Tag: মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী

  • ‘ভারতবর্ষে কৃষকভিত্তিক রাজনীতি ও কৃষিনির্ভর উন্নয়নশীল জাতি গঠনে মাওলানা ইসলামাবাদী অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন’

    ‘ভারতবর্ষে কৃষকভিত্তিক রাজনীতি ও কৃষিনির্ভর উন্নয়নশীল জাতি গঠনে মাওলানা ইসলামাবাদী অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন’

    তদানীন্তন ভারতবর্ষের কৃষক প্রজা পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য মজলুম জননেতা মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী চেয়েছিলেন, ভারতবর্ষে কৃষকভিত্তিক রাজনীতি ও কৃষিনির্ভর উন্নয়নশীল জাতি গঠন করতে। সে লক্ষ্যে তিনি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের সঙ্গে কৃষক প্রজা পার্টির মাধ্যমে ভারতবর্ষের জনগণকে কৃষিভিত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। পূর্ব বাংলার বৃহৎ ফসলভূমি রাঙ্গুনিয়া গুমাই বিল প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী ঐতিহাসিক কৃষক সমাবেশের মাধ্যমে মাওলানা ইসলামাবাদীর কৃষকদের জাগরণের চেষ্টা করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাঁর লিখিত অভিভাষণ কৃষক সমাজের মুক্তির সনদ হিসেবে আজও ইতিহাসে সংরক্ষিত।

    সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, সমাজসংস্কারক, রাজনীতিবিদ, কৃষক প্রজা পার্টির সেক্রেটারী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য, মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী গবেষণা পরিষদ ও চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র (সিএইচআরসি) এর উদ্যোগে ইসলামাবাদীর জীবনকর্ম বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

    চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের উপদেষ্টা বিশিষ্ট লেখক ও ব্যাংকার দুলাল কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি ইতিহাসবেত্তা সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের সঞ্চালনায় এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন প্রবীন রাজনীতিবিদ, ইসলামী স্কলার, লেখক অধ্যক্ষ স. উ. ম. আবদুস সামাদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মফিজুর রহমান। ইসলামাবাদীর জীবন ও কর্মের উপর গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট আইনবিদ, লেখক ও গবেষক এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী।

    সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত, মরমী কবি সৈয়দ সাহাবুদ্দিন মুহাম্মদ আবদুল আজিজ চন্দনাইশী, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম মোহাম্মদ একরাম হোসেন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এম এ হাশেম রাজু, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আবদুল কাদের, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ইতিহাস লেখক অধ্যাপক জাফর উল্লাহ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, রাজনীতিবিদ মাস্টার আবুল হোসেন, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান, লায়ন সি এস কে সিদ্দিকী, প্রবীণ শিক্ষাবিদ অজিত কুমার শীল, অধ্যক্ষ রতন দাশগুপ্ত, রাজনীতিবিদ মিটুল দাশগুপ্ত, প্রফেসর ড. শেখ এ রাজ্জাক রাজু, প্রাবন্ধিক আবদুল্লাহ মজুমদার, শিক্ষাবিদ কবি কুতুব উদ্দিন বখতেয়ার, মো. শহিদুল ইসলাম, বিনয়মিত্র ভিক্ষু, উপাধ্যক্ষ কবি শিহাব ইকবাল, সাংস্কৃতিক সংগঠক চৌধুরী জসিমুল হক, মো. রাজীব হোসেন রিফাত, শায়ের মো. ইসমাইল রেজা, শায়ের তৌফিক ইলাহী কাদেরী, প্রাবন্ধিক মোহাম্মদ শাহজাহান, ডা. আনোয়ারুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনজুর আলম, বিশিষ্ট ব্যাংকার আলহাজ মো. ওসমান গণি, অধ্যাপক গাজী বোরহান উদ্দিন, জেলা স্কাউটসের সহসভাপতি এস এম শাহনেওয়াজ আলী মির্জা, কবি মোহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক মো. নাজিম উদ্দিন, রাজনীতিবিদ মো. নুরুল হুদা, কবি সাফাত বিন সানাউল্লাহ, কবি শাহানুর আলম, চিত্রগ্রাহক ওচমান জাহাঙ্গীর, ইমরান সোহেল, নজরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

    সেমিনার বক্তারা বলেছেন, অনগ্রসর মুসলমান বাঙালি জাতিকে শিক্ষার মাধ্যমে আলোকিত জীবন দানের জন্য মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী আজীবন কাজ করেছেন। তিনি চট্টগ্রামের দেয়াঙ পাহাড়ে জাতীয় আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে এতে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছিলেন। চট্টগ্রামের কদম মোবারক মুসলিম এতিমখানা তাঁরই অবদানের ফসল। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য জীবনবাজি রেখে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সাথে কাজ করেছেন, জেল খেটেছেন। ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমান কর্তৃক প্রকাশিত প্রথম দৈনিক পত্রিকা হাবলুল মতিন প্রকাশ করেন। মাওলানা ভাসানীর মতো মানুষ ইসলামাবাদীর ভাবশিষ্য ছিলেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভাষাবিজ্ঞানী মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর আদর্শ চর্চা করতেন। মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী বাংলা ভাষা চর্চার জন্য লেখনির মাধ্যমে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখেন। চট্টগ্রাম তথা বঙ্গদেশের ইতিহাসের তাঁর মতো দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ অদ্বিতীয়, এখনো আমরা দেখতে পাই না। কৃষিভিত্তিক সমাজ ও দেশ উন্নয়নের জন্য তিনি নিবেদিত ছিলেন। মুসলমান অনগ্রসর জাতিকে শিক্ষার জন্য তিনি কাজ করেছেন। এতিম-অনাথ শিশুদের শিক্ষার উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম।

  • উপমহাদেশের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ছিলেন মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী

    উপমহাদেশের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ছিলেন মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী

    উপমহাদেশের মহান বিপ্লবী স্বাধীনতা সংগ্রামী সাংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিকতার পথিকৃৎ, সাহিত্যিক, দার্শনিক, লেখক, গবেষক, রাজনীতিবিদ ও চিন্তাবিদ মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী। জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে অবিস্মরণীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। সাহিত্য, রাজনীতি, সাংবাদিকতা ও সমাজসেবার ক্ষেত্রে যিনি অপরিসীম অবদান রেখেছেন, তাকে ভূলে যাওয়া মানে ইতিহাসের একটি অধ্যায়কে ভুলে যাওয়া।

    বক্তারা আরো বলেন মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী চট্টল গৌরব, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য, সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। তিনি সাহিত্যে সাধনা ও সমাজসেবা করে গিয়েছেন আমৃত্যু। তাঁর শেষ কাজ ছিল চট্টগ্রামে একটি এতিমখানা স্থাপন।

    তিনি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দেয়াং পাহাড়ের বিস্তৃত জমিও সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর আজীবন স্বপ্ন ছিল দেয়াং পাহাড়ে একটি জাতীয় আরবী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা। তিনি আরব বিশ্বের বিখ্যাত ফারসি ভাষার পত্রিকা হাবলুল মতিন এর বাংলা সংস্করণ সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন।

    ২৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল ৪ ঘটিকায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিস্থিতি২৪ডটকম এর ৭ম বর্ষ পূর্তিতে পরিস্থিতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর ৬৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা নগরীর হোটেল এশিয়ান এস.আর. এর ব্যান্কুইট হলে অনুষ্ঠিত হয়।

    পরিবেশবিদ ও পরিস্থিতি২৪ডকটম’র সম্পাদক এ. কে. এম. আবু ইউসুফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য সমাজবিজ্ঞানী-শিক্ষাবিদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

    প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ও পরিবেশবিদ লায়ন অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকার দুলাল কান্তি বড়–য়া, চট্টগ্রাম গণ-অধিকার ফোরামের মহাসচিব এম এ হাশেম রাজু, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস’র জিএম এম এ সবুর, টিআই (অ্যাডমিন) বন্দর বিভাগ এস এম শওকত হোসেন, নাট্যজন সজল চৌধুরী।

    সংগঠক ও সাংবাদিক স ম জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনবি গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, বাপউস’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, সাংবাদিক-প্রাবন্ধিক নুর মোহাম্মদ রানা, বাউপস’র সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন চৌধুরী মোর্শেদ, শিক্ষাবিদ বাবু মিন্টু কুমার দাশ, মনসুরুল হাসান জিয়া, লাবিব মার্কেটিং কোম্পানির ডাইরেক্টর এরশাদ হোছাইন, শিক্ষাবিদ শওকতুল ইসলাম।

    এতে আরো উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী ওচমান জাহাঙ্গীর, লায়ন ডা. বরুণ কুমার আচার্য বলাই, প্রাবন্ধিক আবদুল্লাহ মজুমদার, রোটারিয়ান ডা. মনির আজাদ, আবদুল্লাহ আল মুরাদ, সাংবাদিক রাজীব চক্রবর্তী, এস ডি জীবন, আবদুর রাজ্জাক, অনুতোষ দত্ত বাবু, কবি নাছির বিন ইব্রাহিম, সাংবাদিক তৌহিদুর রহমান, ইউসুফ জালাল, রোকন উদ্দিন আহমদ, ডা. অনিল কান্তি বড়–য়া, ডা. মিলন বারিকদার, সুরেশ দাশ, সমীর দাশ, সমীরন পাল, এহছান উল্লাহ, বাপ্পী, সাথী কামাল, রিদুয়ানুল হক জিদান প্রমুখ।

    উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, ইন্টারনেট প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে এবং এর প্রভাবে অনলাইন গণমাধ্যমগুলোর বিকাশের পথ সুগম হয়েছে। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ আরো সহজ ও গতিশীল হয়েছে। অনলাইন গণমাধ্যমগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় এনে সুনির্দিষ্ট নীতিমালায় পরিচালিত করা এখন সময়ের দাবি।