Tag: মির্জা ফখরুল

  • অর্থ পাচারকারীদের তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি ফখরুলের

    অর্থ পাচারকারীদের তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি ফখরুলের

    বিদেশে অর্থ পাচারকারীসহ তাদের মদদদাতাদের তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    রোববার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই দাবি জানান।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রশ্ন এরকম কতজন পি কে হালদার আছে, আর এরকম কতজন মানুষ আছে? আমরা কিছুদিন আগে দেখেছি যে, হাজার হাজার কোটি টাকা তারা দেশ থেকে লুট করে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে।’

    ‘আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা জানতে চাই যে, এই ধরনের (পি কে হালদারের মতো) হাজার হাজার কোটি টাকা কত দিনে পাচার হয়েছে। একদিনে তো পাচার হয়নি। কিভাবে কোন পদ্ধতিতে পাচার হলো, কারা তার সাথে জড়িত ছিলো, কারা মদদ দিয়েছে? সেই বিষয়গুলো পরিষ্কার করে জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য আমরা আজকে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে, এই যে দুর্নীতি হচ্ছে, চুরি হচ্ছে, ডাকাতি করে অর্থ পাচার করা হচ্ছে তা অবশ্যই তদন্ত করে বের করে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।

    তিনি বলেন, সুযোগ পেলেই বিএনপির লোকদেরকে হয়রানি করা আর কিছু চুনো-পুটি লোককে ধরে হয়রানি করা। আমরা জানতে চাই, এর সুষ্ঠু তদন্ত করে জনগণের সামনে এই ধরনের বড় বড় যারা বর্তমান সরকারের সাথে সম্পৃক্ত, তদন্ত করে তাদেরকে সামনে আনতে হবে, আইনের আওতায় আনতে হবে।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের নিশ্চয়ই আপনি খবরের কাগজ খুলে দেখেছেন যে, একজন পি কে হালদার যিনি হাজার হাজার কোটি টাকা ‍বিদেশে পাচার করেছে তাকে পার্শ্ববর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা ভালো কথা। আমরা কিছুটা হলেও আশ্বস্ত যে, একজন যিনি টাকা পাচার করেছেন তাকে ধরা হয়েছে ভারতে।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজেই ফরিদপুরের একটা সম্মেলনে বলেছেন যে, হাজার হাজার কোটি টাকা যারা পাচার করেছে তাদেরকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেয়া হবে না। তার মানে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের লোকেরা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।’

    এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতিকে এই দুঃসহ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে হলে, আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে হলে আমাদের সকল ধর্মের, মতের, রাজনৈতিক দলের লোকদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে একসাথে একজোটে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ সরকারকে সরিয়ে দিই। এখানে সত্যিকার অর্থে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক একটা সংসদ এবং সরকার গঠন করি। এটাই হচ্ছে আমাদের এখন সবচেয়ে বড় কাজ। এই বড় কাজটা করার জন্য আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আসুন এই পবিত্র দিনে আমরা এই শপথ গ্রহণ করি।

    বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বিএনপি ও দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানান দলটির মহাসচিব।

    বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যদের সম্মানে বিএনপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং তাদের শুভেচ্ছা জানান।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে ত্রিপিটক পাঠ করা হয়। এরপর কমলাপুর আন্তর্জাতিক ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারের বিদ্যাচার্য্য এস শাসনবংশ মহাথের বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রার্থনা করেন।

    পরে মেরুল বাড্ডা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের সুনন্দ মিত্র থের বক্তব্য রাখেন।

    বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও জিয়া পরিষদের নেতা সুভাষ চন্দ্র চাকমার সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় নেতা শ্যামা ওবায়েদ, গৌতম চক্রবর্তী, জন গোমেজ, অমলেন্দু দাস অপু, আবদুল বারী ড্যানী এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তরফ থেকে মনীষ দেওয়ান, সুশীল বড়ুয়া, উদয় কুসুম বড়ুয়া, প্রবীন চন্দ্র চাকমা, চন্দ্র গুপ্ত বড়ুয়া, সনত তালুকদার, রনজিত বড়ুয়া, অনিমেষ চাকমা রিংকু, জয়ন্ত বড়ুয়া, রুবেল বড়ুয়া, পারদর্শী বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।

    এ অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুন্ড, বীথিকা বিনতে হোসাইন, তরুণ দেসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    পরে মিষ্টি দিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যদের আপ্যায়ন করা হয়।

  • বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল

    বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অচিরেই বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হবে। সরকার যেভাবে দেশের অর্থনৈকি ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে তাতে বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে বাধ্য।

    শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খাগড়াবাড়ি বাসুদেবপুরে ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে হতাহত দলীয় নেতাকর্মীদের পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

    মির্জা ফখরুল আরো বলেন, দেশের অর্থব্যবস্থা যেভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে, যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তাতে করে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না। অপর দিকে সরকার ঋনের বোঝা জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। সেই সাথে প্রত্যক্ষভাবে সরকারের মদদে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে তেলসহ জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে।

    দেশকে এমন সঙ্কট থেকে মুক্তি দিতে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

    এ সময় জেলা বিএনপি সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি নূর করিম, নূর এ শাহাদাৎ স্বজন, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুবদল সভাপতি মাহবুল্লাহ্ আবু নুরসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • আদালতে হাজিরা দিলেন বিএনপি মহাসচিব

    আদালতে হাজিরা দিলেন বিএনপি মহাসচিব

    নাশকতার মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য থাকায় বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সিএমএম কোর্টে হাজির হন বিএনপি মহাসচিব।

    এ মামলায় এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় সেই রিপোর্ট আদালতে না আসায় আজও শুনানি হয়নি।

    ২০১২ সালে রাজধানীর কাকরাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর ও চালককে মারধরের অভিযোগে বিএনপির মহাসচিবসহ ২ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

    এ মামলায় মির্জা ফখরুল, রুহুল কবির রিজভীসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালে চার্জশিট দাখিল করে পল্টন থানা পুলিশ।

    এর মধ্যে মামলার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা শফিউল বারী বাবু মারা গেছেন। আদালত তার মৃত্যু প্রতিবেদন তলব করেছেন। কিন্তু পুলিশ ওই প্রতিবেদন আদালতে জমা না দেওয়ায় চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে যায়।

    এন-কে

  • খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারের প্রত্যেকে হত্যার আসামি হবেঃ ফখরুল

    খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারের প্রত্যেকে হত্যার আসামি হবেঃ ফখরুল

    বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে, সরকারের সবাইকে হত্যার আসামি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা না করে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা দরকার। চিকিৎসকরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। যেকোনো সময় তার জীবনে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারের প্রত্যেককে হত্যার আসামি করা হবে।

    বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদী মানববন্ধনে ফখরুল এসব কথা বলেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে এই কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।

    সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে দেশে গণতন্ত্র হত্যার প্রধান নায়ক আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ যখন দেখে জনগণ তাদের ভোট দেবে না, তখন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে থাকা নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার উদ্যোগ নেয়। আর এতে প্রধান নায়কের ভূমিকায় ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। তাই ভবিষ্যতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে বিচারপতি খায়রুল হকের বিচার করা হবে।

    সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজপথে উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

    ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।

    মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।

  • একমাত্র বেগম জিয়াই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারেন: ফখরুল

    একমাত্র বেগম জিয়াই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারেন: ফখরুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার ছাড়া কেউ দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারবে না। তিনিই আমাদের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দিতে পারেন। আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারেন। সেজন্য আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবি করছি।

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে রোববার (২৮ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক দল এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

    মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে শুধু বিএনপির জন্য দরকার নয়, এদেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য তাকে দরকার। তিনি একমাত্র নেত্রী যিনি স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই দাবি জানাচ্ছি। আমরা বারবার বলছি তাকে বিদেশে পাঠান চিকিৎসার জন্যে।

    তিনি আরও বলেন, শুধু স্বেচ্ছাসেবক দল নয়, যুবদল নয়, ছাত্রদল নয়, অঙ্গ সংগঠন নয়, বিএনপি নয়, সমগ্র বাংলাদেশ মানুষ আজ কারাগারে বাস করছে। দেশে শান্তি নেই, স্বস্তি নেই, মানুষ হাসিমুখে কথা বলে না। নিরাপদে রাস্তায় বের হতে পারে না। তাদের জীবন-জীবিকা চালাতে পারে না। ভয়াল একটি অবস্থার মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ বাস করছে। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, অত্যন্ত অসুস্থ। প্রতিদিন চিকিৎসকরা তার জীবন রক্ষার জন্য সংগ্রাম করছেন।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না কেন? তার একটি কারণ। তিনি একমাত্র নেত্রী যিনি জন্ম থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। মানুষের জন্য কথা বলেছেন। তিনি যখন বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন তখন নয় বছর গণতন্ত্রের জন্য পথে পথে ঘুরে বেড়িয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন এই দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন।

    তিনি বলেন, ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজে পড়ে, বাসভাড়া কমানোর জন্য রাস্তায় নেমেছে। এখন লেখাপড়া করতে খরচ অনেক বেড়ে গেছে, এজন্য তারা বাসভাড়া হাফ করতে বলছে। যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, তাদের বাবারা সন্তানের লেখাপড়া করাতে হিমশিম খাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য, এই ছেলে মেয়েদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য এই সমাবেশ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। বাসভাড়া কমিয়ে হাফ পাস করা হোক। প্রয়োজনে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে।

    বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঁদির ভুঁইয়া জুয়েলের সঞ্চলনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, কৃষকদল সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেত্রী বিথিকা বিনতে প্রমুখ।

    এন-কে

  • আ’লীগ নেতাদের বক্তব্য ‘ভূতের মুখে রাম রাম’: মির্জা ফখরুল

    আ’লীগ নেতাদের বক্তব্য ‘ভূতের মুখে রাম রাম’: মির্জা ফখরুল

    দলের দুই ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে আনীত শোকজের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য ‘ভুতের মুখে রাম রাম’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমার খুব দুঃখ হয় যখন দেখি, আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন যে, বিএনপির মধ্যে গণতন্ত্র নেই। এটা (হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও শওকত মাহমুদ শোকজ) তারই প্রমাণ। তাদের এমন বক্তব্য ভূতের মুখে রাম রাম বলে মনে হয়। আপনারা (আওয়ামী লীগ) দেশের গণতন্ত্রই খেয়ে ফেলেছেন, মানুষের অধিকারগুলো খেয়ে ফেলেছেন। আর আপনারা অন্যের গণতন্ত্র দেখে বেড়াচ্ছেন।

    গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, বিএনপির মধ্যে গণতন্ত্র আছে বলেই দলের ঐক্য এখন পর্যন্ত এতো অটুট আছে, একেবারে সুদৃঢ়ভাবে আছে।

    মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) মেজর (অব.) হাফিজের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, নাশকতা এমনকি বাস-ট্রাক পুড়িয়ে দেয়ার মামলা করেছে। একটা নয় ১০টা মামলা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের মুখে মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে কথা বলা শোভা পায় না। কোন মুক্তিযোদ্ধাকে তারা স্থান দিয়েছেন? তারা কি জিয়াউর রহমানকে স্থান দিয়েছেন? তারা কি তাজউদ্দিন আহমদকে (বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী) স্থান দিয়েছেন? দেননি। তারা কি এমএজি ওসমানির (মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক) নাম একবারও স্মরণ করেন। একে খন্দকারকে বের করে দিয়েছেন, এখন উনি মুখ-বধির হয়ে গেছেন, একেবারে কথা বলা বন্ধ, চলাফেরা বন্ধ হয়ে গেছে উনার। এটা আমি কয়েকটা বললাম। আমরাও তো মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। আমাদের বিরুদ্ধে ৮৬টা মামলা।

    দুই ভাইস চেয়ারম্যানের শোকজ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ভাইস চেয়ারম্যান সবাই দলে আছেন। কোথাও যাওয়ার কোনো সমস্যা তো হয়নি। একটা কথা আপনাদের মনে রাখতে হবে বিএনপি একটা বৃহৎ দল। এই ধরনের উদারপন্থি, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলে ছোটখাটো দুই একটা ঘটনা কোন ঘটনাই নয়। এটাকে এতো বড় করে যারা দেখছেন তারা আমার মনে হয় ঠিকভাবে দেখছেন না।

    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনার (মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ) বিষয়ে আমরা কী পাল্টা কিছু বলেছি। উনার বক্তব্যে উনি যা বলেছেন, তা আমি দেখেছি। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। একটা রাজনৈতিক দলের উচ্চ পর্য়ায়ের নেতা নিসন্দেহে এই বিষয়টি প্রেসের কাছে আসবেই, আপনারা কনসার্ন হবেন। ভারতে ২২ জন্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ওপেন চিঠি দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধীকে। কই তারা তো কেউ বহিস্কার হননি। দ্যাট ইজ দ্যা প্রাকটিস অব ডেমোক্রেটিক পার্টি। কখন হবে, কখন হবে না-এটা নিয়ে এতো মাথা ব্যাথার কারণ নেই।

    মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদের লিখিত জবাবে বিভিন্ন অভিযোগ ও সুপারিশের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ ব্যাপারে আমরা এখনও আলোচনা করিনি এবং কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তার আগে আপনারা এমন লাফালাফি করছেন মনে হয় যেন সব কিছু চলে যাচ্ছে, এটাতেই গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে। গণতন্ত্র তো ধবংস করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সেই বিষয়ে কিন্তু একটা কথাও গণমাধ্যমের কোথাও বলা হয় না, কোথাও দেখি না। তারা (আওয়ামী লীগ) যখন প্রেস কনফারেন্স করেন তাদেরকে কী একবারও জিজ্ঞাসা করেন আপনি কেনো এটা করলেন, এটা কেন করলেন। দ্যাট ইজ দ্যা পয়েন্ট। দেশে এমন একটা ত্রাসের বা ভয়ের পরিবেশে তৈরি করেছে আপনারা যারা স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে চান তারা করতে পারছেন না।

    সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে একটার পর একটা মামলা দায়েরের কঠোর সমালোচনা করেন ফখরুল।

  • জনগণ আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশকে মুক্ত করবে: ফখরুল

    জনগণ আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশকে মুক্ত করবে: ফখরুল

    জনগণ আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশকে মুক্ত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    বিজয় দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেন।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্রের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। পাঁচ শতাধিক মানুষ গুম হয়ে গেছে, হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ তারা আজকে নিহত হয়েছে।

    তিনি বলেন, আজকে দেশে একটা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য জনগণ আজকের দিনে আবার নতুন করে শপথ গ্রহণ করছে যে, আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তারা অবশ্যই দেশকে মুক্ত করবে, মানুষের গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে এবং গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে।

    তাই একটি নিরপেক্ষ সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এদেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা শপথ নিয়েছি বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

    তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে জাতি যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলো ৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন। সেই দিন যে চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলো বাংলাদেশের মানুষ, সেই চেতনা ছিলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক একটি সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, ১৯৭৪-৭৫ সালে দেশে আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

    মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দীর্ঘ ১০ বছর তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে মানুষের যে মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, তার যে স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার, সংবাদপত্রের যে স্বাধীনতা তাকে ধ্বংস করে দিয়ে আজকে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার কাজ করছে। স্বাধীনতার চেতনাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে।

    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় একটি প্রতারণার রাজনীতি করেছে। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেছে কিন্তু কাজে তারা স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তাদের কাছে নীতি-নৈতিকতা নেই। তারা সবসময় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সবরকম অনৈতিক কার্যকলাপ করেছে।

    বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না। বিশ্বাস করে না বলেই তারা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে অপমান করে এবং গণতন্ত্রের নেত্রী দেশনেত্রীকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে।

    এদিন ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বিএনপি মহাসচিব নেতা-কর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

    এ সময়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আমিনুল হক, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুজ্জামান শিমুল, আকরামুল হাসানসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    পরে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহানগরের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, কাজী আবুল বাশার দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

  • আজকের বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে : ফখরুল

    আজকের বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে : ফখরুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কী দুর্ভাগ্যের কথা, আজকের বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আজ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    সোমবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ফখরুল।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি চাই।

    বাক-স্বাধীনতা চাই, কথা বলার স্বাধীনতা চাই।
    তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের যে মূল চেতনা, সেই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করব ইনশাল্লাহ, এ শপথ এখানে নিচ্ছি। এ দিনে আমরা শপথ করব, সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।

    এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে : মির্জা ফখরুল

    ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে : মির্জা ফখরুল

    কুরবানির যে শিক্ষা সেই ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া করোনা মহামারীর মধ্যেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ক্ষমতাসীন সরকারের ত্রাণ তৎপরতা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    আজ শনিবার ঈদুল আজহার দিন সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

    এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও বিশেষ মুনাজাতে শরিক হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ।

    এসময় জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত, জিয়া পরিবার ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা এবং করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন তারা।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

    পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা ঈদুল আযহা উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। ঈদুল আযহার যে শিক্ষা সেই তার্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র রক্ষার ও পুনরুদ্ধারের শপথ নিয়েছি। আমরা প্রতিবছরই আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মাজারে আসতাম। কিন্তু তাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বন্দি রাখা হয়েছে। বিভিন্ন শর্তে কয়েকমাসের মুক্তি দিয়েছে। আমরা তার বিনা শর্তে অবিলম্বে মুক্তি চাই। তিনি এখনো পুরো সুস্থ নন। তার সমস্যাগুলোর সমাধান হয়নি।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে করোনার মধ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে। সরকারের সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। আমরা বারবার আহ্বান জানিয়েছি বনবন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে। আবারো দাবি জানাতে চাই তাদেরকে ত্রাণ ও অবিলম্বে পুনর্বাসন করা হোক।

    আমরা আজকে বিশেষ এই দিনে চলমান সংকট ও দুর্দিনে সাধ্যমত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শপথ নিয়েছি। একইসাথে গণতন্ত্র রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের শপথ নিয়েছি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বাবুর মৃত্যু প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারেই ভঙ্গুর : ফখরুল

    বাবুর মৃত্যু প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারেই ভঙ্গুর : ফখরুল

    জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী-সন্তানদের সান্ত্বনা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে শাইনপুকুর অ্যাপার্টমেন্টের বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী বিথীকা বিনতে হোসাইনের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানান বিএনপি মহাসচিব। এ সময় বাবুর ছোট দুই ছেলেমেয়ে ফাতেমা বারী তুহিন ও আয়হান বারী সাঈদকে কাছে নিয়ে আদর করেন মির্জা ফখরুল।

    এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাবুর (শফিউল বারী বাবু) এভাবে মৃত্যু আরেকটা সত্য উদ্ঘাটিত করেছে যে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারেই ভঙ্গুর। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি যে মানুষ আস্থা রাখতে পারে না- বাবুর অসুস্থতা, তার চলে যাওয়া এটাই প্রমাণ করে।

    শফিউল বারী বাবুকে ‘মেধাবী’ নেতা হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার মতো একজন জনপ্রিয়, সচেতন রাজনৈতিক নেতা এভাবে চলে যাবে এটা আমরা কল্পনাই করতে পারিনি। তার অল্প সময়ের জীবনের ক্যারিয়ার বর্ণাঢ্য। তাকে শুধু বিএনপির জন্য নয়, তাকে দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজন ছিল। হি হ্যাভ অল দ্যা কোয়ালিটিজ, তার সম্ভাবনা ছিল।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাবু এদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে একটা ব্যতিক্রম। তার স্ত্রীর সঙ্গে বলছিলাম- দুটি বাচ্চা রেখে গেছে। মাথা গুজার ঠাঁইটুকু নাই। এখনো ভাড়া বাসায় থাকেন। এখন পরিবারটিকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। সবার কাছে আমার একটাই অনুরোধ থাকবে- তার পরিবার, স্ত্রী-সন্তানদের আমাদের নিজেদের মানুষ মনে করে যেন এগিয়ে আসি এবং সহযোগিতার হাত বাড়াই।

    তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাকে বলেছেন- ‘বাবুর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেন যে- আমরা তার সঙ্গে আছি।’ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও বলেছেন যে- ‘বলবেন আমি আছি তার সঙ্গে। আমরা সবাই তার সঙ্গে আছি। এই লড়াই শুধু তার স্ত্রী একা লড়বেন না, তার সঙ্গে আমরাও লড়ব।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, আল্লাহতায়ালা বাবুকে বেহেশত নসিব করুক। তার স্ত্রী ও সন্তানদের এই শোক সহ্য করবার ক্ষমতা দিক। বাবু চলে যাওয়ায় আমাদের দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে ভেঙে পড়েছে আল্লাহ তাদের শোক সইবার শক্তি দিক।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতন, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, গোলাম সারোয়ার, ইয়াসীন আলী, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

    এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় কার্যালয়ের নিচ তলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আাবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান জুয়েল, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, আকরামুল হাসান, যুবদলের মোরতাজুল করীম বাদরু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

    রিজভী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাবুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, এখন চারিদিকে যে দুর্দিন চলছে, এই দুর্দিনে শফিউল বারী বাবুও সামনের কাতারে থাকতো। দুর্দিনের একজন বলিষ্ঠ সিপাহসালারকে আন্দোলনের কাফেলা থেকে আমরা হারালাম।

    পরে বাবুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ক্কারী রফিকুল ইসলাম।

    গত ২৮ জুলাই শফিউল বারী বাবু ফুসফুস জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে বিএনপির ১২ দিনের কর্মসূচি

    জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে বিএনপির ১২ দিনের কর্মসূচি

    করোনা মহামারীর প্রেক্ষাপটে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভাসহ ১২ দিনে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

    বুধবার (২৭ মে) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    বিএনপি মহাসচিবের উত্তরার নিজের বাসায় এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেন।

    ১২ দিনে কর্মসূচিগুলো হচ্ছে- ৩০ মে সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন, বেলা ১১টায় ঢাকায় শেরে বাংলানগরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শুধুমাত্র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুস্পমাল্য অর্পণে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিকাল সাড়ে তিনটায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের প্রতিষ্ঠাতার স্মরণে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা এবং ১ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডের ওপর বিষয়ভিত্তিক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা।

    দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দেশের কয়েকজন বরণ্যে বুদ্ধিজীবী ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বক্তব্য রাখবেন বলে জানান মহাসচিব।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় সরকারের চরম অবহেলা ও সমন্বয়হীনতা রয়েছে। যে কারণে দেশে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তারা করোনা মোকাবেলায় লকডাউনের নামে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ফলে মানুষ ছুটি ভোগ করছে।

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখনও কোয়ারেন্টিনে আছেন।

    প্রতিবছর জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দুঃস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হলেও এবার প্রস্তুত করা খাদ্যের পরিবর্তনে খাদ্য সামগ্রী, বস্ত্র বিতরণ ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান মহাসচিব।

    মহাসচিব বলেন, এসব সামগ্রী বিতরণকালে কোনো মতেই কোনো সমাবেশ করা যাবে না- এটা আমরা জোর দিয়ে বলছি। কারণ এখন এই বিধান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে যেটা বলা হয়েছে এটা মেনে চলাটা আমাদের একটা দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি, কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিবছরের মতো করে গণজমায়েত করে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের যে শাহাদাত বার্ষিকী পালন করা সম্ভব হবে না। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কোনো সমাবেশ বা জমায়েত না করে ভার্চুয়াল মিটিং করে আমরা তাকে স্মরণ করব।

    করোনাভাইরাসের বিশিষ্ট কয়েকজন নাগরিকসহ যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং করোনা ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আশু রোগমুক্তি কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকার কিছুই করেনি : মির্জা ফখরুল

    স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকার কিছুই করেনি : মির্জা ফখরুল

    করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    তিনি বলেন, ‘এ সরকার স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে কিছুই করেনি, যা মানুষের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। অথচ সরকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বানিয়েছে, বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট বানিয়েছে। কিন্তু মানুষের যেটা মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার সে স্বাস্থ্য খাতের জন্য কিছু করেনি সরকার।’

    রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

    এ সময় সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘যেখানে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে বর্তমান সরকার অবহেলা করছে। করোনা টেস্ট করার মানুষ মধ্যরাত থেকে লাইনে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু তারা টেস্ট করাতে পারছে না।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত সরকারকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সরকার সবকিছুতেই ষড়যন্ত্র খোঁজে। লকডাউন শিথিল করে মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। পুরান ঢাকায় দেখবেন, হাজার হাজার মানুষের ঢল। কিসের সামাজিক দূরত্ব? করোনা প্রতিরোধে নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।’

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘সামাজিক দূরত্বসহ অন্যান্য নির্দেশনা মেনেই তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। খোঁজ-খবর নেওয়াসহ কুশল বিনিময় ও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনাভাইরাসে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, বিশেষ করে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ব্যাংকার, পেশাজীবী, শ্রমজীবী মানুষ, তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা এই করোনা মোকাবিলায় অগ্রসেনানী হিসেবে কাজ করছেন—চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ, সাংবাদিক, বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী, ব্যাংকার, শ্রমজীবী মানুষ (গার্মেন্টস কর্মী), অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

    বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘প্রায় সোয়া দুই মাস আগে বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্তের পর সরকারের সমন্বয়হীনতা ও উদাসীনতায় এখন প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্তান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। মানুষের জীবন বাঁচাতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। যখন চীনে করোনা মহামারি শুরু হলো, তখন সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। তখন তারা অন্য একটি অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। প্রথম থেকে তারা যথাযথ পদক্ষেপ নিলে আজ লাশের সারি দীর্ঘ হতো না। জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতা না থাকার কারণে সরকার এমন আচরণ করেছে। মানুষকে বাঁচাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যদি তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার হতো, তাহলে তারা জনগণের জন্য ব্যবস্থা নিত।’

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘একদিকে খাদ্যের জন্য হাহাকার চলছে। দেশের সব জেলায়ই ত্রাণের জন্য গরীব অসহায় মানুষ বিক্ষোভ করছে, সড়ক অবরোধ করছে। অন্যদিকে, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না করোনা আক্রান্তরা। এমনকি, অন্যান্য রোগে আক্রান্তরাও যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছে না। বিনা চিকিৎসায় পথে, ঘাটে, বাসে, ফুটপাতে এখন লাশ পড়ে থাকার খবর বের হচ্ছে। এটা কী নিদারুণ অবস্থা! শাহবাগে লম্বা লাইন ধরে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও করোনা টেস্ট করাতে না পেরে সড়কেই ছেলে-মেয়ের চোখের সামনে প্রাণ হারিয়েছেন বৃদ্ধ। করোনার টেস্ট করতে মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। সরকার ঘোষিত ৪২টি সেন্টারের বেশ কয়েকটি সেন্টার কার্যকর নয়। যেসব সেন্টারে টেস্ট হচ্ছে তাও অপর্যাপ্ত। মানুষ লাইন ধরে ফিরে যাচ্ছে টেস্ট না করে। গণমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের সামনের সড়কে লম্বা লাইন। আগের রাতে লাইন ধরে অসুস্থ রোগীরা কীভাবে শুয়ে আছে, বসে আছে। তারপরও টেস্টের সিরিয়াল পাচ্ছে না। অন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও একই অবস্থা। যে পরিমাণ টেস্ট হচ্ছে, তাও আবার এখন পর্যন্ত দিনে ১০ হাজারে ওঠেনি। এরমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ শতাংশ উঠেছে। যদি বেশি টেস্ট হতো, তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা আরো অনেক বেড়ে যেত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার বলেছে, টেস্ট টেস্ট টেস্ট, টেস্টের কোনো বিকল্প নেই। যত বেশি টেস্ট করা হবে, তত বেশি সংক্রমিত জনগোষ্ঠীকে বাঁচানো সম্ভব হবে।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেও ভর্তি হতে পারছেন না। অভিযোগ রয়েছে, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে বিনা চিকিৎসায়। এ যদি সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী, তা তো বোঝাই যায়। শুধু কিটের অভাবে করোনার টেস্ট করতে পারছে না আক্রান্ত রোগীরা। অথচ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেবের কিট অনুমোদন নিয়ে কত টালবাহানা চলছে।’

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ এখন ঊর্ধ্বমুখী। সরকার করোনা মোকাবিলায় চারদিক থেকে ব্যর্থ। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আছে বলে সরকারের মন্ত্রীরা প্রতিদিন মুখে বুলি আওড়াচ্ছেন। অথচ স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির এক শতাংশও বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। আবার যেটুকু বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তাও হরিলুট হয়েছে। যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে সরকারি টাকা লুট হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা অপ্রতুল। দেশের ৯০ ভাগ হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থাও নেই। এমনকি হাসাপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হয়নি। নিম্নমানের মাস্ক সরবরাহ করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিপদে ফেলে দিয়েছে সরকার। নিজেরা আতঙ্কিত হয়ে এখন তারা রোগীদের চিকিৎসা দিতেও ভয় পাচ্ছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে অদূরদর্শিতা, সমন্বয়হীনতা, উদাসীনতা ও একগুয়েমী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। করোনায় মৃত্যুর দায় সরকারকে নিতে হবে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর