Tag: মানববন্ধন

  • খাজা গরীব নেওয়াজ (রহ.) মাজার নিয়ে ষড়যন্ত্র বিশ্ব মুসলিম মেনে নেবে না

    খাজা গরীব নেওয়াজ (রহ.) মাজার নিয়ে ষড়যন্ত্র বিশ্ব মুসলিম মেনে নেবে না

    ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ সূফীবাদী ঐক্য ফোরাম আয়োজিত খাজা গরীব নেওয়াজ (রহ.) মাজার নিয়ে ষড়যন্ত্র, ২০০ বছরের পুরানো মসজিদ ভাংচুর, ইসলামী ঐতিহ্য ধ্বংস, দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ধর্মীয় উপসনালয়, মসজিদ, মাজারসমূহে সন্ত্রাসী হামলা, নিরীহ মানুষ হত্যা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় আগ্রাসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

    মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ রানা। ঘোষিত কর্মসূচি ব্যাখ্যা করে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব সংগঠক মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন। এতে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন হাফেজ নগর দরবার শরীফের শাহজাদা মাওলানা সৈয়দ আশেকুর রহমান, আওলাদে মাইজভাণ্ডারী শাহজাদা সৈয়দ নাফিজুর রহমান, ওষখাইন আলীনগর দরবার শরীফের নায়েবে সাজ্জাদানশীন শাহজাদা মাওলানা আবদুল কাদের চাঁদমিয়া, নঈমীয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন অধ্যক্ষ মাওলানা মাহামুদুল হক নঈমী, সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ ইলিয়াছ সোহেল, মাওলানা শাহ ফাইজুল কাবির বদরী, সিনিয়র সাংবাদিক গ্লোবাল টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো চীফ গোলাম মওলা মুরাদ, এটিএন নিউজের বিভাগীয় প্রধান সাংবাদিক এস এম আকাশ, সাংবাদিক ইসমাইল ইমন, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মিয়াজী, শাহজাদা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, শাহজাদা মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান, ইতিহাস গবেষক সোহেল মোঃ ফকরুদ্দিন, শাহজাদা মাওলানা ইশফাকুর রহমান, মাওলানা আবদুল মালেক আশরাফী, মাওলানা জহিরুল ইসলাম চাটগামী, মাওলানা দিদারুল আলম, হাফেজ মুহাম্মদ হাসান ইমাম, সৈয়দ সালাহ উদ্দিন খোকন, মুহাম্মদ নাঈম, মুহাম্মদ রাকিব, মো. আনিসুর রহমান বিপলু প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, সম্প্রীতির বাংলাদেশে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বিনা উসকানিতে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে ২০০ বছরের পুরানো মসজিদ ভাংচুর, ধর্মীয় ঐতিহ্য ধ্বংস করে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। বক্তারা আরো বলেন, সূফীবাদী জনতা সবসময় শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে কাজ করে। মানবতাবিধ্বংসী কোনো কর্মকাণ্ড তারা সমর্থন করে না।

    তারা বলেন, একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী ৫ আগস্টের পর হতে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় মাজার, মসজিদ ও ধর্মীয় উপসনালয়ে হামলা করে নিরীহ মানুষ হত্যা ও দিন-দুপুরে আইনজীবী হত্যার তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ জানান। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের আত্মার শান্তিকামনা করেন। একইসাথে একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তারা আরো বলেন, দেশে আর যেন নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে সূফীবাদী শান্তিপ্রিয় এই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে কেউ কিছু করতে চাইলে তা কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না। আধ্যাত্মিক চেতনায় বিশ্বাসীরা সব সময় দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত। তাদের আস্তানায় হামলা, ভাংচুর করে যারা ইসলামের কৃষ্টি সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, তারা কখনো মুসলমান তথা ইসলামের কল্যাণ চাই না। তারা মূলত ইহুদি, নাসারার সহচর। এদের ব্যাপারে দেশবাসীকে সজাগ থাকায় আহ্বান জানান। তারা ভারতের গণমাধ্যম ও সংবাদপত্রে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মিডিয়া আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানান এবং দেশের বিরুদ্ধে যাবতীয় ষড়যন্ত্র বন্ধ করার দাবি জানান।

  • নিরবিচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ করা না হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্ণফুলী গ্যাস ঘেরাও করা হবে: হাশেম

    নিরবিচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ করা না হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্ণফুলী গ্যাস ঘেরাও করা হবে: হাশেম

    বৃহত্তর চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস সংকট এবং সংযোগ দেয়ার নামে ডিমান্ড নোট নেওয়ার পরেও গ্যাস সংযোগ ও সরবরাহ না পাওয়ার কারণে ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে “আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম বিভাগ, উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর শাখা’র যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগের আহ্বায়ক মানবাধিকার নেত্রী তাহেরা আক্তার শারমিনের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় সদস্য আওরঙ্গজেব খান সম্রাটের সঞ্চালনায় বৃহত্তর চট্টগ্রামে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ ও দ্রুত গ্যাস লাইনের সংযোগের দাবিতে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কখনো সারাদিন, কখনো সারারাত কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানী চট্টগ্রামবাসীকে গ্যাস দিতে বার বার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে। ফলে চট্টগ্রামের নগরবাসীদের দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নিন্ম, মধ্যবিত্ত পরিবার অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করতে করতে দুর্ভিক্ষের মতো পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। অথচ বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের শতকরা ৮০% সরকারকে যোগান দিয়ে আসছে। আজ সেই চট্টগ্রাম অবহেলিত ও বৈষম্যের শিকার।

    তিনি আরো বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে চট্টগ্রামবাসীর প্রতিটা ঘরে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ করা না হলে কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানী চট্টগ্রাম অফিস ঘেঁরাও করা হবে।

    মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন আইএইচআরসি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সোনিয়া আফরোজ সরোয়ার খান, চট্টগ্রাম বিভাগের কো-অর্ডিনেটর মো. আমির হোসেন খান, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো: মঈনুদ্দীন আহমেদ, মানবাধিকার সংগঠক সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম, বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সেক্রেটারি আবু মোহাম্মদ, রেজাউল করিম, আবু তাহের, কেন্দ্রীয় সদস্য নুরুল আবছার তৌহিদ, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মোঃ ইসমাইল ইমন, এড. আমজাদ হোসেন রুবেল, সদস্যসচিব এস এম কামরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তৌহিদুল করিম তৌহিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ তৈয়ব, জানে আলম তাহমিনা আক্তার, জান্নাতুল আরেফ চৌধুরী মিথিলা, মোহাম্মদ নুরুনবী, মো: জাহেদুল আলম, ফরিদা ইয়াসমিন, জোহরা বেগম, নুরুল আমিন আজাদ, গাজী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, হাসান চৌধুরী দিপু, আমিনুল ইসলাম পারভেজ, মো. শাকিল, কামরুজ্জামান সায়েম, মো. জসিম উদ্দিন, আবু নাঈম চৌধুরী, মো. তৌফিকুল আলম, মো. মোস্তফা, মো. পারভেজ, তৌকির উদ্দিন আনিছ, সাংবাদিক রবিউল হোসেন সম্রাট প্রমুখ।

  • রাইফা হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে ১ মাসের আল্টিমেটাম সিইউজের

    রাইফা হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে ১ মাসের আল্টিমেটাম সিইউজের

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রুবেল খানের আড়াই বছরের শিশু কন্যা রাফিদা খান রাইফা হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে চার্জশিট প্রদানের জন্য এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছে সিইউজে।

    সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিক নেতারা। মামলা দায়ের হওয়ার পাঁচ বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়ার তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকার সমালোচনা করে নেতারা বলেন, শুরু থেকেই মামলা নিয়ে নানা তালবাহানা করে আসছে পুলিশ। পরবর্তীতে থানা পুলিশ থেকে মামলাটি পিবিআইতে যাবার পর প্রায় দুই বছর অতিবাহিত হলেও এখনো তদন্ত শেষ না হওয়া দুঃখজনক।

    সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সিইউজের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ রুবেল খান, সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম-মহাসচিব মহসিন কাজী, নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, সিইউজের অর্থ সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহরম হোসাইন, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক সবুর শুভ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল, নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন হোসেন দুলাল, প্রতিনিধি ইউনিট প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল সরওয়ার, আমাদের সময়ের ব্যুরো প্রধান হামিদ উল্লাহ।

    মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক পূর্বদেশ ইউনিটের প্রধান জীবক বড়ুয়া, সিইউজের সাবেক অর্থ সম্পাদক উজ্জল ধর ও কাশেম শাহ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, নির্বাহী সদস্য আইয়ুব আলী, চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চক্রবর্তী, সিইউজের সদস্য মাহবুবুর রহমান, প্রদীপ নন্দী, নুর উদ্দীন, ই পারভেজ ফারুকী, নিপুল কুমার দে, ওমর ফারুক, গোলাম মর্ত্তুজা আলী, কাঁকন দেব, সুজন ঘোষ, সৌরভ দাশ, কাজী মনজুরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ইউসুফ, প্রীতম দাশ, বিশ্বজিৎ পাল, চম্পক চক্রবর্তী, ইকবাল হোসেন, এফএম মিজানুর রহমান, হাসান আলী, বাসু দেব, আহসান হাবিবুল আলম, আবদুল হান্নান কাজল, অনুপম বড়ুয়া, কমল দাশ, রুমন ভট্টাচার্য, মিনহাজুল ইসলাম, ইমরান এমি, আকমাল হোসেন, মোরশেদ হোসেন চৌধুরী, বাচ্চু বড়ুয়া, আবুল হোসাইন মো. কাউসার, মো. শহীদুল ইসলাম সুমন, আশরাফুল ইসলাম রবি, আবদুল্লাহ হামিদ রাকীব, আসহাব উদ্দিন, মো. আবু জাবেদ, মুহাম্মদ আবু তৈয়ব (তৈয়ব সুমন), মো. শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন, মো. মিজানুর রহমান, মো. জিগারুল ইসলাম, মরিয়ম জাহান মুন্নী, এহছানুল হক, সৈয়দ তাম্মিম মাহমুদ, কাজী মাহফুজুল হক, পিম্পল বড়ুয়া, মো. সাখাওয়াত আলম (রিমন সাখাওয়াত), বিপ্লব দে, মির্জা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ শহীদ (শাওন), মুহাম্মদ সুজাউদ্দিন তালুকদার, মোহাম্মদ আবদুল আলী, আসিফ আহমেদ (আসিফ পিনন), মো. সুমন ও এম হাবিব রেজা।

    ২০১৮ সালের ২৯ জুন রাতে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা, অদক্ষতার কারণে সাংবাদিক মোহাম্মদ রুবেল খানের আড়াই বছরের শিশু কন্যা রাফিদা খান রাইফা মারা যায়। রাইফার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রাইফার বাবা মোহাম্মদ রুবেল খান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২০ জুলাই ৪ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

  • শনিবার বিএসবিআরএ এর ডাকা মানববন্ধন স্থগিত

    শনিবার বিএসবিআরএ এর ডাকা মানববন্ধন স্থগিত

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনার মামলায় সীমা গ্রুপের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সান্টুকে গ্রেপ্তারের পর তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এবং কোমরে রশি পেঁচিয়ে মর্যাদাহানিকর ও অপমানজনক অবস্থায় আদালতে হাজির করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) এর ডাকা শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন আয়োজন স্থগিত করা হয়েছে।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের অনুরোধে মানববন্ধন স্থগিত করা হয়।

    শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম সার্কেট হাউসে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) এর নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান এর সাথে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্যে ডাকা সীতাকুণ্ডের সব অক্সিজেন প্লান্ট ধর্মঘটও প্রত্যাহার করা হয়।

    বৈঠক শেষে ডিসি আবুল বাশার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, সীমা গ্রুপের পরিচালকের সাথে যা হয়েছে তা অবশ্যই নিন্দনীয়। এ ঘটনা ভবিষ্যতের যাতে আর কোন শিল্প মালিকের সাথে না ঘটে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি থাকবে।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এস এম সফিউল্লাহ; শিল্প পুলিশের এসপি মোহাম্মদ সোলায়মান; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান; উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন; সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আশরাফুল আলমসহ বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) এর নেতৃবৃন্দ।

  • চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    শ্রম আইনের অপপ্রয়োগ, শ্রমিক সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বিরোধীতা, অন্যায়কারীদের প্রশ্রয়দাতা, দুর্নীতিবাজ ও পক্ষপাত দুষ্টে অভিযুক্ত চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নস্ মো: খোরশেদুল হক ভূঁইয়ার অপসারণের দাবিতে অদ্য রোববার (৫ মার্চ) তারিখ রবিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে ৪৬টি বেসিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি ও শ্রমিকদের মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

    মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ বলেন মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পরও সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ শ্রম পরিচালককে প্রত্যাহার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

    বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির কার্যকরী সভাপতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক রবিউল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচির সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছা, সাধারণ সম্পাদক অলি আহামদ, প্রচার সম্পাদক হাজী আবদুস ছবুর, জহিরুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, মো: ইউসুফ, জাহেদ হোসেন, হারুন অর রশিদ, সেলিম খান, মো: ইলিয়াছ, আবুল খায়ের, শাহজাহান, মো: ইয়াছিন, নুরুল হক পুতু, নুরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, শামসুল আলম, মো: শফি, জানে আলম, সাইফুল ইসলাম শাহীন, আহমদ হোসেন, নজরুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন, শাহ আলম চৌধুরী, হোসেন আহমদ, মো: হাসান, শহিদুল ইসলাম, দৌলত মিয়া, আবদুর রহিম প্রমুখ সড়ক পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

  • শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল মিরসরাই

    শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল মিরসরাই

    মিরসরাই প্রতিনিধি::::মিরসরাইয়ে স্কুল শিক্ষকের উপর দফায় দফায় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিদ্যালয়ের সম্মিলিত ছাত্র-শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষক সমিতি। এসময় উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, ছাত্র-শিক্ষক ও স্থানিয় জনসাধারণসহ হাজার খানেক প্রতিবাদি উপস্থিত ছিলেন।

    বুধবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার সাহেরখালী ভোরের বাজারে এই বিক্ষোভ মিছিল, মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

    প্রতিবাদ সমাবেশে উপজেলা শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মীর হোসেনেরর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সাহিরখালি স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাতি হাসান মাহফুজ চৌধুরী।

    এসময় শিক্ষকের উপর নেক্কারজনক হামালার প্রতিবাদে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সরকার, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুছালেক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (ফেডারেশন) আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক কমল ভৌমিক, মহালঙ্কা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস মিয়া, আবুল কাশেম বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন, শফিউল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সুফিয়ান, মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন ভূইয়া, সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ এম মেজবাউল হক প্রমুখ।

    এছাড়া শিক্ষাথিদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাসফিয়া জান্নত ও অপূর্ব দেবনাথ। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাইতকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: শাহজাহান, মঘাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিদারুল আলম, আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক রতন দাশ সহ শতাধিক ছাত্র শিক্ষক ও স্থানিয় জনসাধারণ।

    মানববন্ধন শেষে বক্তারা জানান, শিক্ষক আবু ইউসুফ রাসেল একজন ছাত্র বান্ধব শিক্ষক। হামলার আগেরদিনও ওই ছাত্রকে নিজ হাতে প্রশংসা পত্র লিখে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে সাক্ষর নিয়েদেন। পরদিনই ওই শিক্ষকের উপর দফায় দফায় স্বপরিবারে হামলা করে ধারালো অস্ত্রদিয়ে আঘাত করে হত্যার উদ্দেশ্যে। হামলার পরবর্তী হামলাকারিদের সাথে এক পুলিশ কর্মাকর্তার সক্ষতার কারনে এখনো থানায় মামলা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এছাড়া বুধবারের মধ্যে থানায় মামলা নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত পুর্বক দোষিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা না হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ করে বৃহৎ পরিসরে আন্দোলন হুমকি দেন শিক্ষক নেতারা।

    মিরসরাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সরকার জানান, আমারা শিক্ষকের উপর হামলার বিচারের দাবিতে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাবো। সেই উপলক্ষে প্রাথমিক পর্যায়ে আজকের এই আনোদলন। আন্দোলন শেষে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করে তাকে অবহিত করেছি। তিনি আজকের মধ্যে মামলা রুজুকরে মামলা নাম্বার দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

    উল্লেখ্য গত ২৬ মার্চ বিকালে দুই দফায় হামলা হয় শিক্ষক আবু ইউসুফ রাসেলের উপর। প্রথমবার সড়কে হামলার পর অভিযুক্ত ইউনুসের পরিবারের সদস্য ও বহিরাগতরা একত্রিত হয়ে শিক্ষকের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় শিক্ষকের চিৎকারে পরিবার ও আশপাশের লোকজন তাকে বাঁচাতে এলে শিক্ষক ইউসুফের ভাই ও আহত হয়। এসময় স্থানিয়রা একত্রিত হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করলে হামলাকারীদের মধ্যে এক নারী পড়েগিয়ে মাথায় আঘাত পায়। এসময় স্থানিয়রা হামলাকারীদের দুইজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। অভিযোগ উঠেছে পুশলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে রহস্যজনক কারনে তাদেরকে ছেড়ে দেয় এবং হামলাকারীদের কাছ থেকে একটি অভিযোগ গ্রহন করে। হামলার ঘটনার ৩দিনেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ না নেয়ায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিবাদকারীরা‌।

  • চট্টগ্রামে ওসি প্রত্যাহারের দাবীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

    চট্টগ্রামে ওসি প্রত্যাহারের দাবীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

    চট্টগ্রাম মহনগর বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকের ভিডিও ধারণকালে এনটিভির ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে সাংবাদিকদের লাঞ্চিত ও গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছে সিএমপির কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির।

    এসময় ওসি নিজেই এনটিভির ধারণ করা ভিডিও ফুটেজের মেমোরি কার্ড নিয়ে নেয়।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারী) দুপুর ২টার দিকে নগরীর নাসিমন ভবনের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এসময় বিএনপির ৪ কর্মীকে আটক করে।

    এনটিভি চট্টগ্রাম অফিসের সিনিয়র রিপোর্টার আরিচ আহমদ শাহ বলেন, বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশ নেতাকর্মীদের আটকের সময় আমি ও আমার ক্যামেরাম্যান সুমন গোস্বামী ভিডিও ধারণকালে ওসি কোতোয়ালী আমাদের বাধা দেন। তিনি ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ধারণ করা ফুটেজের মেমোরি কার্ড খুলে নিলে আমি প্রতিবাদ করি। তখর তিনি দুই মিনিটের মধ্যে আমাদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেন।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপির) কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের যাচাই-বাছাই করে গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।

    মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী জানিয়েছেন,বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের পাশে জিয়া রহমানের জন্ম বার্ষিকীর দোয়া মাহফিল আয়োজন করা করেছিল। দোয়া মাহফিল শেষে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই ৮/১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।

    এদিকে ভিডিও ধারণা করার সময় ক্যামরার মেমোরি কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে পরে কার্ডে থাকা বিভিন্ন ফুটেজ ডিলেট করে দেয়া ও ওসি জাহিদুল কবির সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণের প্রতিবাদে বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোতোয়ালির ওসিকে প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। প্রত্যাহার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে সাংবাদিক নেতারা জানিয়েছেন।

    এ বিষয়ে পুলিশের কোন কর্মকর্তা বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

  • কালীরছড়া খাল দখল করে চসিক কাউন্সিলরের অফিস, উচ্ছেদের দাবি

    কালীরছড়া খাল দখল করে চসিক কাউন্সিলরের অফিস, উচ্ছেদের দাবি

    নগরীর সিটি গেইট এবং কাট্টলি এলাকার পানি প্রবাহের একমাত্র মাধ্যম কালির ছড়া খাল উদ্ধারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম এবং আমরা আকবরশাহবাসী।

    আজ সোমবার ১৬ জানুয়ারি সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেন,সিটি গেইটের উজানে আকবর শাহ এলাকায় কালিরছড়া খালের প্রবাহধারা বিলুপ্ত করে নিজের অফিস ও খামার গড়ে তুলেছে ৯নম্বর উত্তর পাহাড়তলি ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর।

    নগরের আকবরশাহ থানাধীন এলাকায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তে ও বিশালাকার পাহাড়গুলো কেটে মাটি বিক্রি, সরকারি পাহাড় কেটে প্লট আকারে বিক্রি করেছে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় দুর্বৃত্তচক্র।

    চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন এবং বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের রানী হিসেবে সুখ্যাতি পাওয়ার অন্যতম কারণ এই অঞ্চলের পাহাড়-টিলা-বন আর নদীসমৃদ্ধ সাগর। প্রকৃতির অপার সৃষ্টি এই সম্পদগুলোর কল্যাণে চট্টগ্রামের প্রকৃতি-পরিবেশ অনিন্দ্যসৌন্দর্য রূপ ধারণ করেছে। চট্টগ্রাম নগরে একখন্ড পার্বত্যাঞ্চল হিসেবে পরিচিত আকবরশাহ’র বিশালাকার পাহাড় ও টিলাগুলো কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এখনও যেসব পাহাড়-টিলা রয়েছে সেগুলোও প্রতিদিন কাটা হচ্ছে। গত ৬-৭ বছরে এই অঞ্চলের অন্তত ৪২টি পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। শুরুটা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন করলেও পরবর্তীতে তা একজনমাত্র জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে নিশ্চিহ্নের পথে। শুধু পাহাড় নয়, ভূমি রেকর্ডে খাল হিসেবে চিহ্নিত প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি ঐতিহ্যবাহী কালিরছড়াটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে গরুর খামার ও জনপ্রতিনিধির ব্যক্তিগত অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনা। অথচ এই খাল ও ছড়া রক্ষায় বায়েজিদ লিংক রোডে মোট ৬টি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে।

    বক্তারা বলেন, সরকারি দপ্তরগুলো কালেভদ্রে উদ্যোগ নিলেও প্রকৃত অপরাধী বিশেষ করে পরিবেশ ধ্বংসে নেতৃত্ব দেয়া জনপ্রতিনিধিদের আইনের আওতায় আনতে অনীহা দেখা গেছে এ পর্যন্ত হওয়া কয়েকটি মামলায়। শুধুমাত্র ২০২২ সালেই পাহাড় কাটায় অন্তত ৬টি মামলা হয়েছে। কিন্তু এসব মামলায় শুধু শ্রমিকদের আসামি করা হয়, ছাড় দেয়া হয় রাজনীতির পদ-পদবী ব্যবহার করে পরিবেশ ধ্বংসে নেতৃত্ব দেয়া পাহাড়খেকোরা। এভাবে বিচারহীনতার কারণে আজ পুরো চট্টগ্রামের পরিবেশ বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলার প্রধানতম হাতিয়ার এই পাহাড়-ছড়া রক্ষা করে ভবিষ্যত প্রজন্মেও নিশ্বাস নেয়ার ব্যবস্থাটুকু রাখার দাবি জানান তারা।

    এই কালিরছড়া দিয়ে সলিমপুরের পাহাড়ি পানিগুলো আকবরশাহ দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ে। এই অঞ্চলের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে এই ছড়াটি প্রধান মাধ্যম। তাই এটি অনতিবিলম্বে উদ্ধারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

    সভায় বক্তারা আকবরশাহ’র অসংখ্য পাহাড় কাটার হোতা, কালিরছড়া দখলকারী কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমসহ অন্যান্য অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে তাদের শাস্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানান।

    পরিবেশ সংগঠক সাংবাদিক আলিউর রহমান বলেন, আমরা ১ মাসের সময় দিচ্ছি। কালিরছড়া উদ্ধারে যদি কোনো ব্যবস্থা নেয়া না হয়, আকবরশাহ’র অসংখ্য পাহাড় কাটার হোতাদের যদি আইনের আওতায় এনে শাস্তির পথ সুগম করা না হয়, অবশিষ্ট পাহাড়গুলো রক্ষায় যদি কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আমরাই আইনের কাটগড়ায় দাঁড় করানোর উদ্যোগ নেবো।

    পরিবেশকর্মী ও উন্নয়ন সংগঠক মো. শফিকুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গেরিলা কমান্ডার ফজল আহমেদ, গ্রীন ফিঙ্গার্স কো-ফাউন্ডার ঋতু ফারাবি ও আবু সুফিয়ান, পরিবেশ কর্মী আবসার উদ্দিন অলি, সার্ক মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মো. জাফর ইকবাল, ন্যাপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাশ গুপ্ত, কর্ণফুলী নদী ও খাল সুরক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক সাংবাদিক কামাল পারভেজ, সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের চট্টগ্রাম নগর সমন্বয় মো. ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. হুমায়ুন কবির, আকবরশাহ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং পরিবেশ সুরক্ষা ও অধিকার ফোরামের নগর সভাপতি মো. লোকমান আলী, আকবরশাহ থানা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি দিলীপ দাশ, আকবরশাহ থানা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ জাহিদ, পরিবেশ সুরক্ষাকর্মী সবিতা বিশ্বাস, সাংবাদিক ইসমাইল ইমন, আব্দুস সাত্তার টিটু, তৌকির উদ্দিন আনিস, আরাফাত রনি প্রমুখ।

  • আমেরিকান হাসপাতালকে স্পেশালাইজড হাসপাতালে রূপান্তরে আগামী বাজেটে বরাদ্দ চান সুজন

    আমেরিকান হাসপাতালকে স্পেশালাইজড হাসপাতালে রূপান্তরে আগামী বাজেটে বরাদ্দ চান সুজন

    কেন্দ্রীয় চর্ম ও সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র (আমেরিকান হাসপাতাল) কে স্পেশালাইজড কাম জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তরে আগামী বাজেটে বরাদ্দ চান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। আজ রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় আমেরিকান হাসপাতালের সম্মুখে নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত এক মানববন্ধনে হাসপাতালটি নির্মাণে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট জোর দাবী জানান তিনি।

    এসময় তিনি বলেন, নাবিকদের মাঝে যৌনবাহিত রোগের চিকিৎসার জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় ১৯৫৬ সালে আগ্রাবাদে আমেরিকান হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। হাসপাতালটি তখন ছিল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে, পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর হাসপাতালটি বাংলাদেশ সরকারের অধীনে চলে আসে। হাসপাতালটিতে দুইজন আমেরিকান নার্স এবং একজন ব্রিটিশ ডাক্তার ছিল, সে সুবাধে হাসপাতালটি আমেরিকান হাসপাতাল হিসেবে নামকরণ হয়। এক সময় চর্ম ও যৌন রোগের চিকিৎসায় হাসপাতালটির সুনাম থাকলেও অবহেলা এবং অব্যবস্থাপনায় ধীরে ধীরে হাসপাতালটির অবস্থা নাজুক হতে শুরু করে। বর্তমানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাসপাতালে আসা রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন ৭৫০ থেকে ৮০০ জন হলেও চিকিৎসক আছে মাত্র ৫ জন। এতো বিপুল সংখ্যক রোগীর জন্য এখানে পর্যাপ্ত কোন চিকিৎসা সেবা নেই। নামে মাত্র ফ্রি ওষুধ দেওয়া হয় যা অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর কোন কাজে আসে না। প্রায়শই বাহির থেকে ওষুধ ক্রয় করে চিকিৎসা সেবা চালাতে হয়। এর মধ্যে কোন চিকিৎসক ছুটিতে থাকলে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা আরো করুণ হয়ে পড়ে।

    সরজমিনে দেখা যায় সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৬০০ রোগী টিকেট সংগ্রহ করে। স্বল্পসংখ্যক চিকিৎসকের পক্ষে এতো বিপুল সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। ফলত চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা রোগীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। তাছাড়া করোনা মহামারীর পরে দেশে চর্ম রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক সময় মানুষের ভরসা পাওয়ার হাসপাতালটির এ দুর্দশার ফলে সাধারণ মানুষ পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া হাসপাতালটির চারিপাশে নোংরা, আবর্জনা ও ঘন জঙ্গলে ভর্তি, নেই পরিস্কার করার মতো পর্যাপ্ত লোকবল। অথচ চর্ম ও যৌনবাহিত রোগীদের জন্য এটি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল।

    সুজন বলেন, চট্টগ্রামের আজকের যে বিশাল উন্নয়ন তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই সাধিত হয়েছে। না চাইতেই চট্টগ্রামের জন্য অনেক কিছুই করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রামের আগামী দিনের গুরুত্ব বিবেচনা করে চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ট যোগাযোগ কেন্দ্রে পরিণত করার কাজ চলছে। টানেল, বে-টার্মিনালসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর কাজ পুরোদমে চালু হলে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। ফলে চট্টগ্রামে ব্যাপক সংখ্যক দেশী বিদেশী মানুষের আগমন ঘটবে। তাই আগামী দিনের চট্টগ্রামের কথা মাথায় রেখে এখনই এ হাসপাতালকে উপযোগী করে গড়ে তোলা দরকার। তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার জন্যই আজকের এই মানববন্ধন।

    তিনি আরো বলেন, বর্তমানে হাসপাতালটির আয়তন প্রায় .৭৯ একর। আর বিশাল এলাকা খালি থাকার ফলে জায়গাগুলোর দখল নিয়ে উদ্বিগ্ন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। আর জায়গাটি যেহেতু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তাই সরকার এখানে অনায়াসেই একটি স্পেশালাইজড কাম জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ করতে পারে। এখানে একটি স্পেশালাইজড কাম জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ করলে জনগন পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা পাবে এবং সরকারেরও প্রচুর আয় হবে বলে মনে করেন তিনি।

    সুজন আগামী বাজেটে এ হাসপাতালটি নির্মাণের বরাদ্দ রাখার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট জোর দাবী জানান। এছাড়া চট্টগ্রামের মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদেরও হাসপাতালটিকে স্পেশালাইজড কাম জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তর করার জন্য স্ব-স্ব অবস্থান থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।

    সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা এবং কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক ছাত্র, যুবকসহ বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা থেকে সেবা নিতে আসা রোগীরাও এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

    নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ এবং সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুর রহমান মিয়া, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, দেলোয়ার হোসেন তাহের, সিরাজদৌল্লা নিপু, ইউছুফ মিয়া পারভেজ, মিজানুর রহমান মিজান, ইউছুফ আলী, টিসু মল্লিক, খোরশেদ আলম, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম. ইমরান আহমেদ ইমু, মো. শাহজাহান, মো. নাছির, মো. আলী, এসকান্দর মিয়া, মো.মুজিব, মো. ইকবাল, সাইফুর রহমান সাইফু, মো. আলাউদ্দিন, মো. দেলোয়ার, মো. ইমরান, উৎপল দত্ত, মীর ইমতিয়াজ, মনিরুল হক মুন্না, আব্দুল কাইয়ুম, মো. সায়েম, আব্দুর রহিম জিসান, ফরহাদ বিন শুভ, রিয়াজ কাদের, হান্নান খান ফয়সাল, এহেতেশামুল আলম, আনন্দ আচার্য, অসিত দেব হৃদয়, সাদ্দাম হোসেন শুভ প্রমূখ।

  • সড়কের উপর কন্টেইনার ডিপোর গাড়িতে নিত্য যানজট; সীতাকুণ্ডে এক ঘন্টার বিশাল মানববন্ধন

    সড়কের উপর কন্টেইনার ডিপোর গাড়িতে নিত্য যানজট; সীতাকুণ্ডে এক ঘন্টার বিশাল মানববন্ধন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃঢাকা চট্টগ্রাম মহাড়কের সীতাকুণ্ড অংশের বিভিন্নস্থানে সড়কের পাশে গড়ে উঠা একাধিক কন্টেইনার ডিপো, ট্রাক টার্মিনালের কারণে নিত্যদিনের তীব্র যানজটে অস্থির হয়ে উঠেছে সাধারন মানুষ ও মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করা হাজারো দুর-দুরান্তের যাত্রী সাধারণ।

    সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা, জোড়আমতল, পাক্কা মসজিদ, বার আউলিয়া, কাসেম জুট মিলস বিএম ডিপো, ভাটিয়ারীর টোবাকো গেইট এলাকায় মহাসড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে একাধিক কন্টেইনার ডিপো। ওই সব ডিপোগুলোতে প্রতিদিন শত শত কন্টেইনারবাহী গাড়ি ডিপোর প্রবেশ মুখ থেকে শুরু করে মহাসড়কের দুইপাশ দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে ব্যস্ততম মহাসড়কে নিত্য যানজটে নাকাল হাজারো মানুষ।

    বিশেষ করে উপজেলার জোড়ামতল ফকিরহাটস্থ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট সংলগ্ন কেডিএস কন্টেইনার ডিপোর শত শত গাড়ি মহাসড়ক দখল করে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করে।

    এছাড়া সোনাইছড়ির বিএম ডিপো, টোবাকো গেইটের পোর্টলিংক এর শত শত কন্টেইনার সড়ক দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে। এদিকে মহাসড়কে প্রতিদিন তীব্র যানজটের কারণে ফুঁসে উঠেছে এলাকার সাধারণ মানুষ।

    এর থেকে প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে স্থানীয় এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এক ঘন্টার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যাল গেইটে।

    এতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক সংগঠনে ব্যানারে হাজারো মানুষ অংশ গ্রহণ করে।

    এসময় বক্তব্য রাখেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আ.ম.ম দিলসাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ জিলান, আ.লীগ নেতা খায়রুল আজম জসিম, মোঃ ইউছুফসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    মানববন্ধন থেকে এলাকাবাসী যানজট নিরসনে ৬টি প্রস্তাবনা সন্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সীতাকুণ্ড মডেল থানা এবং বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা বরাবরে।

  • সীতাকুণ্ডে ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    সীতাকুণ্ডে ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ড উপজেলার ৮নং সেনাইছড়ি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইসমাইল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে স্থানীয় ভূমিদস্যু শচীন্দ্র লাল দে গং কর্তৃক মিথ্যা, বানোয়াট অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

    শনিবার বিকালে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বগুলা বাজার এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এক ঘন্টার উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শত শত নারী পুরুষ অংশ গ্রহন করে।

    এসময় বক্তব্য রাখেন শীতলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মাষ্টার জাকির হোসেন, সদস্য নেজাম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধা সন্তান সংসদের আহবায়ক মোঃ আলাউদ্দিন মোর্শেদ, পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন দাশ, শীতলপুর মাওলানা জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল গাউস, শীতলপুর জেলে পাড়ার সর্দার নির্মল জলদাশ, সাধন জলদাস, দেব জলদাশ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক সাদেক আলীসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন

    মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন

    ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির দুই নেতা কর্তৃক হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা।

    বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

    অর্থনীতি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মুছাদ্দিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন অ্যাকাউন্টটিং বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের ফারুক হাসান, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ১৫-১৬ সেশনের জাহিদুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের এসএম তাইমুন ইসলাম ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শাখাওয়াত হোসেন শিপন।

    এ সময় বক্তারা বলেন, সারা বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলমানের হৃদয়ের মধ্যমণি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:)। ভারতের বিজেপির দুই নেতা রাসুল (সা:) এর পবিত্র বিবাহ নিয়ে কটূক্তি করে সারা বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মোহাম্মদ (সা:) যার চরিত্রের সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন স্বয়ং আল্লাহ। রাসূল (সা:) নিয়ে কটূক্তিকারীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় না আনলে দুনিয়ার মুসলমানরা ঘরে বসে থাকবে না।

    তারা বলেন, আমাদের রাসুলের মর্যাদা কচুপাতার পানি নয়, রাসুলের মর্যাদা জমিনের সমান নয়, রাসুলের মর্যাদা আল্লাহর আরশের সমান। যদি দুনিয়ায় একজন মানুষ বেঁচে থাকে, তাহলে তার ইমানি দায়িত্ব এই কটূক্তির জবাব দেওয়া। তাই আজ আমরা এখানে এসেছি। আমরা এই কটূক্তির প্রতি চরম নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

    বক্তারা আরও বলেন, কটূক্তিকারী দুই নেতা সরাসরি বিজেপি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা জানি, বিজেপি সরকার ইসলাম বিদ্বেষকে পুঁজি করে তার ক্ষমতা চালিয়ে নিতে চায়। আজকের এই মানববন্ধন থেকে আমরা বলে দিতে চাই, কটূক্তিকারী দুই নেতাকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

    মানববন্ধনে বক্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আহ্বান জানান।