Tag: মির্জা আব্বাস

  • মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার

    মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে কোন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

    মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ।

    এর আগে সকালে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

    জানা যায়, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন আদালত বিভিন্ন সময়ে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

  • ফখরুল-আব্বাসসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    ফখরুল-আব্বাসসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নামের এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হওয়ার ঘটনায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়।

    রোববার রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

    এর আগে শনিবার (২৮ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দুপুরে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হলে একপর্যায়ে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।

    সংঘর্ষ চলাকালে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আমিরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

  • মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ৮৪৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

    মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ৮৪৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

    বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৮৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

    রোববার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় এ মামলা করেন ওই থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান। মামলায় এজহারনামীয় আসামি করা হয়েছে মির্জা আব্বাসসহ ৫৭ জনকে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ৭০০/৮০০ জনকে।

    মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার বিকেল ৩ টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিরোধী স্লোগান দেয়। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুর থানা এলাকায় বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে তারা। এ সময় আসামিরা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

  • ফখরুল-আব্বাস কারামুক্ত

    ফখরুল-আব্বাস কারামুক্ত

    রাজধানীর পল্টন থানায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস কারামুক্ত হয়েছেন। আজ সোমবার কেরানিগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তারা মুক্তি পান। আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিষয়টি জানিয়েছেন।

    এর আগে দুপুরে ঢাকার সিএমএম আদালতের জুডিশিয়াল মুন্সিখানায় তাদের হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের আদেশ এসে পৌঁছায়। এরপর তাদের আইনজীবী জামিননামা দাখিল করেন। মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি জানিয়েছেন।

    গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ তাদের ছয় মাসের জামিন দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। একইসঙ্গে কেন তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুলও জারি করেন আদালত। এরপর তাদের জামিন স্থগিত চেয়ে গত ৪ জানুয়ারি আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

    গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। তবে এ মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না। অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারের পর গত ৯ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

  • ফখরুল-আব্বাসের জামিন বহাল

    ফখরুল-আব্বাসের জামিন বহাল

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাই কোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

    রোববার (০৮ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    একইসঙ্গে হাই কোর্টে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।

    এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

    অন্যদিকে বিএনপির দুই নেতার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সগীর হোসেন লিয়ন।
    এর আগে, গত ০৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন।

    পরদিন (০৪ জানুয়ারি) জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর ০৮ জানুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।

    ঢাকায় গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে গত ০৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে জমায়েত হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ও শতাধিক আহত হন।

    বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে তখন ওই কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে। সেদিন মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার না করলেও পরদিন রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। একই রাতে আটক করা হয় মির্জা আব্বাসকেও। পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলা ও উসকানি দেওয়ার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

    আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১২ ডিসেম্বরও তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

    এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নিতে চাইলেও রিমান্ড নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৫ ও সর্বশেষ ২১ ডিসেম্বরও তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়। এরপরই উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়।

  • কারাগারে ডিভিশন চেয়ে মির্জা ফখরুল-আব্বাসের রিট

    কারাগারে ডিভিশন চেয়ে মির্জা ফখরুল-আব্বাসের রিট

    কারাগারে ডিভিশন চেয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন।

    মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস এ রিট দায়ের করেন। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে আজই রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে। আদালতে অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল তাদের পক্ষে শুনানি করবেন।

    গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২২৪ নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।

    রোববার (১১ ডিসেম্বর) আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিশেষ জামিন আবেদন করেন।

    ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে সেখানে অনেক ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
    এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। এ মামলায় মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

  • জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ফখরুল-আব্বাস

    জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ফখরুল-আব্বাস

    পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হলে আদালত এ আদেশ দেন।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় তাদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    এর আগে বিএনপির এই দুই নেতাকে আদালতে আনার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

    গত ৮ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে এ দুই নেতাকে বৃহস্পতিবার রাতে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখায় ডিবি পুলিশ।

    এদিকে, ১০ ডিসেম্বরের নয়াপল্টনের পরিবর্তে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস গ্রেপ্তার

    মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস গ্রেপ্তার

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

    পল্টন থানার মামলায় তাদের আদালতে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ডিবিপ্রধান। গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের ওপর হামলা-পরিকল্পনা-উসকানির অভিযোগে করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৮ তারিখের ঘটনায় তাদের নির্দেশদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার করেছি।’

    গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান জানান, রাত ৩টার পরে মির্জা ফখরুলকে তার উত্তরার বাসা থেকে এবং ৩টা ২০ মিনিটে মির্জা আব্বাসকে তার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।

  • মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটকের অভিযোগ

    মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটকের অভিযোগ

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আটকের অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজ নিজ বাসা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।

    বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান অভিযোগ করেন, শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল উত্তরার বাসা থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে। ডিবির কর্মকর্তারা ‘উপরের নির্দেশ’ আছে বলে তাকে নিয়ে যায়।

    প্রায় কাছাকাছি সময়ে মির্জা আব্বাসকেও তার বাসভবন থেকে ডিবি পুলিশের সদস্যরা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এমন অভিযোগ করেছেন।

    শামসুদ্দিন দিদার অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় যায় পুলিশ। রাত সোয়া ৩টার দিকে তাকে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়।

    বিএনপি’র অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এসএমএস দিলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এছাড়া মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের (গোয়েন্দা) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

    রাত ৪টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বশীল সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব ও মির্জা আব্বাসকে ডিবি অফিসে নেওয়া হয়েছে।’

  • মির্জা আব্বাস দম্পতি করোনায় আক্রান্ত

    মির্জা আব্বাস দম্পতি করোনায় আক্রান্ত

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    আব্বাসের ব্যক্তিগত সহকারী আসিফ সোহান বুধবার বলেন, ‘তারা (আব্বাস এবং আফরোজা) কিছুদিন অসুস্থ থাকায় করোনার পরীক্ষা করেছেন। আমরা বুধবার তাদের পরীক্ষার ফলাফল পেয়েছি এবং তারা উভয়ইয়ের করোনা পজেটিভ এসেছে।’

    তিনি জানান, শাহজাহানপুরের বাসায় চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী এই দম্পতি চিকিৎসা নিচ্ছেন। আসিফ বলেন, আব্বাস ও আফরোজা সুস্থ আছেন। তাদের বড় ধরনের কোনো জটিলতা নেই।

    এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান এম শাহজাহান ও তার স্ত্রী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শামা ওবায়েদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা সম্প্রতি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশে মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪ জনে।

    এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৫১৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৬৪ জনে। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাব: আমিরাতে মির্জা আব্বাস

    দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাব: আমিরাতে মির্জা আব্বাস

    আরব আমিরাত প্রতিনিধি : দেশের ভাবমূর্তি উজ্জলে কাজ করার আহব্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেন, প্রবাসে আপনারা শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।তাই দলের জন্য সবসময় কাজ করে যাবেন। দলের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হলে নিজেরাই সংশোধন করে নিবেন।

    তিনি বলেন,বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার নেই। দেশে চলছে একদলীয় শাসন। তাঁর বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নেতাকর্মীদের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। খুব শীঘ্রই জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

    সোমবার (২ মার্চ) শারজায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী রাখার প্রতিবাদে সারজার স্থানীয় একটি হোটেলে আয়েজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি একথা বলেন।

    সংগঠনের সভাপতি জাকির হোসাইন এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের প্রথম যুগ্ম সম্পাদক
    প্রকৌশলী মাহে আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন- ইউ এ ই বিএনপির সাবেক আহবায়ক প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন, ইউ এ ই বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল ছালাম তালুকদার, প্রথম সহ-সভাপতি নুরুল আলম, সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এনাম,সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম নওয়াব,সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রফিক।

    সূচনা বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রুপু। সঞ্চালনায় প্রথম যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী মাহে আলম।

    বক্তব্য রাখেন ইউএই বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান,এস,এম ফারুক
    ,বেলাল উদ্দিন, নীলরতন দাস,এরশাদুল আলম,মোঃ ইউসুফ, সাইমুম রানা,নিজাম উদ্দিন, গাজী জাকের,শাহেদ আহম্মেদ রাসেল,মোঃ কয়েস,শারজাহ বিএনপি সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার করিমুল হক, আজমান বিএনপি সভাপতি শাহিনুর শাহীন, দুবাই বিএনপির সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌদুরী সহ বিএনপি কেন্দ্রীয় ইউএই ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

     

  • খোকাকে নিয়ে মির্জা আব্বাসের ‘অশ্রুসিক্ত’ ফেসবুক স্ট্যাটাস

    খোকাকে নিয়ে মির্জা আব্বাসের ‘অশ্রুসিক্ত’ ফেসবুক স্ট্যাটাস

    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কে মেমরিয়্যাল স্লোন ক্যাটারিং ক্যান্সার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন।

    বিএনপির এই নেতার অসুস্থতা নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

    তার লেখা এই লেখা বিএনপির কর্মী সমর্থকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

    মির্জা আব্বাস লিখেছেন, প্রিয় খোকা এই মাত্র আমি জানতে পারলাম যে তোমার শরীর খুব খারাপ তুমি হাসপাতালে শয্যাশায়ী। জানার পর থেকে আমার মানষিক অবস্থা যে কতটা খারাপ এই কথাটুকু কারো সঙ্গে শেয়ার করবো সেই মানুষটা পর্যন্ত আমার নেই। তুমি আমি একসঙ্গে রাজনীতি করেছি অনেক স্মৃতি আমার চোখের সামনে এই মুহুর্তে ভাসছে। তোমার আর আমার দীর্ঘ এই পথচলায় কেউ কেউ তাদের ব্যাক্তি স্বার্থে তোমার আর আমার মাঝে একটা দুরত্ব তৈরী করে রেখেছিল, তবে তুমি আর আমি কেউই সেই দুরত্ব রয়েছে বলে কখনোই মনে করিনি।

    আমি জানিনা, তোমার সাথে আমার আর দেখা হবে কিনা। আমার এই লিখাটি তোমার চোখে পরবে কিনা বা তুমি দেখবে কিনা তাও আমি জানিনা, তবে বিশ্বাস করো তোমার শারীরিক অসুস্থতার কথা জানবার পর থেকেই বুকেরটা ভেতরটা কেন যেনো ভেঙ্গে আসছে। আমি বার বার অশ্রুসিক্ত হচ্ছি। মহান আল্লাহ্ তায়ালার কাছে দুহাত তুলে তোমার জন্য এই বিশ্বাস নিয়ে দোয়া করছি, তিনি অবশ্যই তোমাকে সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনবেন।

    তুমি আর আমি কাধে কাধ মিলিয়ে, বুকে বুক মিলিয়ে রাজনীতির মাঠে কাজ করে যাব। নাহয় সেই আগের মতোই স্বার্থপর কোনো মানুষদের জন্য আব্বাস আর খোকা বাইরে বাইরে দুরত্বের সেই অভিনয়টা করে যাবে, আর ভেতরে থাকবে দুজনের প্রতি দুজনের অন্তর নিংরানো ভালবাসা। আল্লাহ্ তোমার সুস্থতা দান করুক।
    তুমি ফিরে এসো খোকা, তুমি ফিরে এসো।
    আমি অপেক্ষায় থাকবো।।
    ….মির্জা আব্বাস।
    (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)