Tag: মুক্তিযুদ্ধের

  • মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুল্লাহ আল হারুনের স্ত্রী আর নেই

    মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুল্লাহ আল হারুনের স্ত্রী আর নেই

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : সাবেক গণপরিষদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অন্যতম সহচর মরহুম আব্দুল্লাহ আল হারুনের স্ত্রী বেগম খালেদা হারুন আর নেই (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)।

    চিকিৎসাধীন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ দুপুর ১২ টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

    মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে, দুই মেয়ে, অসংখ্য আত্নীয় স্বজন, গুণগ্রাহী রেখে যান। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা লুবনা হারুণের মাতা।

    মরহুমার নামাজে জানাজা আগামীকাল সকাল ১০টায় জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে প্রথম জানাজা এবং বাদ জুমা রাউজান গহিরায় ২য় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

  • স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও রক্ষণা-বেক্ষন নেই সীতাকুণ্ডের মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমির

    স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও রক্ষণা-বেক্ষন নেই সীতাকুণ্ডের মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমির

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।কামরুল ইসলাম দুলু,সীতাকুণ্ড : মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী এদেশের নিরীহ জনসাধারণসহ মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে নিয়ে নির্বিচারে হত্যা করেছে। এর মধ্যে অনেকের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। আবার অনেককে বিভিন্ন স্থানে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। বীর সেনানীদের সেই গণকবরগুলো আজও অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে।

    কোথাও কোথাও সেই গণকবরগুলো চিহ্নিতই করা হয়নি। এতে নির্মমতার স্মৃতিচিহ্ন গায়েব হয়ে যাচ্ছে। বধ্যভূমির চিহ্নিত ও সংস্কারের দাবি উঠলেও অবহেলায় পড়ে রয়েছে নির্মমতার স্মৃতি চিহ্নগুলো।

    দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। তার মধ্যে ৩৫টি প্রকল্প বানিয়ে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে ওই বধ্যভূমিগুলোতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু মহান স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও রক্ষণা-বেক্ষণ নাই সীতাকুণ্ডের মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমির।

    বছরের পর বছর ধরে স্থাপনা চিহ্নিত শহীদদের স্বরণ করা হলেও অন্তরালে থেকে গেছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা বধ্যভূমিগুলো। স্বাধীনতার দীর্ঘ বছর পার হতে চললেও নেয়া হয়নি বধ্যভূমিতে স্মৃতিচিহ্ন তৈরির উদ্যোগ। ফলে অযত্ন-অবহেলায় বিলীন হতে চলেছে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা বধ্যভূমিগুলো। স্বাধীনতা যুদ্ধে সীতাকুণ্ডে শহীদ হন ১৯ জন মুক্তিযোদ্ধা।

    এছাড়া যুদ্ধকালীন সময়ে গন শহীদ হয়েছিলেন ১৬০ সাধারণ মানুষ। এসব শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ১টি স্মৃতিস্তম্ভ শহীদ মিনার থাকলেও অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা পড়ে রয়েছে পরিত্যক্ত বধ্যভূমিতে।

    উপজেলার নানা অজানা স্থানে অসংখ্য নাম না জানা মুক্তিযোদ্ধাদের বধ্যভূমি থাকলেও সরকারিভাবে নথিভুক্ত রয়েছে গুটি কয়েক বধ্যভূমির নাম। যেসব বধ্যভূমির নাম উপজেলা মুক্তিযাদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে রেজিস্ট্রিভুক্ত রয়েছে- সীতাকুণ্ড রেল স্টেশন বধ্যভূমি, চন্দ্রনাথ ধাম বধ্যভূমি, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের পাক্কার মসজিদ বধ্যভূমি, লালবেগ সিএনসি স্টেশন বধ্যভূমি, হাটহাজারী লিং রোড বধ্যভূমি, সলিমপুরের ফকিরহাট ওভারব্রীজের নিচে।

    রেজিস্ট্রিভুক্ত বধ্যভূমির কিছুর স্মৃতি চিহ্ন থাকলেও অধিকাংশই হয়ে পড়েছে অরক্ষিত। ফলে রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকি অভাবে দিনে দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচিহ্ন বধ্যভূমিগুলো বিলীন হওয়ার পথে। তাছাড়া স্মৃতিচিহ্ন না থাকার কারণে অধিকাংশ বধ্যভূমি অরক্ষিত হয়ে পড়ায় সে সব জায়গায় স্থাপনা গড়ে তুলেছে দখলদাররা। কিছু বধ্যভূমির স্মৃতিচিহ্ন থাকার পরও দখলে নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে স্থাপনা।

    সোনাইছড়ি ইউনিয়নের লালবেগ এলাকায় মহাসড়ক সংলগ্ন বধ্যভূমিটি দখল করে গড়ে তোলা চট্টলা সিএনজি ফিলিং স্টেশন। একইভাবে পৌরসভার রেল লাইন সংলগ্ন বধ্যভূমিটি বেদখল হয়ে গড়ে উঠেছে একাধিক স্থাপনা। এভাবে একর পর এক শহীদদের বধ্যভূমিগুলো বিলীন হওয়ায় বহু লোক স্বাধীনতার সময় হারানো পরিবারের সদস্যদের স্মৃতি চিহ্নটুকু হারিয়ে ফেলছেন।

    তাছাড়া যেসব স্থাপনা সমূহের স্মৃতি চিহ্ন রয়েছে সঠিক সংরক্ষণের অভাবে তাও হারিয়ে যাওয়ার পথে। এছাড়া যেসব বধ্যভূমির স্মৃতিচিহ্ন নেই সেসব বধ্যভূমি দখল করে গড়ে উঠেছে স্থাপনা।

    মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ উপজেলা প্রশাসনের স্থাপনাসমূহ রক্ষণা-বেক্ষণের উদ্যোগ নিয়েও তা বারবার পিছিয়ে গেছে বলে জানান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদদের কমান্ডার মো.আলিম উল্লা।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, বিষয়টি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা এগিয়ে আসলে প্রশাসনের কিছু করার থাকে। তবে এর মধ্যে চন্দ্রনাথ ধামের বধ্যভূমির স্মৃতিচিহ্ন তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ধীরে ধীরে বাকি বধ্যভূমির সংরক্ষনের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

  • মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শফিউল আলমের ইন্তেকাল

    মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শফিউল আলমের ইন্তেকাল

    মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মীরসরাই নিবাসী, দৌলার প্রেসের স্বত্ত্বাধিকারী মো. শফিউল (৯০) আলম আজ ৩ নভেম্বর বিকেল ৫টায় নগরীর একটি ক্লিনিকে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজেউন)।

    তিনি ৫ পুত্র, ৩ কন্যাসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে যান। নগরীর মিসকিন শাহ (র.) মাজার প্রাংগনে আজ রাত সাড়ে ৮ টায় জানাযার পর তাকে মাজারসংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হবে।

    সংগ্রামী এই মানুষের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চট্রগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দরা। তারা শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছেন।

    উল্লেখ্য, মরহুম শফিউল আলম বাংলাদেশের স্বাধিকার সংগ্রামের ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত ছিলেন। পাকিস্তান আমলে ন্যাপের (মোজাফফর) কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। দীর্ঘদিন বাম রাজনীতির সাথে সংযুক্ত ছিলেন।

    মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেওয়ান বাজার দেওয়ানজী পুকুর লেইনস্থ দোলার প্রেসে স্বাধীনতা বিরোধীরা দুইবার আগুন লাগিয়ে দেয় স্বাধীন দেশের পতাকা ছাপানো ও সরবরাহের অপরাধে। ৭০ এ নিবাচনে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সংযুক্ত হন। সামরিক শাসক জেনারেল জিয়ার আমলে কারাভোগ করেন।

    মরহুম শফিউল আলম আজাদীর সহসম্পাদক রেজাউল করিমের পিতা।