Tag: মামলা

  • চট্টগ্রামে সংঘর্ষ: চার মামলায় আসামি সাড়ে ৭ হাজার

    চট্টগ্রামে সংঘর্ষ: চার মামলায় আসামি সাড়ে ৭ হাজার

    চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও দুই ব্যক্তি বাদী হয়ে চারটি মামলা দায়ের করেছেন। এসব মামলায় অজ্ঞাত সাড়ে সাত হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার নগরের মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

    নগর পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ৫০০০ থেকে ৬৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে তিনটি মামলা হয়েছে পাঁচলাইশ থানায়। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি এবং সংঘর্ষে আহত একজনের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় আরও মামলা দায়ের হবে।

    তিনি বলেন, এছাড়াও নগরের খুলশি থানায় একজনের নাম উল্লেখসহ সাড়ে পাঁচশত জনকে আসামি করা হয়েছে। একজন ভুক্তভোগী মামলাটি করেছেন। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।

    পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, তিনটি মামলার মধ্যে হত্যার দায়ে করা মামলায় অজ্ঞাত সাড়ে ৬ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও বিস্ফোরণের দায়ে ১০০-১৫০ এবং হামলার ঘটনায় এক নারী ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

    তিনি জানান, নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত শেষে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • এমপির স্ত্রীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গুলিবিদ্ধ শান্তর

    এমপির স্ত্রীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গুলিবিদ্ধ শান্তর

    ভোটের দিন নগরে গুলিবিদ্ধ হওয়া সেই শান্ত বড়ুয়া আদালতে চট্টগ্রাম-১০ আসনে সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর স্ত্রী জিন্নাত মহিউদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। আদালত অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শাহনেওয়াজ মাহমুদ চৌধুরী।

    মামলায় মহিউদ্দিন বাচ্চুর স্ত্রী ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হীরণ ও তার স্ত্রী কাজল, মাহমুদুর রহমান, মোহাম্মদ কামাল ওরফে কাঁচি কামাল এবং রাবেয়া মুন্নী মেরী।

    আদালতে দায়ের করা অভিযোগে বাদী শান্ত বড়ুয়া জানান, তিনি চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিটি মেয়র মনজুর আলমের সমর্থক। ঘটনার দিন (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯ টা ২০ মিনিটে পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলমের সমর্থকদের বের হয়ে যেতে বলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু।

    এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলমের ছেলে বিষয়টির প্রতিবাদ করলে মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্দেশে ১নং আসামি মোহাম্মদ হোসেন হীরণসহ অপরাপর আসামিরা বাদীকে মারধর করেন। একপর্যায়ে হীরণ কোমর থেকে পিস্তল বের করে গুলি ছুড়লে বাদীর পেটে বিদ্ধ হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে মামলা করতে খুলশী থানায় যান বাদী। থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় বাদী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি সকালে পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনে প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলিবর্ষণ করেন ওমরগণি এমইএস কলেজের সাবেক ভিপি ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত শামীম আজাদ ওরফে ব্লেড শামীম। এতে শান্ত বড়ুয়া ও জামাল নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হন।

    এ ঘটনার পরের দিন (৮ জানুয়ারি) রাতে সীতাকুণ্ড থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় দুই রাউন্ড গুলিসহ ব্লেড শামীমকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭। ব্লেড শামীমের ছোড়া গুলিতেই জামাল ও শান্ত গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।

  • ভরণপোষণ না দেওয়ায় ছেলের বিরুদ্ধে মামলা, আসামি পুত্রবধূও

    ভরণপোষণ না দেওয়ায় ছেলের বিরুদ্ধে মামলা, আসামি পুত্রবধূও

    ভরণপোষণ না দেওয়ায় ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ নামে ৭০ বয়সী এক বৃদ্ধ। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারদিন মুস্তাকিম তাসিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

    মামলায় তিনি ছেলে আবু ছালেকের (৩৫) পাশাপাশি পুত্রবধূ ইয়াসমিন আক্তার শিখাকে (২৫) আসামি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

    মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বৃদ্ধ আব্দুল আজিজকে কোনোরকম ভরণপোষণ, খাবার ও চিকিৎসার খরচ দেন না তার ছেলে আবু ছালেক। গত ১ জুলাই ভরণপোষণ চাইলে আবু ছালেক বাবাকে গালিগালাজ ও মারধর করেন। একপর্যায়ে স্ত্রী শিখার প্ররোচনায় আবু ছালেক দা দিয়ে তার বাবাকে কোপ মারার জন্যও আক্রমণ করে এবং ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় আব্দুল আজিজ থানায় অভিযোগ দেন। তখন থানা থেকে আজিজের সঙ্গে এমন ব্যবহার না করার জন্য ছেলেকে সতর্ক করা হয়। এই সময় ছালেক এমন ব্যবহার করবে না বলে ওয়াদা করে। কিন্তু এরপরও ভরণপোষণের কোন খরচ দেন নাই। গত ১২ নভেম্বরও বাবা ভরণপোষণ ও চিকিৎসার জন্য টাকা চান, কিন্তু ছেলে তা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন। একপর্যায়ে দুই আসামি মিলে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার জন্য আজিজকে গালিগালাজ ও অপমান করে।

    মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৌরপ কান্তি নাথ বলেন, ভরণপোষণ, খাবার ও চিকিৎসা খরচ না দেওয়ার অভিযোগে ছেলে ও ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন বৃদ্ধ আব্দুল আজিজ। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

  • মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ৮৪৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

    মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ৮৪৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

    বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৮৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

    রোববার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় এ মামলা করেন ওই থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান। মামলায় এজহারনামীয় আসামি করা হয়েছে মির্জা আব্বাসসহ ৫৭ জনকে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ৭০০/৮০০ জনকে।

    মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার বিকেল ৩ টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিরোধী স্লোগান দেয়। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুর থানা এলাকায় বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে তারা। এ সময় আসামিরা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

  • মিরসরাইয়ে শিবিরের দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

    মিরসরাইয়ে শিবিরের দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

    মিরসরাই প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ে ছাত্র শিবিরের ঝটিকা মিছিল থেকে ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনায় দলটির দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পুলিশের মতে আটক শিবির ক্যাডার হাসিবুল হাসানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৪৬ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

    মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালের ঘটনায় রাত ১০টায় স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বাদি হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ মোট ছয়টি ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।

    জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, মঙ্গলবারের ঘটনায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত এক থেকে দেড়শ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ ছয়টি ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদি থানার উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন।

    চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) ইফতেখার হাসান জানান, ঘটনার সময় আটক হওয়া শিবির ক্যাডার হাসিবুলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৪৬ জনের পরিচয় আমরা পেয়েছি। বাকিদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার ঠাকুরদিঘী এলাকায় ছাত্রশিবির একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। এসময় তারা স্থানীয় দুর্গাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনিস রিফাত ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস খানের ওপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করে হাসিবুল হাসান নামের এক শিবির কর্মীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

  • চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় ৬০০ জনকে আসামি করে ৪ মামলা

    চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় ৬০০ জনকে আসামি করে ৪ মামলা

    চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেমসহ প্রায় ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

    গতকাল সোমবার রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলাগুলো করে পুলিশ।

    আজ মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা, অগ্নিসংযোগ ও দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগে মোট চারটি মামলা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। অপর মামলার বাদী চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। এসব মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

    বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম শহরের নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করে মহানগর বিএনপি। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

    প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। হামলার অভিযোগে বিএনপির ১৬ জনকে গতকালই ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে বলে জানান কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির।

  • মিরসরাইয়ে ১৩ বছরের কিশোরী অপহরণ! মামলা নেয়নি থানা

    মিরসরাইয়ে ১৩ বছরের কিশোরী অপহরণ! মামলা নেয়নি থানা

    মিরসরাইয়ে ফারহানা (ছদ্মনাম) নামে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। কিশোরী স্থানিয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

    স্থানীয় বখাটে ফিরোজ খান প্রকাশ মাসুম (২০) তাকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর পরিবার। রবিবার (১৫ মে) সকাল ৯টায় উপজেলার ১০ নং মিঠানালা ইউনিয়নের পশ্চিম মিঠানালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফিরোজ খান মাসুম একল এলাকার মাহফুজুর রহমানের ছেলে।

    কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বখাটে ফিরোজ খান তার অবুঝ কন্যাকে বিভিন্ন সময় উত্তক্ত করতো। গত ২৩ এপ্রিল রাত ৯টায় ফারহানা কিশোরী প্রাকৃতিক ডাকে সাড়ে দিতে ঘর থেকে বের হলে ফিরোজ খান তার মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশ্ববর্তী বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে।

    ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরীর পিতা ফারুক হোসেন অভিযুক্ত ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে মামলা করতে মিরসরাই থানার শরণাপন্ন হলে পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতের সরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেয়।

    পরবর্তীতে গত ২৮ এপ্রিল কিশোরীর মা চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালতে ফিরোজ উদ্দিন প্রকাশ (মাসুম) কে আসামী করে মামলা (নং-১৩৪/২০২২) দায়ের করেন। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    কিশোরীর মা জানান, আদালতে মামলা করার পর ফিরোজ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। শনিবার (১৪ মে) রাতে সে আমাদের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে ফারহানাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। অন্যথায় তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকী দেয়।

    এরপর রবিবার (১৫ মে) আমার অবুঝ মেয়েকে বাড়িতে কোথাও খুঁজে পাইনি। এঘটনায় মিরসরাই থানায় মামলা করতে আসলে পুলিশ অদৃশ্য কারণে মামলা না নিয়ে নিঁখোজ ডায়েরী (নং-৬২৫) নেয়। মেয়েকে খুঁজে দিতে ও বখাটে ফিরোজ খানের শাস্তির জন্য তিনি আইনশৃঙ্খালা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন।

    মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, একজন মহিলা এই ধরনের একটি অভিযোগ নিয়ে এসেছেন বলে শুনেছি। যে টুকু জেনেছি ওটা প্রেম জনিত ঘটনা। তবে বিস্তারিত আমি এখনো জানিনা। বিষয়টি বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় মামলা রুজু পূর্বক উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

    ২৪ ঘন্টা/আশরাফ উদ্দিন/রাজীব

  • সীতাকুণ্ডে জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ক্যাপিটাল পেট্রোলিয়ামের বিরুদ্ধে মামলা

    সীতাকুণ্ডে জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ক্যাপিটাল পেট্রোলিয়ামের বিরুদ্ধে মামলা

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বঙ্গোপসাগরের সন্ধীপ চ্যানেল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনও ফসলী জমি ভরাট করায় ধার্য্যকৃত ৫০ লাখ টাকা জরিমানা পরিশোধ না করায় ক্যাপিটাল পেট্রোলিয়াম লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম।

    আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। এর আগে বালু মহাল আইন না মেনে সাগর থেকে বালু উত্তোলনের প্রমাণ পেয়ে ক্যাপিটাল পেট্রোলিয়াম লিমিটেডকে তিনবার নোটিশ পাঠায় পরিবেশ অধিদপ্তর।

    তবে তারা শুনানিতে অংশ নেয়নি। পরপর এভাবে তিনবার নোটিশ পাঠিয়েও শুনানিতে অংশ না নেওয়ায় ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মফিদুল আলম।

    সেসময় তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধের পাশাপাশি বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে সেই নির্দেশও উপেক্ষা করেছে অভিযুক্ত ক্যাপিটাল পেট্রোলিয়াম।

    মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মফিদুল আলম বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধ করা, বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেয়া ও ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়া হলেও তারা আদেশ পালন করেননি তাই বাধ্য হয়ে নিয়মিত মামলা করতে বাধ্য হলাম।

    ২৪ ঘন্টা/রাজীব

  • সিনহা হত্যা মামলা : আদালতে ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামি

    সিনহা হত্যা মামলা : আদালতে ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামি

    মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিনহা মুহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এর আগে সকাল ১০টার দিকে এই মামলায় কারাগারে থাকা সব আসামিকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। আগামী বুধবার পর্যন্ত টানা তিন দিন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।

    মামলায় মোট ৮৩ জনের মধ্যে বাদীসহ ১ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় ১৫ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে মামলার বাদী নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের সাক্ষ্য দিয়েই শুরু হচ্ছে এ মামলার বিচার কার্যক্রম। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ ছিল। মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে হাইকোর্টের নির্দেশে সারা দেশের মতো কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ওই তারিখে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হতে পারেনি।

    সরকার গত ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ তুলে নিলে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ ২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট নতুন করে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

    আদালতে দেওয়া চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মুহাম্মদ রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ নয় জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

    বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে দ্বিতীয় এবং পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতকে মামলার তিন নম্বর আসামি করা হয়। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব-১৫।

    হত্যাকাণ্ডের পর চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।

    মামলায় অভিযুক্ত ও কারাগারে আটক থাকা ১৫ আসামি হলেন—বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

    অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

  • সাইবার অপরাধের বিচারে আশার আলো, চট্টগ্রামে ট্রাইব্যুনাল গঠন

    সাইবার অপরাধের বিচারে আশার আলো, চট্টগ্রামে ট্রাইব্যুনাল গঠন

    রাজীব সেন প্রিন্স : বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে বাংলাদেশেও। সেই সাথে হু হু করে প্রযুক্তিগত অপরাধ ও সাইবার অপরাধের মামলাও বাড়ছে। আর প্রায় সব মামলায় হচ্ছে অজামিনযোগ্য তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায়।

    এদিকে সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দিন দিন মামলার সংখ্যা বাড়লেও নিষ্পত্তির সংখ্যা খুব একটা বাড়ছে না। ফলে দ্রুত মামলা নিস্পত্তির জন্য সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে আইনজীবীরা।

    এরই প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে টেলিফোন, অনলাইন এবং ই-মেইল হ্যাকিং-সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের জন্য ২০১৩ সালে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সরকার।

    তবে তা মাত্র একটিমাত্র বিভাগ ঢাকায় গঠিত হওয়ায় সারাদেশেই মামলা জট দীর্ঘ থেকে রীতিমত স্তুপে পরিণত হয়েছে। পরে এ সমস্যা নিরসনকল্পে সরকার নতুন করে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহসহ সাত বিভাগে পৃথক সাতটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

    কিন্তু বেশ কয়েকবছর পেরিয়ে গেলেও ঢাকা ছাড়া অন্য কোনো বিভাগীয় শহরে আলোর মুখ দেখেনি এই প্রকল্প। তবে দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার পর সাইবার অপরাধের বিচারকার্যে আশার আলো দেখছে বিচারপ্রার্থীরা।

    সাইবার সংঘটিত অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে অবশেষে চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। সাইবার ট্রাইব্যুনাল আইনের-২০০৬-এর বিধানের আলোকেই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।

    মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে পদায়ন করা হয় ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা জজ এস. কে. এম. তোফায়েল হাসানকে।

    এর আগে দীর্ঘদিন ধরে এই ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করে আসছিলেন জেলার আইনজীবীসহ এই অপরাধের শিকার বিচারপ্রার্থীরা। তাছাড়া সাইবার ট্রাইব্যুনাল স্থাপনে ২০২০ সাল থেকে জেলা আইনজীবী সমিতি আইন মন্ত্রণালয়ে জোর তদবির শুরু করে।

    অবশেষে মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যম এখন থেকে ঢাকার পর চট্টগ্রামেও সাইবার অপরাধের বিচার কাজ শুরু হওয়ায় প্রধান বিচারপতি, আইনমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।

    এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ. এইচ. এম জিয়াউদ্দিন বলেন, এর আগে এতদিন ধরে একমাত্র ঢাকার আদালতে স্থাপিত সাইবার ট্রাইব্যুনালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে (আইসিটি অ্যাক্ট) দায়ের করা মামলা গুলোর বিচারকাজ সম্পন্ন করা হতো।

    মঙ্গলবার সরকারের পক্ষ থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা জজ এস. কে. এম. তোফায়েল হাসানকে নিয়োগ দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।

    তিনি আরো বলেন, সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত মামলা দায়ের করতে বিচারপ্রার্থীদের ঢাকায় যেতে সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ এবং হয়রানিমূলক ছিল। এজন্য আমরা চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। অবশেষে দাবি পূরণ হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনালের জন্য ৬টি পদ সৃজন করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার একজন বিচারক থাকবেন।

    এ ছাড়া সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর, বেঞ্চ সহকারী, আউটসোর্সিং গাড়িচালক, আউটসোর্সিং জারিকারক, ও এমএলএসএসের আউট সোর্সিং পদে একজন করে নিযুক্ত করা হবে। পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালে গাড়ি, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ার মেশিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

    মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে মিথ্যা ও গুজব রটানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে এবং ৫৭ ধারায় আগের করা মামলাগুলোর দ্রুত বিচার শেষ করতে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    এ ছাড়া মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, অনুমতি ছাড়াই ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের বিচার হবে এই ট্রাইব্যুনালে।

    জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন থানা থেকে বিচারের জন্য সাইবার ট্রাইব্যুনালে প্রায় তিন হাজারের মত মামলা হয়েছে। প্রতিবছরই মামলার সংখ্যা বেড়েছে।

    ২০১৩ সালে মাত্র ৩টি মামলা এলেও বছর বছর ক্রমান্বয়ে তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে ২০১৪ সালে ৩৩টি, ২০১৫ সালে ১৫২টি, ২০১৬ সালে ২৩৩টি, ২০১৭ সালে ৫৬৮টি, ২০১৮ সালে ৬৭৬টি, ২০১৯ সালে ৭২১টি, ২০২০ সালে ৩৫০র বেশি এবং চলতি বছরে এখন পর্যন্ত শতাধিক মামলা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

    ২৪ ঘন্টা স্পেশাল/রাজীব

  • তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

    তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করা হয়েছে।

    রোববার রমনা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের এসআই এলকে চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রমনা থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের উপত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলা করেন।

    মামলার অভিযোগে বলা হয়, লন্ডনে আয়ােজিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বক্তব্যে বলেন- যারা আজ এই সভায় উপস্থিত আছেন, যারা ক্যামেরা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে দেখছেন আমরা সবাই মিলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সিদ্ধান্ত নিতে পারি, আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু বাঙালি জাতি না, বাঙালিসহ ৫৫ হাজার ১২৬ বর্গমাইলের মধ্যে যতগুলো জাতি বাস করে যারা বাংলাদেশি জাতির পরিচয় বহন করে, যারা নিজেদেরকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেয়, সেই বৃহৎ জনগােষ্ঠীর জাতির পিতা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। আমরা কি আজকে সবাই মিলে এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারি? তাহলে আজকে থেকে সিদ্ধান্ত হলাে- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা।

    মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই সভায় তারেক রহমান বাংলাদেশে চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাওয়ার উদ্দেশ্যে এমন মনগড়া মিথ্যা তথ্য সংবলিত উদ্ভট যুক্তি দেন। তার ইচ্ছাকৃত ইতিহাস বিকৃতির এ বক্তব্য জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলার অবনতির উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে। তিনি তার আলোচনায় মনগড়া ভিত্তিহীন আক্রমণাত্মক তথ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাঙালি জাতির পিতাকে নিয়ে অসত্য, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে গুজব সৃষ্টিকারী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

  • চসিক নির্বাচন বাতিল চেয়ে সিইসি-মেয়র এর বিরুদ্ধে শাহাদাতের মামলা

    চসিক নির্বাচন বাতিল চেয়ে সিইসি-মেয়র এর বিরুদ্ধে শাহাদাতের মামলা

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে মামলা করেছেন নির্বাচনে পরাজিত বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। মামলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ও নবনির্বাচিত সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিমসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

    বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিনের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন তিনি।

    বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ও ডা. শাহাদাত হোসেনের আইনজীবি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    মামলায় সিইসি, ইসি সচিব ও চসিক মেয়র ছাড়াও অন্য যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন- চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রিটার্নিং অফিসার, মেয়র প্রার্থী আবুল মঞ্জুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, মোহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও জান্নাতুল ইসলাম।

    অভিযোগ দায়েরের পর ডা. শাহাদাত উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, চসিক নির্বাচনে ভোটের দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪-৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু দিন শেষে সাড়ে ২২ শতাংশ ভোট দেখানো হয়েছে। নির্বাচনের দিন প্রতিঘণ্টার ভোটের হিসাব দেখতে চেয়েছিলাম। ৭ দিন সময়ও দিয়েছি। কিন্তু ১০ দিন পরেও এই তথ্য কমিশন দিতে পারেনি। নির্বাচনে ৪ হাজার ৮৮৫টি ইভিএম ব্যবহার করা হয়। সেখানে মাত্র ১০টি বুথে ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি দেওয়া হয়েছে। যদি ১০টি বুথের ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি থাকে তাহলে সবগুলো ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি থাকার কথা। কিন্তু তারা এটা দেখাতে ব্যার্থ হয়েছে। ভোট কারচুপির অভিযোগ এবং বির্তকিত নির্বাচন বাতিল করে নতুন তফশীল ঘোষণা মাধ্যমে নিরপেক্ষভাবে পুণ:নির্বাচনের দাবীতে ৯ জনকে বিবাদী করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন।

    গত ১১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ভোটগ্রহণের তথ্য চাইতে যান বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি নির্বাচনে জোর করে হারিয়ে দেয়া অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধের মামলা করার ঘোষণা দেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ।