Tag: মাস্ক

  • ব্যবহার করা মাস্ক-হ্যান্ড গ্লাভস ধুয়ে বিক্রি!

    ব্যবহার করা মাস্ক-হ্যান্ড গ্লাভস ধুয়ে বিক্রি!

    করোনা আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীতে হাসপাতালের ব্যবহৃত মাস্ক ও হ্যান্ড গ্ল্যাভস শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে আবার বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার মূল হোতা নাছির (৩৫) নামের এক ব্যক্তি।

    নাছির গোপালগঞ্জে সদরের আব্দুল আলিমের বড় ছেলে। গত ১৫ বছর যাবৎ টঙ্গীতে বসবাস করে আসছে সে।

    জানা যায়, নাছির রাজধানীর উত্তরা, টঙ্গী ও গাজীপুরের কয়েকটি হাসতাপালের ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া মাস্ক, মেয়াদ উত্তীর্ণ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে আয়রন করে বাজারে বিক্রি করছে। এমন দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমানে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্ল্যাভস উদ্ধার করে।

    স্থানীয় মো. কাশেম সিকদার বলেন, গত এক মাস ধরে হঠাৎ মাস্ক ও হ্যান্ড গ্ল্যাভস সংকট দেখা দিলে জানতে পারি নাছির নামের এক ব্যক্তি এ ব্যবসা করে আসছে। হঠাৎ এ কালোবাজারি করে প্রচুর টাকার মালিক হয়ে গেছে নাছির।

    টঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শুভ মন্ডল জানায়, গত এক মাস যাবৎ এমন ব্যবসা দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমানে রক্তমাখা মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস উদ্ধার করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ বাড়ির ম্যানেজার ও আয়রনম্যানসহ দু‘জনকে আটক করে। তবে, মুলহোতা নাছির ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। মুলহোতাকে আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে।

    এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি (অপারেশন) শুব্রত পোদ্দার জানান, স্থানীয়দের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দু‘জনকে আটক করা হয়েছে। তবে, ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে অভিযান চলছে। এ নিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • ৫৫ টাকার মাস্ক ২২৫০ টাকা,দারাজকে দুই লাখ জরিমানা

    ৫৫ টাকার মাস্ক ২২৫০ টাকা,দারাজকে দুই লাখ জরিমানা

    বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বেড়েছে মাস্কের চাহিদা। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেশি দামে মাস্ক বিক্রি হচ্ছিল দেশের অন্যতম অনলাইন শপ দারাজে। একবার ব্যবহার করা যায় এমন মাস্ক মাত্রাতিরিক্ত দামে বিক্রির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    ভ্রাম্যমাণ আদালত জানায়, দেশের জনপ্রিয় এই অনলাইন শপ ৫৫ টাকা দামের মাস্কের মূল্য ২২৫০ টাকা লিখে রেখেছিল।

    দারাজে রবিবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া অভিযান চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে বনানীতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অফিসে এই অভিযান চালানো হয়।

    সারওয়ার আলম বলেন, প্রতিষ্ঠানটি অনেক বেশি দামে অনলাইনে মাস্ক বিক্রি করছিলো। এই কারণে তাদের অফিসে অভিযান চালানো হয়। প্রায় চারঘণ্টা ধরে চলে এই অভিযান। পরে তাদেরকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

    সারওয়ার আরো বলেন, অভিযানে দেখা যায় ওয়ান টাইম মাস্ক খুচরা বাজারে ৫০-৫৫ টাকা প্যাকেট বাজারে বিক্রি হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সেটি ২২৫০ টাকায় বিক্রি করছিলো। দারাজ মূলত সরাসরি পণ্য বিক্রি না করলেও তাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অন্যরা বিক্রি করে। বেশি দামে এই মাস্ক বিক্রি করছিলো চট্টগ্রামের একটি কোম্পানি। আমরা তাদের চিহ্নিত করেছি। তিনি আরও বলেন, দারাজের নজরদারির অভাবে বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছিলো এসব কোম্পানিগুলো।

  • মাস্কের দাম বেশি নেওয়ায় ফার্মেসি সিলগালা

    মাস্কের দাম বেশি নেওয়ায় ফার্মেসি সিলগালা

    করোনা আতঙ্কের সুযোগে রাজধানীর গুলশানে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করায় দুই ফার্মেসি সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
    সোমবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে ফার্মেসি দুটিকে সিলগালা করা হয়।

    প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আল নূর ফার্মেসি, সাফাবি ফার্মেসি। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে আল মদিনা ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারি করি। তারা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ক্রেতার কাছে মাস্কের দাম বেশি রাখে। এই সব তথ্য আমরা ভিডিওতে ধারণ করেছি। পরে আমরা যখন তাদের কাছে মাস্ক কিনতে যাই তখন প্রতিষ্ঠানগুলো বলে যে তাদের কাছে মাস্ক নেই। অথচ এর আগে তারা বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করেছে; যার প্রমাণ অধিদপ্তরের কাছে রয়েছে।

    তিনি জানান, জাতির এই ক্রান্তিকালে অনৈতিকভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মাস্কের দাম বেশি নেওয়া আইনত দণ্ডনীয়। এই অপরাধে দুটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

  • করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে মাস্ক মজুদদারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান : সুজন

    করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে মাস্ক মজুদদারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান : সুজন

    করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে মাস্ক মজুদদারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারস্থ হোটেল প্যারামাউন্ট ইন্টারন্যাশনাল এর সামনে করোনাভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক সাবান দিয়ে হাত ধোয়া কর্মসূচী, মাস্ক ও প্রচারপত্র বিতরণ শীর্ষক প্রচারণায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    এ সময় সুজন বলেন, চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে ‘বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    চট্টগ্রামে আর্ন্তজাতিক সমুদ্র বন্দর ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলসহ বিভিন্ন ভারী শিল্প কারখানা অবস্থিত। প্রতিদিন আমদানি রপ্তানির কারণে বিভিন্ন দেশের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থান করে। তাছাড়া বাংলাদেশসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে চীনা নাগরিকগণ সরাসরি জড়িত। তাই চট্টগ্রামের গুরুত্ব এবং নগরীতে বসবাসরত জনগনকে সচেতন করার জন্য নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে আমরা দ্রুততার সাথে জনসচেতনতামূলক কর্মকান্ড শুরু করেছি।

    তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী হঠাৎ করেই মাস্কের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অহেতুক জনগনের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো গলাকাটা দাম আদায় করছে। এভাবে বিভিন্ন সংকটকে সামনে রেখে এমনকি পবিত্র রমজান মাসের চাহিদাকেও পুঁজি করে কতিপয় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী বিভিন্ন অজুহাতে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে জনগনকে ভোগান্তিতে ফেলে। যা মানবতা বিরোধী অপরাধের সামিল।

    তিনি আরো বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যখনই এ ধরনের কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তখন চট্টগ্রাম চেম্বার এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করে বিভিন্ন কলাকৌশলে এসব মজুদদার, লুটেরা, মুনাফাখোর ও ভেজাল খাদ্য উৎপাদকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দান করে। তারা মূলত চট্টগ্রাম চেম্বারকে নিজেদের ভাগ্য গড়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। যার ফলে অনেক পুরোনো ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিরা এ চেম্বার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

    তিনি কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীদের এহেন মনোবৃত্তি পরিহার করার আহবান জানান।

    তিনি সিটি কর্পোরেশনকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত আবর্জনা অপসারণ, মশার প্রজনন কেন্দ্র ধ্বংস সহ আগামী রমজান মাস পর্যন্ত বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচী গ্রহণ করার অনুরোধ জানান। এছাড়াও বায়ু দূষণেও দুর্ভোগে আছেন নগরবাসী। সম্প্রতি বায়ু দূষণের কারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নিয়োজিত ঠিকাদারকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। তাই নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবা রক্ষার্থে নগরীর যেসব এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে সেসব এলাকায় নিয়মিত পানি ছিটানোরও বিনীত আবেদন জানান তিনি।

    তিনি করোনাভাইরাসকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা, সেবা সংস্থা সহ সামাজিক সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

    সচেতনতামূলক সভা শেষে তিনি উপস্থিত প্যারামাউন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিমকে জীবানুনাশক তরল সাবান দিয়ে হাত ধুইয়ে কর্মসূচীর আনুষ্টানিক উদ্বোধন করেন।

    পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশনের ময়লা আবর্জনা গাড়ীর চালক এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরও তরল সাবান দিয়ে হাত ধুইয়ে দেন এবং মাস্ক লাগিয়ে দেন। তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ময়লা আবর্জনা বহন করার সময় তেরপলিন লাগানোর জন্য বিশেষ আহবান জানান।

    তিনি নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে বাজারের সম্মূখে উপস্থিত বিক্রেতাদেরও তরল সাবান দিয়ে হাত ধুইয়ে দেন এবং মাস্ক পড়িয়ে দেন। উপস্থিত বিক্রেতাদের তৈরী করা খোলা খাবার প্লাষ্টিক দিয়ে ঢেকে দেন ও খাবার বিক্রয়ের সময় গ্লাভস ব্যবহার করার অনুরোধ জানান।

    বিক্রেতাগণ হাসিমুখে সুজনের অনুরোধে সম্মত হন এবং খোলা খাবার বিক্রি না করার অঙ্গীকার করেন।

    ব্যাতিক্রমী এ আয়োজনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালেহ আহমদ সুলেমান, ন্যাপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাশ গুপ্ত, হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, এস এম আবু তাহের, সাইদুর রহমান চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, নগর যুবলীগ সদস্য আব্দুল আজিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য নুরুল কবির, আব্দুস সালাম মাসুম, শওকত হোসেন মুন্না, এ.এস.এম জাহিদ হোসেন, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, রফিকুল মান্নান জুয়েল, অনির্বাণ দাশ বাবু, সাইফুল্লাহ আনছারী, সফি আলম বাদশা, রকিবুল আলম সাজ্জী, আশিকুন্নবী চৌধুরী, লোকমান হোসেন, মহানগর নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, সহ-সভাপতি জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল আলম জিকু, ফয়সাল সাজ্জাদ, ফরহাদ সায়েম, মোঃ কাইয়ুম, মনিরুল হক মুন্না, সৈয়দ ইবনে জামান ডায়মন্ড, মীর মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, আব্দুল্লাহ আল নোমান সাইফ, মাহবুব আলম, মোঃ আলী মিঠু, আব্দুল মালেক, হাবিবুর রহমান, সালাউদ্দিন জিকু, কামরুল হাসান রানা প্রমূখ।