Tag: মহানবীকে কটূক্তি

  • মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে মিরসরাইয়ে ওলামা মাশায়েখ পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ

    মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে মিরসরাইয়ে ওলামা মাশায়েখ পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ

    মিরসরাই ( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ ভারতে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে মিরসরাই উপজেলা ওলামা মাশায়েখ পরিষদ ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিতি হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকাল ১০টায় মিরসরাই উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল মহাসড়ক প্রদক্ষিন করে আলীয়া মাদ্রাসার সামনে এসে শেষ হয়।

    মিছিলোত্তর বিক্ষোভ সমাবেশ মিরসরাই উপজেলা ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মাওলানা মফিজ উল্লাহ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মিরসরাই উপজেলা ওলামা মাশায়েখ পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা মকসুদ আহম্মদ।

    আরো বক্তব্য রাখেন ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা জমির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাফর উল্ল্যাহ, সদস্য হাফেজ মাওলানা শোয়াইব, মুফতি মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা আরিফুল হক প্রমুখ।

    দোয়া মোনাজাতের মধ্যদিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের সমাপ্তি হয়।

    এসময় বিক্ষুদ্ধ জনতা ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দালের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। নবী করিম (সাঃ) সম্পর্কে কটুক্তি বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হেনেছে। আমরা আশা করেছিলাম ভারত সরকার কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবে। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই একজন মুসলিম বিদ্বেষী। বিজেপি ক্ষমতায় এসে ইসলামবিরোধী একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। মুসলমানদের মসজিদ,বাড়ি ঘর মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে। সরকারী মদতে সে দেশের মুসলমানদের হত্যা এবং পদে পদে লাঞ্চিত করা হচ্ছে।

    বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম দেশ। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সমপ্রীতির দেশ। আমরা চাই হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করায় জাতীয় সংসদে নিন্দা জ্ঞাপন করা হোক। এছাড়া ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দালকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।

  • নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে পোস্ট, যুবক গ্রেপ্তার

    নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে পোস্ট, যুবক গ্রেপ্তার

    বিশ্বনবীকে নিয়ে কটূক্তি করা ভারতীয় রাজনীতিবিদ নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে সিলেটের গোয়াইনঘাটে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    সোমবার ভোরে উপজেলার জাফলং চা বাগান থেকে শ্রাবণ সাঁওতাল রাজ নামের ওই যুবককে আটক করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে।

    শ্রাবণ গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং চা বাগানের রাঙা সাঁওতালের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজে স্নাতকের ছাত্র।

    গোয়াইনঘাট থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে সমর্থন এবং বিশ্বনবীকে কটাক্ষ করে ফসবুকে একটি পোস্ট দেন শ্রাবণ। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। শ্রাবণকে গ্রেপ্তারের দাবিও ওঠে।’

    ওসি জানান, সোমবার ভোরে শ্রাবণকে আটকের পর তার বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানার এসআই ইমরুল কবীর বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারতের একটি টেলিভিশনের বিতর্ক অনুষ্ঠানে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করেন সে দেশের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী নূপুর শর্মা। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে এমন অভিযোগে তার কটূক্তির প্রতিবাদে দেশে-বিদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় নূপুরকে ইতোমধ্যেই দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি।

  • মহানবীকে বিজেপি নেতার অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে সীতাকুণ্ডে বিক্ষোভ সমাবেশ

    মহানবীকে বিজেপি নেতার অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে সীতাকুণ্ডে বিক্ষোভ সমাবেশ

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেত্রীর অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ইউনিয়নে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপজেলার পৌরসদর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা, সোনাইছড়ি, মাদামবিবিরহাট, ভাটিয়ারী, সলিমপুর ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদের হাজারো মুসল্লী অংশ নেয়।

    মাদামবিবিরহাটস্থ হযরত শাহজাহান (রঃ) মাওলানা জামে মসজিদ কমিটির উদ্যেগে মসজিদ মাঠ প্রাঙ্গণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের খতিব সৈয়দ আহমদুল হক মাইজভান্ডারী সভাপতিত্বে ও মোহাম্মদ রফিকের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন।

    বক্তব্য রাখেন মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুর রহমান মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আলম কন্ট্রাক্টর, উপস্থিত ছিলেন মোঃ আলী আকবর, জাফর উল্লাহ চৌধুরী, মোঃ নাঈম উদ্দিন, শাহ জামাল, আবু তাহের, জাফর সওদাগর, সাইফুল ইসলাম রনি, আবদুল করিমসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

    সমাবেশে বক্তারা ভারতে মহানবী (সাঃ) ও হজরত আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে অবমাননার প্রতিবাদে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনার জোর দাবি জানান।

  • সরকার ক্ষমতার নেশায় ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনছে না: চরমোনাই

    সরকার ক্ষমতার নেশায় ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনছে না: চরমোনাই

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতার পাগল। ক্ষমতার নেশায় ভারতের বিরুদ্ধে আপনারা নিন্দা প্রস্তাব আনছেন না। আপনারা যতোই ভাবেন মোদি আপনাদের ক্ষমতা-গদি রক্ষা করবে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের ক্ষমতায় রাখবে না।

    ভারতে বিজেপি মুখপাত্র কর্তৃক রাসূল(সা.) এবং উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার (১০ জুন) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বাদ জুমা আয়োজন করা হয় বিক্ষোভ মিছিলের। সেখানে মিছিল উত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ উত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, চলতি জাতীয় সংসদের অধিবেশন থেকে যদি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব পাস করা না হয়, ভারতীয় হাই কমিশনারকে যদি ডেকে নিন্দা জানানো ও জবাব চাওয়া না হয়, কটূক্তিকারীদের যদি বিচার করা না হয়, তাহলে আগামী ১৬ জুন ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি দেওয়া হবে।

    মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম কটূক্তিকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের নবী শুধু আরব নয়, গোটা বিশ্বের জন্য রহমত। তার সম্পর্কে কটুক্তি করতে সাহস তুমি কোথায় পেলে! যেখানে আবু লাহাব, আবু জেহেলও সে সাহস করেনি।

    নবীর প্রতি অন্যায় নির্যাতনের পরও বিশ্বনবী কোনো প্রতিবাদ করেননি উল্লেখ করে এ ইসলামী নেতা বলেন, নবীর পথে কাঁটা বিছানো হয়েছিল। রক্তাক্ত হয়েছেন, কিন্তু তিনি তাদের জন্য বদদোয়া করেননি, বরং হেদায়েতের জন্য দোয়া করেছেন। আমার নবীর সম্মান, ইজ্জত রক্ষায় জীবন দিতে পারি। নবীর ইজ্জত রক্ষায় আমরা স্ত্রী, সন্তান ত্যাগ করতে পারি, ঘর ত্যাগ করতে পারি।

    তিনি বলেন, বেঈমানরা তোমরা যদি আমার নবীকে আঙ্গুল উচিয়ে চরিত্র হনন করো, তাহলে সেই আঙ্গুল কেটে ফেলা হবে, যে চক্ষু রাঙ্গিয়ে কথা বলেছো সেই চোখ উপড়ে ফেলা হবে, যে জিব্বাহ দিয়ে কটূক্তি করেছো সেই জিব্বাহ ছিঁড়ে ফেলা হবে।

    মুফতি চরমোনাই আরও বলেন, ভারতে কোনো আদালত নাই, ওইটা মোদির অফিস। মসজিদে নাকি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। সেটা আবার কোর্ট কীভাবে নির্দেশ দেয়, মসজিদের ভেতরে শিবলিঙ্গ খোঁজার জন্য। ভারতে যারা মুসলমান তার সেখানেই জন্মগ্রহণ করেছে। অন্য ধর্মের যারা, যাদের ভাসিয়ে বা পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু মুসলমানদের ভারতেই সমাধি হয়। মুসলমান শাসক ভারতে ছিল কিন্তু কোনো মন্দির ভাঙা হয়নি। সাড়ে সাতশ বছর মুসলমানরা শাসন করেছে, কিন্তু কোনো অমুসলিমদের ওপর নির্যাতন-উৎখাত করেনি।

    পানিপথের যুদ্ধের পর সাড়ে ৭২ মণ পৈতা উদ্ধার করা হয়েছিল উল্লেখ করে পীর চরমোনাই বলেন, কী পরিমাণ হিন্দু সেসময় মৃত্যু হয়েছিল সেটা বিবেচনা করে বলা হয়। রাসূলের শরীরে যতো আঘাত ছিল সব ছিল সামনে। কারণ রাসুল (সা.) সামনে থেকে যুদ্ধ করেছেন, পেছন থেকে নয়। বেঈমানরাই পেছন থেকে যুদ্ধ করে। মুসলমানরা কখনো পেছন থেকে ‍লড়াই করে না। কিন্তু যুদ্ধ করতে এলে মুসলমান ছেড়ে কথা বলে না। কাপুরুষের মতো ঘরে বসে মৃত্যুবরণ করে না।

    বর্তমান সরকারকে মোদি সরকার রক্ষা করতে পারবে না হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় আশায়-নেশায় আপনারা নিন্দা প্রস্তাব সংসদে আনলেন না। মনে রাখবেন মোদি সরকার আপনাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবে না, রক্ষা করতে পারবে না। মোদি আপনাদের কামান, বুলেট, যুদ্ধ বিমান দিয়েও রক্ষা করতে পারবে না, কারণ জনগণ ক্ষেপলে কোনো কিছু দিয়েই ক্ষমতা টেকানো যাবে না। জনগণ জাগ্রত হলে কোনো পরাশক্তির শক্তি কাজে আসে না। আজ বাংলাদেশের জনগণ জাগ্রত হয়েছে।

    তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, সংসদ চলছে, আপনি রাষ্ট্রদূতকে ডাকেন, নিন্দা প্রস্তাব পাস করেন। জবাব চান। যদি আপনি ব্যর্থ হন তাহলে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনাকে সংসদ থেকে টেনে নামানোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। কারণ আপনি ক্ষমতার পাগল, আর আমরা নবী, সুন্নত, ইসলামের পাগল।

    মুসলমানদের উৎখাত করার যে ষড়যন্ত্র মোদি সরকার করছেন, সেখান থেকে পিছু হটেন, যদি সেটা না করেন, পুরো বিশ্বের মুসলমান একত্রিত হয়ে আপনার পা ভেঙে ফেলবে।

    সমাবেশে দলটির মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমও বক্তব্য রাখেন।

    সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম থেকে বের হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেয় পুলিশ। তবে সমাবেশ ও বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ও বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। মিছিলকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার দলীয় নেতাকর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া এ দলটির বাইরেও সমমনা বেশকটি ধর্মভিত্তিক দলের নেতা-কর্মীদের অংশ নিতেও দেখা যায়।

  • দিল্লি জামে মসজিদে ব্যাপক বিক্ষোভ, নুপুর শর্মাকে গ্রেপ্তারের দাবি

    দিল্লি জামে মসজিদে ব্যাপক বিক্ষোভ, নুপুর শর্মাকে গ্রেপ্তারের দাবি

    মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশটির রাজধানী দিল্লির ঐতিহাসিক জামে মসজিদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি বিক্ষোভ করেন।

    এসময় বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা এবং দলটির সাবেক মুখপাত্র নুপুর শর্মাকে গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তারা। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই এবং সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

    বার্তাসংস্থা এএনআই বলছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর দিল্লির ঐতিহাসিক জামে মসজিদে বিক্ষোভ করেন মুসল্লিরা। এসময় তারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তিকারী নুপুর শর্মাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে অবশ্য বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।

    অন্যদিকে এনডিটিভি বলছে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে বিশাল বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মূলত বিজেপির সাবেক মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও দলটির আরেক নেতা নবীন কুমার জিন্দালের বিতর্কিত মন্তেব্যের জেরে বিক্ষোভে অংশ নেন তারা।

    বিজেপি এই দুই নেতাকে বহিষ্কার করলেও তাদেরকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও জানিয়েছে এনডিটিভি।

    দিল্লির ঐতিহাসিক জামে মসজিদে মুসল্লিদের বিক্ষোভ নিয়ে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বরখাস্তকৃত বিজেপি নেতা নুপুর শর্মা এবং বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা নবীন কুমার জিন্দালের বক্তব্যের বিরুদ্ধে জামে মসজিদে বিক্ষোভ করেছেন মুসল্লিরা। আমরা সেখান থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

    অন্যদিকে দিল্লির জামে মসজিদের শাহী ইমাম বলছেন, আমরা জানি না কারা প্রতিবাদ করছে, আমার মনে হয় তারা অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) তথা হায়দ্রাবাদের প্রভাবশালী রাজনীতিক আসাদউদ্দিন ওয়াইসির সমর্থক। আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, তারা এখানে প্রতিবাদ করতে চাইলে করতে পারে, কিন্তু আমরা তাদেরকে সহায়তা করছি না।

    ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক মুখপাত্র নুপুর শর্মা এক টেলিভিশন শোতে অংশ নিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিতর্কিত ওই মন্তব্য করেছিলেন। পরে দলটির নয়াদিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন জিন্দালও নুপুর শর্মার মন্তব্যের সমর্থনে টুইট করেন।

    তাদের এই মন্তব্য দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করে তোলে। এমনকি অভিযুক্তদের মন্তব্যের জেরে ভারতের কয়েকটি রাজ্যের মুসলিমরা বিক্ষিপ্তভাবে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন। আর এর রেশ ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে বাইরের বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

    অবশ্য এরপরই অনেকটা নড়েচড়ে বসে বিজেপি। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিজেপি অভিযুক্ত নুপুর শর্মাকে বরখাস্ত এবং জিন্দালকে বহিষ্কার করে। পরে বিজেপির এই দুই নেতা প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতিও দিয়েছেন।

    অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মতো দেশের ভেতরেও বিরোধী দলগুলোর তীব্র চাপের মুখে পড়েছে ভারতের বিজেপি সরকার। দেশটির বিরোধী দলগুলো বিজেপির অভিযুক্ত দুই নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ আরও বাড়ানোর পাশাপাশি কট্টর হিন্দুত্ববাদী এই দলটিকে আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।

    এদিকে নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের দুই সপ্তাহ পর ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বরখাস্তকৃত মুখপাত্র নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    সমাজের শান্তি বিনষ্ট, অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং বিদ্বেষ ছড়ানোর দায়ে বিজেপির এই নেতা ছাড়াও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশ এই মামলা দায়ের করে।

  • মহানবীকে কটূক্তি : তিন খানের নীরবতা নিয়ে নাসিরুদ্দিন শাহের প্রশ্ন

    মহানবীকে কটূক্তি : তিন খানের নীরবতা নিয়ে নাসিরুদ্দিন শাহের প্রশ্ন

    স্পষ্ট মতামত দেওয়ার জন্য অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ বলিউডে বেশ পরিচিত। তিনি কখনো রাজনৈতিক বিষয়ে মন্তব্য করতেও দ্বিধা করেন না। এবার তিনি কথা বলেছেন মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিজেপির নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে। এসময় নাসিরুদ্দিন শাহ এ বিষয়ে বলিউডের তিন খানের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

    এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাসিরুদ্দিন শাহ অনুমান করেছিলেন যে দেশের সবচেয়ে বড় তারকাদের অনেক কিছু হারানোর আছে, তাই তারা নীরবতা পালন করেন। দ্য কাশ্মীর ফাইল সম্পর্কে মন্তব্য করেন নাসির। ছদ্ম-দেশপ্রেমিক সিনেমার সূচনা সম্পর্কেও কথা বলেছেন।

    বলিউডের খানদের কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘আমি তাদের পক্ষে কথা বলতে পারব না। তারা যে অবস্থানে আছে আমি সেখানে নেই। আমি মনে করি তারা মনে করে এটা তাদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ প্রমাণিত হবে। কিন্তু তারপরও আমি জানি না তারা কীভাবে এটি সম্পর্কে তাদের বিবেককে ব্যাখ্যা করে। তবে আমি মনে করি, তারা এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যেখানে তাদের অনেক কিছু হারানোর আছে।’

    নাসিরুদ্দিন শাহ উদাহরণ হিসেবে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানের উইচ-হান্টের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, শাহরুখ খানের সঙ্গে যা ঘটেছে এবং তিনি যে মর্যাদার সঙ্গে এর মুখোমুখি হয়েছেন তা প্রশংসার যোগ্য। এটি একটি উইচ-হান্ট ছাড়া কিছুই ছিল না। শাহরুখ নীরবতা পালন করেন। তিনি যা করেছিলেন তা তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছিলেন। সোনু সুদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। হয়ত আমি এই তালিকায় পরবর্তী ব্যক্তি। আমি জানি না তবে তারা কিছুই পাবে না।

    দ্য কাশ্মীর ফাইলে কথা বলতে গিয়ে নাসিরুদ্দিন শাহ বলেন, ছবিটি কাশ্মীরি হিন্দুদের বেদনার একটি কাল্পনিক সংস্করণ। যা সরকার কর্তৃক প্রচারিত হয়েছে।

    নূপুর শর্মার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাক্ষাৎকারে শাহ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিষ বন্ধ করার আবেদন করেন। যেখানে বলা হয়েছে, যারা বিদ্বেষী প্রধানমন্ত্রীকে টুইটারে ফলো করে, তাদের জন্য তার কিছু করা উচিত। বিষ ছড়ানো বন্ধ করতে তাকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। একদিন মানুষ আরও ভালো বুঝবে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণার অবসান ঘটবে।