Tag: মারা গেছেন

  • মারা গেছেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের মা রত্নাগর্ভা জোহরা বেগম

    মারা গেছেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের মা রত্নাগর্ভা জোহরা বেগম

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের মা রত্নাগর্ভা জোহরা বেগম মারা গেছেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)

    বুধবার (১৭ জুন) দিবাগত রাত ২টায় চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশের নিজ বাসভবনে তিনি মৃত্যুরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

    জোহরা বেগমের মেয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান ডাক্তার তাহমিনা বানুর তার মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।

    এর আগে গত ১১ জুন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ ড.হোসেন জিল্লুর রহমান নিজ ফেসবকু ওয়ালে মায়ের সাথে তিনটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘মায়ের স্পর্শের চেয়ে মূল্যবান আর কী হতে পারে? সর্বদা চেতনায় অদম্য। আমি যখন আপনাার সাথে না থাকি তখনও আমি সবসময় আপনার সাথে থাকি।’ তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশে।

    জানা যায়, জোহরা বেগমের স্বামী ছিলেন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট প্যাথলজিস্ট ডা. আবদুল মতিন। তাদের সব ছেলেমেয়েই নানা ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।

    এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর মহসিন জিল্লুর করিম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে দ্য ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব আমেরিকাতে সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি আদনান মোরশেদ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. তাহমিনা বানু এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • স্বামীর কুলখানি শেষ করে সীতাকুণ্ডে ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন স্ত্রীও

    স্বামীর কুলখানি শেষ করে সীতাকুণ্ডে ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন স্ত্রীও

    কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে কর্মরত অবস্থায় নিহত স্বামীর কুলখানি শেষ করে চট্টগ্রামে ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন স্ত্রীও।

    ট্রেন দূর্ঘটনায় আহত হয় তার তিন সন্তান ইমন (১৭), মেয়ে সুমী (১৯), মীম (৮) ও নিহত জাহেদা বেগমের মা সুরাইয়া খাতুন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহত জাহেদা বেগমের ছেলে সুমন মুটো ফোনে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, আমি অন্য বগিতে থাকায় বেঁচে গেছি।

    তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে জাহাজে কাজ করার সময় আমার বাবা নিহত হন। উনার লাশ নিয়ে আমরা গ্রামের বাড়িতে দাফন করতে যায়, এরপর কুলখানী শেষ করে আবার ট্রেনে করে চট্টগ্রামে ফিরে যাওয়ার সময় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে অন্য ১৫ জনের সাথে আমার মা ও মারা যায়।

    বাবা মারা যাওয়ার ৫ দিনের মাথায় মাকেও হারাতে হলো। তাদের বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার গাজীপুর এলাকার রামনগরে হলেও তারা অনেক বছর ধরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে বসবাস করছেন।

    ট্রেন দুর্ঘটনায় জাহেদার ননদ হাসিনা খাতুন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার গাজীপুর এলাকার রামনগরের মুসলিম মিয়া পরিবার পরিজন নিয়ে কর্মসূত্রে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে বসবাস করতেন। জাহাজকাটা শিল্পে কাজ করতেন তিনি।

    তিনি বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতরা ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতালে) ভর্তি আছে।

    সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা আর সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে কয়েকটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ১৬ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।

    উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ছোট কুমিরা এলাকায় সাগর উপকূলে একটি. শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে মাথায় প্লেট পড়ে মুসলিম নিহত হন। ৫ দিনের মাথায় মুসলিমের লাশ দাফন শেষ করে চট্টগ্রামে ফেরার পথে স্ত্রী জাহেদা বেগমও মারা যান।