Tag: মামুনুল হক

  • কুমিল্লার আদালতে মামুনুল হক

    কুমিল্লার আদালতে মামুনুল হক

    পুলিশের মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে কুমিল্লার আদালতে তোলা হয়েছে।

    রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হয়।

    কুমিল্লার চান্দিনায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আয়োজিত মাহফিলে অংশগ্রহণ এবং উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর পুলিশ এই মামলা করে। এর আগে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামুনুল হক ও খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে সড়কপথে কুমিল্লার কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।

    কুমিল্লার কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বলেন, কুমিল্লার চান্দিনায় একটি মামলাসহ কুমিল্লায় করা একাধিক মামলার আসামি হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। কুমিল্লা আদালতে মামলার হাজিরা থাকায় গত শুক্রবার মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে কুমিল্লার কারাগারে আনা হয়। আজকে একটি মামলায় দুইজনকেই আদালতে হাজির করা হয়েছে।

    ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর কুমিল্লার চান্দিনার জোয়াগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় এক মাহফিলের আয়োজক ও অতিথিদের বিরুদ্ধে ১৭ ডিসেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এছাড়া ওই মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।

    গত ১৮ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে থেকে হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ। তার বিরুদ্ধ নারী ও শিশু নির্যাতন, পুলিশি কাজে বাধা, ভাঙচুর ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ ২৭টি মামলা রয়েছে।

    এন-কে

  • আল্লামা শফীকে হত্যার অভিযোগে মামুনুলসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    আল্লামা শফীকে হত্যার অভিযোগে মামুনুলসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ মামলাটি করেন আল্লামা আহমদ শফীর শ্যালক মাইনুদ্দিন।

    বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফ বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, মামলায় বাদিসহ ৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন ও মো. শহীদুল্লাহ।

    আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন বলেও জানান আইনজীবী আবু হানিফ।

  • বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়: মামুনুল হক

    বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়: মামুনুল হক

    কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক।

    তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মাধ্যমে একটি অনভিপ্রেত পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃখজনক ও অত্যন্ত নিন্দনীয়। ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে কেউ কেউ আমার নাম জড়াবার চেষ্টা করছেন।

    কিন্তু অত্যন্ত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি, আমার কোনও বক্তব্যের মাধ্যমে অথবা আমার কোনও কথায় এভাবে আইন হাতে তুলে নেয়ার কোনও কথা কস্মিনকালেও বলিনি। দেশের আইন শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোনও ব্যক্তি এমনটা কখনও করতে পারে না।

    সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পেজে ‘ভাস্কর্য নিয়ে বিরোধ, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতির’ ওপর বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন মামুনুল হক।

    লাইভে হেফাজত নেতা মামুনুল হক বলেন, আমার বক্তব্য স্পষ্ট, ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে ভাস্কর্য রাখা নাজায়েজ ও হারাম-সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আমি জানিয়ে দিয়েছি। এবং আমরা আমাদের বক্তব্যে একথা স্পষ্ট করে দিয়েছি, যদি আল্লাহ কখনও আমাদের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সক্ষমতা দান করেন তাহলে শরীয়ার আলোকে সকল কার্যক্রম ঢেলে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।

    মামুনুল অভিযোগ করেন, সারাদেশের যত্রতত্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের প্রবণতা শুরু হয়েছে। আমরা ভাস্কর্য নির্মাণের বিষয়ে দ্বিমত করি। কোরআন সুন্নাহর আলোকে তা নাজায়েজ। মরহুম ব্যক্তিদের সম্মান ও মর্যাদার দৃষ্টিকোণ থেকে মনে করি যত্রতত্র ভাস্কর্য নির্মাণ এই ব্যক্তিদের সম্মানহানি হবে।

    যত্রতত্র এই ধরনের ভাস্কর্য করলে মানুষের মল-মূত্র ত্যাগ হবে, সেখানে মাথার উপর বিভিন্ন পাখি মলত্যাগ করবে, নানা ধরণের অসামাজিক কাজের আখড়া জমে যেতে পারে। যত্রতত্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য করলে সম্মান বৃদ্ধি হবে না, সম্মানহানির পরিবেশ তৈরি হবে।

    প্রসঙ্গত সোমবার দুপুরে ঢাকার একটি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ করে মামুনুল হক, জুনায়েদ বাবুনগরী ও ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে মামলা করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

    ফেসবুক লাইভের (https://fb.watch/2e5m9kFoBq/) বক্তব্যে মামুনুল হক উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে ইসলামবিরোধী পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিলো। হঠাৎ গজিয়ে উঠা ভুঁইফোড় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চও এইরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।

  • ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য : মামুনুল-বাবুনগরী-করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা

    ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য : মামুনুল-বাবুনগরী-করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা

    ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্যের অভিযোগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জুনায়েদ বাবুনগরী ও সৈয়দ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে।

    সোমবার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বাদি হয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ মামলা করেন। আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ডিআইজিকে আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

    মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়,আসামি মামুনুল হক গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবনের মিলনায়তনে বক্তৃতায় বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন করে তারা বঙ্গবন্ধুর সুসন্তান হতে পারে না। এই মূর্তি স্থাপন বন্ধ করুন। যদি আমাদের আবেদন মানা না হয়, আবারও তৌহিদী জনতা নিয়ে শাপলা চত্বর কায়েম হবে।’

    একইদিন আসামি সৈয়দ ফয়জুল করীম ধোলাইখালের নিকটে গেন্ডারিয়া নামক স্থানে তার নসিহত শুনতে আসা সাধারণ মুসলমানদের হাত উঁচু করে শপথ পড়িয়ে বলেন, ‘আন্দোলন করব, সংগ্রাম করব, জেহাদ করব। রক্ত দিতে চাই না, দেয়া শুরু করলে বন্ধ করব না। রাশিয়ার লেলিনের বাহাত্তর ফুট মূর্তি যদি ক্রেন দিয়ে তুলে সাগরে নিক্ষেপ করতে পারে, তাহলে আমি মনে করি শেখ সাহেবের এই মূর্তি আজ হোক, কাল হোক খুলে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করবে।’

    মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জুনায়েদ বাবুনগরী হাটহাজারীতে বলেন, ‘মদিনা সনদে যদি দেশ চলে তাহলে কোনো ভাস্কর্য থাকতে পারে না।’

    তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘ভাস্কর্য নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটবে এবং ওই ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলা হবে।’

    মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে মামলার বাদি দাবি করেছেন, আসামিরা এরূপ ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দিয়ে ইসলাম ধর্মকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা ও সুযোগ-সুবিধা লাভের হীন উদ্দেশ্যে বিদেশি শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে ধর্মের লেবাসে সাধারণ মুসলমানদের উসকানি দিয়ে, ক্ষেপিয়া তুলে রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে ঘৃণা ও শত্রুভাব সৃষ্টি করেছে। যার ফলশ্রুতিতে আসামিদের নির্দেশে মধুদার ভাস্কর্য ও কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মিত ভাস্কর্যসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাস্কর্য ভাঙা হচ্ছে। এইরূপ প্রচারণা ও উসকানি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

    অপর দিকে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা ও নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট আবদুল মালেক একই আদালতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনর (পিবিআই) ডিআইজিকে আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

    এ মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ‘আসামি মামুনুল হক গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ মিলনায়তনের এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দেন।

    এ সময় তিনি বলেন, “লাশের পর লাশ পড়বে, তবুও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়তে দেয়া হবে না।” আর এই বক্তব্যের ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাবমূর্তি ও সম্মান ক্ষুণ্য হয়েছে।

  • আমরা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নই : মামুনুল হক

    আমরা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নই : মামুনুল হক

    আবারও স্পষ্ট করে বলছি আমাদের বক্তব্য ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে, কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নই বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম-মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান নেতা ও স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুসলিম নেতা হিসেবে পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা করি এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করি। কখনো কোনোভাবেই এমন একজন প্রয়াত মরহুম জাতীয় নেতার বিরুদ্ধাচারণ করি না, করা সমীচীনও মনে করি না।

    রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

    মাওলানা মামুনুল হক বলেন, কিছুদিন ধরে ঢাকার ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের ইস্যু নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে শান্তিপ্রিয় তৌহিদী জনতা। স্বাভাবিকভাবেই ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ কিংবা প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণ অনৈসলামিক সংস্কৃতি হওয়ায় আলেম সমাজ এর প্রতিবাদ করছে। সেই সূত্রে আমিও ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মাণের বিরুদ্ধাচারণ করে আমার বক্তব্য তুলে ধরেছি। কিন্তু সুকৌশলে একটি মহল ভাস্কর্য নির্মাণের এই বিরোধিতাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরোধিতা বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করছে।
    এ বিষয়ে আমার বক্তব্য দ্ব্যর্থহীন।

    মামুনুল হক আরও বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে কিছু ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আমাকে মাহফিল করতে বাধা দেয়া হচ্ছে। সরকার দলীয় কিছু সংগঠন আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আমার রাজনৈতিক ও আদর্শিক অবস্থানসহ জাতির সামনে নিজের বক্তব্য তুলে ধরা জরুরি মনে করছি।

    ‘আপনারা আমার পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে অবগত। আমার বাবা উপমহাদেশের প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ ও বাংলাদেশের একজন জাতীয় নেতা মরহুম শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক। যিনি চারদলীয় জোটের শীর্ষ চার নেতার অন্যতম একজন ছিলেন এবং তার দেয়া আদর্শিক পাঁচ দফার সঙ্গে একমত হয়েই ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই করেছিল। ’

    তিনি বলেন, আমার বাবা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক যুগপৎ একটি ঐতিহাসিক ধারার প্রতিনিধিত্ব করে গেছেন, যা উপমহাদেশে দেওবন্দি ধারা হিসাবে সুপরিচিত। আমিও সেই ধারারই একজন রাজনৈতিক কর্মী।

    বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ইসলামের বিজয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণ সাধনই আমার রাজনৈতিক লক্ষ্য। স্বচ্ছ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা চালানোই আমার ব্রত। কোনো ষড়যন্ত্র অথবা গোপন আঁতাতের মাধ্যমে দেশ, রাষ্ট্র কিংবা সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচি আমাদের নেই।

  • চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে প্রাণনাশের হুমকি,থানায় জিডি

    চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে প্রাণনাশের হুমকি,থানায় জিডি

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধীতা করে বক্তব্য দেওয়া হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে প্রতিরোধের আন্দোলনে সক্রিয় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন। নিরাপত্তা চেয়ে তিনি বন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

    শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ২৬ মিনিটে +৮২৫১৫৪২ নম্বর থেকে তার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাকারিয়া দস্তগীর।

    তিনি বলেন, ‘হঠাৎ আমাকে ফোন করে অশ্লীল গালিগালাজ শুরু করেন এক ব্যক্তি। তিনি আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমি ওনার পরিচয় জানতে চাই। জবাব দেন- উনি মালাকুল মউত।

    তিনি আরও বলেন, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি আমাকে বলেন- ‘মামুনুল হক হুজুরের বিরুদ্ধে তুই ঝাড়ু মিছিল করছিস। যেখানে ঝাড়ু মিছিল করেছিস সেখানেই তোর লাশ পড়ে থাকবে। ‘

    হুমকির পর সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে বন্দর থানায় জিডি করেন জাকারিয়া।

    বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে জাকারিয়া দস্তগীর জিডি করেছেন। একটা অনলাইন নম্বর থেকে ফোন এসেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’

    সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণের হুমকি দেওয়ার পর চট্টগ্রামে আন্দোলনে নামেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীর। এর মধ্যে শুক্রবার চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে মামুনুল হকের অতিথি হিসেবে উপস্থিত হওয়ার খবরে বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সমাবেশ করে তাকে প্রতিহতের ঘোষণা দেওয়া হয়।

    শুক্রবার সকাল থেকে মামুনুল হকের চট্টগ্রামে আসার প্রতিবাদে মিছিল-সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। জাকারিয়া দস্তগীর মনে করছেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

  • হাটহাজারীর মাহফিলে বক্তব্য রাখবেন না মামুনুল হক

    হাটহাজারীর মাহফিলে বক্তব্য রাখবেন না মামুনুল হক

    নিজস্ব প্রতিনিধি : হাটহাজারী পার্বত্য হাই স্কুল মাঠে আল আমিন সংস্থার মাহফিলে বক্তব্য রাখবেন না হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

    এসময় বাবুনগরী বলেন, হেফাজতে ইসলাম সব সময় শান্তির পক্ষে। মামুনুল হককে নিয়ে যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্য এমন সীদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    এসময় তিনি আরো বলেন, মামুনুল হক আসবেননা প্রশাসনের সাথে বৈঠকে সীদ্ধান্ত হওয়ার পরও বিভিন্ন স্থানে তার ছবিতে আগুন দেয়া এটা কেমন আচরন? এবং কয়েকটা জায়গায় মামুনুল হকের ছবির মুখে প্রশ্রাব করেছে, যা অত্যান্ত ঘৃনিত কাজ।

    তিনি আরো বলেন, আল্লামা মামুনুল হকের মুখ দিয়ে বোকারী শরীফের হাদিস বের হয়, আর যারা এমন ঘৃনিত কাজ করেছে তাদের মুখ দিয়ে সিগারেটের ধোঁয়া বের হয়। ওদের উপর আল্লাহর গজব পড়ুক।

    এদিকে, হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের হাটহাজারী আগমনকে প্রতিরোধের ঘোষণায় কদিন ধরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে পুরো চট্টগ্রামজুড়েই।

    তবে হেফাজতের একটি সূত্র নিশ্চিৎ করে বলেছেন আল্লামা মামুনুল হক হাটহাজারী মাদরাসায় সকালেই পৌঁছেছেন। তবে মাহফিল স্থলে উপস্থিত হন নি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম জে

  • সড়ক পথেই হাটহাজারীতে মামুনুল হক, সন্ধ্যায় মাহফিলে বক্তব্য রাখবেন

    সড়ক পথেই হাটহাজারীতে মামুনুল হক, সন্ধ্যায় মাহফিলে বক্তব্য রাখবেন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের হাটহাজারী আগমনকে প্রতিরোধের ঘোষণায় কদিন ধরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে পুরো চট্টগ্রামজুড়েই। তবে শেষ পর্যন্ত ঘোষণা দিয়ে প্রতিরোধ হুঙ্কার ছড়ালেও বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ও শুক্রবার সকালে পরপর দু’দফা ঢাকার নির্দেশনা পেয়ে তা নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে।

    যাকে নিয়ে এতো আলোচনা-উত্তেজনা সেই আল্লামা মামুনুল হক সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সড়কপথে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় এসে পৌঁছেছে বলে দায়িত্বশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

    সড়কপথে সকাল সকাল হাটহাজারী নিয়ে আসেন তাঁকে এবং তিনি বর্তমানে হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিশ্রামে রয়েছেন।

    মামুনুল হকের আগমনকে ঘিরে হাটহাজারী ঘিরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। মাহফিল কর্তৃপক্ষ আলামিন সংস্থার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাফেজ রিজোয়ান আরমান বলেন, মাওলানা মামুনুল হক মাহফিলে উপস্থিত হয়ে সন্ধ্যার পর বক্তব্য রাখবেন। এসময় তারা আরো বলেন, কে কি ঘোষণা দিল সেটা নিয়ে আমরা মোটেও বিচলিত নই, মামুনুল হক মাহফিলে আসবেন এবং বক্তব্য দিবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম জে

  • মামুনুল হক হাটহাজারী আসায় সড়ক অবরোধ করেছে চবি ছাত্রলীগ

    মামুনুল হক হাটহাজারী আসায় সড়ক অবরোধ করেছে চবি ছাত্রলীগ

    চবি প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি কারি বক্তা মামুনুল হক চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাহফিলে আসার খবরে সড়ক অবরোধ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর ) বেলা পৌনে ১২টার দিকে চবির এক নম্বর গেইটে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে তারা।

    বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, বিতর্কিত বক্তা মামুনুল হকের হাটহাজারীতে আগমন রুখতে সড়কে অবস্থান নিয়েছি। কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারীকে ছাড় দেওয়া হবে না।

    হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু ছেলে সড়ক অবরোধ করেছিল। তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে মামুনুল হককে প্রতিরোধের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।