Tag: মহান বিজয় দিবস

  • চট্টগ্রামে যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত

    চট্টগ্রামে যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত

    চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযথ মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস।

    সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ডিসি পার্কের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক প্রদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।।

    এসময় বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান তাদের নিজ কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

    পরে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সকালে বিভাগীয় কমিশনার নগরীর সার্কিট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

    পুষ্পস্তবক প্রদান শেষে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। লক্ষ প্রাণের তাজা রক্ত ও মা, বোনের সম্ভ্রমহানির মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা হয়েছিল। যে লক্ষ নিয়ে ৭১ সালে বিজয় অর্জিত হয়েছিল তার ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করতে পারিনি। যার কারণে গণতন্ত্রের স্বাধীন যাত্রাপথে বার বার আমরা হোঁচট খেয়েছি এখনো খাচ্ছি।

    তিনি বলেন, বিজয়ের ৫৩ বছর পার হয়েছে তবুও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে এখনো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। সে সংগ্রামের ফসল হচ্ছে ২০২৪ সালে জুলাইয়ের গণঅভ্যূত্থান। সুতরাং সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশিত বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত এবং সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে রূপান্তর করবো এই হোক আজকের প্রত্যাশা।

  • বিজয় দিবসে দেশবাসীকে টাইগারদের জয় উপহার

    বিজয় দিবসে দেশবাসীকে টাইগারদের জয় উপহার

    ৫৪তম বিজয় দিবসের শুরুটা হলো বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় এক জয় দিয়ে। হাঁড় কনকনে শীতের সকালো সূর্য ওঠার আগেই শুরু হয়েছিলো বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। কিংসটাউনে সকাল পৌনে ১০টার মধ্যেই এসে গেলো শ্বাসরুদ্ধকর এক বিজয়। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

    পেন্ডুলামের মত দুলছিল ম্যাচটির ভাগ্য। একদিকে রোভম্যান পাওয়েল, অন্যদিকে বাংলাদেশের বোলারদের আপ্রাণ চেষ্টা। শেখ মেহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে সহজ জয়ের স্বপ্ন দেখলেও রোভম্যান পাওয়েল যেন সেই স্বপ্নকে কেড়ে নিতে চাচ্ছিলেন।

    কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় হলো বাংলাদেশের বোলারদেরই। শেষ ওভারে বাজিমাত করলেন হাসান মাহমুদ। রোভম্যান পাওয়েলকে ক্যাচে পরিণত করেন উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে। পাওয়েলের আউটেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়। সর্বশেষ অ্যালজারি জোসেফকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ৭ রানের অবিস্মরণীয় এক জয় উপহার দিলেন তিনি।

    সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনের আর্নস ভ্যালে গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররা খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি। যে কারণে ক্যারিবীয়দের সামনে মাত্র ১৪৮ রানের লক্ষ্য বেধে দিতে পেরেছে টাইগাররা।

    জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজও চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে। বিশেষ করে অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসানের ঘূর্ণি বোলিংয়ে রীতিমত কাঁপতে শুরু করে তারা। যার ফলশ্রুতিতে ৩৮ রানেই হারিয়েছে ৫ উইকেট। মেহেদী হাসান একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।

    জয়ের জন্য ১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তাসকিন আহমেদের শিকারে পরিণত হন ক্যারিবীয় ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। তাসকিনের বলে ওঠা ক্যাচ তালুবন্দী করেন তানজিদ হাসান তামিম।

    এরপরই শুরু হয় শেখ মেহেদী হাসানের ঘূর্ণি তাণ্ডব। নিকোলাস পুরান (১), রস্টোন চেজ (৭), আন্দ্রে ফ্লেচার (০) দ্রুত আউট হন শেখ মেহেদ হাসানের বলে। সর্বোচ্চ ২০ রান করা জনসন চার্লসের উইকেটও তুলে নেন মেহেদী হাসান।

    মেহেদী হাসানের সঙ্গে যোগ হয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব এবং রিশাদ হোসেন মিলে তুলে নেন আরও দুই উইকেট। গুদাকেশ মোতিকে ৬ রানে ফেরান তানজিম সাকিব এবং আকিল হোসেনের উইকেট তুলে নেন রিশাদ।

  • দেশকে আরও উন্নত ও স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল ভোগ করতে আমরা বদ্ধপরিকর

    দেশকে আরও উন্নত ও স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল ভোগ করতে আমরা বদ্ধপরিকর

    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল ভোগ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

    মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গৌরবময় এবং স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীনতার স্বাদ এবং জাতি হিসেবে নিজস্ব পরিচিতি। লাখ লাখ শহীদের রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়ে যাই আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিজয় দিবস কেবল আমাদের গর্বের উৎস নয়, এটি আমাদের শপথের দিনও। শপথ আমাদের একতাবদ্ধ থাকার, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার।

    তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি এবং তাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাই। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করছে।

    প্রধান উপদেষ্টা ‘বিজয় দিবস ২০২৪’-এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

  • গর্বিত বাঙালি জাতির বীরত্বের অবিস্মরণীয় দিন আজ

    গর্বিত বাঙালি জাতির বীরত্বের অবিস্মরণীয় দিন আজ

    মুক্তি পাগল বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যকে ছিনিয়ে আনবে বলে একদিন অস্ত্র কাঁধে তুলে নিয়েছিল। ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার সবাই শরিক হয় এ লড়াইয়ে। সেই ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, সেটির উদয় ঘটে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরে, বহু শতাব্দীর স্বপ্ন-স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মাধ্যমে। অবর্ণনীয় দুর্যোগে লন্ডভন্ড হওয়া বাংলাদেশের বঞ্চিত ও শোষিত মানুষ রুখে দাঁড়ায় সর্বশক্তি দিয়ে। আত্মবিস্মৃত বাঙালি আত্মপরিচয় অনুসন্ধানে উৎসর্গ করে নিজ ও স্বজনকে। ছিনিয়ে আনে বিজয়, লাল-সবুজ পতাকা সংবলিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আজ সেই ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৫৩তম বর্ষ। হাজার বছরের গর্বিত বাঙালি জাতির বীরত্বের অবিস্মরণীয় দিন আজ।

    ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মধ্য দিয়ে জাতি আজ নতুন করে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করবে। ইতিহাসে প্রথম, বছরে দ্বিতীয় ‘বিজয় দিবস’ পেল বাংলাদেশ।

    ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে চলা স্বৈরাচারী শাসন, ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর জন্য ক্ষুব্ধ জনতার রোষানলের মুখে পড়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এ বছর স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর, বাংলাদেশের নবযাত্রায় জাতি নতুন উদ্যম ও উদ্দীপনা নিয়ে দিনটি পালন করবে। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পর দেশবাসী এ সময়টাকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলেও অভিহিত করছে।

    পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ এবং বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার মুহূর্তকে স্মরণ করে আজ বিজয় দিবস উদযাপন শুরু হবে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং এরপর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

    এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে স্মৃতিসৌধ পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

    সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। আলোচনা সভা এবং মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করা হবে। আজ সরকারি ছুটির দিন।

    বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তাই আসুন, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে এবং মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রাখি। দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে আরও এগিয়ে নিয়ে যাই, গড়ে তুলি উন্নত-সমৃদ্ধ এক নতুন বাংলাদেশ- মহান বিজয় দিবসে এই আমার প্রত্যাশা।

    তিনি আরও বলেন, এ বছর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন এ দেশের মানুষ দেখেছে, তা অচিরেই বাস্তবায়িত হবে বলে আমি মনে করি। বীরের দেশ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, বিজয়ের এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি সকল জাতীয় নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশি বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যারা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। আমি আরও স্মরণ করি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকে। জাতি তাদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

    প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেন, আজকের এই দিনে, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি এবং তাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাই। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করছে।

    বিজয় দিবসের বাণীতে তিনি বলেন, দেশকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল ভোগ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

    প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিজয় দিবস কেবল আমাদের গর্বের উৎস নয়, এটি আমাদের শপথের দিনও। শপথ আমাদের একতাবদ্ধ থাকার, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার।

    বিজয় দিবসকে বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গৌরবময় ও স্মরণীয় দিন হিসেবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীনতার স্বাদ এবং জাতি হিসেবে নিজস্ব পরিচিতি। প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, লাখ লাখ শহীদের রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। প্রধান উপদেষ্টা ‘বিজয় দিবস ২০২৪’-এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

    এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক বাণী দিয়েছেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করবেন।

  • বিজয় দিবসে সীতাকুণ্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

    বিজয় দিবসে সীতাকুণ্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: যথাযথ মর্যাদায় সীতাকুণ্ডে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৬ টায় উপজেলা চত্বরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

    সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলম শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। এছাড়া উপজেলা প্রসাশন, মডেল থানা, ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা আ লীগ, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব, বিএনপির, যুবদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান।

    অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে মুক্তিযুদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ৪ সীতাকুণ্ড আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সাবেরী, মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা নুরউদ্দিন রাশেদ, মুক্তিযুদ্ধা এড.ফখরুদ্দিন চৌধুরী, মানিক লাল বড়ুয়া, সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক সফিউল আলমসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

  • বিজয় দিবসে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্ণাঢ্য র‌্যালি

    বিজয় দিবসে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্ণাঢ্য র‌্যালি

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ইতিহাসে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াও গভীর শ্রদ্ধায় বেঁচে থাকবেন জনগণের হৃদয়ে। এদেশের মুক্তিকামী জনগণ ও জিয়াউর রহমান যে বাংলাদেশের জন্য লড়েছিলেন সেটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, আর আওয়ামী লীগের চেতনায় রয়েছে কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী দর্শণ। সেকারণে তারা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সহ্য করতে পারে না।

    আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব যখন স্বাধীনতা ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সেখানে গভীর দেশপ্রেম এবং জনগণের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার টানে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করার দু:সাধ্য কাজটি করতে এগিয়ে এসেছিলেন মেজর জিয়াউর রহমানই।

    বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্ণাঢ্য র‌্যালি পরবর্তী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরোও বলেন, যে গণতান্ত্রিক চেতনার উপর ভিত্তি করে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই গণতন্ত্র আজ ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা লুন্ঠিত। দেশে গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার বলতে কিছু নেই। লুণ্ঠিত গণতন্ত্র পুন: প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ মিথ্যা মামলায় সাজাভোগ করছেন এবং দেশনায়ক তারেক রহমান নির্বাসনে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে এবং জনগণের কাছে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হলে বিজয়ের এই দিনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে কারামুক্ত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার দীপ্ত শপথ নিতে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে জীবন মৃত্যু উপেক্ষা করে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন বলেই আমরা আজ স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তিনি মিশে আছেন মানুষের হৃদয়ে-অন্তর জুড়ে। তাই যারা কটাক্ষ করে অপবাদ দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও জনগণের ভোটাধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান এর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা গনতন্ত্রের চূড়ান্ত বিজয় না আসা পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি
    তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, খায়রুল আলম দিপু, এড.সাইদুল ইসলাম, মোঃ আসলাম উদ্দিন, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, মঈনউদ্দিন রাশেদ, হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মুর্তজা, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, গিয়াস উদ্দিন সেলিম,সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, নুরুল আলম শিপু, আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার ,আব্দুল হালিম গুড্ডু, সহ-সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, মনির শাহ্, সাজ্জাদ হোসেন, দিদার হোসেন, আব্দুল মান্নান আলমগীর, মনির হোসেন, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, টিপু সুলতান, জাকির হোসেন, ইমরান চৌধুরী বাবলু, ইমদাদুল হক স্বপন, মোখলেছুর রহমান,আব্দুল মান্নান, মোঃ হাসান, নুহ গাজী সেলিম, মাহবুব খালেদ, রাসেল খান, সহ-সাংগঠনিক ইসহাক খান, নাছির উদ্দিন, মিজানুর রহমান সাইফুল, সাইফুল আলম দিপু, ইকবাল হোসেন রুবেল, মোঃ রবিউল ইসলাম

    সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নূর আলম, লুৎফর রহমান জুয়েল, এরশাদুল কাইয়ুম, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ এসকান্দর, মো. জসিম উদ্দিন, সহ-সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বাকের হোসেন, আলমগীর হোসেন, আকতার হোসেন, খোরশেদ আলম, জাকির হোসেন মিশু, মোঃ সোহেল, জাহেদুল আলম, মোঃ কালাম, মোঃ পারভেজ সহ প্রমুখ।

    র‌্যালিটি কাজীর দেউড়ী মোড় থেকে শুরু করে লাভ লেইন, এনায়েত বাজার সহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিন করে।

  • বিজয় দিবসে সাদাকাত উল্লা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বাড়বকুণ্ডে বিশাল আনন্দ র‍্যালী

    বিজয় দিবসে সাদাকাত উল্লা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বাড়বকুণ্ডে বিশাল আনন্দ র‍্যালী

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডে ইউপি চেয়ারম্যান সাদাকাত উল্লা মিয়াজীর নেতৃত্বে বিশাল বিজয় র‍্যালী করেছে আওয়ামীলীগ।

    বুধবার বেলা ১১ টায় বিজয় র‍্যালীটি বাড়বকুণ্ড উত্তর বাজার থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে বাড়বকুণ্ড উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নবনির্মিত শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।

    বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, সেচ্চাসেবকলীগ এবং ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী র্যালীতে অংশ নেয়।

    র‍্যালী শেষে শহীদ মিনার চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাড়বকুণ্ড ইউপি চেয়ারম্যান সাদাকাত উল্লাহ মিয়াজীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ভবতোষ নাথ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন সুজা, আওয়ামীলীগ নেতা আরঙ্গজেব সাবু, আকবর হোসেন, এম এ হানিফ, শহিউল্লা টিটু, জাবেন আল মোহাম্মদ, ছাত্রলীগ নেতা তন্ময় বড়ুয়াসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

    সভাশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চাটগাঁইয়া মেজবান অনুষ্ঠিত হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • আজ মহান বিজয় দিবস : একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেয়ার দিন

    আজ মহান বিজয় দিবস : একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেয়ার দিন

    আজ ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকী। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিবস এদিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশসহ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেয়ার দিন।

    ১৯৭১ সালের এদিনে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে।

    ২৪ বছরের নাগ পাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। প্রভাত সূর্যের রক্তাভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয় ‘জয়বাংলা’ বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল।

    যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২০ উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে,। তবে কোভিড -১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

    দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ সমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করেছেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্র সমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এ উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।

    এছাড়াও বিজয় দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াালি ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

    মহামুক্তির আনন্দ ঘোর এই দিনে এক নতুন উল্লাস জাতিকে প্রাণ সঞ্চার করে সজিবতা এনে দেয়। যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালি চোখে আনন্দ অশ্রু আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে। বিন্দু বিন্দু স্বপ্নের অবশেষে মিলিত হয় জীবনের মোহনায়। বিশ্ব কবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপের তাহার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ। বাঙালি যেন খুঁজে পায় তার আপন সত্তাকে।

    আদি বাঙালির সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক জীবন এবং ক্রমবিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে বাঙালির শীর্য-বীর্য যেন আর একবার ধপ করে জ্বলে উঠে। প্রথম আগুন জ্বলে ৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি। ফাগুণের আগুনে ভাষা আন্দোলনের দাবি আর উন্মাতাল গণমানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাত একাকার হয়ে যায় সেদিন। ভাষার জন্য প্রথম বলীদান বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করে। সেই থেকে শুরু হয়ে যায় বাঙালির শেকল ভাঙার লড়াই। পাকিস্তানিদের সাথে হিসেব-নিকেশের হালখাতার শুরুতেই রক্তের আঁচড় দিয়ে বাঙালি শুরু করে তার অস্তিত্বের লড়াই। পলাশীর আআম্রকাননে হারিয়ে যাওয়া সেই সিরাজদ্দৌলা আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রূপে এ লড়াইয়ে সেনাপতি হিসেবে আবির্ভূত হন। ’৫২ সালে যে আগুন জ্বলেছিল রাজধানী ঢাকা শহরে সে আগুন যেন ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের আনাচে-কানাচে সবখানে। রবীন্দ্র নাথের গানেরমত ‘যে আগুন জ্বলেছিল মোর প্রাণে, সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে সবখানে সবখানে।

    বাষট্টি, ঊনসত্তর এবং সত্তর শেষ করে একাত্তরে বাঙালি জাতি হিসাব করতে বসে। হিসেব-নিকেশ আর দেনা-পাওনায় পাকিস্তানিরাও বসে নেই। তারাও অংক কষতে থাকে কিভাবে বাঙালি জাতিকে যুগ যুগ ধরে পরাধীনতার শেকল পরিয়ে রাখা যায়। তাদের কাছে এই অলংকারই বাঙালির শ্রেষ্ঠ প্রাপ্য। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দ জানিয়ে যায় সময় আসছে হিসেব নিকেশ চুকিয়ে দেয়ার পালা।

    অবশেষে গভীর কালো নিকষ আঁধার থেকে জেগে উঠে হিরন্ময় হাতিয়ার। ৭ মার্চ একাত্তরের বিশাল জনসমুদ্র থেকে এক যুগের কবি, মহাকাব্যের প্রণেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠ ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি তখন আরো দেব, তবুও এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।’

    এই একটি মাত্র উচ্চারণে যেন বাঙালি সত্যিকার দিক-নির্দেশনা পেয়ে যায়। চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালি। বাঙালি বুঝে যায় শেষ কামড় দেয়ার সময় আসন্ন। পাকিস্তানিরাও আর বসে নেই। পুরো জাতিকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে মারাত্মক মারণাস্ত্র নিয়ে ২৫ মার্চ একাত্তর ঘুমন্ত জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় বাঙালি নিধন যজ্ঞ। বাতাসে লাশের গন্ধ বারুদে বারুদে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশ। এ যেন এক প্রেতপুরী। আকাশে শকুনের উদ্যত থাবা, নিচে বিপন্ন মানুষের বিলাপ। হায় বাংলাদেশ।একি বাংলাদেশ। এ যেন এক জ্বলন্ত শশ্মান। কিন্তু ঠিকই হাড়ের খুলী একদিন পাললিক হয়।

    মুক্তি পাগল বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার রক্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনবে বলে একদিন অস্ত্র কাঁধে তুলে নেয়। ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার সবাই শরিক হয়ে থাকে এ লড়াইয়ে। যতই দিন অতিবাহিত হতে থাকে আরো শাণিত হয় প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র। লক্ষ্য স্থির রেখে শত্রু হননে দৃঢ়তায় এগিয়ে যায় বীর বাঙালি। ইতোমধ্যেই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন স্পষ্ট হয়ে উঠে। প্রতিবেশী ভারতও জড়িয়ে পড়ে বাঙালির ভাগ্য যুদ্ধে। ডিসেম্বর শেষ পর্যায়ে এসে চূড়ান্ত রূপ নেয় এই যুদ্ধের।

    অবশেষে ন’মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। এ বিজয়ের মধ্যে এলো হাজার বছরের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সূচিত হলো মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত আর লাখ লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বিজয়ের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে।

  • প্রবাসী রাঙ্গুনিয়া সমিতির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস পালিত

    প্রবাসী রাঙ্গুনিয়া সমিতির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস পালিত

    ওবায়দুল হক মানিক, আরব আমিরাত থেকে : বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে এক একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একত্রিত হওয়ার সুযোগ হয়ে থাকে। তাই গত ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুবাই মুশরিফ পার্কে প্রবাসী রাঙ্গুনিয়া সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত আনন্দ মিলনমেলা অনুষ্ঠানটি ছিল সম্পূর্ণ রুপে ব্যতিক্রম।

    এটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হওয়ায় দুবাই, সারজা,আজমান,আবুধাবি সহ প্রতিটি প্রদেশ থেকে স্বপরিবারে প্রায় ৪ ‘শ প্রবাসী রাঙ্গুনিয়াবাসীর উপস্থিতি ছিল অবাক করার মতো। পরিণত হয় অপূর্ব এক মিলনমেলায়। এই যেন মরুর বুকে ছোট্ট এক টুকরো বাংলাদেশ।

    দেশের ভালোবাসায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রবাসী রাঙ্গুনিয়াবাসীদের একত্রিত করার লক্ষে এবং প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজম্মকে দেশের সংস্কৃতি ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়া ও উৎসাহিত করতে এই অনুষ্ঠানটি ছিল অত্যন্ত চমৎকার।

    সারাদিনের এই অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল ছোট ছেলেমেয়েদের দৌড় প্রতিযোগিতা, বড়দের বল নিক্ষেপ এবং মহিলাদের বালিশ খেলাসহ বাংলা সংস্কৃতি ঐতিহ্যের নানারকম খেলাধুলা এবং আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ।

    অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় নাছির উদ্দীন বাবরের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার ও সোহরাব হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনীয়ার কৃতি সন্তান, দুবাইর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দানবীর আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন মদিনা।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন দুবাই বঙ্গমাতা পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক ইকবাল বকুল, প্রকৌশলী আবু নাসের, ইউএই প্রবাসী সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, মাওলানা গোলাম নবী, প্রবাসী সাংবাদিক সমিতির সিনি: সহ-সভাপতি নাছিম উদ্দিন আকাশ, কবি ওবায়দুল হক, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আমিন, সাংবাদিক ওবায়দুল হক মানিক, আজিমুল গনি, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ওসমান গণি, ফয়েজ আহমেদ, হুমায়ুন আহমেদ, রিয়াজুল করিম রানা,আবু বক্কর, মোহাম্মদ আরিফ, মোহাম্মদ আরিফ ইসলাম, রহিম উদ্দিন, চৌধুরী বোরহান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মোহাম্মদ ইসহাক, মোহাম্মদ পারভেজ আরজাদ, মোহাম্মদ আজাদ, মোহাম্মদ ফারুক,শাহা আালম, মেহাম্মদ রাশেদ, মোহাম্মদ জয়নাল সহ নেতৃবৃন্দ। অনুষ্টান শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

  • দুবাইয়ে বাংলাদেশ বিজনেজ কাউন্সিল উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস পালিত

    দুবাইয়ে বাংলাদেশ বিজনেজ কাউন্সিল উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস পালিত

    ওবায়দুল হক মানিক, আরব আমিরাতঃ যথাযথ মর্যাদায় গৌরব, প্রাণের স্পন্দন, সকলের প্রাণ প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ বিজনেজ কাউন্সিল দুবাইয়ের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনস্যাল জেনালের ইকবাল হোসাইন খান।

    বিজনেজ কাউন্সিলের সিনিয়ার সহ-সভাপতি আয়উব আলী বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ সাইফুদ্দিন আহম্মেদ।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারবর্গ, ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদ, চার নেতাসহ সকলের জন্য দাড়িয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।

    বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ, আর ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ গড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে সুখী, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

    মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন দুবাই কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কামরুল হাসান, বিজনেজ কাউন্সিলের সহ-সভাপতি মোঃ রাজা মল্লিক, মাহবুবুল আলম মানিক সি, আই, পি, আবুল কালাম সি, আই, পি, মোঃ দেলোয়ার আহম্মেদ, হাজী মোঃ কামাল, মোঃ জাকির হোসেন, মোজাহের উল্লাহ মিয়া, মোঃ ইয়াকুব সৈনিক, মোঃ জাকির, মোঃ আবু সালেহ আহম্মেদ, শিমুল মোস্তফা সহ সংগঠনের নেতৃ বৃন্দ ও কমিউনিটির নেতৃ বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। পরে এক নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়।

  • আনোয়ারায় নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ৪৮ তম মহান বিজয় দিবস পালিত

    আনোয়ারায় নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ৪৮ তম মহান বিজয় দিবস পালিত

    মোঃজাবেদুল ইসলাম,আনোয়ারা প্রতিনিধি:::নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে আনোয়ারায় মহান বিজয় দিবস-১৯ পালিত হয়েছে।

    এ উপলক্ষে আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আনোয়ারা,আনোয়ারা প্রেসক্লাবসহ রাজনৈতিক এবং উপজেলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো দিন জুড়ে নানা কর্মসূচী পালন করেছে।

    এই সব কর্মসূচীর মধ্যে ছিল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সৃতিসৌধে পুস্প অর্পন, এর পর সকাল ৮টায় আনোয়ারা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগীতা,ডিসপ্লে ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন।

    প্যারেড অনুষ্ঠানে সশস্ত্র সালাম গ্রহন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের সূরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি।

    এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাঙ্গালী জাতি বীরের জাতি,আমরা পরাজিত হয়নি কোন সময়। ১৪ ডিসেম্বরের কথা স্বরণ করে বলেন বিজয়ের সূচনা লগ্নে ৭১ এ পাক হানাদার বাহিনীরা চেয়েছিল এই জাতিকে ধ্বংস করে দিতে,মেধাশূন্য করে দিতে কিন্তু আজকের দিনের এই ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমে এই দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি স্বাধীন পতকা পেয়েছে,একটি স্বাধীন ভূখন্ড পেয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে আমরা আত্ব মর্যাদাশীল জাতি, আমরা উন্নত জাতি হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতা বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এই স্বাধীনতা বিরোধীরা কখনো এই দেশ কে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাননি তাই তারা বার বার গনতন্ত্রের উপর আঘাত করেছে।

    তিনি প্রধানমন্ত্রীর কথা স্বরণ করে বলেন, আজকে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে স্বল্পন্নোত দেশ থেকে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের সারিতে। আমরা যদি একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চাই এবং উন্নয়নের ধারাবাহিতা ধরে রাখতে চাই তাহলে সবার কাছে আহ্বান এই দেশ আমাদের এই দেশ কে যদি এগিয়ে নিতে চাই কারো একার পক্ষে সম্ভব নয় তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দল মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবধ্ব হয়ে কাজ করতে হবে।

    উপজেলা বিজয় দিবস উদযাপন কমটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদের সভাপতিত্বে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশিষ আর্য্যের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাবু মৃণাল কান্তি ধর,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার সাইদুজ্জামান,আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)দুলাল মাহমুদসহ সরকারি কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধারা। আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের এক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

    এই সব কর্মসূচী ছাড়াও আওয়ামিলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক ও স্বাংস্কৃতিক সংগঠন এবং স্কুল প্রতিষ্ঠানগুলো বিজয় দিবসের উপর আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা, গরীব ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচী পালন করেছে।

  • সরকার একদলীয়শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন করার জন্যগণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে ফেলছে

    সরকার একদলীয়শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন করার জন্যগণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে ফেলছে

    রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য হাসিলের স্বার্থে সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের তালিকা তৈরি ও প্রকাশ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দাবি তো একটাই- সুষ্ঠু তালিকা নির্ধারণ করা ও প্রকৃতভাবে সেটা নির্ধারণ করা। আর সেটা পারে একমাত্র শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি। বিএনপিই পারে মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকারদের সঠিক তালিকা তৈরি করতে।’

    সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার তার নিজের রাজনৈতিক প্রয়োজনে হীন উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন তালিকা তৈরি করেছে। বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এসমস্ত তালিকা প্রকাশ করছে সরকার। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার না করে স্বাধীনতার এতদিন পরে, দীর্ঘ ৪৯ বছর পরে রাজাকারের তালিকা তৈরি কতটুকু সঠিক হয়েছে কিংবা আদৌ হবে কিনা- সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করছি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি এবং স্বাধীনতাযুদ্ধে যে সমস্ত শহীদরা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের প্রতি। আমরা আরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে, যাকে অন্যায়ভাবে এই সরকার কারাবন্দি করে রেখেছে। তিনি ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছেন এবং নির্যাতিত হয়েছেন।’

    ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধ আমরা করেছিলাম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য। আজকে ৪৯ বছর পরে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, আমাদের সেই চেতনাগুলোকে হরণ করা হয়েছে, ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষের স্বপ্নগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়, জোর করে ক্ষমতায় এসেছে এই সরকার। তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন করার জন্য সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে ফেলছে।’

    তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা শপথ নিয়েছি, আমরা জনগণকে সংগঠিত করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো এবং গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবো।’

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলের বিভিন্ন স্তরের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।