Tag: মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ

  • লাখে ভক্তের আগমনে মুখরিত মাইজভান্ডার দরবার শরীফ

    লাখে ভক্তের আগমনে মুখরিত মাইজভান্ডার দরবার শরীফ

    চলরে মন ত্বরায় যায় বিলম্বের আর সময় নাই, গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী স্কুল খুলেছে….. একতারা, দোতারা, হারমোনি, তবলার তালে তালে কনকণে শীত উপেক্ষা করে মাইজভান্ডারে আশেক-ভক্তের ঢল নেমেছে। আশেক, ভক্ত, অনুরক্তরা আসছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। সাথে সবুজ পতাকা ও ব্যানারে তরিক্বতের বিভিন্ন বানী। আল্লাহ, রাসুল (দ.) ও মাইজভান্ডারী তরিক্বতের শ্লোগান। সাথে স্বীয় পীর মুরশীদের দরবারে গরু, ছাগল, মহিষ, উঠ, গয়াল সহ আরো কত কি…..।

    মাইজভান্ডারী দরবার শরীফের আধ্যাতিক সরাপতের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম হযরত মাওলানা শাহসূফী সৈয়দ আহমদ উলাহ মাইজভান্ডারী (ক.) ১১৮তম বার্ষিক ওরশ শরীফ বুধবার (মহান ১০ মাঘ)। গত ২-৩দিন পূর্ব থেকে দেশ-বিদেশের লাখো ভক্তের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে মাইজভান্ডার শরীফে।

    বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে আনজুমানে মোত্তাবেইনে গাউছে মাইজভান্ডারী শাহ এমদাদীয়া মঞ্জিলের শাজ্জাদানশীন শাহসূফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী (ম.জি.আ), দরবারে-গাউছিয়া আহমদিয়া মনজিলের সাজ্জাদানশীন ডা. সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভান্ডারী (ম.জি.আ), সাজ্জাদানশীন সৈয়দ শহিদুল হক মাইজঅবন্ডারী (ম.জিআ), মাইজভান্ডার গাউছিয়া হক মনজিলের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী (ম.জি.আ), সৈয়দ মুনিরুল হক মাইজভান্ডারী (র.) শাহজাদাদ্বয় মুন্তাজেম সাজ্জাদানশীন সৈয়দ আহমদ হোসাইন শাহরিয়ার মাইজভান্ডারী (মজি.আ) এবং সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন সোহেল মাইজভান্ডারী (ম.জি.আ) এর আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে ওরশের আনুষ্টানিকতা শেষ হবে। এ উপলক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

    পটভূমি:
    সৈয়দ হামিদ উদ্দীন গৌড়ী ১৫৭৫ সালে ইসলাম প্রচার মানসে চট্টগ্রামে আগমন করে পটিয়া থানার কাঞ্চননগরে বসতি স্থাপন করেন। তারই বংশধর মাওলানা সৈয়দ মতিউলাহর সৈয়দ মতিউলাহর পবিত্র ঔরসে ১৮২৬ সালে, হিজরী ১২৪৪, ১২৩৩ বাংলা ১ মাঘ, বুধবার জোহরের সময় হযরত শাহ সুফী সৈয়দ আহমদ উলাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) জন্ম গ্রহন করেন। ১২৬০ হিজরিতে তিনি উচ্চশিক্ষার্থে কলকাতা গমন, ১২৬৮ হিজরিতে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার শেষ পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাস করেন এবং হাদিস, তাফসির, ফেকাহ ইত্যাদি শাস্ত্রে বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেন। ১২৬৯ হিজরিতে যশোর জেলায় কাজী (বিচারক) পদে যোগদান করেন। ১২৭০ হিজরিতে সেই কাজী পদ থেকে পদত্যাগ করে কলকাতার মুন্সি বু-আলী মাদ্রাসায় প্রধান মোদাররেস পদে যোগদান করেন। তার পীর গাউছুল আজম মহিউদ্দীন আবদুল কাদের জীলানীর (রহ.) বংশধর শেখ সৈয়দ আবু শাহমা মুহাম্মদ ছালেহ আল কাদেরী লাহোরী (রহ.) এর নিদের্শে ১৮৫৭ সালে নিজ গ্রাম মাইজভান্ডারে ফিরে আসেন।

    কিছুদিনের মধ্যেই তার কামালিয়তের কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঐশী-প্রেম পিপাসু সাধক ও দোয়া প্রত্যাশীদের ভিড়ে এই সাধকের পবিত্র বাসগৃহ আধ্যাত্মিক দরবারে পরিণত হয়। লোকসমাজে পরিচিতি পায় মাইজভান্ডার দরবার শরিফ হিসেবে। তিনি একমাত্র বাঙ্গালী সূফী সাধক। যিনি বাংলার জমিনে স্বতন্ত্র এক তরিকা প্রতিষ্টা করেন। যার নাম মাইজভান্ডারী তরিকা। ৭৯ বছর বয়সে ১৯০৬ ক্রিস্টাব্দে ১০ মাঘ সোমবার রাতে ইহধাম ত্যাগ করেন এ মহান সুফি সাধক। তার ওফাত দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর ৮, ৯ ও ১০ মাঘ ৩ দিনব্যাপী ওরশ শরিফ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশ-বিদেশের লাখ-লাখ আশেক-ভক্তের সমাগম ঘটে।

    মঙ্গলবার মাইজভান্ডার শরীফ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় ১০মাঘ মাইজভান্ডার শরীফের ওরশ উপলক্ষ্য করে মাইজভান্ডারের ৩/৪ মাইল এলাকায় বিশাল মেলা বসেছে। এতে কৃষি ব্যবহার্য্য পণ্য, কুঁটির শিল্প উৎপাদিত পণ্য, গ্রামীণ গৃহস্থালী সামগ্রী, ডালা, কুলা দা, বটি, বেলুণ, কাঠের পিড়া, মোড়া, পিটা তৈরীর বিভিন্ন চাচ, চুড়ি, বাশি খেলনা, মোলা-ওড়া ইত্যাদিবেশ বিকিনিকি হচ্ছে।

    এদিকে ১০মাঘ ওরশ উপলক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা ও থানা প্রশাসন ব্যাপক আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক সমন্বয় সভায় গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর মাজার ও মাইজভান্ডার শরীফ এলাকায় ক্লোজ-সার্কিট ক্যামরার মাধ্যমে সার্বক্ষনিক নজরদারি করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন রাখা, নাজিরহাট নতুন রাস্তার মাতায়, ফটিকছড়ি সদরে ও নানুপুর লায়লা-কবির কলেজ মাঠে যানবাহন পার্কিং, স্ব স্ব মনজিলের ব্যবস্থাপনায় লাইটিং করা, মাইজভান্ডার পুকুর আবর্জনা মুক্ত রাখা, প্রয়োজনীয় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা, স্ব-স্ব মনজিলের পোষাক পরা সেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা, মহিলাদের চলাচলের স্থানে মহিলা সেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা, আযানের সময় সকল প্রকাল মাইকিং বন্ধ রাখা, নির্দিষ্ঠ সময়ের পরে গরু-মহিষ হাদিয়া প্রবেশ বন্ধ রাখা, পর্যাপ্ত পরিমানে ভ্রাম্যমান স্যানিটেশন ব্যবস্থা করা, গুরুত্বপূর্ণ সিধান্তের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ সব সবস্থানে পুলিশি টহল জোরদারকরা, সকল প্রকার যোগাযোগের জন্য একটি তথ্য কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    দরবারে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের শাহজাদা সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইনন সোহেল মাইজভান্ডারী জানান, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর ওরশে শরীফে বংলাদেশের প্রত্যন্ত
    অঞ্চল ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বার্মা, ইরাক, ইরান, তুরষ্ক সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেও ধর্মপ্রাণ মুসলমান সহ লাখো সুফী ভক্ত-আশেকগণের সমাগম ঘটে। আমরা ১০দিন ব্যাপী হযরতের মানবিক গুনাবলীর সমন্বয়ে মানবিক ও সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছি।

    শাহ এমদাদীয়ার নায়েবে শাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারী জানান, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর ওরশে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো ভক্তের সুবিধাত্বে থাকা-খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.)র জীবনী, শান-মান সম্ভলিত বিশেষ ক্রোড়পত্র বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশের ব্যবস্থা হয়েছে।

    ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, ১০মাঘ ওরশ উপলক্ষে পূলিশ ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আইন- শৃংখলা রক্ষায় থানা পুলিশ-র‌্যাব-আনসার ও দুই সহস্রাদিক বিশেষ সেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

    উল্লেখ্য, মাইজভান্ডারের প্রতিটি মনজিল এবছর ১
    মাঘ থেকে ১০ দিন ব্যাপী মাইজভান্ডারী তরিকার মানবিক শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা, সামাজিক কর্মকান্ড, এবাদতবন্দেগী, মাইজভান্ডারী সেমা মাহফিলসহ ব্যাপক আয়োজন করেছে।

  • আধ্যাত্মিকতার পরশে দিকভ্রান্ত মানুষ পেয়েছে আলোর পথের সন্ধান:সৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারী

    আধ্যাত্মিকতার পরশে দিকভ্রান্ত মানুষ পেয়েছে আলোর পথের সন্ধান:সৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারী

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ঝঁড়-বৃষ্টি-তুফান উপেক্ষা করে লাখো ভক্ত-আশেক-জায়েরীনদেও সমাগম ঘটেছে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে। গতকাাল বুধবার ছিল মাইজভান্ডারী তরিক্বার দ্বিতীয় প্রাণ পুরুষ শাহ্সূফী সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (ক.) এর ৮৭ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ।

    গত তিনদিন থেকে ওরশ উপলক্ষে নানান ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকান্ডের পর দেশ বিদেশের লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে মুনাজাত পরিবেশর করেন সাজ্জাদানশীন সৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।

    মুনাজাত পূর্ব আলোচনায় তিনি বলেন, উপমহাদেশে যেসব আউলিয়ায়ে কেরাম ও সুফি সাধকবৃন্দ ইসলামের প্রচার-প্রসার ও তরিক্বত চর্চার নিরবচ্ছিন্ন কাজ আঞ্জাম দিয়ে গেছেন, তন্মধ্যে যুগশ্রেষ্ঠ অলিয়ে কামেল হযরত ছৈয়দ মাওলানা গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী (বাবা ভান্ডারী) র: ছিলেন অন্যতম। ইসলামের এ মহান সাধক পুরুষের অনন্য অবদান কোনভাবেই বিস্মৃত হবার নয়। বিভিন্ন অনিয়ম, অসংগতি, অন্যায়, জুলুম, অত্যাচার ও পাপাচারের মুলোৎপাটন করে জাতীয় জীবনে একটি সুস্থ সমাজ বির্নিমানে অনন্য ভুমিকা রেখেছেন। তাঁর আধ্যাত্মিকতার কোমল পরশে অসংখ্য দিকভ্রান্ত মানুষ পেয়েছে সঠিক পথের সন্ধান। এমনকি তাঁর ওফাত পরবর্তীতেও অসংখ্য-অগনিত মানুষ তাঁর ফয়েজ ও বরকত হাসিলের মাধ্যমে ধন্য হচ্ছেন নির্দ্ধিধায়। সত্যিকার অর্থে হযরত ছৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী (র:) ছিলেন সত্যানুসন্ধানী মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তিনি শিক্ষা দিয়েগেছেন মাইজভান্ডারী দর্শণে আছে শান্তি ও মুক্তির পথ। তাই তাঁর মত মহান অলিয়ে কামেলের আদর্শকে ধারন করেই ইসলামের মূলধারা সুন্নিয়তের প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান করা সম্ভব। আজকের এই দিনের অঙ্গীকার হোক, মহান অলীর জীবনাদর্শ মানব জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে অনুসরণ-অনুকরণ।

    শাহজাদা সৈয়দ নুরুল বশর মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশেকানে মাইজভান্ডারী এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ছালাম সরকার, মাওলানা শায়েস্তা খান, মাওলানা নিজামুল হক শেরেবাংলা, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা জাকির হোসেন, খাদেম ওহাব মাইজভান্ডারী, খাদেম আবুল হাসেম, আবদুল মালেক, দিদার, জিএম কামাল প্রমুখ।

  • ১৯৭১ সালের এই দিনে লাল-সবুজের পতাকা উড়ালো মাইজভান্ডারী ভক্তরা

    ১৯৭১ সালের এই দিনে লাল-সবুজের পতাকা উড়ালো মাইজভান্ডারী ভক্তরা

    এম এস আকাশ: ১৯৭১ সালের এই দিনে (২২ চৈত্র, ৫ এপ্রিল) মাইজভান্ডারী আশেক-ভক্তরা উড়ালো লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে মাইজভান্ডার শরীফ আসেন। তখন মাইজভান্ডারের সব ভবনেও উত্তোলন করা হয় লাল সবুজ পতাকা।

    জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ হযরত গোলাম রহমান বাবা ভান্ডারী (ক.) মহান ২২ চৈত্র বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা চলছিল হুজরা শরীফে। তখন সারাদেশে যুদ্ধ চলছে। পাকিস্থানী বাহিনী ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। তাই হযরত দেলাওর হোসাইন মাইজভাণ্ডারীর (কঃ) উপস্থিত ভক্তদের বলেন, দেশে নাজুক পরিস্থিতি। ওরশে যেন সবাই সকাল-সকাল আসেন। আছরের নামাজের পর তবারুক বিতরন করা হবে। লোকজন যাতে সন্ধ্যার পূর্বেই বাড়ি ফিরতে পারেন। এমন সময় বখতপুর নির্বাসী সৈয়দ বখতেয়ার ফকির কিভাবে আসবেন ? জানতে চাইলেন। হযরত দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (ক.) পাল্টা প্রশ্ন করে তার ইচ্ছা জানতে চাইলেন।

    তখন তিনি বলেন, বাংলাদেশের পতকা উড়িয়ে, গরু-মহিষ হাদীয়াসহ ঢোল বাজনা বাজিয়ে জাঁকজমক ভাবে আসতে চাই। হযরত দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী এ বাক্যে সম্মতি দিলেন। তখন সৈয়দ বখতেয়ার ফকির আনন্দিত হয়ে মুর্শিদকে ভক্তি জানালেন।

    উপস্থিত ভক্ত আশেকানদের বললেন, বাংলাদেশ কবুল হয়েছে। হযরত দেলাওর হোসাইন মাইজভাণ্ডারী (কঃ) পতকা উড়াতে অনুমতি দিয়েছেন। এ পতকা উড়তে থাকবে। বাঙ্গালীদের জয় সুনিশ্চিত। ঐ ওরশে সকল ভক্ত আশেকান ঠিক সেভাবে বাংলাদেশের পতকা উড়িয়ে মাইজভান্ডার শরীফ আসেন। পথে পথে অনেক স্থানে পকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দেখেও কোন বাঁধা দেননি। আর এদিকে মাইজভাণ্ডার শরীফ ৫ এপ্রিল প্রকাশ্যে উড়ে বাঙ্গালীজাতীর আশা আকঙ্খার লাল সবুজের পতকাটি।

    উল্লেখ্য, সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভান্ডারী (ক.) ১৮৬৫ ঈসাব্দ এবং ১২৭০ বঙ্গাব্দের (পঞ্জিকা মতে ২৭ আশ্বিন) ২৯ আশ্বিন সোমবার ভোরবেলা জন্মগ্রহণ করেন। ১৩৪৩ বাংলার ২২ চৈত্র, মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে পবিত্র অমরধামে শুভযাত্রা করেন। প্রতিবছর এ দিনে ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফস্থ গাউছিয়া রহমানিয়া মন্জিলে তাঁর বার্ষিক ওরশ শরীফ উদ্যাপিত হয়।

  • সৈয়দ শফিউল বশর মাইজভান্ডারীর ১০৪তম খোশরোজ শরীফে লাখো ভক্তের ঢল

    সৈয়দ শফিউল বশর মাইজভান্ডারীর ১০৪তম খোশরোজ শরীফে লাখো ভক্তের ঢল

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: লাখো ভক্তের ঢল নেমেছে মাইজভান্ডারী সূফিবাদি দর্শনের বিকাশকারী শাহসূফী সৈয়দ শফিউল বশর মাইজভান্ডারী (র.) ১০৪তম খোশরোজ শরীফে।

    সোমবার যথাযত ধর্মীয় ভাবগাম্বীর্যে বিশ্বশান্তি কামনায় আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে পালিত হয়েছে খোশরোজ শরীফ।

    মাইজভান্ডার দরবার শরীফ মাঠে খোশরোজ শরীফের আলোচনা সভায় গাউছিয়া রহমান মনজিলের সাজ্জাদানশীন পীরে ত্বরিকত শাহসূফী সৈয়দ মজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (ম.) বলেন, মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে শতাধিক বছর ধরে জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ-বিদেশের লক্ষ-কোটি ভক্ত নিজেদের জাগতিক ও আধ্যাত্মিক ক্ষুধা আর তৃষ্ণা নিবারণ করে চলেছে। এই দরবারে নারী পুরুষ ও জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে অগণিত ভক্তের এক মহামিলন কেন্দ্র, এক মহাতীর্থভূমি আজ। হযরত গাউছুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী মাওলানা শাহসূফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) কেবলা এবং হযরত মাওলানা শাহসূফি সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (কঃ) কেবলার বেছালের পর মাইজভান্ডারী ত্বরিকা প্রচার-প্রসারে যে মহান অলি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন, তিনি হলেন সৈয়দ শফিউল বশর মাইজভান্ডারী (কঃ) কেবলা। উনার জীবন কর্ম ও আদর্শ অনুস্মরণ করে আমরা ইহকালীন ও পরকালীন শান্তি লাভ করতে পারি।

    এসময় শাহজাদা সৈয়দ নুরুল বশর মাইজভান্ডারী, আশেকানে মাইজভান্ডারী এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ছালাম সরকার, এয়াকুব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. এয়াকুব, মাওলানা শায়েস্তা খান, মাওলানা নিজামুল হক শেরেবাংলা, খাদেম ওহাব মাইজভান্ডারী, খাদেম আবুল হাসেম, কামাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    রাতে মিলাদ মাহফিল শেষে বিশ্বের সকল উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরী মোনাজাত এবং তবারুক বিতরণ করা হয়।

    উল্লেখ্য, সৈয়দ শফিউল বশর মাইজভান্ডারী ১৩২৫ বঙ্গাব্ধ ৭ ফাল্গুন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের প্রখ্যাত অলীয়ে সাধক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারীর জীবদ্দশায় মাইজভান্ডারী তরিকার সাধক ও এই তরিকার প্রচারক ছিলেন। গ্রাম্য মক্তবে প্রাথমিক শিক্ষা, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে অধ্যয়ন করেন। পরে ভারতের আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন ১৯৩২ সনে। সেখানে শিক্ষা সমাপ্ত করে নিজ গ্রাম মাইজভান্ডার শরীফে প্রত্যাবর্তন করেন এবং শিষ্য রুপে তার পিতার নিকট হতে আধ্যাত্ম জ্ঞান সাধানায় আত্মনিয়োগ করেন। ২০০২ সালে তিরাশি বৎসর বয়সে তিনি ইন্তকাল করেন। মাইজভান্ডার শরীফে তার সমাধিকে ঘিরে মদিনা মনোয়ার ডিজাইনে দৃষ্টি নন্দন ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যে তার মাজার প্রতিষ্টার কাজ চলছে। ৭ ফাল্গুন তার খোশরোজ শরিফে লাখো আশেক-ভক্তের সমাগম ঘটে।

  • কনকনে শীত উপেক্ষা করে মাইজভান্ডারে আশেক-ভক্তের ঢল নেমেছে

    কনকনে শীত উপেক্ষা করে মাইজভান্ডারে আশেক-ভক্তের ঢল নেমেছে

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: একতারা, দোতারা, হারমোনি, তবলার তালে তালে কনকনে শীত উপেক্ষা করে মাইজভান্ডারে আশেক-ভক্তের ঢল নেমেছে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবুজ পতাকা ও ব্যানারে তরিক্বতের বিভিন্ন বানী এবং আল্লাহ, রাসুল (দ.) এবং মাইজভান্ডারী তরিক্বতের শ্লোগাণের সাথে গাইছে- মাইজভান্ডারে উঠেছে ঐ তৌহিদের নিশাণা-ঘুমাইঘোনা মায়া ঘুমে আখেরী জমানা/কেন চিনলি নারে মন-গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী মাওলানা কেমন…./ চলরে মন ত্বরায় যায় বিলম্বের আর সময় নাই, গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী স্কুল খুলেছে, এ স্কুলের এমনি ধারা বিচার নাই জোয়ান বুড়া, সিনায় সিনায় লেখাপড়া শিক্ষা দিতেছে….।

    পাক ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত অলি-এ-কামেল, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের আধ্যাত্ম শরাফতের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশে মাইজভান্ডারী তরিকার প্রবর্তক গাউসুল আজম হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.)-এর ১১৭তম বার্ষিক ওরশ শরীফ মহান ১০ মাঘ (২৪ জানুয়ারি) উপলক্ষ্যে তাই গতকাল রবিবার থেকে তিন দিনের কর্মসূচী শুরু হয়েছে। গত ২-৩দিন পূর্ব থেকে দেশ-বিদেশের লাখো ভক্তের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে মাইজভান্ডার শরীফে। আজ সোমবার সকাল ১০টায় গাউছিয়া আহমদিয়া (শাহ এমদাদীয়া) মনজিলের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ এমদাদল হক মাইজভান্ডারী (ম.জি.আ) এবং বিকাল ৩টায় দরবারে-গাউছিয়া আহমদিয়া মনজিলের সাজ্জাদানশীন ডা. সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভান্ডারী (ম.জি.আ), সাজ্জাদানশীন সৈয়দ শহিদুল হক মাইজঅবন্ডারী (ম.জিআ), মাইজভান্ডার গাউছিয়া হক মনজিলের সাজ্জাদানশীন সৈয়ম মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী (ম.জি.আ), ষৈয়দ মুনিরুল হক মাইজভান্ডারী (র.) শাহজাদাদ্বয় মুন্তাজেম সাজ্জাদানশীন সৈয়দ আহমদ হোসাইন শাহরিয়ার মাইজভান্ডারী (মজি.আ) এবং সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন সোহেল মাইজভান্ডারী (ম.জি.আ), মাজার শরীফে গোসল শরীফ ও গিলাফ ছড়ানোর মাধ্যমে ওরশের মুল আনুষ্টানিকতা শুরু করবেন। আগামীকাল মঙ্গলবার বার রাত ১২টায় এবং রাত ০১টায় স্ব-স্ব মঞ্জিলের শাজ্জাদানশীনেদের আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে ওরশের আনুষ্টানিকতা শেষ হবে। এ উপলক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

    শতাদিক বৎসরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর এই মহান অলীর ওফাত (তিরোধান) দিবসের স্মরণে বংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বার্মা, ইরাক, ইরান, তুরষ্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বহু দেশ হতে আগত লক্ষ লক্ষ ভক্ত অনুরক্ত আশেকের সমাগমে মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হবে। গাউসুল আজম মাইজভান্ডারী ট্রাষ্ট পরিচালনাধীন প্রতিষ্ঠান ও অছি-এ-গাউসুল আজম মাওলানা শাহসুফী সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভাণ্ডারী কর্তৃক মনোনীত মোন্তাজেম, সাজ্জাদানশীন ও জিম্মাদার আওলাদসহ মাইজভান্ডারের প্রতিটি মনজিল এবছর ১ মাঘ থেকে ১০ দিন ব্যাপী মাইজভান্ডারী তরিকার মানবিক শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা, সামাজিক কর্মকান্ড, এবাদতবন্দেগী, মাইজভান্ডারী সেমা মাহফিলসহ ব্যাপক আয়োজন করেছে।

    গতকাল মাইজভান্ডার শরীফ ঘুরে দেখা গেছে প্রতি বছরের ন্যায় ১০মাঘ মাইজভান্ডার শরীফের ওরশ উপলক্ষ্য করে মাইজভান্ডারের ৩/৪ মাইল এলাকায় বিশাল মেলা বসেছে। এতে কৃষি ব্যবহার্য্য পণ্য, কুঁটির শিল্প উৎপাদিত পণ্য, গ্রামীণ গৃহস্থালী সামগ্রী, ডালা, কুলা দা, বটি, বেলুণ, কাঠের পিড়া, মোড়া, পিটা তৈরীর বিভিন্ন চাচ, চুড়ি, বাশি খেলনা, মোলা-ওড়া ইত্যাদিবেশ বিকিনিকি হচ্ছে।

    এদিকে ১০মাঘ ওরশ উপলক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা ও থানা প্রশাসন ব্যাপক আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রহমান সানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক সমন্বয় সভায় গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর মাজার ও মাইজভান্ডার শরীফ এলাকায় ক্লোজ-সার্কিট ক্যামরার মাধ্যমে সার্বক্ষনিক নজরদারি করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন রাখা, নাজিরহাট নতুন রাস্তার মাতায়, ফটিকছড়ি সদরে ও নানুপুর লায়লা-কবির কলেজ মাঠে যানবাহন পার্কিং, স্ব স্ব মনজিলের ব্যবস্থাপনায় লাইটিং করা, মাইজভান্ডার পুকুর আবর্জনা মুক্ত রাখা, প্রয়োজনীয় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা, স্ব-স্ব মনজিলের পোষাক পরা সেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা, মহিলাদের চলাচলের স্থানে মহিলা সেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা, আযানের সময় সকল প্রকাল মাইকিং বন্ধ রাখা, নির্দিষ্ঠ সময়ের পরে গরু-মহিষ হাদিয়া প্রবেশ বন্ধ রাখা, পর্যাপ্ত পরিমানে ভ্রাম্যমান স্যানিটেশন ব্যবস্থা করা, গুরুত্বপূর্ণ সিধান্তের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ সব সবস্থানে পুলিশি টহল জোরদারকরা, সকল প্রকার যোগাযোগের জন্য একটি তথ্য কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    দরবারে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের শাহজাদা সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইনন সোহেল মাইজভান্ডারী জানান, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর ওরশে শরীফে বংলাদেশের প্রত্যন্ত
    অঞ্চল ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বার্মা, ইরাক, ইরান, তুরষ্ক সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেও ধর্মপ্রাণ মুসলমান সহ লাখো সুফী ভক্ত-আশেকগণের সমাগম ঘটে। আমরা ১০দিন ব্যাপী হযরতের মানবিক গুনাবলীর সমন্বয়ে মানবিক ও সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছি।

    শাহ এমদাদীয়ার নায়েবে শাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারী জানান, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর ওরশে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো ভক্তের সুবিধাত্বে থাকা-খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.)র জীবনী, শান-মান সম্ভলিত বিশেষ ক্রোড়পত্র বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশের ব্যবস্থা হয়েছে।

    ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাসুদ বলেন, ১০মাঘ ওরশ উপলক্ষে পূলিশ ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আইন- শৃংখলা রক্ষায় থানা পুলিশ-র‌্যাব-আনসার ও দুই সহস্রাদিক বিশেষ সেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

    ফটিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাব্বির রহমান সানি বলেন, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর ওরশ উপলক্ষে ক্লোজ-সার্কিট ক্যামরা ও ভিডিও চিত্র ধারণের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক নজরদারি করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিধান্তের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সমন্বয়ে ভ্রাম্যমান আদালত সব সময় টহলরত থাকবে। সকল প্রকার যোগাযোগের জন্য একটি তথ্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

    পটভূমি: সৈয়দ হামিদ উদ্দীন গৌড়ী ১৫৭৫ সালে ইসলাম প্রচার মানসে চট্টগ্রামে আগমন করে পটিয়া থানার কাঞ্চননগরে বসতি স্থাপন করেন। তারই বংশধর মাওলানা সৈয়দ মতিউলাহর সৈয়দ মতিউলাহর পবিত্র ঔরসে ১৮২৬ সালে, হিজরী ১২৪৪, ১২৩৩ বাংলা ১লা মাঘ, বুধবার জোহরের সময় হযরত শাহ সুফী সৈয়দ আহমদ উলাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) জন্ম গ্রহন করেন। ১২৬০ হিজরিতে তিনি উচ্চশিক্ষার্থে কলকাতা গমন, ১২৬৮ হিজরিতে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার শেষ পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাস করেন এবং হাদিস, তাফসির, ফেকাহ ইত্যাদি শাস্ত্রে বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেন। ১২৬৯ হিজরিতে যশোর জেলায় কাজী (বিচারক) পদে যোগদান করেন। ১২৭০ হিজরিতে সেই কাজী পদ থেকে পদত্যাগ করে কলকাতার মুন্সি বু-আলী মাদ্রাসায় প্রধান মোদাররেস পদে যোগদান করেন। তার পীর গাউছুল আজম মহিউদ্দীন আবদুল কাদের জীলানীর (রহ.) বংশধর শেখ সৈয়দ আবু শাহমা মুহাম্মদ ছালেহ আল কাদেরী লাহোরী (রহ.) এর নিদের্শে ১৮৫৭ সালে নিজ গ্রাম মাইজভান্ডারে ফিরে আসেন।
    কিছুদিনের মধ্যেই তার কামালিয়তের কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঐশী- প্রেম পিপাসু সাধক ও দোয়া প্রত্যাশীদের ভিড়ে এই সাধকের পবিত্র বাসগৃহ আধ্যাত্মিক দরবারে পরিণত হয়। লোকসমাজে পরিচিতি পায় মাইজভান্ডার দরবার শরিফ হিসেবে। তিনি একমাত্র বাঙ্গালী সূফী সাধক। যিনি বাংলার জমিনে স্বতন্ত্র এক তরিকা প্রতিষ্টা করেন। যার নাম মাইজভান্ডারী তরিকা। ৭৯ বছর বয়সে ১৯০৬ ক্রিস্টাব্দে ১০ মাঘ সোমবার রাতে ইহধাম ত্যাগ করেন এ মহান সুফি সাধক। তার ওফাত দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর ৮, ৯ ও ১০ মাঘ ৩ দিনব্যাপী ওরশ শরিফ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশ- বিদেশের লাখ-লাখ আশেক-ভক্তের সমাগম ঘটে।

  • উম্মাহর জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক রূপরেখা বেলায়তে মোতলাকা:সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)

    উম্মাহর জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক রূপরেখা বেলায়তে মোতলাকা:সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)

    দূর দূরান্ত থেকে শুভ্রতার প্রতীক ফুল হাতে নিয়ে আসা ভক্ত জনতার অংশগ্রহণে বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত শাহ্ সুফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর ৯৪তম ১০ই পৌষ খোশরোজ শরিফ পালিত হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর রবিবার মাইজভাণ্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মনজিল উরস শরিফ উদযাপন কমিটির ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সাজ্জাদানশীন রাহবারে আলম হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.জি.আ)।

    সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ থেকে ১০০ বছর আগের যুগ এবং আজকের যুগের মধ্যে আসমান জমিন পার্থক্য রয়েছে। এই যুগ পরিবর্তনকে যদি গভীরভাবে গবেষকের দৃষ্টিতে আবলোকন করা হয় তাহলে বেলায়তে মোকাইয়্যাদা এবং বেলায়তে মোতলাকার বাস্তবতা সহজেই বোধগম্য হবে। এই যুগ পরিবর্তন নিয়ে অনেক বেশি গবেষণা, সভা, সেমিনার হওয়া দরকার।

    নারীদের অধিকার সম্পর্কে তিনি বলেন, পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী নারীরা সমাজের বিশেষ অংশ, সুতরাং শালীনতা ও সম্ভ্রমের মাধ্যমে তাদের কর্মের অধিকার, অর্থ উপার্জনের অধিকার, যৌক্তিক মতামত প্রকাশ ও নেতৃত্ব প্রদানের হক বিষয়ে ভাবনা-চিন্তার জন্য করা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ নারীদেরকে পরনির্ভরশীল হিসেবে যদি আমরা বিবেচনায় রাখি এবং কুসংস্কার লালন করি, তাহলে একশ কোটির উম্মাহর সদস্যের মধ্যে অর্ধেকই অনগ্রসর এবং পরনির্ভরশীল হয়ে থাকার আশংকা রয়েছে, যা অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং সামাজিক রূপান্তরের পথ রুদ্ধ করে দেবে।

    তিনি আরো বলেন, মানবসেবার মাধ্যমে আল্লাহ্ পাকের সন্তুষ্টির পথ নির্দেশনা দান করেছেন বিশ্বঅলি হযরত শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)। সব মানুষের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, মানুষকে শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখানোর শিক্ষাই তিনি শিখিয়ে গেছেন। তাঁর জীবনাদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে ব্যক্তি, পরিবার, জাতীয় জীবনসহ সামগ্রিক জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করে তুলতে হবে। আজকের এ দিনে আল্লাহর নবী হযরত ঈসা (আ.) পৃথিবীতে তশরিফ এনেছেন তাওহীদ, মানুষে মানুষে ভালবাসা এবং প্রেম-প্রীতির বাণী নিয়ে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বক্তব্য সমাপ্ত করেন।

    কেন্দ্রিয় মাহফিলে ‘পবিত্র কুরআন-হাদিসের আলোকে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদ’বিষয়ে মাওলানা মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, ‘যাকাত প্রদানে নারীর হক’বিষয়ে মাওলানা মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন, ‘সুফিদের জজবায়ী কালাম’বিষয়ে মাদরাসা-ই-গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর আরবি প্রভাষক মাওলানা মুহাম্মদ মুজিবুল হক, ‘তাসাওউফ জগতে প্রেমধারা এবং হযরত ঈসা (আ.)’ বিষয়ে নেছারিয়া কামিল মাদরাসার ফকিহ্ মাওলানা মুহাম্মদ মাওলানা এ বি এম আমিনুর রশিদ, ‘প্রসঙ্গ: বেলায়তে মোকাইয়াদা এবং বেলায়তে মোত্লাকা যুগ’বিষয়ে সাতগাছিয়া দরবার শরিফের সাজ্জাদানশীন মাওলানা আবুল ফজল মুহাম্মদ ছাইফুল্লাহ্ সুলতানপুরী, ‘পূর্ববর্তী যুগে প্রণীত ফিক্বহি কিতাবাদী এবং বর্তমান পরিবর্তিত বিশ্ব বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মিজানুস্ সালাম জামে মসজিদের খতিব ড. মাওলানা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজহারী আলোচনা করেন।

    আখেরি মুনাজাতে মাইজভাণ্ডারশরিফ গাউসিয়া হক মনজিলের সাজ্জাদানশীন হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.) মুসলিম উম্মাহর শান্তি, নিপীড়িত মানবতার মুক্তি ও দেশবাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনা করেন। তিনি এদেশকে আরো উন্নত ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করতে এবং বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের জন্যে মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে ফরিয়াদ করেন। তাঁর দূরদর্শী ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের উন্নয়নের যে মাইলফলক স্থাপিত হয়েছে তা আরো বেগবান করতে এবং সকল সংকট দুর করে সকলের অন্ন-বস্ত্র-শিক্ষা-বাসস্থান-চিকিৎসা তথা মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার চেষ্টায় সফলতার জন্যে তিনি মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে বিশেষভাবে ফরিয়াদ জানান।

    খোশরোজ শরিফ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল খোশরোজ শরিফের দিন স্থানীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, দরবার শরিফ এলাকায় উপদেশ ও দিক-নির্দেশনা সম্বলিত প্রচার, বিশুদ্ধ পানীয় জল, ওযু এবং অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা, নগরের মুরাদপুর হতে দরবার শরিফ পর্যন্ত বিআরটিসি’র বিশেষ বাস সার্ভিস।

  • শাহানশাহ মাইজভাণ্ডারী জাগতিক ও আধ্যাত্মিক সাধনা পরিচর্যায় অনন্ত যাত্রার সুখ শান্তির পথ: সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী

    শাহানশাহ মাইজভাণ্ডারী জাগতিক ও আধ্যাত্মিক সাধনা পরিচর্যায় অনন্ত যাত্রার সুখ শান্তির পথ: সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:সুন্দর ও শুভ্রতার নির্মল প্রতীক ফুল হাতে নিয়ে ভক্ত-জনতা নিজেরাই হাদিয়া হিসেবে বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ৯৪তম খোশরোজ শরিফে অংশগ্রহণ করে এক বিরল নজির সৃষ্টি করেছে।

    রোববার (২৫ ডিসেম্বর) মাইজভান্ডার দরবার শরিফে বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক
    মাইজভান্ডারী (ক.) খোশরোজ শরিফ যথাযোগ্য মর্যাদায় মাইজভান্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মন্জিলে অনুষ্ঠিত হয়। মাইজভান্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশের দেশ-বিদেশের শাখা কমিটিসমূহের সদস্যবৃন্দ বিশাল বিশাল র‌্যালি নিয়ে খোশরোজ শরিফে অংশগ্রহণ করেন।

    খোশরোজ শরিফ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের মধ্যে শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারীর মাযার শরিফসহ
    গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী, গাউসুল আযম বিল বিরাসত বাবাভান্ডারী ও হযরত সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারীর মাযার শরিফ জিয়ারত, নফল নামায, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির আজকার ও দরূদ পাঠের পর অশ্রুসিক্ত নয়নে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের দরবারে নিজেদের ফরিয়াদ পেশ করেন।

    রবিবার বাদ ফযর মাযারে গিলাফ চড়ানো, স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, হুজুরের জীবনী নিয়ে লেখা জনপ্রিয় পত্রিকায় প্রবন্ধ প্রকাশ, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান, খতমে কোরান, খতমে গাউসিয়া শরিফ, খতমে খাজেগান, মিলাদ ও মোনাজাতে প্রয়াত আশেক-ভক্তদের রূহের মাগফিরাতসহ সকলের সার্বিক কল্যাণ কামনা করা হয় এবং সারাদিন ব্যাপী ক্যাম্পে ক্যাম্পে জিকির-আজকার ও মাইজভান্ডারী কালাম পরিবেশনের পর রাত ১২টায় সাজ্জাদানশীন রাহবারে আলম হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী আখেরী মুনাজাত করেন।

    মাহফিলে ‘তাসাওউফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় মাইজভান্ডারীয়া ত্বরিকা’, ‘কোরআন সুন্নাহর আলোকে গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (ক.)’, ‘বেলায়তে মোত্লাকার আলোকে সপ্ত কর্মপদ্ধতি ও শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (ক.)’, ‘মানব দরদী শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী’ এবং ‘শাহানশাহ্ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারীর জীবনী আলোচনা’য় অংশগ্রহণ করেন- দেশ বরেণ্য আলেম ওলামা শিক্ষক চিকিৎসক সাংবাদিক বুদ্ধিজিবীগণ।

    এতে সাজ্জাদানশীন সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী বলেন, শাহানশাহ মাইজভান্ডারী জাগতিক ও আধ্যাত্মিক সাধনা পরিচর্যার একজন সুমহান পথপ্রদর্শক। তার প্রদর্শিত পথ অনুস্মরণেই  অনন্ত যাত্রার সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ। ওই পথেই ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনাচরণে নিরহংকার, নিঃস্বার্থ, লোভ ও প্রতিহিংসা পরায়ণতা এবং মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত রাখার নিরন্তর সাধনা। আশ্রাফুল মাখ্লুকাত’ হিসেবে নিজেদের যথাযোগ্য মর্যাদায় গড়ে তুলতে হলে ‘মা’ জাতির প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন সহ ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনাচরণে অহংকার, স্বার্থ, লোভ ও প্রতিহিংসার উর্ধ্বে উঠে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত রাখার চেষ্টাই হবে নিরন্তর সাধনা এবং সততা, নীতি নৈতিকতা ও সর্বক্ষেত্রে শুদ্ধ জীবন যাপনই হবে স্রষ্টা পথের পাথেয়। পরে তিনি দেশে এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণ কামনায় আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন।

  • ১০ মাঘ মাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন

    ১০ মাঘ মাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন

    গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারীর একক উত্তরাধিকারীর পৌত্র অছি-এ-গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারী কর্তৃক মনোনীত মোন্তাজেম [চার্জ] আলহাজ্ব শাহসুফি সৈয়দ মুনিরুল হক মাইজভাণ্ডারীর আওলাদদ্বয়ের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় মহান ১০মাঘ মোতাবেক ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ইং মঙ্গলবার মাইজভাণ্ডারী ত্বরীকার মহান প্রবর্তক গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারী মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) প্রকাশ হযরত ছাহেব কেবলা কাবার ১১৭তম বার্ষিক মাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফ দরবারে গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারী গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হবে।এই উপলক্ষ্যে আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি এবং ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির যৌথ প্রস্তুতি সভা গত ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বা’দ এশা গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সকল কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ,সকল দায়রা ও শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ, ওরশ শরীফের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজার, সুপ্রিম সুপারভাইজার, বিভাগীয় পরিচালকগন উপস্থিত হয়।

    সভায় সমাপনী খোৎবা পেশ করেন ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শাহসুফি সৈয়দ আহমদ হোসাইন শাহরিয়ার মাইজভাণ্ডারী। শোকরানা বক্তব্য পেশ করেন সহসভাপতি আলহাজ্ব শাহসুফি সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন সোহেল মাইজভাণ্ডারী। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহকারী সচিব মাওলানা মুহাম্মদ হাসানের সঞ্চালনায় সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আলহাজ্ব কাজী মুহাম্মদ জানে আলম বাবুল ও সচিব নাজমুল হাসান মাহমুদ শিমুল।বক্তব্য রাখেন,মুহাম্মদ মুফিজুল আলম,কফিল উদ্দিন, লালন ওসমান,মুহাম্মদ মহসিন,নুরুল কবির মাসুদ,মোস্তাফা কায়সার মাহমুদ সুজন, ইউপি সদস্য তৌহিদুল আলম, আলহাজ্ব আহমদ গনী চৌধুরী, আজগর হোসেন খাঁন।অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ, আলহাজ্ব জাফর আহমদ,আকতারুল ইসলাম, আলহাজ্ব জানে আলম কোম্পানী,মোবারক হোসেন প্রমুখ।

    এছাড়া মাইজভাণ্ডার শরীফের পাঁচ পাড়া সমাজ প্রতিনিধিবর্গরাও উপস্থিত ছিলেন।পরিশেষে মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গনী।

  • ১১৭তম মাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফের প্রস্তুতি সভা বৃহস্পতিবার

    ১১৭তম মাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফের প্রস্তুতি সভা বৃহস্পতিবার

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারীর ১১৭তম মাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফ (মহান ১০মাঘ) এর প্রস্তুতি সভা বৃহস্পতিবার মোন্তাজেম আলহাজ্ব শাহসুফি সৈয়দ মুনিরুল হক মাইজভাণ্ডারী (রহ.)’র স্থলাভিষিক্ত জিম্মাদার সৈয়দ আহমদ হোসাইন শাহরিয়ার মাইজভাণ্ডারী (ম.) ও সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন সোহেল মাইজভাণ্ডারী (ম.) দ্বয়ের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় মোতাবেক ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি এবং ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির যৌথ প্রস্তুতি সভা গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

    উক্ত সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সকল কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ,সকল দায়রা ও শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ,ওরশ শরীফের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজার, সুপ্রিম সুপারভাইজার, বিভাগীয় পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী মুহাম্মদ জানে আলম বাবুল।

  • মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ হলো মানবতাবাদ চর্চার অনুপম কেন্দ্র

    মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ হলো মানবতাবাদ চর্চার অনুপম কেন্দ্র

    মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ হলো মানবতাবাদ চর্চার অনুপম কেন্দ্র। এই দরবার ধারণ করেছে বাঙালিত্বের সুমহান চেতনা।

    শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারি ট্রাস্ট মানবতার সেবায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। যা মানবতার অনন্য এক নিদর্শন।

    আর এই ট্রাষ্ট থেকে প্রকাশিত গ্রন্থ সমুহ পাঠ করলেই মানুষ সুফিবাদ চর্চা, মানবতাবাদ ও ধর্ম চর্চায় সুনিপুন ধারণা পাবে যা পরলেীকিক জগতের পাথেয় হবে।

    মাউজভাণ্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি সূর্যগিরি আশ্রম শাখার সাথে ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন এর সাথে সৌজন্যে সাক্ষাতে ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

    সাক্ষাৎ শেষে ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনারকে হযরত জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট কর্তৃক প্রকাশিত বেলায়তে মোতালেকা, হযরত গাউসুল আযম মাইজভান্ডারীর জীবনী শরীফ, জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর জীবনী শরীফ, লায়ন বরুণ কুমার আচার্য বলাই প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু, মজেছি তোমারে প্রেমে স্বর্গ সুখ চাইনা ও আসুন সৃজনশীলতার চাষ করি বই গুলি প্রদান করা হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আলী আব্বাস, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন রেজা, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সাংবাদিক নাছির উদ্দিন হায়দার, সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ, সাংবাদিক নুপুর দে, সাংবাদিক রাজেশ চক্রবর্তী, যিশু সেন, সংগঠনের সভাপতি পন্ডিত তরুণ কুমার আচার্য কৃষ্ণ, সাধারণ সম্পাদক রুবেল শীল, লায়ন ডা. বরুণ কুমার আচার্য, ঝুমুর সর্দ্দার সুমন, সমীর কান্তি দাশ, কৃষ্ণ বৈদ্য, শিপ্রা বসু মল্লিক, সোমা চৌধুরী, কাশ্মিরি দাশ প্রমুখ।

    ২৪ ঘন্টা/রাজীব