Tag: মাটিরাঙ্গা

  • মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বেসরকারি ভাবে বিজয়ী

    মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বেসরকারি ভাবে বিজয়ী

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : জেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামছুল হক ‘নৌকা’ প্রতীকে ৫,৭২৪ ভোটে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম এম জাহাঙ্গীর আলম ‘মোবাইল’ ৩,৭৮০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। এছাড়া বিএনপি’র শাহজালাল কাজল ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে ৩,৬৮৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

    মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই ভোট কেন্দ্রে ভোটটারদের উপস্থিতি ছিলে ব্যাপক। ভোটারদের মাঝে উৎসব মূখর আনন্দ দেখা গেছে।

    মাটিরাঙ্গা পৌর সভায় গোপন ব্যালট এর মাধমে ভোট প্রদানে ধলিয়া কেন্দ্রে মোশারফ নামে এক যুবক জাল ভোট প্রদান করতে চাইলেও প্রশাসনের হাতে ধরা পরে। পরে তাকে আটক করে নির্বাচনের পর সন্ধ্যায় ছেড়ে দেয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

    খাগড়াছড়ি নিবার্চন অফিসার ও রির্টানিং কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ জানান, রোববার সকাল থেকে ভোটাররা নিরাপদে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেছে। কোন কেন্দ্র অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও উন্নয়ন মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের প্রধান ইস্যু, বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় সরকারি দল

    শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও উন্নয়ন মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের প্রধান ইস্যু, বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় সরকারি দল

    নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি : আগামীকাল (১৪ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং উন্নয়নই ভোটারদের কাছে প্রধান ইস্যু। কিন্তু আওয়ামীলীগের ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী এবং বর্তমান মেয়র মো: শামছুল হক’র সাথে বিদ্রোহ করে অপেক্ষাকৃত তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা এম এম জাহাঙ্গীর আলম ‘মোবাইল’ প্রতীকে নির্বাচনে মাঠে নামায় অশান্তির নানা গুঞ্জনও প্রতিদিন ডালপালা ছড়াচ্ছে। তবে ২৫ বর্গকিলোমিটারের এই পৌরসভার প্রায় উনিশ হাজার ভোটারের মধ্যে বিএনপি প্রার্থী মো: শাহজালাল কাজল’র ‘ধানেরশীষ’ প্রতীকের জোরালো সমর্থন লক্ষণীয়।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত বি-গ্রেডের এই পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৫ জন। ২৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মূল সড়ক ব্যতীত অন্যান্য সড়কগুলোর অবস্থা ভালো নয়। মাটিরাঙ্গা বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। সাধারণ ভোটাররা এসব ইস্যু নির্বাচনের প্রধান বিষয় হিসেবে গুরুত্ব দিচ্ছে।

    এছাড়াও মাটিরাঙ্গায় বিভিন্ন দল, মত, সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার ইস্যুটিও সব সময় প্রাধান্য পায়।

    মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নির্বাচনে উন্নয়ন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মাদক নিয়ন্ত্রণ বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে ভোটারদরে মন জয় করতে ব্যস্ত রয়েছেন। মাটিরাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।

    বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে এখনো কোন অভিযোগ করেননি। অবশ্য আওয়ামীলীগের পথের কাটা ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’র যত অভিযোগ ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই।

    স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমরা সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। বলছেন নির্বাচনের পরে বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে আমার সমর্থকদের হয়রানি করা হবে। এখনো সময় আছে মোবাইল মার্কার পরিবর্তে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা করার, কেননা যেই ভোট পায় না কেন ঘোষণা করা হবে নৌকার নাম।

    তিনি আরো বলেন, গত সোমবার ৩১ জানুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় আমি এসব বিষয় মৌখিকভাবে জানিয়েছি।

    অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল হক বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী যেসব অভিযোগ করছেন তা ভিত্তিহীন। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে মিথ্যাচার করছে দলের এবং আমার বিরুদ্ধে। তিনি দলের বাইরে এমন কোন কর্মকাণ্ড করেননি যে ভোটাররা তাঁকে ভোট দিবে। বরং তাঁর লোকজনই আমার সমর্থকদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে। নির্বাচনের পরাজয়ের আশঙ্কায় তিনি নানা ধরনের দোষ চাপাচ্ছেন।

    বিএনপির প্রার্থী শাহ জালাল বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় এখনো পর্যন্ত কোন বাধাবিপত্তি আসেনি। যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই ভোটাররা তাকে গ্রহন করছে। যদি সুষ্ঠ ভোট হয় তিনিই জয়ী হবেন। তবে অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে তিনিও সংশয়ে রয়েছেন।

    জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, এখনো পর্যন্ত কোন প্রার্থী লিখিত ভাবে কোন প্রার্থী অভিযোগ করেননি। আশা করছি সুষ্ঠ ও সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।

    উল্লেখ্য, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, ৩টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬ জন, ৯টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এরমধ্যে ৩ নং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মোট ভোটার ১৮ হাজার ৯৬৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৮০৬ জন এবং নারী ভোটার ৯ হাজার ১৫৯ জন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ব্যালটের মাধ্যমে ৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • মাটিরাঙ্গা পৌর নির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনার অভিযোগ বিএনপির

    মাটিরাঙ্গা পৌর নির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনার অভিযোগ বিএনপির

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : আগামীকাল রোববার খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সাধারন ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনার অভিযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. শাহ জালাল কাজল।

    নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে আওয়ামী লীগ মনোভাবাপন্ন প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. শাহ জালাল কাজল অতিনি বলেন, ইতিমধ্যে রিটার্নিং অফিসার বরাবরে আমরা তাদের প্রত্যাহারের আবেদন করেছি।

    শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

    সাংবাদিক সম্মলনে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপিত ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুইয়া, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এম.এন আফসার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এড. আব্দুল মালেক মিন্টু, মো. মোশাররফ হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর খান, সহ-সভাপতি ললিত বিকাশ ত্রিপুরা, সাধারন সম্পাদক মো. বদিউল আলম, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. শাহ জালাল কাজল, মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জিয়াউপর রহমান ও মাটিরাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. বাদশা মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপিত ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুইয়া নির্বাচনের দিন কেন্দ্র দখলের আশঙ্কা করে বলেছেন, ভোটের আগের রাতে বিএনপির পোলিং এজেন্ট ও বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে শাসকদল মনোনীত প্রার্থী মো. শামছুল হক। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে বহিরাগতদের মাটিরাঙ্গা পৌরসভার সীমান্তবর্তী এলাকায় জড়ো করা হচ্ছে। তাছাড়া ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা কর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করারও অভিযোগ করেন তিনি।

    ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পথে ভোটারদের উপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ করে ওয়াদুদ ভুইয়া বলেন, এবারের নির্বাচনে তার পুনরাবৃত্তি করার ষড়যন্ত্র করছে শাসকদল। তিনি যেনতেন নয়, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ

  • মাটিরাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দাফনে বাধার প্রতিবাদে মানবন্ধন: প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

    মাটিরাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দাফনে বাধার প্রতিবাদে মানবন্ধন: প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

    নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমানকে দাফন করতে না দেয়ার অভিযোগে তবলছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কাশেম ভুইয়া ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে বিক্ষ্দ্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বজনরা।

    মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমানকে তার অছিয়ত মোতাবেক তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করতে না দেয়ার প্রতিবাদে বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন শেষে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রধান করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা ও পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।

    মাটিরাঙ্গা পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম‘র সভাপতিত্ব মানববন্ধনে প্রধান অঅতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. রইচ উদ্দিন।

    ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে মাটিরাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনছুর আলী, খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খলিলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সংসদ কমান্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো: ইমরান ও খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মো. হারুন মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    আমরা দেশের জন্য যুদ্ধ করলাম, নিজেদের জীবনবাজি রেখে দেশের জন্য পতাকা ছিনিয়ে আনলাম অথচ মৃত্যুর পরে দেশের মাটিতে দাফনের জন্য সাড়ে তিন হাত মাটি পাবোনা তা মেনে নেয়া যায়না। এমন ক্ষোভ প্রকাশ করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের বাঁধার মুখে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তবলছড়ির অদুরে আদশগ্রাম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তা জাতির জন্য লজ্জাজনক।
    বীর মুক্তোযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমানকে তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করতে না দেয়ায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে বৃহত্তর কর্মসুচী ঘোষনার হুশিয়ারী দেন বক্তারা।

    মানববন্ধন শেষে তবলছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কাশেম ভুইয়াসহ তার দোসরদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ।

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) ভোরে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমান। মৃত্যুর পর তাকে তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করতে গেলে কবরস্থান কমিটির বাঁধার মুখে ঐ দিন বিকাল ৫টার সময় আদর্শগ্রাম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এনিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বজনরা।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/প্রদীপ

  • পাহাড়ে বাস আটকে বাঁচল ৩০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর প্রাণ

    পাহাড়ে বাস আটকে বাঁচল ৩০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর প্রাণ

    খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পর্যটক বহনকারী বাস উল্টে অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের মাটিরাঙ্গার সাপমারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

    রাত দশটা পর্যন্ত গুরুতর আহতাবস্থায় খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ২৮ জন ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

    আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খাগড়াছড়ি থেকে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শিমুল কর।

    এদিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া ২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. ফরহাদ হোসেন।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ৫৪ জন পর্যটক নিয়ে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করে নজরুল ট্রাভেলসের (গাড়ি নং-ঢাকা মেট্রো-ব-১১-১৪৫৯) একটি বাস। বাসটি মাটিরাঙ্গার সাপমারা পুলিশ চেকপোস্ট অতিক্রম করে পাহাড়ে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।

    চালক গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে গাড়িটি উল্টে যায়। একটি বৈদ্যুতিক পিলার ও পাহাড়ের সাথে আটকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেও গাড়িতে থাকা পর্যটকরা অধিকাংশই মারাত্মকভাবে আহত হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে।

    গাড়িতে থাকা পর্যটক জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহাদী বলেন, ছুটি ট্যুরিজমের মাধ্যমে ঢাকা থেকে আমরা ৫৪ জন সাজেক ভ্রমণে এসেছিলাম। সোমবার (২ নভেম্বর) রাতে সাজেকে রাত্রিযাপন শেষে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ করে মঙ্গলবার রাতে আমরা খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা ফিরছিলাম।

    আমাদের বহনকারী বাসটি খাগড়াছড়ি শহর থেকে ছেড়ে কিছুদূর আসার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। বৈদ্যুতিক পিলারের কারণেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। আহতদের সকলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বলে জানান তিনি।

    খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলী জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ৫৪ জন পর্যটক নিয়ে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করে বাসটি মাটিরাঙ্গার আলুটিলা সাপমারা পুলিশ চেকপোস্ট অতিক্রম করে পাহাড় নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, এ সময় বাসে থাকা অন্তত ৩০ জন পর্যটক গুরুতর আহত হয়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • মাটিরাঙ্গায় ভারতীয় শাড়িসহ দুই ছাত্রলীগ নেতা আটক

    মাটিরাঙ্গায় ভারতীয় শাড়িসহ দুই ছাত্রলীগ নেতা আটক

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি জেলাার মাটিরাঙ্গায় ১৪৬ পিস ভারতীয় শাড়িসহ দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।

    শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা সদরের ফায়ার সার্ভিস অফিস সংলগ্ন একটি টিনশেড ঘর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

    ভারতীয় শাড়িসহ আটককৃতরা হলো- মাটিরাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক জুয়েল চাকমা ও মাটিরাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. তছলিম উদ্দিন রুবেল।

    জানা গেছে, মাটিরাঙ্গা সদরের ফায়ার সার্ভিস অফিস সংলগ্ন একটি টিনশেড ঘরে বিক্রির উদ্দ্যেশে মজুদ করা ভারতীয় শাড়ি রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় ১৪৬ পিস ভারতীয় শাড়িসহ দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে। যার বাজার মুল্য প্রায় তিন লাখ টাকা।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামসুদ্দিন ভুইয়া বলেন, ১৪৬ পিস ভারতীয় শাড়িসহ দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে। তাদের মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/আকতার

  • মাটিরাঙ্গায় নুর মোহাম্মদ টিপু হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

    মাটিরাঙ্গায় নুর মোহাম্মদ টিপু হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পল্লী চিকিৎসক নুর মোহাম্মদ টিপু হত্যারকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার পূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।

    সোমবার (২৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার প্রধান সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম হেলাল। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া।

    এমন জঘন্য ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদদের দ্রুত গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করে সংগঠনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি হত্যা নতুন কিছু নয়, এভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙালি উচ্ছেদের নীলনকশা হিসেবে ৩০ হাজার বাঙালিকে খুন করা হয়েছে। পার্বত্যঞ্চলে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক কোন হত্যাকান্ডের বিচার না হওয়ার কারণে একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে জেএসএস ও ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা।

    মাটিরাঙার পল্লী চিকিৎসক নূর মোহাম্মদ টিপু হত্যাকারীসহ সকল বাঙালি হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের মহাসচিব সাবেক মেয়র আলমগীর কবির বলেন, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে পাহাড়ে বাঙালীরা আর চুপ করে থাকবেনা।

    মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মজিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর এস এম মাসুম রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাটিরাঙা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনিসুজ্জামান ডালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ লোকমান হোসেন, যুব বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মাসুদ, ও ছাত্রনেতা আহম্মেদ রেদওয়ানসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৪ জুলাই) ভোর সাড়ে চারটার দিকে স্বজনের অসুস্থতার কথা বলে তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় তিন অজ্ঞাত উপজাতিয় যুবক। চিকিৎসার জন্য ডেকে নেয়ার দশ ঘন্টা পর বেলা দেড়টার দিকে স্থানীয়রা খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের সাপমারা ব্রীজের নীচে পা ভাঁধা বিবস্র মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশকে খবর দিলে বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আকতার

  • প্রেমিকার বিয়ের খবরে যুবকের আত্মহত্যা

    প্রেমিকার বিয়ের খবরে যুবকের আত্মহত্যা

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : দীর্ঘদিনের প্রেমের ইতি টেনে বিয়েরর পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছে প্রেমিকা। প্রেমিকার বিয়ের খবর কথা জানতে পেরে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মো. ফারুক হোসেন (২৫) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

    বুধবার (২৪ জুন) ভোর রাতের দিকে জেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের চক্রপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত মো. ফারুক হোসেন মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের চক্রপাড়া এলাকার মো. আবুল কাশেমের ছেলে।

    মৃত্যুর কয়েকদিন আগে (২০ জুন) নিজের ফেসবুক একাউন্টে এক স্টাটাসে উল্লেখ করে ‘ডিপ্রেশন শব্দের অর্থ তারাই বুঝে ! যারা প্রতিনিয়ত নিজের ভেতরে নিজেকে দাফন করে ! ডিপ্রেশনে থাকা মানুষ গুলো ! সবার মতোই স্বাভাবিক জীবন যাপন করে ! তাদের দেখে কেউ বুঝবেনা, কতো কষ্ট লুকিয়ে তারা অভিনয় করে যাচ্ছে ! তারা মুখ ফুটে কখনোই বলবেনা, আমি ভালো নেই ! মিথ্যা অভিনয় দিয়ে তারা সবাইকে খুশি রাখে ! এভাবেই হয়তো তাদের দিন কেটে যায় ! কিন্তু রাত হলেই তাদের ডিপ্রেশন বাড়তে থাকে ! একাকিত্বের কষ্ট তাদের মস্তিষ্ককে গ্রাস করে ! তাদের ভেতরে আটকে থাকা কষ্ট গুলো, অশ্রু হয়ে গড়িয়ে পড়ে ! আত্মহত্যা মহাপাপ ভেবেই হয়তো, তারা নিজেদের মোড়াতে পারে না, দাফনের কাফনে !’

    জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাবাকে ব্যাবসায় সহযোগিতা করে আসছিল মো. ফারুক হোসেন। তারই সুত্র ধরে চক্রপাড়ায় বাড়ির পাশে বাবার দোকানেই রাতযাপন করতো সে।

    প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও খাওয়া দাওয়া শেষে দোকানে ঘুমাতে আসে ফারুক হোসেন। রাতের কোন এক সময় দোকানের আঁড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। বুধবার (২৪ জুন) সকালের দিকে দোকান না খুললে অনেক ডাকাডাকির পরে দরজা ভেঙে দোকানের আড়ার সাথে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় বাবা মো. আবুল কাশেমসহ প্রতিবেসীরা। পরে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাটিরাঙা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সামছুদ্দিন ভুইয়া বলেন, প্রেমে ব্যার্থ হয়েই যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। মৃত্যুর আগে দেয়া ফেসবুক স্টাটাস তদন্ত করে দেখা হবে। লাশ উদ্ধার শেষে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

  • মাটিরাঙ্গায় করোনা প্রতিরোধে মাঠে একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী

    মাটিরাঙ্গায় করোনা প্রতিরোধে মাঠে একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি॥ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলাবাসীকে সুরক্ষা করতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মাঠে নেমেছে যুব রেড ক্রিসেন্ট এবং ছাত্র ও যুবলীগের একঝাঁক তরুণ। তাঁরা মানুষকে করোনা প্রতিরোধে সচেতন করে গড়ে তোলাসহ মাটিরাঙ্গা পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় মাইকিং ও জীবানুনাশক স্প্রে কার্যক্রম চালাচ্ছে।

    কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তরুন স্বেচ্ছাসেবীরা মাটিরাঙা উপজেলা পরিষদ চত্বর, মাটিরাঙ্গা বাজার, নতুনপাড়া, ১০ নম্বর এলাকায় সচেতনতামূলক মাইকিং ও জীবাণুনাশক স্প্রে করছে। মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ এই কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।

    মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ জানান ‘করোনা এই মুহূর্তে আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় দুর্যোগ। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি সকলের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমেই এ দুর্যোগ থেকে সকলকে নিরাপদ রাখা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম তরুনদের ভালো কাজের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, তরুণদের হাত ধরেই মাটিরাঙ্গার সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। তিনি চিকিৎসা নয়, জনসচেতনতার মাধ্যমেই সম্মিলিতভাবে এ দুর্যোগ মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।

  • মাটিরাঙ্গার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত: বিজিবি

    মাটিরাঙ্গার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত: বিজিবি

    খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। স্থানীয়রা বিজিবির অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে গুলিবর্ষণ করে বলেও জানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

    মঙ্গলবার রাতে বিজিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবৈধ কাঠ পাচাররোধে মঙ্গলবার বেলা ১১:৪৫ মিনিটে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার গাজীনগর বাজার এলাকায় টহলে যায় বিজিবির একটি দল। এসময় বিজিবির উপস্থিতি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা টহল দলকে ঘিরে ফেলে। এতে উভয়পক্ষ্যের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে স্থানীয়রা বিজিবির অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে বিজিবির সিপাহী শাওন ও স্থানীয় পাঁচজনের গায়ে গুলি লাগলে বিজিবি সদস্যসহ চারজন মৃত্যুবরণ করে।

    ঘটনার পর বিজিবি-সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এই ঘটনায় নিহতরা হলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলার গাজীনগর এলাকার সাহাব মিয়া, তার স্ত্রী রঞ্জু বেগম, তাদের বড় ছেলে আকবর আলী, ছোট ছেলে আহমদ আলী, একই এলাকার সিরাজ মিস্ত্রির ছেলে মফিজ মিয়া এবং বিজিবি সদস্য শাওন।

    এদিকে স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বৈদ্যুতিক তার টানার জন্য কয়েকটি গাছ কাটা হয়। এ সময় ট্রাক্টরে সাহাব মিয়া ও তার ছেলে আহামদ আলী কয়েক টুকরা গাছ গাজীনগর বাজারের একটি কাঠের মিলে নিয়ে যাওয়ার পথে বাধা দেয় বিজিবি। একপর্যায়ে বিজিবির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সাহাব মিয়া ও তার ছেলে। বিষয়টি দেখে এগিয়ে আসে গ্রামবাসী। এরপরই বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসী।

    সংঘর্ষের সময় বিজিবি সদস্যরা গুলি করলে ঘটনাস্থলেই সাহাব মিয়া ও তার ছেলে আকবর আলী নিহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিজিবি সদস্য শাওন, আহমদ আলী, মফিজ মিয়া এবং হানিফ মিয়াকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে বিজিবি সদস্য শাওন ও আহাম্মদ আলীর মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান মফিজ মিয়া। স্বামী ও দুই ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে মারা যান রঞ্জু বেগম।

  • মাটিরাঙ্গায় গাছ কাটা নিয়ে সংঘর্ষে এক বিজিবি সদস্যসহ ৪ জন নিহত

    মাটিরাঙ্গায় গাছ কাটা নিয়ে সংঘর্ষে এক বিজিবি সদস্যসহ ৪ জন নিহত

    খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষে এক বিজিবি সদস্যসহ চারজন নিহত হয়েছেন।

    মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গাজিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন- ৪০ বিজিবির সিপাহী শাওন ও আলুটিলা বটতলী গ্রামের সাহাব মিয়া এবং তার ছেলে  মো. আহাম্মদ আলী ও মজিদ। এ ঘটনায় আরও ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, ছেলে এবং স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

    এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুদ্দিন ভুঁইয়া জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

  • চাঞ্চল্যকর মাহিন্দ্র চালক খুনের রহস্য ভেদ করল পুলিশ

    চাঞ্চল্যকর মাহিন্দ্র চালক খুনের রহস্য ভেদ করল পুলিশ

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:- মাত্র ১ লক্ষ টাকা মূল্যের মাহিন্দ্র ছিনতাইয়ের উদ্দ্যেশ্যে খুন করা হয়েছিল খাগড়াছড়ির মহালছড়ির ভাড়ায় চালিত মাহিন্দ্র চালক ফারুক হোসেনকে।

    ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় পুলিশের হাতে আটকের পর এমনটাই জানিয়েছে হত্যাকান্ডের মুল পরিকল্পনাকারী মাসুম (২৮)।

    খাগড়াছড়িতে চাঞ্চল্যকর মাহিন্দ্র চালক ফারুক হত্যাকান্ডের পাঁচ দিনের মাথায় (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে রাঙ্গামাটির লংগদু থেকে হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মো. মাসুমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    গ্রেফতারকৃত মাসুম রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার ইয়াংছড়ির মো. আবদুস ছাত্তারের ছেলে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকা থেকে আটক করা হয় মো. হামিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল ও ফরিদ হোসেনকে। একই সাথে ছিনতাই হওয়া মাহিন্দ্রটি উদ্ধার করে পুলিশ।

    এদিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মো. মাসুম, মো. হামিদুল ইসলাম ও ফরিদ হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করে।

    এদিকে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে হত্যাকান্ডের মুল পরিকল্পনাকারী মো. মাসুম খাগড়াছড়ির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল আলমের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে জানিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহনুর আলম বলেন, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

    আসামীদের জবানবন্দীর সুত্র ধরে পুলিশ জানায়, মাহিন্দ্র ছিনতাইয়ের উদ্দ্যেশে রাঙ্গামাটির লংগদুর বাসিন্দা মো. মাসুম, রাঙ্গামাটির লঙ্গদু উপজেলার করল্যাছড়ির বাসিন্দা মো. আবু মুছা এবং তার স্ত্রী
    শাহনাজ আক্তার ১ ফেব্রুয়ারি ফারুকের মাহেন্দ্রটি রিজার্ভ করে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ায়।

    ঘটনার দিন (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে মানিকছড়ি নামিয়ে দিয়ে আসার কথা ছিল। মানিকছড়ি যাওয়ার পথে মাটিরাঙ্গার অদুরে ১০ নম্বর এলাকায় আসলে প্রস্রাব করার কথা বলে মাহিন্দ্র থামায়।

    মাহিন্দ্র থামানোর পর তারা শ্বাসরোধ করে ফারুককে হত্যা করে মাহিন্দ্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাদেরপুর্বপরিচিত গ্যারেজ মেকানিক মো. শাকিলেরমাধ্যমে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার মো. হামিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল ও ফরিদ হোসেনের কাছে এক লক্ষ টাকায় বিক্রি করে।

    মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিন ভুইয়া জানান, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাঙ্গামাটির লংগদু ও চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকা থেকে আসামীদের গ্রেফতারসহ মাহিন্দ্রটি উদ্ধার করা হয়।

    হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত রাঙ্গামাটির লঙগদু উপজেলার করল্যাছড়ির বাসিন্দা মো. আবু মুছা এবং তার স্ত্রী শাহনাজ আক্তারকে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার অদুরে ১০ নম্বর এলাকায় মো. ফারুক (২০) নামে এক মাহিন্দ্র চালককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।ঘটনার একদিন পর রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে মাটিরাঙ্গার অদুরে খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ১০ নম্বর এলাকায় ধলিয়া খালের গভীর ঢালু থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

    এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

    নিহত মো. ফারুক খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার চোংড়াছড়ি এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে। সে পেশায় একজন ভাড়ায় চালিত মাহিন্দ্র চালক। নিহত ফারুক
    এক সন্তানের জনক।