Tag: মানববন্ধন

  • সলিমপুরে একের পর এক সড়ক দূর্ঘটনা, প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    সলিমপুরে একের পর এক সড়ক দূর্ঘটনা, প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে একের পর এক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণহানির প্রতিবাদে এবং ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণের দাবীতে উপজেলার সলিমপুর এলাকার মহাসড়কে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

    আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে এলাকার শত শত জনসাধারণ অংশ নেয়। তারা সলিমপুরের ফকিরহাট এলাকায় একটি ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।সলিমপুরে মানববন্ধন

    গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রাস্তা পার হওয়ার কাভার্ডভ্যানের চাপায় এক মহিলা নিহত হয়, এ সময় তার শিশু পুত্রও গুরুত্বর আহত হয়। এদিকে প্রায় প্রতিদিনই সলিমপুর এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে চলছে।

    এছাড়া মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশ এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে সাতটার সময় উপজেলার ছোট কুমিরা গুলআহম্মদ জুট মিলস এলাকার মহাসড়কে কার-ট্রাক সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়।

  • ফটিকছড়িতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

    ফটিকছড়িতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ফটিকছড়িতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের নয়াহাট এলাকায় স্থানীয় আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

    মানববন্ধন শেষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াজ নুরুল রাব্বির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক আবুল বশর, সদস্য ইরফান উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রায়হান রুপু, ইউনিয়ন আাওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল ধর, ভূজপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি বাপ্পু, সুয়াবিল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পেয়ারুল ইসলাম, হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল সিকদার, ছাত্রলীগ নেতা শহিদ, আলা উদ্দিন প্রমূখ।

    এতে বক্তারা বলেন, ২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের পাটিয়ালছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালায়ের সামনে জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত কয়েক ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তিমূলক মন্তব্য করে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমরা ইউনিয়ন ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ওই স্থানে উপস্থিত হয়ে তাদের কটুক্তি করতে নিষেধ করলে তারা দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠি-সোঠা নিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে ৪ ছাত্রলীগ কর্মী আহত এবং দু’টি মোটরসাইলে ভাংচুর করে।

  • রাউজানে গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে মার্কেট নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ

    রাউজানে গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে মার্কেট নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ

    চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া পথেরহাটে ব্যবসায়ীদের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও রাতের আধাঁরে পার্কিংয়ের স্থান দখল করে মার্কেট নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নোয়াপাড়া পথেরহাট বাজারের তিন শতাধিক ব্যবসায়ী।

    গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পথেরহাটে বাজারের সর্বস্তরের ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, বাজারের ভারতেশ্বরী প্লাজার সামনে ১৬ বছর ধরে ছিল একটি গাড়ী পার্কিংয়ের জায়গা ছিল। কিন্ত গত মঙ্গলবার রাতের আধাঁরে পার্কিংটি দখল করে মার্কেট নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু করে করে দেন মার্কেটের মালিক পক্ষ।

    আমরা ব্যবসায়ীরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এ মানববন্ধন আয়োজন করেছি। মানববন্ধন শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশ সংগঠনটির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সওদাগরের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়।

    সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সংগঠনের সহ-সভাপতি আহমেদ সৈয়দ, ব্যবসায়ী মুহাম্মদ সেকান্দর সওদাগর, মুহাম্মদ আরিফ, মুসলিম উদ্দিন, বাবু ধর, মুহাম্মদ রাশেদ, মহিউদ্দিন, মুহাম্মদ সাজ্জাদ, জসিম উদ্দিন মেম্বার, সোলেমান বাদশা, মুহাম্মদ ইসকান্দর সাজু দে, মুহাম্মদ রাসেল, মাকসুদুর রহমান সাজু, আনিসুর রহমান রুবেল, সাজ্জাদ টুটুল, মুহাম্মদ মনসুর, মুহাম্মদ বাদশা, মহিউদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, মিন্টু দে, মুহাম্মদ জাবেদ, মুহাম্মদ করিম, মুহাম্মদ লাইকত আলী, বশির আহমদ, মনির আহমদ, রিকু বড়ুয়া প্রমুখ।

  • অপরাধীরা প্রটেকশন পায় সরকারের কাছ থেকে:রিজভী

    অপরাধীরা প্রটেকশন পায় সরকারের কাছ থেকে:রিজভী

    খুনিরা সরকারের আশ্রয়ে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

    শনিবার (২৬ অক্টোবর) নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন।

    সমাবেশের পর আবরার হত্যার প্রতিবাদে ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে আবারও বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

    রিজভী বলেন, ‘আমরা দেখেছি, সরকারের সোনার ছেলেরা অপরাধ করলে সেই অপরাধকে প্রটেকশন দেন এ সরকার বা সরকার প্রধান। নাটোরের নুর হোসেন বাবুর হত্যাকারীদের বিচার হয়নি, নাটারের রানার হত্যাকারীদের ফাঁসি হয়েছিলো সেটা রাষ্ট্রীয় ক্ষমা পেয়েছেন। খবরের কাগজে বেরিয়েছে এই আওয়ামী লীগের আমলে দুইজন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এবং আবদুল হামিদ সাহেবের আমলে ৩৪ থেকে ৩৫ জন হত্যাকারীরা যাদের ফাঁসি হয়েছে তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমা পেয়েছেন।’

    তিনি বলেন, ‘অপরাধীরা প্রটেকশন পায় সরকারের কাছ থেকে। সেই সরকারের হঠাৎ করে সোনারকাঠি-রুপাকাঠি পরিবর্তন করে আজকে রাক্ষস থেকে মানবতার মূর্ত প্রতীক হলেন কি করে? ঘটনা কি? বিশ্বজিৎকে যারা হত্যা করেছে তাদেরও কিন্তু কিছু হয়নি। একের পর এক খুন, একের পর এক হত্যা, এই হত্যার সঙ্গে এই সরকার দলীয় যারা জড়িত তারা কোনো না কোনোভাবে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে।’

    রিজভী বলেন, ‘আজকে হঠাৎ করে টাকার খনি, ডলারের খনি, ক্যাসিনোর খনি। গত ১০ বছর কিছুই হলো না তাহলে হচ্ছে কেনো? এ নিয়ে জনমনে বড় বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেউ বলেন গৃহ বিবাদ, কেউ বলেন অন্য কোনো বিষয় আছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। আমরা বলতে চাই, দুর্নীতি করা নিশ্চয় অপরাধ। সবচাইতে বড় দুর্নীতি হচ্ছে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে জনগণকে প্রতারিত করে দিনের ভোটকে রাতে করা। এটা হলো মহাদুর্নীতি। এই দুর্নীতির জন্য সবার আগে এই সরকারের বিচার হওয়া উচিত ছিলো।’

    তিনি বলেন, ‘এই ভোটারবিহীন সরকার জনগণের সরকার নয়, এটি একটি মাফিয়া সিন্ডিকেট। তা না হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন হবে না কেনো? এরকম মামলায় অসংখ্য জামিন হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রীই বলেছেন, তারেক যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তার মা মুক্ত হবে না। ওই জামিনের চাবিটা শেখ হাসিনার হাতে আছে, ওই চাবিটা শেখ হাসিনা যতক্ষন পর্যন্ত না তালা খুলবেন ততক্ষন পর্যন্ত দেশনেত্রী মুক্ত হবেন না।’

    রিজভী বলেন, ‘দেশনেত্রীর কাছে তার আত্বীয়-স্বজনরা যাচ্ছেন, খবর নিয়ে আসছেন। তিনি ডান হাত বাম হাত নাড়াতে পারছেন না, প্রতিদিন সেটা ফিক্সড হয়ে যাচ্ছে। যে ভদ্র মহিলা, যে জাতীয় নেত্রী তিনি আজকে ‘হুইল চেয়ারবাউন্ড’ হয়ে গেছেন। তাকে দুইজন লোক ধরে তুলতে হয়। কিন্তু আমরা দেখলাম তিনি হেঁটে কারাগারের মধ্যে গেছেন। কেনো তার এই অবস্থা? তার এই চরম শারীরিক অবস্থার জন্য দায়ী আজকের প্রধানমন্ত্রী, তার ক্ষোভ, তার প্রতিহিংসা, তার জিজ্ঞাসা, তার রাষ্ট্রক্ষমতায় ভোগ দখলের জন্য আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ধুঁকে ধুঁকে জেলখানায় আছেন।’

    তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী হাসপাতালে আছেন তার চিকিৎসা নাই। তার আত্বীয়-স্বজনরা বলছেন, দেশনেত্রী মুক্ত হলে তিনি সিদ্ধান্ত নেবে। তারা দেশের বাইরে নিয়ে যাবে, দেশের মধ্যে বা বাইরে যেখানে উন্নতমানে চিকিৎসা হয় তারা করাবেন।’

    তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের এই আকুতি আজকে সরকারের কানে ঢুকে না। আজকে কোথায় যাবো? মানুষের শেষ আশ্রয় আদালত সেখানে কোনো বিচার নেই, কোনো বিচার পাওয়া যায় না। আমরা মনে করি, অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, তার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।’

    মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার। যে প্রদীপ জ্বলে উঠার আগেই এই স্বৈরাচারী সরকার তাকে নিভিয়ে দিলো তার সোনার ছাত্রলীগ বাহিনী দিয়ে। এই আবরারকে যেভাবে তিল তিল করে হত্যা করা হয়েছে শারীরিক ও মানসিক অবর্ণনীয় বর্বর হামলা করে এটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সে আমার মতোই কোনো মায়ের সন্তান।

    তিনি বলেন, যারা হত্যা করেছে এই হত্যাকারী শুধু ধরলেই হবে না, তাদের প্রত্যেককে দৃশ্যমান ফাঁসি দিতে হবে। হত্যাকারীর পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্যদের আমি বিচার চাই। কারণ যারা এই সন্তানদের জন্ম দিয়েছে, লালন-পালন করেছে অবশ্যই তারা দায়-দায়িত্ব রাখে। আমি সবার বিচার চাই।

    খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যিনি এই দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। গণতন্ত্রের অপর নাম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের অপর নাম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজকে তিনি কারাগারে মানে বাংলাদেশ কারাগারে, গণতন্ত্র কারাগারে। তাকে অবশ্যই আমাদের মুক্ত করে আনতে হবে।

    সংগঠনের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ সভা পরিচালনা করেন। সমাবেশে মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান ও পেয়ারা মোস্তফা বক্তব্য দেন।

  • সাংবাদিকদের নিয়ে মিথ্যাচার : চট্টগ্রামে মানববন্ধন সমাবেশ

    সাংবাদিকদের নিয়ে মিথ্যাচার : চট্টগ্রামে মানববন্ধন সমাবেশ

    সাংবাদিকদের নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে নাগরিক উদ্দ্যেগের ব্যানারে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে নের্তৃবৃন্দরা মনে করেন, সাংবাদিকদের চরিত্র হনন সরকারকে পঙ্গু করে দেওয়ারই একটি অপচেষ্টা।

    নেতৃবৃন্দরা বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত করার প্রবণতা মূলত উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধির যাত্রাকে ব্যাহত করারই ষড়যন্ত্র। সরকারের চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানকে ম্লান করতে পরিকল্পিত ভাবে ক্যাসিনো-জুয়া, কালোটাকার মালিক, সন্ত্রাস ও মৌলবাদের দোসররাই দেশে ও দেশের বাইরে থেকে গণমাধ্যমকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করছে।

    তাদের বিরুদ্ধে সম্মানিত তথ্যমন্ত্রী, বিআরটিসি সহ দায়ীত্বশীলদের শাস্তিমুলক পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানানো হয়েছে চট্টগ্রামের নাগরিক সমাবেশ থেকে।

    প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সমবেত হয়ে বিশিষ্ট কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান ও বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাগামহীন মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

    এই সমাবেশের দাবির সাথে একাত্মতা জানিয়ে এক বার্তায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনও সাংবাদিক পীর হাবিব- শাবান মাহমুদ সহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা জানান।

    চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের আহবায়ক ও বিএফইউজে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ সভাপতি প্রফেসর ডাঃ একিউএম সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধা পরিবেশবিদ প্রফেসর মোঃ ইদ্রিস আলী, বিএফইউজে নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, চসিক কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বোর্ড সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব, প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা খাইরুল ইসলাম কক্সি, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান, শিক্ষক নেতা অধ্যাপক শিবপ্রসাদ, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন দেবনাথ, পেশাজীবী নেতা এডভোকেট মহিবুল্লাহ চৌধুরী প্রবীণ সাংবাদিক শেখর ত্রিপাঠী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহেদা আকতার, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে)র সাবেক কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রউফ পাটোয়ারী, সিইউজে নেতা মোহাম্মদ আলী পাশা, সিইউজে সদস্য তরুণ গবেষক মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস, তরুণ সাংবাদিক সংগঠক মির্জা ইমতিয়াজ শাওন, মাহমুদুর রহমান শাওন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান তারেক আব্দুল্লাহ-আল-মামুন।

    মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইয়াসির আরাফাত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, তরুণ লেখক ওমর ফারুক চৌধুরী জীবন, চট্টগ্রাম আইন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি যথাক্রমে অ্যাডভোকেট মহিবুল ইসলাম সোহেল, এডভোকেট টিপু শীল জয়দেব, যুব পরিষদ সভাপতি আবু তাহের রানা, মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মমিনুর রহমান সজিব রিদুয়ানুল কবির, উপ আইন বিষয়ক সম্পাদক মুনীর চৌধুরী, উপ সম্পাদক নাসির উদ্দিন কুতুবী, মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগঠক জনি বড়ুয়া, বাউবি’র নুরজাহান আক্তার কলি, দেশচিন্তা’র ইমরান সোহেল, ছাত্র নেতা হুমাযয়ুন কবির আজাদ, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, চট্টগ্রাম বাকলিযয়া সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি ফাহিম জিয়া, সহ-সভাপতি রিদওয়ানুল হক, সাধারণ সম্পাদক এসএম মোহাইমিনুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মুন্না ও ছাত্রসংসদের ভিপি ইনজামাম আতিক, জিএস আব্দুর রাজ্জাক শুভ, এজিএস টিপু দত্ত ও বাকলিয়া শহীদ এন এম জে কলেজ ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ ইউনুস, ছাত্রনেতা এম আই হোসেন সাহিদ,আরিফ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সংগঠক আশিক আরেফিন, ফয়েজ আহমেদ, ইমরান প্রমুখ।

    মানববন্ধন সমাবেশটির সভাপতির বক্তব্যে বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের আহ্বায়ক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, বিশিষ্ট কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান ও সাংবাদিক নেতা শাবান মাহমুদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মূলত গণমাধ্যমে অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্র। একটি মহল দেশে বিদেশে বসে এটি করছে। সাংবাদিক নেতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং খ্যাতনামা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক নেতা আবদুল জলিল, তারকা সাংবাদিক মুন্নী সাহা, প্রভাষ আমিনসহ শীর্ষ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

    সাধারণ গণমাধ্যমকর্মী থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ এই ন্যক্কারজনক প্রবণতার তীব্র নিন্দা জানায়। সাংবাদিকরা যাতে উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে না পারেন, সে জন্যই ষড়যন্ত্রমূলক এই অপপ্রচার হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ।

  • আবরার হত্যা মামলার আসামী তানিমের শহর সৈয়দপুরে তোলপাড়, মানববন্ধন

    আবরার হত্যা মামলার আসামী তানিমের শহর সৈয়দপুরে তোলপাড়, মানববন্ধন

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলার আসামী এহেতসামুল রাব্বি তানিমের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের মুন্সিপাড়ায়।

    সে সৈয়দপুর সরকারী কারিগরী স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র ছিল। এখানে থেকে ২০১৫ সালে এসএসসি এবং ২০১৭ সালে এইচএসসি পাস করে। ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সদস্য তানিম তার বন্ধু ফাহাদকে খুনীদের কাছে নিয়ে যায় এবং হত্যার পর তার লাশ নিয়ে সিঁড়িতে ফেলা দেয়ার দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে বলে তাঁর কলেজের সহপাঠিরা ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছে। এরপর থেকে সৈয়দপুর জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    ৮ অক্টোবর সকালে আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে মাত্র চার জন ছাত্র দাঁড়িয়ে নিরবে প্রতিবাদ করছিলো সেসময় আশেপাশে লোকজন সহ পথচারী ও খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিবাদী মানুষেরা তাদের সমর্থনে মানব বন্ধনে অংশ নেয় ।

    রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। শিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

    নিহত ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তিনি থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে।

    সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হওয়া চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া কেন্দ্র করে রোববার রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষেও ভেতর ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

    এ হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ১১ জনকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ। এদের মধ্যে তানিমও রয়েছে। অন্যরা হলেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-দফতর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, সদস্য মুনতাসির আল জেমি ও মুজাহিদুর রহমান।

    ৭ অক্টোবর দিবাগত রাতে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এদিকে তানিম সৈয়দপুরের ছেলে হওয়ায় তার সহপাঠীসহ বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের মাঝে বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সে সাথে শহরের সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য। তারা এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি নিন্দা জ্ঞাপন করছেন।

  • মিরসরাইয়ে মার্কেটের সিঁড়ি ভেঙ্গে ফেলেছে পৌরসভা,প্রতিবাদে ব্যাবসায়ীদের মানববন্ধন

    মিরসরাইয়ে মার্কেটের সিঁড়ি ভেঙ্গে ফেলেছে পৌরসভা,প্রতিবাদে ব্যাবসায়ীদের মানববন্ধন

    মিরসরাই উপজেলা সদরে একটি তিনতলা বিশিষ্ট মার্কেটের মূল ফটক ও সিঁড়ি রাতের আধারে ভেঙ্গে ফেলেছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। উপজেলার কলেজ রোডে অবস্থিত উক্ত হক সুপার মার্কেটের মূল ফটক ও সিড়ি ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ব্যবসায়ীরা।

    বুধবার (২ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

    মানববন্ধনে হক সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী ও বাসার ভাড়াটিয়ারা অংশগ্রহণ করেন।

    আলম মোবাইল সেন্টারের মালিক মোহাম্মদ আলম বলেন, আমাদের মার্কেটে ২২টি দোকান, ৭টি অফিস ও ১০টি পরিবার বসবাস করে। মার্কেটের সামনের জায়গায় মিরসরাই পৌরসভা বহুতল কিচেন মার্কেট করতেছে।

    পৌর কর্তৃপক্ষ দোকানের ব্যবসায়ীদের বিষয় বিবেচনা না করে মার্কেটের প্রবেশ মুখের সিঁড়ি ভেঙ্গে ফেলে। আমরা পৌরসভা নিয়মিত কর দিয়ে আসলেও পৌরসভা আমাদের ব্যবসা করার কোন সুযোগ দেয়নি। এখন আমাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

    এ সময় ব্যবসায়ী মোঃ জাহিদ, দেবাশিষ দেবনাথ, ইউসুফ, রুবেল বক্তব্য রাখেন।

    ব্যবসায়ীরা জানায়, রাতে সিঁড়ি ভাঙ্গার সময় আমরা খবর পেয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে বাঁধা দিলেও আমাদের কোন কথা তারা শুনেননি। এরপর মিরসরাই থানায় কল করেও কোন সহায়তা পাওয়া যায় নি।

    মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি দেন ব্যবসায়ীরা।

    মিরসরাই পৌরসভার মেয়র মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, মিরসরাই পৌরসভার বহুতল কিচেন মার্কেট করার জন্য উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। পৌর মার্কেটের পিছনের অংশে অবস্থিত হক সুপার মার্কেটের সিঁড়ির জন্য উন্নয়ন কাজের সমস্যা দেখা দিলে বিকল্প যোগাযোগের জন্য হক সুপার মার্কেটের উত্তর পাশ দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। হক সুফার মার্কেটে প্রবেশের জন্য সিঁড়িটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। উক্ত সিঁড়ি ছাড়া ও মার্কেটের ভেতর অন্য সিঁড়ি রয়েছে দোতলা ও তিন তলার জন্য যেটি মার্কেটের মূল সিঁড়ি । যে সিঁড়ি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে সেটি মূল সিঁড়ি নয় এটি বিকল্প সিঁড়ি এবং মার্কেটের মূল কাঠামোর সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই বরং এটি সরকারী উন্নয়ন কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে । তাই মিরসরাইয়ে জনগনের সার্থে উন্নয়নের সার্থে অপ্রয়োজনীয় ও বিকল্প সিঁড়িটি অপসারণ করা হয়েছে ।

    এছাড়া তিনি বলেন পৌর কিচেন মার্কেটের ভেতর দিয়েও হক সুপার মার্কেটে যোগাযোগের জন্য গলির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কাজ শেষ হলে যা দৃশ্যমান হবে। ব্যবসায়ীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তিনি আহবান জানান।