Tag: মাস্ক

  • মাস্ক বাধ্যতামূলক, অন্যথায় শাস্তি

    মাস্ক বাধ্যতামূলক, অন্যথায় শাস্তি

    দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ফের বাড়ছে। এর মধ্যে এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতিসহ ছয় দফা নির্দেশনা দিয়েছে।

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মঙ্গলবার সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে চিঠি দিয়েছে।

    কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে উপসচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খানের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সারা দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণের মধ্যে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে যথেষ্ট শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা হচ্ছে। কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ১৪ জুন অনুষ্ঠিত সভায় নেওয়া সুপারিশ প্রতিপালনের জন্য এবং কোভিড প্রতিরোধে নিচের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হলো:

    * স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে সব গণমাধ্যমে অনুরোধ জানাতে হবে।

    * সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে।

    * ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানসমূহে (যেমন: মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

    * জ্বর, সর্দি, কাশি বা কোভিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা দিলে কোভিড টেস্ট করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

    * দোকান, শপিংমল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল-রেস্টুরেন্টে সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে।

    * মাস্ক না পরলে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন করা এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, মাস্ক পরিধানের বিষয়ে মসজিদে জুমার নামাজে খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে কাজ করবেন।

  • ২ টাকার মাস্ক ৬৫ টাকা বালিশ-কভার ৩৪৫০!

    ২ টাকার মাস্ক ৬৫ টাকা বালিশ-কভার ৩৪৫০!

    ২ টাকা দামের একটি সার্জিক্যাল মাস্কের দাম ৬৫ টাকা, ১৬ টাকা দামের এক জোড়া জুতার কভারের দাম ধরা হয়েছে ১১০ টাকা। আবার হ্যালেথেন ওষুধের দাম ১ হাজার ৩২৩ টাকা হলেও ঠিকাদার টেন্ডারে দাম ধরেছেন ১৮৯ টাকা। বেশি ব্যবহৃত পণ্য-ওষুধের কয়েকগুণ বেশি দাম আর কম প্রয়োজন হয় এমন ওষুধের অবিশ্বাস্য রকম দাম কমিয়ে চলছে টেন্ডার জালিয়াতি। তিন বছর ধরে এই জালিয়াতি পন্থায় জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটে টেন্ডার বাগিয়ে নিচ্ছে মিস রোকেয়া ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

    জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু হানিফ বলেন, আমরা লক্ষ্য করি একটি কোম্পানি বারবার সর্বনিম্ন দরদাতা হচ্ছে। খতিয়ে দেখতে গিয়ে দরদাতার কৌশল বুঝতে পারি। নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতাকে টেন্ডার দেওয়া হয়। এটা বিবেচনা করা হয় লটের মোট দাম হিসেবে।

    অনেকগুলো আইটেম মিলিয়ে একটি লট হয়। আলাদাভাবে প্রতিটি পণ্যের দাম খেয়াল না করলে দামের হেরফেরের চালাকি বোঝা যায় না।

    তিনি আরও বলেন, এই ক্রেতা বেশি ব্যবহৃত পণ্যের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়েছেন আর কম ব্যবহৃত পণ্যের দাম কমিয়ে দরপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা এবার যেসব আইটেমের দাম বাজার দরের চেয়ে অনেক কম সেগুলো বেশি করে কিনেছি এবং যেগুলোর দাম অনেক বেশি ধরেছে সেগুলো বাদ দিয়েছি।

    এতে সরকারের অনেক অর্থের সাশ্রয় হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে বিশেষায়িত এই হাসপাতাল। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের জরিপে সব বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউটের মধ্যে প্রথম হয়েছে এই হাসপাতাল।

    জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, এখানে কানের পর্দা লাগানো, নাকের পলিপ ও হাড়ের অপারেশন, সাইনাস ক্যান্সারের আধুনিক এনডোসকপিক অপারেশন, জিহ্বা, শ্বাসনালির ক্যান্সার, থাইরয়েড গ্রেন্ডের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের অপারেশন করা হয়। গলা না কেটে এনডোসকপির মাধ্যমে থাইরয়েড অপারেশন ব্যবস্থা এখানে আছে।

    যারা জন্ম থেকে বধির (কানে শোনে না) ও কথা বলতে পারে না তাদের বিনামূল্যে কক্লিয়ার সংযোজন করা হয়। রয়েছে উন্নতমানের অডিওলজি বিভাগ। এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে ২০১৮ সালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৪৪ জন, জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ হাজার ৯৮৬ জন। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৩ হাজার ১৮৬ জন। ২০১৯ সালে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ১৭৮ জন, জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ হাজার ৬৭১ জন। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৩ হাজার ৪৮৭ জন।

    এ হাসপাতালে দরিদ্র রোগীর জন্য রয়েছে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও অপারেশনের ব্যবস্থা। মাত্র ১০ টাকার টিকিটে রোগীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১১২টি অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে এ হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন বহির্বিভাগ, আন্তঃবিভাগ ও অপারেশনের রোগীদের সব ওষুধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হয়। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও পণ্য কেনা হয় দরপত্রের মাধ্যমে। হাসপাতাল বিজ্ঞপ্তি আহবান করে নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ দিয়ে থাকে।

    মিস রোকেয়া ইন্টারন্যাশনাল নামের প্রতিষ্ঠানটি গত তিন বছর ধরে টানা সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ পেয়ে আসছে। তাদের দেওয়া দামের তুলনায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রতিষ্ঠানের পার্থক্য অনেক বেশি।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, নিলামে দেওয়া ওষুধের দামের হেরফেরে প্রতি বছর ভীষণ চতুরতার সঙ্গে টেন্ডার বাগিয়ে নিচ্ছে মিস রোকেয়া ইন্টারন্যাশনাল। বেশি ব্যবহৃত কম দামি পণ্য এবং ওষুধের দাম ধরা কয়েছে কয়েকগুণ বেশি। কিন্তু বেশি দামের খুব অল্প ব্যবহৃত হয় এমন ওষুধের দাম অবিশ্বাস্য কম রাখা হয়েছে। মোট যোগফল মিলিয়ে টেন্ডারে অর্থমূল্য কমে আসছে। কিন্তু আলাদাভাবে ওষুধ ও পণ্যের দাম খেয়াল করলেই ধরা পড়ে এ জালিয়াতি। ২ টাকা দামের একটি সার্জিক্যাল মাস্কের দাম ধরা হয়েছে ৬৫ টাকা, ১৬ টাকা দামের এক জোড়া জুতার কভারের দাম ধরা হয়েছে ১১০ টাকা। ৫৯০ টাকা দামের বালিশ ও কভারের দাম ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৫০ টাকা।

    এসব পণ্য প্রতিদিনই ব্যবহার হয়। তাই প্রয়োজনও হয় অনেক। হাসপাতাল এগুলো বেশি কেনায় ঠিকাদারের লাভ থাকে বেশি। কানের ড্রপ বেটামেথাসন ও নিওমাইসিনের বাজার মূল্য ৩৫ টাকা। অথচ টেন্ডারে দাম ধরা হয়েছে ৬৯ টাকা। একটা ড্রপেই ঠিকাদার লাভ রেখেছে ৩৪ টাকা। যা ওই ড্রপের দামের প্রায় সমান। গ্লাইকোপাইরোলেট ইনজেকশনের বাজার মূল্য ২০ টাকা। টেন্ডারে দাম ধরা হয়েছে ৯০ টাকা। একটা ইজকেশনে ৭০ টাকা দাম বেশি ধরা হয়েছে। ফ্লুক্সাসিলিন ৫০০ এমজি ইনজেকশনের দাম ৪৫ টাকা, টেন্ডারে দাম উল্লেখ করা হয়েছে ৫৩ টাকা। প্রতিটি ইনজেকশনে লাভ রাখা হয়েছে ৮ টাকা।

    এই ওষুধ এবং ইনজেকশনগুলো নাক, কান, গলার রোগীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। অথচ এগুলোতে বড় অঙ্কের লাভ রেখে জমা দেওয়া হয়েছে টেন্ডার। এদিকে খুব কম ব্যবহার হয় কিন্তু দামি এমন ওষুধের দাম কমানো হয়েছে। ওষুধের গুণগত মান নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। অজ্ঞানের কাজে ব্যবহৃত হ্যালেথেন প্রতি বোতলের পাইকারি দাম ১৩২৩ দশমিক ৬১ টাকা। ঠিকাদার দাম নির্ধারণ করেছেন ১৮৯ টাকা। গুলাটার এলডিহাইট (সাইডেক্স, যন্ত্রপাতির জীবাণুনাশক) প্রতি বোতলের পাইকারি দাম ১ হাজার ১০০ টাকা, ঠিকাদার দাম ধরেছেন ৪৫০ টাকা। কিন্তু এসব ওষুধ খুব অল্প পরিমাণে প্রয়োজন হয় হাসপাতালে।

    এ বছরও টেন্ডারে এমন চতুরতা করলে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। অন্য দরদাতাদের সঙ্গে বিশাল পার্থক্য এবং বারবার একই প্রতিষ্ঠান টেন্ডার পাওয়ায় সন্দেহ আরও দানা বাঁধে। নিলামে উল্লেখ করা প্রতিটি পণ্যের দাম মেলাতে গিয়ে ধরা পড়ে এই জালিয়াতি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারি হাসপাতালে রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। নিলামে ওষুধ কেনার ব্যাপারে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়।

    এ বছর নিলামে অন্য দরদাতাদের সঙ্গে মিস রোকেয়া ইন্টারন্যাশনালের দেওয়া দরে বিশাল ব্যবধান আমাদের নজরে আসে। এই প্রতিষ্ঠান গত তিন বছর ধরে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে টেন্ডার পেয়ে আসছে। বিষয়টি খটকা লাগায় প্রতিটি পণ্য এবং ওষুধের দাম মেলাতে গিয়ে উঠে আসে দামের হেরফেরের এই চিত্র। দরদাতার এই চালাকি বুঝতে পেরে বেশি দাম উল্লেখ করা ওষুধ ও পণ্য না কিনে কম দামে পাওয়া ওষুধ বেশি করে কিনেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    এতে সরকারের প্রায় ১১ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে মিস রোকেয়া ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপক ফারুক ভুইয়ার দরপত্রে উল্লেখ করা মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। দরপত্রে দেওয়া রাজধানীর মগবাজারের ওয়্যারলেস রেলগেট এলাকার ঠিকানায় গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।

  • আমি চাই নগরীর ৬০লাখ অধিবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা: চসিক প্রশাসক

    আমি চাই নগরীর ৬০লাখ অধিবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা: চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষায় জনসাধারণকে সচেতন করতে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে নগরীর পাঁচ পয়েন্টে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মী, চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) কর্ণফুলী রেজিমেন্ট’র সমন্বয়ে চেকপোস্ট বসিয়েছেন।

    আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নগরীর সিমেন্ট ক্রসিং, সিটি গেইট, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, অক্সিজেন মোড়, শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন মোড়ে এ লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন, রেড ক্রিসেন্ট ও বিএনসিসির একটি যৌথ টীম মাঠে নেমেছে। অপর একটি টীম কাজ করছে নগরীর শপিংমল, কাঁচা বাজারগুলোতে।

    মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে সিটি কর্পোরেশনের নেয়া কার্যক্রমের তদারক করতে আজ বুধবার সকাল ৮টায় প্রথমে নগরীর সিটি গেইট, অক্সিজেন মোড় ও শাহ আমানত ব্রিজ এলাকা প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

    পরিদর্শনকালে তিনি সিটি গেইটে আন্তঃজেলা, অক্সিজেন মোড়ে চট্টগ্রাম উত্তর ও শাহ আমানত সেতু এলাকায় দক্ষিণ জেলা থেকে শহরে ঢুকা বেশকিছু দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, লরি থামিয়ে চালক-হেলপার ও যাত্রীগণ মাস্ক পরিধান করছেন কিনা তা তল্লাশি চালান।

    এসময় তিনি যারা মাস্ক পরিধান করেনি তাদের শহরে ঢুকতে না দিয়ে বুঝিয়ে নিজ বাসস্থানে ফেরত পাঠান । সে সময় রেড ক্রিসেন্ট ও বিএনসিসির কর্মীগণ জনসাধারণকে মাস্ক পরিধান করতে মাইকিং এর পাশাপাশি হ্যান্ডবিল, প্রচারপত্র বিলি করে।

    পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, করোনা মোকাবেলায় আমাদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো মানুষকে সচেতন করা। একমাত্র সচেতনতায় পারে এই সংক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করতে। কোভিড-১৯’র দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে চট্টগ্রাম শহরেও সংক্রমণ মারত্মকভাবে বেড়েছে। নগরীর স্বনামধণ্য অনেক ব্যক্তি এতে আক্রান্ত হয়েছে। পত্রিকা-গণমাধ্যম মারফত আমরা সংক্রমণ ও মৃত্যুর যে পরিসংখ্যান দেখছি তা দিয়ে সঠিকতা নির্ণয় করলে হবে না। অনেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করলেও সামাজিকভাবে তা চেপে রাখেন। কারণ এতে মৃত্যুবরণ করলে আত্মীয়-পরিজন সমাজের লোকেরা জানাযা ও দাফন কাফনে অংশ নিতে চান না। এটা আরেক সামাজিক বিড়ম্বনা। অথচ চিকিৎসকদের মতে মৃত্যুর পরে কোন লাশে করোনার কোন জীবানু থাকেন। কাজেই এর মাধ্যমে করনোয় সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ তেমন নাই বললেই চলে। বরং জানাযা বা জমায়েতে উপসর্গ আছে এরকম যেকোন উপস্থিত ব্যক্তি থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই ভ্যাকসিন বা টীকা না আসা পর্যন্ত আমাদের স্বাস্থবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কোন বিকল্প নেই । জনসাধারণকে মনে রাখতে হবে এখন পর্যন্ত মাস্কই টীকা। কোনভাবেই মাস্ক পকেটে, থুতনিতে রাখা যাবে না। যথা নিয়েমে নাক মুখ ঢেকে তা পরিধান করতে হবে।

    প্রশাসক বলেন, আমি চাই আমার প্রিয় প্রাণের চট্টগ্রাম নগরীর ৬০লাখ অধিবাসী স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকুক। আমার এই কঠোরতা নগরবাসীর ভুল বুঝার কোন অবকাশ নাই। দেশের স্বার্থে নগরবাসী আমাকে ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনকে সহযোগীতা করবে এটাই আমার প্রত্যাশা।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন মাস্ক পরা মানে ৮০ ভাগ নিরাপদ। তিনি বলেন, বর্তমানে সংক্রমন যেভাবে বাড়ছে, তাতে লকডাউন দেয়ার পরিস্থতি বিরাজ করছে। কিন্তু দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে এটা সম্ভব না। তাই সচেতন হয়ে আমাদের এই দুর্যোগ কাটাতে হবে।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আলী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) কর্ণফুলী রেজিমেন্টের কমান্ডার মেজর এ কে এম শামসুদ্দিন, সার্জেন্ট বশীর হেলাল, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী, রেড ক্রিসেন্টের সব্যসাচী দেবনাথ, রাহাত ইসলাম, তমা দেব নাথ প্রমুখ।

  • করোনায় মাস্ক না পড়লে সেবা নাই,নগরীতে নজরদারি বাড়াচ্ছে চসিক

    করোনায় মাস্ক না পড়লে সেবা নাই,নগরীতে নজরদারি বাড়াচ্ছে চসিক

    করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হলে জনসাধারণের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে মাঠে নামছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

    কর্পোরেশনকে এই কাজে সহযোগীতা করবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাাম সিটি ইউনিট ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)’র কর্ণফুলী রেজিমেন্টের সদস্যরা।

    আজ সোমবার সকালে চসিকের টাইগারপাস অস্থায়ী অফিসে প্রশাসকের দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

    বুধবার থেকে নগরীর পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জনসচেতনতায় ব্যানার লাগানো, নগরজুড়ে মাইকিং, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্বলিত প্রচার পত্র বিলি করা হবে। যে পাঁচ পয়েন্টে প্রচার প্রচারণা চালানো হবে সেসব স্থান হলো সিমেন্ট ক্রসিং অক্সিজেন, সিটি গেইট, কাপ্তাই রাস্তার মাথা,অক্সিজেন মোড়, শাহ আমানত সেতুসংলগ্ন এলাকা।

    দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নগরীতে প্রচার প্রচারণায় নগরবাসীকে সচেতন করতে বিভিন্ন কর্মাসূচি হাতে নিয়েছে কর্পোরেশন। একটি গ্রুপ কোন ব্যক্তি মাস্ক পরিধান না করে যাতে নগরে ঢুকতে তাদের ফিরিয়ে দিবে। অপর গ্রুপ জনবহুল এলাকা যেমন বাজার শপিংমলে আসা ক্রেতা সাধাারণের মাঝে প্রচারপত্র বিলির পাশাপাশি মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিবে। সভায় প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন উপস্থিত ছিলেন।

    এত অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. আলী, প্রশাসকের একান্ত সচিব আবুল হাসেম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) কর্ণফুলী রেজিমেন্টের কমান্ডার মেজর এ কে এম শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার।

    সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন , করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর কারণে দেশে সংক্রমন ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। এই মহামারির মধ্যে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হবে। টীকা না আসা পর্যন্ত তাই প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করে সুরক্ষা নিয়ে চলাফেরার বিকল্প কোন পথ নাই।

    তিনি বলেন নগরবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা অবশ্যই বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করবেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কোন ব্যক্তি মাস্ক পরিধান না করলে তাকে সেবা প্রদান করবেনা। কর্পোরেশন করোনাকালে নো মাস্ক, নো সার্ভিস সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নাগরিকসেবার কাজ পরিচালনা করবে।

  • চট্টগ্রামে মাস্ক না পরায় ৫৮ জনকে জরিমানা

    চট্টগ্রামে মাস্ক না পরায় ৫৮ জনকে জরিমানা

    বন্দর নগরী চট্টগ্রামে জনসাধারণের মাস্ক থাকলেও কেউ কেউ তা সঠিক নিয়মে ব্যবহার করছেন না। কারও মাস্ক হাতে কিংবা পকেটে। আবার কারও মুখের নিচে। মাস্ক ব্যবহারে এমন উদাসীনতা ও না পরার কারণে নগরীতে ৫১ মামলায় ৫৮ জনকে মোট ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এসব জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের ৩ ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় বিনামূল্যে মাস্কও বিতরণ করা হয়।

    এরমধ্যে নগরীর নাসিরাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান।

    তিনি বলেন, ‘করোনার সময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হলেও ওই এলাকার ক্রেতা ও বিক্রেতা অনেকেই মাস্ক পরছেন না। আবার মাস্ক মুখের নিচে থাকলেও মুখ খোলা বা বের করা অবস্থায় রয়েছেন অনেকেই।’

    এসময় ৮ মামলায় ৮ জনকে ১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মাস্কহীন ১০০ জনের মাঝে ১০০টি মাস্কও বিতরণ করা হয়।

    এদিকে নগরীর গোল পাহাড় মোড়, জিইসি এবং কাজির দেউড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম। এসময় ৩০ মামলায় ৩৭ জনকে ১১ হাজার ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড ও পাশাপাশি ২০০ জনের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।

    অন্যদিকে দুপুরে নগরীর কোতোয়ালী মোড় ও নতুন ব্রিজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজান হোসাইন। এসময় মাস্ক না পরায় ১৩ মামলায় ১৩ জনকে ১ হাজার ৪৫০ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

  • চট্টগ্রামে মাস্ক না পরায় ৩১ জনকে জরিমানা

    চট্টগ্রামে মাস্ক না পরায় ৩১ জনকে জরিমানা

    চট্টগ্রাম মহানগরীতে মাস্ক ব্যবহার না করায় ৩১ জনকে ৩ হাজার ৯৮০ টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানার পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে বিনামূল্যে মাস্কও বিতরণ করা হয়।

    বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে নগরীর কোতোয়ালী মোড়, নিউ মার্কেট, নতুন ব্রীজ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন নতুন ব্রীজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫টি মামলায় ১৫ জনকে ১৫’শ ৫০ টাকা জরিমানা করেন। এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ২০০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়।

    অন্যদিকে নগরীর কোতোয়ালী মোড় ও নিউ মার্কেট এলাকায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজান হোসেন। অভিযানে ১৫টি মামলায় ১৬ জনকে ২ হাজার ৪৩০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ৫০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

  • মাস্ক না পড়ে রাস্তায়-বিপনী বিতানে ঘুরাঘুরি, ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে ধরা পড়ে জরিমানা দিল ৪৩ ব্যাক্তি

    মাস্ক না পড়ে রাস্তায়-বিপনী বিতানে ঘুরাঘুরি, ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে ধরা পড়ে জরিমানা দিল ৪৩ ব্যাক্তি

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে চট্টগ্রাম নগরজুড়ে সাধারণ মানুষের মুখে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

    মাস্ক না পড়ে রাস্তায় বের হয়ে আজও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়ের হাতে ধরা পড়েছে ৪৩ জন অসচেতন ব্যাক্তি। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ১৪ হাজার ৭শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

    আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও বিপনী বিতান ঘুরে এসব অসচেতন ব্যাক্তিদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, আশরাফুল আলম ও নুরজাহান আক্তার সাথী।

    এসময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হকার, পথচারী, ভ্যান চালক ও রিকশাচালকদের মাঝে প্রায় ২০০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়।

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানায়, জনসাধারণকে সচেতন করা এবং জনসাধারণ এর মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম মহানগরীর শিল্পকলা একাডেমী, প্রবর্তকের মোড়, গোলপাহাড় মোড় এবং চকবাজার মোড় এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।

    এসব এলাকায় পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের নের্তৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম। অভিযানে ২৪ জনকে মুখে মাস্ক না পড়ে রাস্তায় ও বিপনী বিতানে ঘুরাঘুরির অেপরাধে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাছাড়া গরীব ও অসচ্ছল মানুষদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষে মাস্ক বিতরণ করা হয়।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম বলেন, মানুষকে সচেতন করার লক্ষে আমরা প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। পাশাপাশি যারা ছিন্নমূল ও অসহায় তাদের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করছি।

    জনস্বার্থে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এই ধরনের মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

    এদিকে একই দিন নগরীর চকবাজার এলাকার বিভিন্ন বিপণিকেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে ১৩ ব্যাক্তিকে ৪ হাজার ১শ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন
    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, জেলা প্রশাসনের অভিযানের ফলে বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পরছে যা খুবই ইতিবাচক। পাশাপাশি যারা অবহেলা করে মাস্ক পরছেনা তাদের অর্থদণ্ড করা হচ্ছে।

    অন্যদিকে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করণের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার সাথী। মাস্ক না ব্যবহার করার দায়ে ৬ টি মামলায় ৬ জনকে ৬শ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। তিনিও জনস্বার্থে এ ধরনের অভিয়ান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • মাস্ক না পড়ায় ৬৩ জনকে অর্থদণ্ড দিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ৩ ম্যাজিস্ট্রেট

    মাস্ক না পড়ায় ৬৩ জনকে অর্থদণ্ড দিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ৩ ম্যাজিস্ট্রেট

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণ প্রতিরোধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন টিম।

    আজ সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে নগরীর কর্ণফুলী নতুন ব্রিজ এলাকা, অলঙ্কার, দেওয়ানহাট, কোতোয়ালী এবং রেলওয়ে সংলগ্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

    এরমধ্যে নগরীর নতুন ব্রীজ এলাকায় পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত টিমের নের্তৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম.আলমগীর। অভিযানে মুখে মাস্ক পরিধান না করায় ১০ টি মামলায় ১১ জনকে মোট ২ হাজার ২শ টাকা অর্থদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    তাছাড়া প্রায় ২ ঘণ্টার অভিযানে গরীব ও অসচ্ছল মানুষদের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১০ টি মাস্ক বিতরণ করা হয়।

    এদিকে নগরীর অলঙ্কার, দেওয়ানহাট ও কোতোয়ালী এলাকায় পৃথক ভ্রাম্যমান আদালতের পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম।

    তিনি মাস্ক পরিধান না করে বাইরে বের হওয়ায় ৩১টি মামলায় ৩৪ জনকে মোট ১৫ হাজার ২শ টাকা অর্থদণ্ড দেন। এসময় গরীব ও অস্বচ্ছল মানুষদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষে ১৭০ টি মাস্ক বিতরণ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম।

    এছাড়াও সকাল বেলার পৃথক অপর অভিযানটির নের্তৃত্ব দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আরেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন। তিনি নগরীর কোতোয়ালি থানার রেলওয়ে সংলগ্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

    তার অভিযানের সময় মুখে মাস্ক না থাকায় ১০টি মামলায় ১৮ জনকে মোট ১ হাজার ৬শ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে আজকের অভিযানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে প্রায় ৩শ মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • রিক্সাওয়ালা ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে জেলা প্রশাসনের মাস্ক বিতরণ : মাস্ক না পরায় ৬৮ জনকে অর্থদণ্ড

    রিক্সাওয়ালা ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে জেলা প্রশাসনের মাস্ক বিতরণ : মাস্ক না পরায় ৬৮ জনকে অর্থদণ্ড

    করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউঢের প্রকোপ থেকে চট্টগ্রাম মহানগরের জনসাধারণকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসনের অভিযান এবং মাস্ক বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

    এর অংশ হিসেবে আজ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর, উমর ফারুক, আশরাফুল আলম ও গালিব চৌধুরীর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

    জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষ ও রিক্সাওয়ালাদের মাঝে প্রায় ৫০০ মাস্ক বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি অবহেলা করে যারা মাস্ক পরেনি এমন ৬৮ জনকে ব্যাক্তিকে ২০৪৭০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম নগরীর আন্দরকিল্লাহ ও চকবাজার এলাকায় অভিযানে ২৮ জন ব্যাক্তিকে ১৭১০০ টাকা অর্থদণ্ড করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক কাজির দেউড়ী ও লালখান বাজারে ছিন্নমূল মানুষ ও রিক্সাওয়ালাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন ও ২০ ব্যক্তিকে ১৫০০ টাকা অর্থদণ্ড করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী জিইসি মোড় এলাকায় গণ পরিবহনে অভিযান চালিয়ে ১৪ ব্যাক্তিকে ১৪০০ টাকা অর্থদণ্ড করেন ও এস এম আলমগীর পরিচালিত মোবাইল কোর্ট বায়েজিদ এলাকায় ৬ জনকে ৪৩০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, অনেক মানুষ আছেন যারা সচেতন নয় এবং মাস্কও কিনতে পারেনা তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয় এবং শপথ পড়ানো হয় যাতে তারা বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করে।

    তিনি আরও বলেন, টানা অভিযানের ফলে মাস্ক পরার প্রবনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তবুও কিছু মানুষ অবেহেলা করে মাস্ক পরেনা তাদের অনেককেই হাজার টাকা করেও অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

  • বন্ধের দিন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মাস্ক না পরায় দর্শনার্থীদের জরিমানা

    বন্ধের দিন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মাস্ক না পরায় দর্শনার্থীদের জরিমানা

    করোনাভাইরাসের সংক্রামন প্রতিরোধে মাস্ক পরাকে বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্যে আজ সাপ্তাহিক বন্ধের দিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেটগণ। এসময় মাস্ক পরিধান না করে পর্যটন কেন্দ্র ও পার্কে ঘুরাঘুরি করায় বিভিন্ন ব্যাক্তি অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

    আজ শুক্রবার (২০ নভেম্বর) নগরীর ফয়’স লেক, চিড়িয়াখানা, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, কাজীর দেউড়ি শিশুপার্ক, ডিসি হিল, শিল্পকলা এলাকায় পৃথক আদালত পরিচালনা করে এসব অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসানের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা এলাকায় পরিচালিত অভিযানে ১৯ টি মামলায় ২৭ জনকে ২৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজান হোসেন নেতৃত্বে কাজীর দেউড়ি শিশুপার্ক, ডিসি হিল, শিল্পকলা এলাকায় ১৩টি মামলায় ২১৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।

    এছাড়া পতেঙ্গায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ১০টি মামলায় ৮৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসান জানান, মাস্ক পড়ার জন্য সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও উক্ত বিনোদন কেন্দ্রের দর্শনার্থীরা অনেকেই মাস্ক পড়ছেন না। আবার মাস্ক মুখে থাকলেও মুখ খোলা বা বের করা অবস্থায় রয়েছেন অনেকেই। অভিযানে সর্বমোট ১৯ টি মামলায় ২৭ জনকে ২৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়৷

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা এ মোবাইল কোর্টে অংশ নেন৷ জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান।

  • নো মাস্ক নো সার্ভিস ঘোষণা বাস্তবায়নে ২০ নভেম্বর থেকে চসিক সরাসরি অভিযানে নামবে: সুজন

    নো মাস্ক নো সার্ভিস ঘোষণা বাস্তবায়নে ২০ নভেম্বর থেকে চসিক সরাসরি অভিযানে নামবে: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ঘোষণা যাতে নগরীতে লক্সিখত না হয় সে-জন্য ডাইরেক্ট এ্যাকশানে যেতে চসিক প্রস্তুত।

    তিনি আরো বলেন, জীবন-জীবিকার চাকাকে সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের মতন অচলায়তনে মানুষকে বন্দী করতে চান না। তবে ঘরে বাইরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিক-পারিবারিক-সামাজিক নিরাপত্তা ও দায়িত্বর বিষয়টি প্রত্যেকের নিজের কাঁধেই বর্তায়। এ ক্ষেত্রে তিল পরিমাণ ছাড় দেয়া ও শিথিলতা প্রদর্শনের অবকাশ নেই। ভাই প্রত্যেককে প্রথমে অনুরোধ জানালাম। তারপরও যারা ‘ডোন কেয়ার’ আচরণ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

    তিনি আজ সকালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জুবিলী রোড, তিন পোল, রেয়াজউদ্দিন বাজার, স্টেশন রোড, নিউমার্কেট এলাকায় মাস্ক ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে এ কথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, ১৯ নভেম্বরের পর থেকে জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমাণ আদালত টিমের সাথে সমš^য় করে করোনাকালে এখনও যারা বেপরোয়া তাদের বিরুদ্ধে চসিক সরাসরি অভিযানে নামবে। একই সাথে মানবিক নগরী গড়ে তুলতে যে আবেদন-নিবেদন করা হয়, তাতে যারা এখনো কর্ণপাত করছে না তাদের খুঁটির জোর যতই গভীর হোক না কেন তা উপড়ে ফেলা হবে।

    তিনি হকারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি কারো পেটে লাথি মারতে চাইনা। হকারদের জন্য কিছু নিয়ম-কানুন ও টাইম টেবল বেঁধে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। তারা ফুটপাতই শুধু দখল করে রাখেনি, সড়কের বড় অংশও দখল করে জন ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়িয়ে সহ্যের সীমা লক্সঘন করে চলেছে। এদেরকে যাঁরা প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদেরকে চিনি। এদের মধ্যে বেড ইমেজের তথাকথিত কিছু নেতা আছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে সকলের সহযোগিতা চাই।

    এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমরা কাঁচাবাজারগুলো নিয়মিত পরিস্কার করছি। কিন্তু কিছু অবিবেচক বিক্রেতা তরিতরকারীর বর্জ্য ও পঁচা পণ্য রাস্তা ও নালা-নর্দমায় ফেলছে। মানুষ চলাচলসহ পানি চলাচলের পথও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দুর্গন্ধময় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এখন থেকে বাজার কমিটি এবং সড়কের উপর বসা ভ্রাম্যমান তরিতরকারী বেঁচা-কেনার সাথে যারা জড়িত তারা এই বিষয়টির দেখ-ভাল করবেন। এতে ব্যত্যয় ঘটলে আমি কঠোর হতে বাধ্য হবো।

    এ সময় মাহাবুবুল হক সুমন, কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সালাম মাসুম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, আলী আকবর, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, রকিবুল আলম সাজ্জাদ, আবদুর রহমান বাহার, মো. জয়নাল উদ্দিন, সিবলী সাদেক, অনির্বান দাশ বাবু, মোহাম্মদ হানিফ, মোহাম্মদ নোমান, মো. আকতার, মো. এনাম উদ্দিন, সরওয়ার উদ্দিন ও মুনিরুল হক মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • বোয়ালখালীতে মাস্ক না পরায় ১৬জনকে জরিমানা

    বোয়ালখালীতে মাস্ক না পরায় ১৬জনকে জরিমানা

    বোয়ালখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টি ও মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

    মঙ্গলবার (৭নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে উপজেলা সদরে এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট মো.মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

    এ অভিযানে মাস্ক না পরায় ১৬ জনকে ৩হাজার ৩ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মাস্ক ছাড়া ব্যক্তিদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।

    ম্যাজিস্ট্রেট মো.মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে, মাস্ক না পরে ঘর থেকে বের হলে জরিমানাসহ কারাদণ্ড হতে পারে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/পূজন