Tag: মানবতাবিরোধী অপরাধ

  • ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে ১৩ আসামিকে

    ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে ১৩ আসামিকে

    জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

    সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় তাদেরকে প্রিজন ভ্যানে করে আনা হয়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা ৪৬ জনের মধ্যে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাদের ট্রাইব্যুনালে তোলা হল।

    যাদের হাজির করা হয়েছে তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। এদিকে অসুস্থ থাকায় ড. আব্দুর রাজ্জাককে আনা হয়নি বলে জানা গেছে।

    এর আগে তদন্ত সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ অক্টোবর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ তাদেরকে হাজির করার আদেশ দেন। অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

  • মানবতাবিরোধী অপরাধে বাগেরহাটের ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

    মানবতাবিরোধী অপরাধে বাগেরহাটের ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

    মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাগেরহাটের খান আকরামসহ সাতজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

    মামলার সাত আসামি হলেন- খান আকরাম হোসেন (৬০), শেখ মোহম্মদ উকিল উদ্দিন (৬২), মো. মকবুল মোল্লা (৭৯) কারাবন্দি। পলাতক রয়েছেন- খান আশরাফ আলী (৬৫), রুস্তম আলী মোল্লা (৭০), শেখ ইদ্রিস আলী (৬১) ও শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল (৬৪)।

    মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত, তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ আনা হয়।

    ২০১৭ সালের ৩১ মে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

    আসামিদের বিরুদ্ধে সাত অভিযোগ

    অভিযোগ-১: ১৯৭১ সালের ২৬ মে ১৫-২০ জন রাজাকার ও ২৫-৩০ জন পাকিস্তানি দখলদার সেনাবাহিনীর সদস্যসহ বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ থানার চাপড়ী ও তেলিগাতীতে নিরীহ নিরস্ত্র মুক্তিকামী মানুষদের ওপর অবৈধভাবে হামলা চালিয়ে ৪০-৫০টি বাড়ির মালামাল লুণ্ঠন করে, বাড়িঘর অগ্নিসংযোগে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে, দুইজন নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করে এবং ১০ জন নিরীহ নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের মানুষকে গুলি করে হত্যা করে।

    অভিযোগ-২: ১৯৭১ সালের ৭ জুলাই আসামিরা বাগেরহাটের কচুয়া থানার হাজরাখালী ও বৈখালী রামনগরে হামলা চালিয়ে অবৈধভাবে নিরীহ নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের চার লোককে আটক ও অপহরণ করে আবাদের খালের ব্রিজে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেয়।

    অভিযোগ-৩: ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার ঢুলিগাতী গ্রামে হামলা চালিয়ে দুইজন নিরস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অবৈধ আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করে।

    অভিযোগ-৪: ১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর বাগেরহাটের কচুয়া থানার বিলকুল ও বিছট গ্রামে হামলা চালিয়ে চারজন নিরীহ নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের লোককে আটক ও অপহরণ করে কাঠালতলা ব্রিজে এনে নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়।

    অভিযোগ-৫: ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর বাগেরহাটের কচুয়া থানাধীন বিলকুল গ্রাম থেকে নিরস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলী নকীবকে অন্যায় আটক ও অপহরণ করে মোড়েলগঞ্জ থানার দৈবজ্ঞহাটির গরুর হাঁটির ব্রিজের ওপরে নিয়ে নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করে।

    অভিযোগ-৬: ১৯৭১ সালের ১৬ অক্টোবর বাগেরহাটের কচুয়া থানাধীন উদানখালী গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ নিরস্ত্র উকিল উদ্দিন মাঝিকে অবৈধভাবে আটক করে হত্যা করে এবং তার মেয়ে তাসলিমাকে অবৈধভাবে আটক ও অপহরণ করে কচুয়া রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে আসে। কচুয়া রাজাকার ক্যাম্প ও আশেপাশের রাজাকার ক্যাম্পে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে সলিমাসহ চারজনকে আটকিয়ে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ দখলদার মুক্ত হলে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার ক্যাম্প তল্লাশি করে ভিকটিম তাসলিমাকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেন।

    অভিযোগ-৭: বাগেরহাটের কচুয়া থানার গজালিয়া বাজারে হামলা চালিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরীহ নিরস্ত্র শ্রীধাম কর্মকার ও তার স্ত্রী কমলা রানি কর্মকারকে অবৈধভাবে আটক করে নির্যাতন করতে থাকে। আসামিরা শ্রীধাম কর্মকারকে হত্যা করে কমলা রানি কর্মকারকে অপহরণ করে কচুয়া রাজাকার ক্যাম্পে এনে আটকে রাখে।

  • মানবতাবিরোধী অপরাধ : পিরোজপুরের ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

    মানবতাবিরোধী অপরাধ : পিরোজপুরের ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

    মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার আব্দুল মান্নানসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

    আসামিরা হলেন- পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার হেতালিয়া এলাকার আব্দুল মান্নান হাওলাদার ওরফে আ. মান্নান ডিলার ওরফে মান্নাফ, একই এলাকার আশ্রাব আলী ওরফে আশরাফ আলী হাওলাদার, চরখালী এলাকার মো. মহারাজ হাওলাদার ওরফে হাতকাটা মহারাজ (জামিনে) এবং নুরুল আমিন হাওলাদার (পলাতক)।

    ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আর আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী এমএইচ তামিম।

    এর আগে গত ১৮ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার আব্দুল মান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    আসামিদের বিরুদ্ধে অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ধর্ষণ হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

    চারটি অভিযোগে ২৪ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, আসামিদের গুলিতে তিন ব্যক্তি ও এক নারীকে গুরুতর জখম, এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।

    চার আসামি মুক্তিযুদ্ধের সময় কনভেনশন মুসলিম লীগের সমর্থক হলেও বর্তমানে তারা জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক।

  • মানবতাবিরোধী অপরাধে যশোরের ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

    মানবতাবিরোধী অপরাধে যশোরের ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

    মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্য তিন আসামি হলেন- মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস ও মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা।

    রোববার (২৫ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

    ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

    এটি ট্রাইব্যুনালের ৫২তম রায়। এদিন সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। ১৬৯ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথমাংশ পাঠ করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। দুই-তৃতীয়াংশ পাঠ করেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম। রায় ঘোষণাকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা আসামির কাঠগড়ায় বসা ছিলেন।

    এর আগে গত ২১ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

    গত ১১ মে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। আসামিরা হলেন— মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস। এর মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। আর বাকি চার জন ছিলেন পলাতক। তবে পলাতকদের মধ্যে নওশের বিশ্বাস নামে এক আসামি মারা গেছে।

    প্রসিকিউশন থেকে জানানো হয়েছে, মামলায় চার আসামির মধ্যে আমজাদ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছে। বাকি তিনজন পলাতক। আগে মামলায় মোট আসামি ছিলেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছে।

    ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়, ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল তা শেষ হয়। যশোর জেলা প্রশাসকের দেওয়া রাজাকারদের তালিকাতেও আসামিদের নাম রয়েছে।

    আসামিদের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো হলো— অভিযোগ-১, ১৯৭১ সালের ৩ ভাদ্র বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাঘারপাড়া থানার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মো. ময়েনউদ্দিন ওরফে ময়নাকে তার বাড়ি থেকে আটক করে প্রেমচারা রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায় মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগীরা। সেখানে তিন দিন আটকে রেখে নির্যাতন করে ৬ ভাদ্র দুপুর ১২টার দিকে খুড়দা গ্রামের বিজয় দাশের দেবদারু বাগানে কুয়ার পাশে দাঁড় করিয়ে ময়নাকে গুলি করে হত্যা করে মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা।

    অভিযোগ-২, ১৯৭১ সালের ২০ জুলাই দুপুর ১টার দিকে আমজাদ হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগীরা বাঘারপাড়া খাজুরা বাজার থেকে ডা. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাসকে আটক করে প্রেমচারা রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরদিন দুপুর ১২টায় তাকে থানা সদরের মহিরাম গ্রামের মাঠে গুলি করে করে হত্যা করা হয়।

    অভিযোগ-৩, আমজাদ হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগীরা ১৯৭১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৮-৯টার দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে ধরে প্রেমচারা রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে তিন দিন নির্যাতনের পর ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে খুড়দা গ্রামের বিজয় দাশের দেবদারু বাগানে কুয়ার পাশে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যার পর লাশ কুয়ায় ফেলে দেয়।

  • যুদ্ধাপরাধ : ত্রিশালের ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

    যুদ্ধাপরাধ : ত্রিশালের ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

    মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের পলাতক ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    সোমবার (২৩ জানুয়ারি) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

    ছয় আসামি হলেন- মো. মোখলেসুর রহমান মুকুল, মো. সাইদুর রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, মো. সুলতান মাহমুদ ফকির ও নাকিব হোসেন আদিল সরকার।

    আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন- সুলতান মাহমুদ সীমন ও তাপস কান্তি বল।

    আর আসামিদের পক্ষে ছিলেন- গাজী এম এইচ তামিম।
    এ মামলার তদন্ত শুরু হয় ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি।

    ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিল করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

    পরে ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তখন এ মামলায় আসামি ছিলেন নয়জন। এর মধ্যে গ্রেফতার দুইজন ও পলাতক এক আসামি মারা যান।

    মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সবশেষ যুক্তিতর্ক শেষে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ আনা হয়।

  • মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মানবতাবিরোধী অপরাধী গ্রেপ্তার

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মানবতাবিরোধী অপরাধী গ্রেপ্তার

    একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

    শুক্রবার (৩ জুন) র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

    এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।

    নজরুল ইসলামের গ্রেপ্তারের বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। আসামিরা হলেন, রেজাউল করিম মন্টু, শহিদ মণ্ডল ও মো. নজরুল ইসলাম। এর মধ্যে নজরুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। নজরুল ইসলাম স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেন। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি হত্যাসহ অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। এর ফলশ্রুতিতে র‌্যাব ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নজরুলকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

    তিনি আরও বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় আজ সাড়ে ১২ টায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

    খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, গ্রেপ্তার নজরুল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় নওগাঁর বদলগাছি থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র বেশ কয়েকজনকে হত্যাসহ অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, ঘরবাড়ি লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করে। নজরুল রাজধানীর মোহাম্মদপুর আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

  • নওগাঁর মন্টুসহ তিন রাজাকারের ফাঁসি

    নওগাঁর মন্টুসহ তিন রাজাকারের ফাঁসি

    একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জয়পুরহাটের জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর নওগাঁর মো. রেজাউল করিম মন্টুসহ তিন জনকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মঙ্গলবার এ রায় দেন। মামলার বাকি দুই দণ্ডিত হলেন- মো. নজরুল ইসলাম, মো. শহিদ মণ্ডল। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম পলাতক।

    চূড়ান্ত শুনানির পর গত ২৬ এপ্রিল মামলাটির রায় অপেক্ষমান রাখা হয়েছিল। গত রবিবার মামলাটি কার্যতালিকায় উঠলে ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার দিন ঠিক করে দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, আবুল কালাম আযাদ ও তাপস কুমার বল। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান ও গাজী এম এইচ তামিম।

    রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রসিকিউটর হায়দার আলী সন্তষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘আসামিদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারায় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিরা যদি রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করেন সেখানেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকবে বলে আশা করি। রায়ে প্রসিকিউশন সন্তুষ্ট।’

    অন্যদিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ে সংক্ষুব্ধ আসামিপক্ষের আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম। তিনি বলেন, ‘যথাযথ বিচার হয়নি। রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করলে তারা খালাস পাবেন।’

    মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নওগাঁর মো. রেজাউল করিম মন্টু, মো. নজরুল ইসলাম, মো. শহিদ মণ্ডল ও মো. ইসহাকের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর তদন্ত শুরু করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। চার আসামির মধ্যে মো. ইসহাক তদন্ত চলার সময়ই গ্রেপ্তার অবস্থায় মারা যান। অন্য তিন আসামির মধ্যে নজরুল ইসলাম পলাতক।

    এক বছর তদন্তের পর ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তদন্তের সময় ৩১ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। মামলাটি তদন্ত করেন তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন।

    তদন্ত প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রসিকিউশন ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর মামলাটি আদালতে দাখিল করে। শুনানি নিয়ে আদালত ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। সাতজনকে হত্যাসহ অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠণ ও অগ্নিসংযোগে সম্পদ ধ্বংসের অপরাধে আসামিদের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ গঠন করা হয়।

    আসামিদের মধ্যে রেজাউল করিম মন্টু ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী জয়পুরহাট জেলার আমির ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মন্টু তখন থেকেই জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয়।

    তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে রেজাউল করিম মন্টু নিজ বাড়িতে চলে আসেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য সশস্ত্র রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে আত্মগোপনে গিয়েছিলেন মন্টু। মামলার বাকি আসামিরাও জামায়াতের সমর্থক বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

    দেশ স্বাধীনের পর আসামি রেজাউল করিম মন্টু জয়পুরহাট সদরে বসবাস করতেন। পলাতক নজরুল ইসলাম থাকতেন ঢাকায় তেজগাঁও এলাকায়। শহীদ মণ্ডলের বাড়ি নওগাঁর বদলগাছী থানার চাঁপাডাল গ্রামে।

  • যুদ্ধাপরাধী কায়সারের মৃত্যুদণ্ড আপিলেও বহাল

    যুদ্ধাপরাধী কায়সারের মৃত্যুদণ্ড আপিলেও বহাল

    মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

    প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার জন্য আপিলটি আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্য তালিকার ১ নম্বর ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত ছিল।

    গত ৩ ডিসেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। তখন রায়ের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করে দেওয়া হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কায়সারকে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। ঐ সাজা বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আপিল করেন তিনি।

  • টিপু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ

    টিপু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ

    একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে রাজশাহীর আবদুস সাত্তার ওরফে টিপু সুলতান ওরফে টিপু রাজাকারের প্রাণদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

    বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বুধবার এ রায় দেন।

    এর আগে আসামি টিপু সুলতানের উপস্থিতিতে গত ১৭ অক্টোবর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার রায়ের দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল।

    স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজশাহীর বোয়ালিয়া এলাকায় নিরিহ মানুষকে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুটতরাজসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের দুটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে টিপুর বিরুদ্ধে।

    ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো. মোখলেসুর রহমান বাদল, জাহিদ ইমাম ও সাবিনা ইয়াসমীন খান মুন্নী। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।

  • গাইবান্ধার ৫ রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড

    গাইবান্ধার ৫ রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড

    মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার রঞ্জু মিয়াসহ ৫ রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

    মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, রাজাকার কমান্ডার আবদুল জব্বার (৮৬), মো. জাফিজার রহমান খোকা (৬৪), মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল (৬২), মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ (৬৮) পলাতক রয়েছেন। এ চারজনকে গ্রেফতারের পর তাদের সাজা কার্যকর হবে। অপর আসামি মো. আজগর হোসেন খান (৬৬) মারা গেছেন।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় রাজাকার মো. রঞ্জু মিয়া ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

    গত ২১ জুলাই এ মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৪ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল রায়ের আজকের দিন ধার্য করেন।

    ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল হাসান।

    আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট-অগ্নিসংযোগ, ভয়-ভীতি এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ধর্মান্তর ও দেশান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।