Tag: মাশরাফি

  • শুভ জন্মদিন মাশরাফি বিন মর্তুজা

    শুভ জন্মদিন মাশরাফি বিন মর্তুজা

    দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার ৩৭তম জন্মদিন সোমবার (৫ অক্টোবর)।

    ১৯৮৩ সালের এ দিনে নড়াইল শহরের চিত্রা নদীর পাশে আলাদাৎপুর গ্রামে নানা বাড়িতে মা হামিদা মর্তুজার কোল আলো করে পৃথিবীতে আসেন নড়াইলের এই কৃতি সন্তান। জীবনের ৩৭ বসন্ত কাটিয়ে ৩৮তম বছরে পা দিলেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এ ক্রিকেটার।

    এদিকে একই তারিখে ২০১৫ সালে মাশরাফি-সুমি দম্পতির ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করে মাশরাফির ছেলে সাহেল মর্তুজা।

    সকালে মাশরাফির জন্মদিন নিয়ে তার বাবা গোলাম মর্ত্তজা স্বপন বলেন, মাশরাফির জন্মদিনে পারিবারিকভাবে আমরা কখনো কেক কাটাসহ কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করি না। কেক কেটে জন্মদিন পালন করা মাশরাফি কখনো পছন্দ করে না।

    এ সময় মাশরাফির ও তার ছেলের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন তিনি।

    মাত্র ১৮ বছর বয়সে ২০০১ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট খেলতে নামেন মাশরাফি। বৃষ্টির কারণে সেই ম্যাচটি ড্র হলেও প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট নিয়ে নিজের আগমনী বার্তা দেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’।

    একই সিরিজে ওয়ানডে অভিষেকও হয় মাশরাফির। রঙিন পোশাকে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ২ উইকেট নেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুটা দুর্দান্ত হলেও ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে তাকে সবচেয়ে বেশি যুদ্ধ করতে হয়েছে চোটের সঙ্গে। তবে বারবার ফিরে এসে নিজেকে প্রমাণ করে অনন্য উচ্চতায় ওঠেছেন মাশরাফি।

    চোটের কারণে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে তার পথচলা থেমে যায় মাত্র ৩৬ ম্যাচ খেলে। মাশরাফি সর্বশেষ টেস্ট খেলেন ২০০৯ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়কত্বকে বিদায় জানালেও এখনও ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছেন তিনি। ২২০টি ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলে ২৭০ উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা মুক্ত হলেন মাশরাফি

    করোনা মুক্ত হলেন মাশরাফি

    করোনাভাইরাস মুক্ত হলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা।

    মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে বিষয়টি জানান তিনি। তবে তার স্ত্রীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল এখনও পজিটিভ আছে বলেও তিনি জানান।

    নিজের করোনা নেগেটিভ নিয়ে ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের সবার দোয়ায় আমার কনোরাভাইরাস পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। আজকে রাতেই ফল জানতে পেরেছি। এই পুরো সময়টায় যারা পাশে ছিলেন, দোয়া করেছেন, অনেকে উদ্বিগ্ন ছিলেন ও নানা ভাবে খোঁজ নিয়েছেন বা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

    স্ত্রীর করোনা আক্রান্তের বিষয়ে তিনি আরো লেখেন, শনাক্ত হওয়ার পর দুই সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আমার স্ত্রীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল এখনও পজিটিভ। তবে সবার দোয়ায় সে ভালো আছে। তার জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি। বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়েই আমি সেরে উঠেছি। যারা আক্রান্ত হয়েছেন, সবাই সাহস রাখবেন। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখবেন। নিয়ম মেনে চলবেন।

    এর আগে দু’দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন সংসদ সদস্য মাশরাফি। তার উপসর্গ ছিল গা ও মাথা ব্যথা। এ জন্য ১৯ জুন পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন তিনি। শনিবার (২০ জুন) করোনা পজিটিভ হওয়ার ফলাফল আসে তার।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মাশরাফি বললেন, মনে রেখ কেবল একজন ছিল, ভালবাসত শুধু তোমাদের….

    মাশরাফি বললেন, মনে রেখ কেবল একজন ছিল, ভালবাসত শুধু তোমাদের….

    সসম্মানে, শ্রদ্ধার সঙ্গে অধিনায়কত্ব থেকে বিদায় নিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অধিনায়ক এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। দলকে রেখে গেছেন সাফল্যের চূড়ায়। স্বভাবতই সতীর্থ ও ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। সেটা টেরও পেয়েছেন ম্যাশ। সেই সূত্রেই বিদায়ের পর বিষাদের কালো মেঘ কণ্ঠ ছুঁয়েছে তার।

    শনিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাশরাফি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন,

    শেষ বেলায় ভুলে যেও অভিমান।
    মনে রেখ কেবল একজন ছিল, ভালবাসত শুধু তোমাদের…. 🇧🇩

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ দিয়ে ক্যারিয়ারে অধিনায়কত্বের ইতি টেনেছেন মাশরাফি। বিদায়ী ম্যাচে তাকে রেকর্ড রাঙা জয় উপহার দিয়েছেন সতীর্থরা। বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস (১৭৬) খেলেছেন লিটন দাস। পাশাপাশি দেশের পক্ষে তামিম ইকবালের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে গড়েন ২৯২ রানের রেকর্ড। অনবদ্য সেঞ্চুরি হাঁকান ড্যাশিং ওপেনারও।

    শেষ অবধি বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ১২৩ রানের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ। তাতে নেতৃত্বের শেষ ম্যাচে টাইগারদের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে জয়ের হাফসেঞ্চুরি করেন মাশরাফি। ম্যাচ শেষ হতেই সতীর্থদের ভালোবসায় প্লাবিত হন তিনি।

    জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেটটি শিকার করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সেসময় বাংলাদেশের সব খেলোয়াড়ের মনোযোগ ছিল মাশরাফির দিকে। যে যেখানে ফিল্ডিং করছিলেন সেখান থেকে দৌঁড়ে তার কাছে চলে আসেন। সবাই হাত মেলাতে থাকেন প্রিয় অধিনায়কের সঙ্গে।

    পরে মাশরাফিকে কাঁধে তুলে নেন তামিম। অন্যরাও সঙ্গে ছিলেন। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ মাঠ প্রদক্ষিণ করেন তারা। আর হাত নেড়ে দর্শকদের বিদায় জানান নড়াইল এক্সপ্রেস। সবচেয়ে বড় চমক দেখা যায় এরপরই। দলের সবাই পরেন মাশরাফির জার্সি! তার নেতৃত্বের শেষ ম্যাচের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি হয় এগুলো। সবার জার্সিতে লেখা ছিল ‘মাশরাফি’, তার প্রতীক হয়ে ওঠা নম্বর ‘২।’ জার্সির সামনে লেখা ছিল ‘থ্যাঙ্ক ইউ ক্যাপ্টেন।’

    মাশরাফিকে ঘিরে বয়ে যায় আবেগের জোয়ার। তবে এমনি এমননি এ সম্মান পাননি তিনি। অধিনায়কত্ব কালে সতীর্থদের অগাধ ভালোবাসতেন ম্যাশ। একান্ত আপনজনের মতো করে সবাইকে স্নেহ ও শাসন করতেন। অসামান্য ভালোবাসার ডোরে সবাইকে বেঁধে রাখতেন। মূলত এ কারণেই দীর্ঘ অর্ধযুগ একই ছাতার নিচে নিয়ে আসতে সক্ষম হন পুরো দলকে।

    এদিন সেই ছাতা সরে গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের মাথার ওপর থেকে। লিটন-মোস্তাফিজরা উপলব্ধি করতে পেরেছেন মাশরাফির এ মায়াভরা হাত আর তাদের মাথায় পড়বে না, কারো কাঁধে রাখবেন না। স্বভাবতই তারা ভারাক্রান্ত।

    মাশরাফি সেটা বুঝেই মাত্র দুই লাইনের পোস্টে বলে দিলেন অব্যক্ত মনের কথা। আকুতি জানালেন, কারো কোনো অভিমান-অনুযোগ থাকলে যেন সব ভুলে যান তারা। উল্লেখ্য, তার স্ট্যাটাসটি দেশবরেণ্য ব্যান্ড তারকা জেমসের ‘ঠিক আছে বন্ধু’ অ্যালবামের একটি গানের পঙ্‌ক্তি।

    https://www.facebook.com/262373203828838/posts/3031156250283839/

  • হোয়াইটওয়াশ দিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি যুগের অবসান

    হোয়াইটওয়াশ দিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি যুগের অবসান

    বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ডানওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়েকে ১২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। সিলেটে অনুষ্ঠিত আজকের ম্যাচটি ছিল অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মুর্তজার শেষ ম্যাচ। লিটন-তামিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ স্মরণীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে অনায়াসেই।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির বাগড়ায় পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। তবে তার আগেই দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। বৃষ্টিতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে ৪৩ ওভারে নেমে আসলে ফের মাঠে নেমে মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন দুই ওপেনার।

    একপর্যায়ে দেশের হয়ে যেকোনো উইকেটে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও গড়ে ফেলেন দুজনে। দলীয় ২৯২ রানে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। আগের ম্যাচে তামিম ইকবালের গড়া ১৫৮ রানের রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়ে সাজঘরে ফেরেন ১৭৬ রান করা লিটন। ১৪৩ বলের মোকাবেলায় হাঁকিয়েছেন ১৬টি চার ও ৮টি ছক্কা।

    লিটন সাজঘরে ফিরলেও তামিম থাকেন অপরাজিত। ১০৯ বলে ১২৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে, যে ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩ ও অভিষিক্ত আফিফ হোসেন ধ্রুব ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আরেক অভিষিক্ত নাইম শেখ ব্যাট হাতে নামারই সুযোগ পাননি।

    জিম্বাবুয়ের পক্ষে তিনটি উইকেটই শিকার করেন কার্ল মুম্বা। নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩২২ রান। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪২ রান।

    বড় জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলার চেষ্টা করে জিম্বাবুয়ে। এতে দলটি নিয়মিত বিরতিতে উইকেটও হারাতে থাকে। শন উইলিয়ামস, রেগিস চাকাভা, সিকান্দার রাজা, ওয়েসলে মাধেভেরেরা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও সফল হননি। সতীর্থদের ব্যর্থতায় দল চাপে পড়ে গেলে তাদের প্রচেষ্টা দলের জয়ের কারণ হতে পারেনি। শেষপর্যন্ত ৩৭.৩ ওভার ব্যাট করে জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২১৮ রানে।

    দলের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন রাজা- ৫০ বলের মোকাবেলায় ৬১ রান। এছাড়া মাধেভেরে ৪২, চাকাভা ৩৪ ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক উইলিয়ামস ৩০ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন চারটি, তাইজুল ইসলাম দুটি এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুস্তাফিজুর রহমান ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: জিম্বাবুয়ে

    বাংলাদেশ ৩২২/৩ (৪৩ ওভার)
    লিটন ১৭৬, তামিম ১২৮*, আফিফ ৭
    মুম্বা ৮-০-৬৯-৩

    জিম্বাবুয়ে ২১৮/১০ (৩৭.৩ ওভার)
    রাজা,৬১ মাধেভেরে ৪২, চাকাভা ৩৪, উইলিয়ামস ৩০
    সাইফউদ্দিন ৪১/৪, তাইজুল ৩৮/২, আফিফ ১২/১, মুস্তাফিজ ৩২/১, মাশরাফি ৪৭/১

    ফল: বাংলাদেশ ১২৩ রানে জয়ী (ডি/এল পদ্ধতিতে)
    সিরিজ: বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে জয়ী

  • কাল শেষ টস করতে নামবেন মাশরাফি

    কাল শেষ টস করতে নামবেন মাশরাফি

    বাংলাদেশের কিংবদন্তী ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার অবসর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে অনেকদিন ধরেই। তবে কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি জানিয়েছিলেন, অবসর না নিলেও দ্রুতই অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাবেন মাশরাফি।

    বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ঘোষণাই দিলেন।

    বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফির নামের পাশে কালকের পর থেকেই বসে যাবে সাবেক অধিনায়ক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচটির আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এমনটায় জানিয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস,

    ‘অধিনায়ক হিসাবে কালকে আমার শেষ ম্যাচ। আজকে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাচ্ছি। আগামীকাল জিম্বাবুয়ের সাথে তৃতীয় ওয়ানডে আমার অধিনায়ক হিসাবে শেষ ম্যাচ।’
    বাংলাদেশের পরবর্তী অধিনায়ককে শুভকামনা জানানোর পাশাপাশি সুযোগ পেলে তাকে সকল প্রকার সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন মাশরাফি, ‘সুযোগ আসলে খেলোয়াড় হিসাবে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব। আমার শুভকামনা থাকবে পরবর্তী অধিনায়কের জন্য। আমার বিশ্বাস তারা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। এবং আমি দলে থাকলে আমিও চেষ্টা করব তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার।’

    এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মাশরাফি, ‘আমার প্রতি এতদিন আস্থা রাখার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই আমার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলে যারা খেলেছে তাদের সবাইকে। আমি নিশ্চিত, এই প্রক্রিয়াটা এত সহজ ছিল না গত ৪-৫ বছরে। টিম ম্যানেজমেন্ট যারা ছিল যাদের অধীনে আমি খেলেছি, অধিনায়কত্ব করেছি, তারা সবাই আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। সিদ্ধান্তটা আমি নিজেই নিয়েছি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমার অধিনায়কত্ব শেষবারের মতো শুরু হয় হাথুরাসিংহের অধীনে, তারপর খালেদ মাহমুদ সুজন, স্টিভ রোডস; এখন ডমিঙ্গো দিয়ে শেষ হচ্ছে। নির্বাচক এবং বোর্ডের কর্মকর্তা, বোর্ডের সকল স্টাফকে। আপনাদের মিডিয়া কর্মীদেরকেও ধন্যবাদ, আপনারাও সহযোগিতা করেছেন। সবশেষে সমর্থক, বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণ, আপনাদের সবার সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব হতো না।’

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৮৭টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। যারমধ্যে ৪৯টি ম্যাচে দলকে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। হিসাব করলে দেখা যায়, ওয়ানডে অধিনায়ক হিসাবে তার জয়ের হার ৫৭.৬৪, যা কিনা বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের পক্ষে তিনি খেলেছেন ২১৭টি ওয়ানডে ম্যাচ যেখানে জয়ে দেখেছেন মোট ৯৬ বার।