Tag: মাইকিং

  • চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের শঙ্কা, লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং

    চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের শঙ্কা, লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং

    ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়ি এলাকার বসতি থেকে লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

    শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে আকবর শাহ এক, দুই ও তিন নম্বর ঝিল এবং বিজয়নগর এলাকায় মাইকিং করে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়।

    নগরীর কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রামে ৬নং বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়েরর কারণে বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। নগরীর পাহাড়ি এলাকাগুলোতে অসংখ্য মানুষ ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করে। শুক্রবার সকাল থেকে পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদে আশপাশের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।

    আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরের ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল।

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

  • পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সীতাকুণ্ডে প্রশাসনের মাইকিং

    পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সীতাকুণ্ডে প্রশাসনের মাইকিং

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে বর্ষণে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের পাহাড়ি এলাকায় ছোট ছোট পাহাড় ধসের আশংকা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ভারি বর্ষণ শুরু হলে সীতাকুণ্ড পাহাড় ধস হতে পারে। এ আশংকায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য বার বার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।

    উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ে পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য সচেতন করার লক্ষ্যে মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করছে সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম।

    সোমবার সকাল থেকে উপজেলার সীতাকুণ্ডর সোনাইছড়ি ও জঙ্গল সলিমপুর পাহাড় এলাকায় পাহাড়ের আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়ির জনসাধারণকে সচেতন করতে মাইকিং করা হয়। সীতাকুণ্ড পাহাড়ের ছোট ছোট টিলায় ও ঢালুতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে। এরা বিভিন্ন সময়ে লোকজন পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন করেছে। এখন এদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।

    সহকারী কমিশনার ভূমি আশরাফুল আলম বলেন, সীতাকুণ্ড পাহাড়ের ছোট ছোট টিলায় ও ঢালুতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে। এরা বিভিন্ন সময়ে লোকজন পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন করেছে। পাহাড়ে পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য সচেতন করার লক্ষ্যে মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসচেতনতা করা হচ্ছে।

  • অলিতে-গলিতে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী,বাসা থেকে বের না হতে মাইকিং

    অলিতে-গলিতে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী,বাসা থেকে বের না হতে মাইকিং

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর ১৭ টিম মাঠে নেমেছে। মেজর অথবা ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে সকাল ৮টার আগেই সেনানিবাস থেকে চট্টগ্রাম নগরী ও উপজেলায় এসব টিমের সদস্যরা পৌছে যায়।

    আজ ২৫ মার্চ বুধবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে অংশগ্রহণের পাশাপাশি নগরীর সড়ক ও অলি-গলিতে সেনাবাহিনী টহল শুরু করে।

    তাছাড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে লোকজনকে সচেতন করার লক্ষ্য এবং অযথা ঘরের বাইরে ঘোরাঘুরি না করার জন্য বুধবার সকাল ৮টা থেকেই চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

    জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে আসা অনেক প্রবাসী সরকারি নির্দেশনা মতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকছে না। এসব ব্যাক্তিদের হোম কোয়ারেনটাইন ব্যবস্থা ও নগরবাসীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মাঠে আছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অনেককে জরিমানা করা হয়েছে।

    কিন্তু পুরোপুরি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না কোয়ারান্টাইন। এ জন্য বিশেষভাবে কাজ করবে সেনাবাহিনী। তাই সরকারের নির্দেশেই আজ বুধবার (২৫) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেনা সদস্যরা মাঠে নামেন।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে সকাল থেকে অভিযান চলে নগরীর খুলশী, আকবর শাহ ও পাহাড়তলী এলাকায়। এসময় ওই এলাকায় বিদেশি নাগরিকসহ পাঁচজনকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া একটি কোরিয়ান রেস্টুরেন্ট সিলগালা করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল বলেন, নগরীর খুলশীর ২ নম্বর সড়কে ১২/২ নম্বর ভবনে দক্ষিণ কোরিয়ানদের ওই রেস্টুরেন্টটি গতকাল মঙ্গলবার বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বুধবার সকালেও ওই রেস্টুরেন্টটি খোলা পাওয়া যায়। তাছাড়া ওই রেস্টুরেন্টে তখনও দুজন কোরিয়ান ও তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন।

    সেনা সদস্যদের সহযোগীতায় অভিযানকারী দল ওই পাঁচজনকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠিয়ে রেস্টুরেন্টটি সিলগালা করে দিয়েছে।

    চট্টগ্রাম সেনানিবাসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে মূলত জনসমাগম ঠেকানো, বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চত করা ও আক্রান্ত রোগীদের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার টার্গেট নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।

    বুধবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন অলি-গলিতে ঘুরে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা বাসীরা যথাযথভাবে নির্দেশনা মানছেন কিনা তা তদারকি করা হয়।

    তাছাড়া হোম কয়োরেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের বাসায় লাল পতাকা ও স্টিকার লাগানোর পাশাপাশি লোকজনকে অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় থাকার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করা হয়। এরপরও যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে শাস্থিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে অভিযানে নেমেছে সেনাবাহিনীর ১৭ টিম। নগরীর ১৬ থানা ও জেলার ১৬ থানায় জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করতে আজ থেকে মাঠে রয়েছেন এসব টিমের সেনা সদস্যরা।

    তিন পার্বত্য জেলায় আরো ২৬টি সহ সেনাবাহিনীর মোট ৪৩টি টিম এখন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রামের মাঠে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা বিস্তার ঠেকাতে যা যা করা প্রয়োজন তার সবটায় করবে জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর যৌথ টিম।

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন।

    ২৪ ঘন্টা/ আর এস পি..

  • চট্টগ্রামে পতেঙ্গা সীবিচ এলাকায় চলছে মাইকিং| ভিডিও | ঘূর্ণিঝড় “বুলবুল”

    চট্টগ্রামে পতেঙ্গা সীবিচ এলাকায় চলছে মাইকিং| ভিডিও | ঘূর্ণিঝড় “বুলবুল”

    চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় চলছে মাইকিং। ঝুঁকির মধ্যে থাকা উপকূলবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্যই এ মাইকিং করা হচ্ছে।

    বিপদ সংকেত ৯ এ ওঠার পর থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে