Tag: মায়া হরিণ

  • মিরসরাইয়ে শেয়ালের হামলায় হরিণের মৃত্যু

    মিরসরাইয়ে শেয়ালের হামলায় হরিণের মৃত্যু

    মিরসরাই প্রতিনিধি: মিরসরাই ইকোনমিক জোন এলাকা থেকে একটি মৃত হরিণ উদ্ধার করেছে মিরসরাই উপজেলা বনবিভাগ। ধারনা করা হচ্ছে শেয়ালের হামলায় হরিণটির মৃত্যু হয়েছে।

    শুক্রবার ( ১২ মে) সকাল ১০টায় ইকোনমিক জোন শিল্প পুলিশ ফাঁড়ির পাশ থেকে মৃত হরিণটি উদ্ধার করা হয়েছে।
    মিরসরাই উপকূলীয় বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল গফুর মোল্লা জানান, খবর পেয়ে হরিণটি উদ্ধার করে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। তবে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী কোন হিংস্র প্রাণী হরীণটিকে শিকার করেছিল বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

    মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাকিরুল ফরিদ জানান, সুরতহাল অনুযায়ী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হরিণের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি।

  • মানিকছড়ির লোকালয় থেকে চিত্রা হরিণ উদ্ধার, চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর

    মানিকছড়ির লোকালয় থেকে চিত্রা হরিণ উদ্ধার, চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর

    মানিকছড়ি প্রতিনিধিঃখাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার ডাইনছড়ি এলাকা থেকে গতকাল বুধবার (২৮ এপ্রিল) আহত অবস্থায় একটি চিত্রা হরিণ উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন।

    চিত্রা হরিণটিকে লোকালয়ে দেখতে পেয়ে করেন স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেন। খবর পেয়ে প্রশাসনের লোকজন এসে হরিণটি উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসে।

    আজ সকালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে এ্যানিমেল কেয়ারটেকার মো.সুমন মিয়া এসে হরিণটি উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে বুঝে নেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না মাহমুদ বলেন, স্থানীয়রা হরিণটি লোকালয়ে দেখতে পেয়ে খবর দিলে আমরা হরিণটি উদ্ধার করি, হরিণটিকে চিকিৎসা ও সংরক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর/আকতার

  • সীতাকুণ্ডে বিট কর্মকর্তার পরিত্যাক্ত ঘরে মিলল জবাইকৃত মায়া হরিণ!

    সীতাকুণ্ডে বিট কর্মকর্তার পরিত্যাক্ত ঘরে মিলল জবাইকৃত মায়া হরিণ!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড : সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকায় অবস্থিত বন বিটের একটি পরিত্যাক্ত ঘর থেকে জবাইকৃত একটি মায় হরিণ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হরিণটির ওজন প্রায় ১২ কেজি।

    আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় এঘটনা ঘটে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই বিট অফিসের পাশে মায়া হরিণটি মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

    জানা যায়, সকালে শীতলপুর বিট কর্মকর্তা জাকির হোসেন নিজেই পরিত্যাক্ত রুমের ভিতরে একটি জবাইকৃত হরিণের চামড়া ছড়ানোর সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক বিষয়টি দেখতে পায়।

    পরে ঘটনাটি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানালে তাৎক্ষনিভাবে কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হয়। এসময় সাংবাদিকদের দেখে বিট কর্মকর্তা জাকির হোসেন তড়িঘড়ি করে জবাইকৃত মায়া হরিণটি মাটি চাপা দিতে যায়।

    এসময় তিনি বলেন, শামসুল আলম নামে এক ব্যক্তি পাহাড় থেকে হরিণটি নিয়ে যাওয়ার সময় আমি আটক করি। এরপর চামড়া সংরক্ষণের জন্য আমি জবাই করে চামড়া ছড়াই।

    এ প্রতিবেদক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়কে জানালে তিনি হরিণটি মাটি চাপা দিতে নিষেধ করেন। এদিকে নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক বলেন, বিট কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ২/৩ জন মিলে উক্ত হরিনটি আটক করে জবাই করে।

    পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের মাঝে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে বিট কর্মকর্তা হরিণের চামড়া সংগ্রহ করে মাংস মাটির নিচে চাপা দেয়।

    এদিকে খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার এস.আই মো. রফিক এর নেতৃত্ব পুলিশ শীতলপুর বিট কার্যলয়ে গিয়ে জবাইকৃত ও চামড়া ছড়ানো অবস্থায় মায়া হরিণটি উদ্ধার করেন। পরে কুমিরা বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার উত্তম কুমার দত্ত সেখানে উপস্থিত হন।

    এ বিষয়ে তিনি বলেন, পাহাড়ে শিকারীরা হরিণটি হত্যা করেছে। জবাইকৃত হরিণটি বিট কর্মকর্তা উদ্ধার করেছে।

    এদিকে বিট কর্মকর্তা জাকির হোসেন সাংবাদিকদের কাছে হরিণটি নিজে জবাই করে চামড়া ছড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করলেও পুলিশের কাছে তিনি জবাই করা অবস্থায় পেয়েছেন বলে জানান।

    পরিত্যাক্ত রুমটিতে হরিণটি জবাই ও চামড়া চড়ানোর আলামত হিসেবে কয়েকটি ছুরি,কলাপাতা এবং রক্ত পাওয়া যায়।

    এব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বখতিয়ার নূর সিদ্দিকী বলেন, কে বা কারা একটি মায়া হরিণকে হত্যা করেছে পাহাড়ে, সেটা বিট কর্মকর্তা উদ্ধার করেছে বলে আমাকে জানিয়েছে।

    লকডাউনের কারণে সব কিছু বন্ধ থাকায় ময়নাতদন্তও করা সম্ভব নয় বলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে মাটি চাপা দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, দুপুর দেড়টার সময় এসআই রফিক ও রেঞ্জ কর্মকর্তা উত্তম কুমার দত্তের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মায়া হরিণটি মাটিচাপা দেওয়া হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি