Tag: মিরসরাই

  • বিজয়ের মাসেই প্লটের দখল হস্তান্তর করতে চায় মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী

    বিজয়ের মাসেই প্লটের দখল হস্তান্তর করতে চায় মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই : বিজয়ের মাস ডিসেম্বর মাস আর এ মাসেই প্লটের দখল হস্তান্তর করতে যাচ্ছে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী কতৃর্তপক্ষ। এমনটাই জানালেন বিসিক চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আহমেদ জামাল নাছের চৌধুরী।

    তিনি জানান আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখছে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী, ইতি মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে প্লট বরাদ্ধের কাজ। খুবশিগ্রই আরম্ভ হবে প্লটের দখল হস্তান্তর। প্লটের দখল হস্তান্তরের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্লট গ্রহীতা শিল্প উদ্যোক্তাদের নিজ নিজ প্লটে স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় তাদের প্লট বরাদ্ধ ও দখল সত্ত বাতিল করা হবে।

    তিনি জানান, গত ১ বছর আগেও এই শিল্প নগরী উদ্বোধনের যাবতিয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিলো কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারনে এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে সকল জটিলতার অবসান হয়েছে বলে আমি মনে করি। তাই এটি বাস্তবায়নে আর তেমন কোন বাধা নেই।

    এই কর্মকর্তা জানান,দ্বিতীয় বারের মতো গত ২২ মে প্লট বরাদ্ধের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে ১১৪ টি আবেদন পত্র জমা পড়ে। আবেদন পত্রের গ্রহণ যোগ্যতা যাচাই বাচাই করে সেখান থেকে ৮২টি উদ্যোক্তাকে প্লট বরাদ্ধের জন্য সনাক্ত করা হয়, বাদ পড়ে ৩২টি উদ্যোক্তার আবেদন পত্র। তবে বাচাইকৃত এই ৮২টি আবেদন পত্র থেকেও অনেকেই বাদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন।

    এই ৮২জনকেই এলটমেন্ট লেটার প্রেরণ করেছে বিসিক কর্তৃপক্ষ। এলটমেন্ট লেটার প্রাপ্ত ৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৮ ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে হালকা প্রকৌশল-১৯টি, খাদ্য ও খাদ্যজাত -১৯টি, রেডিমেড গার্মেন্টস-১৬টি, সিরামিকস ও নন মেটালিক-০৩টি, কেমিক্যাল এন্ড এলাইড-১০টি, রাবার, লেদার এন্ড এলাইড-৪টি, প্যাকেজিং-০৮টি, বন ও বনজাত-৩টি।

    তবে ৮২টি বরাদ্দকৃত আবেদনের বিপরীতে ডাউনপেমেন্ট পরিশোধ করেছেন মাত্র ৯জন উদ্যোক্তা। চলতি মাসে আরো দুই একজন উদ্যোক্তা থেকে ডাউনপেমেন্ট পাওয়া যেতে পারে বলে আশা ব্যাক্ত করেন তিনি। ডাউনপেমেন্ট পাওয়া গেলে চলতি মাসে নুন্যতম ১০জন উদ্যোক্তাকে তাদের প্লটের দখল সত্ত হস্তান্তর করা যেতে পারে। তবে যে সব উদ্যোক্তা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে ডাউন্টপেমেন্ট পরিশোধ করেছেন তাদের নাম জানতে চাইলে তিনি তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

    এলটমেন্ট লেটার পাওয়ার পরও যে সকল আবেদনকারী একমাসের মধ্যে তাদের ডাউনপেমেন্ট পরিশোধ করে প্লট বুঝে নিবে না হয়তো আমরা তাদের আরো কিছু সময় দিবো এটা হয়তো দুই মাস বা তিন মাস ও হতে পারে। এর মধ্যেও যদি তারা ডাউনপেমেন্ট পরিশোধে ব্যার্থ হয় তাহলে তাদের প্লটের বরাদ্দ বাতিল করা হবে। এসব বাতিলকৃত প্লটের জন্য নতুন বরাদ্দ চেয়ে আগামি দুই এক মাসের মধ্যে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

    জানা যায়, ২০০৯ সালের দিকে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে মিরসরাইয়ে বিসিক শিল্পনগরী বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মিরসরাই পৌরসভার পূর্ব মঘাদিয়ায় তালবাড়িয়া রেলস্টেশন এলাকায় জায়গা নির্ধারণ করে ২০১০-২০১১ অর্থবছর প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

    প্রকল্প বাস্তবায়নে ১৫ দশমিক ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করে মাটি ভরাটের কাজও শুরু হয়। প্রথম অবস্থায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ২৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা করা হয়। ২০১৩ সালের শেষ দিকে প্রকল্প কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

    সর্বশেষ ২০১৭ সালের শেষ দিকে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরীর সামগ্রিক প্রস্তুতি শেষ হলেও নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও নীতিনির্ধারকদের অবহেলার কারনে মুখ থুবড়ে পড়ে আশা জাগানো এই প্রকল্পটি। স্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের আশার জোয়ারেও ভাটা পড়ে যায় নিস্তেজ হয়ে পড়া প্রকল্পটির কারনে।

    স্থানীয় শিল্পউদ্যোক্তারা সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারা ক্ষোভ ঝেড়েছেন বিভিন্ন আলোচনার টেবিলে। দোষারোপ করেছেন বিশেষ প্রভাবশালী ব্যাক্তিকে। কৃষিজমিতে শিল্প স্থাপনা করা যাবে না এমন অযুহাত তুলে স্থগিত করা হয় এর বাস্তবায়ন।

    কিন্তু অনেকেই মনে করেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়য়ার কৃতীত্বে ইর্ষান্বীত হয়ে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল একটি স্বার্থন্বেষী মহল। তবে আশার কথা হলো সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী। এটি বাস্তবায়ন হলে মিরসরাইয়ে কম পক্ষে ৫হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন কর্র্তৃপক্ষ।

    মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষে অবস্থিত। বিসিক শিল্পনগরী থেকে রেলপথের দূরত্ব এক কিলোমিটারেরও কম। চট্টগ্রাম বন্দরে যাতায়াতও ভালো। যোগাযোগ সুবিধার কারনে এই প্রকল্পের প্রতি শিল্প উদ্যোক্তাদের আগ্রহ একটু বেশি।

    মিরসরাই পৌর সভার মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন সকল আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটিয়ে বিসিকের প্লট বরাদ্দের কাজ সম্পন হয়েছে। যারা এখানে প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন তারা অতিশিগ্রই তাদের কার্যক্রম আরম্ভ করবেন বলে আশা করছি। আমাদের পৌরসভা থেকে যতটুকু সহযোগীতা করার প্রয়োজন আমরা প্রস্তুত আছি। এটি যতো শিগ্রই বাস্তবায়িত হবে আমাদের পৌরসভায় কর্মসংস্থার সূত্রপাত ঘটবে ততো তারাতারি।

    তিনি জানান, সরকার এখানে ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু কয়েকজন কর্মকর্তার অবহেলার কারণে মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরীর অগ্রযাত্রায় ভাটা পড়ে গিয়েছিলো। নতুন করে প্লট ভরাদ্ধ দেয়ার মধ্যদিয়ে সেই ভাটা কেটে উঠেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুবিধা থাকায় এখানে প্লট নিতে আগ্রহীর সংখ্যা বেশি।

    তিনি আরও বলেন, পূর্বেও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২০ জনকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। পরে তা বাতিল করা হয়। তবে কেন বাতিল করা হয় সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি কর্তৃপক্ষ। পুনরায় প্লট বরাদ্দের কথা শুনে ভালো লাগছে। আমরা চাই অতিশিগ্রই এই শিল্প নগরী বাস্তবায়ন হোক। বিসিক শিল্প নগরী

    মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরীর প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালে, এই প্রকল্পে এ ক্যাটাগরিতে ২৭, বি ক্যাটাগরিতে ৩৩, এস টাইপ ক্যাটাগরিতে ২৮টিসহ মোট ৮৮ প্লট রয়েছে। এছাড়া এটি আরো সম্প্রসারণের লক্ষে পুনরায় আরো দশ একর জমি নতুন করে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিরসরাইকে মৌখিক ও লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।

    তবে যতক্ষণ না এই প্রকল্প মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে ততোক্ষণ কাগজে কলমের বাস্থবায়নে বিশ্বাস করতে নারাজ প্রকল্প এলাকার লোকজন।

    স্থানীয় মাহবুবুল আলম নামে এক ব্যাক্তি জানান, সেই চার বছর ধরে শুনে আসতেছি এখানে মেইল ফেক্টরি হবে, অবকাঠামোর সকল কাজ সম্পন্ন। একবার শুনলাম কৃষি জমিতে কারখানা করেতে দিবে নাই তাই কাজ বন্ধ ছিলো অনেক দিন। এবকার শুনলাম প্লট বরাদ্ধ দিবে আবার শুনলাম বাতিল করছে এভাবেই চলতেছে গত চারবছর। তাই যেদিন এখান কারখানার কাজ শুরু হবে সেই দিন ছাড়া নিশ্চিম হওয়া মুশকিল আসলে এখানে কারখানা হবে কি না।

    তবে সরজমিনে দেখা যায় মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরীর কাজ শতভাগ শেষ। তবে এখনো উৎপাদনের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান দখল স্বত্ত বুঝে পায়নি। তাই কোন কারখার দেখাযায়নি কোন নমুনা ফলক। দাড়ায় নি কোন কারখানার দালান। তাই চার দিকে খোলা সবুজের মাঠ। কচি ঘাসে উর্বর যেন এক গো চারণ ভূমি। গোটা দশেক গো মহিষের দখলে পুরো এই শিল্প নগরী এলাকা।বিসিক শিল্প নগরী

    ফলে উৎপাদনের পরিবর্তে দেশের ৭৫তম এ প্রকল্পটি এখন গোচারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মাঠের দক্ষিন পাশে যেতেই দেখা মিললো পরিতেক্ত নেশার বোতল। বুঝতে বাকি রইলোনা সারাদিন গোচারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহার হলেও সন্ধ্যায় মাদক সেবিদের আস্তানায় পরিণত হয় শুন শান নিস্তব্ধ এই স্থানটি। সঠিক সময়ে উৎপাদনে না যাওয়ায় আগাছায় ভরে গেছে বিভিন্ন প্লট।

    নিন্মমানের কাজের জন্য দেবে গেছে রাস্তার বেশ কিছু অংশ। তবে এই শিল্পনগরীর বর্তমান অবস্থা যাই হোক না কেন পুনরায় প্লট বরাদ্ধ দেওয়ার খবরে আবারো আশার আলো দেখছে মিরসরাইয়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তরা।

  • মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন সালমান এফ রহমান

    মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন সালমান এফ রহমান

    মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী পরিদর্শন করেছেন।

    বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে তিনি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, আগামী চার বছরের মধ্যে এই শিল্পনগরীতে দশ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

    সালমান এফ রহমান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরীতে দ্রুতগতিতে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলছে। সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আনতে ব্যাপকভাবে কাজ করছে। দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো দেশভিত্তিক আলাদাভাবে বরাদ্দ করায় বিনিয়োগকারী দেশগুলো আগ্রহী হয়ে উঠছে।

    তিনি বলেন, দেশে বিনিয়োগের জন্য জ্বালানি সংকট নেই। রাজনৈতিক পরিস্থিতি যথেষ্ট স্থিতিশীল থাকায় অনেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে মনে করছেন উপদেষ্টা।মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল

    শিল্পনগরীতে বিভিন্ন নির্মানাধীন কারখানা ঘুরে দেখেন সালমান এফ রহমান। এ সময় তিনি সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির খোঁজ নেন।

    এসময় বেজা চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, বেজার প্রজেক্ট ডিরেক্টর ফারুক হোসেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রুহুল আমিন, মিরসরাই পৌরসভার মেয়র এম গিয়াস উদ্দিন সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।

  • কবর খুড়া সম্পন্ন, স্ত্রীর জন্য কেনা হয়েছে সাদা শাড়ি:মিরসরাইয়ে এক ব্যাক্তির মৃত্যুর গুজব

    কবর খুড়া সম্পন্ন, স্ত্রীর জন্য কেনা হয়েছে সাদা শাড়ি:মিরসরাইয়ে এক ব্যাক্তির মৃত্যুর গুজব

    মিরসরাই প্রতিনিধি::: জানাযার নামাজের মাইকং হয়েছে সারা উপজেলায়, কবর খুড়া শেষ, স্ত্রীর জন্য কেনা হয়েছে সাদা শাড়ি। প্রস্তুতি চলছে লাশ গ্রহণের এলাকার গন্যগান্য সকলেই ভিড় জমাচ্ছেন নিহতের আঙ্গিনায়। বুক ফাটিয়ে আর্তনাধ করেছেন পরীবারের আপনজনরা। কান্নার শব্দে ভারি হয়ে আছে পুরো এলাকা। শোকে সস্তব্দ পরিচিত পরিজন।

    কিন্তু শেষ সময়ে খবর এলো যার মৃত্যু শোকে মাতম চলছে, যার লাশ দাফনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন যার স্ত্রীকে সাদা কাপড় পরানো প্রস্তুতি চলছে তিনি মারা যান নি এখনো বেছে আছেন।

    মিরসরাই উপজেলা আওয়মীলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম মোহাম্মদ আলীর বড় ছেলে রাশেদ বিন আলী প্রকাশ সুমন ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

    রাশেদ বিন আলী

    শনিবার (৩০ নভেম্বর) ভারতের ব্যাঙ্গালোরের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান বলে খবর পাওয়া যায়। সদা হাস্যেজ্জ্বল রাশেদ বিন আলীর মৃত্যুর খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

    রাশেদ বিন আলীর ছোট ভাই রিয়াজ বিন আলী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার ব্যাঙ্গালোরের মনিপাল হাসপাতালে আমার ভাইয়ার ব্রেন টিউমার অপারেশন হয়েছিলো। অপারেশন সফল হলেও আজ তিনি স্ট্রক করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ভারত থেকে লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। বাড়িতে আসার পর জানাযার সময় নির্ধারণ করা হবে।

    কিন্তু শনিবার রাত ৮টার সময় দাফনের সমস্ত প্রস্তুতিনেওয়ার পর খবর আসে তিনি মারা যাননি, তিনি এখনও বেছে আছেন।বেছে থাকার খবরে সবই হতভাগ হয়ে পড়েন। এসময় মৃত্যুর সংবাদ দাতা, মৃত্যুর সংবাদ পরিবেশন কারি কিছু স্থানীয় অনলাইন পত্রিকাও সাংবাদকিদের সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিক মাধ্যেমে।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই প্রেসক্লবের সিনিয়র যুগ্ন-সম্পাদক ও নয়াদিগন্তের মিরসরাই প্রতিনিধি মাইনুদ্দিন জানান মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করতে ছোট ভাই রিয়াজ বিন আলীকে ফোন দিলে তিনি বলেন আমার ভাই আর নেই বলে কান্না করতে থাকেন।

    কান্না থামিয়ে তিনি বলেন,গতকাল (শুক্রবার) রাত আমর ভাই কথা-বার্তা বলেছিলেন, রাত ২টার দিকে হঠাৎ স্ট্রোক করেন এবং কোমায় চলে যান। শনিবার দুপুর ১টায় খবর পাওয়া যায় তিনি আর নেই। পরিবার থেকে মাইকিং, কবর খোড়া সহ জানাযার নামাজের সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এলাকার মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যাক্তি সকল আয়োজনে সহায়তা করছেন। এর থেকে বিশ্বাসযোগ্য সূত্র আর কি হতে পারে?

    কিন্তু পরবর্তীতে গতকাল রাত ৮টায় খবর পাওয়া যায় তিনি এখনো বেছে আছেন। চিকিৎসাধিন হাসপাতালের ডাক্তাররা যখন মৃত্যু নিশ্চিত করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে লাইফ সার্পোট খুলতে যান তখন উনার পালস আবার সক্রিয় হতে শুরু করে এবং শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উনি শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন।

  • আরব আমিরাতে বাংলাদেশী প্রবাসীর মৃত্যু

    আরব আমিরাতে বাংলাদেশী প্রবাসীর মৃত্যু

    ওবায়দুল হক মানিক, আরব আমিরাত থেকে:সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল আইনে মোহাম্মদ আবু সাঈদ (৩৫) নামে চট্টগ্রামের এক প্রবাসী মৃত্যু বরণ করেছেন। শনিবার সকালবেলা ফজরের নামাজের পর আল আইনে আলম সুপার মার্কেটের পাশে হার্ট এ্যাটাক করে বালিতে পড়ে থাকেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    তার মৃতদেহ অনলাইন জিবি হসপিটালে রাখা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইনী প্রক্রিয়া শেষ হলে তার মৃতদেহ দেশে পাঠানো হবে। লাশ দেশে পাঠাতে দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছে নিহতের পরিবার ।

    আবু সাঈদের বন্ধুরা জানান বিগত ১৫ বছর আল আইন শহরে বসবাস করতেন। তার বয়স হয়েছিল ৩৫ বছর। ৭ বছরের ১টি পুত্র সন্তান রয়েছে। দেশের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইর ১০ নং মিঠানালা ইউনিয়নে। শুক্র সারেং বাড়ির মোহাম্মদ মিঁয়ার পুত্র আবু সাঈদ।

  • মিরসরাই ও জোরারগঞ্জে পৃথক হামলায় ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের দুই নেতা আহত

    মিরসরাই ও জোরারগঞ্জে পৃথক হামলায় ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের দুই নেতা আহত

    মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনধি : পৃথক দুটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মিরসরাই আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতা মারাত্মক আহত হয়েছে। বর্তমানে দুজনই হাসপাতালে আশঙ্কাজনক আবস্থায় চিকিৎসাধিন।

    জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (২৯নভেম্বর) সন্ধ্যায় মিরসরাইয়ের আবুতোরাব বাজারে এক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে আরেক ছাত্রলীগ নেতা। আহত আব্দুল কাইয়ুম সদ্য বিলুপ্ত ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।

    অপরদিকে এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে একই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার ৪ নং ধুম ইউনিয়নের শুক্কুর বারইয়ারহাট এলাকায় ধানকাটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাইফুদ্দিন চৌধুরী রূপম (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে একই বাড়ির বিপ্লব ও তার সঙ্গিরা।

    তবে এ প্রতিবেদন তৈরি করা পর্যন্ত উভয় ঘটনার একটিরও অভিযোগ করা হয়নি থানায়। ফলে দুটি ঘটনার একটিতেও মামলা হয়নি বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

    স্থানীয়রা জানান, ধানকাটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাইফুদ্দিন চৌধুরী রূপম (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে প্রতিপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা ৪ নং ধুম ইউনিয়নের শুক্কুরবারইয়ারহাট এলাকার কাজলের দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে রূপম ঢাকা ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    তার শারীরিক অবস্থা আশংকানজক। সে ধুম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

    আওয়ামী লীগ নেতা এসএম সিরাজ মেম্বার বলেন, রূপমের সাথে দীর্ঘদিন একই বাড়ির বিল্পবের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের জমি থেকে জোরপূর্বক জমি থেকে ধান কাটার বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে কিছু বুঝে উঠার আগেই বিল্পবের হাতে থাকা দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় রূপমের হাতের কবজি কেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।

    এরপর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বারইয়ারহাট জেনারেল হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ও পরে শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এরপর সেখান থেকে ঢাকা ট্রমা সেন্টারে নিয়ে শুক্রবার সকালে তার হাতের অপারেশন করা হয়েছে।

    এই ঘটনায় জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ধুম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজ্বী শামশুদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, রূপম ভাইয়ের উপর হামলার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবীতে শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    অপরদিকে একই উপজেলার মিরসরাই থানার আবুতোরাব বাজারে এক ছাত্রলীগ নেতা কুপিয়ে জখম করেছে আরেক ছাত্রলীগ নেতাকে। হামলায় আহত আব্দুল কাইয়ুম সদ্য বিলুপ্ত ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। শুক্রবার সন্ধ্যায় আবুতোরাব বাজারের মঘাদিয়া অংশে ওই ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার (২৯নভেম্বর) সন্ধ্যায় আব্দুল কাইয়ুম ও ডালিম নামের অপর এক ছাত্রলীগ কর্মি আবুতোরাব বাজারের মডেল স্টোর নামের একটি দোকানে চা খেতে আসে। এসময় একে অপরের সাথে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে দোকানটিতে ভাংচুর চালায়। ওই দোকানটির মালিক ১৩নং মায়ানী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ওমর ফারুকের বাবা।

    ভাংচুরের খবর পেয়ে ওমর ফারুক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আব্দুল কাইয়ুমের উপর চড়াও হয়। এসময় সেখানে থাকা দা দিয়ে কুপিয়ে আব্দুল কাইয়ুমকে জখম করে। স্থানীয়রা আহতবস্থায় কাইয়ুমকে উদ্ধার করে প্রথমে মিরসরাই সদরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি ঘটলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে।

    জোরারগঞ্জ থানার ওসি মুফিজ উদ্দিন ভূইঞা ও মিরসরাই থানার ওসি (তদন্ত) বিপুল দেবনাথ উভয় ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনা মৌখিকভাবে শুনেছি কিন্তু এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করিনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আবুতোরাবের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

  • মিরসরাইয়ে ধানি জমি থেকে লাশ উদ্ধার

    মিরসরাইয়ে ধানি জমি থেকে লাশ উদ্ধার

    মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর মিরসরাইয়ের কল ঘর এলাকায় রাস্তার পূর্বপাশ্বে ধানি জমি থেকে ফয়জুল হক(৪০) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

    আজ রবিবার সকালের দিকে ফয়জুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার খইয়াছড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিজতালুক গ্রামের মীর মোহম্মদ কেরানী বাড়ির মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। নিহতেরে লাশ বর্তমানে মিরসরাই থানা হেফাজতে রয়েছে।

    ফয়জুল হকের বড় ভাই রেজাউল কারিমের ভাষ্য, তার ভাই মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় মাছ চাষের কাজ করতেন। প্রতিদিন রাতে যেতেন এবং সকালে কাজ শেষে বাড়ি ফিরতেন।

    গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে প্রতিদিনের ন্যায় কাজের উদ্দেশ্য বের হলে ফয়জুলের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

    নিহতের বড় ভাই রেজাউল করিম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, আমার ভাইকে কিডনাপ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করছি। তবে সন্দেহের তালিকায় কারো নাম এই মূহর্তে বলতে পারছেন না তিনি।

    এদিকে নিহত ফয়জুল একজন ডাকাত সদস্য জানিয়ে ডাকাত সদস্যদের অন্দঃকোন্দলের জেরে ফজু খুন হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন মিরসরাই থানার ওসি জাহেদুল কবির। তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, নিহত ডাকাত সদস্য ফয়জুলের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতির তিনটি মামলা রয়েছে। হত্যাকান্ডের কারণ ও ঘটনা অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ করছে বলেও তিনি জানান।

  • ‘আগামীতে নৌকার যেন ভরাডুবি না হয় আপনারা সেদিকে খেয়াল রাখবেন’

    ‘আগামীতে নৌকার যেন ভরাডুবি না হয় আপনারা সেদিকে খেয়াল রাখবেন’

    মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি::: ‘চট্টগ্রামে আমরা যে ধরণের নেতা নির্বাচন করছি তারা কমপক্ষে আগামী ২০ বছর দলকে ক্ষমতায় রাখতে সক্ষম হবে। আমি বেঁচে না থাকলেও আগামীতে নৌকার যেন ভরাডুবি না হয় আপনারা সেদিকে খেয়াল রাখবেন।’

    শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মিঠাছরা স্কুল মাঠে আয়োজিত স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে এসব কথা বলেন, সাবেক মন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।

    তিনি আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। তাকে আওয়ামী লীগ জেলহাজতে দেয়নি, আদালত দিয়েছে।’সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যকালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, ‘২৪ বছর আগে জননেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের হাত ধরে আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম। তিনি শুধু মিরসরাইয়ের নেতা নন তিনি সমগ্র চট্টগ্রামের নেতা। তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হচ্ছে।’

    ওইদিন শুরুতেই পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। এরপর প্রথম অধিবেশনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রথম অধিবেশনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম। এসময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রুহেল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপু।

    এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. মাঈনুদ্দীন, এডভোকেট ফখর উদ্দিন চৌধুরী, জিতেন্দ্র প্রসাদ নাথ মন্টু। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ইউনুস গণি চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার, দেবাশীষ পালিত, প্রচার সম্পাদক জসিম উদ্দিন শাহ্, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম ফেয়ারুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ভবতোষ নাথ, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, সীতাকুন্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আল মামুনসহ মিরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগ, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

    সবশেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামত ও প্রার্থীদের সমঝোতার ভিত্তিতে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীকে সভাপতি ও একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

    প্রসঙ্গত, এবারের কাউন্সিলে তৃণমূলসহ মোট ৬৪৫জন কাউন্সিলর অংশ নেয়। এছাড়া কাউন্সিলের দিন সমগ্র উপজেলার ১৮টি দলীয় ইউনিট থেকে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে।

  • করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে সভাপতি জসিম সম্পাদক সেলিম

    করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে সভাপতি জসিম সম্পাদক সেলিম

    চট্টগ্রামের মিরসরাই ১নং করেরহাট ইউনিয়নের সম্মেলনের মাধ্যমে ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার কমিটি গঠন শুরু করেছে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগ।

    আজ বৃহস্পতিবার (২৪সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় করেরহাট কে.এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।

    অনুষ্ঠানে সকল কাউন্সিলদের মতামতের ভিত্তিতে আবারো সভাপতি হিসেবে সুলতান গিয়াসউদ্দিন জসিম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ সেলিমকে পুনরায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসময় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজ করেরহাটের সম্মেলনে তৃনমুলের নেতাকর্মিদের বিপুল উপস্থিতিতে এই আয়োজন আমাকে খুবই আনন্দিত করেছে। আশা করি উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন গুলোতেও কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্ধারিত হবে।

    সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ আতাউর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, উত্তরজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মহিউদ্দিন রাশেদ, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন আরিফ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তানভীর হোসেন তপু প্রমুখ।

  • বাংলাদেশ অটো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ কারাখানার নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

    বাংলাদেশ অটো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ কারাখানার নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

    মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১শ একর জমিতে গড়ে উঠেছে গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অটো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানা।

    সকালে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে কারাখানা নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন বেজা চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। বাংলাদেশ অটো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিডেটের চেয়ারম্যান এ মান্নান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মাসুদ কবির, পরিচালক মোঃ কামরুল হোসেন, মিরসরাইয়ের মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার।

    এসময় বেজা, বেপজা, স্থানীয় প্রশাসন ও গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোঃ কামরুল হোসেন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে একমাত্র গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছি আমরা। ১শ একর জায়গা জুড়ে এই কারাখানা প্রতিষ্ঠা করা হবে। কারাখানা প্রতিষ্ঠার পর প্রথম ধাপে প্রাইভেটকার, মাইক্রো, হাইস, বাস নির্মাণ করা হবে।