেবে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা, অন্যান্য ব্যয় ১৪ কোটি ৫০ লাখ, উন্নয়ন ব্যয় (নিজস্ব উৎস) ১ হাজার ৫১৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা, উন্নয়ন ব্যয় (সরকারি উন্নয়ন সহায়তা) ৫৪ কোটি ১২ লাখ টাকা, উন্নয়ন ব্যয় (সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প) ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এছাড়া সমাপনী স্থিতি ধরা হয়েছে ৪৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

  • মশার বাসস্থান খুঁজতে ড্রোন ওড়াল চসিক

    মশার বাসস্থান খুঁজতে ড্রোন ওড়াল চসিক

    মশার বাসস্থান খুঁজতে ড্রোন ওড়াল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আর তাতে ধরা পড়ল বিভিন্ন বহুতল ভবনের সুুইমিংপুল আর ছাদবাগানে জমে থাকা পানিতে গড়ে ওঠা মশার আবাসস্থল।

    রোববার নগরীর নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে চালানো অভিযানে উঠে আসে এ চিত্র। ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ৭ ভবন মালিককে। বাকী ভবন মালিকদের সতর্ক করা হয়। জনসচেতনতা সৃষ্টিতে নাগরিকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

    অভিযানে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা আজকে ড্রোন দিয়ে বহুতল ভবনগুলোর ছাদ পর্যবেক্ষণ করে প্রায় সবগুলো ভবনের ছাদেই পানি জমে থাকতে দেখেছি। আজ সবাইকে ডেকে সতর্ক করছি, পরবর্তীতে উনারা জমে থাকা পানি না সরালে জরিমানাসহ কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিব। “আমরা ৪৩৫টি ঝুকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে লার্ভিসাইডসহ বিভিন্ন মশা নিধনকারী ঔষধ ছিটাচ্ছি। তবে এক্ষেত্রে সাফল্যপ্রাপ্তিতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছু অসচেতন বাড়ি মালিকের ছাদে জমে থাকা পানি। বিশেষ করে সুইমিংপুল আর ছাদবাগানগুলো মশার নিরাপদ আবাসস্থল হয়ে উঠেছে। অনেক বাড়ির মালিক আবার নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের কর্মীদের ছাদে উঠতে দেননা। আমরা মশার ঔষুধ ছিটাচ্ছি নালা-নর্দমায় কিন্তু আবাসিক ভবনগুলােই হয়ে উঠছে মশার বড় আবাসস্থল। তাই বাধ্য হয়ে ড্রোন দিয়ে ছাদ পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে।”

    অভিযানে মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, মশার সংক্রমণ কমাতে আমরা ১০০ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রামের পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে জোর দিচ্ছি। আজকে আরবান ভলান্টিয়ার ও রেডক্রিসেন্টের ভলান্টিয়ারদের ৮টি টিম গঠন করে নগরীর ৮টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণ করে জনগণকে তাদের বাসায় জমে থাকা পানি অপসারণের আহবান জানানো হচ্ছে এবং মশার ঔষুধ ছিটানো হচ্ছে। এসময় ছাদে মশার লার্ভা ও আবাসস্থল পাওয়ায় চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন ৭টি ভবনের মালিকপক্ষকে মোট ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি জানান, নগরীর মোট ৬০টি আবাসিক এলাকায় ক্রমান্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ক্র্যাশ প্রোগ্রামকে সফল করতে মশক নিধনে লোকবল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর মোঃ মোরশেদ আলম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসীসহ নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি কল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

  • মশা নিধনে মাদারবাড়িতে সুজনের হানা

    মশা নিধনে মাদারবাড়িতে সুজনের হানা

    মশার উপদ্রব বাড়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নালা খাল পরিস্কারের পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশক নিধনে ওষুধ ছিটাচ্ছে।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশেনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নিয়মিত বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর রাখার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারলে ছুটে যান ওই এলাকার সমস্যা সমাধানে।

    তিনি মঙ্গলবার বিকেলে সদরঘাট ইসলামিয়া কলেজ মোড় থেকে পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ডের পুরো এলাকা হেঁটে নালা অলিগলিতে মশা নিধনে এডাল্টিসাইট ও ফগার মেশিনের সাহায্যে ওষুধ ছিটান।

    এসময় এলাকাবাসীর উদ্দ্যেশ্যে বলেন শীতকাল হচ্ছে শুষ্ক মৌষুম। এসময়ে ধুলাবালি ও মোশার উপদ্রব বাড়ে। এতে করে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বরসহ এলার্জি জনিত বিভিন্ন রোগবলাই দেখা দেয়। অপরদিকে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সংক্রামন বেড়েছে। শীতজনিত রোগবালাই ও করোনা দুইয়ে মিলে জনস্বাস্থ্য যাতে ঝুঁকিপূর্ণ না হয় সে লক্ষ্যে কর্পোরেশন নিয়মিত ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছে। নগরবাসীকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে আপনাদের চারপাশ পরিষ্কার থাকে। তাহলেই মশার উপদ্রব ও করোনা মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

    এ সময় পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আতাউল্লাহ চৌধুরী, কর্পোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তঅ প্রনব সাহা, স্থানীয় রাজনৈতিক মো. সানাউল্লাহ, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জাহেদ আহমেদ চৌধুরী, রকিবুল আলম সাজী, মাহবুবুল আলম জনি, আবু তারেক রনি, ফয়সাল সাব্বির, রাকিবুল আলম, ইবনে বিন জামান ডায়মন্ড, আনিসুর রহমান তারেক, সৈকত বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।