Tag: মির্জা ফখরুল

  • মির্জা ফখরুলকে ‘মিস’ করছেন ওবায়দুল কাদের

    মির্জা ফখরুলকে ‘মিস’ করছেন ওবায়দুল কাদের

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জেলে থাকায় বাকযুদ্ধের জবাবের অনুপস্থিতি উপলব্ধি করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মনোভাব প্রকাশ করেন তিনি।

    কারাগারে থাকায় মির্জা ফখরুল ইসলামকে মিস করছেন কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘না… থাকলে ভালো হতো। এই যে… মানে এটা… এমন একটা বিষয় যে কথাবার্তার মধ্য দিয়ে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা। এতে গণতন্ত্রই লাভবান হয়। এখন এখানে আইনের ব্যাপার যখন বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তখন তো করণীয় কিছু নেই, থাকলে ভালো হতো। উনি আমার কথার জবাব দেন, আবার আমি তার কথার জবাব দিই। এটা তো এক ধরনের… এটা একটা ইন্টারেকশন এক্সচেঞ্জ। এটা একটা ফাইন এক্সচেঞ্জ।’

    ‘আমি অভ্যাসগতভাবে মিস করা বলি, ঐভাবে বলতে চাই না। আমি বলছি, উনার সঙ্গে প্রতিদিনই যে কথাবার্তা, যে কাউন্টার হয়। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনিও আক্রমণ শানিত করেন। তো সেটার জবাব দিতে ভালো লাগে। আক্রমণ শানিত করলে তার সঠিক উত্তরটাও আমাদের দিতে হয়। সেদিকটা অবশ্যই এখন অনুপস্থিত। এটা ঠিক। মিস-টিস এগুলা বলতে চাই না।’

    তিনি বলেন, ‘সারা দেশে আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপি কোন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, এটা আমাদের প্রশ্ন। এটা নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে নাশকতার মাধ্যমে বানচাল করা।’

    ‘আজ তারা গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, তারা কিছু প্ল্যান তৈরি করে রেখেছে, তারা চায় গুপ্ত হামলা, গুপ্ত হত্যা। আজ বাসে আগুন দিয়ে নাশকতা সৃষ্টি– এসব অপকর্ম বিএনপির দোসররা করতে চায়। এর জন্য আমরা সতর্ক পাহারা আরও জোরদার করেছি।’

    বিএনপির নাশকতা প্রতিরোধে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থারও দায়িত্ব আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের দায়িত্ব পালন করবে। এ নির্বাচন আমাদের সফল করতে হবে, শান্তিপূর্ণ করতে হবে। ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।’

    ‘এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য সমমনা সবার সঙ্গে আমরা বসছি, আলাপ আলোচনা করে যাচ্ছি। দেশের মানুষকে ভয়ভীতির মধ্যে রাখার চক্রান্ত করছে বিএনপি। এর মধ্যেই ব্যাপক ভোটার উপস্থিত করতে হবে। তারা যতই নাশকতা করুক, মানুষ নির্বাচনমুখী, মানুষ ভোট দিতে উন্মুখ। উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অন্যরা ভেবেছিল বড় দল নেই, নির্বাচনের পরিবেশ ম্লান হয়ে যাবে, ভোটে জাগরণের ঢেউ থাকবে না। নির্বাচন কেন্দ্রিক উৎসবমুখর পরিবেশ অব্যাহত রয়েছে। ৭ জানুয়ারি ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতিতে ভালো নির্বাচন হবে।’

    কাদের বলেন, ‘আমরা এ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে আরও পারফেক্ট করব, আমাদের গণতন্ত্র বিকাশমান। পৃথিবীর কোথাও গণতন্ত্র পারফেক্ট নয়। আমাদের ত্রুটিবিচ্যুতি যাই আছে, এসব দূর করে আমরা গণতন্ত্রের পথকে আরও মসৃণ করব।’

    জোট নিয়ে তিনি বলেন, ‘জোট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের শঙ্কা, গুজব আছে। আমরা সতর্ক আছি। গুজব, গুঞ্জন, সন্ত্রাস, সহিংসতা আমাদের বিভ্রান্ত করতে পারবে না। আমরা বিচলিত হব না, আমরা সব জেনে শুনেই নির্বাচনে।’

    ‘নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে, আমাদের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প পথ নেই। নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতির মাধ্যমে নির্বাচন বিরোধী অপতৎপরতার জবাব দেব।’

    জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে কোনো শঙ্কা আছে কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আমাদের তারা তো বলেছে, তারা নির্বাচনে আছে, জোটে থাকতে চায়। তারা তো সরে যাবে বলেনি। সরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে, এটা নিয়ে আমরা আরও নিশ্চিত হতে চাই। ১৭/১৮ তারিখ পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করি। অস্বস্তির কিছু নেই।’

    ‘এটাও আমাদের আরেকটা নতুন অভিজ্ঞতা, কি হবে জোট প্রার্থী যারা হবে, সেখানে স্বতন্ত্র আছে।’

    দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাহস দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উঠিয়ে দিতে পারব না। এখন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে। আমরা তো জোর করে বসিয়ে দিতে পারি না। এখানে আপস করার সুযোগ নেই।’

    বিএনপি নেতা রিজভীকে উদ্দেশ করে কাদের বলেন, ‘এই যে বিএনপির বর্তমান অনাবাসিক প্রতিনিধি রিজভী আহমেদ ১০-১২ জন লোক নিয়ে বের হয়। কি করে, অসুস্থ একটা লোক। রিজভীকে দেখেও আমরা না দেখার ভান করি।’

    জামায়াত-বিএনপি শেষ পর্যন্ত কি করতে পারে বলে মনে করেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে তারা এক মোহনায় একাকার হবে। বিএনপি মানে জামায়াত, আর জামায়াত মানে বিএনপি। দুঃখ হয়, বিএনপির বি টিম জামায়াত থেকে ক’দিন পর জামায়াতের বি টিম হয়ে যাবে বিএনপি।’

    এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সদস্য মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।

  • মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর

    মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর

    গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় কারাগারে আটক থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

    বুধবার (২২ নভেম্বর) মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, মো. আসাদুজ্জামান, বদরুদ্দোজা বাদল। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

    গত ২ নভেম্বর একই আদালতে তার পক্ষে জামিন আবেদন দাখিল করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জামিন শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। তবে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষ ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরে জামিন শুনানি দুদিন পিছিয়ে আজ দিন ধার্য করেন।

    কারাবন্দি মির্জা ফখরুলের সঙ্গে স্ত্রী-কন্যার সাক্ষাৎ
    গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

    ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।

    পরদিন ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ মহিদ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসমাবেশ কর্মসূচি ডাক দিয়ে শর্ত ভঙ্গ, পুলিশ হত্যা, নাশকতা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এসব ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করা হয়েছে। দিনভর ডিবি কার্যালয়ে রাখার পর রাতে আদালতে তোলা হয় বিএনপি মহাসচিবকে।

  • সমাবেশস্থলের সহিংসতার ঘটনায় মির্জা ফখরুলকে আটক করা হয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সমাবেশস্থলের সহিংসতার ঘটনায় মির্জা ফখরুলকে আটক করা হয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপির সমাবেশস্থলে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় দলটির নেতারা এর দায় এড়াতে পারেন না। এ জন্য মির্জা ফখরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। রোববার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এর আগে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে গুলশানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার গুলশানের বাসা থেকে তুলে নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন।

    এদিকে রাত থেকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে।

    শামসুদ্দিন দিদার বলেন, পুলিশ বাড়ির প্রধান গেট ভাঙার চেষ্টা করেছে। যে কোনো সময় ভেতরে ঢুকে মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে যেতে পারে।

  • মির্জা ফখরুলকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে

    মির্জা ফখরুলকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বাসা থেকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে গেছে পুলিশ। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে তার গুলশানের বাসা থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, সকালে ডিবি পুলিশের লোকজন বাসায় আসে। মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বাসার সবার সাথে কথা বলে। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, হার্ড ডিস্ক নিয়ে চলে যায়। ঠিক ১০ মিনিট পর আবার ফিরে এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

    তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল প্রচন্ড অসুস্থ। তার চিকিৎসা চলছিল। এভাবে নিয়ে যাবে মেনে নিতে পারছি না। ৭৫ বছর বয়স্ক মানুষ। আশা করব, যদি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, তা করে যেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    এর আগে মির্জা ফখরুলকে আটক করতে সকাল থেকে তার বাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয় বলে জানায় বিএনপি।

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার গুলশানের বাসা থেকে তুলে নিতে মহাসচিবের গুলশানের বাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন।

    এদিকে রাত থেকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে।

    শামসুদ্দিন দিদার বলেন, পুলিশ বাড়ির প্রধান গেট ভাঙার চেষ্টা করছে। যে কোনো সময় ভেতরে ঢুকে মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে যেতে পারে।

  • মির্জা ফখরুলকে মিথ্যায় নোবেল দেয়ার দাবি জানালেন কাদের

    মির্জা ফখরুলকে মিথ্যায় নোবেল দেয়ার দাবি জানালেন কাদের

    মিথ্যায় যদি নোবেল প্রাইজ থাকতো তাহলে মির্জা ফখরুল নোবেল পেতেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সেতু ভবনে সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন। তিনি বলেন, ডোনাল্ড লুর বক্তব্য নিয়ে মিথ্যাচার করছে দলটি। কোনো দেশের রাষ্ট্র বা দলকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোন বিধান কারও নেই।

    কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অবিরাম কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নিয়ে এখনও সংসদীয় বা দলীয় কোন ফোরামে আলোচনা হয়নি। সময় আসলে সেটা নিয়ে আলোচনায় বসবে আওয়ামী লীগ।

     

  • ফখরুল-আব্বাস কারামুক্ত

    ফখরুল-আব্বাস কারামুক্ত

    রাজধানীর পল্টন থানায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস কারামুক্ত হয়েছেন। আজ সোমবার কেরানিগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তারা মুক্তি পান। আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিষয়টি জানিয়েছেন।

    এর আগে দুপুরে ঢাকার সিএমএম আদালতের জুডিশিয়াল মুন্সিখানায় তাদের হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের আদেশ এসে পৌঁছায়। এরপর তাদের আইনজীবী জামিননামা দাখিল করেন। মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি জানিয়েছেন।

    গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ তাদের ছয় মাসের জামিন দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। একইসঙ্গে কেন তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুলও জারি করেন আদালত। এরপর তাদের জামিন স্থগিত চেয়ে গত ৪ জানুয়ারি আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

    গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। তবে এ মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না। অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারের পর গত ৯ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

  • ফখরুল-আব্বাসের জামিন বহাল

    ফখরুল-আব্বাসের জামিন বহাল

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাই কোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

    রোববার (০৮ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    একইসঙ্গে হাই কোর্টে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।

    এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

    অন্যদিকে বিএনপির দুই নেতার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সগীর হোসেন লিয়ন।
    এর আগে, গত ০৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন।

    পরদিন (০৪ জানুয়ারি) জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর ০৮ জানুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।

    ঢাকায় গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে গত ০৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে জমায়েত হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ও শতাধিক আহত হন।

    বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে তখন ওই কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে। সেদিন মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার না করলেও পরদিন রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। একই রাতে আটক করা হয় মির্জা আব্বাসকেও। পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলা ও উসকানি দেওয়ার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

    আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১২ ডিসেম্বরও তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

    এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নিতে চাইলেও রিমান্ড নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৫ ও সর্বশেষ ২১ ডিসেম্বরও তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়। এরপরই উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়।

  • শুধু র‍্যাবকে নয়, শেখ হাসিনার সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে: মির্জা ফখরুল

    শুধু র‍্যাবকে নয়, শেখ হাসিনার সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে: মির্জা ফখরুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকের সমাবেশ প্রমাণ করেছে, ভয় দেখিয়ে চট্টগ্রামবাসীকে দমিয়ে রাখা যায়নি। চট্টগ্রাম থেকে সূচনা হয়েছে। এবার সারা বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠবে। বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে গদি থেকে নামিয়ে আনবে। আমাদের আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। আন্দোলনের মূল লক্ষ্য- শেখ হাসিনাকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে। শেখ হাসিনাকে জনগণ আর একদিনও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই আন্দোলন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাব।

    তিনি বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর পলোগ্রাউন্ড ময়দানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে ৫ জন নেতাকে হত্যা ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, এই সরকার পুলিশ, র‌্যাব, প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে। দেশে আজ কারও নিরাপত্তা নেই। দিনে-দুপুরে মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি হচ্ছে। গুম, খুন, বিনা বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ পরিস্কার করে বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে- এদেশে কোনো মানবাধিকার নেই। র‌্যাব একটা প্রতিষ্ঠান, সেটাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমরা বলতে চাই, শুধু র‌্যাবকে নয়, শেখ হাসিনার সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। এই সরকার অনির্বাচিত সরকার। এই সরকারের কোনো ম্যান্ডেট নেই। আগের রাতে ভোট নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করেছে। এই সরকার বাংলাদেশকে শ্মশানে পরিণত করেছে।

    ফখরুল বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর হয়ে গেছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্রের জন্য। সেই গণতন্ত্রকে আওয়ামী লীগ নির্বাসনে পাঠিয়েছে। আমরা আবার যুদ্ধ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। এ লড়াই বড় কঠিন লড়াই, বড় শক্ত লড়াই। এ লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে। আমরা যদি প্রতিরোধ করতে না পারি, তাহলে এদেশের মানুষ তাদের অধিকার, গণতন্ত্র ফিরে পাবে না। এটা বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবকিছু লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে। শেখ হাসিনা ১০ টাকায় চাল দেবে বলেছিল, এখন চালের দাম ৭০ টাকা। চাল, ডাল, তেল, নুন, মাছ, মাংস সবকিছুর দাম তিন থেকে পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের দাম কয়েকবার বাড়িয়েছে। এখন শুনতে পাচ্ছি, বিদ্যুতের দাম নাকি আবার বাড়াবে। বারবার দাম বাড়াতে হচ্ছে কেন ? কারণ তারা টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। এখন আবার শেখ হাসিনা বলছেন- দুর্ভিক্ষ আসছে, আপনারা কম খান। আমরা বলি- দেশ চালাতে না পারলে ছেড়ে দিয়ে এখনই চলে যান।

    সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার সকল রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ভোটের আয়োজন করবে। জনগণ ভোট দিয়ে একটি সংসদ নির্বাচিত করবে, যেটা হবে জনগণের সংসদ। জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করুন। ডিসি-এসপিরা নির্বাচন কমিশনারকে মানে না। এরা কিভাবে নির্বাচন করবে ? নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

    তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়া আজ বন্দী। উনাকে রাজনৈতিক সাজা দেয়া হয়েছে। তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা করে তাকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। তারেক রহমানকে সসম্মানে দেশে ফিরিয়ে আনব। আমার দেশ বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনব, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান দেখেছেন। আমরা ক্ষমতায় গেলে চাল-ডালসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাব। বিদ্যুতের দাম কমিয়ে আনব। বেকারদের চাকরির ব্যবস্থা করব। যত সংকট সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো সমাধান করব।

    ফখরুল বলেন, আমাদের একজন নেতাকর্মীও মামলা ছাড়া নেই। সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য আমাদের পাঁচজন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। এরা সবাই সাধারণ মানুষ। কেউ অর্থবিত্তের মালিক নয়। এরা পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে বলেছে- গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য বুক পেতে দিয়েছি, গুলি কর। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। এই দেশকে আমরা মুক্ত করবোই।

    বিশেষ অতিতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার আমাদের নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসতে পথে পথে বাধা দিয়েছে। হামলা করেছে, গাড়ি ভাংচুর করেছে। কিন্তু সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আজকের সমাবেশকে জনতা মহাসমাবেশে পরিণত করেছে। সরকারের প্রচেষ্টা সফল হয়নি। এই সরকার আমাদের ৩৭ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। গুম, খুন, বিনা বিচারে হত্যা করেছে। তারপরও একজন কর্মীও বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়নি। সরকার বিএনপিকে দমাতে পারেনি।

    তিনি বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ করছি। এসব দাবি শুধু বিএনপির দাবি নয়, ১৮ কোটি মানুষের দাবি। পুলিশ ভাইদের বলব- আপনারা আমাদের বাধা দেন কেন ? আপনারা তো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আপনারা ভোটচোরদের স্বার্থরক্ষা করেন কেন ? সরকারকে বলতে চায়- বারবার ভোটচুরি করে ক্ষমতায় আসা যাবে না।

    এই সমাবেশ থেকে শেখ হাসিনার পতনের সংগ্রাম শুরু হয়েছে। এদেশে যতবার গণতন্ত্র সংকটের মুখে পড়েছে জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরাই সেই সংকট থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়ে গিয়েছিলেন। নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পুলিশ বলছে- লাঠি নিয়ে মিটিংয়ে আসা যাবে না। পুলিশকে এই অধিকার কে দিয়েছে? সংবিধানে কোথায় লেখা আছে সভা-সমাবেশ করা যাবে না ? পুলিশ জনগণের সেবক। জনগণের টাকায় পুলিশের বেতন হয়। পুলিশকে মনে রাখতে হবে, তারা শেখ হাসিনার কর্মচারী নয়। পুলিশকে বলব, আপনি বন্দুক নামিয়ে ফেলুন, আমাদের ছেলেরা লাঠি নামিয়ে ফেলবে।

    সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দু’বেলা দু’মুঠো ভাতের জন্য মানুষ আজ রাস্তায় নেমেছে। মানুষের পেটে ভাত দিতে পারে না, ক্ষমতায় থাকে কেন ? শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হননি, তিনি বাংলাদেশের জনগণের প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি লুটেরা-দুর্নীতিবাজদের প্রধানমন্ত্রী। এই সরকারকে আর প্রহসনের নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। অবিলম্বে সংসদ বাতিল করতে হবে। এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। কালকেই নির্বাচন কমিশনারগুলোকে বিদায় করেন। লুটপাট-অর্থপাচার অনেক হয়েছে, এবার বিদায় নেন। জনগণের একটাই দাবি- শেখ হাসিনার পতন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটাই স্লোগান- হঠাও মাফিয়া, বাঁচাও দেশ, টেক ব্যাক বাংলাদেশ।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমদু চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার বিদায়ের বার্তা এসে গেছে। চট্টগ্রামবাসী পরিস্কার বার্তা দিয়েছে, শেখ হাসিনা এখনই পদত্যাগ করুন, এখনই করুন, এখনই করুন। আগামীকাল নয়, পরশু নয়, আজই পদত্যাগ করুন, চট্টগ্রামবাসী রায় দিয়েছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের আর একদিনও ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। আমাদের নেতাকর্মীরা জীবন দেয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছে। জীবন দেব, গণতন্ত্র আনব, শেখ হাসিনার পতন হবে, নিরপেক্ষ সরকার আসবে, সেই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, জনগণের ভোটে সরকার গঠন হবে। এইবার যখন নেমেছি, আর বাড়ি ফিরে যাব না। যেভাবেই হোক, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক-রাজনৈতিক-সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনব।

    স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, সরকার খালি উন্নয়নের কথা বলে। এত উন্নয়ন উন্নয়ন করেন, এই উন্নয়ন তো এখন বাংলাদেশের মানুষের গলার ফাঁস হয়ে গেছে।

    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশে খালেদা জিয়ার সরকার চলবে। যারা খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানোর হুমকি দিচ্ছেন, ১০ ডিসেম্বরের পর তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। চট্টগ্রাম থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হলো।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনের দেওয়া বক্তব্যের উল্লেখ করে বলেন, একজন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ঠিকিয়ে রাখার ভারতের সহযোগীতা চায়। আর একজন বলেন পুলিশ হচ্ছে আওয়ামী বান্ধব। পুলিশ না হলে আওয়ামীলীগ এতোদিন ক্ষমতায় থাকতে পারতো না। তাদের এই বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের আর কোন রাজনীতিই থাকে না। ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকরাই এখন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করছে। আজকের সমাবেশ প্রমান করেছে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নাই।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা.শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারর্পানের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খোন্দকার, ভিপি জয়নাল আবেদীন, এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুউদ্দীন খোকন।

    বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মৎসজীবী সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ, সহ গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মজনু, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, কৃষকদলের সভাপতি জাফিরুল ইসলাম তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, তাতীদলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাচিং প্রু জেরী, আলমগীর মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, লক্ষীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাবুদ্দীন সাবু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দিপেন তালুকদার, ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দীন আলাল, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, কেন্দ্রীয় জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, মহিলাদলের যুগ্ম সম্পাদক শাহানা আকতার শানু, ওলাৃাদলের মাওলানা নেসারুল হক, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, বিএনপি নেতা আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, এনামুল হক এনাম, জসিম উদ্দিন শিকদার, ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, নুরুল আমিন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, কাজী সালাউদ্দিন প্রমূখ।

  • জাতীয় পার্টির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি : মির্জা ফখরুল

    জাতীয় পার্টির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি : মির্জা ফখরুল

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের এখনও ফরমাল (আনুষ্ঠানিক) কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা যুগপথ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছি, আন্দোলনের মাধ্যমেই ভবিষ্যতে কী হবে, তা নির্ধারিত হবে। আলোচনার দরজা খোলা আছে, রাজনৈতিক দল ব্যক্তি, সংগঠন, যারাই এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে, তাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমরা যুগপৎ আন্দোলন করব।’

    বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের মূলকথা অনেক আগেই বলেছি যে, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই সংসদ বাতিল করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, যাদের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, তারা সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোটের পরিবেশ তৈরি করবে যাতে ভোটাররা ভোট দিতে পারে দিনে‌। তার সঙ্গে আমাদের নেতা বলেছেন, আমরা নির্বাচনের পরে আন্দোলনকারী দলগুলোর সমন্বয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করব। প্রধান কারণ হচ্ছে, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের যে ক্ষত সৃষ্টি করেছে সেগুলোকে এককভাবে গড়ে তোলাটা সমুচিত হবে না তাই অন্যান্য দলগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই।’

    প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পুলিশের ভূমিকা নির্ভর করবে সরকারের ভূমিকার উপরে। সরকার যে সিদ্ধান্ত দিচ্ছে, সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ করতে হয়। বারবার বলার চেষ্টা করেছি যে, পুলিশ প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠান, তার মৌলিক দায়িত্বগুলো হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা নাশকতা বন্ধ করা। কিন্তু বাংলাদেশের তাদের দায়িত্ব একটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে, নির্দেশ আসে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা গায়েবি মামলা দেওয়া।’

    মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ, হামলা করছে আওয়ামী লীগ, আর সেখানে পুলিশ বাদী হয়ে উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীর নামে মামলা দিচ্ছে। সরকার যদি চায়, এখানে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে, তাহলেই এটা হতে পারে। আমাদের দাবি একটাই, বলছি পরিবেশ তৈরি করো, একটি নিরপেক্ষ অবস্থা তৈরি করো, ভোটাররা যাতে তাদের ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রতিনিধিকে বেছে নিতে পারে।

    এন-কে

  • লুটপাট করতেই এত বড় বাজেট : মির্জা ফখরুল

    লুটপাট করতেই এত বড় বাজেট : মির্জা ফখরুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের বাজেট বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। এই লুটেরা, দুর্বৃত্ত সরকারের বাজেট মানেই টাকা লুট। আরও টাকা লুট করা। তাই বাজেট নিয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। জনগণের জন্য নয়, লুটপাট করতেই এত বড় বাজেট দিয়েছে সরকার।

    সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।

    বাংলাদেশে নির্বাচনব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়া আদালতে ন্যায়বিচার পাননি। বিচারিক–সন্ত্রাসের কারণে তিনি আজ গৃহে অন্তরীণ। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। দলীয় তদন্ত কর্মকর্তা দিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। একটা মামলায় তারেক রহমান খালাস পেলেন। যে বিচারক খালাস দিলেন, তাঁকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। এই বিচারব্যবস্থা নিয়ে আমরা কী করতে পারি?’

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই যে নির্বাচনব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেল, সংবিধান শেষ হয়ে গেল, এর জন্য দায়ী কিন্তু বিচার বিভাগের বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক।’

    তাঁর কারণে জাতি আজ ধ্বংসের দিকে। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেল, তখন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, এই জাতিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হলো। আজ সমস্ত মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। আজ মানুষ তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেন না।’

    পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘পদ্মা সেতু হয়েছে ভালো কথা। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা বলছেন, আমি, আমরা তৈরি করেছি। কেন করেছেন? কেন করতে হয়েছে? কারণ, আপনারা চুরি করতে গিয়েছিলেন। বিশ্বব্যাংক টাকা দেবে বলেছিল। কিন্তু সেই বিশ্বব্যাংক আপনাদের কাছ থেকে টাকা তুলে নিল কেন? ঘটনা তো সত্য। মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হয়েছিল। এটাই বাস্তবতা।’

    প্রতিটি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকে এবং এই পদ্মা সেতুর প্রথম ফিজিবিলিটি খালেদা জিয়া সরকারের আমলে শুরু হয়েছিল দাবি করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৫ সালে জাপান সফরকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পদ্মা সেতুর ফান্ডিংয়ের (অর্থায়ন) ব্যাপারে তিনি (খালেদা জিয়া) কথা বলেছিলেন। পদ্মা সেতুর ভূমি অধিগ্রহণও খালেদা জিয়া সরকারের আমলে হয়েছিল। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে তিনি আর সেটা করতে পারেননি।’

    এখন কেউ কথা বলতে সাহস পায় না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষ কথা বলতে ভয় পায়। একেই বলে সত্যিকারের ফ্যাসিজম। কিছুদিন আগেও অনেক শ্রদ্ধাভাজন মানুষ টক শোতে কথা বলতেন। পত্রিকায় লেখালেখি করতেন। এখন কিন্তু কেউ কথা বলছেন না। এখন জীবনের নিরাপত্তা নেই।’

    পাকিস্তান মিলিটারি শাসনের দেশ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘পাকিস্তানের বিচার বিভাগ কত শক্তিশালী, তাদের আইনজীবীরা শক্তিশালী। আর বিচার বিভাগ এতই শক্তিশালী যে তারা সরকার পরিবর্তন করে দিতে পারে।’

    পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় আইনজীবীদের রিমান্ডে নেওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘একজন আইনজীবীকে যদি রিমান্ডে যেতে হয়, তাহলে আমরা কোথায় যাব? কোথায় বিচার পাব? এটা কীভাবে সম্ভব? আওয়ামী লীগ বিচারব্যবস্থাকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, কোনো মানুষের বিচার পাওয়ার সুযোগ নেই।’

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিএনপি নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহআইন সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, ইকবাল হোসেন, আইনজীবী বোরহান উদ্দিন, আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী প্রমুখ।

  • কাদেরকে ফখরুলের সতর্কবার্তা

    কাদেরকে ফখরুলের সতর্কবার্তা

    আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, উল্টোপাল্টা কথা না বলে অতীত থেকে শিক্ষা নিন, না হলে আপনাদের পতন অনিবার্য।

    শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।

    বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী এবং জাগপা প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘আগ্রাসন প্রতিরোধ ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা। প্রধান অতিথি হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামের ভুল বানান ব্যানারে দেখা যায়।

    মির্জা ফখরুল বলেন, আমি ওবায়দুল কাদেরকে সতর্ক করতে চাই। আপনারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেন না। এবার একটু শিক্ষা নেন।

    ১৯৭৪ সালে আওয়ামী শাসনে দুর্ভিক্ষের কথা স্মরণ করিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তখন খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছিল, হাহাকার দেখা দিয়েছিল। আজকে আবার খাদ্যশস্যের দাম বাড়ছে। খাদ্যের দাম বাড়ছে। মানুষের হাহাকার শুরু হয়ে গেছে।’

    ওবায়দুল কাদেরকে উল্টোপাল্টা কথা না বলার পরামর্শ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে আসুন। গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন। মানুষকে কথা বলতে দিন। অধিকার প্রয়োগ করতে দিন। তা না হলে আপনাদের যে পরিণতি হবে সেটি হবে ভয়ানক। সেই ভয়ানক পরিণতি যাতে না হয় তার জন্য এখন থেকে জনগণের অধিকারকে ফিরিয়ে দেন। মানুষ হত্যা বন্ধ করেন। মিথ্যা মামলা দেয়া বন্ধ করেন। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন। তা না হলে আপনাদের কোনোদিন মুক্তি হবে না।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অতীতের মতো আবারো খাদ্যের দাম বাড়ছে। দেয়ালের লিখন পড়ুন নয়তো সরকারের ভয়ানক পরিণতি হবে। গুম-খুন নির্যাতনের পথ থেকে সরে আসুন। নয়তো পতন অনিবার্য।

    দব্যমূল্যের ঊর্ধগতির কারণে দেশের মানুষ আজ হাহাকার করছে। তাই ইতিহাস থেকে ওবায়দুল কাদেরকে শিক্ষা নিয়ে দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

    সেইসাথে দেশের সকল বাম-ডান রাজনৈতিক দলকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকার সহজেই বিদায় হবে না। তাদেরকে বিদায় করতে হবে। তার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। আবারো একটা যুদ্ধ করে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হবে। এই সরকার বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে নির্বাচন ব্যবস্থা সব ধ্বংস করেছে। একক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তাই এদের অধীনে আর কোনো নির্বাচন না।

    বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, সরকারের শুধু কারসাজি নয়, তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততায় চালের দাম বেড়েছে। সরকারের মন্ত্রীও স্বীকার করেছেন যে, সিন্ডিকেটের কারণে দাম বাড়ছে।

    জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত এর সঞ্চালনায় সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপি একাংশের সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

  • বিএনপিকে কোনো ভয়-ভীতি দমন করতে পারবে না : মির্জা ফখরুল

    বিএনপিকে কোনো ভয়-ভীতি দমন করতে পারবে না : মির্জা ফখরুল

    ‘বর্তমান সরকার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে’—এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজ আমরা শপথ নিয়েছি—কোনো ভয়-ভীতি আমাদের দমন করতে পারবে না। বাংলাদেশকে কখনও দমন করতে পারেনি।’

    আজ সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদতবার্ষিকীতে তাঁর সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সব কিছু মোকাবিলা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে জনগণের সরকার গঠন করতে সক্ষম হব।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর মাজার জিয়ারত করতে এসেছিলাম। ১৯৭৫ সালের পরে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে একদলীয় শাসন থেকে মুক্ত করে নতুন করে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়ে ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি অত্যন্ত সফল নেতৃত্বে যে দেশকে ‘বটমলেস বাস্কেট’ বলা হয়েছিল, সেই বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই সমৃদ্ধির বাংলাদেশে পরিণত করার যে কাজটি শুরু করে ছিলেন, যে ভিত্তি তিনি তৈরি করে ছিলেন, সেই জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’

    মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয়—যে গণতন্ত্রকে জিয়াউর রহমান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যে হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে সংগ্রাম লড়াই করেছেন, যিনি এখনও এ গণতন্ত্রের জন্য অন্তরীণ হয়ে আছেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান—তিনি নির্বাসিত হয়ে আছেন।’

    মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, খুন হয়েছে, গুম হয়েছে, সে বাংলাদেশে গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে এখন অনুপস্থিত। এখন বর্তমানে অনির্বাচিত-অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আজ নির্যাতন-হত্যা-গুম-খুনের মধ্য দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে।’

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘কিছু দিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি—যেই তাদের (আওয়ামী লীগ) নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে, তারা আবারও তাদের পুরোনো কায়দায় একইভাবে ত্রাস সৃষ্টি করছে। আমাদের ছাত্রদলের ওপর বিভিন্ন জেলায় নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভয়াবহ ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।’

    এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়, জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে নিতে চায়। মূল কথা হলো—গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য এ দেশের মানুষ সংগ্রামে নেমেছে, এরই মধ্যে রাজপথে রক্ত ঝরেছে। ইনশাআল্লাহ এর মধ্য দিয়েই দেশ গণতন্ত্র ফিরে পাবে।’

    এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা ও অঙ্গ দলের নেতাকর্মীরা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এতে অংশ নেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারস্টার শাহজাহান ওমর, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুইয়া, বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা খয়ারুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

    প্রথমে বিএনপির পক্ষ থেকে, পরে একে একে অঙ্গদল ও বিভিন্ন সংগঠন জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এ সময় জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

    বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে আজ সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। বেলা ১১টার আগেই মাজার প্রাঙ্গণ নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।