Tag: মুজিববর্ষ

  • মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আকবরিয়া স্কুল এন্ড কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন

    মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আকবরিয়া স্কুল এন্ড কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে মুজিববর্ষের জাতীয় কর্মসূচির আওতায় গতকাল শনিবার হাটহাজারীর আকবরিয়া স্কুল এন্ড কলেজে গাছের চারা রোপণ করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন গভর্নিং বডির সভাপতি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষের বোর্ড সদস্য জসিম উদ্দীন শাহ।

    এই সময় আরো উপস্থিতছিলেন প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ আবুল মনসুর, গভনিং বডির সদস্য ইলিয়াস, মাঈন উদ্দিন ইউছুপ, মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বাবুল,কলেজের শিক্ষক মোহাম্মদ রাশেদ।

    অন্যান মধ্যে আরো উপস্থিত ছিল প্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্র ডাঃ ইমাম হোসেন রানা,সাবেক ছাত্র নেতা আক্কাস হোসেন শাহ্ও মোহাম্মদ ইমন প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মুজিববর্ষে সবুজ বিপ্লব ঘটাতে শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে : রেজাউল করিম চৌধুরী

    মুজিববর্ষে সবুজ বিপ্লব ঘটাতে শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে : রেজাউল করিম চৌধুরী

    নিজ উদ্যোগে ওয়াছিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার জন্য বিভিন্ন প্রকার ফলদ ও বনজ বৃক্ষের চারা বিতরন করেন স্থগিত চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে দেশব্যাপী কোটি বৃক্ষের চারা রোপন কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এসব চারা গাছ বিতরন করা হয়।

    ১৮ জুলাই (শনিবার) সকালে নগরীর খাজা রোডস্থ ওয়াছিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা মাঠে আয়োজিত চারা গাছ বিতরন কালে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকীতে দেশের মোট বনভূমির পরিমান ২৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বর্ষা মৌসুমে সারাদেশে এক কোটি চারাগাছ রোপনের ঘোষনা দিয়েছেন জাতির জনকের কন্যা, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা সে লক্ষ্য অর্জনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তির মাঝে নানা জাতের ফলদ ও বনজ বৃক্ষের চারা বিতরন করছি। মাসব্যাপী চারা বিতরন কর্মসূচীর এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

    এসময় তিনি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি, দৃষ্টিনন্দন সবুজ নগরী ও ব্যাক্তিজীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনয়নে বৃক্ষরোপনের গুরুত্ব তুলে ধরতে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ ও নগরীর প্রত্যেকটি ইউনিটের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ছাত্রলীগ এর নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

    এছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে হলে খালি জায়গায় যত বেশী গাছ লাগাতে হবে, এমন কি বাড়ির ছাদে, বারান্দায় ও ব্যালকনিতে টবে করে চারা রোপন করতে হবে বলেও রেজাউল করিম মন্তব্য করেন ।

    অনুষ্ঠান শেষে তিনি মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দকে নিয়ে মাদ্রাসার সামনে বেশ কিছু বৃক্ষ রোপন করেন।

    এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা ও এতিম খানার সহ সভাপতি মুহাম্মদ হাসান লিটন, সেক্রেটারী হাজী এয়ার মুহাম্মদ, অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ আবু ছালেহ, উপাধ্যক্ষ এম মুফিজুর রহমান, মুহাম্মদ মুছা সওদাগর, হাজী আবুল বশর, আবুল কালাম, বদরুল আলম ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সারাদেশে ১ কোটি বৃক্ষের চারা বিতরণ ও রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    সারাদেশে ১ কোটি বৃক্ষের চারা বিতরণ ও রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে সারাদেশে ১ কোটি চারা বিতরণ, রোপণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন।

    এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে গণভবন চত্বরে তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন। তিনি তেঁতুল, ছাতিয়ান ও চালতা গাছের তিনটি চারা রোপণ করেন। একইসঙ্গে তিনি ‘জাতীয় বৃক্ষরোপন কর্মসূচি ২০২০’এর উদ্বোধন করেন তিনি ।

    এর আগে, গত ১২ জুলাই ভার্চুয়াল বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ১৬ জুলাই গণভবন প্রাঙ্গণে একটি ফলদ, একটি বনজ এবং একটি ঔষধি গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে সারাদেশে ১ কোটি চারা বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ।

    মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় তিনটি চারা-একটি ফলদ, একটি বনজ এবং একটি ঔষধি গাছের চারা আনুষ্ঠানিক ভাবে লাগানো হবে।

    পরে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম বজায় রেখে ১৬ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর চলতি বৃক্ষরোপণ মৌসুমে দেশের ৪৯২টি উপজেলার প্রতিটিতে ২০ হাজার ৩২৫ টি চারা রোপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শাহাব উদ্দিন।

    তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে প্রথম বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু করেছিলেন, তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ‘মুজিববর্ষে’ এই কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ‘প্রগতি উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে দলীয় বিভক্তির বাইরে ঐক্য প্রয়োজন’

    ‘প্রগতি উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে দলীয় বিভক্তির বাইরে ঐক্য প্রয়োজন’

    মাদক মৌলবাদ দুর্নীতি সাম্প্রদায়িকতা রুখে দেশপ্রেমে ঐক্যের শপথে চট্টগ্রামের পেশাজীবীরা শুরু করলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী কর্মসূচি।

    পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে প্রেসক্লাব চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে পেশাজীবীরা শুরু করেন কার্যক্রম।

    এই উপলক্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদান শেষে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। এতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা এবং করোনার বৈশ্বিক আগ্রাসন মোকাবেলায় একাত্তরের মতো জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

    মুজিব বর্ষে পেশাজীবী কর্মসূচি সূচনায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করছেন বিএফইউজে সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী সহ নেতৃবৃন্দ

    পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবেশবিদ প্রফেসর মোঃ ইদ্রিস আলী, সাংবাদিক কলামিস্ট জামাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, বিএফইউজে যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি পিনাকি দাশ, খেলাঘর সংগঠক মোরশেদ আলম চৌধুরী, রুবেল দাস প্রিন্স, শিল্পী ইকবাল হোসেন, ছড়াকার ও সাংবাদিক চৌধুরী আহসান খুররম, সাংবাদিক রাজু চৌধুরী, সংগঠক আসিফ ইকবাল, শিল্পী শিলা চৌধুরী, শিব্বির আহমদ বাহাদুর, আবৃত্তিকার রাজিউর রহমান বিতান, মইনুল হক চৌধুরী, সংগঠক মোহাম্মদ সায়েম উদ্দিন , মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সুবর্ণা খান, প্রিয়া বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট রিমু চৌধুরী প্রমুখ।

    পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, আঞ্চলিক জাতীয়-আন্তর্জাতিক এক অশনীসময়ে জাতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে। করোনার মহামারীর পাশাপাশি উন্নয়ন ও সম্পৃীতিবিরোধী শক্তি প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্যভাবে সক্রিয়। এমন অবস্থায় দেশের প্রগতি উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে দলীয় বিভক্তির বাইরে গিয়ে সামগ্রিক ঐক্য প্রয়োজন।

  • মুজিববর্ষে নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছা বার্তা

    মুজিববর্ষে নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছা বার্তা

    আজ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর বছরব্যাপী উদযাপন শুরু হয়েছে।

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। নিম্নে তার সারাংশ তুলে ধরা হলো:

    নমস্কার!
    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সমগ্র বাংলাদেশকে আপনাদের ১৩০ কোটি ভারতীয় ভাই-বন্ধুদের পক্ষ থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভ কামনা।

    বন্ধুগণ,
    শেখ হাসিনাজী আমাকে ব্যক্তিগতভাবে এই ঐতিহাসিক সমারোহে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসজনিত কারণে আমার পক্ষে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। পরে শেখ হাসিনাজী নিজেই একটি বিকল্প প্রস্তাব দেন এবং সে কারণে আমি এই ভিডিওর মাধ্যমে আপনার সাথে সংযুক্ত হচ্ছি।

    বন্ধুগণ,
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গত শতাব্দীর মহান ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর সমগ্র জীবন আমাদের সকলের জন্য অনেক বড় প্রেরণা। বঙ্গবন্ধু মানে—
    একজন সাহসী নেতা
    একজন দৃঢ়চেতা মানুষ
    একজন ঋষিতুল্য শান্তিদূত
    একজন ন্যায়, সাম্য ও মর্যাদার রক্ষাকর্তা
    একজন পাশবিকতাবিরোধী এবং
    যে কোন জোরজুলুমের বিরুদ্ধে একজন ঢাল।

    তাঁর এই গুণাবলী সে সময় লক্ষ লক্ষ তরুণকে বাংলাদেশের মুক্তির জন্য সমস্ত প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে নতুন শক্তি দিয়েছিল। আজ আমার খুব ভালো লাগে, যখন দেখি যে বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রিয় দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলায়’ রূপান্তরিত করার জন্য দিন-রাত কাজ করে চলেছেন।

    বন্ধুগণ,
    বঙ্গবন্ধুর জীবন একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বের জন্য এক মহান বার্তা। আমরা সকলেই ভাল করে জানি, কীভাবে একটি নিপীড়ক ও দমনকারী সরকার সমস্ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ উপেক্ষা করে ‘বাংলা ভূমির’ উপর অবিচারের রাজত্ব চালিয়ে জনগণের সর্বনাশ করেছিল। সে সময় যে ধ্বংসলীলা ও গণহত্যা হয়েছিল, সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে বের করে এনে একটি ইতিবাচক ও প্রগতিশীল সমাজে পরিণত করার জন্য তিনি তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উৎসর্গ করেছিলেন।

    তিনি বিশ্বাস করতেন যে, ঘৃণা এবং নেতিবাচকতা কখনই কোনও দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হতে পারে না। কিন্তু তাঁর এই ধারণা এবং প্রচেষ্টা কিছু লোক পছন্দ করে নি এবং আমাদের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুকে কেড়ে নেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ এবং আমরা সকলেই ভাগ্যবান যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা ঈশ্বরের আশীর্বাদে রক্ষা পেয়েছিলেন। নয়তো সহিংসতা এবং ঘৃণার সমর্থকরা চেষ্টার কোন কমতি রাখেনি।

    আতংক ও সহিংসতাকে রাজনীতি এবং কূটনীতির হাতিয়ার করে তোলা কীভাবে একটি সমাজ ও জাতিকে ধ্বংস করে দেয় তা আমরা দেখতে পাচ্ছি। সন্ত্রাস ও সহিংসতার সমর্থকরা আজ কোথায়, কীভাবে আছে এবং বাংলাদেশ কোন উচ্চতায় আছে এটাও বিশ্ববাসী দেখতে পাচ্ছে।

    বন্ধুগণ, বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণায় এবং শেখ হাসিনাজীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ যেভাবে অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং উন্নয়নমুখী নীতিমালা অনুসরণ করে এগিয়ে চলছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। অর্থনীতি থেকে শুরু করে অন্যান্য সামাজিক সূচক, যেমন: ক্রীড়াক্ষেত্র কিংবা দক্ষতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ক্ষমতায়ন, মাইক্রো ফিনান্সের মতো অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে।

    আমি আনন্দিত যে, গত ৫-৬ বছরে ভারত এবং বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি সোনালী অধ্যায় রচনা করেছে এবং আমাদের অংশীদারিত্বকে নতুন মাত্রা এবং দিশা দিয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান আস্থার কারণেই আমরা স্থল ও সমুদ্রসীমানার মতো জটিল সমস্যাগুলি সহজে সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি।

    আজকে, বাংলাদেশ কেবল দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার নয়, উন্নয়ন অংশীদারও। ভারতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ বাড়িঘর এবং কারখানা আলোকিত করছে।

    বন্ধুরা, ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে আমাদের সম্পর্কে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। সড়ক, রেল, বিমান, জলপথ বা ইন্টারনেট এমন অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা দুই দেশের মানুষকে আরও বেশি সংযুক্ত করছে।

    বন্ধুগণ, আমাদের যৌথ ঐতিহ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, লালন শাহ, জীবনানন্দ দাশ এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো মনীষীরা। বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার ও অনুপ্রেরণা আমাদের এই ঐতিহ্যকে আরও বিস্তৃত করেছে। তাঁর আদর্শ ও মূল্যবোধের সাথে ভারত সর্বদা সংযুক্ত ছিল। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার গভীর সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে এই এই অভিন্ন ঐতিহ্যের ভিত্তিতে।
    আমাদের এই ঐতিহ্য, আত্মিক বন্ধন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ, এই দশকেও দুই দেশের অংশীদারিত্ব, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির এক শক্তিশালী ভিত্তি।

    আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হবে এবং তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী। আমার বিশ্বাস যে, এই দু’টি মাইলফলক কেবল ভারত এবং বাংলাদেশের উন্নয়নকেই নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে না, দু’দেশের বন্ধনকেও জোরদার করবে।

    আবারও সমগ্র বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।

    জয় বাংলা, জয় হিন্দ।

  • পিতা তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়বোই:প্রধানমন্ত্রী

    পিতা তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়বোই:প্রধানমন্ত্রী

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষের’ উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পিতা, তোমার কাছে আমাদের অঙ্গীকার, তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়বোই। আর সেদিন বেশি দূরে নয়। তোমার বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

    মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) মুজিববর্ষ উপলক্ষে উদ্বোধনী ভাষণে আজ রাতে তিনি একথা বলেন।

    জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিওসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হয়।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তুমি ঘুমাও পিতা শান্তিতে। তুমি ঘুমিয়ে আছ টুঙ্গিপাড়ার সবুজ ছায়াঘেরা মাটিতে পিতা মাতার কোলের কাছে।

    আমরা জেগে রইবো তোমার আদর্শ বুকে নিয়ে। জেগে থাকবে এদেশের মানুষ – প্রজন্মের পর প্রজন্ম -তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে। তোমার দেওয়া পতাকা সমুন্নত থাকবে চিরদিন।
    বক্তব্যের শুরুতেই মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসী ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিক এবং বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানান বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্যকনা শেখ হাসিনা। এরপর ছোটবোন শেখ রেহানার পক্ষ থেকেও দেশের সকল বষয়, শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ ১৭ই মার্চ। ১৯২০ সালের আজকের দিনে এই বাংলায় জন্ম নিয়েছিলেন এক মহাপুরুষ। তিনি আমার পিতা, শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ নামের এই দেশটি তিনি উপহার দিয়েছেন। দিয়েছেন বাঙালিকে একটি জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়ের মর্যাদা। তাইতো তিনি আমাদের জাতির পিতা। দুঃখী মানুষকে ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে নিজের জীবনের সব সুখ-আরাম বিসর্জন দিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছেন আজীবন। বারবার কারারুদ্ধ হয়েছেন। মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাঁকে ব্যথিত করতো। অধিকারহারা দুঃখী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যেকোন ত্যাগ স্বীকারে তিনি দ্বিধা করেননি। এই বঙ্গভূমির বঙ্গ-সন্তানদের একান্ত আপনজন হয়ে উঠেছিলেন – তাই তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ২৬-এ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ উদযাপন করা হবে। ২০২১ সালে উদযাপিত হবে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিভিন্ন বন্ধুপ্রতীম দেশ, ইউনেসকো, ওআইসি-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মুজিববর্ষ উদযাপনে অংশীদার হয়েছে। সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের প্রতি। আমরা মুজিববর্ষ পালনের সুযোগ পেয়েছি। এ যে আমাদের জীবনে কত বড় পাওয়া, তা ভাষায় বোঝাতে পারব না। আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই দেশবাসীর প্রতি- যাঁরা আমার দল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে, পরপর তিনবার সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে মুজিববর্ষ উদযাপনের সুযোগ করে দিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তবে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করবো। একই কারণে বিদেশি অতিথিবৃন্দের সফর স্থগিত করা হয়েছে। ভূটানের রাজা জিগমে খেসার নমগেয়েল ওয়াংচুক, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টিনিও গুতেরাস এবং ওআইসি’র মহাসচিব ড. ইউসুফ আল ওথাইমিন-সহ বেশ কয়েকজন বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষী ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমি তাদের ব্যক্তিগতভাবে এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আজকের এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ১৫ই আগস্টের শহিদদের প্রতি। স্মরণ করছি জাতীয় ৪-নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদকে। নির্যাতিত মা-বোন এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধাদের সালাম।

    বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ছোটবেলা থেকেই মানুষের দুঃখ-কষ্টে ব্যথিত হতেন জাতির পিতা। অকাতরে বিলিয়ে দিতেন তাঁর জামাকাপড়, বই, ছাতা। যার যখন যা প্রয়োজন মনে করতেন, তাকে নিজের জিনিষ দিয়ে দিতেন। নিজের খাবারও তিনি ভাগ করে খেতেন। দুর্ভিক্ষের সময় গোলার ধান বিলিয়ে দিতেন। মানুষের জন্য কিছু করতে পারার মধ্যেই তিনি আনন্দ পেতেন। নিজের জীবনের কোন চাওয়া পাওয়া ছিল না।

    বাংলাদেশের মানুষকে উন্নত, সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। তার সে ত্যাগ বৃথা যায়নি। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। গড়তে হবে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

    আজকের শিশু-কিশোর, তরুণ সমাজের কাছে আমার আবেদন- তোমরা দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালবাসবে। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে তোমাদের নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। ঠিক যেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষকে ভালোবেসেছিলেন, সেভাবেই ভালোবাসতে হবে। তার আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।

    শেখ হাসিনা বলেন, পিতা, ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিয়েছে তোমাকে। তোমার দেহ রক্তাক্ত করেছে। তোমার নাম বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু ওরা পারেনি। ঘাতকেরা বুঝতে পারেনি তোমার রক্ত ৩২ নম্বর বাড়ির সিঁড়ি বেয়ে-বেয়ে ছড়িয়ে গেছে সারা বাংলাদেশে। জন্ম দিয়েছে কোটি কোটি মুজিবের। তাই আজ জেগে উঠেছে বাংলাদেশের মানুষ সত্যের অন্বেষণে। ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। আজ শুধু বাংলাদেশ নয় তোমার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশকে বিশ্ব চিনে নিয়েছে তোমার ত্যাগের মহিমায়।

  • টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    মুজিববর্ষের প্রথম দিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো.আব্দুল হামিদ, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যরা। দিনের শুরুতেই তারা শ্রদ্ধা জানান ধানমণ্ডি ৩২ এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতেও।

    শত শত বছরের বিভেদ আর পরাধীনতার দেয়াল ভেঙে বাঙালিকে যিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার স্বাদ। ইতিহাসের সেই মহানায়কের জন্মের শতবর্ষ।

    হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন উদযাপন করছে জাতি। ঐতিহাসিক এই দিনে খোকা বাবুর জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় দোয়া ও মোনাজাত করা হয় বঙ্গবন্ধুসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে।

    মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকারসসহ, রাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা।

    এর আগে জন্মশতবার্ষিকীর দিনের শুরুতেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান সরকার প্রধান। এ সময় ছোটবোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও।

    এরপর হাজারো নেতাকর্মী শ্রদ্ধা জানান জাতির জনকের প্রতি।

  • মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

    মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকাল ৭টা ৮ মিনিটে ঐতিহাসিক ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বোন শেখ রেহানা এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠন, বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থা প্রধান, বিশিষ্টজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ ঘোষণা করে সরকার।

    মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় প্যারেডগ্রাউন্ডে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) বিপর্যয়ের কারণে বাংলাদেশের মানুষের জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আয়োজনটি স্থগিত করা হয়। অন্য সব জনসমাগমও বাতিল করা হয়।

  • মুজিববর্ষের “পরিচ্ছন্ন গ্রাম,পরিচ্ছন্ন শহর” কর্মসূচির উদ্বোধন

    মুজিববর্ষের “পরিচ্ছন্ন গ্রাম,পরিচ্ছন্ন শহর” কর্মসূচির উদ্বোধন

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর গৃহিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম নগরে“পরিচ্ছন্ন গ্রাম,পরিচ্ছন্ন শহর” গড়ে তোলার লক্ষে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন(চসিক)। ধারাবাহিকভাবে এই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম আগামী বছর ১৭ মার্চ পর্যন্ত অব্যহত থাকবে।

    আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর কোট বিল্ডিংস্থ এলাকায় হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে লার্ভিসাইড ঔষুধ ছিটিয়ে এই পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এ.বি.এম আজাদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, চসিক সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোজাফ্ফর আহমদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকীসহ জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন।

    উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র বলেন, নগরবাসির প্রত্যাশা আকাশ চুম্বি । তারা পরিচ্ছন্ন শহর ও নির্মল সকাল কামনা করে। এই ধরণের একটি শহর বিনির্মানে নগরবাসিকে ইতিবাচক মন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে । নগরবাসির অংশগ্রহন,সচেতনতা ছাড়া পরিচ্ছন্ন নগর গড়া চসিকের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তাদের গৃহস্থলীর ময়লা আর্বজনা নেওয়ার জন্য চসিক কর্মীদের সহযোগিতা করতে হবে।

    এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন নগর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য ২ হাজার ডোর-টু-ডোর সেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গৃহস্থলীর ময়লা রাখার জন্য নগরবাসির মধ্যে ৯ লক্ষ বিন দেওয়া হয়েছে। জনসচেতনা সৃষ্টির জন্য স্থানীয় দৈনিকে মাসের পর মাস বিজ্ঞাপন, মাইকিংসহ বিভিন্ন মিডিয়া বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে।

    তিনি বলেন এক সময় নগরীর প্রধান সড়কসহ অলিগলি ও উপ-গলিতে সাড়ে ১৩”শ ডাস্টবিন ছিল। বর্তমানে অর্ধেকের বেশী ডাস্টবিন অপসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে ডাস্টবিনমুক্ত নগর ও উন্নত পরিবেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছে চসিক। তাই এ শহরকে শতভাগ পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে নগরবাসিকে এগিয়ে আসতে হবে তিনি মন্তব্য করেন।

    মুজিব বর্ষে পরিচ্ছন্ন গ্রাম,পরিচ্ছন্ন শহর গড়ার চসিকের কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজের সুবিধার্থে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডকে ৪ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ওয়ার্ডের রাস্তা, ফুটপাত, গলি, উপ-গলি, নালা-নর্দমা ইত্যাদি যথাযথভাবে পরিস্কার এবং মশা নিধন কেমিকেল স্প্রে করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রমিক নিয়োজিত থাকবে ।

    সপ্তাহ শেষে পুনরায় একই স্থান হতে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করা,নগরীর বর্জ্য ফেলার স্থান ও সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন প্রতি মাসে দুইবার বিশেষ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা, ডোর টু ডোর সেবকদের কাজের মান বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে বিশেষ কর্মশালা আয়োজনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    এছাড়া চসিক পরিচালিত কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের প্রাঙ্গনে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, এই কর্মযজ্ঞ একদিনের জন্য নয়। এই কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হবে বছর ব্যাপি। কারণ ১৭ই মার্চ থেকে মুজিব বর্ষ শুরু হচ্ছে। ২০২১ সালের ১৭ ই মার্চ পর্যন্ত চলবে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে চসিক গৃহিত কর্মসূচি। সামর্থ্যের মধ্যে বছর ব্যাপি এই পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে চসিক।

    পরিচ্ছন্ন কাজে জনবল থাকলেও মশার উপদ্রব প্রতিরোধে ঔষধ ক্রয়ের সামর্থ্য নেই চসিকের। মশার প্রজনন ধ্বংসের জন্য এডালটিসাইড ও লার্ভিসাইড ঔষধ ক্রয়ে ২০ কোটি টাকা আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে ইতোমধ্যে পত্র দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মেয়র।

  • জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে মুজিববর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে:কাদের

    জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে মুজিববর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে:কাদের

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সতর্ক থাকতে হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

    আজ মঙ্গলবার (১০ মার্চ) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে করণীয় আছে। তা হলো সতর্ক থাকা, যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যে মজুদদারির পাঁয়তারা শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে অভিযান শুরু হয়েছে।

    খালেদা জিয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরিবার বা দলের নেতার কথায় দণ্ডিত আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। তবে চিকিৎসকরা তার চিকিৎসার্থে কোনো সুপারিশ করলেই কেবল তা বিবেচনাযোগ্য।

    তিনি বলেন, যেহেতু মানবিক কারণে বা চিকিৎসার জন্য তার জামিন আবেদন আদালত একাধিকবার নাকচ করে দিয়েছেন, তাই পরিবারের আবেদনে খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে মুক্তি দেয়ার সুযোগ নেই।

    সেতুমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া দণ্ডিত হয়ে কারাগারে আছেন। আদালত তার জামিন আবেদন একাধিকবার নাকচ করেছেন। এখন পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবিক কারণে চিকিৎসার্থে তার মুক্তি চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে তার মূল্য নেই।

    তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা প্রয়োজন-এ কথা শুধু তার দলের নেতা বা পরিবোরের লোকজন বলছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকরা সে কথা বলছেন না। তাই স্বভাবতই দল বা পরিবারের কথায় তার জামিন বা মুক্তির সুযোগ নেই।

    মুজিববর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে জনসমাগম এড়াতে মুজিববর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। বিদেশি অতিথিরা আসবেন না বলে যারা এ নিয়ে রাজনীতি করছেন তা সঠিক নয়। মুজিববর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করায় কোনো রাজনীতি নেই। আছে জনকল্যাণের চিন্তা।

  • মুজিববর্ষ সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করছে পুলিশ:আইজিপি

    মুজিববর্ষ সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করছে পুলিশ:আইজিপি

    বাংলাদেশে পুলিশের ইন্সেপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, মুজিববর্ষ সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করছে পুলিশ। পুলিশের সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং জনগণের সঙ্গে পুলিশের ব্যবহার হবে মধুর ও আন্তরিক। ইতিমধ্যে অনেক অপরাধ ঠেকিয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে।

    সোমবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মডেল থানা ও পুলিশ ব্যারাক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

    আইজিপি বলেন, সংস্কার কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। রাষ্ট্রের সক্ষমতার ওপর লক্ষ্য রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জনগণের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে যে ভীতি রয়েছে, তা দূর করতে দেশের সব থানাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। থানায় কর্মরত কর্মকর্তা ও ফোর্সদের মানসিকতার পরিবর্তন করার চেষ্টা চলছে।

    তিনি আরও বলেন, দেশের থানাগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে থানায় কী ধরনের ব্যবহার করা হচ্ছে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। থানায় থানায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নারী-শিশু-বৃদ্ধ-প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা সার্ভিস ডেক্স করে নতুন করে সাজানো হচ্ছে।

    পুলিশের সংস্কার কার্যক্রমে জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের সংখ্যা যুক্তিপর্যায়ে বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আইজিপি বলেন, বর্তমানে দেশে সাড়ে ৮০০ জনের মধ্যে একজন করে পুলিশ, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।

    সাইবারক্রাইম বিশ্বব্যাপী বড় সমস্যা মর্মে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে এ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জেলাপর্যায়ে সেল গঠন করা হয়েছে।

    আইজিপি ভবন উদ্বোধন শেষে নতুন একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি গাড়ির চাবি তুলে দেন কোটচাঁদপুর থানার ওসি মাহবুবুল আলমের হাতে।

    এর আগে থানা চত্বরে একটি নারিকেলগাছের চারা রোপণ করেন এবং নবনির্মিত ভবন ঘুরে দেখেন তিনি। ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানা ও পুলিশ ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটিতে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

    এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শফিকুল আজম খান চঞ্চল, আনোয়ারুল আজীম আনার, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান পিপিএমসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • চাঁদাবাজি করে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান নয়: কাদের

    চাঁদাবাজি করে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান নয়: কাদের

    দেশ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে এমন মন্তব্য করে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মুজিববর্ষে দলের নেতাকর্মীদের ক্ষমতার দাপট না দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি চাঁদাবাজি করে মুজিববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান না করার নির্দেশনাও দেন তিনি।

    শুক্রবার (৬ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।

    যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুজিববর্ষের কোনো অনুষ্ঠান নিয়ে কেউ যেন চাঁদাবাজির দোকান না খোলে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। চাঁদাবাজি করে এই অনুষ্ঠান যেন কেউ না করে। চাঁদা দিতে হবে, এত টাকা হবে ধার্য করেন, অমুক দোকানদারকে এত দিতে হবে, অমুক ব্যবসায়ীকে এত দিতে হবে, অমুক বাড়িওয়ালাকে এত দিতে হবে- এসব বাড়াবাড়ি কোনো অবস্থায় সহ্য করা হবে না।

    দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, আপনাদের আবারও অনুরোধ করবো আপনারা যেকোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করবেন। মুজিববর্ষের ভাব-গাম্ভীর্য বজায় রেখে চলবেন। বঙ্গবন্ধু যে বিনয়, ধৈর্য, ত্যাগের শিক্ষা দিয়েছেন সেই শিক্ষা থেকে আপনাদের নিতে করতে হবে। আপনারা কোনো অবস্থায় মুজিববর্ষ উদযাপনের নামে এলাকায় মানুষের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করবেন না। মানুষ যেনো আপনাদের কাছ থেকে বিরূপ আচরণ না পায়। কোনো প্রকার হয়রানি শিকার না হয়, কোনো মানুষ কষ্ট না পায় সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন। নিজেরা অর্থ সংগ্রহ করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।

    তিনি বলেন, পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ডে করতে কোনো আপত্তি নেই। তবে পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড যেনো আত্মপ্রচারের মাধ্যম না হয়। মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে প্রদর্শন করতে গিয়ে আত্মপ্রদর্শন যেন না হয়। পোস্টারে নাম দিতে পারেন। নিজেদের ছবি দেবেন না। এটা আমরা কঠোরভাবে মনিটর করবো।

    কাদের আরও বলেন, চাঁদাবাজি করে যেন কেউ মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান না করে। এটা করলে কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট্রের অনুমোদন ছাড়া কোথাও কোনো ম্যুরাল করা যাবে না।

    এ যৌথসভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় সংসদ সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, মহানগরের অর্ন্তগত থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দলের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরা।