Tag: মারধর

  • পটিয়ায় আ’লীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় লিও মেম্বার গ্রেফতার

    পটিয়ায় আ’লীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় লিও মেম্বার গ্রেফতার

    পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধরের ঘটনার মূল হোতা ইন্দ্রজিত চৌধুরী লিও ওরফে লিও মেম্বারকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    পুলিম জানায়, ঘটনার পর থেকে লিও চট্টগ্রাম মহানগরীর আসকার দিঘীর পাড় এলাকার তার এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

    আজ শনিবার (১৪ মে) ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। লিও পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মৃত নেপাল চন্দ্র চৌধুরীর ছেলে।

    গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম।

    তিনি জানান, গ্রেফতার লিও আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন কান্তি গুহকে মারধরের ঘটনায় থানায় দায়ের করা একটি মামলায় অভিযুক্ত আসামি।

    শনিবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দিঘীর পার এলাকার একটি বাসায় তার অবস্থান নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের সহায়তায় নিয়ে অভিযান চালানো হয়।

    পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে পালিযে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় লিও। তাকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে জানিয়ে বলে তিনি জানান।

    এর আগে গত ২৯ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে একটি ইফতার পার্টিতে চেয়ারম্যান জসিমকে দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিতেন কান্তি গুহকে মারধর করে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।

    এ ঘটনায় থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে জিতেন গুহের ভাই তাপস গুহ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ হামলার একটি ছবি তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

    মামলা দায়েরের পরদিন শনিবার ভোরে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বি এম জসিম (৫৫) ও তার পুত্র মুসফিক উদ্দিন ওয়াসি (২৫)কে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপতার করা হয়।

    এই ঘটনায় সর্বশেষ গ্রেফতার হওয়া ইন্দ্রজিত চৌধুরী লিওসহ এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    ২৪ ঘন্টা/রাজীব

  • চবিতে ডাইনিং কর্মচারীকে ছাত্রলীগের মারধর

    চবিতে ডাইনিং কর্মচারীকে ছাত্রলীগের মারধর

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সোহরাওয়ার্দী হলের ডাইনিং এর কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তিন ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

    মারধরের শিকার হয়েছেন সোহরাওয়ার্দী হলের ডাইনিংয়ে খাবার পরিবেশনকারী আবুল হাশেম। মাথায় আঘাত পেয়ে বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন।

    মারধর কারী ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী মোখলেছ, ইংরেজি বিভাগের ১২-১৩ সেশনের সাদ্দাম হোসেন ও লোক প্রশাসন বিভাগের ১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী মোরশেদ। এরা শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী বলে জানা গেছে।

    প্রত্যক্ষদর্শী থেকে জানা যায়, দর্শন বিভাগের র‍্যাগ ডে উপলক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী হলে খাবার আয়োজন করতে দেয় বিভাগটি। খাবারের মধ্য থেকে তিন প্যাকেট খাবার দাবি করে মোখলেস, সাদ্দাম ও মোরশেদ। অন্যদের খাবার আবুল হাশেম দিতে না চাইলে তারা তিনজন মিলে তাকে মারধর করে।

    আহত আবুল হাশেম বলেন, দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাকে রান্না করতে দেন। আজ সাদ্দাম ও মুখলেস এসে সেই খাবার থেকে আমার কাছে খাবার চাই। ভালো রান্না হলে আমাদের জন্য ও তুলে রাখতে হবে, তা না হলে রান্না বন্ধ থাকবে জানিয়ে হুমকি দেন।

    তিনি আরও বলেন, আজ আমি দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে সাদ্দাম ও মুখলেসদের জন্য খাবার চাইলে তাঁরা দিতে অসম্মতি জানান। খাবার দিতে না পারায় সাদ্দাম আমার থেকে এক হাজার টাকা দাবি করে। না দেওয়ায় আমাকে মারধর করে।

    অভিযুক্তদের একজন সাদ্দাম বলেন, সোহরাওয়ার্দী হলের খাবারের মান খুবই বাজে। হলের খাবার ভালো করে রান্না না করলেও তারা বাইরের খাবার ভালো করে রান্না করে।

    এইসব কথা আমার জুনিয়র আবুল হাশেমকে বললে তিনি তাদের সাথে বেয়াদবি করেন। এজন্য রেগে গিয়ে আমার জুনিয়র কথা বলতে গেলে হালকা হাতাহাতি হয়।

    বিজয় গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, যারা মারধর করেছে তারা ছাত্রলীগ হোক বা সাধারণ শিক্ষার্থী হোক তাঁরা অপরাধী। এর সাথে গ্রুপ জড়িত না। আমি প্রশাসনকে বলে দিয়েছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

    বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, আমরা মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীকে মারধর করা নিন্দনীয়। মারধরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ২৪ ঘন্টা/মেহেদী শান্ত/রাজীব

  • নিজ কার্যালয়ে চবি কর্মকর্তাকে মারধর

    নিজ কার্যালয়ে চবি কর্মকর্তাকে মারধর

    চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হিসাব নিয়ামক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফরিদুল আলম চৌধুরী তার নিজ কার্যালয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চবি অফিসার সমিতি।

    মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে ১০-১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী মো. ফরিদুল আলমকে মারধর করেন। জানা যায়, যোহর নামাযের পর হিসাব নিয়ামকের কার্যালয়ে ঢুকে তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে তারা মো. ফরিদুল আলমকে টেনেহিঁচড়ে রুমের বাইরে নিয়ে এলে কয়েকজন সহকর্মী তাকে তাদের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেন।

    এসময় মারধরকারীরা তাকে জামাত-শিবিরের এজেন্ট, রাজাকার ও দালাল আখ্যায়িত করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। লোকজন জড়ো হতে থাকলে মারধরকারীরা পালিয়ে যান।

    এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনছুরকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান বলেন, হিসাব নিয়ামক দফতরের কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৪ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

    তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে গোপনীয় শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার ফজলুল করিমকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া ও অফিসার সমিতির সভাপতি রশিদুল হায়দার চৌধুরী জাবেদ।

    বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির সভাপতি মো. রশিদুল হায়দার চৌধুরী জাবেদ বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রধান হিসাব নিয়ামক কর্মকর্তাকে মারধর করেছে। তিনি কোনো অপরাধ করে থাকলে এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিতে পারে। কিন্তু একজন সম্মানিত ব্যক্তির ওপর এভাবে হামলা করা উচিত হয়নি।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার বিষয়ে শুনেই আমরা তার কার্যালয়ে ছুটে যাই। তিনি একজন বয়স্ক মানুষ। মারধরে গুরুতর আহত না হলেও তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। উপাচার্য এ ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/মেহেদী

  • নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর: হাজী সেলিমের গাড়িচালক রিমান্ডে

    নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর: হাজী সেলিমের গাড়িচালক রিমান্ডে

    নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    সোমবার (২৬ অক্টোবর) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হায়দার তাকে ৫ দিন রিমান্ডে চেয়েছিলেন।

    ২৫ অক্টোবর রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন এলাকায় নৌ-বাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটর সাইকেলযোগে যাচ্ছিলেন। এ সময় সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে।

    তিনি পরিচয় দিলেও আসামিরা গাড়ি থেকে নেমে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

    এ ঘটনায় ওয়াসিফ আহমদ খান বাদি হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • সাংসদ হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর(ভিডিও)

    সাংসদ হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর(ভিডিও)

    ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম আহমেদকে মারধর করা হয়েছে।

    রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পর গাড়িটি ফেলে এর নম্বরপ্লেট ভেঙে চলে যান হাজী সেলিমের ছেলে ও তার বডিগার্ডরা। গাড়ির নম্বর– ঢাকা মেট্টো- ঘ ১১-৫৭৩৬।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, মারধর করা ব্যক্তি হাজী সেলিমের ছেলে ও তার বডিগার্ড। তবে হাজী সেলিমের ৩ ছেলের মধ্যে কোন ছেলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

    এ ঘটনায় রাতে ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মো. ওয়াসিফ আহমেদ খান নামে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তা।

    এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ওয়াসিম আহমেদকে রক্তাক্ত দেখা যায়। ভিডিওতে তাকে মারধর করে তার দাঁত ভেঙে ফেলা হয়েছে দাবি করলেও, জিডিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়নি।

    জিডিতে ওয়াসিফ আহমেদ উল্লেখ করেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা সামলে সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থেকে নেমে গাড়িটির সামনে দাঁড়ান ওয়াসিম। তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে গাড়ি থেকে জাহিদ ও আবু বক্কর সিদ্দিকসহ আরও ২-৩ জন তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। তাকে ও তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকিসহ তুলে নেয়ার হুমকি দেয় তারা।

    ধানমন্ডি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল্লাহ জাহিদ জানান, সাংসদ হাজী সেলিমের জিপ গাড়ির সঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল সামান্য ঘষা লাগায় প্রথমে কথা কাটাকাটি, এরপর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল ও গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

    ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তিনি রাস্তায় জটলা থেকে মুঠোফোনে ভিডিও করেন। তাঁর সামনেই সাংসদের গাড়ি থেকে নেমে এসে একজন নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন।

    এই প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার সময়ে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আহত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা নিজেকে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম বলে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, বই কিনে স্ত্রীসহ মোটরবাইকে ফিরছিলেন। ওই গাড়িটি তাঁর মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। তিনি তখনই মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। গাড়ি থেকে নেমে দুই ব্যক্তি তাঁকে মারধর শুরু করেন। মারধরের কারণে তাঁর (ওয়াসিম) দাঁত ভেঙে গেছে। তাঁর স্ত্রীর গায়েও হাত দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সাংসদের গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা সরে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে যায়। ভিডিওতে গাড়ির নম্বর দেখা যায় ঢাকা মেট্টো– ঘ ১১-৫৭৩৬। ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য জানতে হাজী সেলিমের মুঠোফোনে কল এবং খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

    রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সূত্র জানায়, দুই পক্ষই থানা থেকে চলে গেছে। রাত পৌনে ১২টায় ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়াঙ বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। যেহেতু বিষয়টিতে বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা আছে তাই পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। গাড়ি ও মোটরসাইকেল থানায় আছে।

    ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইকরাম আলী মিয়া রাত ১২ টার দিকে বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি। যেহেতু বিষয়টিতে বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা আছে তাই তাঁরা অপেক্ষা করছেন। গাড়ি ও মোটরসাইকেল থানায় আছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • করোনা আক্রান্ত শাশুড়িকে আশ্রয় দেয়াকে কেন্দ্র করে মারধর, প্রতিবন্ধীসহ আহত ৩

    করোনা আক্রান্ত শাশুড়িকে আশ্রয় দেয়াকে কেন্দ্র করে মারধর, প্রতিবন্ধীসহ আহত ৩

    লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত শাশুড়িকে জামাই বাড়িতে আশ্রয় দেয়ার প্রতিবাদ করায় মারধরের শিকার হন শারীরিক প্রতিবন্ধী ও কলেজছাত্রীসহ ৩ জন।

    ঘটনার বিবরণে জানা গেছে লক্ষীপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড সমসেরাবাদ গ্রামের জালাল সরদার বাড়ির ফয়েজ আহমদের ছেলে মহিম (২৮) ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তার (২৪) একসাথে করোনা পজিটিভ। অপরদিকে মহিমের শাশুড়িও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় তাকেও এনে মহিমের ঘরে আশ্রয় দেয়।

    ঘটনাটি স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলীকে জানালে তিনি মহিমের কাছে টেলিফোনে জানতে চান এবিষয়ে। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মহিম ও তার স্ত্রী একই বাড়ির জালাল উদ্দিনের স্ত্রী রাহেলা বেগম (৪৫) কলেজ পড়ুয়া মেয়ে শিউলি আক্তার (২১) শারীরিক প্রতিবন্ধী জামাল উদ্দিন (৬৫)কে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

    এ বিষয়ে কমিশনার মোহাম্মদ আলী বলেন-‘ আমাকে বিষয়টি জানালে আমি মহিমকে ফোন দেই খবরটা জানার জন্য। কিন্তু সে যে কাজ করেছে তা নিতান্তই অপরাধ করেছে। জামালের ঘরের সামনে গিয়ে মারধর করাটা ঠিক হয়নি।

    মহিমের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

    এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আকাশ

  • চবিতে ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর

    চবিতে ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর

    চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধর করে রক্তাক্ত করেছে অন্য ছাত্রলীগ কর্মীরা। মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

    মারধরের শিকার ছাত্রলীগ কর্মী আবির আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও চবি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী। মারধর কারী ছাত্রলীগ কর্মীরা চবি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ কনকর্ড এর কর্মী বলে জানা গেছে।

    জানা যায়, গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের ২৩৮ নাম্বার রুমে থাকা কনকর্ডের কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বোরহানুল ইসলাম আরমানের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আবিরের।

    এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার রাতে শহর থেকে ট্রেন ক্যাম্পাসে আসলে আবিরের উপর অতর্কিত হামলা করে বোরহান ও কনকর্ড গ্রুপের আরও কয়েকজন কর্মী। গুরুতর আহত অবস্থায় আবিরকে প্রথমে চবি মেডিকেল সেন্টারে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    গতকাল রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, আহত আবিরের নাক ও পুরো শরীরজুড়ে লেগে আছে রক্ত। শার্টের পুরোটা ছিঁড়ে হয়ে আছে রক্তমাখা। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, মারধরের ফলে জখম হওয়ার চিহ্ন।

    এই ঘটনার পর বিজয় গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাসে শক্ত অবস্থান সৃষ্টি করে প্রতিপক্ষকে প্রতিহত করার প্রস্তুতি নিলেও কনকর্ডের কর্মীরা ছিলো গা ঢাকা দিয়ে। রাতে ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হলেও আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, এভাবে একটা শিক্ষার্থীকে মারধর করা খুবই মর্মান্তিক। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

    এদিকে বিজয় গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইদিন আগে সৃষ্ট অন্য পক্ষগুলোর সংঘর্ষের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই তারা আমাদের কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে। এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা আরও প্রশ্রয় পাচ্ছে।

    এদিকে কনকর্ড গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, তাদের (বিজয়ের) একটা ছেলে আমাদের এক ছেলেকে কিছুদিন আগে মারধর করে। আমি তাদের বলেছিলাম এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু তারা কিছুই করেনি। পরে আমাদের ছেলেরা ক্ষোভে তাদের এক কর্মীকে মারধর করে।

  • জুনিয়র কর্তৃক সিনিয়র শিক্ষিকাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল(ভিডিও)

    জুনিয়র কর্তৃক সিনিয়র শিক্ষিকাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল(ভিডিও)

    বরিশালের মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের ৯৩ নম্বর পশ্চিম কমিশনারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী এক শিক্ষিকাকে প্রকাশ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে মারধর করেছে অপর জুনিয়র এক শিক্ষিকা। এ ঘটনার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

    জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে জুনিয়র এক শিক্ষিকা মারধরের বিষয়টি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সামনে নৈতিকতার অবক্ষয় বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় তারা বিচার দাবি করেছেন। এদিকে উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করে প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা কার্যালয়ে জমা দিয়েছে।

    ওই ঘটনার তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম। আর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরপরই দোষী ওই শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল লতিফ মজুমদার।

    জানা যায়, মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের ৯৩ নম্বর পশ্চিম কমিশনারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে পরীক্ষা চলাকালীন সময় সহকারী জ্যেষ্ঠ এক শিক্ষিকার সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয় অপর এক সহকারী জুনিয়র শিক্ষিকার। এর এক পর্যায়ে শ্রেণি কক্ষের দরজা বন্ধ করে হঠাৎ করেই জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে মারধর করে সহকারী জুনিয়র ওই শিক্ষিকা।

    জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকার চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাসহ আশপাশের লোকজন জড়ো হন। এ সময় পুনরায় সবার সামনে জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে মারধর করেন জুনিয়র ওই শিক্ষিকা।

    এ ঘটনা স্থানীয় কোনো এক ব্যক্তি তার মোবাইল ফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। সে ভিডিওতে দেখা গেছে জুনিয়র ওই শিক্ষিকা জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে উপুর করে দুই পায়ের মধ্যে আটকে ধরেছেন এবং এক হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে অন্য হাত দিয়ে একের পর এক থাপ্পর দিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় অন্য এক নারী এসে তাদের ছাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা এ দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছে।

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মারধরের ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তিনিও হাসপাতালে যান এবং বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেন। তিনি সহকারী শিক্ষা অফিসারকে পাঠিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছেন।

    এদিকে এ বিষয়ে আহত শিক্ষিকা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিষয় হলো সহকারী জুনিয়র ওই শিক্ষিকার চলতি বছরের মার্চে এ বিদ্যালয়ে আসেন। তার বাড়ি মুলাদী উপজেলায় হলেও থাকেন বরিশালে। তিনি বিদ্যালয়ে এলেও অনেক বিলম্ব করে আসেন। তার ইচ্ছে মতো চলার কারণে শিক্ষা অফিসকে এর আগেও জানানো হয়েছিল। এসব বিষয়ে তাকে কিছু বললে তিনি রেগে যান এবং কারো সঙ্গেই সন্তোষজনক আচরণ করে না। এমনকি এর আগে আমার বিরুদ্ধেও তিনি বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়ে ছিলেন। যার তদন্তও শিক্ষা অফিস করেছে।

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী জুনিয়র ওই শিক্ষিকা বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকার অপরাধের বিষয়ে তিনি শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেছেন।

    https://youtu.be/S2jrAvDd4s4

  • পুলিশের মারধরের পর আবরারের ভাইয়ের আবেগঘন স্ট্যাটাস

    পুলিশের মারধরের পর আবরারের ভাইয়ের আবেগঘন স্ট্যাটাস

    নিহত বুয়েটের মেধাবি শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজকে আজ পিটিয়েছে পুলিশ। ফাহাদের কবর জিয়ারত শেষে বুয়েট উপাচর্য সাইফুল ইসলাম ফাহাদের বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলে বাঁধা দেন গ্রামবাসী। এ সময় গ্রামবাসীর বিক্ষোভের মুখে ভিসি ফাহাদের বাড়ি যেতে পারেননি।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এগিয়ে আসে। এতে গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ ছাড়াও তার ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী ও আরও একজন নারী আহত হন।

    বুধবার বিকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর পর রাতে তাই ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অ্যাডিশনাল এসপিকে নিয়ে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন।

    এতে তিনি লেখেন, আজকে Additional SP (উনি বলেন উনার নাম মোস্তাফিজুর রহমান) কোথা থেকে সাহস পায় আমার গায়ে হাত দেয়ার? আমার ভাবি কে মারছে? নারীদের গায়ে নিষ্ঠুরভাবে হাত দেয়? এই চাটুকারদের কি বিচার হবে না? তিনি কালকে ২ মিনিটে জানাজা শেষ করতে বলেন কিভাবে? যেই ছাত্রলীগ মারল তারা কেন সর্বত্র? আমার বাবাকে হুমকি দেয়া হয়েছে আপনার আর এক ছেলে ঢাকা থাকে আপনি কি চান তার ক্ষতি হোক….. গ্রাম-এ বলা হয়েছে কেউ কিছু করলে ১ সপ্তাহ পর গ্রামের সব পুরুষ জেলে থাকবে। বিচার চাই…আমি বিচার চাই….. নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন বাবা-মা কষ্ট একবারে পাবে।

    প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জেরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

    তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

    হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ না রাখতে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে (ডিলেট) দেয় খুনিরা। তবে পুলিশের আইসিটি বিশেষজ্ঞরা তা উদ্ধারে সক্ষম হন। পুলিশ ও চিকিৎসকরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছেন।

    এ ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় ১৪ জন জড়িত বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণপদ রায়।

    এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে তার বাবা চকবাজার থানায় সোমবার রাতে একটি হত্যা মামলা করেন। বুয়েট কর্তৃপক্ষ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। পাশাপাশি গঠন করেছে একটি তদন্ত কমিটিও।

    এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় বুয়েট শাখার সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।