Tag: মির্জা ফখরুল

  • গ্রাম্য মোড়লদের মতো আচরণ করছে সরকার : ফখরুল

    গ্রাম্য মোড়লদের মতো আচরণ করছে সরকার : ফখরুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের মানসিক সমস্যা হয়েছে। তারা এখন নিজেকে প্রভু মনে করতে শুরু করেছে। এ রাষ্ট্রের প্রভু তারা। এটাই তাদের সমস্যা হয়ে গেছে এখন। একটা দল কীভাবে চলবে, কীভাবে কাজ করবে- এটাও তারা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।

    আজ মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    বিএনপি এখন থেকে সমাবেশ করতে সরকারের অনুমতি নিবে না- গত সোমবার মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছিলেন, অনুমতি ছাড়া সভা সমাবেশ করার ক্ষমতা বিএনপির নেই। এর জবাবেই মূলত মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংবিধানে সভা সমাবেশ, প্রতিবাদ করার সমস্ত অধিকার দেয়া আছে। আমরা সভা সমাবেশ করতে সরকারের অনুমতি চাই না। আমরা অবগত করতে চাই। এটা আমরা বরাবরই করে আসছি। কিন্তু সরকার একবারে গ্রাম্য মোড়লদের মতো আচরণ করছে। সমাবেশের অনুমতি দেয় না। আবার দুই ঘণ্টা আগে অনুমতি দেয়। ১৯৭২ সালে ক্ষমতায় গিয়ে বাকশাল কায়েম করে তারা প্রভু হয়ে গিয়েছি। এখন তো দশ বছর ধরে প্রভুত্ব করছেন। এবার পাকাপোক্ত প্রভু হিসাবে বসতে চান।’

    তিনি আরো বলেন, সরকার ক্ষমতা দখল করার পর অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ লোকদের দ্বায়িত্ব দিয়েছে। একটি অস্থিতিশীল দেশ পরিচালনা করার জন্য যে কৌশল, প্রজ্ঞা থাকা দরকার তা মন্ত্রীদের নেই। কিছু কিছু মন্ত্রীরা ভেবে চিন্তে কথা বলেন না। এখানে একদলীয় নিয়ম একদলীয় শাসন চলছে, এখানে প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন তাই হবে। এখানে সুশাসনের অভাব, গণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা তাদের মধ্যে নেই। লক্ষ্য যেহেতু একদলীয় সরকার, যেখানে সুশাসন প্রধান নয়। ১৬ কোটি মানুষের একটি দেশ এভাবে চলতে পারে না।

    মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কারণ সরকার দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা, সুশাসনসহ সব জায়গায় ফেল করে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দিতে হয়, তা এখানে অনুপস্থিত। একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে তারা পাকাপোক্ত করতে চায়, সকল ক্ষেত্রে দলীয় লোকজনকে নিয়োগ দিচ্ছে। কোনো ভিন্নমতের লোকদের চাকুরী হয় না। অপর দিকে বিদেশ থেকে বাংলাদেশী শ্রমিকরা ফেরৎ আসছে।

    তিনি বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এতটাই ব্যর্থ যে, এনবিআর এর চেয়ারম্যানকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বেঠক করতে হয়। সেখানে বসেও তারা বলছে সব ঠিক আছে। কিন্তু কিছুই ঠিক নেই।

    ফখরুল বলেন, সরকার যতই চিৎকার করুক, মুখে কথা বলুক, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসেনি। ফলে তাদের সে দূর্বলতা সব সময় কাজ করে, যে জন্য জায়গাটা নিতে পারছে না। দেশ অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলছে। সুতরাং সরকারের উচিৎ অবিলম্বে পদত্যাগ করা।

    এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহসভাপতি নূর এ শাহাদাৎ স্বজনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • এই সরকার স্বৈরাচারী সরকারের বাবা:ফখরুল

    এই সরকার স্বৈরাচারী সরকারের বাবা:ফখরুল

    সেলিম আল দীন’র ‘মুনতাসির ফ্যান্টাসি’ নাটকের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই নাটকে একটি চরিত্র ছিল সে যা পেতো তাই খেয়ে ফেলতো। ঠিক এই সরকারের পেটেও এখন অনেক ক্ষুধা। সরকারও যা পায় তাই খায়। সরকার চেয়ার-টেবিল কাগজ সব খেয়ে ফেলছে। এর আগে ক্যাসিনো খেলো, বড় বড় মেঘা প্রজেক্ট খেলো, এখন সাধারণ মানুষের পেঁয়াজ আর লবণ নিয়ে টানাটানি শুরু করছে।’

    তিনি বলেন, ‘এই সরকারের একটাই মাত্র উদ্দেশ্য, যেকোনও ভাবে ক্ষমতায় থেকে শুধুমাত্র লুটপাট করা। নিজেরা বিত্তশালী হওয়া এবং সেই বিত্তকে বিদেশে পাচার করা।’

    শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যেরকম কৃষকের পাশে, ওই খেটে খাওয়া মানুষের পাশে থেকে রাজনীতি শুরু করেছিলেন তারেক রহমানও ঠিক একইভাবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছেন। আজকে যখন আমাদের অনেকের মধ্যে হতাশা কাজ করছে ভয়-ভীতি ত্রাস কাজ করছে তখন দেশনায়ক তারেক রহমান সেই সুদূর লন্ডন থেকে লালমনিরহাটের এক নেতাকে ফোন দিয়ে বলছেন- ‘কেমন আছেন? ভালো আছেন তো? সাহস হারাবেন না, আমরা সবাই আছি’।’

    তিনি বলেন, ‘অনেকে মনে করে, তারেক রহমান শুধু স্কাইপিতে নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন। আসলে তা না। তিনি তৃণমূলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর খোঁজখবর নেন। এভাবে তিনি পুরো জাতিকে উজ্জীবিত করছেন। আমরা এত হতাশার মধ্যেও তারেক রহমানের নেতৃত্বের মধ্যে আশার আলো দেখতে পাই। এবং সেই নেতৃত্ব আমাদেরকে ইনশাআল্লাহ্ মুক্তির পথ দেখাবে।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার সম্পর্কে আর কিছু বলার নেই। মানুষ চায় এই সরকারের পতন।’

    সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আগেতো দশ বছর বিএনপিকে পিটিয়েছেন এখন সাধারণ মানুষকে পেটানো শুরু করেছেন।’

    বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘এই সরকার স্বৈরাচার সরকার নয়, এই সরকার স্বৈরাচারী সরকারের বাবা, ফ্যাসিস্ট সরকার। এরশাদ ছিলেন স্বৈরাচার সরকার, আইয়ুব খান ছিলেন স্বৈরাচার সরকার। তাদের মধ্যেও কিছু নিয়মনীতি ছিল। কিন্তু এই সরকারের মধ্যে কোনও কিছুই নেই।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দীর্ঘ ১০-১২ বছর ধরে আমরা এই অবস্থার মধ্যে আছি। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। নেলসন মেন্ডেলা ২৭ বছর জেলে ছিলেন। আমাদের পাশের দেশের যাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ সেই মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি ২২ বছর গৃহবন্দি ছিলেন। শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রের মুক্তি হয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে নিজের জন্য নয়। আমাদের জন্য এবং গণতন্ত্রের জন্য তিনি আজ কারাগারে বন্দি। আইনগতভাবে যে জামিন প্রাপ্য সেটা তাঁকে দেয়া হচ্ছে না। আমরা অবশ্যই গোটা বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করছি। আমরা দল মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে ইনশাআল্লাহ এমন এক গণআন্দোলন সৃষ্টি করব যে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। এটা আমাদের বিশ্বাস, আমরা জানি এটা হবেই।’

    স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

  • বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপ নিয়েছে:ফখরুল

    বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপ নিয়েছে:ফখরুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবসম্মত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন।

    আজ বুধবার সকাল ১০টায় ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতীপাড়ায় পৈতৃক নিবাসে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনটি বাস্তবসম্মত হয়নি। এটি শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট স্টক হোল্ডারদের নিয়ে আলোচনায় বসে এই আইন প্রণয়ন করা উচিত ছিল।’

    সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার রাষ্ট্রপরিচালনায় ব্যর্থ তাই দেশে এ সময়ে পেঁয়াজ-লবণ সংকট দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ আজ ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপ নিয়েছে। আইনের সুশাসন নেই। দুঃশাসনের যাতাকলে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় গণঅভ্যুত্থান।’

    ফখরুল বলেন, ‘আইনের সুশাসনের অভাবে প্রশাসনও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। দুর্নীতিতে দেশ ডুবে গেছে। দলীয় কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অঙ্গনে অস্থিরতা বিরাজ করছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈরাজ্য ও অপশাসন এবং ভিসির অপতৎপরতা বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের নেতারা প্রতিবাদ করায় তাদেরও বের করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ভিসির নাকি রাজকীয় পরিবারের সঙ্গে মিল মহব্বত রয়েছে।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৫২ থেকে ৯০-র গণঅভ্যুত্থানসহ দেশে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্র সমাজের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি।’

    দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি ।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের চলমান সমস্যার দিকে সরকারের মনোযোগ নেই। বড় বড় মেগা প্রজেক্ট তৈরি করে কীভাবে জনগণের টাকা লুট করা যায় এ নিয়ে তারা ব্যস্ত। কোটি কোটি টাকা লুট করে তারা বিদেশে পাচার করছে।’এসবের প্রতিবাদে দাঁড়ালেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তা পণ্ড করে দিচ্ছে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

    মহাসচিব বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। এ দেশের স্বাধীকার আন্দোলনে ভারতের অবদান রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ সরকার তিস্তাসহ দেশের নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে।’

    মিয়ানমার সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ‘দুই বছরেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সমস্যা নিরসন করতে পারেনি আওয়ামী লীগ সরকার। কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ফ্যাসিস্ট এ সরকার।’

    বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের হীনমন্যতা আর দৈন্যতার কারণে তাকে অন্যায়ভাবে আটক রাখা হয়েছে। গণআন্দোলনের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্ত করা হবে’

    তিনি বলেন, ‘বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল নয়। বন্যায় যেমন পদ্মা-যমুনা-মেঘনার দুই তীর ভাঙে, কিন্তু নদীর প্রবাহ ঠিক থাকে। বিএনপির এ রূপ গতি রয়েছে। সরকার বিএনপির পেছনে টিকটিকি লাগিয়ে দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে মাত্র।’

    এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দাদা বাড়ি পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায় রওনা হন। সেখান থেকে তিনি তেঁতুলিয়া যাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

  • প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে যা লিখেছেন ফখরুল

    প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে যা লিখেছেন ফখরুল

    সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে স্বাক্ষরিত ৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সম্পর্কে পূর্ণ বিবরণী জনসম্মুখে প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    রোববার (১৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিটি বিএনপির পক্ষে দলের দুই যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে হস্তান্তর করেছেন।

    মির্জা ফখরুলের চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

    জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সৌজন্যে আমরা জানতে পেরেছি যে, আপনি সর্বশেষ ভারত সফরকালে ৫ অক্টোবর ২০১৯ ভারতের সাথে ৭টি চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছেন। এছাড়া একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় এলপিজি রফতানি বিষয়সহ ৩টি প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে মর্মে প্রকাশ হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এ সফরে ভারতের সাথে সর্বমোট কয়টি চুক্তি/ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে সে সম্পর্কে জনগণ অবহিত নয়।

    ইতিমধ্যে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সকল চুক্তিকে জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী তথা বাংলাদেশে বিরোধী চুক্তি হিসেবে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নির্বিকার। অপরদিকে স্বাক্ষরিত এসকল চুক্তিকে জাতীয় স্বার্থবিরোধী মর্মে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ায় বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ভারত দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদীর পানি সংক্রান্ত চুক্তি ঝুলিয়ে রেখেছে অথচ ফেনী নদী থেকে ভারতকে পানি উত্তোলনের চুক্তি, বাংলাদেশের উপকূলে ভারতের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে সহযোগিতা বিনিময়ে ভারতকে আমাদের উপকূলে রাডার স্থাপনের চুক্তি করা হয়েছে। মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মতো স্পর্শকাতর জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট চুক্তি সই করার পূর্বে বিষয়টি নিয়ে কখনও কোন ধরনের পাবলিক ডিবেট অনুষ্ঠিত হয়নি এবং বাংলাদেশের জনগণের মতামত গ্রহণ করা হয়নি।

    সংবিধানের আর্টিকেল ১৪৫ (ক) তে উল্লেখ আছে যে- ‘বিদেশের সাথে সম্পাদিত সকল চুক্তি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হবে এবং রাষ্ট্রপতি তা সংসদে পেশ করার ব্যবস্থা করবেন। তবে শর্ত হচ্ছে যে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট অনুরূপ কোনো চুক্তি কেবলমাত্র সংসদের গোপন বৈঠকে পেশ করা হবে।’

    কিন্তু ভারতের সাথে যে সকল চুক্তি স্বাক্ষর করা হলো তার কোনটিই জনসম্মুখে কিংবা জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়নি। এর ফলে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণই এ সকল চুক্তির খুঁটিনাটি এবং বিস্তারিত বিবরণ সম্পর্কে পুরোপুরি অন্ধকারে রয়েছে। অথচ এ সকল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির বিষয়ে অবহিত থাকা জনগণের মৌলিক অধিকার, যে অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত রাখা স্পষ্টতই সংবিধানের লঙ্ঘন।

    প্রকৃতপক্ষে ভারতসহ অন্যান্য দেশের সাথে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সম্পাদিত চুক্তিগুলো সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা হয়নি।

    এমতাবস্থায় সংবিধানের আর্টিকেল ১৪৫ (ক) অনুযায়ী ভারতের সাথে এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির পূর্ণ বিবরণী অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ ও জনসম্মুখে প্রকাশ করে জনমনে সৃষ্ট নানাবিধ প্রশ্ন ও সন্দেহ দূর করার আহ্বান জানাচ্ছি।

  • জোর করে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে:ফখরুল

    জোর করে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে:ফখরুল

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয় বলেই দেশে স্বৈরশাসন চালাচ্ছে। কাউকে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে না। বাংলাদেশে এখন কোনও গণতন্ত্র নেই। জোর করে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।’

    রবিবার (১৭ নভেম্বর) মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী’র ৪৩তম ওফাত বার্ষিকীতে তাঁর টাঙ্গাইলের সন্তোষ মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

    এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপি’র পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে তিনি জেলা বিএনপিও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করেন।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকারের দলীয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের জন্য জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।

    তিনি বলেন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলায় সরকার ফরমাইশি রায়ে তাকে আটকে রেখেছে, মানবিক কারণ দেখিয়েও তার জামিন মিলছে না। দেশের জনগণ এই অনির্বাচিত সরকারের শাসনের কবল হতে মুক্তি চায়। দেশনেত্রীর মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারে সকলকে রাজপথে থাকার আহবান জানান মির্জা ফখরুল

    এ সময় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান দুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি সভাপতি কৃষিবিদ ডা. সামছুল আলম তোফা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবালসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • কথা মালার চাতুরি ছাড়া রাজনীতিতে কোনো সম্পদ নেই ফখরুলের:কাদের

    কথা মালার চাতুরি ছাড়া রাজনীতিতে কোনো সম্পদ নেই ফখরুলের:কাদের

    রাজনীতিতে কথামালার চাতুরি ছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আর কোনো সম্পদ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এখন কিছু করার নেই। নির্বাচন করে ব্যর্থ, আন্দোলন করে ব্যর্থ, নেত্রী কারাগারে জবাব দিতে পারছে না। নেত্রীর জন্য একটা দৃশ্যমান মিছিল রাজপথে করতে পারেনি। কাজেই মির্জা ফখরুলের কথা মালার চাতুরি ছাড়া রাজনীতিতে আর কোনো সম্পদ নেই।

    বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনের মাঠ পরির্দশন করতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ মাসটা অপেক্ষা করেন দাম কমে যাবে। আশা করছি দাম কমে যাবে। এ বিষয়ে সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে।

    স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্বের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে। প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। সম্মেলন ঘিরে সাজ সাজ বর তৈরি হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের কাউন্সিলররা আছেন। তারা নাম প্রস্তাব ও সমর্থন করবেন। সব কিছু অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হবে।

    তিনি বলেন, সর্বোপরি আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) আছেন, তিনি হলেন সকলের অভিভাবক। তিনি যেটা ভালো মনে করবেন আমরা সেইটাই ভালো মনে করবো। সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে যেখানে থাকতে চায় এবং যাদের ক্লিন ইমেজ, সৎ, কর্মঠ, তাদের নেতৃত্বে আনা হবে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম বেপারী , খায়রুল ইসলাম জুয়েল, সাজ্জাদ সাকিব বাদশাসহ অনেকে।

  • খালেদা জিয়ার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে: ফখরুল

    খালেদা জিয়ার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে: ফখরুল

    বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো পঙ্গু হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে দাবি করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বেগম জিয়া এখন এতটাই অসুস্থ যে তিনি নিজে হাতে ধরে কিছু খেতেও পারেন না। তাঁকে সাহায্য করে খাইয়ে দিতে হয়। তিনি হুইলচেয়ার ছাড়া চলতে পারেন না। এমনকি বিছানা থেকেও দু’জন সাহায্য করে তাঁকে উপরে তুলতে হয়।

    সরকারের মদদপুষ্ট হাসপাতালের ডাইরেক্টর বলেন, ‘তিনি (বেগম জিয়া) আগের চাইতেও সুস্থ’। দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য সম্বন্ধে এই যে মিথ্যা ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে এর জন্য ওই ডাইরেক্টরের বিচার হওয়া উচিত।’

    মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যে রিপোর্ট তারা দিয়েছেন তা প্রকাশ করা হচ্ছে না। আমরা এখান থেকে স্পষ্টভাবে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের সঠিক তথ্য প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন সম্পূর্ণ ম্যান্ডেটবিহীন একটা সরকার। এই সরকারকে ক্ষমতায় রাখার মানে হচ্ছে জনগণের সর্বনাশ করা। আজকে প্রত্যেকটি পণ্যের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আজকে মানুষ চাল কিনে খেতে পারছে না। অথচ গ্রামে যান, কৃষকরা বলবে- ‘আমরা ধানের দাম পাচ্ছি না, ধান ৩০০ টাকা ৪০০ টাকা মণ। অথচ চালের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মানে জনগণের মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি। তাই আজকে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা বারবার বলেছি, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সমস্ত দেশপ্রেমিক শক্তিকে একত্রিত করে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।’

    ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় রেল দুর্ঘটার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরাই দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। ব্যর্থ সরকার কোনও কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এর আগেও আমরা বহুবার দেখেছি রেললাইনে দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

    সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাধারণ সম্পাদক এম আবদুল্লাহ, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

  • খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’:ফখরুল

    খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’:ফখরুল

    কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’ জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুস্থ অবস্থায় খালেদা জিয়া ফিরে আসা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

    রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর চন্দ্রিমা উদ্যানে যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

    বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তাঁর জীবনের হুমকি দেখা দিয়েছে এখন। সুস্থ অবস্থায় ফিরে না আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন যখন কারাগারে যান তখন সবাই দেখেছেন তিনি সুস্থ অবস্থায় কারাগারে গিয়েছেন। আজকে তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারেন না, নিজ হাতে খাবার খেতে পারেন না, এক পা অচল, হাঁটতে পারেন না। তিনি যে হাসপাতালে রয়েছেন সেখান তাঁর প্রপার চিকিৎসা সম্ভব নয়।’

    ফখরুল বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, খালেদা জিয়ার জামিন তাঁর অধিকার। তিনি জামিন পেতে পারেন। কিন্তু সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে জামিন আটকে রেখেছে এবং জামিন যেন না হয় সেজন্য সব ব্যবস্থা নিয়েছে।’

    যুবদল প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে এমন এক সময় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন হচ্ছে যখন বাংলাদেশে কোনও গণতন্ত্র নেই। বর্তমানে অবৈধ সরকার জবর দখল করে ক্ষমতায় বসে আছে। তারা বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। গণতন্ত্রকে হরণ করে, যিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন তাঁকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ রেখে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ তারা বৈধ নয়। এজন্য আমরা বারবার বলেছি, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা একটি গণতান্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সেজন্য বর্তমান অবৈধ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিৎ। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনই এই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।’

    এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনু, উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সরকার চাচ্ছে খালেদা জিয়া ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যাক

    সরকার চাচ্ছে খালেদা জিয়া ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যাক

    সরকার চাচ্ছে কারাবন্দি অসুস্থ বিএনপির চেয়ারসপারসন বেগম খালেদা জিয়া ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যাক— এমনটাই দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    পাকিস্তানের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিন পেলেও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাগারে অসুস্থ হলেও তাকে জামিনে দেয়া হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব।

    শনিবার (২৬ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

    দলীয় প্রধানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) নিজে তুলে খেতে পারছেন না, টয়লেটে যেতে পারছেন না। তাকে কাউকে না কাউকে সাহায্য করতে হচ্ছে।’

    তিনি বলেন, ‘উনার (খালেদা জিয়া) যে অসুখ যদি যথাযথ চিকিৎসা না হয়, তাহলে এটা আরও খারাপের দিকে যাবে। ওখান থেকে আর ফিরে আসা যায় না। এই কথাটা আমরা বহুবার বলেছি। সংবাদ সম্মেলন করে বলেছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছি। যারা দায়িত্বে আছেন তাদেরকে আমরা প্রত্যেকটি বিষয়ে বলেছি।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, তাঁর (খালেদা জিয়া) যাতে চিকিৎসা না হয়, তিনি যেন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যান এটাই সরকারের কাম্য! আমার কাছে বারবার এটাই মনে হয়েছে। কারণ যে মামলাতে খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য সে মামলাগুলোতে তিনি জামিন পাচ্ছেন না। বিভিন্ন কারসাজি করে তাঁর জামিন আটকে দেয়া হচ্ছে। লক্ষ্যটাই হচ্ছে উনি যেন কারাগার থেকে বের হতে না পারেন।’

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) খালেদা জিয়ার পরিবার সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তারাও তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারটা তুলে ধরেছেন। এটা পরিবারের বক্তব্য, এটা থাকবেই।’

    খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে দলীয় বক্তব্য তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘আমরা বারবার যেটা বলে আসছি, তিনি জামিন পেলে তাঁর পছন্দ মতো তিনি যেখানে ইচ্ছা চিকিৎসা করাবেন। এটা তাঁর অধিকার। পাকিস্তানের নওয়ার শরিফের সাজা হলেও তাকে জামিন দেয়া হয়েছে। তিনি অসুস্থ, সে কারণে তাকে জামিন দেয়া হয়েছে। কতগুলো বিষয় আছে, যা মানবিক। এটা না পাওয়ার কোনও কারণ নাই্। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকারই বাধা সৃষ্টি করছে।’

  • মির্জা ফখরুল দেশে ফিরেছেন

    মির্জা ফখরুল দেশে ফিরেছেন

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০ দিনের ব্যক্তিগত সফর শেষে আজ দেশে ফিরেছেন।

    বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এসময় সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

    বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবীর খান ব্রেকিংনিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে গেল ৩ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন মির্জা ফখরুল।

    সফরকালে বিএনপি মহাসচিব সিঙ্গাপুর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বড় মেয়ে মির্জা শামারুহের কাছে যান। সেখান থেকেই আজ দেশে ফিরলেন।

    এর আগে সবশেষ গত ফেব্রুয়ারিতেও চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল।

  • বিএনপির তিন শীর্ষ নেতার জামিন

    বিএনপির তিন শীর্ষ নেতার জামিন

    হত্যার হুমকির দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ দলটির তিন নেতার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।

    জামিন পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

    এর আগে সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ফখরুলসহ বিএনপির তিন নেতা। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ আরও অনেকে জামিনের আবেদন করেন।

    বাদীপক্ষে আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের এ আদেশ দেন।

    গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। এরপর বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

    মামলায় এই তিনজন ছাড়াও আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।

    মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ২৩ জুলাই বাদীর বাসায় রেজিস্ট্রি ডাকযোগে একটি চিঠি পাঠান বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা। চিঠিতে বলা হয় ‘বাদী একজন মামলাবাজ। তিনি শেখ হাসিনার দাপটে খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছেন বাদী।’

    চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আইএসের কাছে এ বিষয়ে লেখা হয়েছে। কাজেই এ বি সিদ্দিকীকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়।’

    আরজিতে আরও বলা হয়, ‘এর আগে গত মে মাসে তারেক রহমান বাদী এ বি সিদ্দিকীকে খুন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে চেষ্টা করেও সফল হননি। তবে এইবার বাদী বাঁচতে পারবেন না বলে চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়।’

    মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ‘এ ধরনের চিঠি পেয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়ে আবেদন করেছেন। তারপরও হুমকি পেয়ে তিনি মামলা করলেন। মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন।’

  • ভোট চাইতে গিয়ে ট্রাক থেকে পড়ে আহত ফখরুল

    ভোট চাইতে গিয়ে ট্রাক থেকে পড়ে আহত ফখরুল

    রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোটের প্রচারের সময় গাড়িতে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বাম হাতে ব্যথা পেয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    রংপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু জানান, সোমবার বিকালে দলের প্রার্থী রিটা রহমানের পক্ষে একটি পিকআপ ভ্যানে চড়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে হঠাৎ একটি ছেলে দৌড়ে পিকআপটির সামনে এলে চালক গাড়িটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এতে ফখরুল গাড়িতেই পড়ে যান। তার বাম হাত কেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

    পরে বিএনপি মহাসচিবকে প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার বাম হাতে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। এখন তিনি সেখানে বিশ্রামে আছেন।

    তবে ফখরুল রাতেই ঢাকায় ফিরবেন বলে জানা গেছে। তার সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, শামা ওবায়েদ ও তানভীরুল ইসলাম রয়েছেন।