Tag: মাশরাফি বিন মর্তুজা

  • এক দিনে তিন ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত

    এক দিনে তিন ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত

    মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) থাবা দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে। এতে আক্রান্ত হচ্ছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এবার ক্রিকেটাঙ্গনে থাবা বসিয়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন জাতীয় দলের বর্তমান-সাবেক তিন ক্রিকেটার।

    শনিবার সকালে খবর আসে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। দুপুরে খবর পাওয়া গেল নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার দেহেও মিলেছে করোনা ভাইরাস। আর সন্ধ্যায় খবর এলো জাতীয় দলের বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু করোনায় আক্রান্ত। এর আগে ক্রিকেটার আশিকুর রহমান ও সজিব দাস আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর এসেছে।

    বাংলাদেশে বৈশ্বিক মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের প্রথম উপস্থিতি শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর থেকে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা। সারা বিশ্বের পাশাপাশি প্রতিদিন বাংলাদেশেও মারা যাওয়া এবং আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

    মাশরাফির করোনা ফলাফল পজিটিভ আসে শুক্রবার। তবে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারে আসে শনিবার। তার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে তিনি সুস্থ আছেন। বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন তার শরীরে জ্বর ছিল। তাই গত ১৮ জুন তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ঢাকার শিশু হাসপাতালের ল্যাবে তার নমুনা পরীক্ষা হয়। পরে শুক্রবার ফলাফলে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।

    এর আগে গত ১৫ জুন নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে মাশরাফির শাশুড়ি হোসনেয়ারা সিরাজের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।

    নাফিস ইকবাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও শারীরিকভাবে এখনো সুস্থ রয়েছেন। তিনি ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের বড় ভাই। তামিম ইকবাল করোনা মহামারির শুরু থেকেই দুস্থদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার বড় ভাই নাফিস ইকবালও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

    জাতীয় দলের বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর শরীরে গত সপ্তাহে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। গত বুধবার করোনা পরীক্ষা করিয়ে আজ দুপুরে তার করোনা ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এখন তিনি নারায়ণগঞ্জের নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার বাবা-মাও করোনা পজিটিভ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ‘আমার জন্য দোয়া করবেন,যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারি’

    ‘আমার জন্য দোয়া করবেন,যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারি’

    মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফলতম অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

    শনিবার সন্ধ্যায় নিজের অফিসিয়াল ফেসবুকে মাশরাফি লেখেন- আজকে আমার করোনা রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারি।

    আক্রান্ত সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের সবাইকে এখন আরও সতর্ক হতে হবে। সবাই ঘরে থাকুন, বিনা প্রয়োজনে বের না হই।
    আমি বর্তমানে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছি এবং প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ মেনে চলছি।

    করোনা নিয়ে আতংক নয়, সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।

    শনিবার বিকালে মাশরাফির করোনা আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করে তার মামা নাহিদুর রহমান বলেছেন, প্রথম নমুনা পরীক্ষায় এমপি মাশরাফির কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। মাশারাফি এখন তার ঢাকার বাসায় রয়েছে।

    মাশরাফির করোনা আক্রান্তের খবর শুনে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুকে জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সাব্বির রহমান রুম্মন লেখেন- মাশরাফি ভাই কোভিড-১৯ আক্রান্ত। প্রত্যেকেই ওনার সুস্থতার জন্য দোয়া করুন।

    সাব্বির রহমান ছাড়াও মাশরাফির জন্য দোয়া চেয়ে টুইট করেছেন, জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার রুবেল হোসেন ও ইমরুল কায়েস।

    করোনার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই যুদ্ধ করছিলেন মাশরাফি। অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রবল চিত্তে। সংসাদ হওয়ার কারণে এমনিতেই অনেক দায়িত্ব তার কাঁধে। ব‌্যক্তিগত সাহায্যের পাশাপাশি চিকিৎসা খাতে সবচেয়ে বেশি শ্রম দিয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সাংসদ। এজন‌্য দুই দফায় গিয়েছিলেন নড়াইলে। পাশাপাশি নিজের পছন্দের ব্রেসলেট নিলামে তুলে সেখান থেকে পাওয়া ৪২ লাখ টাকা মানুষের জন‌্য ব্যয় করেছেন। নিজের প্রতিষ্ঠিত নড়াইল ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম চলছে করোনার শুরু থেকেই।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা আক্রান্ত মাশরাফি

    করোনা আক্রান্ত মাশরাফি

    বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সফলতম অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার করোনা টেস্ট পজিটিভ হয়েছে। এর আগে কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন মাশরাফি। জ্বর বেশ কয়েকদিন স্থায়ী হলে করোনা টেস্ট করান নড়াইল এক্সপ্রেস। বর্তমানে নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন বলে জানা গেছে।

    শনিবার (২০ জুন) করোনা পজিটিভ হওয়ার ফলাফল এসেছে তার।

    দুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন সংসদ সদস্য মাশরাফি। তার উপসর্গ ছিল গা ও মাথা ব্যথা। এ জন্য শুক্রবার (১৯ জুন) পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন তিনি।

    এর আগে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কের শাশুড়ি ও তার স্ত্রী সুমনা হকের এক ভাগনি। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। তবে তাদের সংস্পর্শে আসেননি মাশরাফি। আক্রান্ত হয়েছে অন্য কোনোভাবে।

    করোনাভাইরানের প্রকোপ শুরুর পর এলাকার মানুষের সহায়তার জন্য দুই দফায় নড়াইল গিয়েছিলেন মাশরাফি। তবে সেটিও বেশ আগে। নড়াইল থেকে ঢাকায় ফিরে আলাদা একটি বাসায় কোয়ারেন্টিনে ছিলেন দুই সপ্তাহ। তার পর বাসায় ফিরে সাবধানেই ছিলেন। বাইরে খুব-একটা যাননি। তার পরও রক্ষা পেলেন না আক্রান্ত হওয়া থেকে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নোংরা শিরোনামে ক্ষেপলেন মাশরাফি, ভক্তদেরও তীব্র প্রতিক্রিয়া

    নোংরা শিরোনামে ক্ষেপলেন মাশরাফি, ভক্তদেরও তীব্র প্রতিক্রিয়া

    নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীর ঘর বিতাড়িত এক নারীর পাশে দাঁড়িয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মোর্তজা। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নোংরা শিরোনামে খবর প্রকাশ করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

    গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুন) একটি দৈনিক পত্রিকা ও একটি অনলাইনে খবর প্রকাশের জেরে সামাজিকমাধ্যমে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান এ তারকা।

    মঙ্গলবার সকালে থেকেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ‘মাশরাফি বিন মোর্তজা অন্যের স্ত্রীকে কাছে টেনে নিয়েছেন’ শিরোনামে একটি খবর। শিরোনাম দেখে বোঝার উপায় নেই প্রকৃত ঘটনা কী। বরং নোংরা হেডলাইনে ভুল বার্তা পেয়েছে পাঠক।

    বিষয়টি মাশরাফির দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর প্রতিবাদ জানিয়ে ম্যাশ লিখেছেন,

    ~What a headline, journalism at his best….. যারা বছরের পর বছর এ পেশাটাকে শুধু পেশা হিসাবেই না সর্বচ্চো সম্মানের সাথে করে আসছেন উনারাও এসব দেখে লজ্জা পান, মনে হয়….”

    ক্যাপ্টিন ফেন্টাসন্টিকের এমন প্রতিবাদের পর মূহুর্তেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। মাশরাফির ভক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়ে নানা পোস্ট দিচ্ছেন।

    জানা গেছে, নড়াইলের লোহগড়ায় ১ জুন ইতি খানম নামের এক অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতন করে রাস্তায় ফেলে যান তার স্বামী তিতাস কাজী। নির্যাতন সইতে না পেরে অচেতন হয়ে রাস্তায় পড়েছিলেন ইতি। পরে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান স্থানীয়রা।

    খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ।

    এরপর থেকে স্বামী, শ্বশুরবাড়ি কিংবা বাবার বাড়ির কেউ খোঁজখবর নেয়নি ইতির।

    পরে স্থানীয় এমপি মাশরাফি ঘটনাটি জানতে পারলে নির্যাতিতা ইতিকে তার শ্বশুর বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ওই নারীকে আশ্বস্ত করেন। তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতায় পাশে থাকবেন বলেও জানান মাশরাফি।

    এ ঘটনাকে নিয়ে খবর প্রকাশ করতে গিয়ে নোংরা শিরোনাম ব্যবহার করা হয়। অবশ্য মাশরাফি প্রতিবাদ করার পর শিরোনাম পরিবর্তন করেন সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ৪২ লাখে বিক্রির পরেও মাশরাফীর হাতেই থাকছে সেই ব্রেসলেট

    ৪২ লাখে বিক্রির পরেও মাশরাফীর হাতেই থাকছে সেই ব্রেসলেট

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ:বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের জীবন্ত কিংবদন্তীর হাতে সবসময় পরিহিত থাকা এক সামান্য ব্রেসলেটকে অসামান্য করে তুলেছে। রূপার এই ব্রেসলেটের ওজনটা বুঝা গেল আজ নিলামে। মাশরাফীর ১৮ বছরের এই সঙ্গীকে ৪২ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন লেইজিং অ্যান্ড ফিনেন্স কোম্পানিস অ্যাসোসিয়েশন-বিএলএফসিএ।

    রোববার (১৬ মে) দিনগত রাত পৌনে একটায় শেষ হয় নিলামটি। ফেইসবুকে ‘Auction 4 Action’ পেইজ-এ নিলামে ব্রেসলেটটির ভিত্তিমূল্য ধরা হয় ৫ লাখ টাকা। নিলামে তুমুল আগ্রহ ও লড়াই শেষে এটি কিনে নেয় বিএলএফসিএ।

    এই অর্থ দিয়ে মাশরাফীর ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সহায়তা করা হবে করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে অসহায় মানুষদের।

    তবে নিলামে বিক্রি হলেও ব্রেসলেট থাকবে মাশরাফির হাতেই।

    বন্ধুর মামাকে দিয়ে নিজের নাম খচিত এই ব্রেসলেট বানিয়েছিলেন মাশরাফি।

    বিএলএফসিএর চেয়ারম্যান মমিন উল ইসলাম জানিয়েছেন, ব্রেসলেটটি তারা উপহার হিসেবে মাশরাফীকেই ফিরিয়ে দিতে চান।

    লাইভে মমিন উল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ব্রেসলেটটি তারা কি করবেন? জবাবে তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটি উপহার হিসেবে মাশরাফীকেই দিতে চাই। তার হাতেই এটি সবচেয়ে বেশি শোভা পায়।

    মাশরাফি লেখা সেই ব্রেসলেট

    ব্রেসলেটটি মাশরাফীর হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেয়ার জন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জানান তিনি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য মাশরাফীকে অনুরোধ করেন।

    সম্মতি জানিয়ে মাশরাফী বলেন, আপনারা যদি ব্রেসলেটটি নিজেদের কাছে রাখেন তাতেও আমি কষ্ট পেতাম না। আপনাদের হাত থেকে পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি এটা আর পরবো না।

    নিজের নাম খচিত এই ব্রেসলেট দীর্ঘ ১৮ বছর ব্যবহার করেছেন মাশরাফি। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের ক্যারিয়ারের উত্থান-পতন জড়িয়ে আছে এই স্মারকটিতে। শনিবার (১৬ মে) নিলাম শুরু হলেও নিলামের বিডের তথ্য প্রথমবার প্রকাশ করা হয় রবিবার (১৭ মে) সন্ধ্যার দিকে। ৬টা ১০ এর হালনাগাদ অনুযায়ী, নিলামের দর হাঁকানো হয় ৭ লাখ ৫০ হাজার বা সাড়ে ৭ লাখ টাকা। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জানানো হয়, ব্রেসলেটের জন্য ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত মূল্য হাঁকানো হয়েছে। রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বিড দেখানো হয় ১১ লাখ টাকা। রাত নয়টায় ব্রেসলেটের বিড ১২ লাখ টাকা জানানো হয়।

    রাত পৌনে বারোটার দিকে মাশরাফিকে নিয়ে আয়োজকরা ফেসবুক লাইভ শুরু করেন। এরপর থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে দাম। মাশরাফির ব্রেসলেট বিক্রির টাকা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সংকটে পড়া মানুষের সহায়তার কাজে ব্যয় করা হবে।

    মাশরাফির ডান হাতে সেই প্রিয় ব্রেসলেট

    প্রিয় ব্রেসলেটের অজানা গল্প জানালেন মাশরাফি:

    নিলামের সরাসরি সম্প্রচারিত পর্বে তিনি বলেন, ‘আমি যখন অনেক ছোট, বড়দের দেখতাম বিভিন্ন ধরনের ব্রেসলেট পরতেন। দুইটা জিনিসের প্রতি ছোটবেলা আমার অনেক শখ ছিল- ব্রেসলেট ও সানগ্লাস। কিন্তু বাবা-মায়ের ভয়ে, বিশেষ করে বাবার ভয়ে কখনো পরতাম না।’

    ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাশরাফির যাত্রা শুরু হয়। এরপর ভাবলেন- একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারকে নিশ্চয়ই বাবা-মা ব্রেসলেট পরার যখন বকা দেবেন না! তখন হাতে ব্রেসলেট পরা শুরু করেন। যদিও পছন্দসই ব্রেসলেট পেতে সময় লেগেছে।

    মাশরাফি বলেন, ‘একটি ব্রেসলেট পরা শুরু করি। কিন্তু ডাইভ দিলে সেটা হাত থেকে পড়ে যায়। পরে অবশ্য খুঁজে পেয়েছিলাম, তবে বেশিদিন টেকেনি। আমার এক বন্ধুকে বললাম ব্রেসলেট- আমাকে একটা তৈরি করে দে। সবাই যেরকম মূল্যবান ভাবছে ওরকম কিছু কিন্তু এটা না, অনেকে রুপার ভাবছে- সেটাও না। এটা অতি সাধারণ, স্টিলের তৈরি। আমার বন্ধুর মামার কাছ থেকে বানিয়ে নিয়েছি। এরপর থেকে পরি।’

    দীর্ঘ ১৮ বছরে মাশরাফি কয়েকবার খুলেছেন এই ব্রেসলেট। তবে ব্রেসলেটটি হাতে থাকলেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। ক্যারিয়ারজুড়ে সবসময় সব অবস্থায়ই তাকে এই ব্রেসলেট হাতে দেখা গেছে।

    তিনি বলেন, ‘কয়েকবার হাত থেকে খুলে রেখেছি। তবে এটা ছাড়া কখনো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিনি। এরপর থেকে এটাই আমার সঙ্গী। ভালোমন্দ সবকিছুর সাথেই এটা জড়িয়ে আছে। এটা ছাড়া আর কিছু ব্যবহারের চেষ্টা করিনি। শুধু অপারেশন থিয়েটারে স্টিলের কিছু রাখার অনুমতি করে না, কিংবা এমআরআই করতে গেলে। এই দুই সময় ছাড়া সাধারণত এটা খুলিনি। অবশ্য এই দুই জায়গায় অনেক বেশি গিয়েছি (হাসি)। তাছাড়া এটা সবসময় আমার সাথে ছিল ও আছে।’

    আইপিডিসি ফিন্যান্সের চমৎকার সিদ্ধান্তে নিলাম শেষেও ব্রেসলেটটি মাশরাফির কাছেই থাকছে!

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মাশরাফি বললেন, মনে রেখ কেবল একজন ছিল, ভালবাসত শুধু তোমাদের….

    মাশরাফি বললেন, মনে রেখ কেবল একজন ছিল, ভালবাসত শুধু তোমাদের….

    সসম্মানে, শ্রদ্ধার সঙ্গে অধিনায়কত্ব থেকে বিদায় নিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অধিনায়ক এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। দলকে রেখে গেছেন সাফল্যের চূড়ায়। স্বভাবতই সতীর্থ ও ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। সেটা টেরও পেয়েছেন ম্যাশ। সেই সূত্রেই বিদায়ের পর বিষাদের কালো মেঘ কণ্ঠ ছুঁয়েছে তার।

    শনিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাশরাফি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন,

    শেষ বেলায় ভুলে যেও অভিমান।
    মনে রেখ কেবল একজন ছিল, ভালবাসত শুধু তোমাদের…. 🇧🇩

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ দিয়ে ক্যারিয়ারে অধিনায়কত্বের ইতি টেনেছেন মাশরাফি। বিদায়ী ম্যাচে তাকে রেকর্ড রাঙা জয় উপহার দিয়েছেন সতীর্থরা। বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস (১৭৬) খেলেছেন লিটন দাস। পাশাপাশি দেশের পক্ষে তামিম ইকবালের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে গড়েন ২৯২ রানের রেকর্ড। অনবদ্য সেঞ্চুরি হাঁকান ড্যাশিং ওপেনারও।

    শেষ অবধি বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ১২৩ রানের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ। তাতে নেতৃত্বের শেষ ম্যাচে টাইগারদের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে জয়ের হাফসেঞ্চুরি করেন মাশরাফি। ম্যাচ শেষ হতেই সতীর্থদের ভালোবসায় প্লাবিত হন তিনি।

    জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেটটি শিকার করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সেসময় বাংলাদেশের সব খেলোয়াড়ের মনোযোগ ছিল মাশরাফির দিকে। যে যেখানে ফিল্ডিং করছিলেন সেখান থেকে দৌঁড়ে তার কাছে চলে আসেন। সবাই হাত মেলাতে থাকেন প্রিয় অধিনায়কের সঙ্গে।

    পরে মাশরাফিকে কাঁধে তুলে নেন তামিম। অন্যরাও সঙ্গে ছিলেন। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ মাঠ প্রদক্ষিণ করেন তারা। আর হাত নেড়ে দর্শকদের বিদায় জানান নড়াইল এক্সপ্রেস। সবচেয়ে বড় চমক দেখা যায় এরপরই। দলের সবাই পরেন মাশরাফির জার্সি! তার নেতৃত্বের শেষ ম্যাচের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি হয় এগুলো। সবার জার্সিতে লেখা ছিল ‘মাশরাফি’, তার প্রতীক হয়ে ওঠা নম্বর ‘২।’ জার্সির সামনে লেখা ছিল ‘থ্যাঙ্ক ইউ ক্যাপ্টেন।’

    মাশরাফিকে ঘিরে বয়ে যায় আবেগের জোয়ার। তবে এমনি এমননি এ সম্মান পাননি তিনি। অধিনায়কত্ব কালে সতীর্থদের অগাধ ভালোবাসতেন ম্যাশ। একান্ত আপনজনের মতো করে সবাইকে স্নেহ ও শাসন করতেন। অসামান্য ভালোবাসার ডোরে সবাইকে বেঁধে রাখতেন। মূলত এ কারণেই দীর্ঘ অর্ধযুগ একই ছাতার নিচে নিয়ে আসতে সক্ষম হন পুরো দলকে।

    এদিন সেই ছাতা সরে গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের মাথার ওপর থেকে। লিটন-মোস্তাফিজরা উপলব্ধি করতে পেরেছেন মাশরাফির এ মায়াভরা হাত আর তাদের মাথায় পড়বে না, কারো কাঁধে রাখবেন না। স্বভাবতই তারা ভারাক্রান্ত।

    মাশরাফি সেটা বুঝেই মাত্র দুই লাইনের পোস্টে বলে দিলেন অব্যক্ত মনের কথা। আকুতি জানালেন, কারো কোনো অভিমান-অনুযোগ থাকলে যেন সব ভুলে যান তারা। উল্লেখ্য, তার স্ট্যাটাসটি দেশবরেণ্য ব্যান্ড তারকা জেমসের ‘ঠিক আছে বন্ধু’ অ্যালবামের একটি গানের পঙ্‌ক্তি।

    https://www.facebook.com/262373203828838/posts/3031156250283839/

  • জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিবেন মাশরাফি

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিবেন মাশরাফি

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব করবেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

    আজ বুধবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

    বিসিবি সভাপতি জানান, মাশরাফি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে থাকছেন। এবং দলের অধিনায়কত্বও করবেন তিনি। তবে একটি সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে-অধিনায়ক মাশরাফির এটাই হবে শেষ সিরিজ।

    বাংলাদেশ দলের চেয়ে জিম্বাবুয়ে দল ভালো অবস্থায় আছে দাবি করে পাপন বলেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় পাওয়া সহজ হবে না।

    তিনি বলেন, সবচেয়ে খারাপ হয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট হারা, ওদের কাছে যদি হারি তাহলে জিম্বাবুয়ের কাছেও হারতে পারি।

    সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর স্বেচ্ছায় ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে থাকা মাশরাফি জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে আবারো ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করছেন।

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচ তিনটি হবে আগামী ১, ৩ ও ৬ মার্চ, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

  • হাতে ১৪ সেলাই,মাশরাফির বিপিএল শেষ

    হাতে ১৪ সেলাই,মাশরাফির বিপিএল শেষ

    বিপিএলের চলতি আসরে রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে হেরে শীর্ষ দুইয়ে থেকে লিগ পর্ব শেষ করার আশা চূর্ণ হয়েছে ঢাকা প্লাটুনের। সেই সাথে আরও একটি দুঃসংবাদ পেয়েছে ঢাকা বিভাগের প্রতিনিধিত্বকারী দলটি। দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা পড়েছেন চোটে।

    মাশরাফির ইঞ্জুরিটি বেশ গুরুতরই। খুলনা টাইগার্সের ইনিংসে ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন বাঁ হাতের আঙুলে। চোট পাওয়া সেই হাতে লেগেছে ১৪টি সেলাই!

    খুলনার ইনিংসের ১১তম ওভারে মেহেদী হাসানের বলে সজোরে হাঁকান রাইলি রুশো। এক্সটা কভারে ছুটে যাওয়া বলটি তালুবন্দি করতে গিয়ে বাঁ হাতের আঙুলে আঘাত পান মাশরাফি।

    সেই আঘাতের পর আর মাঠেই থাকতে পারেননি। তীব্র ব্যথায় কাতর হয়ে মাঠ ছেড়ে যান ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত ক্রিকেটার। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সাজঘরে ফেরে চোটাক্রান্ত স্থানে লেগেছে ১৪টি সেলাই।

    ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা প্লাটুনের প্রতিনিধি এনামুল হক বিজয় বলেন-

    ‘মাশরাফি ভাইয়ের হাতে সেলাই পড়েছে দশটার বেশি। বাঁ হাতের অনেকখানি কেটে গেছে। বড় সেলাই পড়েছে যেহেতু উনার জন্য পরের ম্যাচগুলো খেলা একটু কঠিনই হয়ে যায়। এখনো নিশ্চিত না। পরের ম্যাচ খেলা তার জন্য অবশ্যই কঠিন হবে।’

    এই চোটের কারণে মাশরাফির বঙ্গবন্ধু বিপিএলের বাকি অংশে অংশগ্রহণ একপ্রকার অনিশ্চিতই হয়ে পড়েছে। ১২ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে চতুর্থ স্থানে থেকে রাউন্ড রবিন লিগ শেষ করেছে ঢাকা প্লাটুন। এলিমিনেটর ম্যাচ জিতলেও ফাইনালে উঠতে হলে দলটিকে কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলতে হবে।

    মাশরাফির এই চোটের কারণে বেশ বেকায়দায় পড়বে ঢাকা। তিনি পরের ম্যাচে না থাকলে ‘নকআউট’ হয়ে ওঠা খেলায় দলের নেতৃত্বেও আসবে পরিবর্তন। চোট পাওয়ার দিনে ৩ ওভার বল করে ২৬ রান খরচ করেন মাশরাফি, পাননি কোনো উইকেট। ইঞ্জুরিতে মাঠ ছাড়ায় চার ওভারের কোটাও পূর্ণ করতে পারেননি।

  • ইরফান পাঠানের মুখে সাকিব- মাশরাফির প্রশংসা

    ইরফান পাঠানের মুখে সাকিব- মাশরাফির প্রশংসা

    ভারতীয় জাতীয় দলের এক সময়ের সাড়া জাগানো পেসার ইরফান পাঠান ভারতের রাজকৌটের ছেলে। সম্প্রতি ভারতের সাথে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ খেলতে দুই দলই এখন রাজকৌটে অবস্থান করছে। সেখানে বাংলাদেশী

    গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে দেখা হতে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি ও সদ্য সাবেক টেস্ট ও টি টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিবের প্রশংসা করতে ভুললেন না ইরফান পাঠান।

    সম্প্রতি ভারতের সাথে পুর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে ভারতে অবস্থান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। কিন্তু সেখানে অনুপস্থিত বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও টেস্ট ও টি টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

    সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে ইরফান বলেন – এই সফরে সাকিব কে খুব মিস করছি। আমাদের সবার আশা ছিল সাকিব এখানে আসবে৷ আইপিএল খেলার সুবাধে সে এখানে খুব পরিচিত। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারনে সে আসতে পারেনি। সে খুব ভাল ক্রিকেটার। কিন্তু সে হয়তো ভুল করছে৷ তবে আমি আশাবাদী সে যখন ফিরবে আরও পরিপূর্ণ হয়ে ফিরবে।

    সাকিব প্রসঙ্গ শেষ করতে না করতে ইরফানের মুখে মাশরাফিকে নিয়ে প্রশংসার ফুলঝুরি। মাশরাফি কে ইরফান বলেন – মাশরাফি বাংলাদেশের একজন গ্রেট ক্রিকেটার। সে খুব মেধাবী। তাকে কয়েকবার কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। তার অসাধারণ নেতৃত্ব গুনে বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ অনেক উপরে৷ আমি আশা করি ভবিষ্যতে সে বাংলাদেশের ক্রিকেট এর পিছনে নিজেকে নিয়োজিত রেখে ক্রিকেটের উন্নয়নে পাশে থাকবে।

  • সাকিবের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে:মাশরাফি

    সাকিবের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে:মাশরাফি

    এক বছর ক্রিকেট মাঠে দেখা যাবে না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা তারকা সাকিব আল হাসানকে।

    ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব তিনবার পেয়েও আইসিসি কিংবা বিসিবিকে জানান নি এই অলরাউন্ডার। এ কারণে আইসিসি দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে। যার মধ্যে আছে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। টানা এক বছর বাংলাদেশ অধিনায়ক থাকবেন না ক্রিকেট মাঠে। এমন খবরে অন্য অনেকের মতো হতাশ বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

    প্রিয় সতীর্থদের জন্য মন পুড়ছে মাশরাফির। ওয়ানডে অধিনায়ক মঙ্গলবার রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এনিয়ে লিখলেন আবেগঘন স্ট্যাটাস। যেখানে সতীর্থদের জন্য বিনিদ্র রাত কাটানোর কথাও বললেন ম্যাশ।

    ওয়ানডে অধিনায়ক লিখেছেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছরের সহযোদ্ধার আজকের ঘটনায় নিশ্চিতভাবেই কিছু বিনিদ্র রাত কাটবে আমার। তবে কিছুদিন পর এটা ভেবেও শান্তিতে ঘুমাতে পারব যে, তার নেতৃত্বেই ২০২৩ সালে আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলব। কারণ নামটি তো সাকিব আল হাসান…!!!’

    সব ধরণের ক্রিকেটে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিবের পাশে দাঁড়িয়েছেন তার আরেক সতীর্থ মুশফিকুর রহিমও। মাশরাফির মতো তারও বিশ্বাস আরও বেশি দাপট নিয়েই ফিরবেন প্রিয় সতীর্থ। মুশফিক তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আমরা ১৮ বছর ধরে এক সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলেছি। এটা খুবই দুঃখজনক তোমাকে (সাকিব) ছাড়া মাঠে নামতে হবে। আমি আশা করি, সাকিব বীরের মতো ফিরে আসবে। তোমার জন্য আমার এবং পুরো বাংলাদেশের সমর্থন থাকবে। শক্ত থাকো। ইনশা আল্লাহ।’

    সাকিব আল হাসানের নিজের কণ্ঠেও ফেরার প্রত্যয়। তিনি মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা শুনে মিরপুর বিসিবি কার্যালয়ে আসেন। বিমর্ষ এই মহাতারকা বলেন, ‘আমি শাস্তি মেনে নিয়েছি। সকল খেলোয়াড়ের মতো আমিও চাই ক্রিকেটটা দুর্নীতিমুক্ত থাকুক। তরুণদের উন্নয়নে আমি কাজ করব। আপনারা আমাকে যেভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন, সেভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাবেন, তাহলে আমি দ্রুত ক্রিকেটে ফিরে আসতে পারব।’

    সাকিবের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। এর চেয়ে বেশি মর্মান্তিক কিছু হতে পরে বলে আমার জানা নেই। কারণ আমি বহুবার বলেছি, দুজন খেলোয়াড়ের বিকল্প আমাদের নেই। একজন অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি, অন্যজন সাকিব। আমি মনে করি আমাদের সকলকে সাকিবের পাশে এখন থাকা উচিত। ওর এখন খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। ভেঙে পড়ার কোনো কারণ নেই। ও অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের সঙ্গে সহযোগিতা করার কথা বলেছে। সেটা করে যাক এবং যেভাবে যখন যেভাবে সাপোর্ট করা দরকার বিসিবি ওর পাশে থাকবে।’

    গত দুই বছরে তিনবার একজন চিহ্নিত ক্রিকেট জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পান সাকিব। তখন সেই প্রস্তাব উড়িয়ে দেন তিনি। তবে জুয়াড়ির কাছ থেকে এই প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়ে তিনি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) কে জানাননি। এটাই তার বড় ভুল। আর সেই ভুলের ফাঁদে পড়েই আজ ক্রিকেট দুনিয়ায় নিষিদ্ধ হলেন সাকিব।

    বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্ছ সংস্থা আইসিসির কোড অব কনডাক্টে আছে-অনৈতিক প্রস্তাব লুকোনোও বড় অপরাধ। সেটিই করেছেন টাইগারদের অধিনায়ক। যার মাশুল দিয়ে এখন ক্রিকেটেরই বাইরে চলে গেলেন দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই তারকা!

  • মাশরাফিকে ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে দায়িত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাশরাফিকে ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে দায়িত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও ক্রিকেটারদের মাঝে চলমান সংকট নিরসনে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এমপিকে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সোমবার বিকেলে বেতন-ভাতাদি বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘট ডাকেন ক্রিকেটাররা। দাবি-দাওয়া না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

    এ অবস্থায় মাশরাফি বিন মুর্তজাকে মঙ্গলবার তলব করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দায়িত্ব দিয়েছেন ক্রিকেটের চলমান সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে।

    মাশরাফি এখনও অফিসিয়ালি ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। ক্রিকেটের যে কোনো সংকটকালে তার অগ্রণী ভূমিকা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। যদিও তাকে ছাড়াই দাবি-দাওয়া আদায়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন দেশের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা। এ নিয়ে খানিকটা আক্ষেপ আছে তার, সাকিবদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে সমর্থনও দিয়েছেন তিনি।

    এ বিষয়ে বিসিবির সহ সভাপতি মাহাবুবুল আনাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ডেকেছিলেন। তার কাছ থেকে ক্রিকেটের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত শুনেছেন। এরপর মাশরাফিকে দায়িত্ব দিয়েছেন ক্রিকেটারদের মাঠে ফিরে আসার বার্তা দিতে।’

    আন্দোলনরত ক্রিকেটারদের কাছে এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিসিবি আশাবাদী, প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা পেয়ে ক্রিকেটাররা মাঠে ফিরে আসবেন। জাতীয় লিগ এবং ভারত সফরের প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেবেন তারা।

    আপাতত তাই বিসিবি ও ক্রিকেটারদের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা নিতে চলেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি।

    সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, সবার সঙ্গে কথা বলে আজ একটা সিদ্ধান্ত জানাবেন তারা।

    বোর্ড কর্মকর্তারা এখন চেয়ে আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজার দিকে। কয়েক মাস ধরে মাশরাফি নিজেই ক্রিকেট থেকে কিছুটা দূরে আছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর আবারও চেনা আঙিনায় ফিরতে হচ্ছে তাকে। ক্রিকেটারদের বোঝাতে হচ্ছে দেশের স্বার্থে ফিরে আসতে হবে মাঠে।

  • শুভ জন্মদিন মাশরাফি

    শুভ জন্মদিন মাশরাফি

    মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। তারই হাত ধরে নতুনভাবে পথ চলতে শুরু করেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটকে যিনি নিয়ে গেছেন সম্মানজনক এক উচ্চতায়। সেই লড়াকু সৈনিক বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক,বর্তমান সাংসদ নড়াইল এক্সপ্রেসখ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজার শুভ জন্মদিন আজ।

    ১৯৮৩ সালের আজকের এই দিনে নড়াইলের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা। তবে শুধু মাশরাফিরই নয়, মজার বিষয় হলো ছেলে সাহেলের জন্মও একই দিনে। ২০১৪ সালের এই দিনে ঢাকায় জন্ম হয় তার ছেলে সাহেলের। একই দিন পিতা-পুত্রের জন্মদিন।

    ব্যাট আর বল হাতে টিম টাইগারদের নেতৃত্বদানকারী এ ক্যাপ্টেন ইতোমধ্যে পার করে ফেলেছেন ৩৬টি বসন্ত। আজ শনিবার তার ৩৭তম বসন্তে দিলেন।

    মাশরাফি ও ছেলে সোহেলর আজ একই দিন জন্মদিন

    মাশরাফি প্রতিটি পদক্ষেপ হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয় সবার, তার একটুখানি থেমে যাওয়ায় থেমে যায় পুরো দেশ। বল হাতে তিনি দৌড়ালে আনন্দে উদ্ভাসিত হয় প্রতিটি মানুষ। সাধারণ মানুষকে কেউ পছন্দ করে, কেউবা অপছন্দ করে। এটাই স্বাভাবিক। তবে এই মানুষটিকে অপছন্দ করে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তিনি কোটি বাঙালির ভালোবাসার মানুষ।

    ডানহাতি ব্যাটসম্যান, বোলিংয়ের ধরন ডানহাতি মিডিয়াম পেশ বোলার মাশরাফি। এ দেশের ক্রিকেটকে অন্যতম এক স্তম্ভে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্বের দাবিদার যে মানুষগুলো তাদের মধ্যে অন্যতম একজন মাশরাফি। ডাক নাম কৌশিক হলেও ম্যাশ, সুপারম্যাশ, নড়াইল এক্সপ্রেস, পাগলা, গুরু… এমন হরেক নামেই ভক্তকুলের কাছে পরিচিত তিনি।

    নানাবাড়িতেই মাশরাফির বড় হওয়া। নিজের বাসা থেকে নানাবাড়ি ৫ মিনিট দূরত্বের হওয়ায় বিশেষ কোনো অসুবিধাও হয়নি থাকতে। খেলার প্রতি মাশরাফির আগ্রহ ছিল ছোটবেলা থেকে। বাড়ির পাশের স্কুল মাঠে বড়দের ক্রিকেট খেলতে দেখে ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয় তার। দাঁড়িয়ে থাকতেন উইকেট কিপারের পাশে। ছোট মানুষ আহত হবে ভেবে বড়রা তাকে সরিয়ে দিত। হয়ত তখন থেকেই শিশু মাশরাফি ভবিষ্যতের চিত্রপটে সাজাতেন বাংলাদেশ ক্রিকেট জগতকে!

    ফুটবল আর ব্যাডমিন্টন বেশ পছন্দ করতেন মাশরাফি। পছন্দের কাজের তালিকায় ছিল চিত্রা নদীর বুকে দাপিয়ে বেড়ানো আর সাঁতার কাটা। বাইক চালাতে ভালো লাগে মাশরাফির। আর তাইতো প্রায়ই নড়াইলের স্থানীয় ব্রিজের এপার ওপার বাইকে চক্কর দেন। নিজের শহর, শহরের মানুষগুলোকে ভীষণ ভালোবাসেন মাশরাফি। প্রতিদানে নিজেও পেয়েছেন নিখাদ ভালোবাসা। তাইতো নড়াইলে খ্যাতি মিলেছে ‘প্রিন্স অব হার্টস’ উপাধির।

    যার বোলিং নৈপুণ্যে বার বার হতবাক হই আমরা সেই মাশরাফি কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে পছন্দ করতেন ব্যাটিং। যদিও বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম সারির উইকেট শিকারি বোলার তিনি এবং সমর্থকদের কাছে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামে পরিচিত।

    ২০০১ সালে টেস্টের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে মাশরাফির। ২০০৯ পর্যন্ত এই ফরম্যাটে খেলেছেন মোট ৩৬টি ম্যাচ। আদায় করেছেন ৭৮টি উইকেট। অবসরের ঘোষণা না দিলেও টেস্টে হয়তো আর ফিরবেন না তিনি।

    একই বছর ওয়ানডেতে অভিষেক ঘটে এই গতি তারকার। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল পর্যন্ত ২১৭টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে তুলে নিয়েছেন ২৬৬টি উইকেট। ২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টিতে অবসর নেওয়া মাশরাফির সংগ্রহ ৫৪ ম্যাচে ৪২টি উইকেট।

    শরীরের জোর থেকে যার মনের জোর বেশি তিনি মাশরাফি। নিজের প্রচণ্ড কঠিন মানসিক শক্তির বলে বার বার থেমে গিয়েও আবার সামনে এগিয়েছেন। ইনজুরি নামক ক্যারিয়ারঘাতী বিপদকে অভিষেক থেকে সঙ্গী করে চলছেন এই পেশার। বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন ইনজুরিকে। হাসপাতালের ভয়ানক ছুরি-কাঁচি আর সার্জারিকে তোয়াক্কা না করে বারবার নামছেন সবুজ গালিচার মাঠে। দৌড়ে যাচ্ছেন নিজের দলের জন্য, নিজের দেশের জন্য।

    কোনো দলের বিপক্ষে যত বার মাঠে নেমেছেন তার চেয়ে বেশি বোধহয় দাঁড়িয়েছেন ইনজুরির বিপক্ষে। কতশত বার যে মাশরাফি ইনজুরিতে কাতরাতে কাতরাতে মাঠ ছেড়েছেন তার হিসেব করলে ভুল করবেন যে কেউ। তবু বারবার ফিরে এসেছেন তিনি, নতুন শক্তিতে, নতুন উদ্যমে। অবশ্য যে মানুষটির প্রতিটি হৃৎস্পন্দন জুড়ে দেশ আর দেশের মানুষ, এমন দুঃসাহস তো তাকেই মানায়!

    বার বার বাদ পড়ে দলে ফেরত আসার জন্য ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিকে ‘কামব্যাক কিং’ নামে ডাকা হর। বার বার ইনজুরিতে পড়েও বীরদর্পে প্রত্যাবর্তন করা মাশরাফিকে তবে কী বলে ডাকা উচিত?

    মাশরাফির চিকিৎসক অস্ট্রেলিয়ান শল্যবিদ ডেভিড ইয়াং। ২০০৩ সাল থেকে মাশরাফির দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। প্রতিবার মাঠে খেলতে নামেন মাশরাফি আর চমকে ওঠেন ডেভিড। অবিশ্বাস্য চোখে বলে ওঠেন, এও কী সম্ভব! এমন ইনজুরি থেকে সদ্য সেরে ওঠা একজন মানুষ কিনা ফাস্ট বোলিং করছে! রান বাঁচাতে হুট-হাট লাফঝাঁপ দিচ্ছে! তিনি হতবাক হয়ে যান আর পরের বার মাশরাফি ফের ইনজুরিতে পড়লে হয়ত মনে মনে হেসে বলেন, আমাকে আরেক বার হতবাক কর, পাগলা। বার বার অবাক করে দাও।

    আসলে ইনজুরিতে পড়ে বারবার ফিরে আসার মন্ত্র জানেন মাশরাফি। সেই অদৃশ্য মন্ত্রের জোরে জয় করেন সব বাঁধা। দেশের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে জিতেছেন, দলকে জিতিয়েছেন। আর তাইতো মাশরাফি কেবল ক্রিকেটার পরিচয়ে আটকে থাকেন না। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি হয়ে যান সুপারম্যানের মতো সুপারম্যাশ। হয়ে ওঠেন অনুপ্রেরণা আর সাহসের উৎস।

    কী মন্ত্রের জোরে ইনজুরিতে পায়ের নিচে পিষে খেলেন মাশরাফি? তিনি নিজেই জবাব দেন, ‘বার বার ইনজুরি থেকে ফিরে আসার প্রেরণা পাই, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে। এমনও ম্যাচ গেছে আমি হয়তো চোটের কারণে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলাম না। দুই তিনটা বল করেই বুঝতে পারছিলাম সমস্যা হচ্ছে। তখন তাদের স্মরণ করেছি। নিজেকে বলেছি, হাতে-পায়ে গুলি লাগার পরও তারা যুদ্ধ করেছিলেন কীভাবে? তোর তো একটা মাত্র লিগামেন্ট নেই! দৌড়া…’

    এই পাগলা আসলেই দৌড়ে যাচ্ছে। কাঁধে তার দেশের মানুষের ভালোবাসার বেশ বড় বোঝা নিয়েই দৌড়ে চলছে অবিরত। মাঠে সঙ্গীদের পরামর্শ দিচ্ছেন, এক সঙ্গে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ছেন, প্রয়োজনে একটু শাসনও করে নিচ্ছেন বড় ভাই বা অভিভাবক হিসেবে। ড্রেসিং রুমের বারান্দা থেকেও মাঠে থাকা সতীর্থদের নানা অঙ্গভঙ্গিতে সাহস দিচ্ছেন, নির্দেশনা দিচ্ছেন। তা লুফেও নিচ্ছেন সবাই। গুরুর চোখের ভাষা, হাতের ভাষা সবকিছু যে মুখস্থ সবার!

    ২০১৪ সালের এই দিনে মাশরাফি বিন মর্তুজা-স্ত্রী সুমনা হক সুমির কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে আসে ছেলে সাহেল।

    বাবা ও ছেলের জন্য ‘২৪ ঘন্টা নিউজ’ পরিবার থেকে রইলো জন্মদিনের অকৃত্রিম শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। শুভ জন্মদিন মাশরাফি, শুভ জন্মদিন সাহেল। খেলে যাক মাশরাফি, জিতে যাক তার পাহাড়সম মানসিক মনোবল। আমাদের ক্রিকেট ট্রফি হিসেবে মাশরাফি বিন মুর্তজা আলোকিত করে রাখুন ক্রিকেটাঙ্গনের সাজানো শোকেস।