Tag: মিয়ানমার

  • মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ, দেশ ছাড়ছে মানুষ

    মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ, দেশ ছাড়ছে মানুষ

    মিয়ানমারের ভারত সীমান্ত ঘেষা শহর থ্যান্টলাং এ আবারও সেনা অভ্যুত্থান বিরোধীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর। এরপর থেকেই থ্যান্টলাং ছাড়তে শুরু করেছে বহু মানুষ।

    বুধবার শহরের বেশ কয়েকটি বাড়িতে কামান দিয়ে হামলা করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বিবিসির তথ্য মতে এই আগুনে পুড়ে গেছে অন্তত ২০ টি বাড়ি। পুড়িয়ে দেয়া ঘরের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিলেন এক খ্রিষ্টান যাজককে। তাকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

    এঘটনায় একদিনে ভারতে পালিয়ে গেছে এই শহরের অন্তত আট হাজার বাসিন্দা।

    স্থানীয় বাস্তুচ্যুতদের সাহায্যকারী সংগঠন থান্টল্যাং প্লেসমেন্ট অ্যাফেয়ার্স কমিটির মুখপাত্র সালাই লিয়ান জানান, সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বাড়ি বাড়ি ঢুকে গুলি করা শুরু করলে পালিয়ে যেতে শুরু করে মানুষ।

    থান্টল্যাং এর এক বাসিন্দা স্থানীয় গণমাধ্যমে জানান, শুধুমাত্র সামরিক আইনের সাথে সহমত যারা তারাই এখন আছে। বাকিরা শহর ছেড়ে পালিয়েছে।

    ভারতের মিজোরাম রাজ্যে একটি সুশীল সমাজ গোষ্ঠীর প্রধান বলেছেন, এক সপ্তাহে মিজোরামের দুটি জেলাতেই অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ এসেছে মিয়ানমার থেকে।

    এদিকে থান্টল্যাং এর এই পরিস্থিতিকে ‘জীবন্ত নরক’ বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক থমাস অ্যান্ডুজ।

    আগস্টে জেনারেল মিন অং হ্লিয়াং নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করার পর থেকেই দেশটির জরুরী অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

    গেল ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর পুরো মিয়ানমারে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির রাজনৈতিক সহযোগিতা সমিতির মত, সেসময় এক হাজারের বেশি মানুষ হত্যা করে সেনাবাহিনী। আটক করে ছয় হাজারের বেশি মানুষ।

    এন-কে

  • মিয়ানমারে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়ে,জরুরি অবস্থা ঘোষণা

    মিয়ানমারে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়ে,জরুরি অবস্থা ঘোষণা

    মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়ে। ক্ষমতা গ্রহণের পরই এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি।

    সোমবার ভোরে দেশটির রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ট ও ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চিসহ দলের শীর্ষ নেতাদের আটক করে সেনাবাহিনী।

    গেল বছরের ৮ নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি)
    বড় জয় পায়। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩২২টি আসন, যদিও এনএলডি ৩৪৬টি পায়।

    এদিন নব-নির্বাচিত সংসদের প্রথম অধিবেশন হবার কথা ছিল। তার আগেই সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিজেদের পক্ষে নিলো।

    এদিকে রাজধানী নিপিডসহ প্রধান শহর শহরগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সম্প্রচারও বন্ধ রয়েছে।

  • সেনা অভিযানে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি ও অং সান সু চি আটক

    সেনা অভিযানে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি ও অং সান সু চি আটক

    মিয়ানমারে সামরিক অভিযানে দেশটির রাষ্ট্রপতি উইন মিনত, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চিসহ শাসক দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

    সোমবার ভোরে সেনাবাহিনীর অভিযানে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্র মায়ো নিউনত।

    তিনি জানান, সোমবার ভোরে অং সান সু চি, রাষ্ট্রপতি উইন মিনত এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের আটক করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, আমি জনগণকে উত্তেজিত প্রতিক্রিয়া না দেখানোর আহ্বান জানাই।

    তারা যেন আইন অনুসারে প্রতিক্রিয়া জানায়।
    দেশটির সামরিক বাহিনী গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সেনাবাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করেছে।

    অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নভেম্বরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছে।

    তবে সেই নির্বাচনে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের ভোটারদের ভোট বঞ্চিত করার সমালোচনা করেছিল মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
    অন্যদিকে সেনাবাহিনী সমর্থিত বিরোধী জোট নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। তাদের দাবি ৮.৬ মিলিয়ন ভোট জালিয়াতির ঘটনা ঘটে সেই নির্বাচনে।

  • মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আইসিজে’র সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার রয়েছে

    মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আইসিজে’র সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার রয়েছে

    জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত বলেছে, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমারের গণহত্যা চালানোর অভিযোগ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রশ্নে তাদের সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার রয়েছে।

    মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে গাম্বিয়ার করা আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)’র প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুলকাভি আহমেদ ইউসুফ বলেছেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, সেই বিচারের এখতিয়ার আইসিজের রয়েছে।

    একইসঙ্গে আইসিজে রোহিঙ্গাদের ওপর আরো সহিংসতা বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়াকে যুক্তিযুক্ত মনে করছে বলেও প্রেসিডেন্টের ঘোষণায় বলা হয়েছে।

    মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দুই বছর আগে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী বর্বর নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। জাতিসংঘ একে জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করে।

    এই বর্বরতার মধ্যদিয়ে ১৯৮৪ সালের আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন ভঙ্গ করার অভিযোগে পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের এই সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করে ।

    নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের পিস প্যালেসে গত ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর ওই মামলার ওপর শুনানি হয়। তাতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। অন্যদিকে মিয়ানমারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি।

  • রাখাইনে সমুদ্রবন্দর হবে:চীনের প্রেসিডেন্ট

    রাখাইনে সমুদ্রবন্দর হবে:চীনের প্রেসিডেন্ট

    শুক্রবার দুই দিনের সফরে মিয়ানমার পৌঁছেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ক্ষমতায় আসার পর শি জিনপিংয়ের প্রথম সফর। আর ১৯ বছর পর চীনের কোনো প্রেসিডেন্টের মিয়ানমার সফর এটি।

    চীনা প্রেসিডেন্টের এই সফরকে চীনের গ্লোবাল বেল্ট ও রোড উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেখছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

    মিয়ানমারের ডেপুটি বাণিজ্যমন্ত্রী অং জেঁইয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, জিনপিং তার সফরে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিনত ও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাদের এই বৈঠকে চামসু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ ও রাখাইন রাজ্যে ১৩০ কোটি ডলার ব্যয়ে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।

    এছাড়া প্রায় হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। বৈঠকগুলো আজ শনিবার রাজধানী নেইপিদোতে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

    ২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসেন শি জিনপিং। ইতোমধ্যে আসিয়ানভুক্ত সব দেশ সফর করেছেন তিনি। শুধু বাকি ছিল মিয়ানমার। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐতিহাসিক এই সফরের মাধ্যমে মূলত মিয়ানমারকে কাছে পেতে চাইছে চীন। আর এটা চীনের স্বার্থেই-গ্লোবাল বেল্ট ও রোড উদ্যোগেরই অংশ।

    ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযানে ৭ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে। জাতিসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেন, অভিযানে ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। রাখাইনে মিয়ানমারের গণহত্যার অভিযোগ এনে দেশটিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দাঁড় করিয়েছে গাম্বিয়া। এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক চাপে রয়েছে মিয়ানমার। সেই মুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই সফর দেশটির পাশে দাঁড়ানোরই শামিল চীনের।

    গত বছরের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়ার মামলার পর মিয়ানমার চীনের সঙ্গে আরও সম্পর্ক জোরদার করতে থাকে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করে বাস্তুচ্যুত করার সময়ও চীনের ভূমিকা ছিল কার্যত মিয়ানমারের পক্ষেই। তবে জিনপিংয়ের এই সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো আলোচনা হবে কিনা তা জানা যায়নি।

    ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন বলা হয়েছে, রাখাইনে গভীর সমুদ্রবন্দর ও পূর্ব থেকে পশ্চিমে দ্রুতগামী ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে মিয়ানমারের চেহারা বদলে যেতে পারে।

  • সংঘবদ্ধ ধর্ষণ কি সন্ত্রাস মোকাবিলার পথ: গাম্বিয়ার প্রশ্ন

    সংঘবদ্ধ ধর্ষণ কি সন্ত্রাস মোকাবিলার পথ: গাম্বিয়ার প্রশ্ন

    আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের শুনানিতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, রাখাইনে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

    শুনানির তৃতীয় ও শেষ দিনে মামলার বাদী গাম্বিয়া সেখানে সংঘটিত নারী নিপীড়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রশ্ন তুলেছে, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ কি সন্ত্রাস মোকাবিলার পথ?

    রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা চালানো সেনাদের বিচারের প্রশ্নে মিয়ানমারকে বিশ্বাস করা যায় না বলে জানিয়েছে গাম্বিয়া।

    ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হত্যাকাণ্ড, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের বাস্তবতায় জীবন বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মামলা করে গাম্বিয়া।

    মামলায় নিজ দেশের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে নেমে শুনানির প্রথম দিন বুধবার সু চি দাবি করেন, গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় রাখাইনের একটি খণ্ডিত ও বিভ্রান্তিকর চিত্র হাজির করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। সু চি দাবি করেন, রাখাইনে আরসার মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার শুনানির শেষ দিনে গাম্বিয়ার আইনজীবী মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রশ্ন তোলেন, এমন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কি সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে হয়?

    ২০১৭ সালেই জাতিসংঘের অনুসন্ধানী দল তাদের অনুসন্ধানে জানিয়েছিল, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘবদ্ধ ধর্ষণকে জাতিগত নিধনের অস্ত্র বানিয়েছে মিয়ানমার। এরপর ২০১৮ সালে ওই অনুসন্ধানী দল পাঁচটি আলামত হাজির করে জানায়, রোহিঙ্গাদের বিতাড়নে কাঠামোবদ্ধ যৌন নিপীড়নকে ব্যবহার করেছে সে দেশের সেনাবাহিনী। একে গণহত্যার আলামত আখ্যা দিয়েছিল তারা। পরবর্তীতে আরও একটি ঘটনাকে যুক্ত করে সংস্থাটির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন দৃঢ়ভাবে জানায়, গণহত্যার উদ্দেশ্যেই সেখানে যৌন নিপীড়নকে ব্যবহার করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার বিচার প্রক্রিয়ার প্রথম দিনে বাদীপক্ষের অভিযোগ শোনা হয়। দ্বিতীয় দিনে মিয়ানমারের হয়ে কথা বলেন সু চি। শুনানির শেষ দিনে (১২ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় দেড়ঘণ্টা বলার সুযোগ পায় গাম্বিয়া। বিরতির পর রাত সাড়ে ৯টা থেকে দেড়ঘণ্টা নিজেদের যুক্তি তুলে ধরবে মিয়ানমার।

    সার্বিক প্রেক্ষাপটে মামলার শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আইজেসিকে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে ‘অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ’ দেওয়ার আহ্বান জানায় গাম্বিয়া।

     

  • মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যায় গাম্বিয়ার মামলা

    মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যায় গাম্বিয়ার মামলা

    মায়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।

    সোমবার দায়ের করা ওই মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নির্বিচারে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগসহ কাঠামোবদ্ধ গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

    জাতিসংঘ বলে আসছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনা অভিযানে গণহত্যার উপাদান ছিল। এছাড়া কানাডা, নাইজেরিয়া, তুরস্ক ও ফ্রান্সসহ আরও কয়েকটি দেশ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ করে আসছে।

    বিশেষ করে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য দিয়ে একাধিকবার রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে কথা বলেছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম নেতা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।

    এছাড়া বিশ্ব ইসলামিক করপোরেশন (ওআইসি) সদস্যভুক্ত ৫৭টি দেশকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করতে উৎসাহিত করেছিল। আর গাম্বিয়ার এই মামলা দিয়ে প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হল।

    হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে এই মামলার বিষয়টি জানিয়ে বলা হয়েছে, ৪৬ পৃষ্ঠা সম্বলিত মামলার আবেদন এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে জমা দিয়েছে গাম্বিয়া।

    কৃষিপ্রধান গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবুবকর তামবাদাউ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তার দেশের পক্ষ থেকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে গত ৪ অক্টোবর গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী মিয়ানমারকে আইনের আওতায় আনতে নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

    ইরাসমাস বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় আবুবকর তামবাদাউ বলেছিলেন, ‘আমরা মামলার সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি জানি, মিয়ানমারের নাগরিকরা কতটা অসহায় হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। কক্সবাজার পরিদর্শনকালে তাদের করুণ দশা শুনেছি। রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত অপরাধের জন্য মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক মহলের জবাবদিহি করতেই হবে।’

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে কথিত হামলার ধুয়ো তুলে রাখাইনে পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা।

    আগে থেকে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে এ সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১২ লাখের বেশি। কক্সবাজারের উখিয়ায় বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে তারা আশ্রয় নিয়েছে।

  • মিয়ানমারের বিজিপির গুলিতে বাংলাদেশী জেলে নিহত

    মিয়ানমারের বিজিপির গুলিতে বাংলাদেশী জেলে নিহত

    কক্সবাজারের নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) গুলিতে বাংলাদেশি এক জেলে নিহত হয়েছে।

    নিহত বাংলাদেশী জেলের নাম নুর মোহাম্মদ (৩৪)। তিনি জেলার টেকনাফ উপজেলার খারাংখালীর পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত সিদ্দিক আহমদের ছেলে।

    বৃহস্পতিবার ভোররাতে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার ঝিমংখালীর নাফ নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া এ ঘটনায় একই এলাকার আবুল কালাম নামে এক জেলে আহত হয়েছেন।

    স্থানীয় জেলেরা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) নাফ নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া বাংলাদেশী জেলেদেরকে প্রায়ই নির্যাতন করে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে মাছ শিকারে গেলে তাদের গুলিতে জেলে নুর মোহাম্মদ নিহত ও আবুল কালাম আহত হন।

    টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফয়সাল হাসান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

  • তেহরান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাবে

    তেহরান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাবে

    ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী বলেছেন, তেহরান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টিতে কাজ করে যাবে।

    তিনি বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এবং বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত নেয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করে যাব।’

    বাকু কংগ্রেস সেন্টারে ১৮তম ন্যাম সম্মেলনের সাইড লাইনে আজ বিকেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট এই আশ্বাস দেন।

    বৈঠকের পরে পররাষ্ট্র সচিব মো.শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    রুহানী প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

    তিনি বলেন, ইরান জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রতি তাঁর সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

    রোহিঙ্গা সমস্যার প্রতি তাঁর অঙ্গীকারের জন্য শেখ হাসিনা ইরানের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।

    ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, সন্ত্রাসবাদ উচ্ছেদে তাঁর দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে।
    রুহানী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান আন্তরিকতাপূর্ণ সংস্কৃতি এবং ঐতিহাসিক সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং ইসলামী বিশ্ব একটি বৃহৎ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে, যদি নিজেদের মধ্যকার সংঘাতগুলো নিজেরাই মিটিয়ে ফেলে একতাবদ্ধ হতে পারে।

  • রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিবে মিয়ানমার

    রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিবে মিয়ানমার

    রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে স্বীকার হয়েছে মিয়ানমার। তাদের ফরমে ভুল আছে-এটা সংশোধন করবে তারা, সুতরাং এটা একটা বড় অর্জন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

    বুধবার (২ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টায় রাজধানীর হোটেল লেক ক্যাসেলে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) উদ্যোগে ‘সহিংসতা ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে যুব সমাজের ভূমিকা : উত্তরবঙ্গ থেকে অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক জাতীয় গোলটেবিল বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে শক্তিশালী আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে যৌথ কমিশন গঠন করা হবে। যাতে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।