Tag: মুজিববর্ষ

  • মুজিববর্ষের নামে সব মন্ত্রণালয়ের অপচয় নিয়ে ডকুমেন্টেশন করবে সরকার

    মুজিববর্ষের নামে সব মন্ত্রণালয়ের অপচয় নিয়ে ডকুমেন্টেশন করবে সরকার

    মুজিববর্ষের নামে জনগণের অর্থ অপচয় হয়েছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম বলেছেন, আপনারা জানেন মুজিব বর্ষকে ঘিরে কিভাবে একটা একটা উন্মাদনা হয়েছে। মুজিব বর্ষে কি ধরণের কাজ হয়েছে, কত টাকা অপচয় হয়েছে সেটা নিয়ে ডকুমেন্ট করার কথা কেবিনেটে হয়েছে। মুজিব বর্ষের নামে কোন কোন মন্ত্রণালয় কত কোটি টাকা খরচ করেছে তা নিয়ে ডকুমেন্টেশন হবে সেইগুলোর একটা লিস্ট করা হবে। মুজিব বর্ষের নামে কোন কোন মন্ত্রণালয় কি কি খাতে কত টাকা অপচয় করেছে তার একটা লিস্ট করা হবে।

    বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

    শফিকুল আলম বলেন, আমরা যেখানে ঋণের জন্য আইএমএফ-এর কাছে হাত পাতছি। আইএমএফ-এর কাছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ চাচ্ছি। সেখানে মুজিব বর্ষের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করছি কিছু ম্যুরাল বানিয়ে কিছু স্ট্যাচু বানিয়ে। শুধু মাত্র সরকারি কোষাগার থেকে টাকা গেছে বিষয়টা তা না। অনেক ক্ষেত্রে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকেও ফোর্স করা হয়েছে ফলে কেউ মুজিব কর্ণার করেছে কেউ মুজিবের ম্যুরাল বানাতে বাধ্য হয়েছেন। মুজিববাদকে সামনে রেখে টাকা খরচের যে একটা উন্মাদনা ছিল। কত টাকা অপচয় হয়েছে তা জানার জন্য ডকুমেন্টেশন করা হবে। এই সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের কেবিনেটে।

    টাকা অপচয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুজিব বর্ষের নামে যা যা অপচয় হয়েছে তার একটা ডকুমেন্টেশন করা হবে। মন্ত্রণালয়গুলো সেই ডকুমেন্টেশনগুলো করবে। আমরা একটা রিপোর্ট দেখেছি সেটা যাচাই করতে পারিনি। পত্রিকাটি বলছে- চার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ১০ হাজার মূর্তি বানানো হয়েছে। আপনারা দেখেছেন কি পরিমাণে একটা অপচয় হয়েছে। একদিকে উনারা হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে মূর্তি বানিয়েছে আবার আইএমএফ-এর কাছে টাকার জন্য হাত পেতেছেন।

    মুজিববর্ষে যে সব আমলা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে ডকুমেন্টেশন হোক তার পরে দেখা যাবে কি করা যায়। ডকুমেন্টেশনের পরে দেখতে পাবো কি পরিমাণে অপচয় হয়েছে এগুলো কিন্তু মানুষের ট্যাক্স পেয়ারের টাকা। এটা টাকা কিভাবে ব্যয় হলো অবশ্যই আমরা দেখবো। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন পদ্মাসেতুতে দুটি ম্যূরালের জন্য ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে চিন্তা করা যায়?

    এসময় প্রধান উপদেষ্টা উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।

  • বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

    বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

    তিনি আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানোর অংশ হিসেবে সেখানে কিছু সময়ের জন্য নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্থপতি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি।

    এ সময় সেখানে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

    এ উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। এ সময় বিউগলে করুন সুর বেজে উঠে।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ অন্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

    পরে, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে প্রবেশ করেন এবং ১৫ আগস্ট কালো রাতে এ মহান নেতার রক্তাক্ত নিথর ও গুলিবিদ্ধ লাশ সিঁড়ির যেখানে পড়ে ছিল সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    একশ’ বছর আগে ১৭ মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমানে জেলা) টুঙ্গিপাড়া গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ লুৎফর রহমান ও সায়রা খাতুনের ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। এ দিবসটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হচ্ছে।

    এর আগে সরকার বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে। পরে, এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বর্ধিত করা হয়।

    বাংলাদেশের পাশাপাশি ইউনেস্কোর উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী মুজিববর্ষ পালন করা হচ্ছে।

  • মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৬ মার্চ রাউজানে ১০ কিলোমিটার ম্যারাথন : অংশ নেবে দুই হাজার নারী-পুরুষ

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৬ মার্চ রাউজানে ১০ কিলোমিটার ম্যারাথন : অংশ নেবে দুই হাজার নারী-পুরুষ

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) : মুজিববর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রামের রাউজানে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ম্যারাথন অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে। আগামী ৬ মার্চ চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের সত্তারঘাট থেকে রাউজানের সাংসদ, রেলপথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে ম্যারাথন শুরু হয়ে জলিলনগরে গিয়ে শেষ হবে। সাংসদের সার্বিক দিক নির্দেশনায়, রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ম্যারাথনে অংশ নেবেন এক হাজার নারীসহ দুই হাজার মানুষ । ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী এক হাজার নারীদের পরনে থাকবে লাল-সবুজের শাড়ি আর পুরুষগণ পরনে থাকবে লাল-সবুজ টি শার্ট। শাড়ি আর টি শার্টের বুক বরাবর থাকবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের লোগো। এই আয়োজনকে ঘিরে বর্ণিল সজ্জায় সজ্জিত করা হবে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের দীর্ঘ দশ কিলোমিটার অংশ ও রাউজান উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ। পুরো আয়োজন সাথে সফল ও সার্থক হয়ে সে ব্যাপারে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেল ৩টায় মুন্সিরঘাটাস্থ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওহাবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ম্যারাথন সফল করতে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

    রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রামের রাউজানে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ম্যারাথন যাতে সফল,সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্টিত হয় সেই বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

    রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, দশ কিলোমিটার দীর্ঘ ম্যারাথনে রাউজান পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড ও উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২ হাজার নেতা-কর্মী, বিভিন্ন পেশাজীবি ব্যক্তিবর্গ অংশ নেবেন। অনুষ্টানকে সফল করতে আমরা সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। ম্যারাথন উপলক্ষে ঐদিন রাউজানে ব্যাপক সাজসজ্জাকরণ করা হবে।

  • মুজিববর্ষ: খাগড়াছড়ির ১০ গণপাঠাগারকে ৫ লক্ষ টাকার বই দেবে জেলা পরিষদ

    মুজিববর্ষ: খাগড়াছড়ির ১০ গণপাঠাগারকে ৫ লক্ষ টাকার বই দেবে জেলা পরিষদ

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি জেলার ১০টি বেসরকারি গণপাঠাগারকে পাঁচ লক্ষ টাকার বই প্রদান করবে পার্বত্য জেলা পরিষদ।

    শুক্রবার জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে জেলা গণগ্রন্থাগার হল রুমে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।

    তিনি পর্যায়ক্রমে জেলার প্রত্যন্ত এলাকার সক্রিয় সব গণপাঠাগারের ভবন নির্মাণ, অসমাপ্ত কাজ শেষ করা এবং নতুন নতুন গণপাঠাগার সৃষ্টিতে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
    জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাা টিটন খীসা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ ও খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৃণা চাকমা।

    জেলা গ্রন্থাগার কর্মকর্তা ওয়েন চাকমা’র স্বাগত বক্তব্য দিয়ে সূচিত সভায় গণগ্রন্থাগারের নিয়মিত পাঠক, রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • আজ আমার অত্যন্ত আনন্দের দিন : প্রধানমন্ত্রী

    আজ আমার অত্যন্ত আনন্দের দিন : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাই ঘর পাবেন এটাই বড় উৎসব। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের ৪৯২টি উপজেলার প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে পাকা ঘরসহ বাড়ি হস্তান্তরের সময় এ কথা বলেন তিনি।

    শনিবার (২৩ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় পাকা ঘর এবং দুই শতাংশ খাস জমি পায় ৭০ হাজার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমার অত্যন্ত আনন্দের দিন, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করতে পারা বড় আনন্দের বিষয়।
    শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের কথাই ভাবতেন। আমাদের পরিবারের লোকদের চেয়ে তিনি গরীব অসহায় মানুষদের নিয়ে বেশি ভাবতেন এবং কাজ করেছেন। এ গৃহ প্রদান কার্যক্রম তারই শুরু করা।

    এ সময় লাইভে যুক্ত ছিল খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নীলফামারীর সৈয়দপুর ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা।

    এছাড়াও দেশের সব উপজেলা অনলাইনে যুক্ত হয়।

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রায় নয় লাখ মানুষকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাকাঘর উপহার দেয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ঘর পেল প্রায় ৭০ হাজার পরিবার। আগামী মাসে আরো একলাখ পরিবার বাড়ি পাবে। অনুষ্ঠানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৈরি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

    প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মুজিব শতবর্ষ পালন করছে সরকার। বছরটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ভূমি ও গৃহহীন আট লাখ ৮২ হাজার ৩৩টি পরিবারকে ঘর ও জমি দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

    উপকারভোগীদের মধ্যে যাদের জমি আছে, তারা শুধু ঘর পাবে। যাদের জমি নেই, তারা ২ শতাংশ জমি পাবে (বন্দোবস্ত)। দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি ঘর তৈরিতে খরচ হচ্ছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। সরকারের নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে এসব ঘর। রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট থাকছে। টিউবওয়েল ও বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে থাকা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এই কাজ করছে। খাসজমিতে গুচ্ছ ভিত্তিতে এসব ঘর তৈরি হচ্ছে। কোথাও কোথাও এসব ঘরের নাম দেওয়া হচ্ছে ‘স্বপ্ননীড়’, কোথাও নামকরণ হচ্ছে ‘শতনীড়’, আবার কোথাও ‘মুজিব ভিলেজ’।

    সরকারের এই উদ্যোগ বিশ্বের ইতিহাসে নতুন সংযোজন বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এই প্রকল্পের পরিচালক মাহবুব হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের বিশাল অর্জন।

  • লোহাগাড়ায় প্রস্তুত মুজিববর্ষের উপহারের ১৮ ঘর : শনিবার তুলে দেয়া হবে গৃহহীনদের

    লোহাগাড়ায় প্রস্তুত মুজিববর্ষের উপহারের ১৮ ঘর : শনিবার তুলে দেয়া হবে গৃহহীনদের

    এ. কে. আজাদ, লোহাগাড়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ৯ ইউনিয়নে মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার জমিসহ নতুনঘর পাচ্ছে ১৮ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। বর্তমানে ঘরগুলো নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।

    শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৪৯২টি উপজেলায় যুক্ত হয়ে গৃহহীন-ভূমিহীনদের মুজিববর্ষের এ উপহার উপকারভোগীদের হাতে আনুষ্টানিকভাবে তুলে দেবেন।

    সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে গুচ্ছগ্রাম-২ (সিভিআরপি) প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী এমপির আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় লোহাগাড়ায় দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ১৮টি ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। যার প্রতিটি ঘরের জন্য সরকার বরাদ্দ রেখেছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রতিটি বাড়িতে দুটি কক্ষ, সংযুক্ত রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে।

    এখনই উল্লাসিত ও আনন্দিত আশ্রয়ন প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত হতদরিদ্র অসহায় পরিবারগুলো।
    জানতে চাইলে নির্বাচিত হত-দরিদ্র পরিবারের লোকজন বলেন, এতোকাল আরেক জনের নোংরা বাসায় থাকছি, এখন নতুন ঘর পাচ্ছি, আনন্দ লাগছে অনেক। এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তারা অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    লোহাগাড়ায় নির্মিত এসব ঘরগুলো সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আহসান হাবীব জিতু ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম শাওন ভূঁইয়া।

    এ প্রসঙ্গে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবীব জিতু বলেন, ঘরগুলোর নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার‘ এ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না। এ লক্ষ্যেই লোহাগাড়ায় সরকারি খাস জায়গার ওপর ভূমিহীনদের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। যাদের কোনও ঘর ও জমি নেই, তাদের এখানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

    এদের মধ্যে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বামী পরিত্যক্ত ও প্রতিবন্ধীদের। প্রত্যেক পরিবারকে জমির মালিকানাসহ লিখে দেয়া হচ্ছে দুই কক্ষের একটি বসতঘর। তার সঙ্গে থাকছে রান্নাঘর, বাথরুম ও সামনে খোলা বারান্দা। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। এতে হতদরিদ্র সুবিধাভোগীরা দারুণ খুশি।

  • মুজিববর্ষের মেয়াদ বাড়ল নয় মাস

    মুজিববর্ষের মেয়াদ বাড়ল নয় মাস

    করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে মুজিববর্ষের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।

    মুজিববর্ষের সময়কাল ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

    এতে বলা হয়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে।

    ‘মুজিববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচিগুলো কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ে যথযাথভাবে করা সম্ভব হয়নি

    সে কারণে সরকার মুজিববর্ষের সময়কাল ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত ঘোষণা করলো। ‘

    ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীট বছরটিকে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।

    কালক্রমে তার হাত ধরেই ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হয়েছে। আগামী বছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

    জাতির জনকের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে সরকার ২০২০-২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করে। এজন্য গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় কমিটি’ এবং ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’ নামে দুটি কমিটিও গঠন করা হয়।

    গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিবসে মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচনের পাশাপাশি ক্ষণগণণার মাধ্যমে মুজিববর্ষের আয়োজন শুরু হয়। সারা দেশে সরকারি, বেসরকারি দপ্তর, প্রতিষ্ঠানে ক্ষণগণনা যন্ত্র স্থাপন করা হয়; শুরু হয় মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চের।

  • মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সম্মানে বিশেষ সংস্করণের হাতঘড়ি

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সম্মানে বিশেষ সংস্করণের হাতঘড়ি

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতীয় হাই কমিশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে তৈরি করেছে বিশেষ সংস্করণের হাতঘড়ি। ঘড়ির ডায়ালে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং স্বাক্ষর।

    আজ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি এ বিশেষ সংস্করণের তিন ধরনের হাতঘড়ি উন্মোচন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।

    পরে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। দু’দেশের সম্পর্কের আলোক শিখা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ইন্দিরা গান্ধীর ধারাবাহিকতায় আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি’তে এসেও দীপ্যমান।

    সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ আঞ্চলিক ইস্যু এবং এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অভিন্ন প্রতিবন্ধতার বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুই সরকার প্রধান কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তি সময়ে গড়ে ওঠা সন্দেহ ও অবিশ্বাসের কৃত্রিম দেয়াল ভেঙ্গে এখন রচিত হয়েছে আস্থা ও সৌহার্দের সেতু।

    তিস্তার পানি বন্টনের বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, আলোচনার মাধ্যমে ইতোমধ্যে অনেক অমীমাংসিত সমস্যা সমাধান হয়েছে।

    ভারতের হাইকমিশনার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জাতির পিতা হলেও তিনি ভারতীয় জনগণের কাছে বীর। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসার পথে ভারতীয় জনগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে উষ্ণতা ও ভালবাসা দেখিয়েছিলেন তা তিনি স্মরণ করেন।

    স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলে এসময় মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

  • মুজিববর্ষের বিশেষ সংসদ অধিবেশন বসছে সন্ধ্যায়

    মুজিববর্ষের বিশেষ সংসদ অধিবেশন বসছে সন্ধ্যায়

    আজ সন্ধ্যা ৬টায় বসছে একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ-২০২০’ উপলক্ষে বিশেষ এই অধিবেশন আহবান করা হয়। এটি হবে একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশন।

    গত মার্চ মাসে অধিবেশনটি হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রভাবে তখন তা স্থগিত করা হয়। এই অধিবেশনের মূল উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধুর ওপর বিশেষ আলোচনা।

    এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশন শেষ হয়। করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্ধারিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে চলে নবম অধিবেশন।

    সোমবার রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হবে বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম। আগের তিনটি অধিবেশনের মতো এবারও মহামারি করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই অধিবেশনের কার্যক্রম চলবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • পুলিশ সদস্যরা জনতার পুলিশে পরিণত হবে : প্রধানমন্ত্রী

    পুলিশ সদস্যরা জনতার পুলিশে পরিণত হবে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেনযে, মুজিববর্ষে পুলিশ সদস্যরা জনতার পুলিশে পরিণত হবে।

    আগামীকাল ‘কমিউনিটি পুলিশিং দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন,“আমি আশা করি, মুজিববর্ষে নতুন স্পৃহা ও আদর্শে উদ্দীপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যগণ জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনতার পুলিশে পরিণত হবে।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ দেশ ও জাতির সেবায় প্রতিনিয়ত তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব একনিষ্ঠভাবে ও সাহসিকতার সঙ্গে পালন করছে।

    জনগণ ও পুলিশের পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা ও শ্রদ্ধা কমিউনিটি পুলিশিং এর মূলকথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আধুনিক কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাপনায় জনগণের সাথে প্রাণবন্ত সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সামাজিক সমস্যাদির উৎস উদ্ঘাটনপূর্বক তা সমাধান ও অপরাধ ভীতি হ্রাস করে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রম শুরু হওয়ার পাঁচবছরের মধ্যে ৬০ হাজার ৯১৮টি কমিটির মাধ্যমে ১১ লাখ ১৭ হাজার ৮০ জন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য পুলিশের সঙ্গে একযোগে অংশীদারেত্বের ভিত্তিতে কাজ করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানে উল্লেযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, “ইতোমধ্যে, বাংলাদেশে রেলওয়ে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং হাইওয়ে পুলিশেও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে অপরাধ দমনে আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। আগামীতেও নারী নির্যাতন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কমিউনিটি পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে সহজলভ্য প্রযুক্তি অপরাধকে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পরিসরে দ্রুত বিস্তৃত করছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় প্রযুক্তি নির্ভর অপরাধ প্রতিরোধ ও অপরাধ উদ্ঘাটনে পুলিশকে উন্নত প্রযুক্তিজ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি জনগণ ও রাষ্ট্রের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করে সকলের সহায়তায় একযোগে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে সাইবার ক্রাইম, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, মানিলন্ডারিং ইত্যাদি সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম একটি আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে তার সরকার এন্টি টেরোরিজম ইউনিট, সাইবার ইউনিট গঠনসহ সবধরনের সময়োপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

    তিনি আরো বলেন, একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ দেশগড়ার লক্ষ্যে পুলিশের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে জনবল ও বাজেট বৃদ্ধিসহ সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে ।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি সম্প্রীতিময়, শোষণমুক্ত, জঙ্গি, মাদক ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত মানবিক দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগামী দিনগুলোতে পুলিশের সকল সদস্য আরো আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতিবছরের মতো এবারও ৩১ অক্টোবর ‘কমিউনিটি পুলিশিং দিবস-২০২০’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। তিনি এ উপলক্ষ্যে পুলিশের সকল সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি ‘কমিউনিটি পুলিশিং দিবস-২০২০’ এর সকল আয়োজনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চুয়েটে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত

    চুয়েটে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত

    ​রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষ্যে বছরব্যাপি গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

    ২৬ জুলাই (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-০২ সংলগ্ন এলাকায় সকাল ১১ ঘটিকায় একটি ফলজ চারাগাছ রোপণের মধ্য দিয়ে উক্ত কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যমান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক এ সময় উক্ত কর্মসূচিতে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি ও পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলম, সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যগণের মধ্যে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, সেন্টার চেয়ারম্যান, প্রভোস্ট, অফিস প্রধান, শাখা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

    এ সময় স্মারক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে আরো অংশগ্রহণ করেন চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষে আহবায়ক অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, শিক্ষক সমিতির পক্ষে সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, কর্মকর্তা সমিতির পক্ষে সহ-সভাপতি আমিন মোহাম্মদ মুসা ও কর্মচারী সমিতিরর পক্ষে সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন।

    এদিন চুয়েট ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে প্রায় কয়েক হাজার ফলজ গাছের চারা রোপণ করা হয়। উক্ত কার্যক্রম মুজিববর্ষজুড়ে বিভিন্ন সময় চলবে।

    এর আগে চুয়েট প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে চুয়েট প্রশাসন বছরব্যাপি নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে আমরা বছরজুড়ে প্রায় ৫ হাজার চারাগাছ রোপণ করবো।

    এ সময় তিনি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চুয়েট পরিবারের সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভিসি অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নেজাম

  • সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা ইউনিয়নে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর উদ্বোধন

    সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা ইউনিয়নে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর উদ্বোধন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সীতাকুণ্ড উপজেলার ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    শনিবার সকালে বড়দারোগারহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।

    বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রেহান উদ্দীন।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য নজরুল ইসলাম, বড়দারোগা হাট এ,আর, এম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাহার উদ্দিনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদক এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে এক হাজার মানুষের মাঝে বিভিন্ন ফল ও ওষুধী গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/দুলু