Tag: মুজিববর্ষ

  • মুজিববর্ষে রাউজানে ১০০টি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করা হবে

    মুজিববর্ষে রাউজানে ১০০টি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করা হবে

    রাউজান প্রতিনিধিঃ মুজিববর্ষে রাউজানে ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের খাবার ও দিনব্যাপী বিনামূল্যে বাস সার্ভিস দেয়া হবে।

    ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হবে।একই দিন বঙ্গবন্ধুর ১০০টি ম্যুরাল উদ্বোধন,বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

    রোববার (১ মার্চ) বিকাল ৪ টায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রাক মুজিববর্ষে-প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

    সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একে এম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল ওয়াহাব, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফৌজিয়া খানম মিনা।

    প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভায় বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খান, প্যানেল মেয়র (২) জমির উদ্দিন পারভেজ, অধ্যক্ষ একেএম আব্দুর রশিদ,মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদ তালুকদার প্রমুখ।

  • মুজিববর্ষে অধিকার বঞ্চিতরা নাগরিক সুবিধা পেলে কমবে অপরাধ প্রবণতা

    মুজিববর্ষে অধিকার বঞ্চিতরা নাগরিক সুবিধা পেলে কমবে অপরাধ প্রবণতা

    ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারাদেশে পথে বসবাসকারিদের বিরাট একটা অংশ অসহায় পথশিশু আর বৃদ্ধ। তারা পথে বসবাস করে এবং পথই তাদের একমাত্র ঠিকানা। তারা জানে না জীবনে আলো-অন্ধকার, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য তারা বুঝেনা ভালো মন্দের পার্থক্য। এই আধুনিক যুগে জন্মগ্রহণ করেও গুহায় বসবাস করা আদিম মানুষের জীবনমান থেকে তাদের জীবনমান উন্নত নয়। তাদের আচার-আচরণে আজও রয়েছে কুসংস্কার, বর্বরতা অপরাধ প্রবণতা। এরা অপরাধ করলে তাদের হাতেনাতে না ধরতে পারলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ভালোই বেগ পেতে হয় এদের খুঁজে বের করতে। কারণ এই মানুষদের পরিচয় নেই তাই তারা খুব সহজেই হারিয়ে যেতে পারে স্থান ত্যাগের মাধ্যমে।

    আমি তাদের জীবনের কয়েকটি ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিষয় যা তাদের সাথে সরাসরি মিশে অনুভব করেছি ও তাদের থেকে জেনেছি।

    খাদ্যের অভাবে তারা ডাস্টবিনের পরিত্যক্ত খাবার গ্রহণ করে এবং তারা তা ভাগ করে খেতে হয় কুকুরের সঙ্গে।

    ক্ষুধার্ত, অসহায়, রুগ্ন, নির্যাতিত, এবং নাগরিক অধিকারবঞ্চিত মানবসন্তান। ( এদের কোন জাতীয় পরিচয় পত্র নেই) যার ফলে তারা নিজ সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করাতে পারে না। এবং পরিচয় হীনতার কারণে এদের মাঝে অপরাধ প্রবণতা বেশী। যার ফলে তারা ভয়ানক অপরাধের সাথে জড়িত থাকে।

    তারা তাদের সারাটি জীবন পার করে অপ্রয়োজনীয় ভারী বোঝা বহন করে। তারা নিজেই জানে না এই বোঝা কতদিন বহন করতে হবে। এক সময় ঐ বোঝা ও বয়সের ভারে জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত হয় কিন্তু তারা সঠিক চিকিৎসা ও পায় না অনেক সময় পরিচয়ের অভাবে।

    শিশু বা বৃদ্ধ তাদের সকলের সাথে কুকুর দেখা যায় কারণ ওরা কুকুরকে আপন ভাবে এবং খুব ভালোবাসে।তারা চিন্তা করে কুকুর আর তাদের মাঝে কোন পার্থক্য নাই৷ কিন্তু কুকুর দ্বারা তারা রোগে আক্রান্ত হতে পারে বা কুকুর তাদের ক্ষতি করতে পারে তা তারা ভাবে না। দেখা যায় অনেক ৪/৫ বছরের ও কম বয়স্ক শিশু কুকুরের মুখে হাত দিয়ে খেলা করে এবং কুকুরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায় যা একটি শিশুর জন্য বড় দূর্ঘটনা বয়ে আনতে পারে।

    সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আমরা প্রত্যেক মানুষই তার নিজ সমাজের কাছে দায়বদ্ধ। সমাজকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখার দায়িত্বটাও প্রত্যেক মানুষেরই। তাই সুস্থ ও স্বাভাবিক সমাজ গঠনের সত্যিকার মানসিকতা নিয়ে চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশে অসহায় ও বৃদ্ধদের পাশে এসে আমাদের দাঁড়াচ্ছে আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন এর মত বহু সংগঠন।যাদের সেবামূলক কার্যক্রমের ফলে অসহায় বৃদ্ধ ও শিশুরা খুবই উপকৃত হচ্ছে। তাদের জীবনের বৃহৎ পরিবর্তন না হলেও তারা কিঞ্চিৎ আনন্দ পাচ্ছে। খুবই ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে ঠিক তখনই যখন এই অসহায় বৃদ্ধ নারী-পুরুষ বা শিশু তারা তাদের নাগরিক অধিকার পাবে এবং তৈরী হবে তাদের পরিচয়। দূর্ভাগ্যবশত হলেও সত্য অসহায় নারী বা পুরুষ বৃদ্ধদের এমব আপন লোকের সংখ্যা নেই বললে চলে যে তার উপকারে আসবে।

    আমাদের দেশে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করতে যে জটিলতা তা ওদের জন্য মওকুফ করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বা পড়া মহল্লার মাধ্যমে তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রে নজর দেয়া উচিৎ। একজন মানুষ জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করতে নাগরিকত্বের যা যা প্রমাণ দেখাতে হয় তার ৮০% এদের কাছে নাই। তাই জাতীয় পরিচয় পত্র করা সম্ভব হয় না তাদের। বাংলাদেশে এখন বর্তমানে রোহিঙ্গা বসবাস করছে এর জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন একটা সময় আসবে যেদিন আমরা নিজের দেশের এই অসহায় মানুষদের রোহিঙ্গা মনে করে বের করে দিবো। বা এমন ও দিন আসতে পারে এদের দ্বারা অনেক বড় অপরাধ সংগঠিত হবে শুধুমাত্র পরিচয় পত্রের অভাবে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেদিন হয়তো অনেক বড় ক্ষতি হবে।

    এদের জাতীয় পরিচয় পত্র করলে আমাদের দেশে অপরাধ প্রবণতার হার হ্রাস পাবে।কারণ ফিঙ্গারপ্রিন্ট দ্বারা যে কোন ব্যাক্তি বা অপরাধী সনাক্ত করা সহজ। আমি মনে করি আমাদের দেশ থেকে অসহায় মানুষদের বৃহৎ উপকার হবে এ বিষয়ের মাধ্যমে। এবং অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে শতভাগ তাছাড়া নিজের পরিচয় তৈরী করতে পারা মানুষের সব চেয়ে বড় অধিকার। মুজিব শতবর্ষে আমাদেরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের পক্ষ থেকে এমন একটি ঘোষণার প্রত্যাশা ছিল মুজিব শতবর্ষ গণনার পর থেকে। কিন্তু এ বিষয়ে কোন বিষয়ের দেখা মিলে নি।বঙ্গবন্ধু এমন একটি নাম যিনি না জন্মালে আমরা পেতাম না বাংলা। তার জন্মশত বার্ষিকীতে যদি একশ জন অসহায় মানুষের নতুন করে পুণঃজন্ম হতো তাহলে জন্ম শত বার্ষিকীর আনন্দ বেড়ে যেত বহুগুনে৷ একজন সমাজকর্মী হয়ে এমনটা প্রত্যাশা করা স্বাভাবিক তবে বাস্তবে রুপ দেয়া কঠিন।

    লেখক:মুহাম্মদ আনোয়ার এলাহি ফয়সাল
    প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী
    আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন।

  • মুজিববর্ষে প্রত্যেক থানায় ৪টি করে হেল্প ডেস্ক চালু হবে: আইজিপি

    মুজিববর্ষে প্রত্যেক থানায় ৪টি করে হেল্প ডেস্ক চালু হবে: আইজিপি

    পুলিশ প্রধান আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ ৯৯৯ সার্ভিস চালুর পর গত দু’বছরে ৫৮ লাখ মানুষকে সেবা দিয়েছে। এতে করে জনগণ খুব উপকৃত হয়েছেন। এই সেবা অব্যাহত থাকবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে পুলিশের কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি করা হবে।

    এই সময়ে প্রত্যেক থানায় ৪টি করে হেল্প ডেস্ক খোলা বা চালু করা হবে। প্রতিবন্ধী সেবা ডেস্ক, বয়স্ক সেবা ডেস্ক, নারী শিশুদের জন্য ডেস্ক এবং অসহায় নারী শিশুদের জন্য অ্যাপস চালু হবে। তবে অ্যাপস চালুর বিষয়টি এখনো পরীক্ষাধীন।’

    নেত্রকোনা জেলাপুলিশের বার্ষিক সমাবেশ উপলক্ষে আজ বুধবার দুপুর ১২টায় নেত্রকোনা সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশের ভূমিকা অনন্য। পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমন করতে গিয়ে ৮ জন পুলিশকে জীবন দিতে হয়েছে। পুলিশ দেশ থেকে জঙ্গিবাদ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।’

    তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি থানাকে জনবান্ধব থানা হিসাবে গড়া হচ্ছে। আমরা সত্যিকার অর্থেই জনগণের পুলিশ হতে চাই। তাই থানাগুলোকে সে ভাবেই গড়তে চাই।’

    তিনি আরো বলেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সচেষ্ট। কিন্তু সত্যিকথা হলো এই, এক হাজার লোকের জন্য মাত্র ১ জন পুলিশ। তা দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ খুবই সমস্যা এবং এ দিয়ে সেবা দান করা খুব কঠিন। তবে পুলিশ এই ব্যাপারে তৎপর।’

    এসময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি অব পুলিশ ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ, নেত্রকোনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম।

    পরে তিনি পুলিশ লাইন মাঠে নেত্রকোনা পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ করেন।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

    ঠাকুরগাঁওয়ে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : মুজিববর্ষ ২০২০ উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সভায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব সভাপতি মনসুর আলী, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, মাশহুরা বেগম হুরা, আকচা ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন, রুহিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু, জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলাল মাস্টার, আউলিয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম, রহিমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান হান্নু, ঢোলারহাট ইউপি চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন, রুহিয়া পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন প্রমুখ।

    সভায় মুজিবশতবর্ষ উদযাপনে গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় এবং বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়।

  • মুজিববর্ষে হবে কি রিডিং রুমের সমাধান! কুবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল

    মুজিববর্ষে হবে কি রিডিং রুমের সমাধান! কুবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল

    কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে নেই কোনো রিডিং রুম। হল প্রতিষ্ঠার প্রায় ৭ বছর পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুন্দর পরিবেশের নিমিত্তে তৈরি করতে পারেনি একটি রিডিং রুমও। রিডিং রুম না থাকায় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার আগে ভাল প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, ৫ম তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৪১ টি কক্ষে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী থাকে। হলটিতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা গণরুমে থাকে। একরুমে থাকে প্রায় ৪০ জন। গাদাগাদি করে এক বেডে দুইজন থাকা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ভাল প্রস্তুতি নিতে পারছেনা। নানা শব্দের মাঝেই পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।

    হলে গান-বাজনা ও প্রতিদিন কারো না কারো জন্মদিন উৎযাপন করায় সবসময় হৈচৈ বিরাজ করে। কারো পরীক্ষা থাকলে রিডিং রুমে গিয়ে পড়াশোনা করবে এ ব্যবস্থাও নেই। রিডিং রুম না থাকায় শিক্ষার্থীরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে পারছেনা।

    এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি হল রয়েছে। এখানে কাজী নজরুল ইসলাম এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলে রিডিং রুম থাকলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে কোনো রিডিং রুমের ব্যবস্থা নেই।

    বঙ্গবন্ধু হলের ১ম বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, “আমার মিডটার্ম পরীক্ষা চলছে, গণরুমে পড়াশোনা করতে পারি না। সামনে সেমিস্টারের জন্য কীভাবে পড়াশোনা করবো তা নিয়ে আমি চিন্তিত।”

    বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, “একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে কীভাবে রিডিং রুম থাকে না তা আমার জানা নেই। এই হলটিতে রিডিং রুম খুবই দরকার। মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধু হলে রিডিং রুম সময়ের দাবি। মুজিববর্ষ শুরু হওয়ার আগেই একটি রিডিং রুম প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানাচ্ছি।”

    হলের প্রভোস্ট মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, “আমি হলের দায়িত্বে আসার আগে হলে রিডিং রুমের জন্য কোনো জায়গা বরাদ্দ ছিল না, আমি হলের দায়িত্বে আসার পর প্রথমেই রিডিং রুমের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করেছি। রিডিং রুমের জন্য আসবাবপত্র প্রয়োজন, আমি এটা প্রশাসনকে জানিয়েছি। আসবাবপত্রের ব্যবস্থা হলেই রিডিং রুম চালু করা হবে।”

  • মুজিববর্ষে বাজারে আসছে ২শ’ টাকার নোট

    মুজিববর্ষে বাজারে আসছে ২শ’ টাকার নোট

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশে প্রথমবারের মত আগামী মার্চ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ২শ’ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট ছাড়তে যাচ্ছে।

    এ বিষয়ে শনিবার কেন্দ্রিয় ব্যাংকের পরিচালক ও মূখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বাসসকে বলেন,বাজারে প্রচলিত ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার মতই ২শ’ টাকার নোট ছাড়া হবে। আগামী মাসে স্মারক ও প্রচলিত-দুই ধরনের ২শ’ টাকার নোট ছাড়া হবে, তবে ২০২১ সাল থেকে কেবলমাত্র নিয়মিত নোট থাকবে।

    জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী বা মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

    এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ১শ’ টাকা মূল্যমানের সোনা ও রূপার স্মারক মুদ্রা ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক।

    সিরাজুল ইসলাম জানান,২শ’ টাকার নোটের উপর ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ নোট’ কথাটি লেখা থাকবে। তবে ২০২১ সাল থেকে যে নোটগুলো ছাড়া হবে তাতে আর তা লেখা থাকবে না।

    ১০০ টাকা মূল্যমানের ১ হাজার ৫০টি স্বর্ণ মুদ্রা এবং একই মূল্যমানের ৫ হাজার রৌপ্য মুদ্রা ছাড়া হবে। বর্তমানে দেশে ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নিয়মিত নোট চালু রয়েছে। প্রথমবারের মত ২০০ টাকার নোট চালু হতে যাচ্ছে।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০-২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার।

    ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।

    আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হবে। আর ঠিক পরের বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

    ‘মুজিববর্ষ’ পালনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু করেছে সরকার। আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বছরব্যাপী থাকবে নানা আয়োজন।

    উল্লেখ্য, বিশেষ বিশেষ ঘটনাকে স্মরণীয় রাখতে এর আগে ৬ ধরনের স্মারক নোট তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই বহরে যুক্ত হচ্ছে ২শ’ টাকার নোট। এছাড়া এই পর্যন্ত ১২ ধরনের স্মারক মুদ্রা ছাড়া হয়েছে। অন্যদিকে লেনদেনের জন্য বিভিন্ন মানের প্রচলিত নোট ও মুদ্রা বাজারে আছে।

    স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম নোট ছাপা হয়। ১৯৭২ সালের ২ জুন প্রথম বাজারে ছাড়া হয় ১০ টাকার নোট। এরপর ধীরে ধীরে বাজারে আসে ১, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০ ও ৫০০ টাকার নোট। এছাড়া স্বাধীনতার পর থেকে ধীরে ধীরে বাজারে ছাড়া হয় ১, ৫, ১০, ২৫, ৫০ পয়সা ও ১, ২, ৫ টাকার কয়েন।

  • মুজিববর্ষের আয়োজনে বিএনপিও আসতে পারে: কাদের

    মুজিববর্ষের আয়োজনে বিএনপিও আসতে পারে: কাদের

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আওয়ামী লীগ দলীয়করণ করতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    তিনি বলেছেন, দল-মত-নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসীদের মুজিব বর্ষ উদযাপন উন্মুক্ত থাকবে। তবে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না এবং সম্প্রদায়িক শক্তি তাদেরকে এই মহাআয়োজনে সম্পৃক্ত করা হবে না। তবে বিএনপি চাইলে এ আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পারে।

    বৃহস্পতিবার ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন কাদের। মুজিববর্ষ উদযাপনে যে জাতীয় কমিটি করা হয়েছে তার সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

    আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় সংসদ সদস্য এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল এজেন্ডা ছিলো সফল ভাবে মজিববর্ষ উদযাপন করতে সামগ্রিক অগ্রগতি এবং প্রস্তুতি পর্যালোচনা।

    কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মহানায়ক, তাকে নিয়ে আমরা দলীয়করণ করতে চাইনা। তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে। দল-মত-নির্বিশেষে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে সকলের জন্যই এ মুজিব বর্ষ উদযাপন উন্মুক্ত থাকবে। এখানে সংকীর্ণতার কোন সুযোগ নেই।’

    মুজিববর্ষে বিএনপি আমন্ত্রণ পাচ্ছে কি-না জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্মেলনে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। আর মুজিববর্ষের ক্ষণগণনায় তারা আমন্ত্রিত ছিল। এখন তারা ডিসাইড করবেন, তারা থাকবেন কিনা। তাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, তারা অংশগ্রহণ করবে কিনা, সেটা তাদের ব্যাপার।’

    আরেক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করে না এবং সম্প্রদায়িক শক্তি তাদের মুজিববর্ষ উদযাপনে সম্পৃক্ত করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চায় না। এটা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই।’

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২২ এবং ২৩ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। ২২ তারিখ অধিবেশন শুরুর আগে, আমরা যারা একাদশ জাতীয় সংসদ এর সদস্য; তারা একযোগে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব যে বাসভবন সেই বাসভবনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করব। এর মধ্য দিয়ে বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হবে।’

    অধিবেশনের দু’দিন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সংসদ সদস্যরা বক্তব্য রাখবেন বলেও জানান ক্ষমতাসীনদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এ নেতা। মুজিববর্ষ উদযাপনের মধ্যদিয়ে দেশকে সারাবিশ্বের সামনে ‘বাংলাদেশ ব্রান্ড’ হিসেবে উপস্থাপনে সরকার বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে বলেও এসময় জানান তিনি।

    সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠন গুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

  • মুজিববর্ষে অঙ্গীকার হবে অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করা:তথ্যমন্ত্রী

    মুজিববর্ষে অঙ্গীকার হবে অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করা:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মুজিব বর্ষে অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করার লক্ষ্যে নতুন করে শপথ নেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    তথ্যমন্ত্রী আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ঢাকা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (ডিজেএ) সভায় বক্তৃতাকালে বলেন, মুজিববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার হবে বাংলাদেশ থেকে সকল অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করা।

    ডিজেএ’র ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করা হয়।

    হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি যদি নেতিবাচক রাজনীতি না করতো, তাহলে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যেতো। বিএনপি সরকারের সবকিছুরই সমালোচনা করে। কিন্তু সরকারের ভাল কাজ ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তাদের স্বীকার করা উচিত।

    মন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) সাধারণ মানুষকে অবরুদ্ধ করেছে, পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মানুষ মেরেছে। বাস, ট্রাক ও লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, স্কুলগামী শিশুদের উপর বোমা নিক্ষেপ করেছে। আমি আশা করি যে, জনগণ তাদের অপরাজনীতি থেকে মুক্ত হবে।

    বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোল ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা কি চান, তারা নিজেরাই তা জানেন না। বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ে তাদের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাছান মাহমুদ আরো বলেন, তাদের (বিএনপি) লক্ষ্য বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য ইস্যু পুঁজি করে অপরাজনীতি করা। তারা বেগম জিয়ার ভাল চান না।

    মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন সূচকসহ অনেক আর্থ-সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ সব সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। এটা সম্ভব হয়েছে কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বের কারণে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকারের বহুমুখী উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের সুবাদে এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ গৃহনির্মাণসহ দ্রুত নগরায়ন ও বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কারণে চাষের জমি কমে আসার পরও এখন খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, কৃষি জমি এক ইঞ্চিও বাড়েনি অথচ বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে এটা এখন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কেস স্টাডির বিষয় হয়েছে।
    মন্ত্রী বলেন, পল্লী অর্থনীতি জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা অন্য দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

    মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, মুজিব বর্ষের মধ্যেই বাংলাদেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে।

    তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ কোন স্বপ্ন নয়, এটি এখন বাস্তব এবং দিন এখন বদলে গেছে।

    বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিজেএ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ এবং মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জেসমিন জুই অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জহিরুল হক মিলু।

  • মুজিববর্ষের নামে চাঁদাবাজির দোকান খোলা যাবে না: কাদের

    মুজিববর্ষের নামে চাঁদাবাজির দোকান খোলা যাবে না: কাদের

    আগামী মাসে মুজিববর্ষ পালন করা হবে। এই মুজিববর্ষ পালন করতে গিয়ে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি করা যাবে না, মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুজিববর্ষ পালনের নামে কোনো চাঁদাবাজির দোকান খোলা যাবে না। তিনি বলেন, এ বিষয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার কড়া হুশিয়ারি রয়েছে।

    মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় অঞ্চলের বিশেষ যৌথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে মুজিববর্ষ পালন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে হবে। বিরোধীপক্ষকে দুর্বল ভাবার কোনো কারণ নেই। বিএনপি একটা ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম। তাদের মধ্যে ঐক্য আছে। আমাদের দলে সুবিধাবাদী আছে, তারা আওয়ামী লীগে থেকে বিএনপির জন্য কাজ করে, বিএনপিকে ভোট দেয়। আমাদের সামান্য ভুলে বিরোধীপক্ষ সুযোগ নিতে পারে, তাই আমাদের মুজিববর্ষ পালনে সতর্ক থাকতে হবে।

    এ সময় নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে সততার আলোকে নিজেকে পরিশুদ্ধভাবে বিকশিত হওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

    ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরীক্ষিত নেতাদের সময়মতো মূল্যায়ন না করলে দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের মাঠে পাওয়া যাবে না।

    তিনি আরও বলেন, জেলাপর্যায়ে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে হবে। তা না হলে দলের দুর্বল অবস্থা কাটানো যাবে না। তৃণমূল হলো দলের প্রাণ, আমাদের দলের থানাপর্যায়ে দুর্বলতা আছে– এটি অপ্রিয় সত্য কথা।

    সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, অসিম কুমার উকিল, খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

  • মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না:প্রধানমন্ত্রী

    মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না:প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না। যুবসমাজের কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার তরুণদের জন্য প্রশিক্ষণ ও ঋণদানসহ বিভিন্ন সহায়তার ব্যবস্থা করেছে। তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার সৃষ্টি ও বিভিন্ন শিল্প স্থাপনেও কাজ চলছে।’ সবার কর্মসংস্থান তৈরিতে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

    বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আত্মকর্মী ও যুব সংগঠকদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

    উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার দায়িত্ব যুবকদের নিতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়েছিলেন তা বাস্তবায়নে তরুণ ও যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ত্যাগ তিতীক্ষার বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল যেন সবাই পায়, যুব সমাজ যেন আত্মনির্ভশীল হতে পারে সে চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।

    বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় তরুণদের এগিয়ে নিতে বিনা জামানতে ঋণ দিচ্ছে সরকার। শুধু চাকরি নয়, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তরুণরা যাতে এগিয়ে যেতে পারে সরকার তার ব্যবস্থা করছে।

    তরুণদের চিন্তা ও মেধার বিকাশ ঘটাতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, মানসিক শক্তি বিকাশে ক্লাস সিক্স থেকে তরুণদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে। ন্যাশনাল সার্ভিসের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সারাদেশে ২ হাজার ৮০০ ডিজিটাল সেন্টার করা হয়েছে, যাতে ফ্রিল্যান্সিক খাতে আমাদের সন্তানরা এগিয়ে যেতে পারে।

    উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সন্তানরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মেধাবী। তারা চাইলে যেকোনো অসাধ্যকে সাধন করতে পারে। চাকরি নেয়া নয়, দেয়ার মানসিকতা ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। মুজিববর্ষের মধ্যেই কেউ যাতে বেকার না থেকে সে চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

    শুধু ছেলে নয়, মেয়েদেরও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, সকল ডিজিটাল সেন্টারে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও কাজ করার সুযোগ আছে। যুব সমাজকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে বেসরকারিভাবে প্রশিক্ষণের পাশপাশি সমাজ কল্যাণ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং যুব উন্নয়ন বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এগুলো কাজে লাগাতে পারলে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।

  • প্রকাশকের কলাম : মুজিববর্ষ ও আমাদের প্রত্যাশা

    প্রকাশকের কলাম : মুজিববর্ষ ও আমাদের প্রত্যাশা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ । নুর মোহাম্মদ রানা : বাঙালির এক অতিকায় মহাপুরুষ বঙ্গবন্ধু। হাজার বছরের পিছিয়ে পড়া, পশ্চাৎপদ, অপমানিত, পরাধীন বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা বিরল এক সিংহ হৃদয় নেতা ও বাঙালির এক স্বপ্নের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

    স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গি পাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মানবিক গুণাবলির শ্রেষ্ঠতম অনুষঙ্গ ঔদার্য ও সভ্যতার সহস্র সহস্র বছরের ইতিহাসে হাতেগোনা কিছু মানুষ এই বিরল গুণের অধিকারী ছিলেন।

    বঙ্গবন্ধু তাঁর বিশাল মানবিক ঔদার্য দিয়েই লক্ষ মানুষের নেতা হয়েছেন, লক্ষ মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে পেরেছেন, তাদের নি®প্রাণ দেহে প্রাণ সঞ্চার করতে পেরেছেন, সর্বোপরি বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন ভূখণ্ড, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বাস্তবায়ন করে দিয়েছেন। তাঁর অবিচল বিচক্ষণ নেতৃত্ব দ্বারা আমরা অর্জন করেছি আমাদের মহান স্বাধীনতা। পেয়েছি লাল-সবুজের পতাকা। আর সেই সুমহান ঔদার্যের প্রশ্রয়ে বেড়ে উঠেছিল কতিপয় হীন কৃতঘ্ন অমানুষ।

    এই পথভ্রষ্ট কতিপয় উম্মাদ তাঁকে দৈনিকভাবে নিষ্প্রাণ করে দিলেও, তাঁর ঔদার্যের কণামাত্র স্পর্শ করতে পারেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ব ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা যেমন প্রশ্নাতীত, ঠিক তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা একক ও অনন্য। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দল ও মতের অমিলে আমাদের ইতিহাসে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে।

    স্বাধীনতার স্বপক্ষে ও বিপক্ষের মধ্যে তফাৎটি দিন দিন বাড়তে থাকে। তারই ফলশ্র“তিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল একদল কাপুরুষ। এরপর কয়েক বার সরকার বদল হয়েছে।

    ইতিহাসের পরিক্রমায় ৭৫ এর ঘৃণিত পট পরিবর্তনের পর থেকে তাঁর নাম উচ্চারণ এই দেশে নিষিদ্ধ ছিল। তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এলে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় প্রায় ২১ বছর পর। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ আর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী। তাঁরই তীক্ষ্ণ দূরদর্শিতায় আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ২০২০-২১ সালকে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার।

    ১৭ মার্চ বর্ণাঢ্য উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বছরব্যাপী এ উদযাপন। মুজিব বর্ষ ঘিরে এরই মধ্যে ২৯৬টি পরিকল্পনা সংবলিত একটি মহা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, দেশের বাইরে সারা পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হবে। এ উদযাপনে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ থেকে শুরু করে সারা পৃথিবীকে সম্পৃক্ত করা হবে। সে অনুযায়ী আমাদের পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

    দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে যান বঙ্গবন্ধু। সেখান থেকে ভারতে স্বল্প সময়ের যাত্রাবিরতি দিয়ে ১০ জানুয়ারি দুপুরে তিনি তৎকালীন তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেই ঐতিহাসিক ঘটনাকে আরো স্মরণীয় করতে ১০ জানুয়ারি ২০২০ সালে শুরু হয় মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা।

    তবে জন্মশতবার্ষিকীর মূল আয়োজন শুরু হবে ১৭ মার্চ সূর্যোদয়ের ক্ষণ থেকেই। ওইদিন সকালে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। ঢাকা ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একই সঙ্গে অনুষ্ঠান শুরু হবে।

    ওইদিন সকালে টুঙ্গিপাড়ায় থাকবে জাতীয় শিশু দিবস নিয়ে নানা আয়োজন। এরপর বিকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে মূল আয়োজন, যাতে প্রকাশ করা হবে জন্মশতবার্ষিকীর বিভিন্ন স্যুভেনির, স্মারক বক্তৃতা, দেশী-বিদেশী শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আয়োজন করা হবে আনন্দ শোভাযাত্রা। রাজধানীসহ সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সড়ক দ্বীপকে সাজানো হবে রঙিন সাজে। মার্চ ২০২০ থেকে প্রতিবছর বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বক্তৃতার আয়োজন করা হবে। যে বক্তৃতার মাধ্যমে তিনি আপামর জনসাধারণের মাঝে মুক্তির স্বাদ এনেছিলেন।

    আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় হচ্ছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান যৌথভাবে উদযাপন করবে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান সাংস্কৃতিক সংস্থা এবং বাংলাদেশসহ উদযাপন করবে। বিশ্বের ১৯৫ দেশে একত্রে উদযাপিত হবে মুজিববর্ষ। ইউনেস্কোর ৫০তম অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

    জন্মশতবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশ্বনেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। বঙ্গবন্ধুর নামে ২০২০ সাল থেকে একটি পুরস্কার প্রবর্তন করতে যাচ্ছে ইউনেস্কো। গবেষণা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিকাশে তরুণদের উৎসাহিত করতে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।

    ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর এই পুরস্কারের জন্য ইউনেস্কোকে অর্থ দেবে বাংলাদেশ। মুজিববর্ষ উদ্যাপনকালে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি পালনের সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন আরও ব্যাপক পরিসরে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হলে, একটি প্রতিবাদী চেতনা সকল অন্যায়-অত্যাচারকে প্রতিহত করতে অনুপ্রাণিত করবে।

    প্রায় এক বছর ধরে প্রস্তুতি নিতে গিয়ে অনেক ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে। শুধুমাত্র পালন ও স্মৃতিচারণের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বরং প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করতে হবে। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি থেকে জানা যায়, ১৭ মার্চ অনুষ্ঠানের মূলপর্বে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, বঙ্গবন্ধুর সমসাময়িক সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত থাকবেন।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, ইউনেস্কোর সাবেক মহাসচিব ইরিনা বুকোভা ও আরব লিগের সাবেক মহাসচিব আমর মুসা এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। আমন্ত্রণের তালিকায় থাকা আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, ভারতের কংগ্রেস পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নেতা সোনিয়া গান্ধী, বিজেপির নেতা ও ভারতের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী এলকে আদভানি, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ প্রমুখ।

    এছাড়াও আমাদের মহান নেতাকে বিশ্ব দরবারে নন্দিত করবে। নিউইয়র্ক, লন্ডন, দিল্লী, কলকাতা, বার্লিন, টোকিওসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলো আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে জানাতে সাহায্য করবে। শুধুমাত্র বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাঙালিদের অনুপ্রেরণা করবে না অনেক নাম না জানা অপরিচিত বিদেশি ভাইবোনরাও আমাদেরকে জানতে ও বুঝতে পারবে।

    ফলে আমাদের প্রবাসী বাঙালি ভাইবোনের সাথে সম্পর্কটা আরো জোরদার হবে। আমাদের জন্য ১৭ই মার্চ একটি আনন্দের দিন, একটি প্রতিবাদী দিন আর এই দিনটি হোক সকল অন্যায় প্রতিহতের প্রতীক, একটি জাতির মুক্তির প্রতীক ও একটি দেশের আপামর জনসাধারণের উন্নয়নের শিখরে আরোহণের প্রতীক।

    এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মুজিববর্ষ উদযাপনের নানা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, বেশ একটা কর্মযজ্ঞ চলছে। যদি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে তা আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে পারি, তা হবে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করার শ্রেষ্ঠ উপায়। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এই স্বাধীন দেশে মানুষ যখন পেট ভরে খেতে পাবে, পাবে মর্যাদাপূর্ণ জীবন; তখনই শুধু এই লাখো শহীদের আত্মা তৃপ্তি পাবে।’ বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

    সরকার জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সাথে চলবে। আর বাংলাদেশ থেকে শিশু হত্যা, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের রাজনীতি চির অবসানে শেখ হাসিনার সরকার ইতিমধ্যে শিশু অধিকার আইন বাস্তবায়ন করেছেন। মাদক, দুর্নীতি, পাশবিকতা, নিষ্ঠুরতা ও হত্যাকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসলে সামগ্রিকভাবে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।

    শেখ হাসিনার বয়সের সাথে সাথে চিন্তাধারার ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে এখন দুর্নীতিবিরোধী অভিযানটি ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুধু নয় একজন সত্যিকারের নাগরিক হিসেবে উনার সাহসী পদক্ষেপে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে তাতে নিজ দল ও নেতাদের মধ্যেও পরিবর্তন ঘটছে। সে যেই হোক, তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। নিজের দল হোক, বিরোধী দল হোক, আপন হোক, পর হোক সবাইকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।

    উন্নয়নের সাথে সাথে শিক্ষাঙ্গন ও সামাজিক অস্থিরতার ফলে আমরা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে শিক্ষাকে ধাপে ধাপে জাতীয়করণে আনার বিষয়টি ব্যাপক প্রশংসার দাবিদার। ক্যাসিনো, মাদক, সড়ক দুর্ঘটনার শুদ্ধি অভিযান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাহসী ও সৎ রাজনীতিবিদের মর্যাদা দিয়েছে।

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শিশুদের অধিকারের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিনীত আহবান জানাচ্ছি। শেখ রাসেলের মত একটি নিষ্পাপ শিশু সেদিন বর্বর হত্যাকারীদের হাতে রেহায় পায়নি। রাসেল একটি প্রতীক। জাতির পিতার নিষ্পাপ শিশুপুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতি সুরক্ষার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের শিশুদের প্রতি দায়িত্ব¦ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। শেখ রাসেল জীবন দিয়ে পৃথিবীর নিষ্ঠুর আচরণের জন্য প্রতিবাদ করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

    দেশের ইতিহাসে শুধু নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও এ হত্যাকাণ্ড বর্বরোচিত ও জঘন্যতম। বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে। শিশু রাসেলকে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল তা একজন বিবেকবান মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। শেখ রাসেলের নিষ্পাপ দৃষ্টি ও নিথর দেহটিকে কেন্দ্র করে তরুণ প্রজন্মের মাঝে বোধশক্তি জাগ্রত করতে হবে।

    মানুষের প্রতি প্রেম ও ভালবাসার কথা সবসময় বঙ্গবন্ধুর আলাপ-আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে আছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নয়, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও এই দিবসটিকে ঘিরে চলছে নানান আয়োজন। এই দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করে দিতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গান, কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক ইত্যাদি আগামী প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের দলিল হতে পারে।

    আমাদের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি শিক্ষক সমাজ এবং অন্যান্য পেশার মানুষগুলোও তাদের কর্মকাণ্ডে ও প্রচার-প্রচারণায় বঙ্গবন্ধুকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। একটি গণ্ডির সীমাবদ্ধ না রেখে অসীমের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। এই হোক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের মূল লক্ষ্য।

    যেমনটি আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে বিজয়ের আলোকবর্তিকা বঙ্গবন্ধু আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন তা নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই। আমাদের দেশের মানুষ যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে একে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে পারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এই আমাদের প্রত্যাশা।

    লেখক: প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট।

  • মুজিববর্ষের কার্যক্রমের প্রচারণা সঠিকভাবে জানাতে সাংবাদিকদের প্রতি তথ্য সচিবের আহবান

    মুজিববর্ষের কার্যক্রমের প্রচারণা সঠিকভাবে জানাতে সাংবাদিকদের প্রতি তথ্য সচিবের আহবান

    মুজিব বর্ষের সকল কার্যক্রমের প্রচারণা সঠিকভাবে মিডিয়ার মাধ্যমে সবাইকে জানাতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তথ্য সচিব কামরুন নাহার।

    আজ দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই আহবান জানান।

    বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, নারী নির্যাতন বন্ধ, নারী শিক্ষা ও সরকারের শিশুবান্ধব কর্মসূচি জনগণের কাছে যথাযথবাবে তুলে ধরার আহবান জানিয়ে কামরুন নাহার আরো বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় গুজব প্রতিরোধে কাজ করছে।ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত বিশ্বের কাতারের একটি দেশ। সংবাদ কর্মীদের দ্ক্ষতা উন্নয়নে ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে কাজ করছে সরকার।

    টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোস্তারী কাদেরী, জেলা তথ্য কর্মকর্তা কাজী গোলাম আহাদ ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।