Tag: মিরসরাই

  • মিরসরাইয়ে আম কুড়াতে গিয়ে কিশোরীর মৃত্যু

    মিরসরাইয়ে আম কুড়াতে গিয়ে কিশোরীর মৃত্যু

    মিরসরাই প্রতিনিধি: মিরসরাইয়ে আমকুড়াতে গিয়ে পুকুরে ডুবে ৭ বছরের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত কিশোরীর নাম নুসরাত জাহান নওরীন। সে সাহেরখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড নজু ভূঁইয়া বাড়ির আনোয়ারের বড় মেয়ে।

    মঙ্গলবার ( ১৬ মে) দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়।

    নুসরাতের জেঠাতভাই আব্দুর রহিম জানান, আমার চাচা আনোয়ার সাহেরখালী ভোরের বাজারে একজন ব্যবসায়ী। তাকে সবাই হাফেজ নামে ডাকে। তার ৩ কন্যার মধ্যে নুসরাত সবার বড়। আজকে দুপুরে আম কুড়াতে গিয়ে একটি পুকুরে পড়ে যায়। কিন্তু সাতার না জানায় কুলে উঠতে পারে নাই। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুকুরে মৃত পাওয়া যায়। আসর নামাজের পর তার জানাজা সম্পন্ন করা হয়েছে।

    স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাঁতার না জানায় সে কুলে উঠতে পারে নাই। সে সাহেরখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।

  • মিরসরাইয়ে নারীর শরীরে ভুল রক্ত পুষ করার অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে

    মিরসরাইয়ে নারীর শরীরে ভুল রক্ত পুষ করার অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে

    মিরসরাই প্রতিনিধি::::মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। সিজারিয়ান এক রোগীর রক্তের গ্রুপ নির্ণয় না করেই রক্ত দেয়া হয়েছে। এতে ভুল রক্ত শরীরে প্রবেশের সাথে সাথে রোগীর অবস্থা অবনতি হতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে চট্রগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী রোগীর নাম সোনিয়া আক্তার। তিনি পূর্ব হিংগুলীর খালেদ মাহমুদের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি আছেন।

    রবিবার ( ১৪ মে) দুপুরে সোনিয়া আক্তারের স্বামী খালেদ মাহমুদ এই অভিযোগ করেন।

    খালেদ মাহমুদ বলেন, তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের প্রসববেদনা উঠলে গত বৃহস্পতিবার বারৈয়ারহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার নাছিমা আক্তার রাতেই সিজার করেন। এতে তার অত্যাধিক রক্তক্ষরণ হয় ও রক্তের হিমোগ্লোবিন (৭.৮) কম হওয়ায় রক্ত দেয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। সোনিয়া আক্তারকে রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে নাইটেঙ্গেল ডায়াগনস্টিক ল্যাব এর পূর্বের রিপোর্ট অনুযায়ী রক্তের গ্রুপ এ পজেটিভ (A+) বলে জানান ডাক্তার নাছিমা আক্তারকে। কিন্তু নাছিমা আক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে নিশ্চিত না হয়ে ক্রস চেক না করে মুখের কথার উপর নির্ভর করে রোগীর শরীরে রক্ত দিয়ে দেন। রক্ত দেয়ার পর রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায় রোগীর রক্তের গ্রুপ (O+) ও পজেটিভ। রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় কোন সমস্যা হবেনা দুটাই পজেটিভ ব্লাড। সাময়িক সমস্যা হলেও আস্তেধীরে ঠিক হয়ে হয়ে যাবে। এভাবে কালক্ষেপণ করা ১ দিন পর রোগীর অবস্থা আরো সংকটাপন্ন হলে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

    খালেদ মাহমুদ জানান, ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তাকে বিপদে পড়তে হয়েছে। একদিকে নাইটেঙ্গেল ডায়াগনস্টিক ল্যাব এর ভুল রিপোর্ট অন্যদিকে বারৈয়ারহাট জেনারেল হাসপাতালের খামখেয়ালি। রোগীকে এখন আইসিইউতে রাখতে হচ্ছে, রক্ত ডায়ালাইসিস করে আবার নতুন রক্ত দিতে হবে। এতে প্রায় বাড়তি খরচ আসবে দেড় থেকে ২লাখ টাকা। এতো টাকা এখন আমি কোথায় পাবো?

    বারৈয়ারহাট জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাক্তার শাহজাহান ও পরিচালক আলিহাদার টিপু জানান, রোগী সোনিয়া আক্তার একজন ইউনিভার্সেল ডোনার। উনি যে কাওকে রক্ত দিতে পারবেন কিন্তু নিতে পারবেন না। উনাকে রক্ত দেয়ার পূর্বে ক্রস ম্যাচিং করা হয়েছে তখন কোন অসঙ্গতি ধরা পড়ে নাই। কারন তার ক্ষেত্রে ক্রস ম্যাচিং নয় বরং গ্রুপিং টা গুরুত্বপূর্ণ। নাইটেঙ্গেল ডায়াগনস্টিক ল্যাব এর রিপোর্ট ভুল থাকায় এই ভুল হয়েছে তাই এটা বারৈয়ারহাট জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারের কোন দোষ নেই।

    মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মিনহাজুর রহমান জানান, যে কোন রোগীকে রক্ত দেয়ার পূর্বে রক্তের গ্রুপ ও ক্রস ম্যাচিং করে নিশ্চিত হতে হবে। অন্যথায় কেউ এর দায় এড়াতে পারে না। এতে রোগীর পরিবার ইচ্ছে করলে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন।

  • মিরসরাইয়ে নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা দিলেন সিআইপি খান

    মিরসরাইয়ে নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা দিলেন সিআইপি খান

    মিরসরাই প্রতিনিধি: মিরসরাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার ছাত্রলীগকর্মী ইব্রাহিম রাজুর দরীদ্র পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন ফখরুল ইসলাম খান (সিআইপি)।

    শুক্রবার ( ১২ মে) বিকালে খান সিটি সেন্টারে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

    উল্লেখ্য গত ৯ জুলাই ঈদুল ফিতরের আগেরদিন রাতে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউয়াচল টিলা এলাকার মহিউদ্দিন ও সুরমা বেগমের পুত্র রাজুকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। দরীদ্র পরিবারে ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে রাজু সবার বড়।

    পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে সন্ত্রাসীসের হামলায় মারা যাওয়া দরীদ্র পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় পাশে দাঁড়ান মিরসরাইয়ের মানবিক সমাজসেবক প্রবাসী ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম খান সিআইপি। প্রাথমিক ভাবে তিনি পরিবারটিকে ১লক্ষটাকা আর্থিক সহায়তা করেন। পরবর্তীতে পরিবারটির নিদারুণ কষ্ট দেখে আরও ৪ লাখ টাকা সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক শুক্রবার বিকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে খান সিটি সেন্টারে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বাকি ৪লক্ষটাকা নিহত ইব্রাহিম রাজুর দরীদ্র বৃদ্ধ পিতা মহিউদ্দিনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    দরীদ্র পিতা মহিউদ্দিন জানান, কেউ এগিয়ে আসেনি। নামকা ওয়াস্তে অনেকেই এসে অনেক কিছু বলেছেন। কিন্তু এগিয়ে এসেছেন একজন তিনি ফখরুল ইসলাম খান সিআইপি। তিনি প্রথমবার ১ লক্ষ আর আজকে ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। এই টাকা দিয়ে একটি থাকার ঘর তৈরি করবো চিন্তা করছি। আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন ফখরুল ইসলাম খান সিআইপিকে আল্লাহ ভালো রাখেন।

  • মিরসরাইয়ে শেয়ালের হামলায় হরিণের মৃত্যু

    মিরসরাইয়ে শেয়ালের হামলায় হরিণের মৃত্যু

    মিরসরাই প্রতিনিধি: মিরসরাই ইকোনমিক জোন এলাকা থেকে একটি মৃত হরিণ উদ্ধার করেছে মিরসরাই উপজেলা বনবিভাগ। ধারনা করা হচ্ছে শেয়ালের হামলায় হরিণটির মৃত্যু হয়েছে।

    শুক্রবার ( ১২ মে) সকাল ১০টায় ইকোনমিক জোন শিল্প পুলিশ ফাঁড়ির পাশ থেকে মৃত হরিণটি উদ্ধার করা হয়েছে।
    মিরসরাই উপকূলীয় বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল গফুর মোল্লা জানান, খবর পেয়ে হরিণটি উদ্ধার করে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। তবে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী কোন হিংস্র প্রাণী হরীণটিকে শিকার করেছিল বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

    মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাকিরুল ফরিদ জানান, সুরতহাল অনুযায়ী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হরিণের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি।

  • মিরসরাইয়ের মাদক সম্রাট বুলেট ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার

    মিরসরাইয়ের মাদক সম্রাট বুলেট ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার

    মিরসরাই প্রতিনিধি:::মিরসরাইয়ের ১৭ মামলার আসামি মাদক সম্রাট মো. আমির হোসেন সেলিম প্রকাশ বুলেট সেলিমকে (৩৮) ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার করেছে মিরসরাই থানা পুলিশ।

    মঙ্গলবার (৯ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলার মোটবাড়িয়াস্থ নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (১০ মে) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

    মাদক সম্রাট ও ডাকাত বুলেট মিরসরাই সদর ইউনিয়নের মোটবাড়ীয়া গ্রামের জামশেদ আলমের ছেলে। মিরসরাই থানার এসআই সানাউল্লাহ জানান, ডাকাতি, মাদক, চুরি ছিনতাই সহ ১৭ মামলার এজাহার নামিয় আসামি মাদক সম্রাট আমির হোসেন বুলেটকে মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কবির হোসেন এর নির্দেশ মোতাবেক এক সাড়াশী অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।

    অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন, মাদক সম্রাট বুলেটের বিরুদ্ধে থাকায় বোনের উপরে মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত চেষ্টা করে আসছে মিরসরাই থানা পুলিশ। সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত স্থান পরিবর্তন করে। পরিশেষে গত রাতে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে গোপন সংবাদ পেয়ে কৌশলে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তাকে গ্রেফতার করায় মিঠাছড়া ও মোটবাড়িয়া এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছি।

  • চুলার আগুন কেড়ে নিল প্রতিবন্ধী ফরিদার জীবন

    চুলার আগুন কেড়ে নিল প্রতিবন্ধী ফরিদার জীবন

    মিরসরাই প্রতিনিধি:::মিরসরাইয়ের ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে চুলার আগুন থেকে অগ্নীকান্ডের ঘটনায় ফরিদা নামের ৫০ বছরের এক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ফরিদা ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর ৬নং ওয়াড় শামছুল হকের মেয়ে।

    সোমবার ( ১০ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩টায় মধ্যম ওয়াহেদপুরের নুরুল মোস্তফার বাড়িতে এই অগ্নীকান্ডের ঘটনা ঘটে।

    ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ৫০ বছরের মধ্য বয়সী নিস্বঙ্গ প্রতিবন্ধী ফরিদা বাবা মাকে হারিয়ে ছোট ভাইয়ের আশ্রয়ে থাকতো। আশ্রিত ভাইয়ের স্ত্রী সোমবার দুপুরে চুলায় রান্না বসিয়ে অন্য কাজে বের হয়। রান্নাঘরের পাশের রুমে শুকনো পাতার স্তুপের‌ পাশে‌ চৌকির উপর ফরিদা ঘুমাচ্ছিল। এমন সময় চুলার আগুনের শিখা চুলার পাশে রাখা পাতার স্তুপে ছড়িয়ে পড়ে। রান্নাঘরের আগুন মুহূর্তেই ফরিদার ঘরে লেগে যায়। সেখানে আগে থেকে শুকনো পাতার স্তুপ থানায় আগুনের তীব্রতা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সেই আগুনে চৌকির উপর ঘুমন্ত অবস্থায় প্রতিবন্ধী ফরিদা পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়।

    আগুন দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই সব শেষ হয়ে যায়।

    স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আহসান উল্লাহ ভূঁইয়া জানান, প্রতিবন্ধী ফরিদা ছোট ভাই ও তার স্ত্রীর আশ্রয়ে থাকতো। আগ্নীকান্ডে তার মৃত্যুর খবর পেয়েছি তবে শহরে থাকার কারনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে পারি নাই।

    স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল করিম ফিরোজ বলেন, ওই প্রতিবন্ধী আমাদের প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় ছিল। জীবিত থাকতে যখন যা সম্ভব হয়েছে সাহায্য করেছি। অগ্নীকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তার ছোট ভাইয়ের পরিবারকে যতটুকু সম্ভব ব্যক্তিগত ভাবে ও সরকারি বরাদ্দ থেকে সহযোগিতা করবো। প্রাথমিক ভাবে উপস্থিত ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মঙ্গলবারে ১০ হাজার টাকা তার ভাইয়ের হাতে তুলে দিব ইনশাল্লাহ।

  • মানুষের আখলাক পরিবর্তন করতে হবে -ড. আ.ফ.ম. খালিদ হোসাইন

    মানুষের আখলাক পরিবর্তন করতে হবে -ড. আ.ফ.ম. খালিদ হোসাইন

    মিরসরাই প্রতিনিধি:::::ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে আল্লামা ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসাইন বলেন মানুষের আখলাক বা চরিত্র পরিবর্তন জরুরি। আখলাক বা চরিত্র পরিবর্তন না হলে পোশাকি পরিবর্তন দিয়ে মানুষের মাঝে সভ্যতা আসবে না। মুখে দাড়ি রেখে, গায়ে পাঞ্জাবী পরে মাথায় গোল টুপি পরে ইসলাম কায়েম করা যাবে না। ৮০ বছরের সাদা দাড়ি,টুপি ও জুব্বা ওয়ালাকে দেখেছি ৫ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করতে। ৮০ বছর বয়সেও আখলাক পরিবর্তন হয়নি পোশাক কোন কাজে আসে নাই। আখলাক বা চারিত্রিক অধঃপতনের কারনে দেশ দুর্ণীতিগ্রস্থ। দেশে সন্ত্রাসীসের রাজত্ব চলছে।

    রবিবার (৯ এপ্রিল) মিরসরাই উপজেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পশ্চিম এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ জসিম উদ্দিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম জেলা পশ্চিম এর সভাপতি মুফতি মহিউদ্দিন আকবর আলী

    এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মকছুদ আহম্মদ, মাওলানা জাফর উল্লাহ নিজামী, মাওলানা ইব্রাহিম আল-হাসান, মাওলানা জমির উদ্দিন, হাফেজ মাওলানা মোঃ শুয়াইয়াব, মাওলানা ইব্রাহিম খলিল।

  • মিরসরাইয়ে সাত সকালে ৩ দোকান ও মোটরসাইকেল চুরি

    মিরসরাইয়ে সাত সকালে ৩ দোকান ও মোটরসাইকেল চুরি

    মিরসরাই প্রতিনিধি ::::মিরসরাই পৌর বাজারের স্কুল মার্কেটের ৩টি দোকানও কাসেম মার্কেটের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। চোরের দল মার্কেটের সিসি ক্যামেরা ফাঁকি দিয়ে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়েছে।

    শনিবার ( ৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই চুরির ঘটনা ঘটে। চোরের দল মার্কেটের ৩ তলার সিঁড়ি রুমের গেইটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। মার্কেটের ভেতরের দোকানিদের সিসি ক্যামেরা বিকল করে ৩ দোকানে চুরি করে। এসময় চোরের দল মার্কেটের নিচতলার সুমন স্টোর থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও দোতলার প্রিয়‌তোষের স্টোর রুম থেকে দামি সিগারেটের কার্টোন চুরি করে নিয়ে যায়। অন্য একটি দোকানের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতেই দোকানের সিসি ক্যামেরা দেখে ওই দোকানে থেকে বের হয়ে যায়। এছাড়া স্থানিয়রা জানায় গত ১৫ দিনে মিরসরাইয়ে ব্যাপক হারে চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেল চুরি, গরু চুরি, দোকান চুরি লেগেই আছে।

    বৃহস্পতিবার সকালে মিরসরাই থানার কাছে লায়লা কানন থেকে একটি প্রাইভেটকার চুরি হয়ে যায়। পরবরর্তীতে ঐ গাড়ি ট্রেকারের সহায্যে পাওয়া যায়। এর আগেরদিন থানার পাশের একটি ভবনের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেটিও ট্রেকারের সহায়তায় পাওয়া যায়। কিন্তু এর আগে মিরসরাই ডাকবাংলো এলাকা থেকে একটি মিরসরাই স্টেডিয়াম এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এছাড়া মিরসরাইয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিরাতে গরু চুরি হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় দিনে দুপুরে পাহাড়ে ছেড়ে দেওয়া গরু গুলি জবাই করে মাংস চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার রাতে মিরসরাই ইকোনমিক জোন এলাকায় একটি গরুর খামারে নৈশ প্রহরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গরু নিয়ে গেছে।

    এসব কর্মকাণ্ডে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও থানায় অভিযোগ দিতে ইচ্ছুক নয় ক্ষতিগ্রস্তরা।

    কারন হিসেবে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, থানায় অভিযোগ করে চোরাই মাল তো উদ্ধার হয়না আরো থানার হয়রানীর শিকার হতে হয়। মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে মিরসরাই থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ফোন করা হলে তিনি এই প্রতিনিধির ফোন ব্লক করে দেন। পরবরর্তীতে বক্তব্য চেয়ে অডিও বার্তা দিলেও তার রিপ্লাই দেন নাই।

  • মিরসরাই সার্কেল এএসপি ইফতেখারের বিরুদ্ধে ৩ নারীর অভিযোগ

    মিরসরাই সার্কেল এএসপি ইফতেখারের বিরুদ্ধে ৩ নারীর অভিযোগ

    মিরসরাই প্রতিনিধি::::মিরসরাই সার্কেল এএসপি ইফতেখার হাসানের বিরুদ্ধে হয়রানি ও দুরব্যবহারের অভিযোগ এনে ডিআইজি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মিরসরাইয়ের ৩ অপদস্থ নারী।

    সোমবার ( ২৭ মার্চ) পুলিশ উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) চট্টগ্রাম বরাবরে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ কারীরা হলেন, মিরসরাই উপজেলার ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মহাজনহাট এলাকার ইমামপুর গ্রামের মৃত মুকছুদ আহম্মদের ৩ মেয়ে নাজরীন ফৌজিয়া, পারভীন ফৌজিয়া ও নাছিমা খানম।

    তিনবোন স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গোলাম মাওলা নামে তাদের এক ভাইকে মাদকাসক্ত বানিয়ে বায়না নামা ও আমমুক্তার নামার মাধ্যমে করেরহাট ইউনিয়নের দুই প্রভাবশালী কাঠ ও বালি ব্যবসায়ী বেলাল ও এমরান ৫০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। সম্পত্তি আত্মসাৎ থেকে বাঁচাতে দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মাধ্যমে নালিশি সম্পত্তি বেচা-বিক্রি ও বায়নানামা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বেলাল ও এমরানের যোগসাজশে মিরসরাই সার্কেল এএসপি ইফতেখার হাসান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উক্ত সম্পত্তি দখল ছাড়িয়া দেয়ার জন্য বেআইনি হস্তক্ষেপ করেন। হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখান বর্তমান ভুমি মালিক এই ৩ বোন ও তার দুই ভাইকে। কিন্তু জমি রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত আদালতের রায় নিষেধাজ্ঞা জারি আছে বলায় অভিযোগকারী ৩ নারীকে উক্ত পুলিশ কর্মকর্তার কার্যালয় হইতে অপমান অপদস্থ করিয়া বাহির করিয়া দেওয়া হয়।

    এছাড়া অভিযোগে বলা হয় পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান গত ১৩ বছর যাবত মিরসরাই-জোরারগঞ্জ-সীতাকুন্ডসহ চট্টগ্রাম জেলা এলাকায় থেকে জায়গা জমির অবৈধ সিন্ডিকেট বাণিজ্য করে আসছেন। তাই তার বিরুদ্ধে যেন বিভাগীয় তদন্ত পূর্বক উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়।

    নাছরীন ফৌজিয়া এই প্রতিনিধিকে জানান, ভাইয়ে বোনে যখন অভিযুক্ত জায়গা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয় তখনি আমরা সার্কেল এএসপি বরাবর একটি লিখিত অবহিতকরণ আবেদন পেশ করি। জায়াগা জমিসংক্রান্ত বিষয় উনার এখতিয়ার ভুক্ত নয় বলে পত্রটি তিনি গ্রহন করেন নি। কিন্তু পরবর্তীতে সিন্ডিকেটের পক্ষ হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে তিনি একটি অভিযোগ পত্র গ্রহন করেন। ওই অভিযোগ পত্র মুলে আমাদের এক ভাইকে বেআইনি ভাবে তার গাড়ি পাঠিয়ে কার্যালয়ে তুলে নিয়ে আসেন। এই সময় আমার ভাইকে হুমকি ধামকি দেন যেন এক সপ্তাহের মধ্যে তার সিন্ডিকেট সদস্য বেলাল ও এমরানকে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়। আমার ভাইয়েরা যখন জানায় উক্ত জমিতে বোনদের অংশ রয়েছে ও জমি রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে তখন আমাদের ৩ বোনকে তার কার্যালয়ে তলব করে। আমরা তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তার কক্ষে রাখা সোফায় বসতে চাইলে আমাদের বসতে দেয়া হয়নি। আমাদের দরখাস্ত গ্রহন না করে অপর পক্ষের অভিযোগ গ্রহন করাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত জানতে চাইলে তিনি আমাদের সাথে উত্তেজিত হয়ে যান। উত্তেজিত হয়ে তিনি আমাদের সাথে মারাত্মক মানহানীকর আচরন করেন ও তার কার্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে নির্দেশ দেন। একজন পুলিশের উদ্ধতন কর্মকর্তার এমন অপেশাদার আচরণে আমরা হতবাক হয়ে পড়ি ও সার্কেল অফিস ত্যাগ করি।

    মিরসরাই সার্কেল এএসপি ইফতেখার হাসান জানান, তাদের ভাইয়ে বোনে জায়গা জমি সংক্রান্ত ঝামেলা এখন ব্যাক্তিগত সুবিধা নিতে পুলিশকে ঝড়ানো হচ্ছে। তাদের কোন ভাইকে আমি তুলে আনি নাই এটা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। এছাড়া যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তাদের সাথেও আমার এমন কিছু হয়নি। আর অভিযোগের কোন নথি আমার কাছে এখনো আসেনি তাই অফিসিয়ালি আমি এব্যাপারে কিছু জানিনা।

    বিষয়টি জানতে চট্টগ্রাম জেলা এসপি শফিউল্লাহ কে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায় নি।

  • মিরসরাইয়ে মাদক মামলার স্বাক্ষির উপর সন্ত্রাসী হামলা

    মিরসরাইয়ে মাদক মামলার স্বাক্ষির উপর সন্ত্রাসী হামলা

    মিরসরাই প্রতিনিধি:::মিরসরাইয়ে বিজিবি কর্তৃক মাদক উদ্ধার পরবর্তী মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় মাদক কারবারিদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন এক ব্যাক্তি। আহত ব্যাক্তির নাম ফখরুল ইসলাম (২৫) ।

    গত শনিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম অলিনগর নিচুতলা বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার ফখরুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে।

    তার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি)’র অধীনস্থ “বি” কোম্পানি অলিনগর (বিওপি) ক্যাম্পের সদস্যরা পশ্চিম অলিনগর নিচুতলা বাজার সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে স্থানিয় নুরুল হুদা ডাক্তার বাড়ির মৃত নুরুল হুদার পুত্র মোঃ লিয়াকত হোসেন শিপুল (৩৫) কে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা সিজার মূল্যের ৪৯৫ পিস ইয়াবা সহ আটক করে। ঐসময় স্থানিয় আজিজুল হক, ফখরুল ইসলাম ও আলমগীর প্রকাশ দেলোয়ার হোসেন সহ তিনজন বিজিবির উপস্থিত সাক্ষী হয়। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় বিজিবি সদস্যরা মামলা রজু করে আসামিকে কোর্টে প্রেরণ করে। মাদক কারবারি শিপুল প্রায় ১ মাস জেল খেটে গত ৩ ফেব্রুয়ারী জামিনে বের হয়ে আসে এবং মাদক মামলার সাক্ষী হওয়ার জেরে শিপুল তার কয়েকজন সহযোগীদের নিয়ে ফখরুল ইসলামের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে। হামলার ঘটনায় ফখরুল ইসলাম শিপুল সহ ৬ হামলাকারীর বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে অভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার মৃত নুরুল হুদা’র পুত্র শিপুল (৩৫), শওকত (৪২) ও শাকিল (৩০), কামাল উদ্দিনের পুত্র ফারুক (২৮) শওকত এর পুত্র শরিফ (২০) এবং বাবনের পুত্র শাহাদাত (২০)।

    অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাফিজুল ইসলাম জানান, অলিনগর এলাকায় ফখরুল ইসলাম নামে একজনের উপর হামলার ঘটনায় ২৭ মার্চ (সোমবার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং এই বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত শেষে উদ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশনা মতো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন জানান, মাদক মামলায় স্বাক্ষী হওয়ার জেরে হামলার বিষয়টি জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি সদস্যদের সাথেও কথা হয়েছে।

    অলিনগর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার শহিদুল ইসলাম জানান, মাদক মামলার সাক্ষীর উপর হামলার ঘটনা উদ্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের পরামর্শ ক্রমে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

  • জামাত বিএনপির হাতে নিহত আওয়ামীলীগ নেতার কবরে শ্রদ্ধা জানালেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এলিট

    জামাত বিএনপির হাতে নিহত আওয়ামীলীগ নেতার কবরে শ্রদ্ধা জানালেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এলিট

    মিরসরাই প্রতিনিধি:::বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট তার ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মিরসরাই উপজেলায় দিনব্যাপি বি‌ভিন্ন জন‌হিতকর কা‌জে ব্যাস্ত ছি‌লেন।

    শুক্রবার ১০ মার্চ সকাল থেকে সারাদিন ব্যা‌পি তিনি বি‌ভিন্ন কর্মসূ‌চি পালন ক‌রেন। কর্মসূ‌চির ম‌ধ্যে ছিল ২০০১ সাল পরবর্তী জামাত বিএন‌পির হা‌তে নিশংস হত্যার শিকার বি‌ভিন্ন‌ নেতাকর্মী এবং বর্ষীয়ান প্রয়াত আওয়ামী নেতাকর্মী‌দের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্দা নি‌বেদন।

    এছাড়া ত‌ি‌নি এলাকার সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নেন, ত্যাগী অবহেলিত সাবেক বর্তমান আওয়ামীলের নেতা কর্মীদের সা‌থে সৌজন‌্য সা‌ক্ষাত ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

    নিয়াজ মো‌র্শেদ এলিট জানান, ২০০১ সালে জামাত শিবিরের হাতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল হক চৌধুরী মোর্শেদ কোম্পানি ও নিজাম সওদাগরের কবর, ৭ নং কাটাছরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সফল প্রয়াত সভাপতি হাজ্বী আবুল বশ‌রের কবর, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও যুবলীগ নেতা এইচ.এম.রাশেদুলের প্রয়াত পিতা মোস্তাফা সাহাব উদ্দিন ও তার ছোট ভাই ফখরুল করিম রায়হানের কবর, কাটাছরা বিশিষ্ট আলেমে দীন হযরত মাওলানা নজির আহমেদ সাহেবের কবর, সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকের কবর জিয়ারত ক‌রেন। কবর জিয়ার‌তের মধ‌্যদি‌য়ে সক‌ল মরহু‌মের আত্মার মাগ‌ফেরাত কামন ক‌রেন ও মিরসরাই বাসী সহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের জন্য দোয়া করেন।

    এছাড়া তি‌নি বামন সুন্দর দারগা বাজার, ৭ নং কাটাছড়া, মহামায়া সহ বেশ ক‌য়েক‌টি ইউনিয়ন, বাজার ও গ্রাম প্রদ‌ক্ষিন ক‌রে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী‌দের সা‌থে সা‌থে সৌজন্য সাক্ষাত ও কুশল বি‌নিময় ক‌রেন। প্রয়াত ও নিহত আওয়ামী পরিবা‌রের সদস‌্যদের খবর‌ নেন।

    এসময় তার সঙ্গী‌ হি‌সে‌বে মিরসরাই উপ‌জেলা ছাত্রলীগ, যুবল‌ীগ ও আওয়ামল‌ী‌গের দেড়শতা‌ধিক ‌নেতাকর্মী উপস্থীত ছি‌লেন।

  • মিরসরাইয়ে দুলাভাইয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা, অপমানে নারীর আত্মহত্যা

    মিরসরাইয়ে দুলাভাইয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা, অপমানে নারীর আত্মহত্যা

    মিরসরাই প্রতিনিধি:::::মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানায় দেড় বছরের শিশুকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন এক নারী। ভাগ্যের জোরে শিশুটি বেঁচে গেলেও ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় নারীর দেহ। নিহতের নাম নাজমা বেগম (৩৫)। সে হিংগুলি ইউনিয়নের দক্ষিণ আজমনগর এলাকার মো: নুরুল হকের মেয়ে।

    বুধবার ( ৮ মার্চ) দুপুর দেড়টায় বারৈয়ারহাট কমফোট হাসপাতালের পেছনে রেললাইনের উপর আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে ।

    ঘটনার বিবরণে নিহতের মা মনোয়ারা বেগম জানান, তার ৫ মেয়ে, বাড়িতে অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মেয়েরা বাপের বাড়ি এসেছে । সোমবার অনুষ্ঠান শেষে সবাই শুয়ে পড়ে। রাত ৩টার দিকে নিহত ৪র্থ মেয়ে নাজমা বেগমের কক্ষে প্রবেশ করে বড় বোন রুজিনার স্বামী অটোচালক মানিক। বিষয়টি নাজমা বেগম তার স্বামী কাঠ মিস্ত্রি অপু মিয়াকে জানায়। মানিক প্রথম দিন গা ঢাকা দেয়। পরের দিন বিষয়টি নিয়ে দুই ভায়রার মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে । ভায়েরা মানিকের মারধরে ক্ষিপ্ত হয়ে অপু মিয়া স্ত্রীকে তালাক দেয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে দুই বোনের মধ্যেও ঝগড়া হয়। আজ মেয়েটা আত্মহত্যা করে চলে গেল । দেড় বছরের নাতিটা নিয়ে আমি এখন কোথায় যাবো!!

    নিহত নাজমা বেগমের স্বামী অপু মিয়া জানান, অনুষ্ঠান শেষে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি চলে যেতে চাই। স্ত্রী আরও দুই দিন বাপের বাড়ি থাকতে চাইলে তাকে রেখে নিজ বাড়িতে চলে যায়। পরদিন স্ত্রী ফোন করে বলে রাতে বড় দুলাভাই তার রুমে ঢুকে ঘুমের মধ্যে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসলে সে পালিয়ে যায়। ঘটনা শুনে স্ত্রীকে নিতে গেলে পরের দিন দুলাভাই ফেরত আসে। এ সময় নিজের স্ত্রী থাকতে অন্যের স্ত্রীর সাথে খারাপ কাজ করতে চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তার সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে। তখন রাগ করে শশুর বাড়ি থেকে কাজে চলে যাই। দুপুরে শুনতে পাই আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। আমি থানায় মামলা করবো, আমি এটার উচিত বিচার চাই। আমার দেড় বছরের শিশু কে এখন কে লালনপালন করবে। কাকে মা বলে ডাকবে !!

    অভিযুক্ত দুলাভাই মানিক শ্লীলতাহানির ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, নিহত নাজমা বেগম অসুস্থ ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। এতটুকু বলেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

    রেলওয়ে পুলিশের সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই অংশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই খোরশেদ আলম জানান, আহত শিশু কে স্থানীয় আশরাফুল আলম নামে এক ব্যক্তি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিজের তত্ত্বাবধানে নিয়ে ছিলেন । পরবর্তীতে তার সহায়তায় শিশুটিকে তার নানার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে । নিহতের মরদেহ রেলওয়ে পুলিশের হেফাজতে ময়নাতদন্তের কাজ চলছে। স্থানীয়দের কথায় আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে পেরেছি । মহিলার স্বামী যদি মামলা দায়ের করেন তাহলে উপযুক্ত বিচার পেতে তাকে সহযোগিতা করা হবে।