Tag: মার্কেটে

  • মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা এবং এলাকা চষে বেড়িয়েছেন ২৩ করোনা রোগী/আতঙ্ক সর্বত্র

    মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা এবং এলাকা চষে বেড়িয়েছেন ২৩ করোনা রোগী/আতঙ্ক সর্বত্র

    ২৪ ঘণ্টা ডট জেলা সংবাদ : ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে ট্রাকে করে ইটভাটা ও গার্মেন্টসে কাজ করে এমন ২৪ জন শ্রমিক সাতক্ষীরার দেবহাটায় ফেরেন গত ১ মে।

    খবর পেয়ে প্রশাসন তাদেরকে আটকে দেবহাটা খানবাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যায়।

    সেখানে এক যুবকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয় গত ৫ মে। এরপর বাকিদের নমুনা সংগ্রহ করা হলে বাকি ২৩ শ্রমিকের উপসর্গ না থাকায় ১৪ মে কোয়ারেন্টাইন থেকে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

    তবে দুইদিন পর আজ রোববার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই ২৩ শ্রমিকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।

    এদিকে এই খবরে দেবহাটার সর্বত্র এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, আক্রান্ত ওই ২৩ শ্রমিক কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ির স্বজনদের জন্য বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে ঘুরে ঈদের কেনাকাটা করেছেন।

    তাছাড়া দেবহাটার পুরো এলাকায় তারা চষে বেড়িয়েছেন। মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশংকায় ভীত দেবহাটা উপজেলার বাসিন্দারা।

    দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন বলেন, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে করোনা আক্রান্তদের এলাকায় ঘুরে বেড়ানো অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে বিষয়টি আগে কেউ প্রশাসন বা পুলিশকে জানায়নি।

    করোনা আক্রান্ত সবার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা পেলে করোনা ছড়িয়ে পড়া ইউনিয়নগুলোও লকডাউন করা হবে।

    জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় খুব কঠোর ভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করেছিল প্রশাসন। রোববার (১৭ মে) বিকেলে হঠাৎ পাল্টে যায় করোনা পরিস্থিতির চিত্র। একসঙ্গে ২৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।

    আজ রোববার বিকেলে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে তাকে জানানো হয়েছে, নমুনা পরীক্ষায় সাতক্ষীরায় ২৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গেছে।

    এর মধ্যে ২৩ জন দেবহাটা উপজেলার এবং একজন আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দা। আক্রান্ত ২৩ শ্রমিকের মধ্যে এক পরিবারের দুই শিশু ও তার মা-বাবার করোনা পজিটিভ এসেছে।

    তারা দেবহাটার খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ কলেজে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তাদের বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের ধূলিহর এলাকায়।

    কোয়ারেন্টাইনমুক্ত হয়ে তারা দেবহাটা থকে সাতক্ষীরার বাড়িতে ফেরেন। আক্রান্তদের মধ্যে দেবহাটা সদর ইউনিয়নের একজন গ্রাম পুলিশও রয়েছেন। বাকি আক্রান্তদের বাড়ি দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

    সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত বলেন, আক্রান্ত ২৩ শ্রমিকের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। প্রয়োজনে দেবহাটা উপজেলা লকডাউন করা হবে।

    এদিকে, রোববার বিকেল পর্যন্ত সাতক্ষীরায় করোনা শনাক্ত ছিল তিনজন। যশোরের শনাক্ত হওয়া এক স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন সাতক্ষীরায়। এছাড়া ঢাকা থেকে পালিয়ে এসেছেন একজন আক্রান্ত নারী। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ জন।

    ২৪ ঘন্টা/আর এস পি