Tag: মহান বিজয় দিবস

  • মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে আনোয়ারা প্রেসক্লাবের আহ্বান

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে আনোয়ারা প্রেসক্লাবের আহ্বান

    আনোয়ারা প্রতিনিধি : প্রতি বছরই আসে ১৬ ডিসেম্বর, আসে বিজয়ের দিন। রাত১২টা হতে আবারও ‘বিজয় কেতন উড়ল’ দেশজুড়ে।

    বিজয়ের রঙে রাঙিয়ে দেশব্যাপী উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে ৪৮তম মহান বিজয় দিবস।

    ৩০ লাখ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার নতুন করে বজ্রকঠিন শপথ নিয়েছে বীর বাঙালি, শিশু-কিশোর, তরুণ-যুবকের কণ্ঠে-গানে গানে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়েছে ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়।

    এই মহান দিনটিকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে পুষ্পপ্রদান করেছেন আনোয়ারা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ।

    পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায় প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ।

    একইসঙ্গে ৩০ লক্ষাধিক শহীদের আত্মত্যাগ এবং সাংবাদিকসহ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জন্য মহান রবের কাছে র্সবোচ্চ র্মযাদা কামনা করনে।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি জিএসএস টোয়েন্টিফোর ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক আব্দুরনূর চৈধূরী, আনোয়ারা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি মু: রফিকুল ইসলাম, আনোয়ারা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ ও
    দৈনিক আমাদের চট্টগ্রাম পত্রিকার প্রতিনিধি এস,এম,সালাহ্উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি মু:বদরুল হক, প্রেসক্লাবের সদস্য দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি মুহাম্মদ ফরহাদুল ইসলাম, দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার প্রতিনিধি মুহাম্মদ জাবেদুল ইসলাম প্রমুখ।

  • পটিয়ায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ

    পটিয়ায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ

    পটিয়া প্রতিনিধিঃ ”মহান বিজয় দিবস-২০১৯” উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান,উপজেলা পরিষদ এর পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়া বিভিন্ন রাজনীতিক দলগুলো সকাল থেকে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    পরে পটিয়া আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সালাম গ্রহণ মঞ্চ সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান সকাল থেকে চলতে দেখা গেছে।

  • সীতাকুণ্ডে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উৎযাপন

    সীতাকুণ্ডে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উৎযাপন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে প্রতিবারের মত এবারও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ২০১৯ উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে। সকাল ৬ টায় উপজেলা চত্বরে শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

    সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলম শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন, এছাড়া উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন, নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুল হক পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

    এরপর সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব, উপজেলা আওয়ামীলীগ, উপজেলা বিএনপি, মডেল থানা, বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনীতিক, সামাজিক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান।

    সকাল ৮টার সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন ।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়ের সভাপতিত্বে কুচকাওয়াজ ও দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুল হক, সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ আলম মোল্লা, ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ, সুমন বনিক (ইন্টেলিজেন্ট), উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলিম উল্লাহ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মামুন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নুরুচ্ছাপা, আনসার ভিডিবি অফিসার মোঃ আমির হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহ্ আলম প্রমূখ।

    সীতাকুণ্ড সরকারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত প্যারেড পরিদর্শন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ গ্রহণে ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়, এছাড়া বিভিন্ন খেলাধুলা, যেমন খুশি তেমন সাজো প্রদর্শন করা হয়। এদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

    বেলা ১২টার দিকে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্বর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম আল মামুন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সাবেরী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাহবুবুল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জয়নব বিবি জলি, পৌর মেয়র আলহাজ্ব বদিউল আলম, জেলা পরিষদ সদস্য আ.ম. দিলসাদ, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার আলিমুল্লাহ , ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লাসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

  • শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    মহান বিজয় দিবসে ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

    বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুন সুর। তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল গার্ড অব অনার দেন। এ সময় এক মিনিট নিরবতা পালন করে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

    মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে পুনরায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

    শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ সন্তানরা। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

  • আজ মহান বিজয় দিবস

    আজ মহান বিজয় দিবস

    আজ মহান বিজয় দিবস। এ দিনটি হচ্ছে বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিবস। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেয়ার দিন।

    জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃতে নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

    আজ কৃতজ্ঞ জাতি সশ্রদ্ধ বেদনায় স্মরণ করবে দেশের পরাধীনতার গ্লানি মোচনে প্রাণ উৎসর্গ করা বীর সন্তানদের। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নামবে। শ্রদ্ধার সাথে তারা শহীদের উদ্দেশে নিবেদন করবেন পুষ্পাঞ্জলি। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সব প্রান্তের মানুষ অংশ নেবে বিজয় দিবসে। বঙ্গবন্ধুর বজ্র নিনাদ ভাষণ আর মুক্তিযুদ্ধের সময়ের জাগরণী গানে আকাশ-বাতাস হবে মুখরিত।

    যে অস্ত্র দিয়ে বর্বর পাকবাহিনী দীর্ঘ নয় মাস ত্রিশ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছে, দু’লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছে সেই অস্ত্র পায়ের কাছে নামিয়ে রেখে এক রাশ হতাশা এবং অপমানের গ্লানি নিয়ে লড়াকু বাঙালির কাছে পরাজয় মেনে নেয় তারা। সেই থেকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালিত হয়ে আসছে।

    বিজয়ের ৪৮ বছর পেরিয়ে এবার ৪৯তম বিজয় দিবস। এবারের বিজয় দিবস এসেছে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে। আগামী ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং এর পরের বছর ২০২১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের সুবণর্ জয়ন্তী পালন করবে বাংলাদেশ।

    মহান বিজয় দিবসে ঊপলক্ষে পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে।

    সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

    বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত সদস্যগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

    এদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরস্থ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমভিত্তিক যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন । প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

    বিজয় দিবস সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় করা হবে আলোকসজ্জা। হাসপাতাল, কারাগার ও এতিমখানাগুলোতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। সংবাদপত্র বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে, বেতার ও টিভি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।

    এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক -সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করেছে। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম- মুক্তিযুদ্ধ’৭১ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে‘ শিখা চিরন্তন ’ বেদি সংলগ্ন ‘স্বাধীনতা চত্বরে বিস্তারিত অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করেছে। এর আগে সকাল ৮ টায় ফোরাম নেতৃবৃন্দ সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

    আওয়ামী লীগের দুইদিনক্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন এবং বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

    এছাড়াও সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন ১৭ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভ অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

    ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এদিন বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। ২৪ বছরের নাগ পাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। প্রভাত সূর্যের রক্তাভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয় ‘জয়বাংলা’ বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল।

    আদি বাঙালির সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক জীবন এবং ক্রমবিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে বাঙালির শৌর্যবীর্য যেন আর একবার ধপ করে জ্বলে উঠে। প্রথম আগুন জ্বলে ৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি। ফাগুনের আগুনে ভাষা আন্দোলনের দাবি আর উন্মাতাল গণমানুষেল মুষ্টিবদ্ধ হাত একাকার হয়ে যায় সেদিন। ভাষার জন্য প্রথম বলীদান বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করে। সেই থেকে শুরু হয়ে যায় বাঙালির শেকল ভাঙার লড়াই।

    পাকিস্তানিদের সাথে হিসেব-নিকেশের হালখাতার শুরুতেই রক্তের আঁচড় দিয়ে বাঙালি শুরু করে তার অস্তিত্বের লড়াই। পলাশীর আম্রকাননে হারিয়ে যাওয়া সেই সিরাজদ্দৌলা আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রূপে এ লড়াইয়ে সেনাপতি হিসেবে আবির্ভূত হন। ’৫২ সালে যে আগুন জ্বলেছিল রাজধানী ঢাকা শহরে সে আগুন যেন ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের আনাচে-কানাচে সবখানে। যে আগুন জ্বলেছিল মোর প্রাণে, সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে সবখানে সবখানে। বাঙালির বুকের ভেতর জ্বলে উঠা আগুন যেন সহস্র বাঙালির মধ্যে প্রবাহিত হতে থাকে।

    বাষট্টি, ঊনসত্তর এবং ’৭০ শেষ করে একাত্তরে বাঙালি জাতি হিসাব করতে বসে। হিসেব-নিকেশ আর দেনা-পাওনায় পাকিস্তানীরাও বসে নেই। তারাও অংক কষতে থাকে কিভাবে বাঙালি জাতিকে যুগ যুগ ধরে পরাধীনতার শেকল পরিয়ে রাখা যায়। তাদের কাছে এই অলংকারই বাঙালির শ্রেষ্ঠ প্রাপ্য। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দ জানিয়ে যায় সময় আসছে হিসেব নিকেশ চুকিয়ে দেয়ার পালা।

    অবশেষে গভীর কালো নিকষ আঁধার থেকে জেগে উঠে হিরন্ময় হাতিয়ার। সাত মার্চ একাত্তরের বিশাল জনসমুদ্র থেকে এক যুগের কবি, মহাকাব্যের প্রণেতা বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠ ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি তখন আরো দেব, তবুও এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।’ এই একটি মাত্র উচ্চারণে যেন বাঙালি সত্যিকার দিক-নির্দেশনা পেয়ে যায়। চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালি। বাঙালি বুঝে যায় শেষ কামড় দেয়ার সময় আসন্ন।

    পাকিস্তানীরাও আর বসে নেই। পুরো জাতিকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে মারাত্মক মারণাস্ত্র নিয়ে ২৫ মার্চ একাত্তর ঘুমন্ত জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় বাঙালি নিধন যজ্ঞ। বাতাসে লাশে গন্ধ বারুদে বারুদে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশ। এ যেন এক প্রেতপুরী। আকাশে শকুনের উদ্যত থাবা, নিচে বিপন্ন মানুষের বিলাপ। হায় বাংলাদেশ। একি বাংলাদেশ। এ যেন এক জ্বলন্ত শশ্মান। কিন্তু ঠিকই হাড়ের খুলীরা একদিন পাললিক হয়।

    মুক্তি পাগল বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার রক্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনবে বলে একদিন অস্ত্র কাঁধে তুলে নেয়। ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, কামার কুমার সবাই শরিক হয়ে থাকে এ লড়াইয়ে। যতই দিন অতিবাহিত হতে থাকে আরো শাণিত হয় প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র। লক্ষ্য স্থির রেখে শত্রু হননে দৃঢ়তায় এগিয়ে যায় বীর বাঙালি।

    ইতোমধ্যেই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন স্পষ্ট হয়ে উঠে। প্রতিবেশী ভারতও জড়িয়ে পড়ে বাঙালির ভাগ্য যুদ্ধে। ডিসেম্বর শেষ পর্যায়ে এসে চূড়ান্ত রূপ নেয় এই যুদ্ধের।

    অবশেষে ন’মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। এলো হাজার বছরের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সূচিত হলো মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত আর লাখ লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে।

  • রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র আজ নিরুদ্দেশ:শাহাদাত

    রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র আজ নিরুদ্দেশ:শাহাদাত

    রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র আজ নিরুদ্দেশ
    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এদেশের গণতন্ত্র আজ নিরুদ্দেশ। ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য ৪৯ বছর পরও লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরে পেতে ১১ বছর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।

    তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে শুরু হয় চূড়ান্ত স্বাধীনতার যুদ্ধ। ২৫ মার্চ জাতি যখন দিক নির্দেশনাহীন ঠিক তখনই দিশেহারা জাতিকে মুক্তি দিতে জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব ঘটে। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। আওয়ামীলীগ সরকার কুটকৌশলে হরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র।

    তিনি আজ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও দেশে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র নেই। যে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি আজকে সেই বাংলাদেশকে দেখছি না। সেই দেশ ঘৃণ্য এক দেশ হয়ে গেছে, স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেছে। হারানো গণতন্ত্র ফেরানোর লক্ষ্যে অপশক্তিকে পরাজিত করার শপথ নিতে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানে না। ক্ষমতাসীনেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে গোটা জাতিকে বিকৃত ইতিহাস দিচ্ছেন। বর্তমানে দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনীতি নেই, আছে দলনীতি। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে এর পরিপন্থী কাজ করে। স্বাধীনতার চেতনা কি একদলীয় শাসন? গণতন্ত্র ফিরে আসার পথ কেউ রোধ করতে পারবে না। একদলীয় নীতি বেশি দিন চলবে না। সব রাজনৈতিক দল-মত-শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম’র পরিচালনায় বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় অংশ নেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম মনজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদকবৃন্দ হাজী নুরুল আকতার, ফাতেমা বাদশা, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, আবদুল নবী প্রিন্স, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, মো. ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো. শাহজাহান, জেলী চৌধুরী, আজাদ বাঙালী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আরিফ মেহেদী, আবু মুসা, শফিক আহমদ, আবুল খায়ের মেম্বার, এড. সেলিম উদ্দিন শাহীন, আলী আজম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, রেজিয়া বেগম মুন্নি, শাহেদা বেগম, তাহের আহমদ, হাজী নুরুল হক, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, জমির আহমেদ, আবদুল্লা আল ছগির, আলাউদ্দিন আলী নূর, রাসেল পারভেজ সুজন, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, জাহিদ উল্লাহ রাশেদ, হাসান ওসমান চৌধরী, সিরাজুল ইসলাম মুনসি প্রমুখ।

  • মহান বিজয়ের মাস শুরু

    মহান বিজয়ের মাস শুরু

    আজ থেকে শুরু হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ত্রিশ লাখ শহীদ আর দু’লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সাক্ষর এবারের বিজয়ের মাস বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালিত হবে।

    বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ট্রতম ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক,ও অর্থনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরন হয় এ মাসে।

    বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়। স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূ-খন্ড। আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয়ের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে।

    বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হবার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই অর্জন হওয়ায় বেদনাবিঁধূর এক শোকগাঁথার মাসও এই ডিসেম্বর।
    এ মাসেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর আল শামসদের সহযোগিতায় দেশের মেধা, শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেয়ার এধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোন নজীর বিশ্বে নেই।

    ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর জল,স্থল আর আকাশপথে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর চারদিক থেকে ভেসে আসতে থাকে।

    এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। যেখান থেকে ৭ মার্চ স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,’ বলে স্বাধীনতার ডাক দেন, সেখানেই পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজী। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আর জাতি অর্জন করে হাজার বছরের স্বপ্নের স্বাধীনতা।

    ’৭১ এর ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানী জল্লাদ বাহিনী নিরস্ত্র জনগণের উপর অতর্কিতে সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর এক অসম যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হবার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৫ মার্চ রাতেই রাজারবাগ পুলিশ লাইনে সশস্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

    দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র জনযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

    মহান এ বিজয়ের মাস উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
    মহান বিজয় দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে মাসব্যাপি কর্মসূচির উদ্বোধন ও আলোচনা সভা আজ সকাল ১০ টায় পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

    পদক্ষেপ বাংলাদেশ- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্ত্বরে জাতীয় সংগঠন ও শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

    আজ সকাল ৭টায়- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্ত্বরে অনুষ্ঠিতব্য এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাদল চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।

    আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও এফ এফ ফাউন্ডেশন এ উপলক্ষে পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আজ সকাল সাড়ে দশটায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সামনে থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয়ে শোভা যাত্রা বের করা হবে।