Tag: মাঈনুদ্দিন খান বাদল

  • ভোট আইলে ত বোত রম কথা উনা যা, পরে খবর ন থা

    ভোট আইলে ত বোত রম কথা উনা যা, পরে খবর ন থা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।পূজন সেন, বোয়ালখালী : ‘বোয়ালখালীর কোঁয়াল আঁরা বছরই খালি। নির্বাচন আইয়ের যার, আঁরার কথা কনে উনের। ভোট আইলে ত বোত রম কথা উনা যা, পরে খবর ন থা’ (বোয়ালখালীর কপাল সারা বছরই খালি। নির্বাচন আসে যায়। আমাদের কথা কে শোনে। নির্বাচন আসলে অনেক রকম কথা শোনা যায়, পরে খবর থাকে না । কথা গুলো চাটগাঁর আঞ্চলিক ভাষায় বলছিলেন বোয়ালখালী উপজেলার একটি চায়ের দোকানে বসা ষাটোর্দ্ধ আবু হাশেম।

    তিনি বলেন, ‘বাদল ভালা মানুষ আঁ-ছিল। যেঁ-তে এ্যাঁ-তে কথা কইত পাইরতাম। এ-রইম্যা মানুষ ত ন দেই-র। আঁ-র বাড়ির সবুরইজ্যার পোঁয়াও নেতা অই গিয়ে। কথা ন উনে, কাজ কামও ন গরে। বই বই খাঁ।’(প্রয়াত সাংসদ বাদল ভালো মানুষ ছিলেন। যখন তখন কথা বলতে পারতাম। তার মতো মানুষ দেখছি না। আমাদের বাড়ির সবুরের ছেলেও নেতা হয়ে গেছে। কথা শুনে না, কাজ করে না। বসে বসে খায়।)

    চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে ভোট কাকে দিবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আঁরার খবর যি-বা লইবু, যার কাছে আঁরা যাইত পাইরযুম, কথা কইত পাইরযুম তারে ভোট দিউম। উন্নি দি, অন ত বলে ভোট দ-ন ন পরে। তারপরও যাইয়ুম চাই।’ (আমাদের খবর যে নিবে, তার কাছে আমরা যেতে পারবো, কথা বলতে পারবো তাকে ভোট দেবো। শুনেছি, এখন তো বলে ভোট দিতে হয় না। তারপরও যাবো দেখি।)

    নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে যিনি পারবেন এমন ব্যক্তিকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার কথা জানালেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল কালাম।

    ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দিন খান বাদল। এ নিয়ে তিনি এ আসনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ৭ নভেম্বর ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে এ আসন শূণ্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তাঁর মৃত্যুর পরপরই এলাকার নতুন সংসদ সদস্য কে হবেন তা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা শুরু হয়।

    তাঁর মতো গণমানুষের কাছের মানুষ জনপ্রতিনিধি হবেন এমন প্রত্যাশায় বুক বাঁধে এলাকাবাসী। শোকের মাঝেও ছিলো বাদলের আসনের উত্তসূরী কে হচ্ছেন তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা। শেষতক এ আসনে উপ-নির্বাচনের সময় বেঁধে দিয়ে ঘোষণা হয় উপ নির্বাচনের তফশীল।

    নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ নির্বাচন আগামী ১৩ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ৮ প্রার্থী অংশ নিলেও গত ১৫ ডিসেম্বর দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন ঋণ খেলাপির অভিযোগে বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন। ওইদিন ৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন।

    মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন গণফ্রণ্টের উত্তম চৌধুরী ও জাপার প্রার্থী জিয়া উদ্দিন বাবলু। তবে মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করে আপিল শুনানিতে ফের বৈধতা ফিরে পাই জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ বাবলু।

    ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেন ১৯জন প্রার্থী। বিএনপি থেকে মনোনয়ন চান ৩প্রার্থী। এরমধ্যে নৌকার প্রার্থী কে হচ্ছেন তাও নিয়ে বিরাজ করে টানটান উত্তেজনা।

    গত ১০ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের এক সভায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদকে মনোনীত করেন আওয়ামী লীগ। মোছলেম উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। নগর, জেলা, উপজেলার আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা সক্রিয় হয়ে ওঠেন মোছলেম উদ্দিনের পক্ষে।

    অন্যদিকে বিএনপি’র মনোনয়নে প্রার্থী হন দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। তবে বিএনপি থেকে সরে আসা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ খান স্বতন্ত্রপ্রার্থী হওয়ার বাসনায় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও শেষতক তা জমা দেননি।

    এদিকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনি মাঠে হাওয়া গরম করে দেন জিয়া উদ্দিন বাবলু। তবে তাতে ভাটা পড়ে যায় গত ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের মনোনয়ন যাছাই-বাচাইয়ের দিন। তবে ঋণ খেলাপির আপত্তিতে বাতিল হয়ে যাওয়া মনোনয়ন পত্র ফিরে পেতে এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতায় ফিরে আসতে তিনি আপিল করেন।

    আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আপিল শুনানি শেষে বাতিল হওয়া মনোনয়ন পত্রের ফের বৈধতা ফিরে পান বাবলু। আরো খবর : আপিল শুনানিতে বৈধ হল বাবলুর মনোনয়ন

    এছাড়া নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশানালিস্ট ফ্রণ্টের(বিএনএফ) প্রার্থী আবুল কালাম আদাজ, ইসলামিক ফ্রণ্টের প্রার্থী ফরিদুল আলম, ন্যাপের প্রার্থী বাপন দাশগুপ্ত ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী এমদাদুল হক।

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৩ জানুয়ারি সকাল ৯ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৮৯টি কেন্দ্রে ইল্কেট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম-৮ আসনে ভোটার রয়েছেন ৪লক্ষ ৭৫হাজার ৯৯৬ জন।

    এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লক্ষ ৪১হাজার ৯২২জন। মহিলা ভোটার ২লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৪জন। তৎমধ্যে নগরের ৫টি (৩-৭) ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছেন ৩ লক্ষ ১১হাজার ৯৯৬জন। বোয়ালখালী (শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়ন ব্যতীত) উপজেলায় ১ লক্ষ ৬৪হাজার ভোটার।

  • চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন ১৩ জানুয়ারি

    চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন ১৩ জানুয়ারি

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি মঈন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে শূণ্য হওয়া আসনে উপনির্বাচন ১৩ জানুয়ারি।

    মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ১২ ডিসেম্বর। যাচাই-বাছাই ১৫ ডিসেম্বর। প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ ডিসেম্বর। এ আসনে সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হবে।

    রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে তফসিল ঘোষণা করেন সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

    তিনি বলেন, এ সময় বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া পৌরসভা, চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    গত ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদল ভারতের বেঙ্গালুরুতে নারায়ণ হৃদরোগ রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

  • সিংহপুরুষ মাঈনুদ্দিন খান বাদল, বেঁচে থাকবেন হৃদয়ের মনিকোঠায়-নওফেল

    সিংহপুরুষ মাঈনুদ্দিন খান বাদল, বেঁচে থাকবেন হৃদয়ের মনিকোঠায়-নওফেল

    রাজীব সেন প্রিন্স : 
    মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও পার্লামেন্টারিয়ান মঈনউদ্দিন খান বাদল আর নেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরো একজন বিরল প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ কে হারালো, এ এক অপূরনীয় ক্ষতি। জাতীয় সংসদ আর জাতীয় রাজনীতি, হয়তোবা এই সিংহের গর্জন আর শুনবেনা, কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ, আদর্শিক রাজনীতির এই সিংহ পুরুষকে আজীবন স্মরণ করবেন। বেঁচে থাকবেন আমাদের প্রিয় মাঈনুদ্দিন খান বাদল, আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায়।

    প্রয়াত পিতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সাংসদ মাঈনুদ্দিন খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ঠিক এভাবেই নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ও মহিউদ্দিনপুত্র ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার ১০টা ৫৭ মিনিটে তার ভেরিফাইড ফেসবুক ফেইজে আবেগঘন এক স্ট্যাটাসে এসব কথা উল্লেখ করেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের স্টাটাসটি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজের পাঠকের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো।

    মাঈনুদ্দিন খান বাদল। বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় নেতা, অনলবর্ষী বক্তা, সংসদ সদস্য, বীর চট্টলার গৌরব, আরো অনেক কিছুতেই তাকে সম্বোধন করা যায়। না ফেরার দেশে তিনি আজ থেকে থাকবেন। ইন্না-লিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন। মনে হচ্ছে যেনো আবারো পিতৃহারা হলাম।

    দুবছর আগে হঠাৎ স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়েছিলেন যখন, তখন তার বন্ধু মহিউদ্দিন চৌধুরীও গুরুতর ভাবে অসুস্থ, হাসপাতালে। খুব আফসোস করতেন বন্ধুকে দেখে যেতে পারেননাই। অশ্রু সজল নয়নে স্মরণ করতেন। আজ থেকে আমরা তাকে স্মরণ করবো।

    চট্টগ্রামের স্বার্থে, মুক্তিযুদ্ধের স্বার্থে, দেশের সাধারন মানুষের স্বার্থে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে কোথায় ছিলোনা তার গর্জন? প্রথম তার সাথে আমার পরিচয় শৈশবে। এরশাদের দোর্দণ্ড শাসনের সময়। তৎকালীন পিজি হাসপাতাল, আজকের বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের রাজবন্দীদের কক্ষে। আমার বাবা মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রিজন সেলের সহবন্দী ছিলেন। এরশাদের সাথে আপস করে মন্ত্রী হতে পারতেন, কিন্তু বেছে নিয়েছিলেন বন্দী জীবন।

    আমাকে সমাজতন্ত্র শেখাতেন, দেখতেও ছিলেন স্টালিনের মত, ইম্পোজিং ব্যক্তিত্ব। আমার বাবার সাথে হাস্যরস আর গভীর রাজনৈতিক আলোচনায় মগ্ন থাকতেন। মন্ত্রমুগ্ধের মত তার কাছ থেকে শুনতাম। পরবর্তীতে যখনই দেখা হতো, প্রতিবার তার কাছ থেকে শিখেছি।

    রাজনৈতিক আলোচনা যে শুধুই পদবির আর ক্ষমতার রাজনীতি নয় এবং রাষ্ট্রনীতি, আদর্শ, উন্নয়ন, এসবই হচ্ছে রাজনীতির মূল আলোচনা, বারবার তার সান্নিধ্যে এসে তা অনুভব করেছি এবং অনুপ্রাণিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে, তার সুযোগ্যা কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং নেতৃত্বের প্রশ্নে, সেই শৈশব থেকে দেখেছি অবিচল দৃঢ়তার সাথে তাকে বলতে।

    তিনি আর আমাদের মাঝে নাই। বাংলাদেশের রাজনীতি আরো একজন বিরল প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ কে হারালো, এক অপূরনীয় ক্ষতি। জাতীয় সংসদ আর জাতীয় রাজনীতি, হয়তোবা এই সিংহের গর্জন আর শুনবেনা, কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ, আদর্শিক রাজনীতির এই সিংহ পুরুষকে আজীবন স্মরণ করবেন। বেঁচে থাকবেন আমাদের প্রিয় মাঈনুদ্দিন খান বাদল, আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায়।

    নওফেল তার স্ট্যাটাসে প্রয়াত পিতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে মাইনুদ্দিন খান বাদলের অপর একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, খালেদা সরকার যখন তার বাল্যবন্ধুকে দেয়া চট্টগ্রামের মানুষের ঐতিহাসিক জনরায় ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে তখন সারারাত জনতাকে জাগিয়ে রাখার গুরুদায়িত্ব নেয় বাদল। বিজয়ের হাসিতে মেয়র কামরান। এদের শ্রমে ঘামে আজকের অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল সরকারের ভীত রচিত হয়েছিলো।

    ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেয়া মঈন উদ্দীন খান বাদল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম ৮ আসনের তিন তিন বারের সংসদ সদস্য। সংসদে অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে খ্যাতি ছিল তার।

    বাদলের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গত ১৮ অক্টোবর থেকে ভারতে প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হার্টফেল করায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাংসদ বাদলের ছোট ভাই মনির খান। দ্রুত সময়ের মধ্যে মরহুমের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হবে বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

    ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা বাদল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বাঙালিদের ওপর আক্রমণের জন্য পাকিস্থান থেকে আনা অস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে খালাসের সময় প্রতিরোধের অন্যতম নেতৃত্বদাতা ছিলেন বাদল।
    মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাদল সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। জাসদ, বাসদ হয়ে পুনরায় জাসদে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল গঠনেও বাদলের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।