Tag: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

  • জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল রাজনৈতিক সিদ্বান্ত নয়: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

    জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল রাজনৈতিক সিদ্বান্ত নয়: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিদেশ চলে যেতে সহযোগিতা করেছে, উচ্চ পদে পদায়ন করেছে জিয়াউর রহমান। দেশের সংবিধান পরিবর্তন করে শাহ আজিজ, আবদুল আলিমসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে নিজের মন্ত্রিসভা গঠন করেছিল।

    আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মোশতাক-জিয়া, তারাতো শাস্তি পায়নি। মৃত্যু হলে কোনো আইনে আদালতে শাস্তির রায় ঘোষণা হয় না। কারো মৃত্যু হলে সে যদি আসামি থাকে তবে আদালত তাকে বাদ দিয়ে অন্যদের ব্যাপারে রায় দেয়।

    বুধবার সকালে গাজীপুরের কালামপুর রোডে চন্দ্রা ত্রিমোড়ে কালিয়াকৈর পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনের নামে নামকরণ ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী যারা আদালতে তাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষিত হয়েছে। তাদের চারজনের সনদ, সম্মাননা বাতিল হয়েছে এবং একই মিটিংয়ে খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমানসহ আরও অনেকের নাম এসেছে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত দালিলিক প্রমাণসহ। বঙ্গবন্ধু হত্যায় কার কী ভূমিকা ছিল, কী কী দালিলিক প্রমাণ আছে, সেগুলো পেশ করার জন্য আমরা একটি উপকমিটি করেছি আগামী মিটিংয়ে পেশ করার জন্য। দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের যে সম্মানসূচক পদবি রয়েছে সেগুলো বাতিল করা হবে। সেটার নজির শুধু বাংলাদেশে নয়, বহির্বিশ্বেও রয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক কারণে নয়।

    তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে বহু নজির রয়েছে যে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য সম্মানসূচক খেতাব বাতিল হয়েছে। জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক, মাহবুব আলম চাষীসহ এমন অনেকের নাম এসেছে, তাদের কী ভূমিকা? বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা কী? তার দালিলিক প্রমাণসহ পরবর্তী সভায় উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) শুধু আলোচনা হয়েছে, আমরা একটি উপকমিটি করে দিয়েছি। আগামী এক মাসের মধ্যে তারা রিপোর্ট দেবে।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহাবুদ্দিন আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মজিবুর রহমান, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ করিব, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ সিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর ওহাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    পরে মন্ত্রী ফিতা কেটে মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ৪২টি সড়কের নাম ফলক উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হকের নামেও একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

  • করোনায় মারা গেলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর স্ত্রী

    করোনায় মারা গেলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর স্ত্রী

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি এর স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    সোমবার (২৯ জুন) সকাল পৌনে ৮টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯ ) আক্রান্ত হয়ে ১৩ জুন মন্ত্রী এবং মন্ত্রীর স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু সিএমএইচে ভর্তি হন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে আসলেও লায়লা আরজুমান বানুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন ।

    ১৯৪৯ সালের ৬ জানুয়ারি লায়লা আরজুমান বানু গাজীপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ মোবারক জান এবং মাতার নাম লাল বানু। ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ লায়লা আরজুমান বানু ১৯৭৪ সালের ১৬ এপ্রিল আ ক ম মোজাম্মেল হকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

    লায়লা আরজুমান বানু ২ কন্যা, এক পুত্র এবং ৬ জন নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন

    সোমবার বাদ আসর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন কেন্দ্রীয় কবরস্থান সংলগ্ন মাঠে লায়লা আরজুমান্দ বানুর নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং তার স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানুর করোনা (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রীর একান্ত সচিব হাবিবুর রহমানও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

    করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার তাদের টেস্ট করা হলে শুক্রবার তাদের দেহে কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে।

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সুফি আবদুল্লাহিল মারুফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

    তিনি জানান, মন্ত্রী, মন্ত্রীর স্ত্রী ও একান্ত সচিব চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বর্তমানে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। মন্ত্রী নিজের এবং আক্রান্তদের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ১২৫৬ জনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ

    ১২৫৬ জনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ

    নতুন ১ হাজার ২৫৬ জনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঙ্গলবার (২ জুন) এ গেজেট প্রকাশ করা হয়।

    মুক্তিযোদ্ধাদের এ গেজেট বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় (বিজি প্রেসের) ওয়েবসাইটে (dpp.gov.bd/bgpress) পাওয়া যাবে।

    প্রায় দেড় লাখ আবেদন থেকে তিন ধাপে দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই শেষে এ গেজেট প্রকাশ করা হলো। উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি ও বিভাগীয় কমিটির যাচাই-বাছাই শেষে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সভায় এ তালিকা অনুমোদন হয়।

    নতুন তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাগণ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রের প্রদত্ত সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মন্ত্রীর গানম্যানের গুলিতে নিহত ১,আহত ১

    মন্ত্রীর গানম্যানের গুলিতে নিহত ১,আহত ১

    গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর গানম্যান পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কিশোরের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কালিয়াকৈরের কুতুবদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম শহীদ (২৮)। আহতের নাম মুহিম (২৭)। তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    কালিয়াকৈর থানার ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ওসি বলেন, এএসআই কিশোর ছুটিতে কুতুবদিয়ায় তার গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। সেখানে রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। এএসআই কিশোর পলাতক রয়েছেন।

  • ফজলুল কবির চৌধুরীর নাম প্রত্যাহার করার আবেদন

    ফজলুল কবির চৌধুরীর নাম প্রত্যাহার করার আবেদন

    নেজাম ‍উদ্দিন রানা, রাউজান : স্থগিত করা রাজাকারের তালিকা থেকে রাজনীতিক একেএম ফজলুল কবির চৌধুরীর নাম প্রত্যাহার করে নিতে আবেদন করেছেন রাউজানের মুক্তিযোদ্ধারা।

    উপজেলার প্রায় দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার স্বাক্ষর করা আবেদনপত্র বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের হাতে এ আবেদনপত্র তুলে দেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের নেতারা।

    মুক্তিযোদ্ধাদের সই করা এ আবেদন উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন চলাকালীন সময়ে নিরীহ বাঙালীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা প্রদান করেন এ কে এম ফজলুল কবির চৌধুরী।

    আবেদনপত্র প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার ও মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ফরিদ, মুক্তিযোদ্ধা সুনীল চক্রবর্তী, মুক্তিযোদ্ধা সাধন পালিত, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ খান, মুক্তিযোদ্ধা যীশু দাশ প্রমুখ।

  • জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

    জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

    রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করায় দেশ ও জাতির কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু এ নোটিশ পাঠান।

    নোটিশে বলা হয়, রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকায় দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে আঘাত হানা হয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অসন্মান করা হয়েছে।

    নোটিশে আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ও জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা না করলে সংবিধান লঙ্ঘন করে মুক্তিযোদ্ধাদের চরিত্র হননের জন্য দেশের প্রচলিত আইনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • ৬০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে রাজাকারের তালিকা করতে

    ৬০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে রাজাকারের তালিকা করতে

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় যে তালিকা প্রকাশ করেছে তা রাজাকার, আলবদর, আলশামসের তালিকা নয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    বুধবার সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি কোনো রাজাকারের তালিকা নয়। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে রাজাকার, আলবদর, আল শামসের তালিকা দেয়া হয়নি; দালাল আইনে অভিযুক্তদের তালিকা দেয়া হয়েছে। নোট দেয়া সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সবার নাম প্রকাশ করেছে। সুতরাং এর পুরো দায় ওই মন্ত্রণালয়ের।’

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি হচ্ছে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ সালের দালাল আইনে যাদের নামে মামলা হয়েছে তাদের নামের তালিকা। অনেকে শত্রুতা বসতও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। সেই নামগুলোও এই তালিকায় আছে। এর মধ্যে ৯৯৬ জনকে বিভিন্ন অভিযোগ থেকে খালাসও দেওয়া হয়। আমরা খালাসপ্রাপ্তদের নামের ওই তালিকাটিও নোট হিসেবে যুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে পাঠিয়েছিলাম।’

    এমন একটি ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্যই মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এ ধরনের ভুল কতখানি সহনীয় তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করা হবে।’

    এই তালিকা করার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ৬০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেটা কোথায় খরচ হয়েছে- প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। কারণ তিনি একজন সিনিয়র মন্ত্রী।’

    ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে। তবে ওই তালিকায় গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধাদের নামও রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতাদের নামও রয়েছে। এমনকি খোদ আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর নামও রাজাকারের তালিকায় আসে। তালিকাটি প্রকাশ হওয়ার পরই দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। সবশেষ বিতর্কিত এই তালিকা স্থগিত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

  • রাজাকারের তালিকা প্রত্যাহার

    রাজাকারের তালিকা প্রত্যাহার

    প্রকাশিত রাজাকারের তালিকাটি প্রত্যাহার করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আগামী ২৬ মার্চ সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।

    এর আগে বিজয় দিবসের একদিন আগে গেল রোববার (১৫ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ৭৮৯ ব্যক্তির নাম প্রকাশ করে সেটিকে রাজাকারের তালিকা বলে উল্লেখ করে।

    অথচ ওই তালিকায় গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধাদের নামও রয়েছে।

    বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

  • ভুলবশত রাজাকারের তালিকায় নাম এসে থাকলে আবেদন করলে বাদ দেয়া হবে

    ভুলবশত রাজাকারের তালিকায় নাম এসে থাকলে আবেদন করলে বাদ দেয়া হবে

    ভুলবশত রাজাকারের তালিকায় কারো নাম এসে থাকলে আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই করে তালিকা থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম বাদ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।

    রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, শান্তিকমিটি ও স্বাধীনতাবিরোধী তালিকায় তালিকায় অনিচ্ছকৃত ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, প্রকাশিত তালিকায় ভুলভাবে যদি কারও নাম এসে থাকে, আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই অন্তে তার বা তাদের নাম এ তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে। এই প্রকাশিত তালিকায় অনিচ্ছকৃত ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

    তিনি বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, শান্তিকমিটি ও স্বাধীনতাবিরোধী ১০ হাজার ৭৮৯ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

    প্রকৃতপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে নতুন কোন তালিকা প্রণয়ন করা হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা যেভাবে পাওয়া গেছে, সেভাবেই প্রকাশ করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, এ তালিকায় বেশ কিছু নাম এসেছে, যারা রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, শান্তি কমিটি বা স্বাধীনতাবিরোধী নন বরং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বা মুক্তিযোদ্ধা। এ ধরনের কোন ব্যক্তির নাম তালিকায় কিভাবে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

  • ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ

    ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ

    একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠনে পাকিস্তানি বাহিনীকে যারা সহযোগিতা করেছিলেন এমন ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের নামসহ তালিকার প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হয়েছে।

    মহান বিজয় দিবসের একদিন আগে রবিবার রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক। এটি রাজাকারের তালিকার প্রথম পর্ব বলে জানানো হয়।

    সচিবালয় সংলগ্ন সরকারি পরিবহন পুল ভবনের ছয় তলায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

    মোজাম্মেল হক জানান, ওয়েবসাইটে তালিকাটি প্রকাশ করা হবে। বর্তমানে শুধু রাজাকারদের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করা হচ্ছে। তারা কে কোন পেশায় রয়েছে তার বর্তমান তথ্য সরকারের কাছে নেই। তবে তা সংগ্রহ করা হবে।

    রাজাকারদের বিস্তারিত তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের https://molwa.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

    একাত্তরের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলামীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষ নিয়েছিল। তখন যুদ্ধরত পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা করতে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়েছিল।

    প্রথমে এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত শান্তি কমিটির অধীনে থাকলেও পরে একে আধা সামরিক বাহিনীর স্বীকৃতি দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার।

    একই রকম আধা সামরিক বাহিনী ছিল আল বদর বাহিনী ও আল শামস বাহিনী। তবে স্বাধীনতাবিরোধী এই বাহিনীগুলোকে সাধারণ অর্থে রাজাকার বাহিনী হিসেবেই পরিচিত বাংলাদেশে।

    প্রায় এক দশক আগে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর রাজাকারের তালিকা তৈরির দাবি উঠলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।

    পরে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের সময় থানা, মহকুমা, জেলা প্রশাসন থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলনকারী রাজাকারদের তালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি।

    গত ২৫ আগস্ট মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটিকে রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরুর কথা জানায়। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘন ধরে করে আসা দাবি প্রথমবারের মতো আলোর মুখ দেখে রবিবার।

    মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধীরা রাজাকার-আল বদর নামে সশস্ত্র বাহিনী গঠন করে লুটপাট ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বরের আগে তাদের নামের তালিকা প্রণয়ন করা ছিল আমরা প্রতিশ্রুতি। সংসদেও এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম। এরই আলোকে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

    জামায়াতে ইসলামীসহ স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় থাকায় সময় অনেক রেকর্ড সরিয়ে ফেলেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান মন্ত্রী।

    মোজাম্মেল হক বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংরক্ষণাগারে মুক্তিযুদ্ধের সময় নানা দালিলিক প্রমাণাদি রয়েছে, ওই সময়ের সংরক্ষিত তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা আশানুরূপ সাড়া পাইনি। তবে আমরা আবারও তাদের অনুরোধ করব, জানুয়ারি মাসের মধ্যে সেই সময়ের তথ্যাদি পাঠিয়ে সহযোগিতা করবেন।

    তিনি বলেন, ২৬ মার্চের প্রাক্কালে দ্বিতীয় দফা রাজাকারের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। কোনো ব্যক্তি যাতে অযথা তালিকাভুক্ত না হয় সে বিষয়ে আমরা সজাগ রয়েছি। বেসরকারিভাবে যাদের নাম আসবে তাদের বিষয়ে তদন্ত করে শেষ ধাপে তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হবে।

    স্বাধীনতার ঘোষণা বিষয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্য কারও ছিল না। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তাকে দেশের মানুষ রায় দিয়েছিল। অনেকেই তা পাঠ (স্বাধীনতার ঘোষণা) করতে পারেন।

    ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরাও বিভিন্ন জনসভায় পাঠ করেছি। তাই বলে কেউ দাবি করতে পারে না যে, তিনি ঘোষক। ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু-ই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার ডাকেই বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।’

    সংবাদ সম্মেলনে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি নয় বলেও জানান মোজাম্মেল হক।

  • বিজয় দিবসে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে

    বিজয় দিবসে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

    আজ শুক্রবার সকালে জেলা শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটি ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র দেয়া হবে। পরিচয়পত্রের পেছনে তারা কি কি সুযোগ-সুবিধা পাবেন তা লেখা থাকবে।

    তিনি বলেন, জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সব কবর একই ডিজাইনে করে দেয়ার প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য বইয়ে মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারদের ভূমিকা নিয়ে লেখা সংযুক্ত করা হবে।

    মোজাম্মেল হক আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা নিয়ে অসন্তোষ আছে, যা হওয়া উচিত তা হয়নি। আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষপূর্তির বছর ২০২০ সালে তা পূরণ করা হবে।

    গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মো. রশিদুল আলম।

    গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে গাজীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী মোজাম্মেল হক, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আখতার উজ্জামান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি, গাজীপুর-৩ আসনের এমপি মো. ইকবাল হোসেন সবুজ, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।