Tag: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

  • জিয়াসহ ৫ জনের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত

    জিয়াসহ ৫ জনের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত

    বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর জিয়াউর রহমানে খেতাব বাতিল হলে তাদের সব রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাও বাতিল হবে।

    পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্মরণীয় ব্যক্তিদের তালিকা থেকে খন্দকার মোশতাকের নামও বাদ পড়বে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
    মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর স্কাউট ভবনে আয়োজিত দিনব্যাপী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত এখন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে জামুকা। এরপর মন্ত্রণালয় গেজেট আকারে প্রকাশ করবে।

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় শরিফুল হক ডালিমের নামের সঙ্গে ‘বীর উত্তম’; নূর চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ ও মোসলেহ উদ্দিনের নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ উপাধি ছিল।

    সভায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আরও যে মদদদাতা রয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে। অন্য দুই সদস্য হলেন সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান ও উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ।

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জামুকার সদস্য শাজাহান খান এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খেতাব বাতিলের বিষয়টি সভার আলোচ্যসূচিতে না থাকলেও ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই-বাছাই ও বাতিল-সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার সময় বিষয়টি উত্থাপিত হয়। তখন এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর জিয়াউর রহমানসহ সবার খেতাব ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় জামুকা।

    অপরাধের জন্য জিয়াউর রহমান শাস্তি পাবে জানিয়ে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে অনেকেরই পুরস্কার ও ডিগ্রি প্রত্যাহার করা হয়। তাদের হয়তো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাদ দেওয়া যাবে না, কিন্তু খেতাব বাদ দেওয়া যাবে, অপরাধের জন্য তারা শাস্তি পাবে।

    জামুকার এ সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শাজাহান খান, উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, মো. মোতাহার হোসেন, মো. শহীদুজ্জামান সরকার এবং যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল আলম ও মেজর (অব.) ওয়াকার হাসান বীর প্রতীক। পদাধিকার বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামুকার প্রধান উপদেষ্টা।

  • ৬১ বীরাঙ্গনার তালিকা প্রকাশ

    ৬১ বীরাঙ্গনার তালিকা প্রকাশ

    ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের ৬১ জন নারী মুক্তিযোদ্ধার (বীরাঙ্গনা) তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

    রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রথীন্দ্র নাথ দত্ত স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন-২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা, সরকারের রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬ এর সিডিউল-১-এর তালিকা ৪১ এর ৫ নম্বর ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জামুকার ৭০তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) তালিকার গেজেট প্রকাশ করা হল।

    ৬১ নারী মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- মোসা. সিজু বেগম, বেগম আছকিরূন নেছা, আশালতা পাল, রেনুকা চক্রবর্তী, মোছা. রেনু বেগম (মৃত), সাহেরা বেগম, মোছা. জরিনা বিবি, মোসা. রোপন বেওয়া, মোছা. মোজেফা খাতুন, হাজেরা বেগম, ফুল বরু ওরফে ফুল বানু, মনোয়ারা বেগম, সালেহা বেগম, আনোয়ারা বেগম, ছৈতুন নেছা, রিজিয়া বেগম, জোবেদা (মৃত), হাচেন ভানু (মৃত), হাচন ভানু (মৃত), জয়ফুল (মৃত), ছকিনা খাতুন (মৃত), ফুল ভানু (মৃত), মোছা. মনোয়ারা বেগম, জমিলা বেগম, তুলসী চন্দনা রায়, রাহেলা বেগম, মোছা. মানিকজান, মোছা. হালিমা বেগম, মোছা. ইয়ারজান, মোছা. সমর্থভান, মোছা. রেখা বেগম, মোছা. হাজেরা বেগম, মোছা. হালিমা বেগম, মোছা. ছায়েরা খাতুন, মোছা. ফরিদা বেগম, মোছা. লাইলী বেগম, মোছা. ফাতেমা বেগম, আয়েশা বেগম, মোসা. সালেহা খাতুন, তরুন বালা, মায়া রানী সাহা, মোসা. হাজেরা বেগম, মোছা. সুফিয়া বেগম, মোছা. হোসনেয়ারা বেগম, জামিরুন নেছা, জয়নব বিবি, জয়তুন বেগম, হাজেরা বেগম, খুদেজা, রুকেয়া, মমতা, আলিপজান, রহিমা বেগম, নবিরুন বেগম, সিমন্তী রানী চন্দ, জোৎস্না বেগম, আসমা বেগম, মোছা. জামেনা খাতুন, আমেনা বেগম, সুমি বিশ্বাস এবং গুরুদাসী মণ্ডল।

  • ১১৮১ জনের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি

    ১১৮১ জনের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি

    এক হাজার ১৮১ জনের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

    রোববার (৭ জুন) এই তালিকা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।’

    গেজেট বাতিলকৃত প্রজ্ঞাপন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.molwa.gov.bd) পাওয়া যাবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর