Tag: মা

  • অনলাইনে প্রকাশ হল কাতার প্রবাসী কবি এম এ হাসনাত মানিকের কবিতা “নারী তুমি আমার মা”

    অনলাইনে প্রকাশ হল কাতার প্রবাসী কবি এম এ হাসনাত মানিকের কবিতা “নারী তুমি আমার মা”

    সাহিত্য ডেস্ক : কবি এম এ হাসনাত মানিক একজন কাতার প্রবাসী। বাড়ি চট্টগ্রাম শহরে। লিখছেন দীর্ঘদিন ধরে।

    বর্তমানে কাতারে থেকেও তিনি বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি তুলে ধরছেন তার কবিতা ও লেখনির মাধ্যমে। তিনি চান বিদেশের মাটিতে নিজের দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি গড়ে উঠুক।

    দীর্ঘদিন থেকে তার লেখা কবিতাগুলো বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে আসছে। অনলাইনে অনেক গুণীজন তার কবিতাগুলো পড়ে তাকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তার শুভ কামনা জানিয়েছেন।

    সম্প্রতি কাতার প্রবাসি এ কবি অনলাইনে মাকে নিয়ে নতুন করে আরো একটি চমৎকার কবিতা উপহার দিয়েছেন অনলাইন পাঠকদের জন্য। তার এবারের কবিতার নাম করণ করা হয় “নারী তুমি আমার মা”।

    তার এবারের কবিতাটি তিনি উৎসর্গ করেন বিশিষ্ট মানবাধিকার নেত্রী ও লাকী জাগরণ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান লাকী আহমেদকে।

    মাকে নিয়ে লেখা অসাধারণ কবিতাটি ইতিমধ্যে পাঠকের মন জয় করে নিয়েছে। তার কবিতাটি পড়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন সাংবাদিক রাজীব সেন প্রিন্স, বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক শাম্মী তুলতুল, কবি ও রন্ধনশিল্পী তানজিন তিপিয়া ও কবি শেখ তাহরীম তাহসীর।

    এম এ হাসনাত মানিকের কবিতাটি পাঠকদের জন্য নিম্নে প্রকাশিত হলো :

    “নারী তুমি আমার মা”
    -এম এ হাসনাত মানিক

    নারী তুমি তো মা, আর আমি তোমার নারী ছেড়া ধন,
    নারী তুমি তো সেই মায়ের কন্যা
    যে মায়ের গর্ভে আমার জন্ম হয়েছে।

    নারী তুমি আমার মায়ের কষ্টে লালন করা, আদরের ঘরের দুলালী,
    নারী তুমি তো সেই নারী
    ক্ষুদার্থ তৃষ্ণা নিবারণে
    যে মায়ের বুকের স্তন,
    তুমি আর আমি একি সাথে পান করেছি।

    নারী তুমি তো পিতা-মাতার স্নেহ ছেড়ে,
    আজ আমার ঘরের আদর্শ, একজন শিশুর মা,
    নারী তুমি বীরঙ্গনা, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ডাকে
    মুক্তিকামী মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
    দেখেছি তোমার আত্মত্যাগ।

    নারী তোমার কারনে আজ পৃথিবীর বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভালো লাগা,
    অগণিত সুখের পরশ তুমি
    সবই যদি নারী তুমি হও
    কেন আজ গৃহহীন তুমি?
    সবই আছে তোমার, কেন আজ পরিবার নামক বিবেকহীন মানুষগুলো পাঠালো তোমাকে বৃদ্ধাশ্রমে?

    বিবেক কেন আজ পদদলিত
    কেন আজ নারী হয় বারবার ধর্ষিতা!
    নারী তোমার ছোট্ট ঘর বে যদি আমার,
    দশ মাস দশ দিন লালন হয়
    আজ কেন শহরের বড় অট্টালিকা আর ফ্ল্যাট এ তোমার
    স্থানের বড্ড অভাব?

    নারী কেন আজ তোমার প্রতি হিংস্র বর্বরতা,
    বারবার ধর্ষিতা তুমি কেন আজ পথে ঘাটে!
    কোথায় গেল আজ বড় বড় বিবেক গুলি,
    মৃত্যুর পরও লাশকাটা ঘরে শুনি তোমার আত্মনাদ?
    আজ কি বলবে?

    সেখানে পোশাকের অপরাধ।
    হায়রে বিবেক বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক!
    একটু ভাবুন নারী আমার মা,
    নারী আমার বোন, নারী আমার ভালোলাগা, নারী আমার সহধর্মিনী,
    নারী একজন শিশুর আদর্শ মা।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • ছেলেরা স্বাবলম্বী, তারপরেও চরম অবহেলা যার নিত্যসঙ্গী!(ভিডিও)

    ছেলেরা স্বাবলম্বী, তারপরেও চরম অবহেলা যার নিত্যসঙ্গী!(ভিডিও)

    নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শাহমীরপুর গ্রামের মৃত ফজল আহম্মদের ষাটোর্ধ্ব স্ত্রী মরিয়ম বেগম। তার তিন ছেলে এক মেয়ে। তিন সন্তানই মোটামুটি স্বাবলম্বী বলা যায়।

    কিন্তু এ বয়সে মরিয়ম বেগমের আরাম-আয়েশে দিন কাটানোর কথা। সেখানে দু’বেলা খাবার জোটাতে মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হয় তাকে। মাঝেমধ্যে বের না হলে খাবার জোটে না তার ভাগ্যে। রোজা রেখে কাটাতে হয়। চার সন্তানের জননী মরিয়ম বেগম। বড় ছেলে কোরআনে হাফেজ মসজিদে চাকরি করেন। মেঝো ছেলে ফার্ণিচার মিস্ত্রি ও ছোট ছেলে ট্রাক সমিতির ম্যানেজার। ৪র্থ মেয়ে বিবাহিত শ্বশুরবাড়িতে রয়েছেন।

    বড়উঠান ইউনিয়নের মিস্ত্রিজান বাপের বাড়ির একাধিক এলাকাবাসী জানান, স্বামীহারা বিধবা মরিয়ম খুব কষ্টে আছেন। তিন ছেলে মোটামুটি আজ বিয়েশাদি করে নিজেদের সংসারে স্যাটেল। কিন্তু গর্ভধারিণী মাকে আজ দু’বেলা খাবারের জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরতে হচ্ছে।

    গত ২১ নভেম্বর উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে ছেলেদের বিরুদ্ধে নালিশ দিতে এসে এসব কথা শোনালেন বৃদ্ধা মা।

    ভূক্তভোগি মরিয়ম বেগম বলেন, ‘আমার বড় ছেলে জসিম ও ছোট ছেলে হালিম খুব বেশি কষ্ট দিচ্ছে আমায়। বহু কষ্টে ছোট ছেলেকে বিয়ে করাইছিলাম। দুমাস পরে দেখি ছেলের বউসহ আমাকে নির্যাতন করে। এমনি আমার স্বর্ণ ও গরু বিক্রি করে আলাদা বাসায় চলে যায়। বাড়ির বিদ্যুৎ বিলও দিচ্ছে না। শাড়ি ও আলনা নিয়ে যাবার পাশাপাশি আমার নামাজ পড়ার চেয়ারটুকুও নিয়ে গেছে। গত ৩/৪ মাস আমি নাজিম মেম্বারের কাছে বিচার চাইলাম। উল্টো মেম্বার আমাকে বকাঝকা করল। আমি চেয়ারম্যানের কাছে এর সুবিচার চাই।’

    এদিকে, মরিয়ম বেগমের ছোটছেলে মো. হালিম বলেন, গতকাল সকালে এলাকার মেম্বারসহ আমরা দুভাই মায়ের কাছে গিয়েছিলাম। মা বলল, এলাকার চেয়ারম্যান যেভাবে সমাধা দেবেন তিনি তা মানবেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি চেয়ারম্যানের কাছে যাব।’

    কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা জানান, বিষয়টি খুবই কষ্টদায়ক। খোঁজ নিয়ে বৃদ্ধা মায়ের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করব।’

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/মহিউদ্দিন

  • মারা গেছেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের মা রত্নাগর্ভা জোহরা বেগম

    মারা গেছেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের মা রত্নাগর্ভা জোহরা বেগম

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের মা রত্নাগর্ভা জোহরা বেগম মারা গেছেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)

    বুধবার (১৭ জুন) দিবাগত রাত ২টায় চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশের নিজ বাসভবনে তিনি মৃত্যুরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

    জোহরা বেগমের মেয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান ডাক্তার তাহমিনা বানুর তার মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।

    এর আগে গত ১১ জুন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ ড.হোসেন জিল্লুর রহমান নিজ ফেসবকু ওয়ালে মায়ের সাথে তিনটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘মায়ের স্পর্শের চেয়ে মূল্যবান আর কী হতে পারে? সর্বদা চেতনায় অদম্য। আমি যখন আপনাার সাথে না থাকি তখনও আমি সবসময় আপনার সাথে থাকি।’ তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশে।

    জানা যায়, জোহরা বেগমের স্বামী ছিলেন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট প্যাথলজিস্ট ডা. আবদুল মতিন। তাদের সব ছেলেমেয়েই নানা ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।

    এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর মহসিন জিল্লুর করিম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে দ্য ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব আমেরিকাতে সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি আদনান মোরশেদ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. তাহমিনা বানু এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • অসহায়দের জন্য এক মায়ের মানবতা/সংসারের খরচ বাঁচিয়ে কষ্টের সঞ্চিত পুরো অর্থ দিয়ে দিল ওসির হাতে

    অসহায়দের জন্য এক মায়ের মানবতা/সংসারের খরচ বাঁচিয়ে কষ্টের সঞ্চিত পুরো অর্থ দিয়ে দিল ওসির হাতে

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বর্তমানে প্রাণঘাতী করোনার করাল গ্রাসে পুরো দেশ যখন এলোমেলো, নানা গণমাধ্যমে যখন ভেসে বেড়ায় অসহায়দের আর্থনাদ। সন্তানের মুখে একটু খাবার তুলে দিতে অনেক মা যখন অক্ষম,দিশেহারা।

    ঠিক সেসময়ে আরেক মা তার নিজের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে গেলেন চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিনের হাতে। নিজের পরিচয় গোপন ও প্রদত্ত অর্থ গরীব অসহায়দের সহায়তায় খরচ করতে অনুরোধ করে গেলেন তিনি।

    জানা যায় ওই মায়ের মধ্যবিত্ত পরিবার। সাধ ও সামর্থের যুদ্ধ ছিল সংসারের নিত্য সঙ্গী। এরপরও সংসারের নিত্য দৈনন্দিন খরচ থেকে বাঁচিয়ে অল্প অল্প করে সারাবছর ধরে কিছু অর্থ সঞ্চয় করেছেন ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে।

    আজ মানব কল্যাণে তার সারা বছরের জমানো কষ্টার্জিত পুরো অর্থ দান করে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ওই মা।

    এ বিষয়ে এ মানব মাতার একটি ছবি পোস্ট করে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন.. একজন মা। মধ্যবিত্ত পরিবার, উচ্চবিত্ত মন।

    সংসারের ছোট ছোট খরচ বাঁচিয়ে আজীবনের সঞ্চয় ৩০ হাজার টাকা। আজ সব দিয়ে গেলেন আমাকে! উনার অনুরোধ, এই টাকা ব্যয় হোক অসহায়দের কল্যাণে। এমন মা যে দেশের ঘরে ঘরে সে দেশ কিভাবে হারে?

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • সন্তানের খাবার কিনতে মায়ের মাথার চুল বিক্রি

    সন্তানের খাবার কিনতে মায়ের মাথার চুল বিক্রি

    সাভারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমানের এলাকায় শিশুর খাবার কিনতে এক মা তার মাথার চুল বিক্রি করে দিয়েছেন। এমন সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

    মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহারকারী মোজাফফর হোসাইন জয় পোস্ট করার পর আলোচনার সৃষ্টি হয়। মুহূর্তেই পোস্টটি ভাইরাল হয়।

    জানা যায়, চুল বিক্রি করার আগে কত টাকা হবে জানতে চাইলে হকার জানায় ৩ থেকে চার’শ টাকা হবে। কিন্তু চুল কেটে দেওয়ার পর তার হাতে মাত্র ১৮০ টাকা ধরিয়ে দেয় ওই হকার।

    অভাবের তাড়নায় চুল বিক্রি করা শিশুটির মা সাথী বেগম জানান, করোনার কারণে তার স্বামী এখন কাজ করতে পারছেন না। এছাড়া সাভার থেকে নিজ এলাকায় যানবাহন বন্ধ থাকায় যেতে পারছেন না। সব কিছু বন্ধ থাকায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছে তাদের পরিবার। এছাড়াও অপরিচিত জায়গায় থাকার কারণে ত্রাণ সহযোগিতা পাচ্ছেন না। আর এ কারণে সাহায্য না পেয়ে শিশু সন্তানের দুধ কিনতেই মাথার চুল বিক্রি করেন বলে জানান তিনি।

    সাথী বেগম সাভার এলাকায় দুই সন্তান নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করেন। সঙ্কটকালীন সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনী মহল্লায় বসবাস করেন।

    জানা গেছে, তার আঠার মাসের শিশু বাচ্চার খাবারও শেষ। ত্রাণের সন্ধানে গিয়েছেন অনেকের কাছে, তবুও কোথাও থেকে মেলেনি একটু সহায়তা।

    অবশেষে ২০ এপ্রিল দুপুরে পথেই পরিচয় হয় এক হকারের সঙ্গে (চুল ক্রেতা)। মাথার চুল দেখিয়ে বিক্রি করলে কতো টাকা পাবেন বলে জানতে চান। হকারও ৩ থেকে ৪শ টাকা দেয়া যাতে পারে বলেন। পরে মাথার চুল কেটে দেয়ার পর তার হাতে ১৮০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়।

    অভাবের কারণে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ থেকে চার মাস আগ মিরপুরে আসেন। সেখান থেকে দেড় মাস আগে সাভারের ব্যাংক কলোনীর নানু মিয়ার টিনশেড বাড়িতে ভাড়া নেয় তারা।

    সাথী বেগম জানান, গত দেড় মাস আগে তার স্বামী মানিকের সঙ্গে সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় টিনশেডের ভাড়া বাড়িতে উঠেন। তার স্বামী পেশায় দিন মজুর। তিনি নিজেও বাসা বাড়িতে কাজ করেন। তবে করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে বাড়িওয়ালা কাজে যেতে নিষেধ করে দিয়েছে। তার স্বামীও কোন কাজ না পেয়ে বাড়িতে বেকার হয়ে বসে আছেন। গত দুই দিন যাবৎ ঘরের সব খাবারও শেষ। ১৮ মাসের শিশু বাচ্চারও কোন খাবার নেই। এখানে নতুন এসেছেন, কাউকেই তেমন চেনেনা। কোথায় ত্রাণ দেয় সেটাও জানা নেই। প্রতিবেশীর কাছ থেকে খবর পেয়ে দুই জায়গায় সহযোগিতার জন্য গিয়েছিলেন। তবে তাকে চেনেন না বলে ত্রাণ না পেয়েই খালি হাতে ফিরে এসেছেন।

    সহায়তা খুঁজতে গিয়ে এক হকারের (চুল ক্রেতা) সঙ্গে পরিচয় হয়। মাথার চুল কেটে দিলে ৪০০ টাকা দেয়া যেতে পারে। তবে হকার তার হাতে ১৮০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে যায়। ওই টাকা দিয়ে শিশুর জন্য দুধ ও এক কেজি চাল কিনেছেন।

    তিনি আরো জানান, করোনায় তাদের সব কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়ির মালিক এখানে থাকে না। তিনি মাসে একবার আসেন। এখানে নতুন আসার কারণে তেমন কারো সঙ্গে পরিচয়ও নেই। প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ারাও বাসা বাড়িতে কাজ করেন তাদেরও একই অবস্থা।

    প্রতিবেশী ভাড়টিয়া রিকশা চালক সুমন বলেন, লকডাউন হয়ে যাওয়ার পর সড়কে কোন যাত্রী নেই। তারাও কোন রকম মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ওই নারীকে সহযোগিতা করার সামর্থ্যও তার নেই।

    সাভার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে অত্যন্ত দুঃখজনক ও মানবিক ব্যাপারে। তিনি খুব দ্রুত ওই পরিবারের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন বলেও জানান।

    সাভার পৌর মেয়র আব্দুল গনি জানান, তিনি নিজে পৌর এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছেন। তবে এক নারী তার বাচ্চার জন্য চুল কেটে বিক্রি করার বিষয়ে তিনি জানেন না।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা সন্দেহে চারমাসের শিশুসহ গ্রামছাড়া মা, নদী পাড়ে মানবেতর জীবন

    করোনা সন্দেহে চারমাসের শিশুসহ গ্রামছাড়া মা, নদী পাড়ে মানবেতর জীবন

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জেলা সংবাদ || করোনা ভাইরাস সন্দেহে মাকে জঙ্গলে রেখে আসার রেশ কাটতে না কাটতেই আরো এক মাকে নদীর পাড়ের খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিতে হয়েছে।

    চার মাসের শিশু সন্তানসহ গ্রাম থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কলাপাড়ার পার্শ্ববর্তী তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউপির চাউলাপাড়া গ্রামে।

    জানা যায় গত ১০ এপ্রিল ভোরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পোশাককর্মী শিরিনা আক্তার তার শিশুসন্তান আফসানা ও স্বামী মামুনকে নিয়ে শ্বশুড়বাড়িতে ফেরার পর ইউপি সদস্য নিজাম আখনের চাপিয়ে দেওয়া অমানবিক সিদ্ধান্তে বাড়িতে জায়গা হয়নি তার। বের করে দেওয়া হয় গ্রাম থেকে।

    ফলে পাশের কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউপির কাঁঠালপাড়া গ্রামের নির্জন নদীর ধারে খোলা আকাশের নিচে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় এখন রাত কাটছে মা ও শিশুটির

    পরে শ্বশুরের সহায়তায় একটি মাদুর ও রান্না করে খাওয়ার হাঁড়ি-পাতিলের ব্যবস্থা করেন শিরিনা।

    কান্নাজড়িত কণ্ঠে গত ১০ দিন ধরে মা ও মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এমন অমানবিক ঘটনার বর্ণনা দেন শিরিনা আক্তার।

    তিনি অভিযোগ করেন, তার কোনো ধরনের করোনা উপসর্গ না থাকলেও তাকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে শুধু প্রভাবশালী মেম্বারের ভয়ে। কেন তাকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়নি, সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।

    এ ব্যাপারে ঐ ইউপি সদস্যের সঙ্গে একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।

    বিষয়টি অবগত নয় জানিয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘এমন ঘটনা আমার জানা নেই।

    কাউকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহ হলে ঐ ইউপি সদস্যের আমাকে জানানোর কথা। তার জন্য সরকারিভাবে চিকিত্সা দেওয়া বা কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা আমরা অবশ্যই করব। কিন্তু সেটা এভাবে নয়।

    কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, যেহেতু কলাপাড়ার সীমানায় রয়েছে তারা, অবশ্যই খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • করোনা: ছেলেকে আনতে স্কুটি চালিয়ে ১৪০০ কি.মি. পথ পাড়ি দিলেন ‘মা’

    করোনা: ছেলেকে আনতে স্কুটি চালিয়ে ১৪০০ কি.মি. পথ পাড়ি দিলেন ‘মা’

    সন্তানের জন্য মা করতে পারেন না পৃথিবীতে এমন কোনও কাজ নেই। এই কথার প্রমাণ দিলেন তেলেঙ্গানার এক মা। লকডাউনের মধ্যে ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে তেলেঙ্গানা থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ গিয়ে তিন দিন গাড়ি চালিয়ে ১৪০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলেন।

    স্থানীয় পুলিশের অনুমতি নিয়ে তেলেঙ্গানার বাসিন্দা রাজিয়া বেগম (৪৮) ছেলেকে বাড়ি ফেরাতে এক কঠিন যাত্রার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন।

    সোমবার তিনি স্কুটি নিয়ে ছেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দীর্ঘ ১৪০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এক যুদ্ধ জয় করে বুধবার সকালে ছেলেকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। মা তো বটেই সেই সঙ্গে এই যাত্রায় তিনি তাঁর অসীম ধৈর্য ক্ষমতার প্রমাণ দিলেন।

    সেই সাহসী মা এই যাত্রার পর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “একটি মহিলার পক্ষে একটি ছোট্ট দু-চাকার গাড়ি নিয়ে যাত্রা ছিল কঠিন । তবে আমার ছেলেকে ফিরিয়ে আনার দৃঢ় সংকল্প আমার সমস্ত ভয়কে ছাপিয়ে গিয়েছিল। আমি রুটি প্যাক করেছিলাম এবং তাঁরা আমাকে গাড়ি চালিয়ে যেতে দিয়েছিল। রাতে কোনও ট্র্যাফিক না থাকায় ও লোকজন চলাচল না করায় থাকায় কিছুটা ভয় ছিল।”

    তিনি আরও জানিয়েছেন মাঝে মাঝে ১০-১৫ মিনিট করে বিরতি নিয়ে নিয়ে যাত্রা করতে থাকেন। রাজিয়া বেগম তাঁর এলাকা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে নিজামবাদ জেলার বোধন শহরে সরকারী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা। ১৫ বছর আগে স্বামী হারা রাজিয়ার দুই ছেলে। একজন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েট এবং ১৯ বছর বয়সী নিজামুদ্দিন। নিজামুদ্দিন জানিয়েছেন সে এমবিবিএস পড়তে চায় অর্থাৎ ডাক্তার হতে আগ্রহী সে।

    রাজিয়ার ছেলে তাঁর বন্ধুকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১২ মার্চ নেল্লোর জেলার রহমতবাদে গিয়েছিলেন এবং সেখানেই তিনি থেকে যান। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হলে তিনি আর ফিরে আসতে পারেননি।

    রাজিয়া যখন শুনেছিলেন তাঁর ছেলে বাড়ি ফেরার জন্য ও পরিবারের সঙ্গে যোগদান করাতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল তখন তাঁর আক্ষেপ হয়। ছেলের মুখে বাড়ি ফেরার কথা শুনেই ছেলেকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। রাজিয়া তাঁর বড় ছেলেকে পাঠাননি কারণ তিনি ভেবেছিলেন যদি কোনও পুলিশ তাঁর ছেলেকে ভুল করে আটকে দেয়। সব কিছু ভুলে ছেলের জন্য তাই তিনি নিজেই উদ্দ্যোগ নিয়ে পাড়ি দেন ১৪০০ কিলোমিটার পথ। জয়রাইডারের জন্য ভুল করে তাকে আটক করতে পারে।

    সন্তানের জন্য মায়ের এই কঠিন লড়াইয়ের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসা মাত্রই নেটিজেন সহ সকলেই এই মা কে কুর্নিশ জানিয়েছেন। ছেলের প্রতি মায়ের ভালোবাসা আরও এক দৃষ্টান্ত গড়ল।

  • রাউজানে সাংবাদিক জয়নাল আবেদীনের মায়ের ইন্তেকাল

    রাউজানে সাংবাদিক জয়নাল আবেদীনের মায়ের ইন্তেকাল

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : রাউজান সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাক ও সিপ্লাস টিভির রাউজান প্রতিনিধি গাজী জয়নাল আবেদীন যুবায়ের এর মা আর নেই।

    আজ সোমবার (১৬ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)। দুই পুত্র ও এক কন্যাসহ তিনি অসংখ্য আত্মীয়স্বজন আর গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

    আজ সোমবার রাত সাড়ে আটটায় রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী শেখ পাড়া গ্রামের স্থানীয় জামে মসজিদ (পাক্কা মসজিদ)ময়দানে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে হযরত সোনা গাজী (রহ.) ও হযরত টোনা গাজী শাহ (রহ.) কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

    ২৪ ঘন্টা/নেজাম রানা/আর এস পি

  • সম্রাটকে মুক্তি দিতে মায়ের আকুল আবেদন

    সম্রাটকে মুক্তি দিতে মায়ের আকুল আবেদন

    ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁর মা সায়েরা খাতুন।

    রবিবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি এ অনুরোধ জানান। সম্রাটের মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে সায়েরা খাতুন প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশ্য বলেন, ‘আপনি মানবতার মা। সম্রাট যেমন আমার সন্তান তেমনি আপনারও সন্তানতুল্য। সম্রাট ওপেন হার্ট সার্জারির রোগী। তার শারীরিক অবস্থা খুব-ই খারাপ। মা হিসেবে আপনার কাছে আমার আকুল আবেদন সম্রাটকে মুক্তি দিন। উন্নত চিকিৎসা দিয়ে তার প্রাণভিক্ষা দিন।’

    পরে সম্রাটের মা অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্রাটের বোন ফারহানা চৌধুরী শিরিন।

    মায়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে ফারহানা চৌধুরী শিরিন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী জননী, মানবতার মা, সম্রাট আপনার কর্মী, আপনার সন্তানতুল্য, সম্রাট আপনার সংগঠনে অনুপ্রবেশকারী নয়। আমি একজন মা হিসেবে আপনার কাছে আকুতি করছি সম্রাটের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে ওকে মুক্ত করে দিন। ওকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়ে আমার সন্তানের জীবন রক্ষা করুন।’

    সম্রাটের অফিসে ইয়াবা ও অস্ত্র পাওয়ার ঘটনাকে এসময় পরিকল্পিত ও সাজানো বলে দাবি করা হয়।

    বলা হয়, সম্রাটের বাইপাস সার্জারি করে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক মদ্যপান তার জন্য মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই সে জেনেশুনে কখনো মদ পান করবে না।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়, সম্রাট গ্রেফতারের ১০ দিন আগ থেকে অফিসেই ছিল না, অফিস ছিল অরক্ষিত। শরীর খারাপ থাকায় অন্যত্র অবস্থান করছিলেন তিনি। তার অফিসে মদ, ইয়াবা, পিস্তল কিছুই ছিল না। আমাদের আশংকা এটি পরিকল্পিত সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই না।

    লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ঢাকা শহরে প্রতিটি ক্লাব পরিচালনা করার জন্য কমিটি রয়েছে। আমার সন্তান সম্রাট কোনও ক্লাবের পরিচালনা কমিটির সদস্য নয়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এবং ব্যক্তিগত আক্রোশে তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হচ্ছে।

    আরও বলা হয়, বন্যপ্রানী সংরক্ষণ আইনে যে মামলায় তাকে ৬ মাসের সাজা দেয়া হয়েছে সে মামলার আদেশ আমরা এখনও হাতে পাইনি। ক্যাঙ্গারু বাংলাদেশি বন্যপ্রাণী নয় এবং বাংলাদেশে এই প্রাণীটির বিচরণ দেখা যায় না। যেহেতু ক্যাঙ্গারুটি বাংলাদেশে শিকার করা হয়নি তাই এটি বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের মধ্যে পড়ে না। উক্ত ক্যাঙ্গারুর চামড়াটি এক প্রবাসী বাংলাদেশি তাকে উপহার হিসেবে প্রদান করে বিধায় এটি আইন বিরোধী কাজও নয়, এজন্য সাজা দেয়ারও বিধান নেই।

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৬ অক্টোবর রবিবার আমার সন্তানকে গ্রেফতার করা হয়। যে স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় সে স্থান থেকে কোনও প্রকার অস্ত্র কিংবা মাদক পাওয়া যায় নাই। কিন্তু আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পেলাম তাকে কাকরাইল অফিসে নিয়ে আসা হয় এবং প্রায় ৪ ঘণ্টা ১৭ মিনিট তার অফিস তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি চলাকালীন সময়ে কোনও গণমাধ্যমকর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

    লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, সম্রাটকে নিয়ে অফিসের ভেতরে প্রবেশের সময় বিভিন্ন মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচারে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু লোক কাঁধে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করে এবং অফিস থেকে বের হওয়ার সময় ওই সকল ব্যাগ লক্ষ্য করা যায়নি।

    পরিশেষে বলতে চাই, সম্রাট জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক, জননেত্রী শেখ হাসিনার তৃণমূলের পরীক্ষিত কর্মী। তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্রাটের ছোট ভাই রাসেল আহমেদ চৌধুরী।