Tag: মামলার রায়

  • ২৭ নভেম্বর হলি আর্টিজান মামলার রায়

    ২৭ নভেম্বর হলি আর্টিজান মামলার রায়

    রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলা মামলার রায়ের জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

    রোববার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

    যুক্তিতর্ক গ্রহণের সময় আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের দিন ঘোষণা শেষে তাদের ফের কারাগারে নেওয়া হয়েছে। যুক্তিতর্ক গ্রহণের আগে এ মামলায় ১১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

    ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে (স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ) হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।

    খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ নিহত হন।

    পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় হামলাকারী নিহত হয়।

    ২০১৬ সালের ৪ জুলাই নিহত ৫ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

    ঘটনায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

    আসামিরা হলেন—জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আব্দুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, মামুনুর রশীদ ও শফিকুল ইসলাম ওরফে খালেদ।

  • আজ নুসরাত হত্যা মামলার রায়

    আজ নুসরাত হত্যা মামলার রায়

    বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর)।

    রায় ঘোষণা করবেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ।

    এ মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষের আইনজীবীরা। অপরদিকে মামলায় ‘দুর্বল সাক্ষী ও বেশ কিছু অসঙ্গতি’ আদালতে উপস্থাপন করে আসামিরা খালস পাবেন আশা আসামিপক্ষের আইনজীবীদের।

    গত ৩০ সেপ্টেম্বর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও বাদীপক্ষের খণ্ডন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৪ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেন।

    মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজু বলেন, এ মামলার আসামিরা ভিকটিম নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তা আদালতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আশা করি এ মামলার আসামিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে।

    অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, ন্যায়বিচারে আসামিরা খালাস পাবেন। কারণ রাষ্ট্রপক্ষ তাদের মামলার কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি।

    ফেনী জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হাফেজ আহমেদ জানান, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলার সার্বিক আইনি ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার ফেনীর আমলি আদালতের বিচারক জাকির হোসাইন নুসরাত হত্যা মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের পর ৪৭ কর্মদিবস পর্যন্ত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা অনুষ্ঠিত হয়।

    ৬১ কর্মদিবসে আলোচিত এ হত্যা মামালার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। গত ২৭ জুন মামলার বাদী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ মামলার ৯২ সাক্ষীর মধ্যে নুসরাতের মা শিরিন আক্তার, বাবা একেএম মূসা ও ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হানসহ ৮৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বাকি চারজনের পক্ষে নথিপত্র আদালতে পেশ করা হলে আদালত তা সাক্ষী হিসেবে গ্রহণ করেন।

    নুসরাত হত্যা মামলায় পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ২১ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে। পরে ২৯ মে ১৬ জনকে আসামি করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে পিবিআই। সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় নূর হোসেন, আলা উদ্দিন, কেফায়েত উল্যাহ জনি, সাইদুল ও আরিফুল ইসলামের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়।

    পিবিআই পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, রায়কে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। ওই দিনও মামলায় অভিযুক্ত ১৬ আসামিকে আদালতে আনা হবে।

  • আজ রিশা হত্যা মামলার রায়

    আজ রিশা হত্যা মামলার রায়

    রাজধানীর কাকরাইলে বখাটের ছুরিকাঘাতে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার রিশার (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর)।

    ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুপুরে এই রায় ঘোষণা করবেন।

    গত ১১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আসামির উপস্থিততে রায় ঘোষণার জন্য ৬ অক্টেবর তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। কিন্তু ওই দিন আসামি ওবায়দুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করেননি কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য আদালত রায় ঘোষণার পিছিয়ে ১০ অক্টোবর নির্ধারণ করেন।

    ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রিশাকে ছুরিকাঘাত করেন ওবায়দুল হক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট মৃত্যু হয় রিশার।

    রিশা হত্যাকাণ্ডে তার মা তানিয়া হোসনে বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সে একটি পোশাক বানাতে দেয় রিশা। ওই টেইলার্সের রশিদে বাসার ঠিকানা ও রিশার মায়ের মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। সেই রশিদ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ওবায়দুল খান (২৯) রিশাকে ফোনে উত্ত্যক্ত করতেন। পরে ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দিলে ওবায়দুল স্কুলে যাওয়ার পথে রিশাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। তার প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় রিশাকে ছুরিকাঘাত করেন তিনি।

    ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে ওবায়দুল হককে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আলী হোসেন। পরের বছর ১৭ এপ্রিল মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটিতে ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

  • নুসরাত হত্যা মামলার রায় ২৪ অক্টোবর

    নুসরাত হত্যা মামলার রায় ২৪ অক্টোবর

    ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় আগামী ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে।

    সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হাফেজ আহমেদ এই তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, এই মামলার বিচারকাজ শেষ হয়েছে এবং রায় আগামী ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক মামুনুর রশিদ।

    আদালত সূত্র জানায়, ২৯ মে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-পিবিআই। চার্জশিটভুক্ত ১৬ আসামির মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

    ৩০ মে মামলাটি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ১০ জুন আদালত মামলাটি আমলে নিলে শুনানি শুরু হয়। ২০ জুন অভিযুক্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আদালত। এরপর ২৭ ও ৩০ জুন মামলার বাদী ও নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানকে জেরার মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। এরপর মোট ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

    উল্লেখ্য, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে তিনি যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পরীক্ষার আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে ওই মাদ্রাসার কেন্দ্রে যান নুসরাত। এসময় তাকে পাশের বহুতল ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান। এই ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।