Tag: মিয়ানমার

  • মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সেনাসহ জেনারেল আটক

    মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সেনাসহ জেনারেল আটক

    মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মংডু শহর দখলে নেওয়ার দাবি আগেই করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এবার তারা রোহিঙ্গা যোদ্ধাসহ সরকারি বাহিনীর শত শত সৈন্যকে আটকের কথা জানিয়েছে।

    আটককৃতদের মধ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কুখ্যাত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনও রয়েছেন বলে জানিয়েছে আরাকান আর্মি। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী।

    আরাকান আর্মি (এএ) বুধবার ঘোষণা করেছে, তারা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন প্রদেশের মংডু শহরের শেষ জান্তা ঘাঁটিটি গত রোববার দখলে নিয়েছে এবং এসময় কুখ্যাত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনসহ শত শত সরকারি সেনাকে বন্দি করেছে।

    এদিকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মংডু শহর দখলে নেওয়ার ফলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের প্রায় পৌনে তিনশ কিলোমিটার সীমান্তের পুরোটাই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির সশস্ত্র এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি জান্তার শেষ অবশিষ্ট সীমান্ত ঘাঁটি মংডু শহরের বাইরে অবস্থিত বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৫ বেশ কয়েক মাস লড়াইয়ের পর রোববার সকালে দখল করে নেয়।

    ব্যাপক সুরক্ষিত এই ঘাঁটিটি আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)-এর রোহিঙ্গা মিলিশিয়াসহ ৭ শতাধিক পুলিশ অফিসার এবং সৈন্যদের মাধ্যমে পরিচালিত হতো।

    আরাকান আর্মি বলেছে, তারা জান্তা বাহিনীর বিমান হামলার মধ্যে ৫৫ দিনের লড়াইয়ের পরে রোববার এই ঘাঁটি দখল করতে সক্ষম হয়। তারা আরও বলেছে, বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে লড়াইয়ের সময় ৪৫০ জনেরও বেশি সরকারি সৈন্য নিহত হয়েছে এবং আরাকান আর্মির সৈন্যরা প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে।

    আরাকান আর্মির হাতে ঘাঁটিটির পতনের পর সরকারি সেনাসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। তবে ঘাঁটি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর প্রায় ৮০ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহীসহ সরকারি সৈন্যদের সাথে জান্তার মিলিটারি অপারেশন কমান্ড (এমওসি) ১৫ এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনকে গ্রেপ্তার করে আরাকান আর্মি।

    ঘাঁটিটি দখল হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ভেতরে আটকে থাকা জান্তা সৈন্যরা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছিল যাতে তারা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য জান্তা নেতার কাছে আবেদন করে। ভিডিওতে সরকারি সৈন্যদের বলতে শোনা যায়, তারা তিন মাস ধরে ঘাঁটিতে আটকে আছে। কিন্তু এরপরও নেতারা তাদের সরিয়ে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেননি এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুন তাদের পরিত্যাগ করেছেন।

    ইরাবতী বলছে, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালেতে শান্তিপূর্ণ অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভের ওপর প্রাণঘাতী ক্র্যাকডাউন চালানোর জন্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুন কুখ্যাত। এছাড়া এই জেনারেল রাখাইন প্রদেশের উত্তরে জান্তার পক্ষে লড়াই করার জন্য রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগেও অভিযুক্ত।

    ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী থেকে বের হয়ে আসা সাবেক সেনা ক্যাপ্টেন জিন ইয়াও দ্য ইরাবতীকে বলেন, বন্দি কুখ্যাত এই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তার ঊর্ধ্বতনদের প্রতি অটল আনুগত্য দেখানোর জন্য এবং তার কমান্ডের অধীনে থাকা সৈন্যদের প্রতি নির্দয় আচরণের জন্য পরিচিত ছিলেন।

    জিন ইয়াও আরও বলেন, “বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নে যুদ্ধের সময় তিনি তার দেহরক্ষীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে— কোনও জান্তা সৈন্য যদি পালাতে বা আরাকান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণের চেষ্টা করে তাহলে তাকে গুলি করতে হবে। তবে তিনি তার ঊর্ধ্বতনদের কাছে সত্যিকারের পরিস্থিতি জানাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, বিশেষ করে আহত সৈন্যদের অবস্থার বিষয়ে।”

    আরাকান আর্মি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনসহ বন্দি জান্তা সৈন্যদের ছবি প্রকাশ করেছে। সেইসাথে ঘাঁটি থেকে জব্দ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদের একটি বড় সংগ্রহের ছবিও প্রকাশ করেছে তারা।

  • পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

    পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

    থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

    কিছু অসাধু ব্যক্তি এবং এসব দেশে গড়ে ওঠা বেশ কিছু স্ক্যাম প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কলসেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দিয়ে নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) প্রচার কার্যক্রম ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করছে।

    এসব ক্ষেত্রে স্ক্যাম সেন্টারগুলো বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিদেরও সুকৌশলে স্ক্যাম সেন্টারের ভেতরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক জিম্মি করে স্ক্যামের কাজে নিয়োজিত করছে।

    ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ায় গড়ে ওঠা স্ক্যাম সেন্টারগুলো থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ও পালিয়ে আসা বেশ কিছু বাংলাদেশিকে ইতোমধ্যে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছে।

    এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারসমূহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

    এছাড়া, এসব দেশগুলোতে সাইবার স্ক্যাম নিয়ে কাজ করছে এরূপ এনজিওসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।

    বিদেশে চাকরির উদ্দেশ্যে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের এসব দেশে কম্পিউটার পরিচালনা সংক্রান্ত চাকরির প্রস্তাব পেলে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অথবা জনশক্তি, কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের সহযোগিতায় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    এছাড়াও স্ক্যাম সেন্টার থেকে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদেরকে টার্গেট করে আর্থিকভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে। দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করলে প্রতারক চক্রটি তাৎক্ষণিকভাবে এসব লেনদেনের অ্যাকাউন্ট বন্ধের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে।

    এ বিষয়ে দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আরো বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে ইতিবাচক মিয়ানমার

    রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে ইতিবাচক মিয়ানমার

    গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরাতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই।

    ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিটে যোগদানের পাশাপাশি ড. হাছান মাহমুদের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার এ মনোভাব ব্যক্ত করেন।

    শুক্রবার (১২ জুন) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা বলা হয়েছে।

    রিট্রিটের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই বৈঠকে ড. হাছান মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাদের পূর্বের আলোচনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে যে, তারা তাদের দেশ থেকে জোরপূর্বক উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত নাগরিক রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সম্মত আছে। কিন্তু এটি কার্যে পর্যবসিত হওয়ার চিহ্ন এখনো পরিলক্ষিত হয়নি।

    ‘প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলেই কেবল মিয়ানমার তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার নজির রাখতে পারে’ উল্লেখ করে বিষয়টির ওপর গভীর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

    মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন এবং তার সরকারের সাথে আলোচনা করে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর অভিপ্রায় পুনর্ব্যক্ত করেন।

    এদিকে রিট্রিটের শেষ দিন শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

    এ দিন সকালে নয়া দিল্লির কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পঞ্চবটিতে বাংলাদেশের ড. হাছান মাহমুদসহ রিট্রিটে যোগদানকারী ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ও নেপালের পররাষ্ট্র সচিব ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে এই সৌজন্য সাক্ষাতে অংশ নেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাদের সাথে কুশলাদি ও সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় শেষে ফটোসেশনে অংশ নেন।

    দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশের আঞ্চলিক জোট ‘বে অভ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)’ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই রিট্রিটে বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কার্যকর অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সাথেও সংক্ষিপ্ত পার্শ্ববৈঠকে নিত্যপণ্য আমদানি সুবিধা অব্যাহত রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরী দল প্রেরণের বিষয়সহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করেন।

  • দি‌ল্লি সফ‌রে মিয়ানমার প‌রি‌স্থি‌তি তুল‌বেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    দি‌ল্লি সফ‌রে মিয়ানমার প‌রি‌স্থি‌তি তুল‌বেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    মিয়ানমা‌র সীমান্তের চলম‌ান প‌রি‌স্থি‌তি নয়াদি‌ল্লি সফ‌রে তু‌লে ধর‌বেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়া‌রি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ে আয়োজিত এক সংবাদ স‌ম্মেল‌নে তিনি এ তথ‌্য জান‌ান।

    তিন দি‌নের সফ‌রে আজ (মঙ্গলবার) দি‌ল্লি যাওয়ার কথা র‌য়ে‌ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। সফ‌রে মিয়ানমার প‌রি‌স্থি‌তি তোলা হ‌বে কিনা-জান‌তে চান সাংবা‌দিকরা। জবা‌বে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব‌লেন, ভারতে গিয়ে আমার সেই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও নিরাপত্তা উপ‌দেষ্টার স‌ঙ্গে দেখা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে আমরা সার্বিক বিষয়গুলো আলোচনা করব, যেহেতু মিয়ানমার ভারতেরও প্রতিবেশী রাষ্ট্র, আবার আমাদেরও প্রতিবেশী রাষ্ট্র।

    বাংলাদেশে ঢুকেছে বিজিপি সদস্যসহ আরো ১১৪ জন
    ভূ-রাজনৈতিক জটিল সমীকরণের মুখে বাংলাদেশ
    তিনি বলেন, আমরা সবসময় ভারতের সহযোগিতা চেয়ে এসেছি। মিয়ানমার থেকে যাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে, তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের সহায়তা আমরা বহু আগে থেকেই চেয়েছি। সুতরাং এ বিষয়গুলো স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় উঠবে।

    এর আগে, মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে আসা মর্টারশেলের আঘাতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে প্রতিবাদ জা‌নায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    মিয়ানমার সংকট নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছে অজিত দোভালের

    মিয়ানমারে উদ্ভূত সংঘাত পরিস্থিতিতে নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অজিত দোভালের। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

    গত সপ্তাহে ঢাকা সফরে এসেছিলেন দোভাল। সেই সময়ই মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার আলোচনা হয় বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

    মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গত ৫ দশকেরও বেশি সময় ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে বিভিন্ন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। তবে এই লড়াই নতুন গতি পেয়েছে ২০২১ সালে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে।

  • মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ঢাকার কড়া প্রতিবাদ

    মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ঢাকার কড়া প্রতিবাদ

    মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে আসা মর্টারশেলের আঘাতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে প্রতিবাদ জা‌নি‌য়ে‌ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডে‌কে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।

    মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আসেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মুহাম্মদ মাইনুল কবির তাকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানান। দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ছাড়াও সীমান্তে চলমান পরিস্থিতির কার‌ণে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হ‌য়ে‌ছে।

    রাষ্ট্রদূত‌কে তল‌বের প্রস‌ঙ্গে মহাপরিচালক মিয়া মুহাম্মদ মাইনুল কবির ব‌লেন, রাষ্ট্রদূ‌তের স‌ঙ্গে বৈঠক হ‌য়ে‌ছে। প্রতিবাদ জানা‌নোর জন্য আমরা তাকে ডে‌কে এনে‌ছি।

    মিয়ানমারের বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি) সংঘাতের জে‌রে বাংলাদেশে আশ্রয় নি‌য়ে‌ছে বিজিপির সদস্যসহ মোট ২২৯ জন।

    বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    এদিকে, মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • মিয়ানমারের চার সৈন্যকে চমেকে ভর্তি

    মিয়ানমারের চার সৈন্যকে চমেকে ভর্তি

    মিয়ানমারে বিদ্রোহী ও জান্তা সৈন্যদের লড়াইয়ে গুরুতর আহত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) চার সদস্যকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    তারা হলেন– ইউ পিও ((৪৮), কিয়া থান সিন (২৯), কিন মং (২০) ও লা নি মং (৩০)।

    পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নূর আলম আশেক জানান, সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজিবি সদস্যদের প্রহরায় তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল এলাকায়ও নিরাপত্তা বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে।

    এদিকে বিজিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়নের পরিচালকের পক্ষ থেকে এক বার্তায় বলা হয়, ‘মিয়ানমারে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষের কারণে দেশটির বেশকিছু আহত বিজিপি সদস্যও আমাদের বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয়ভাবে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার স্থানীয় হাসপাতালের পরামর্শে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

    রাখাইনে সেনা ও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ শুরুর পর রোববার থেকে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে শুরু করে বিজিপি সদস্যরা। যুদ্ধে আহতসহ এখন পর্যন্ত ১১৭ জন বিজিপি সদস্য অনুপ্রবেশের পর অস্ত্রসহ বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

  • মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করছে সরকার

    মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করছে সরকার

    মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশিসহ দুজনের মৃত্যুর ঘটনাসহ চলমান প‌রি‌স্থি‌তির জে‌রে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব কর‌ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়া‌রি) মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হ‌চ্ছে।

    কূট‌নৈ‌তিক সূত্রগু‌লো বল‌ছে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে মিয়ানমা‌র সীমা‌ন্তের ওপার থে‌কে আসা মর্টার শেলের আঘাতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনাসহ সীমান্তের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ কড়া প্রতিবাদ জানাবে।

    মিয়ানমারের বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি) সংঘা‌তের জে‌রে বাংলাদেশে আশ্রয় নি‌য়ে‌ছে বি‌জি‌পির ১১৩জন সদস্য।

    বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    এদিকে, মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • মিয়ানমার ইস্যুতে সেনা ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    মিয়ানমার ইস্যুতে সেনা ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও বাংলাদেশের সীমান্তে এর প্রভাব নিয়ে সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন।

    এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে প্রশ্নোত্তরে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ওই ঘটনা বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

    মিয়ানমার ইস্যুতে সরকার ওয়াকিবহাল আছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, আজ ৭৮ জন মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশ বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের মধ্যে কিছু কিছু আহতও আছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আপাতত একটা স্কুলে রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটা আলোচনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই আলোচনার জন্য এবং তাদের ফেরত পাঠানো বা ফেরত যদি পাঠানো না যায় তাহলে অন্য ব্যবস্থা কী করা যায়, সেটাও হবে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    মন্ত্রী বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বা প্যারামিলিটারি বাহিনী (বিজিবি) রয়েছে তাদের ধৈর্য ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে বর্ডারের স্কুলটি বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

     

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন : টেকনাফে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল

    রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন : টেকনাফে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল

    রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের তালিকা যাচাইয়ে ২য় দফায় মিয়ানমার সরকারের ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছেছে।

    বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ১০টার দিকে প্রতিনিধিদলটি নাফ নদী হয়ে টেকনাফ জেটিতে এসে পৌঁছায়।

    শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে যে তালিকা পাঠিয়েছিল তা যাচাই করতে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছে। প্রতিনিধিদলটি আরআরআরসির সঙ্গে বৈঠক করবে। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবে।

    তিনি আরও জানান, প্রতিনিধিদলটি কোনো রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবে না। সকালে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের বন্দর বিশ্রামাগার চত্বরে নিয়ে আসা হয়েছে।

  • অং সান সু চি’র আরও সাত বছরের কারাদণ্ড

    অং সান সু চি’র আরও সাত বছরের কারাদণ্ড

    মিয়ানমারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অং সান সুচিকে ফের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের একটি সামরিক আদালত। বর্তমানে তার সামগ্রিক জেলের সময়কাল ৩৩ বছর হয়েছে।

    ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে দেশটির প্রাক্তন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা গৃহবন্দী ছিলেন। তারপর থেকে তিনি ১৯টি অভিযোগে ১৮ মাসের বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।

    জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গত সপ্তাহে তার মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।

    শুক্রবার তাকে চূড়ান্ত পাঁচটি অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়। একটি আদালত তাকে দুর্নীতির জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে কারণ তিনি নিয়ম না মেনে সরকারি এক মন্ত্রীর জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

    তিনি ইতিমধ্যে কোভিড জননিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন, ওয়াকি-টকি আমদানি এবং সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ ১৪টি বিভিন্ন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

    এই বছর তার বিচার বদ্ধ কক্ষে করা হয়েছে যেখানে জনসাধারণ এবং মিডিয়ার প্রবেশ সংরক্ষিত। এমনকি তার আইনজীবীদেরকেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

    ৭৭ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী তার বেশিরভাগ সময় রাজধানী নেপিদোতে গৃহবন্দী অবস্থায় কাটিয়েছেন।

    রাজনৈতিক বন্দীদের (বার্মা) সহায়তা সংস্থার তথ্য অনুসারে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সু চি এবং তার দলের ১৬ হাজার ৬০০ জনের বেশি সদস্যকে প্রেপ্তার করেছে জান্তা সরকার। এর মধ্যে কারাগারে রয়েছে ১৩ হাজার জন।

    গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ এবং সব রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। চীন এবং রাশিয়া এই প্রস্তাবে ভোট প্রদানে বিরত ছিল এবং রেজুলেশনের শব্দে সংশোধনীর পরে তাদের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেনি।

    অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর আগে বলেছিল, সু চির ওপর ‘নিরলস আইনি আক্রমণ’ এটাই প্রমাণ করে যে কীভাবে সামরিক বাহিনী ‘বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা প্রহসনমূলক অভিযোগ আনতে আদালতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে’।

    গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনীর হিংসাত্মক ক্ষমতা দখল ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত করে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী ও কর্মীদের বিরুদ্ধে দমন করতে প্ররোচিত করে।

    এই পরিস্থিতি পৃথক জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে নতুন করে অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ের সূত্রপাত করে। দেশটির বেসামরিক শক্তি সামরিক এবং জান্তা শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।

    জান্তার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং বেসামরিক গ্রামে বিমান হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে।

  • সীমান্তে এখনই সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে ভাবছি নাঃ সচিব

    সীমান্তে এখনই সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে ভাবছি নাঃ সচিব

    ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেছেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টডার্ড ছাড়া আর কোনো বাহিনী নেই। এখনই সীমান্তে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা ভাবছি না।’

    আজ রোববার সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে মিয়ানমার সীমান্তে চলমান ঘটনার প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয় এবং প্রায় আধঘণ্টা কূটনৈতিক আলোচনা করা হয়। এছাড়া একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে সীমান্তে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘রিইনফোর্সমেন্ট যেখানে যতটুকু লাগে, যা করা লাগে করবে। যাতে সাগর দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে রোহিঙ্গা আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ করেছি। এ বিষয়ে আমাদের দেশেরও কিছু লোক জড়িত আছে, সেটা যাতে না হয় সে বিষয়ে আমাদের সকল এজেন্সিকে অনুরোধ করেছি।’

    তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আমরা প্রতিবাদলিপি দিয়েছি। সীমান্তে যেসব ঘটনা ঘটছে সেগুলোর পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়। আমরা বলেছি, এটা আপনাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিভাব সমাধান করবে তা মিয়ানমারকে চিন্তা করতে হবে। কিন্তু মিয়ানমারের গোলা যাতে আমাদের ভূখণ্ডে না আসে- সেটা দেখা দায়িত্ব আমাদের না। সেটা দেখার দায়িত্ব তাদের। বাংলাদেশ দায়িত্বশীল শান্তিকামী রাষ্ট্র। আমরা ধৈর্যের সাথে অনেকদিন ধরে এসব সহ্য করে যাচ্ছি। আমরা বলেছি, আপনাদের সমস্যার সমাধান করুন। যাতে আমাদের এখানে কোনো রক্তারক্তি না হয়, প্রাণ না যায়।’

    এছাড়া আজ একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করা হয়েছে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব খুরশেদ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের যত এজেন্সি আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা তো একটা দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিবেশীকে যা নিয়ম মাফিক করা যায় সেটাই করছি।’

    ‘আমরা শক্ত অবস্থান থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছি। চেষ্টা করছি আসিয়ান দেশের রাষ্ট্রদূতদেরও ব্রিফ করতে। যাতে আমরা তাদেরকে বলতে পারি, বারবার একই অবস্থা শুনে গিয়েও তারা (মিয়ানমার) কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এটা প্রতিবেশী হিসেবে খুব দুঃখজনক। আমরা এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা ভবিষ্যতে কীভাবে মিয়ানমারকে এসব কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখা যায় সে চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

    প্রতিবাদলিপি প্রদান ও কূটনৈতিক আলোচনাকালে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের তেমন কোনো জবাব পাওয়া যায়নি বলে জানান ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব। তিনি জানান, রাষ্ট্রদূত তথ্যগুলো নেপিদোতে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে। তারা যাতে এ ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারে।

    ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আমরা আগেও ওনাদের (মিয়ানমার) বলেছি, রাষ্ট্রদূত মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। উনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা মর্টার শেল পড়া, প্রাণহানিসহ কয়েকজন আহত হওয়ার কথা বলেছি, যা শুনে উনি অস্বীকার করেননি। কিন্তু ওনাদের বক্তব্য হলো, এগুলো আরাকান আর্মির গোলাগুলিতে হতে পারে। আমাদের বক্তব্য হলো, আপনাদের দেশের (মিয়ানমারের) অভ্যন্তর থেকে যা কিছু আসুক না কেন এটা আপনাদের দায়িত্ব। এটা আপনারা দেখবেন। আপনাদের পার থেকে যেন কিছু না আসে সেটা আপনারা নিশ্চিত করবেন। এর জন্য যা কিছু দরকার তা সে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’

    বাংলাদেশে নিহত হওয়ার দায় কে নেবে— এমন প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এটা একটা দুর্ঘটনা বলা যায়। যেহেতু আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না গুলিটা কে করেছে। কারণ, গুলির গায়ে লেখা আছে মিয়ানমার আর্মি। কিন্তু মিয়ানমার বলছে এই গুলি চুরি করে আরাকান আর্মি নিয়ে গেছে এবং তারা এই গুলি করছে। যাতে করে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের দূরত্বের সৃষ্টি হয়। কাজেই এরকম একটা জায়গায় কে দায়িত্ব নেবে সেটা নিরূপণ করা কঠিন কাজ।’

    তিনি বলেন, ‘সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গা সমাধান তো দেখতেছেন। সমাধান কি হচ্ছে? পাঁচ বছর ধরে জাতিসংঘসহ এমন কোনো জায়গা নেই। এমন কোনো দেশ নেই, সংস্থা নেই, যেখানে আমরা যাইনি। ধরনা দেইনি। কিন্তু সমাধান কি হয়েছে? ইউএনএইচসিআর কি পেরেছে?’

    দ্বিপাক্ষিক ইস্যুর ওপরে সমাধানে সময় লাগবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ধৈর্য ধরতে হবে। আমার বিশ্বাস, যদি আমরা শক্ত থাকি এর সমাধান আসবে।’

    উল্লেখ্য, কয়েক মাস ধরে রাখাইনে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এর ফলে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি মর্টার শেল এসে পড়ে। শনিবার একটি মর্টার শেল এসে বাংলাদেশে বিস্ফোরিত হলে একজন নিহত ও ৬ জন আহত হন।

    মিয়ানমার সীমান্তে চলমান ঘটনায় গত এক মাসে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে কয়েক দফা তলব করে প্রতিবাদলিপি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাতেও কাজ না হওয়ায় আজ প্রতিবেশী দেশটির রাষ্ট্রদূতকে আবারও ডেকে প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয়।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • ফেসবুককে রোহিঙ্গাবিরোধী অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশের আদেশ মার্কিন আদালতের

    ফেসবুককে রোহিঙ্গাবিরোধী অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশের আদেশ মার্কিন আদালতের

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুককে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাবিরোধী সংঘাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। গোপনীয়তা রক্ষার নীতির কথা জানিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সেগুলো প্রকাশে অনীহা জানিয়েছিল। আদালত তা নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে গাম্বিয়া। মামলার কার্যক্রমের জন্য ফেসবুকের ওই তথ্য প্রয়োজন বলে এর আগে জানান আন্তর্জাতিক আদালত। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের গোপনীয়তা বিষয়ক আইনের দোহাই দিয়ে তথ্য সরবরাহ করতে অনীহা দেখিয়েছিল ফেসবুক।

    ওয়াশিংটন ডিসির আদালত স্থানীয় সময় বুধবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষের এমন আচরণের সমালোচনা করেন। আদালত বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্তের কাজে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক।

    ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, কোম্পানির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।

    এরই মধ্যে মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘের একটি স্বাধীন তদন্ত কার্যক্রমে আইনি পন্থায় তথ্য দিয়েছে বলে জানান ফেসবুকের ওই মুখপাত্র।

    মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের গণহত্যা বিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা দিয়েছে গাম্বিয়া।

    ২০১৭ সালে সামরিক অভিযানের মুখে সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ওই সময় রোহিঙ্গাদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, গণহারে হত্যা ও নির্যাতন করা হয়, বহু রোহিঙ্গা নারী ধর্ষণের শিকার হন

    এন-কে