Tag: মিরসরাই

  • মিরসরাইতে র্কমহীন ৩ হাজার হোটেল শ্রমিকের মানবতের জীবন

    মিরসরাইতে র্কমহীন ৩ হাজার হোটেল শ্রমিকের মানবতের জীবন

    আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:::করোনা ভাইরাস (কোভডি-১৯) এর প্রার্দূভাবে র্কমহীন হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলায় দুই শতাদিক হোটেল রস্টেুরেন্টের প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক কর্মচারী। দীর্ঘ দেড় মাস ধরে হোটেল রেষ্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় চরম কষ্টে দিন কাটছে র্কমহারা এসব শ্রমিক র্কমচারীদের। র্দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে হোটেল মালিকরাও।

    জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অবস্থিত প্রায় দুই শতাধিক হোটেল রেষ্টুরেন্ট রয়েছে। এসব হোটেল রেষ্টুরেন্টে প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক কাজ করে। দৈনিক বেতনে কাজ করে যা আয় হয় তা দিয়ে তাদের সংসার চলে। কিন্তু গত দড়েমাস ধরে তারা বেকার বসে থাকায় অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটছে তাদের।

    মিরসরাই পৌরসভায় অবস্থতি আল মক্কা রেষ্টুরেন্টের মালিক রবিউল হোসেন রবি বলেন, রেষ্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় আমরা অনেক ক্ষতির সম্মুক্ষিন হচ্ছি। আরো কতদিন এভাবে চলবে জানিনা। আমার এখানে ৩০জন শ্রমিক কাজ করতো। এখন তাদের অনেকেই কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। কেউ তাদের সাহায্য সহযোগীতা করেনি।

    একাধিক হোটেল শ্রমিক জানান, হাতে কাজ নেই, পয়সাও নেই। যতই সময় যাচ্ছে ততই আতঙ্ক বাড়ছে, আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। চারদিকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের খবর শুনলেও তাদের ভাগ্যে এখনো কোন সাহায্য জোটেনি।

    মিরসরাই সদরের র্পাকইন রেষ্টুরেন্টের র্কমচারি মোঃ হাসান ও আলা উদ্দিন বলেন, এক মাসের বেশি সময় ধওে রেষ্টুরেন্ট বন্ধ। বাড়িতে যাওয়ার সময় মালিক যে টাকা দিয়েছে তা ১০ দিনে খরচ হয়ে গিয়েছে। এরপর থেকে অনেক কষ্টে আমাদের দিন যাচ্ছে। চারদিকে ত্রাণ সামগ্রী দেয়ার কথা শুনতেছি, কিন্তু আমাদের ত্রাণ দেয়া তো দুরের কথা কেউ আমাদের একবার কেমন আছি জেজ্ঞেস ও করেনি।

    র্পাকইন রেষ্টুরেন্টের মালিক শাহাদাত হোসেন বলেন, শ্রমিকরা বার বার ফোন দিচ্ছে কখন রেষ্টুরেন্ট খুলবো। তারা বাড়ি থেকে চলে আসতে চাইছে। আর পারছে না বসে থাকতে। রমজান উপলক্ষে প্রশাসনের বিধি মেনে ৩ ঘন্টা ইফতারি আইটেম বিক্রির জন্য খোলার জন্য চিন্তা করছিলাম, কিন্তু হিসেব করে দেখলাম পুজিও উঠবেনা। তাই খোলা রাখার চিন্তা বাদ দিয়েদিয়েছি।

    বারইয়ারহাট গ্রীণর্পাক রেষ্টুরেন্টের মালিক নজরুল ইসলাম লিটন বলেন, রমজান উপলক্ষে ভোক্তাদের চাহিদার কথা বিবচেনা করে হরেক রকম আইটেম ইফতারি তৈরি করা হয়। ব্যাস্ত সময় পার করে কারিগররা। অথচ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এখন সেই আবস্তা আর নেই। আমাদের রেষ্টুরেন্টে ৪০ জন কর্মচারী রয়েছে। যারা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো হোটেল শ্রমিকদের তালিকা তৈরি করে যেন সরকারিভাবে ত্রাণের ব্যাবস্থা করা হয়।

    এব্যাপারে ৫নং ওর্য়াড কমশিনার জহরি উদ্দিনের সাথে সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশিত ১১ ক্যাটাগরির নাগরিকদের আমরা ত্রাণসহায়তা সম্বব হয় নি। যার কারনে হোটেল শ্রমিকরা আওতার বাহিরে ছিল। যেহেতু স্থানিয়ভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হয় নিশ্চই হোটেল শ্রমিকরা তাদের এলাকায় ত্রান পেতে পারে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আশরাফ

  • মিরসরাইতে ২৫ পরিবার লকডাউনে

    মিরসরাইতে ২৫ পরিবার লকডাউনে

    আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম):::মিরসরাইয়ে কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) এ আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগী শনাক্ত হওয়ায় ৩টি বাড়ির ২৬ পরিবারকে লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। ওই রোগী সরাসরি সংস্পর্শে থাকা ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া তার সাথে ফুলবল খেলায় অংশগ্রহণ করা এলাকার লোকজন ও তাদের পরিবারের খোজ নেওয়া হচ্ছে।

    নতুন এই রোগী গত ২১ এপ্রিল শ্বাসকষ্ট নিয়ে ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ট্রপিক্যাল ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এ নমুনা প্রদান শেষে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

    সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাতে (বিআইটিআইডি) সংগ্রহকৃত নমুনার ফলাফল প্রকাশ করলে মিরসরাইয়ের ওই যুবকের রিপোর্ট পজিটিভ আসার বিষয়টি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

    তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন।

    জানা গেছে, আক্রান্ত যুবক (৩০) মিঠানালা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পাত্তার পুকুর গ্রামের মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন প্রাইভেটকার চালক। গাড়ী চালক হওয়ায় তিনি অন্যের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ১৮ এপ্রিল বাড়ির পাশে ফুটবল খেলে সন্ধ্যায় বাড়িতে আসার পর থেকেই তিনি অসুস্থতাবোধ করেন। এসময় জ্বর ও গলা ব্যাথা অনুভব করলে গত ২১ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে গিয়ে নিজে নমুনা দেন এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ উপজেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া যুবকের বাড়ী ও তার গাড়ীর সহকারীর বাড়ি এবং তাকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাওয়া ওই গাড়ীর চালকের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ১৬জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত : গত ১৮ এপ্রিল উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের নিজতালুক গ্রামে প্রথম এক নারী করোনা রোগী হিসেবে মিরসরাইয়ে সনাক্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মিরসরাইতে চিকিৎসকের গাড়ী চালক করোনায় আক্রান্ত

    মিরসরাইতে চিকিৎসকের গাড়ী চালক করোনায় আক্রান্ত

    আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:::
    চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আরো এক ব্যাক্তির করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। তিনি পেশায় একজন ডাক্তারের ব্যাক্তিগত গাড়ী চালক। আক্রান্ত ব্যক্তি উপজেলার ১০ নং মিঠানালা ইউনিয়ন পাত্তার পুকুর মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা।

    তিনি গত (১৮ এপ্রিল) স্বর্দি-জ্বর জনিত কারনে অসুস্থ হয়ে সন্দেহ জনক কারনে বিআইটিআইডিতে করোনা পরীক্ষার জন্য নমূনা প্রদান করেন। তার রক্তের নমুনা পরীক্ষা শেষে সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাতে ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ট্রপিক্যাল ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) তাদের সংগ্রহকৃত নমূনার ফলাফল প্রকাশ করে। এতে দেখা যায় মিরসরাইয়ের ওই ব্যক্তির রিপোর্টে কোভিড-১৯ ভাইরাস পজিটিভ দেখায়। বিষয়টি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

    উক্ত রোগি বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।

    এইব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ-কর্মকরতা ডা: মিজানুর রহমান বলেন, এব্যাপারে আমি এখনো কিছু জানি না। সিভিল সার্জন অফিসে তথ্যের জন্য বার বার কল করছি কিন্তু কেউ কল রিসিভ করছে না। জানতে পারলে আপনাদের জানাবো।

    তবে বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, সে একজন গাড়ী চালক স্বর্দি জ্বরের কারনে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন এখন তার করোনা পজেটিভ এসেছে। আমাদের করনিয় কাজ সমূহের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আশরাফ

  • র‌্যাব-পুলিশ ও চিকিৎসকসহ চট্টগ্রামে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ১১ জন, লক্ষীপুরে ১

    র‌্যাব-পুলিশ ও চিকিৎসকসহ চট্টগ্রামে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ১১ জন, লক্ষীপুরে ১

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০টি নমুনা পরীক্ষা করে মোট ১২ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে।

    এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে র‌্যাব, চিকিৎসক ও হাসপাতালের মহিলা কর্মীসহ ৬ জন, চট্টগ্রামের চার উপজেলায় ৫ জন এবং ভিন্ন জেলা লক্ষ্মীপুর সদরে ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১২ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি।

    তিনি বলেন, ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০টি নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

    এরমধ্যে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১১ জন। এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ৬৪ জন। এছাড়া বাহির থেকে আগত রোগী রয়েছে ২ জন।

    চট্টগ্রাম শহরের করোনা শনাক্ত ৬ জনের মধ্যে পতেঙ্গায় র‌্যাব-৭ এর উপপরিদর্শক (৪৫), আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের একজন মহিলা কর্মী (৬৫), দামপাড়ায় পুলিশ সদস্য (৩৮), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারি অধ্যাপক (৪৪), দক্ষিণ হালিশহরে এক পুরুষ (৪৮) ও পাহাড়তলীতে একজন পুরুষ (৭০) রয়েছে।

    চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়ায় ২ জন। একজনের বয়স ১৯ ও অন্যজনের ৫২ বছর। দুজনের দ্বিতীয় দফার নমুনা পরীক্ষায়ও করোনা পজিটিভ আসে।তাছাড়া মিরসরাই উপজেলায় ২৩ বছর বয়সী এক যুবক, হাটহাজারী বিএমএ লিংক রোড এলাকার এক পুরুষ (৬৯) ও বোয়ালখালীতে ৪৮ বছর বয়সী ১ পুরুষের শরীরে করোনার অস্থিস্থ মিলেছে।

    চট্টগ্রামে শনাক্ত করোনা রোগীদের মধ্যে পাঁচজন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ১২ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মিরসরাই প্রেসক্লাবের উদ্দ্যেগে পত্রিকা বিক্রেতাদের খাদ্য সহায়তা

    মিরসরাই প্রেসক্লাবের উদ্দ্যেগে পত্রিকা বিক্রেতাদের খাদ্য সহায়তা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। মিরসরাই প্রতিনিধি : মিরসরাই প্রেসক্লাবের উদ্যোগে পত্রিকা বিক্রেতাদের (হকার) মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

    আজ রবিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে হকারদের মাঝে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল হক সিরাজী, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মিঠু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এম মাঈন উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ, কার্যনির্বাহী সদস্য আশরাফ উদ্দিন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সাদমান রহমান সময়, সহ দপ্তর সম্পাদক ইকবাল হোসেন জীবন।

    মিরসরাই প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মিঠু বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে সমাজের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা আর্থিক সংকটে ভুগতেছে। বিত্তশালীরা অসহায়দের সহায়তা করলেও হকারদের কেউ খোঁজ রাখেন না। তাই প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে হকারদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

    রবিবার মিরসরাই ও বারইয়ার এলাকার প্রায় ৪৫ জন হকারকে চাল, আলু, তেল, ছোলাসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/আশরাফ উদ্দিন/আর এস পি

  • মিরসরাই’তে ১৫শ কৃষক পেল কৃষি প্রণোদনা

    মিরসরাই’তে ১৫শ কৃষক পেল কৃষি প্রণোদনা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। মিরসরাই প্রতিনিধি : আসন্ন আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ও আউশের লক্ষমাত্রা অর্জনের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে মিরসরাইয়ের ১৫শ কৃষকের মাঝে প্রনোদনা মূলক কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছ। এসব উপকরণের মধ্যে ছিল উপশী আউশ ধানের উন্নতমানের বীজ, ডিএফি ও এমওপি সার।

    বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মিরসরাই কৃষি অফিসের মাধ্যমে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন এর সভাপতিত্তে উপকরণ বিতরণের উদ্ধোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান জসিম উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ও কৃষি কর্মকর্তা রঘু নাথ নাহা।

    উদ্ধোধন কালে উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বময় যে খাদ্য সংকটের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তা মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

    আউশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসের সকল কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে সকল ধরনের কারিগরি মুলক সহায়তা প্রদান করবে।

    উপজেলা কৃষি অফিসার রঘু নাথ নাহা বলেন, আমরা উপজেলার ১৫শ কৃষককে প্রথমিক ভাবে সহায়তা করেছি। প্রতিজন কৃষককে ১ বিঘা জমি চাষের জন্য ৫ কেজি উপশী আউশ ধানের উন্নত মানের বীজ, ২০ কেজি ডিএফি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করেছি।

    এছাড়া আউশের লক্ষমাত্রা অর্জনে আমাদের কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে কাজ করবে।

    ২৪ ঘণ্টা/ আশরাফ উদ্দিন/আর এস পি

  • আমিরাতের প্রবাসী ফখরুল ইসলামের অর্ধকোটি টাকার অনুদান বিতরণ

    আমিরাতের প্রবাসী ফখরুল ইসলামের অর্ধকোটি টাকার অনুদান বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক :মিরসরাই উপজেলাব্যাপী ফখরুল ইসলাম খান সিআইপির বারইয়াহাটস্থ খান কল্যাণ ট্রাষ্ট এর উদ্যোগে অর্ধকোটি টাকার মানবিক খাবার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

    ইতিমধ্যে উপজেলার বারইয়াহাট ও মীরসরাই পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা সিহ উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে তিনি খাবার সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

    অর্ধকোটি টাকার উক্ত মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় পাক্ষিক খবরিকা কার্যালয়ে বুধবার (২২ এপ্রিল) ৫০ হাজার টাকার মানবিক খাবার সামগ্রী দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। উক্ত কার্যক্রম উদ্বোধন কালে উপস্থিত ছিলেন মীরসরাই প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান পলাশ ও সাধারন সম্পাদক নয়ন কান্তি ধূম।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন খান কল্যান ট্রাষ্ট এর কর্মকর্তা দীন মোহাম্মদ , জিয়া উদ্দিন বাবলু ও মোহাম্মদ জিয়াউল রহমান প্রমুখ।

    খান কল্যাণ ট্রাষ্ট এর চেয়ারম্যান আরব আমিরাতস্থ মীরসরাই সমিতির সভাপতি গোল্ডেন ভিসা অর্জনকারী ফখরুল ইসলাম খান সিআইপি এই বিষয়ে বলেন বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারী রূপ ধারণ করায় বাংলাদেশে ও এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্কতা ও সচেতনমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নানান মানবিক কাজে সরকারের পাশপাশি কাজ করছেন মীরসরাইয়ের সাংবাদিক সমাজ।

    তিনি সরকারের কাছে দেশের এমন তৃণমূল পর্যায়ের নিবেদিত গনমাধ্যম কর্মীদের ও নিরাপত্তা ও বিশেষ প্রণোদনা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/মানিক

  • “শেষ বিদায়ের বন্ধু” মিরসরাই মানুষের শেষ ভরসা

    “শেষ বিদায়ের বন্ধু” মিরসরাই মানুষের শেষ ভরসা

    আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:::মিরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার ৫ লক্ষাধীক মানুষের মানবিক সেবা প্রদানের লক্ষে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে” শেষ বিদায়ের বন্ধু” সংগঠন।

    গত শনিবার সকাল ১১টায় ওয়ার্লেস দারুল উলুম মাদ্রাসায় সংগঠনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ১৮ ইউনিটের টিম লিডারগন উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় টিম লিডারদের প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট ব্যবহার বিধি, কর্মপরিকল্পনা ও সংগঠনের লক্ষ উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।

    এসময় লাশ গোসল ও দাপনের জন্য পিপিই, তিন স্তরের হ্যান্ড গ্লাভস, গগেজ, মাস্ক, গাম বুট, কবর খোডার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কোদাল, খুন্তি, বাডাইল,করাত, কুডাইল, মাটি তোলার ওয়া, জীবানু নাশক স্প্রে মেশিন, ব্লিচিং পাউডার, হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

    দারুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা শোয়াইব এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ডাঃ এস এ ফারুক, চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, সাংবাদিক নুরুল আলম, কমফোট হাসপাতালের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন।

    বারইয়ারহাট শেফা ইনসান হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডাঃ এস এ ফারুক বলেন, বেঁচে থাকতে জীবনে বন্ধুর অভাব হয়না। মৃত্যুর পর শেষ বিদায়ের বন্ধু সবাই হতে পারেনা। আমি “শেষ বিদায়ের বন্ধু” পরিবারের একজন হতে পেরে গর্বিত। এই মহৎ মানবিক উদ্যেগের জন্য উদ্যেক্তাদের ধন্যবাদ জানাই। এই করোনা পরিস্থিতিতে ছেলে মাকে জঙ্গলে রেখে আসছে, বাবাকে হাসপালে রেখে স্বজনরা খোঁজ নিচ্ছেনা৷ এ সমাজের কিছু মানুষ মৃত মানুষের সাথে নিষ্ঠুর নির্মম আচরণ করছে। মানুষ যখন মৃত মানুষের জানাযা নিয়ে শংকিত ঠিক তখনি জীবনের ঝুঁকি সত্বেও “শেষ বিদায়ের বন্ধু” সংগঠন
    আমাদের মনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। হায়াত এবং মৃত্যু আল্লাহ জানেন কার কখন কোথায় রেখেছেন। অন্তত মিরসরাইবাসীর কাছে এ সংকটে আস্থার শেষ ভরসা হবে এ সংগঠন। আশাকরি সকল মিরসরাইবাসি এ মানবিক সংগঠনের পাশে সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসবেন। এ সংগঠন যেন লাশ গোসল, দাফন-কাপন আর কবর খোড়ার কাজে সীমাবদ্ধ না থেকে মানুষের প্রয়োজনে নানামুখী জনকল্যানে অবদান রাখে। মিরসরাই থেকে যাত্রা করে এ সংগঠন একদিন সারাদেশে মানব সেবায় অবদানের জন্য প্রশংসিত হবে।

    চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, শেষ বিদায়ের বন্ধু সংগঠন এই মুহুর্তে সময়ের দাবী। আমি একজন সমাজকর্মী হিসেবে অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি ভালো কাজ করলে মানুষ ভালোবাসবে। কিছু বিরোধিতা আসলেও হতাশ হয়ে হাল ছাড়া যাবেনা। এ সংগঠন মিরসরাইয়ে শিক্ষা, চিকিৎসা ও ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারে অনন্য অবদান রাখবে।

    সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যেক্তারা জানান, মিরসরাই অঞ্চলের গরিব, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে এবং পরিপূর্ন ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে যে কোন মৃত ব্যাক্তির লাশ গোসল, দাফন-কাপন ও জানাযার লক্ষে মিরসরাই উপজেলার ১৮টি ইউনিটে সমাজ দরদী মানবতাবাদীদের সহায়তায় গঠিত হয়েছে “শেষ বিদায়ের বন্ধু” সংগঠন।

    প্রতিটি ইউনিটে ৭জন পুরুষ এবং ৫জন মহিলা হিসেবে মোট ২১৬জন সেবক হিসেবে কাজ করবেন। উপজেলা সমন্বয় কমিটির নির্ধারিত হটলাইনে ফোন দিয়ে মানুষ এ সংগঠনের ফ্রী সেবা গ্রহন করবে। এ সংগঠন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে পরিচালিত হবে। পর্যায়ক্রমে আরো কিছু সেবামূলক কার্যক্রম সংযোজন হবে।

    লক্ষঃ-
    কালক্রমে এই সংস্থা নানারূপ মানবতাবাদী বাস্তবমুখী জনহিতকর কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়ে আত্ম মানবতার সেবায় কাজ করবে।

    এর উদ্দেশ্যঃ- বে-ওয়ারিশ লাশ দাফন ও অসমর্থ লোকদের লাশ দাফনের ব্যবস্থা। ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদান। এতিমখনা ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা। ঈদে দুঃস্থ পুরুষ ও মহিলাদের মাঝে নূতন কাপড় বিতরণ, দুঃস্থ ও অক্ষম পরিবারদের সাহায্য প্রদান। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় দুর্গত এলাকায় ত্রাণকার্য্য পরিচালনা করা । রমযানে দুস্থ এতিমদের ইফতার সামগ্রী পোঁছে দেওয়া।  লাশ গোসলের স্থায়ী ব্যবস্থা করা।উপজেলা কেন্দ্রীয় গোরস্থান নির্মাণ। গ্রামে যারা মৃত ব্যক্তিকে গোসল ও কবর খোড়ার কাজ করেন তাদের প্রশিক্ষন।
    মসজিদ ভিত্তিক কোরআন শিক্ষা।  কেরাত প্রতিযোগিতা। ইসলামি সাধারণ জ্ঞান রচনা প্রতিযোগিতা। রমযান মাসে সেরা হাফেজ নির্বাচন সম্মাননা প্রদান।

    “শেষ বিদায়ের বন্ধু” সংগঠনের সেবা পেতে নিচের হটলাইন নাম্বারে ফোন দিন
    +8801815604723
    +8801819107171
    +8801726301123

  • মিরসরাইতে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা

    মিরসরাইতে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা

    আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :::
    মিরসরাইতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বিস্তারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ব্যাপরোয় ও নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারি চালিত শ খানেক অটো রিক্সা। মহাসড়কে কোন প্রকার গণ পরিবহন না থাকায় এই তিন চাকার বাহনটি মানুষের একমাত্র মূল্যবান পরিবাহনে পরিণত হয়েছে। সাভাবিকের ছেয়ে অধিক ভাড়ায় উপজেলার পড়া মহল্লা থেকে শুরু করে হাট বাজার মহা সড়ক মেঠো পথ সর্বত্রই দাপড়িয়ে বেড়াচ্ছে এই বাহন টি। ফলে এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় অনায়াসে যাতায়াত করছে। বলতে গেলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এলাকা ও এখনো সুরক্ষিত রয়েছে এমন এলাকার মধ্যে চলাচল ও সংযোগ চালাচছে। ফলে উপজেলার সর্বত্রই এই ভাইরাস ছড়াতে অটোরিক্সা গুলো বিপদজনক ভূমিকা রাখছে। খাদ্যা অভাবের কথা বলেলেও দেখা যায়,ত্রাণ পাওয়ার পরও মিরসরাই উপজেলার বিভিন্নস্থানে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে এতে করে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার খইয়াছড়া ইউনিয়নে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিলেও নির্দেশনা মানছে না কেউই।

    সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বাধাহীনভাবে চলাচল করছে। বিভিন্ন সড়কের সম্মুখে, মোড়ে চালকরা ভিড় করে যাত্রীর অপেক্ষায়। এসব অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে উপজেলার এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে সামাজিক দূরত্ব¡ মানা হচ্ছে না। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি স্বত্তেও এমন দৃশ্যও দেখা মিলছে।

    কাজ বন্ধ থাকায় ত্রাণ দেয়া হচ্ছে তারপরও আপনারা কেনো ঘর থেকে বের হচ্ছেন এমন প্রশ্নে অটোরিকশা চালকরা জানায়, আমরা এখানে অনেকজন রিকশাচালক। ত্রাণ সবাই পায়নি। বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি।

    ত্রাণপ্রাপ্ত রিকশাচালক বাবুল জানান,আমি ইউএনও স্যার থেকে চাল পেয়েছি। তবে আমার পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তাই বাধ্য হয়ে নেমেছি রাস্তায়।

    একই কথা জানালেন নুরুল আবসার, নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য রিকশাচালক। অভিযোগ করেন,অনেকে আছেন বারবার ত্রাণ পাচ্ছেন। অথচ মিরসরাইয়ে চাহিদার তুলনায় ত্রাণ অপ্রতুল। এমনটাই জানিয়েছেন মিরসরাই ও বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়রদ্বয়।

    এ ব্যাপারে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি দেখছেন এমনটাই বললেন।

  • মিরসরাইয়ে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত, ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ

    মিরসরাইয়ে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত, ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ

    আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:::মিরসরাইয়ে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত এক মহিলা রোগী (২৭) শনাক্ত হয়েছেন। তিনি উপজেলার খৈয়াছরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নীচতালুক গ্রামের মৌলভী সৈয়দুর রহমান বাড়ির বাসিন্দা।

    শনিবার (১৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তার করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে।

    রবিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ওই মহিলার সংস্পর্শে থাকা ৮জন ও এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)তে পাটিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক টিম।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৈয়াছরা ইউনিয়নের ২টি বাড়ী লকডাউন ও ২টি মুদি দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, শনিবার রাতে ওই মহিলা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর আমরা জানতে পেরেছি। রবিবার সকালে গিয়ে ওই মহিলার বাড়ী সহ পাশ্ববর্তী ১টি বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। ওই বাড়ীর এক যুবক সকালে খৈয়াছড়া ইউনিয়নের নয়দুয়ার এলাকার ২টি দোকানে কেনাকাটা করতে যাওয়ায় ওই দোকানগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লকডাউন নিশ্চিত করবে। মহিলার সংস্পর্শে থাকা ৮ জন ও এ্যাম্বুলেন্সের চালকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, স্বামীর চাকুরীর সুবাধে ওই মহিলা যশোর ক্যান্টনমেন্ট ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ছিলেন। ১ মাস পূর্বে তিনি ঢাকা ক্যান্টেমেন্ট থেকে খৈয়াছরা ইউনিয়নে স্বামীর বাড়ীতে আসেন। ধারণা করা হচ্ছে যশোর কিংবা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    তবে ভিন্ন মত প্রকাশ করতে আক্রান্তের এক আত্মীয় বলেন, আক্রান্তের স্বামী ১১ মার্চ মিশনে চলে গিয়েছেন আর তিনি আক্রান্ত হয়েছেন এপ্রিলের ৭ থেকে ৮ তারিখের দিকে যদি তার স্বামী থেকে সংক্রমিত হতো তাহলেতো প্রথম সাপ্তাহের মধ্যেই আক্রান্ত হতেন কিন্তু উনি তো চতুর্থ সাপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন।

    জানা গেছে এই মহিলা অসুস্থ এক নিকট আত্মীয়কে দেখতে ঢাকার এক হাসপাতালে গিয়েছিলেন তাও এক মাস পূর্বে।

    তবে তিনি অসুস্থ হওয়ার সপ্তাহ খানেক পূর্বে বড়তাকিয়া পূবালী ব্যাংকে গিয়েছিলেন টাকা উত্তোলন করার জন্য। টাকা উত্তোলনের বিষয়টিকে সন্দেহ করছেন নিকট আত্মীয়রা।

    আক্রান্ত মহিলা ১৫ এপ্রিল স্থানীয় একটি এ্যাম্বুলেন্স করে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে যান। গত ৮ এপ্রিল থেক ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তিন অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই অবস্থান করেন এবং পরিবার ও বাড়ির অন্যান্যদের সংস্পর্শে আসেন।

    ইতি মধ্যে ঢাকায় দেখতে যাওয়া রুগি মারা যান গত ১৭ মার্চ, আর জানাযায় উপস্থিত হন কয়েকশত আত্মীয়স্বজন যারা ওই বাড়িতে আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা অন্য সদস্যদের সংস্পর্শে আসেন এবং জানাযা শেষে স্বাভাবিক ও সাধারণ নিয়মেই যার যার ঠিকানায় ফিরে যান ও পরিবার পরিজন সহ জনসাধারণের সংস্পর্শে যান। আক্রান্ত মহিলা ১৫ এপ্রিল সিএমএইস হাসপাতালে ভর্তি হলেও তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে ১৮ এপ্রিল রাতে। কাজেই এই সময়ে ব্যাপক সংক্রমণের সুযোগ থেকে যায় কয়েকশ আত্মীয়স্বজন ও আশপাশের মানুষের মাঝে। ফলে আতঙ্ক বিরজ করছে এখন সবার মাঝে।

    স্থানীয় প্রশাসন উপস্থিত ৯ জনের নমুনা গ্রহণ করে পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম প্রেরণ করে, সন্দেহ জনক দুটি দোকান ও দুটি ঘর লকডাউন করলেও শঙ্কা কাটছেনা এলাকার মানুষ ও প্রতিবেশীদের মনে।

  • মিরসরাইয়ের পাড়া গায়ে সহায়তার হাত বাড়ালো সেচ্ছাসেবী যুব সমাজ

    মিরসরাইয়ের পাড়া গায়ে সহায়তার হাত বাড়ালো সেচ্ছাসেবী যুব সমাজ

    মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি::: চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নে হতদরিদ্র ২৩০ পরিবারের মাঝে খাদ্য উপহার বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবী ফোরাম নামে যুব সমাজ।

    শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকালে সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসব খাদ্য উপহার দেয়া হয়। খাদ্য তালিকার মধ্যে ছিল চাদ,ডাল,তৈল,আলু, পেয়াজ ও ছোলা।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসান মাহফুজ, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবু সুফিয়ান স্বপন, কাজি সেলিম, মোস্তাফিজুর রহমান লিটন।

    খাদ্য সহায় উদ্যোগ গ্রহন করেন স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠক মো ইউনুচ নূরী, আবু তাহের শিবলু,ওমর ফারুক ও আবদুর রহিম প্রমুখ।

  • মিরসরাইয়ে ১২ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তার ঘোষণা এমপি মোশাররফের

    মিরসরাইয়ে ১২ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তার ঘোষণা এমপি মোশাররফের

    আশরাফ উদ্দিন মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:::
    করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায়দের মাঝে ৫০ লাখ টাকার খাদ্য সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।

    আগামী ২২ এপ্রিল প্রথম ধাপে প্রতি ইউনিয়নে ২শ ৭৫ জন এবং ১৫ রমজানে দ্বিতীয় ধাপে পুনরায় প্রতি ইউনিয়নে ২শ ৭৫ জন করে পুরো উপজেলায় সর্ব মোট ১২ হাজার পরিবারকে এ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    তিনি বলেন, ‘মিরসরাইবাসীর কল্যাণে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন অক্লান্ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। মিরসরাইবাসীর কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এখন তিনি সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করার কাজ করছেন। উপজেলার কোনো লোক যাতে অনাহারে না থাকেন সেজন্য উনার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে মিরসরাইয়ে ৫০ লাখ টাকার খাদ্য সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।’

    তিনি আরও বলেন, ‘২ ধাপে প্রায় ১২ হাজার পরিবারের মাঝে এ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। যেখানে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, ছোলা, মুড়ি, খেজুর, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকবে। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং উনার ছেলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রুহেল এ খাদ্য সহায়তা দেওয়ার সময় উপস্থিত থাকবেন।’

    উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ও সমাজের অসহায় দুস্থদের মাঝে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এরইমধ্যে ২ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার মেয়র, চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগেও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’