আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই(চট্টগ্রাম):::করোনা ভারইস ছড়ানো থেকে মানুষকে নিরাপদ রাখার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে মিরসরাই উপজেলা প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার ৩১টি হাট বাজার স্থানান্তরের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এমন টাই নিশ্চিত করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন।
শনিবার(১১ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার এই সকল হাটবাজার স্থানান্তরে কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসনের সাথে স্থানিয় বাজার কমিটিও জনপ্রতিনিধারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, করোনা মাহামারি থেকে বাঁচার একমাত্র অস্ত্র হচ্ছে মানুষকে ঘরে রাখা, ব্যাক্তি থেকে ব্যাক্তির দূরত্ব বজায় রাখা। আর এই দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করেতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও কুলকিনারা করে উঠতে পারছেন প্রশাসকিন কর্মকর্তারা। মানুষ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বের হচেছ ঘর থেকে। কখনো ত্রানের জন্য বের হচ্ছে আবার কখনো অতি প্রয়োজনিয় দৈনন্দিন তৈজস পত্রের জন্য বের হচ্ছেন। এতে অনিচ্ছা শর্তেও গন জামায়াতের ঘটনা ঘটছে। তাই হাটবাজার গুলোতে যেন ঘন জামায়েত না হয় তার জন্য উপজেলার ৩১টি হাট বাজার আপদ কালিন সময়ের জন্য স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে অনেক দোকানি তাদের দোকান সরিয়ে নিয়েছে। কিছু কিছু দোকানি এখনো তাদের দোকান পূর্বের সংকৃর্ণ স্থানে রেখে ব্যবসায় করছে যার কারনে কিছু কিছু যায়গায় কম হারে হলেও গণজামায়াতের ঘটনা ঘটতেছে। এই সব দোকানিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এসিল্যান্ড ও আমি পৃথক দুই দলে পুরো উপজেলায় অভিযানে যাচ্ছি। যারা দোকান সরাচ্ছেনা তাদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানা করার মাধ্যমে খোলামেলা জায়গায় বাজার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে মানুষ কোন প্রকারে গনজামায়াত করতে না পারে।
সরজমিনে শনিবার সকালে মিরসরাই বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার উপরের সকল সবজি বিক্রেতা পাশবর্তী মিরসরাই ষ্টেড়িয়ামে তাদের দোকান গুলো সরিয়ে নিলেও কিছু অসচেতন বিক্রেতা তাদের দোন গুলো সরায়নি। এই ব্যাপারে যারা দোকান সরিয়ে নিয়েছে তারা অত্যন্ত মনক্ষুন্য হয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে নালিশ করে। এতে উপজেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা করে।
ইউএনও বলেন গন জামায়েত হয় এমন কোন বাজার পূর্বের স্থানে থাকবে না, যতটুকু সম্বব পাশবর্তী খোলা মাঠে সকল বাজার গুরো স্থানাস্তর করা হবে যেন মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করতে পারে।