ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার এলাকায় দারুচ্ছালাম ঈদগাহ মাদ্রাসায় সশস্ত্র হামলার ঘটনার প্রধান আসামি স্থানীয় সেই আওয়ামীলীগ নেতা পাঠান হাসান’কে (৩৮) গ্রেফতার করেছে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ। সে মাইজভান্ডার নানুপুর এলাকার মৃত নুরুচ্ছফার ছেলে।
গত ৪ জানুয়ারি সোমবার মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ছাত্রদের মারধর করলে স্থানীয় জনগনের বাধাঁর সম্মুখীল হলে নানুপুর আওয়ামীলীগ নেতা পাঠান হাসান তার শাটার গান থেকে এলোপাতারী গুলি করলে ঘটনাস্থলে ৫ জন লোক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক কভাবে আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করলে তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এখনো আহতরা চমেকে চিকিৎসাধীন আছে। সে দিন যারা গুলিবিদ্ধ হয়েছে তারা হলেন ইমরান (২৭) পিতা-জানে আলম, নুর উদ্দিন (২৬) পিতা গাফফার, মজিব উল্লাহ (১৮) পিতা-আজম, বাহাদুর (৬৫) পিতা-আবদুর রশিদ, জোবায়ের (২৮) পিতা-আবদুল কাশেম।
এ ঘটনায় গত ৪ জানুয়ারি রাতে মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি মনির স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা পাঠন হাসানকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফটিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশ অভিযান শুরু করে। বুধবার (০৬ জানুয়ারি) রাত ৯টার সময় চট্টগ্রাম চাঁন্দগাও থানাধীন শোলকবহর এলাকা থেকে র্যাব-৭ এর টহল টিম এর মাধ্যমে ফটিকছড়ি থানা পুলিশের একটি টিম প্রধান আসামি আওয়ামীলীগ নেতা পাঠান হাসানকে (৩৮) আটক করে।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ফটিকছড়ি থানার এস.আই দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেদককে জানান, মাদ্রাসা হামলা ঘটনার প্রধান আসামিকে র্যাব-৭ এর সহযোগিতায় আমরা আটক করতে সক্ষম হয়েছি। অতিদ্রুত এ ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
২৪ ঘণ্টা/জুনায়েদ