Tag: মহিউদ্দিন চৌধুরী

  • ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উচু করে দাড়ানোর শিক্ষাই দিয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী’

    ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উচু করে দাড়ানোর শিক্ষাই দিয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী’

    অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে মাথা উচু করে দাড়ানোর শিক্ষাই দিয়েছেন এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

    আজ ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে নগরীর ৩৮নং দক্ষিণ মধ্য হালিশহর ওয়ার্ডস্থ এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী স্মরণ সভা পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় বেগমজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপরোক্ত মন্তব্য করেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সহযোদ্ধা এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    স্মরণ সভা পরিষদের আহবায়ক অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সালাউদ্দিন মামুনের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সদস্য আফরোজা কালাম, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ ইলিয়াছ, ৩৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ হাসান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারী কারা পরিদর্শক আজিজুর রহমান আজিজ।

    এ সময় সুজন আরো বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন রাজনৈতিক মহীরুহ। যে কোন দূর্যোগে তিনি দল এবং চট্টগ্রাম বাসীর উপর ছায়ার মতো থাকতেন। ছোটবেলা থেকেই অসীম সাহসের অধিকারী মহিউদ্দিন চৌধুরী ছাত্র অবস্থা থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৭১ সালে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে লালদীঘির মাঠে জনসভার ডাক দেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মার্চেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন মহিউদ্দিন চৌধুরী। ধারাবাহিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে পাগলের অভিনয় করে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে পালিয়ে যান ভারতে। ভারতের উত্তর প্রদেশে প্রশিক্ষণ শেষে ‘মাউন্ট ব্যাটালিয়ন’র প্লাটুন কমান্ডার নিযুক্ত হন তিনি। পাহাড়ি এলাকায় তিনশ মুক্তিযোদ্ধার দলের নেতা হিসেবে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর মুসলিম হলে ক্যাম্প স্থাপন করে অসুস্থদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। নিজ হাতে দাফন করেন ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের যা হতবাক করেছে সারা দেশবাসীকে। এরপর ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রার্থী হয়েই বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি।

    ১৯৯৬ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি সরকারের পতন ঘটিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর নগরীর পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে মনোনিবেশ করেন সফল হন মহিউদ্দিন চৌধরী। সে সময় মহিউদ্দিন চৌধুরীর কর্মকান্ড দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। এভাবে সমাজের প্রতিটি স্তরে কাজ করে তিনি নন্দিত জননেতা হিসেবে সাধারণ মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান লাভ করেন। তাই তার মৃত্যু সমাজের নিপীড়িত নিস্পেষিত মানুষের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। সুজন নতুন প্রজন্মকে মহিউদ্দিন চৌধুরীর আদর্শ অনুসরণ করার আহবান জানান।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুছ, মোঃ এজাহার মিয়া, আব্দুল হাকিম মেম্বার, এস.এম আবু তাহের, হাজী মোঃ হোসেন, শের আলী সওদাগর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, হাফেজ মোঃ ওকার উদ্দিন, সরওয়ার জাহান চৌধুরী, হাজী নুরুল হুদা, নজরুল ইসলাম টিটু, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, এজাহারুল হক, সৈয়দ মুনির, মহানগর যুবলীগ নেতা সমীর মহাজন লিটন, হাসান মোঃ মুরাদ, সাইফুল ইসলাম, মোঃ জাবেদ, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ ওয়াসিম, নাজমুল হাসান, সাদ্দাম হোসেন চৌধুরী, মোঃ কাইয়ুম, সাদ্দাম হোসেন, জিসান জাফর, ইফতেখার ইসলাম প্রমূখ।

  • মহিউদ্দিন চৌধুরী নওফেলকে বলতেন-শেখ হাসিনার জন্য জীবনবাজি রাখতে হবে

    মহিউদ্দিন চৌধুরী নওফেলকে বলতেন-শেখ হাসিনার জন্য জীবনবাজি রাখতে হবে

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজীব,চট্টগ্রাম : সন্তান হিসেবে একটি কথা বলতেন সবসময়, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জন্য জীবনবাজি রাখতে হবে, তাকে ছাড়া এই বাংলাদেশ মুখথুবড়ে পড়বে, মনে প্রানে এটি বিশ্বাস করতেন চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

    নেত্রীও তাকে সেভাবেই দেখেছেন, মৃত্যুর পরে ছুটে এসেছিলেন। প্রতিনিয়ত তার চিকিৎসার খবর নিয়েছিলেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। জন্মিলে মরিতে হবে, এই চিরন্তন সত্যের কাছে তিনি আত্মসমর্পন করেন আত্মবিশ্বাসের সাথে।

    ঠিক এভাবেই নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দিয়ে সন্তান হিসেবে পিতার বলে যাওয়া কথাগুলো প্রকাশ করে প্রয়াত পিতাকে স্মরণ করলেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি আজ ১৫ ডিসেম্বর পিতার ২য় মৃত্যুবার্ষিকীর দিন রাত ৮ টা ১১ মিনিটে স্ট্যাটাসটি আপলোড করেন।

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজের পাঠকদের জন্য নওফেলের স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরে হলো।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল লিখেছেন :

    ধ্যানে জ্ঞানে, পিতা মুজিবকে তিনি লালন করতেন, চর্চা করতেন। আওয়ামী লীগ কে সংগঠিত করতে সারা দেশ চষে বেরিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে অস্ত্রধারী হয়েছিলেন। খুনী জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। প্রতিকূল পরিবেশে দূর্গম টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর কবর বাধিয়ে নিয়েছিলেন।

    শেষ বয়সে জীবন সায়াহ্নে নেতার স্মরণে টুঙ্গিপাড়ায় তীর্থতূল্য ভ্রমণ করেছিলেন প্রতি বছর। আজীবন সাধারন মানুষের স্বার্থে দল এবং প্রশাসনকে পরিচালিত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। কঠিন সময়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য বারবার জীবন ঝুঁকি নিয়েছেন, নেত্রীর প্রতি আনুগত্যের প্রশ্নে কখনও পিছপা হন নাই।নওফেলের স্ট্যাটাস

    শ্রমজীবি মানুষের জন্য, বঙ্গবন্ধু মুজিব যেই রাজনীতি করার নির্দেশনা দিয়ে গিয়েছিছেন সেটাই আমৃত্যু করে গেছেন। পরিবার হারিয়েছেন কিন্তু আপোষ করেন নাই, পরিবার পরিজন, কোনো কিছুর কথা ভেবে পিছপা কখনও হন নাই।

    একজন “মহিউদ্দিন চৌধুরী” সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার একজন সহকর্মী হিসেবে, সাধারন শ্রমজীবি মানুষের নেতা হিসেবে সমদৃত হয়েছেন সারা বাংলাদেশে।

    প্রিয় নেত্রীর নির্দেশে আন্দোলন সংগ্রামের সাথে সাথে পার্বত্য শান্তি চুক্তি, নগরপিতার দায়িত্ব, আবার লাশ ধোয়ানো, রোগীর দেখভাল, রাস্তা পরিস্কাত, করেননি এমন কোনো কাজ বাকি ছিলোনা। আর্থিক সমৃদ্ধি কখনো তার হয়ে উঠেনি, এটি তিনি গৌরবময় মনে করতেন।

    রাজনৈতিক জীবনের যবনিকাপাত ঘটিয়েছেন লালদীঘিতে বক্তব্য রেখে। জন্ম হয়েছিলো তার বিজয়ের মাসে, বিদায়ও সেই মাসেই সেই লালদীঘির ময়দানে জানাযার নামাজের মাধ্যমে। একটি জীবন্ত ইতিহাস ছিলেন, এখন প্রয়াত হয়ে মুজিব সেনাদের অনুপ্রেরণা জাগাবেন।

    “এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী”, নানান বিশেষণে ঢাকা এই নামটির মাঝে একজন অতি সাধারণ মানুষের সাদামাটা জীবন লুকিয়েছিলো, লক্ষ্য ছিলো তার আদর্শিক পিতার নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালনের চেষ্টা করার। কোনো চাওয়া পাওয়ার জীবন তার ছিলোনা।

    পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিতে শিয়ালদহ স্টেশনে সাধারণ শ্রমিকের জীবন থেকে, পতাকা উড়িয়ে জনপ্রতিনিধির জীবন সবই তিনি দেখেছিলেন। কিছু নিয়েই তার আক্ষেপ ছিলোনা। সন্তান হিসেবে একটি কথা বলতেন সবসময়, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জন্য জীবনবাজি রাখতে হবে, তাকে ছাড়া এই বাংলাদেশ মুখথুবড়ে পড়বে, মনে প্রানে এটি বিশ্বাস করতেন। তার নেত্রীও তাকে সেভাবেই দেখেছেন, মৃত্যুর পরে ছুটে এসেছিলেন।

    প্রতিনিয়ত তার চিকিৎসার খবর নিয়েছিলেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। জন্মিলে মরিতে হবে, এই চিরন্তন সত্যের কাছে তিনি আত্মসমর্পন করেন আত্মবিশ্বাসের সাথে।

    আমি আজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সকলের প্রতি, যারা চট্টলবীর “এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী’র” মৃত্যুবার্ষিকীতে তার বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া করেছেন, প্রার্থনা করেছেন, তাকে স্মরণ করেছেন। সারা দেশে তার অসংখ্য সহকর্মী এখনো বেচে আছেন, তাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

    এদের সকলের আত্মত্যাগ, বিসর্জন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে একটি রাজনৈতিক দল থেকে পরিনত করেছেন একটি অনুভুতিতে। বিজয়ের মাসে সেই অনুভুতি, যার নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আমাদের সকলকে অনুপ্রানিত করে। এই দল, এই দেশ, এই মুজিব পাগল মানুষগুলোর প্রতি চিরঋণী হয়ে থাকবে।

  • অত্যাচার অবিচার দূর্নীতির বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাড়ানোর শিক্ষাই দিয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী-সুজন

    অত্যাচার অবিচার দূর্নীতির বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাড়ানোর শিক্ষাই দিয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী-সুজন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজীব,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিচ্ছন্নতা এ তিনটা জিনিসের জন্য চট্টগ্রাম বাসী মহিউদ্দিন চৌধুরীকে কোনদিনও ভুলবে না।

    মহিউদ্দিন ভাই আমাদের শিখিয়ে গেছেন, চুরি বাটপারের বিরুদ্ধে মাথা নত না করে মাথা উচু করে রুখে দাড়ানোর জন্য। অত্যাচার অবিচার দূর্নীতির বিরুদ্ধে কিভাবে মাথা তুলে দাড়াতে হয় সেই শিক্ষাই দিয়ে গিয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।

    আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    আজ ১৫ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১১টায় কাজীর দেউড়ী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশনাল সেন্টারে প্রয়াত নেতার স্মরণ সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।

    নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু।

    স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য সুজন আরো বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর জনগণের রাজপথ থেকে উঠে এসেছেন। তিনি সোনার চামচ মুখে নিয়ে রাজনীতির সিংহাসনে বসেন নাই।দূর্নীতির বিরুদ্ধে খোরশেদ আলম সুজন

    সুজন বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রতিটি মুহুত্ব ছিলো মৃত্যু ঝুঁকি,প্রতিটি মুহুত্ব ছিলো তার কাছে এক একটা চ্যালেঞ্জ। সে মৃত্যুর ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার নীতি আর আদর্শের রাজনীতি করেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।

    মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র হওয়ার পর তার আরো একটি রুপ আমরা দেখেছি। একটি অচল পিছিয়ে পড়া শহরকে তিনি নিজ বাজেট দিয়ে করপোরেশনের অর্থ উপার্জন দিয়ে আলোকউজ্জল শহরে পরিণত করেছেন।

    স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর সন্তান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম।

    নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় মঞ্চে উপস্তিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, সহ-সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, অ্যডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

    এছাড়াও চট্টগ্রাম নগর,উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা স্মরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

  • প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর নীতি আদর্শের রাজনীতি হৃদয়ে ধারণ করবো-আ জ ম নাছির

    প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর নীতি আদর্শের রাজনীতি হৃদয়ে ধারণ করবো-আ জ ম নাছির

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজীব,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে শিক্ষা, যে দীক্ষার বীজ বোপন করেছেন সে শিক্ষা দীক্ষাকে বুকে ধারণ করে আমৃত্যু রাজনীতি করেছেন প্রয়াত নেতা এ বিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

    মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে শুধু শ্লোগান নয়, নাম উচ্চাররণ নয়, প্রযাত নেতা মহিউদ্দিনকে হৃদয়ে এবং অন্তরে ধারণ করবো। প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী যেভাবে রাজনীতি করেছেন, আমি অনুরোধ করবো আপনার প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হোন।

    আমরা যতদিন বেঁচে থাকবো প্রয়াত নেতার আদর্শকে ধারণ করে প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা এবং লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম সংগঠক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরপর তিনবারের নির্বাচিত জনপ্রিয় সফল মেয়র এবং মৃত্যুর পূর্ব মুহুত্ব পর্যন্ত নগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

    আজ ১৫ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১১টায় কাজীর দেউড়ী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশনাল সেন্টারে প্রয়াত নেতার স্মরণ সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু।

    স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আ জ ম নাছির উদ্দিন আরো বলেন, মানুষের কল্যাণ সাধন করার নাম হলো রাজনীতি। বাঙ্গালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা প্রাণপ্রিয় নেত্রীর যে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, অকুতভয় সাহসীকতার সাথে আকস্মিকভাবে কারো সাথে কোন ছল না করে কোন পাল্লা না দিয়ে যেভাবে দেশকে পরিচালনা করে চলেছেন এবং যেভাবে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তণ করেছেন, যেভাবে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তার সুফল আজ দেশের মানুষ আমরা পাচ্ছি।

    তিনি বলেন, আগে গরিব দেশ ছিলো এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। আগামী এক দেড় বছরের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমরা যারা আওয়ামী পরিবারে সদস্য আছি আমাদের সবাইকে প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর মত বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শ ধারণ করার অঙ্গিকার করার জন্য সকল নেতৃবৃন্দকে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি।

    স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর সন্তান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম।

    নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় মঞ্চে উপস্তিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, সহ-সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, অ্যডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

    এছাড়াও চট্টগ্রাম নগর,উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা স্মরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

  • কাল চট্টগ্রামের বর্ষিয়ান নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী : নগর আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

    কাল চট্টগ্রামের বর্ষিয়ান নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী : নগর আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আগামিকাল ১৫ ডিসেম্বর রবিবার।

    চট্টলবীর খ্যাত চট্টগ্রামের মাটি ও গণমানুষের প্রিয় জননেতা আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।

    কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রবিবার সকাল ৯টায় চশমা হিলস্থ মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারত, সকাল ১১টায় কাজীর দেইড়ীস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেশনাল সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি। সভাপতিত্ব করবেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।

    এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের সকল কর্মকর্তা, সদস্যবৃন্দ, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ সহযোগি সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন অনুরোধ জানিয়েছেন।

    গত ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন চট্টগ্রামের ১৭ বছরের মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি একাধারে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সফল সভাপতি।

    ১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা গ্রামের বক্স আলী চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। ছাত্র অবস্থাতেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। স্বাধীনতার পর থেকে মৃত্যু অবধি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন তিনি।

    ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালের তিনি তৃতীয়বারের মতো মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। একাধারে তিনি ১৭ বছর চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগ, কিডনি জটিলতাসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রামের মেহেদিবাগের বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যান।

  • সিংহপুরুষ মাঈনুদ্দিন খান বাদল, বেঁচে থাকবেন হৃদয়ের মনিকোঠায়-নওফেল

    সিংহপুরুষ মাঈনুদ্দিন খান বাদল, বেঁচে থাকবেন হৃদয়ের মনিকোঠায়-নওফেল

    রাজীব সেন প্রিন্স : 
    মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও পার্লামেন্টারিয়ান মঈনউদ্দিন খান বাদল আর নেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরো একজন বিরল প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ কে হারালো, এ এক অপূরনীয় ক্ষতি। জাতীয় সংসদ আর জাতীয় রাজনীতি, হয়তোবা এই সিংহের গর্জন আর শুনবেনা, কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ, আদর্শিক রাজনীতির এই সিংহ পুরুষকে আজীবন স্মরণ করবেন। বেঁচে থাকবেন আমাদের প্রিয় মাঈনুদ্দিন খান বাদল, আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায়।

    প্রয়াত পিতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সাংসদ মাঈনুদ্দিন খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ঠিক এভাবেই নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ও মহিউদ্দিনপুত্র ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার ১০টা ৫৭ মিনিটে তার ভেরিফাইড ফেসবুক ফেইজে আবেগঘন এক স্ট্যাটাসে এসব কথা উল্লেখ করেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের স্টাটাসটি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজের পাঠকের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো।

    মাঈনুদ্দিন খান বাদল। বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় নেতা, অনলবর্ষী বক্তা, সংসদ সদস্য, বীর চট্টলার গৌরব, আরো অনেক কিছুতেই তাকে সম্বোধন করা যায়। না ফেরার দেশে তিনি আজ থেকে থাকবেন। ইন্না-লিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন। মনে হচ্ছে যেনো আবারো পিতৃহারা হলাম।

    দুবছর আগে হঠাৎ স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়েছিলেন যখন, তখন তার বন্ধু মহিউদ্দিন চৌধুরীও গুরুতর ভাবে অসুস্থ, হাসপাতালে। খুব আফসোস করতেন বন্ধুকে দেখে যেতে পারেননাই। অশ্রু সজল নয়নে স্মরণ করতেন। আজ থেকে আমরা তাকে স্মরণ করবো।

    চট্টগ্রামের স্বার্থে, মুক্তিযুদ্ধের স্বার্থে, দেশের সাধারন মানুষের স্বার্থে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে কোথায় ছিলোনা তার গর্জন? প্রথম তার সাথে আমার পরিচয় শৈশবে। এরশাদের দোর্দণ্ড শাসনের সময়। তৎকালীন পিজি হাসপাতাল, আজকের বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের রাজবন্দীদের কক্ষে। আমার বাবা মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রিজন সেলের সহবন্দী ছিলেন। এরশাদের সাথে আপস করে মন্ত্রী হতে পারতেন, কিন্তু বেছে নিয়েছিলেন বন্দী জীবন।

    আমাকে সমাজতন্ত্র শেখাতেন, দেখতেও ছিলেন স্টালিনের মত, ইম্পোজিং ব্যক্তিত্ব। আমার বাবার সাথে হাস্যরস আর গভীর রাজনৈতিক আলোচনায় মগ্ন থাকতেন। মন্ত্রমুগ্ধের মত তার কাছ থেকে শুনতাম। পরবর্তীতে যখনই দেখা হতো, প্রতিবার তার কাছ থেকে শিখেছি।

    রাজনৈতিক আলোচনা যে শুধুই পদবির আর ক্ষমতার রাজনীতি নয় এবং রাষ্ট্রনীতি, আদর্শ, উন্নয়ন, এসবই হচ্ছে রাজনীতির মূল আলোচনা, বারবার তার সান্নিধ্যে এসে তা অনুভব করেছি এবং অনুপ্রাণিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে, তার সুযোগ্যা কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং নেতৃত্বের প্রশ্নে, সেই শৈশব থেকে দেখেছি অবিচল দৃঢ়তার সাথে তাকে বলতে।

    তিনি আর আমাদের মাঝে নাই। বাংলাদেশের রাজনীতি আরো একজন বিরল প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ কে হারালো, এক অপূরনীয় ক্ষতি। জাতীয় সংসদ আর জাতীয় রাজনীতি, হয়তোবা এই সিংহের গর্জন আর শুনবেনা, কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ, আদর্শিক রাজনীতির এই সিংহ পুরুষকে আজীবন স্মরণ করবেন। বেঁচে থাকবেন আমাদের প্রিয় মাঈনুদ্দিন খান বাদল, আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায়।

    নওফেল তার স্ট্যাটাসে প্রয়াত পিতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে মাইনুদ্দিন খান বাদলের অপর একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, খালেদা সরকার যখন তার বাল্যবন্ধুকে দেয়া চট্টগ্রামের মানুষের ঐতিহাসিক জনরায় ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে তখন সারারাত জনতাকে জাগিয়ে রাখার গুরুদায়িত্ব নেয় বাদল। বিজয়ের হাসিতে মেয়র কামরান। এদের শ্রমে ঘামে আজকের অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল সরকারের ভীত রচিত হয়েছিলো।

    ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেয়া মঈন উদ্দীন খান বাদল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম ৮ আসনের তিন তিন বারের সংসদ সদস্য। সংসদে অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে খ্যাতি ছিল তার।

    বাদলের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গত ১৮ অক্টোবর থেকে ভারতে প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হার্টফেল করায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাংসদ বাদলের ছোট ভাই মনির খান। দ্রুত সময়ের মধ্যে মরহুমের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হবে বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

    ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা বাদল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বাঙালিদের ওপর আক্রমণের জন্য পাকিস্থান থেকে আনা অস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে খালাসের সময় প্রতিরোধের অন্যতম নেতৃত্বদাতা ছিলেন বাদল।
    মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাদল সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। জাসদ, বাসদ হয়ে পুনরায় জাসদে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল গঠনেও বাদলের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।