Tag: মানবন্ধন

  • দোকান বরাদ্দে মেয়রের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা ফইল্যাতলী বাজার ব্যবসায়ীদের মানবন্ধন

    দোকান বরাদ্দে মেয়রের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা ফইল্যাতলী বাজার ব্যবসায়ীদের মানবন্ধন

    মেয়রের আশ্বাসের পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কিছু কর্মকর্তার বিমাতাসুলভ আচরণে আবারও অসন্তোষ বিরাজ করছে নগরীর দক্ষিণ কাট্টলী ফইল্যাতলী বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে। চসিক নবনির্মিত কিচেন মার্কেটের সামনে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের এক মানববন্ধনে এমটাই জানিয়েছেন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।

    শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন বলেন, নতুন কিচেন মার্কেটে পূর্বের চুক্তি মোতাবেক আমাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দোকান দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছিলেন মেয়র মহোদয়। কিন্তু মেয়রের সেই আদেশকে পাস কাটিয়ে চসিকের কিছু কর্মকর্তা প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কাছে দোকান বরাদ্দের প্রক্রিয়া শেষ না করে দ্বিতীয় দফায় দরপত্র আহবান করে।

    তিনি বলেন, দুটি বেনামী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অনেকটা গোপনে এক চসিক কর্মকর্তা নতুন দোকানের জন্য অব্যবসায়ীদের কাছে সিডিউল বিক্রি করেছেন। এ ঘটনা জানতে পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ব্যবসায়ীরা।

    তিনি আরও বলেন, ৪০ বছরের পরিশ্রমে আমরা এ বাজার গড়ে তুলেছি। এখন মোট অংকের বিনিময়ে বহিরাগতদের দিয়ে বাজার গড়তে চায় চসিকের এ কর্মকর্তারা। আমরা মেয়রের নির্দেশে কঠোর কোন কর্মসূচি থেকে তাদেরকে নিবৃত্ত রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের দোকান বরাদ্দের ব্যাপারে যদি কোন তালবাহানা পরিলক্ষিত হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমে পড়বে।

    কমিটির সভাপতি হাজী আসলাম হোসেন সওদাগর বলেন, গত সপ্তাহে সাক্ষাতে মেয়র মহোদয় পুরনো ব্যবসায়ীরাই কিচেন মার্কেটে থাকবে বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা ব্যবসায়ীরা এখনও মেয়রের উপর পূর্ণ আস্থা আছে। কিন্তু চসিকের কিছু কর্মকাণ্ডে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। তারা যথাযথ নিয়মে পুরনো ব্যবসায়ীদের দোকান বরাদ্দের ব্যাপারে মেয়রের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী মো. নাজিম, মো. ইউসুফ প্রমুখ।

  • মাটিরাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দাফনে বাধার প্রতিবাদে মানবন্ধন: প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

    মাটিরাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দাফনে বাধার প্রতিবাদে মানবন্ধন: প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

    নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমানকে দাফন করতে না দেয়ার অভিযোগে তবলছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কাশেম ভুইয়া ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে বিক্ষ্দ্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বজনরা।

    মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমানকে তার অছিয়ত মোতাবেক তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করতে না দেয়ার প্রতিবাদে বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন শেষে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রধান করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা ও পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।

    মাটিরাঙ্গা পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম‘র সভাপতিত্ব মানববন্ধনে প্রধান অঅতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. রইচ উদ্দিন।

    ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে মাটিরাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনছুর আলী, খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খলিলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সংসদ কমান্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো: ইমরান ও খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মো. হারুন মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    আমরা দেশের জন্য যুদ্ধ করলাম, নিজেদের জীবনবাজি রেখে দেশের জন্য পতাকা ছিনিয়ে আনলাম অথচ মৃত্যুর পরে দেশের মাটিতে দাফনের জন্য সাড়ে তিন হাত মাটি পাবোনা তা মেনে নেয়া যায়না। এমন ক্ষোভ প্রকাশ করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের বাঁধার মুখে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তবলছড়ির অদুরে আদশগ্রাম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তা জাতির জন্য লজ্জাজনক।
    বীর মুক্তোযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমানকে তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করতে না দেয়ায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে বৃহত্তর কর্মসুচী ঘোষনার হুশিয়ারী দেন বক্তারা।

    মানববন্ধন শেষে তবলছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কাশেম ভুইয়াসহ তার দোসরদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ।

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) ভোরে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমান। মৃত্যুর পর তাকে তবলছড়ি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করতে গেলে কবরস্থান কমিটির বাঁধার মুখে ঐ দিন বিকাল ৫টার সময় আদর্শগ্রাম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এনিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বজনরা।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/প্রদীপ