Tag: মালামাল উদ্ধার

  • ঠাকুরগাঁওয়ে অভিনয় কায়দায় চুরি,চোর আটকসহ মালামাল উদ্ধার

    ঠাকুরগাঁওয়ে অভিনয় কায়দায় চুরি,চোর আটকসহ মালামাল উদ্ধার

    গৌতম চন্দ্র বর্মন,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি  : করোনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্ব যখন দিশেহারা, দেশের মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে এক অচনান আতঙ্ক, ঠিক সেই মুহুর্তে বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে চেতনানাশক ওষুধ ছিটিয়ে ও তা খাইয়ে পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে চুরিতে মেতেছে একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র। এমনি চোরচক্রের তিন সদস্যকে চুরি হওয়া মালামালসহ আটক করেছে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ।

    বুধবার (১ এপ্রিল) সকালে চোর চক্রের একজনকে এবং বিকেলে আরও দুইজনকে আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন- নীলফামারী জেলার তরণীবাড়ী (তল্লীবাড়ী) এলকার মৃত- ওয়াজেদ উদ্দিনের ছেলে (বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সদরের মিলন নগরের জনৈক ব্যক্তির ভাড়াটিয়া) মুন্না মাসুদ ওরফে মনির (৪০), লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের হলদিবাড়ী গ্রামের মো: আবু বক্করের ছেলে আসাদুল ইসলাম(৪১) ও নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার পশ্চিম কাঠালী গ্রামের মৃত- মজুরুল হক এর ছেলে তফিকুল ইসলাম ওরফে ঢেপেড়া (৪৮)।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মুকুল জানান, গত ২২ মার্চ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের সূর্য্য দেবনাথের বাসায় চেতননাশক খাইয়ে দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটায় সংঘবদ্ধ এ চোরচক্রটি। তার কয়েকদিন আগে তার ছেলের বিয়ে দেন সূর্য্য দেবনাথ। পরে ২৩ মার্চ তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে চুরির মালামাল উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ।

    তিনি জানান, চুরির বিষয়টির রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে প্রথমে শহরের নামকরা চোর আলমকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার কাছে রক্ষিত মালামালের কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী বাকী চোরদের ধরতে ফাঁদ পাতে পুলিশ।

    সে মোতাবেক ঠাকুরগাঁওয়ে ভাড়া বাসায় থাকা চোর চক্রের অন্যতম সদস্য মুন্না মাসুদকে আটক করে তাদের আরও একটি কাজ করতে হবে বলে চেতননাশক ওষুধ সরবরাহের জন্য বাকি দুজনকে ওষুধসহ গড়েয়ায় আসতে বলা হয়। পরে তারা চেতনানাশক ওষুধ ও সরজঞ্জাদি নিয়ে গড়েয়ায় হাজির হলে পুলিশের পাতানো ফাঁদে আটকা পড়েন চোর চক্রের ওই তিন সদস্য। এর আগে ঠাকুরগাঁওয়ের চোর চক্রের অন্যতম সদস্য আলমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

    উদ্ধার হওয়া মালামালগুলো হলো- স্বর্ণালঙ্কার, নতুন শাড়ী, স্টীলের প্লেট-গ্লাস, অপপো মোবাইল সহ বেশ কটি ব্রান্ডের মোবালই সেট, বিপুল পরিমাণ চেতনানাশক ওষুধ। চুরি হওয়া মালামালের অর্ধেক মিলে শহরের কূখ্যাত চোর আলম এর বাসায় ও বাকি মালামাল পাওয়া যায় শহরের মিলনপুরের ভাড়াটিয়া মুন্না মাসুদের বাড়ী থেকে।

    চুরি হওয়া মালামালসহ তিনজন আসামী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো: গোলাম মর্তুজা। এছাড়াও আটককৃতদের নামে মামলা দাযেরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

     

  • চট্টগ্রামে রপ্তানীযোগ্য পোষাক চোর চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার : লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার

    চট্টগ্রামে রপ্তানীযোগ্য পোষাক চোর চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার : লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রপ্তানীযোগ্য পোষাক চোর চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় ১টি লং ভেহিকেল, কার্ভাড ভ্যানসহ রপ্তানী যোগ্য তৈরী ৫৩৫ কার্টুন লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।

    আজ দুপুর আড়াইটার সময় নগরীর হালিশহর থানাধীন পোর্ট কানেকটিং (পিসি) রোডস্থ ওয়াপদা মোড় সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে লুণ্ঠিত মালামালসহ তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আহম্মেদ বিন জামিল (৪০), মো. নিজাম উদ্দিন (৩৯), মো. মোসলেম উদ্দিন (৪২), চালক মো. ইকবাল হোসেন (২৬), মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৫), চালক মো. ইয়াকুব (২৬), হেলপার মো. সাইফুল (২৫) ও মো. আক্তার হোসেন (৩৫)।কাভার্ডভ্যানে লুন্ঠিত মালামাল

    নগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন গার্মেন্টস হতে শিপমেন্টের উদ্দেশ্যে কর্ভাড ভ্যান ও লং ভেহিকেলে কাস্টম কর্তৃক সীলগালা করার পর বন্দর অভিমুখী এসব গাড়ির চালক ও হেলপারদের যোগসাজশে তা লুঠ করে নেন গ্রেফতারকৃতরা। চক্রটি সুকৌশলে মালামাল লুঠ করে যাতে সীলগালা নষ্ট না হয়।

    ফলে বাহিরে সীলগালা ও তালা ঠিক থাকলেও খালি কন্টেইনার পৌছে যায় বিদেশে। এই চক্রের জন্য একের পর এক গার্মেন্টস সেক্টর আজ ধ্বংসের পথে।

    এই চক্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মির্জা সায়েম মাহমুদ জানান, গোপনে চক্রটির সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ। আজ দুপুরে অভিযান চালিয়ে রপ্তানীযোগ্য পোষাক চুরির সাথে জড়িত ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

    এসময় লং ভেহিকেল চট্র্র মেট্রোঃ ঢ ৮১-২৬৬২ ও ঢাকা মেট্রোঃ-ট-১৬-৮১২৯ নাম্বারের কার্ভাড ভ্যানসহ রপ্তানী যোগ্য তৈরী ৫৩৫ কার্টুন মালামাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হালিশহর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

  • অস্ত্রসহ আন্ত:জেলা ডাকাতদলের ৬ সদস্য গ্রেফতার : ডাকাতির মালামাল উদ্ধার

    অস্ত্রসহ আন্ত:জেলা ডাকাতদলের ৬ সদস্য গ্রেফতার : ডাকাতির মালামাল উদ্ধার

    চট্টগ্রামে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৬ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে হাটহাজারী থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ডাকাতি করা মালামাল ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিক্সা (রেজিঃ নং- চট্টগ্রাম-থ-১১-৪২৩৫)।

    গত শনিবার ও রবিবার হাটহাজারী ও চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মালামালসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতার আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্যরা হলেন, ফটিকছড়ির লেলাং শাহ নগর নয়ারহাট বাজারের কাজী বাড়ির মৃত মো. ইউনুছের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার ছোট ভাই মো. শাহাব উদ্দিন প্রকাশ উজ্জ্বল (৩০), একই উপজেলার বিবিরহাট কাঞ্চনগরের মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে আলাউদ্দিন প্রকাশ আলমগীর(৩৫), রাঙ্গামাটিয়া আদর্শ গ্রামের মো. রফিকের ছেলে মো. মানিক(২৮), কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হোয়াইকং ঝিমংখালী মিনা বাজারের মৃত নজির হোসেনের ছেলে মো. জাফর আলম (৩৫) ও চকরিয়া থানা হারবাং ধর পাড়ার মধুসুদন ধরের ছেলে টিটু ধর (৪০)।

    হাটহাজারী থানা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি হাটহাজারীতে পরপর বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা তদন্তে নেমে উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপেজলা ও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, ডাকাতদলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম (৪০) কে গ্রেফতার করার পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরো ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    হাটহাজারী থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর জানান, গ্রেফতার ডাকাতদলের সদস্য মো. আলাউদ্দিন প্রকাশ আলমগীর ও মো. মানিক ডাকাতির ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দী প্রদান করেছে।

    তিনি বলেন, ডাকাতি প্রতিরোধে এখন থেকে পুলিশের টহল আরো জোরদার করা হচ্ছে। রাত বারটার পর সন্দেহজনক যে কাউকে রাস্তায় পেলে তল্লাশী করা হবে। এছাড়া ডাকাতি প্রতিরোধে স্থানীয়দের সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুরোধ জানান ওসি।

    এর আগে গত ৬ অক্টোবর রাতে হাটহাজারী থানার ২নং ধলই ইউনিয়নের সোনাইরকুল ব্রীজ সংলগ্ন পূর্ব পার্শ্বে সাহেব মিয়া মেম্বারের বাড়ীর মো. শফিউল আজম এর ঘরে, গত ২৪ অক্টোবর রাতে ১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের বংশাল গুন্নু মিয়া সারাং বাড়ীর মো. শাহ আলম এর ঘরে এবং গত ২৮ অক্টোবর একই ইউনিয়নের মন্দাকিনি গ্রামের হারু চাঁদ মুন্সির বাড়ীর লুৎফন নাহার এর ঘরে ডাকাতির ঘটনা সংঘঠিত হয়। পৃথক পৃথক ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতেরা স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুন্ঠন করে নিয়ে যায়। ডাকাতির ঘটনায় হাটহাজারী থানায় পৃথক ৩টি ডাকাতি মামলা রুজু হয়।

    এামলার তদন্ত করতে গিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করা সাড়ে তিন ভরি গলিত স্বর্ণ, ১টি স্যামসাং মোবাইল, ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত ১টি এলজি, ৭ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি লোহার তৈরি কাটার, ১টি স্টীলের তৈরি কথিত চাইনিজ কুড়াল, ১টি চাপাতি, ১টি স্টীলের চাপাতি এবং ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সা (রেজিঃ নং-চট্টগ্রাম-থ-১১-৪২৩৫) উদ্ধার করা হয়।

  • অনলাইন নিউজের অফিস থেকে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার, গ্রেফতার ৪

    অনলাইন নিউজের অফিস থেকে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার, গ্রেফতার ৪

    চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের অফিস থেকে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এসময় চুরির সাথে সম্পৃক্ত চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

    নগরীর ষোলশহর ও বায়েজিদ এলাকায় শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন জালাল উদ্দিন (২০), মো. সালাউদ্দিন (২২), সুমন খান (৩৩) ও সুজন খান (২৮)।

    পুলিশ জানায়, গত ৩১ অক্টোবর রাতে ষোলশহরের ওয়াহেদ মার্কেটের তৃতীয় তলায় অবস্থিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ন্যাশনালনিউজবিডির অফিসটি চুরি হয়। ১ নভেম্বর অনলাইনটির সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবির তার অফিস থেকে ল্যাপটপ ও ক্যামেরা চুরির কথা উল্লেখ করে পাঁচলাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

    অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত সময়ের মধ্যে চোরাই মালামাল উদ্ধারের পাশাপাশি চুরির সাথে সম্পৃক্ত চার চোরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

    পাঁচলাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত শাহাদাত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চুরির অভিযোগ পেয়ে পুলিশ আন্তরিকতার সাথে চোরাই মালামাল উদ্ধার এবং আসামীদের গ্রেফতারে মাঠে নামে। শনিবার রাতে ষোলশহর এলাকা থেকে প্রথমে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর বায়েজিদ থানার মোহাম্মদনগর এলাকা থেকে চোরাইকৃত দুটি ভিডিও ক্যামেরা, দুটি ল্যাপটপ, একটি ডিএসএলআর এবং একটি স্ক্যানার মেশিন উদ্ধার করে এবং চোর চক্রের আরো দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে বলে জানান পাঁচলাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত শাহাদাত হোসেন।