Tag: মুজিব বর্ষ

  • অভয়মিত্রঘাটে অনুষ্ঠিত হবে “সাম্পান খেলা ও সাংস্কৃতিক মেলা, আয়োজনে নগর আওয়ামী লীগ

    অভয়মিত্রঘাটে অনুষ্ঠিত হবে “সাম্পান খেলা ও সাংস্কৃতিক মেলা, আয়োজনে নগর আওয়ামী লীগ

    ডেস্ক নিউজ : বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী “মুজিব বর্ষ” পালন উপলক্ষে আগামি ১৭ অক্টোবর শনিবার নগরীর কর্ণফুলীত নদীর অভয়মিত্রঘাটে অনুষ্ঠিত হবে সাম্পান খেলা ও চাঁটগাইয়া সাংস্কৃতিক মেলা।

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে পুরো অনুষ্ঠানমালার সার্বিক সহযোগীতা করবেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন।

    গতকাল শনিবার সিজেকেএস সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এসব তথ্য জানান।

    এ সভায় সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, নৌকাকে বঙ্গবন্ধু অন্তরে লালন করেছেন। তার জন্মশতবার্ষিকীতে নৌকা তথা সাম্পান খেলা উৎসবের মাধ্যমে উদযাপন করবো। সাম্পান খেলার আগে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় প্রচার প্রচারণা ও শোভাযাত্রার আয়োজনও করা হবে বলেও তিনি জানান।অভয়মিত্রঘাটে সাম্পান খেলা ও সাংস্কৃতিক মেলা

    সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আলহাজ্ব দিদারুল আলম চৌধুরী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন সভাপতি এস এম শহীদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান সাংবাদিক আলীউর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের কার্যকরী সদস্য শামসুল হুদা মিন্টু উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সুন্দর করতে বিভিন্ন মতামত পোষণ করেন।

    এছাড়াও কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, সহ সভাপতি জাফর আহমদ, আলাউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, অর্থ সম্পাদক বশির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন, সদস্য আশ্রাফ আলী, আবদুল গনি, ইছানগর বাংলাবাজার সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ লোকমান দয়াল, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ জসীম, ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির সম্পাদক মিজানুর রহমান, অর্থ সম্পাদক ফরিদ আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • সীতাকুণ্ডে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ৩০ জন দরিদ্র মহিলা পেলেন সেলাই মেশিন

    সীতাকুণ্ডে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ৩০ জন দরিদ্র মহিলা পেলেন সেলাই মেশিন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যেগে এল.জি.এস.পি প্রজেক্ট -৩ এর আওতায় আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য ৩০ জন দরিদ্র মহিলাকে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়েছে।

    রবিবার দুপুরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ডের সংসদ সদস্য আলহাজ দিদারুল আলম এসব মেশিন তাদের হাতে তুলে দেন।

    অত্র পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী জাহাঙ্গীর এর সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাজাহান, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, সদস্যাবৃন্দ, আওয়ামীলীগ নেতা আরশেদ মাহমুদ সোহাগ, আবু তাহের সওঃ, আবুল হোসেন বাবুল, কামরুজ্জামান, মুন্সী কোম্পানি, তৌহিদ, পেয়ার আহম্মদ, যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন টিটু, আমজাদ, সেলিম মজিদ, ছাত্রলীগ সভাপতি কামরুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আদিল, ছাত্রনেতা আশরাফ, ফারুক, নাজমুল, তুহিন, রানা, তারেক প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে হুইপের ব্যাতিক্রমি উদ্যোগ ১০০ রোগিকে হুইল চেয়ার বিতরণ

    মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে হুইপের ব্যাতিক্রমি উদ্যোগ ১০০ রোগিকে হুইল চেয়ার বিতরণ

    পটিয়া প্রতিনিধিঃ পটিয়ার সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী মুজিববর্ষের প্রথম দিন মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকালো একশ প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার বিতরণ করেছেন।

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্যতিক্রমী ও মানবিক এই কাজটি করা হয়। পটিয়া পৌরসভা ও উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের ১শ শারীরিক প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন হুইপ।

    এর আগে উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-পটিয়া মুজিববর্ষ উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, উদযাপন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহানা জাহান উপমা, পটিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শামসুদ্দিন আহমদ, পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইনামুল হাসান, পটিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ.ক.ম. শামসুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান দেবব্রত দাশ দেবু, পটিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ মনোয়ার, হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর পুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, পটিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, দক্ষিণ জেলা আ’লীগ নেতা বিজন চক্রবর্ত্তী, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ সভাপতি আ.ম.ম. টিপু সুলতান চৌধুরী, হুইপের পিএ হাবিবুল হক চৌধুরী, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম, চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসিম, চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম, চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ছৈয়দ, চেয়ারম্যান ইব্রাহিম বাচ্চু, পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এমএনএ নাছির, পটিয়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হাসান উল্লাহ, যুগ্ম আহবায়ক ইমরান উদ্দিন বশির, মাষ্টার লিটন নাথ প্রমুখ।

    দুপুরে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন।

  • ‘করোনা’ ঠেকাতে মুজিব বর্ষে কুবির ফার্মেসি বিভাগের হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ

    ‘করোনা’ ঠেকাতে মুজিব বর্ষে কুবির ফার্মেসি বিভাগের হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ

    কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ফার্মেসি বিভাগ মুজিব বর্ষের প্রথমদিনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছে ।

    মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে মাত্র ২৫ টাকা শুভেচ্ছা মূল্যে প্রতিটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।

    মঙ্গলবার সকাল ১১.০০ টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী স্যানিটাইজার বিতরণপর্ব উদ্বোধন করেন । এসময় তিনি বলেন, ফার্মেসি বিভাগের জনকল্যাণকর এমন উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা আর্থিক সহযোগিতা করেছি। এটা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।

    ফার্মেসি বিভাগের ল্যাবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ল্যাব সহকারীর সহযোগিতায় গভীর রাত পর্যন্ত প্রায় ১০০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া বিধি মেনে প্রতিটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বোতলে ৫০ মি. লি. স্যানিটাইজার মিশ্রণ সরবরাহ করে এর নামমাত্র শুভেচ্ছা মূল্য ধরা হয়েছে ২৫ টাকা, যা বাজারের যেকোনো কোম্পানির স্যানিটাইজার পণ্যের তুলনায় অনেক কম। এসব প্রস্তুতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিভাগটির শিক্ষকবৃন্দ। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছে।

    এর আগে ১৫ মার্চ রাতেও বিভাগটি নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩০০টি হ্যান্ড সেনিটাইজার প্রস্তুত করেছিল। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হ্যান্ড সেনিটাইজারগুলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিতরণ করে তারা।

    প্রস্তুতকৃত এই স্যানিটাইজার ব্যাবহারে করোনাভাইরাসসহ যেকোনো ধরনের ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব বলে জানিয়ে ফার্মেসি বিভাগের প্রধান সৈয়দ কৌশিক আহমেদ বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম বৃদ্ধি করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। ফার্মেসি হেলথ রিলেটেড সাবজেক্ট হওয়ায় দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে জনস্বার্থে আমরা স্বল্পমূল্যের স্যানিটাইজার প্রস্তুত করেছি। প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা পেলে আরও বৃহৎ পরিসরে স্যানিটাইজার তৈরি সম্ভব হবে।

  • উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার নতুন শপথ নিচ্ছি: কাদের

    উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার নতুন শপথ নিচ্ছি: কাদের

    আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলে মুজিববর্ষে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আমরা আজ নতুন করে শপথ নিচ্ছি- উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার।’

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নস্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    কাদের বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল তারা রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। আরও এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এসে আমরা নতুন করে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা কায়েম করবই।’

    এ সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং সততায় বলিয়ান হয়ে শক্তিশালী দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

    এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর তিনি কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রথমবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, পরে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

  • শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু, মুজিববর্ষের শুরু

    শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু, মুজিববর্ষের শুরু

    মুক্তির মহানায়ক’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন আজ মঙ্গলবার (১৭ মার্চ)।

    অপেক্ষার প্রহর শেষে এসেছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর সেই শুভক্ষণ। বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আজ এক শ বছরে পা দিতেন। তিনি বেঁচে নেই, তবে সময়ের ঘড়ি ঠিক ঠিক জানান দিচ্ছে কাল পরিক্রমায় এই দিনেই জন্ম হয়েছিল বাঙালি জাতির সহস্র বছরের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মানব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। সেই শুভক্ষণ থেকেই শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী পালনের সব আয়োজন।

    বছরব্যাপী এই উৎসবের অনুষ্ঠান শেষ হবে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ। তার জন্মদিনকে স্মরণ করে জন্মশতবার্ষিকীতে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হবে তার জন্মক্ষণ ১৭ মার্চ মঙ্গলবার রাত ৮টায়। মঙ্গলবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আতশবাজির মাধ্যমে শুরু হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পিক্সেল শোয়ের মাধ্যমে শেষ হবে এ অনুষ্ঠান।

    মূলত টেলিভিশনের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে ‘মুক্তির মহানায়ক’।

    সোমবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটির সদস্যসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন। বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা তার অনুভূতি প্রকাশ করবেন। এরপর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শেখ রেহানার লেখা কবিতা প্রধানমন্ত্রীর আবৃত্তিতে প্রচার করা হবে। বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থার প্রধানদের বাণীও প্রচার করা হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।

    অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে থিম সং, যন্ত্র সঙ্গীত, শত শিশুর কণ্ঠে সঙ্গীত। অনুষ্ঠান শুরু করা হবে শিশুদের কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে।

    বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে এবং বাংলাদেশেও এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ায় আগে থেকে নির্ধারিত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে পরিবর্তন এনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সব গণমাধ্যমে সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আমন্ত্রিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সফরও বাতিল করা হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়।

    উল্লেখ্য, একশ বছর আগে আজকের এই দিনে (১৯২০ সালের ১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অর্থাৎ ইতিহাসের এই দিনে শতবর্ষে বাঙালির মহানায়ক। সেখান থেকে উঠে আসা শেখ মুজিব দীর্ঘ সংগ্রাম জেল জুলুমের মধ্য দিয়ে পর্যায়ক্রমে বাঙালি জাতির নেতা, স্বাধীনতার স্থপতি ও মহানায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। কৃতজ্ঞ জাতির পক্ষ থেকে উপাধি পেয়েছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু’।

    ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় শেখ মুজিব ছিলেন তরুণ ছাত্রনেতা। পরবর্তীকালে তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। সমাজতন্ত্রের সমর্থনকারী একজন অধিবক্তা হিসেবে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগোষ্ঠীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। জনগণের স্বাধীকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি একসময় ছয় দফা স্বায়ত্ত্বশাসন পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন। তারই নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য উদ্বুদ্ধ হয় বাংলাদেশের জনগণ। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় তাকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা তাকে সপরিবারে হত্যা করে।

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটির সদস্যসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা অধীর আগ্রহে মুজিববর্ষের সূচনার জন্য অপেক্ষা করে আছি। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আমরা উদ্‌যাপন কমিটি থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি। তৃণমূল পর্যায় থেকে সারা দেশে এবং দেশের বাইরে বছরব্যাপী এসব অনুষ্ঠান পালন করা হবে।

    তিনি বলেন, বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জাতীয় কমিটির সভায় স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য পুরো অনুষ্ঠান প্রক্রিয়া পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। জনসমাগম এড়ানোর জন্য জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। তবে রেকর্ড বিভিন্ন অনুষ্ঠান সব টেলিভিশন, অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় একযোগে প্রচার করা হবে।

    তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৭ মার্চ রাত ৮টায়। সেই সময়ে আতশবাজির অনুষ্ঠান টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আমরা আশা করি দেশের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ পর্যন্ত এ অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবেন। সরাসরি সম্প্রচারের কারণে সারা বিশ্বের মানুষ এটি উপভোগ করতে পারবেন। রাত ৮টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশাপাশি ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে একযোগে দেশব্যাপী আতশবাজির অনুষ্ঠান পালিত হবে। এরপর রাত ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় পিক্সেল ম্যাপিং প্রদর্শনের মাধ্যমে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হবে।

  • “করোনার” কারণে সীমিত করা হয়েছে মুজিববর্ষের আয়োজন

    “করোনার” কারণে সীমিত করা হয়েছে মুজিববর্ষের আয়োজন

    বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে মুজিব বর্ষের ১৭ মার্চের মূল আয়োজন সীমিত করা হয়েছে। যতোটা সম্ভব জনসমাগম পরিহার করে উদযাপন চলবে দেশব্যাপী। অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে।

    রোববার (৮ মার্চ) রাতের রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল অবদুল নাসের চৌধুরী।

    এর আগে সন্ধ্যায় গণভবনে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক হয়। জাতীয় কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানার উপস্থিতিতে সেই সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল অবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে যে বিশ্ব পরিস্থিতি সেটিকে বিবেচনায় এনে, আপনারা জানেন জননেত্রী শেখ হাসিনা জনস্বাস্থ্যের বিষয়টাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন, জনকল্যাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বলেছেন যে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে জনগণ যাতে কষ্ট না পায়। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেছেন।

    তিনি বলেন, জনসমাগম পরিহার করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলবে। আমরা বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা তৈরি করেছি। ১৭ মার্চের যে অনুষ্ঠান এবং সারাদেশে যে অনুষ্ঠানগুলো হবে সেগুলোতে বড় ধরণের জনসমাগম পরিহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
    তবে সীমিত আকারে অন্যান্য যে কর্মসূচিগুলো আছে তা চলবে।

    এর আগে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত তিনজনের দেহে নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েছে রোববার৷ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর এই তথ্য জানিয়েছে৷

    রোববার আইইডিসিআরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান৷ আক্রান্তদের মধ্যে দুজন সম্প্রতি ইটালি থেকে ফিরেছেন৷ পরবর্তীতে তাদের একজনের সংস্পর্শে পরিবারের আরেক সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।  আক্রান্তদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে৷

    তিনজনই বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা৷

    তিনি বলেন, ‘‘দুইজন দেশে আসার পর তাদের উপসর্গ দেখা দেয়। আমাদের হটলাইনে ফোন দিলে আমরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠাই। সেখানে দুইজনের পজেটিভ আসে।”

    তাদের সংস্পর্শে আসা মোট চারজনকে পরীক্ষা করা হয়েছে৷ এরমধ্যে একজন ছাড়া বাকিদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েনি৷ তবে ফ্লোরা জানান, ‘‘এই মুহুর্তে রোগী এবং তাদের সংস্পর্শে যারা ছিল তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখেছি। তাদের পুরো কন্টাক্টের তালিকা আমাদের কাছে আছে। আমরা মনে করি না, আলাদা করে কোনো ব্যবস্থা নিতে হবে৷”

  • ১৭ মার্চে আসছেন না মোদিসহ বিদেশি অতিথিরা

    ১৭ মার্চে আসছেন না মোদিসহ বিদেশি অতিথিরা

    দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের  কারণে জনসমাগম এড়িয়ে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জনসমাগম হবে এমন অনুষ্ঠানগুলো আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুজিব বর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এতে ১৭ মার্চের প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানটি বাতিল হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরা আসছেন না।

    রোববার (৮ মার্চ) রাতে আন্তর্জাতিক ভাষা ইনস্টিটিউটে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

    প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব বলেন, ‘বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ১৭ মার্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে দেশে করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানটি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। কারণ বঙ্গবন্ধু জনগণের কষ্ট লাঘব করতে চেয়েছেন তাই জনকল্যাণে জনগণের কষ্ট পরিহার করতে এবং জনগণের স্বাস্থ্যের প্রতি বিবেচনায় রেখে সামগ্রিক প্রোগ্রামটি পুনর্বিন্যাস করা হয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে জনসমাগম পরিহার করা হবে। তবে ১৭ মার্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলবে। যার আওতায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা এবং পরবর্তীতে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানানো হবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে দোয়া মাহফিল চলবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান চলবে। স্মারক ডাকটিকিট মুদ্রা এবং প্রকাশনা প্রকাশ করা হবে। তবে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠানটি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। কবে নাগাদ প্যারেড স্কয়ারের প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠানটি হবে তার পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ বিদেশি অতিথিদের আসার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে এই বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানটি বাতিল হয়েছে।’

    রোববার রাজধানীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে ৩ জন করোনায় আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করা হয়। এরপর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটি এবং জাতীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।

  • মুজিব বর্ষে একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

    মুজিব বর্ষে একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে দেশের কোনো মানুষ যেন ভূমিহীন ও গৃহহীন না থাকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রত্যেক নেতাকর্মীকে একটি করে ঘর করে দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। কেউ সামর্থ্যবান না হলে বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজে অর্থ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

    আজ শনিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই মুজিব বর্ষে একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না। সেখানে আমি অনুরোধ করবো, এতো নেতাকর্মী, এতো আদর্শের সৈনিক, নিজ গ্রামে, নিজেরা খোঁজ নিন, কয়টা মানুষ গৃহহীন। আপনারা খরচ না করতে পারলে আমি খরচ দেব। আপনারা একটি করে ঘরে করে দিন। এটাই আমার একান্ত দাবি। মুজিব বর্ষে বাংলার মাটিতে কোনো মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে সেটা হতে পারে না।’

    বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ভাষণের নানা তাৎপর্য তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘একটা সময় এই ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ ছিল। যে বয়সে এই ভাষণটা শুনলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হতো, অনেক বছর চলে গেছে তারা সেই ভাষণের তাৎপর্যটা জানতেই পারেনি, বুঝতে পারেনি। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা আবার সেই ভাষণ বাজানোর ব্যবস্থা করি।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দলের সব নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ জানাই, তারা অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ২১ বছর এই ভাষণ বাজিয়েছেন। জিয়া, এরশাদ, খালেদা সবাই বাধা দিয়েছে, তবুও জাতির পিতার আদর্শের সৈনিকরা সব বাধা অতিক্রম করে এই ভাষণ বাজিয়েছেন। যারা শুনেছেন তারাই বুঝেছেন কী অমূল্য সম্পদ এই ভাষণ।’

    বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে জানিয়েছে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো এক মেজর বাঁশিতে ফুঁ দিয়েছিল আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেল, কী ইতিহাস বিকৃতি! সে নিজেই সরকারের অধীনে চাকরি করতো ৪০০ টাকা বেতনে। তারা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু সত্যকে কেউ মুছে ফেলতে পারে না। জাতির পিতা ভাষণে বলে গেছেন, সাত কোটি মানুষকে ধাবায়ে রাখতে পারবা না। তারাও পারেনি। এখন এই ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, এটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল। আড়াই হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ।’

  • খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোনো বর্ষই সফল হবে না: ফখরুল

    খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোনো বর্ষই সফল হবে না: ফখরুল

    বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোনো বর্ষই সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    তিনি বলেন, ‘৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কারাবরণ করেছেন। গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ নয় বছর সংগ্রাম করেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এখন জেলে আছেন, তাকে কারাগারে রেখে কোনো বর্ষই সফল হবে না।’

    শনিবার (৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা-১০ আসনে বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবিসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালনের অনুষ্ঠানে ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকায় আসছেন। তার সঙ্গে বিএনপির কোনো বৈঠক হবে কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি।’

    মোদীর আগমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আগেই পরিষ্কার করে বলেছি, আজকে বাংলাদেশের যে অবস্থা, ভারতের এনআরসি নিয়ে দাঙ্গা হয়ে গেলো, সেটার যে প্রভাব এখানে পড়েছে, তাতে তার (মোদীর) এখানে আসাটা কতটুকু সমীচীন এটা তারাই বিচার করবেন।

    ‘বিএনপি সিরিয়াসলি নির্বাচনে অংশ নেয় না, তারা নির্বাচনে অংশ নেয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য’ আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগতো কত কথাই বলবে। তারাতো জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া, ভোট ছাড়া, শুধু অস্ত্র দিয়ে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। স্বাভাবিকভাবেই তারা এ ধরণের কথাবার্তা বলবে, যাতে করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ হয়। কিন্তু সেটাতে তারা সফল হয়নি। আমরা এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি কারণ আমরা বিশ্বাস করি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়। আমরা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি বলেই আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।

    তিনি আরও বলেন, আগেও বলেছি এই নির্বাচনটা গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলনের অংশ। আমরা এই নির্বাচনে অত্যন্ত সিরিয়াস। প্রত্যেকটি নির্বাচনেই আমরা সিরিয়াসলি অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এই সরকার জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। জনগণ তাদের সহ্য করে না। তারা জোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নির্বাচনকে তারা তাদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করে। সেটার প্রতিবাদ করার জন্য ও প্রতিরোধ করার জন্য আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। অতএব তাদের যে যুক্তি সেটা কোনোদিনই গ্রহণযোগ্য নয়।

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র। এটাকে কেন্দ্র করেই দীর্ঘকাল ধরে স্বাধীনতার দাবি উঠেছে, স্বাধীনকারের সংগ্রাম হয়েছে। সুতরাং একজন ব্যক্তি বা একটা গোষ্ঠি-একটা দল স্বাধীনতার দাবিদার হতে পারে না। সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ সুদীর্ঘ সময় ধরে স্বাধীনতার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছে। তারই ফলে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। আমরা স্বাধীন হয়েছি।

    সরকারের পক্ষ থেকে দল মত নির্বিশিষে সবাইকে নিয়ে মুজিববর্ষ পালনের কথা বলা হচ্ছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা একটা মকারি প্রহসন। কারণ বেগম জিয়া যিনি গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। গণন্ত্রের জন্য দীর্ঘ নয় বছর সংগ্রাম করেছেন। তাকে কারাগারে রেখে কোনো বর্ষই সফল হবে না।

    ঢাকা-১০ আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবির বিষয়ে মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রার্থী গণতান্ত্রিক সংগ্রামের একজন নেতা। তিনি ছাত্র রাজনীতি করেছেন, দীর্ঘকাল রাজনীতি করছেন। এলাকায় তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয় নেতা। আমি বিশ্বাস করি তিনি মেধাবী ছেলে নিজের মেধা প্রমাণ করে জনগণের ভোটে জয়ী হতে পারবেন।

    এ সময় ঢাকা-১০ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুনসী বজলুল বাসিত আঞ্জু, দক্ষিণের সহসভাপতি নবী উল্লা নবী, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • ১৮ মার্চ বাজারে আসছে ২০০ টাকার নোট

    ১৮ মার্চ বাজারে আসছে ২০০ টাকার নোট

    বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বাজারে আসছে স্মারক মুদ্রা ও নোট। ১০০ টাকা মূল্যমান স্মারক নোট, প্রথমবারের মত ২০০ টাকা মূল্যমান প্রচলনযোগ্য স্মারক ব্যাংক নোট, ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের স্বর্ণ ও রৌপ্য স্মারক মুদ্রা ছাড়া হবে।

    আগামী ১৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসসহ অন্যান্য শাখা অফিসে পাওয়া যাবে এ স্মারক নোট।

    বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স থেকে এ সংক্রান্ত একাটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

    ১০০ ভাগ কটন কাগজে মুদ্রিত এবং ইউভি কিউরিং ভার্নিশযুক্ত গভর্নর ফজলে কবির স্বাক্ষরিত ২০০ টাকা মূল্যমান স্মারক ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৬ মিমি/৬৩ মিমি। স্মারক ব্যাংক নোটটির সম্মুখভাগের বামপাশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে নোটের মূল্যমান ‘২০০’ ও ‘২০০’ ডিজাইন হিসেবে মুদ্রিত রয়েছে।

    স্মারক মুদ্রা

    এছাড়া, নোটের উপরের অংশে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবর্ষ ‘১৯২০-২০২০’, উপরে ডানদিকে কোনায় ইংরেজিতে মূল্যমান ‘২০০’ ও ডানদিকে নিচে কোনায় বাংলায় মূল্যমান ‘২০০’ লেখা রয়েছে। নোটের পেছনভাগে ডানদিকে গ্রাম বাংলার বহমান নদী ও নদীর পাড়ের দৃশ্য (নদীর বুকে নৌকা, পাড়ে পাটক্ষেত ও নৌকায় পাট বোঝাইয়ের দৃশ্য) এবং এর বামপাশে বঙ্গবন্ধুর যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ের একটি ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটের উপরিভাগে ইংরেজিতে ‘Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Centenary 1920-2020’ এবং নিচে বামদিকে কোনায় ‘Birth Centenary’ লেখা রয়েছে। নোটের উপরে বামকোণে বাংলায় মূল্যমান ‘২০০’ ও ডানকোণে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রা ‘ এবং নিচে ডানদিকে কোণে ইংরেজিতে মূল্যমান ‘২০০’ লেখা রয়েছে।

    ১০০ টাকা মূল্যমান স্মারক নোটটির জন্য পৃথকভাবে বাংলা ও ইংরেজি লিটারেচার সম্বলিত ফোল্ডার প্রস্তুত করা হয়েছে। ফোল্ডার ছাড়া শুধুমাত্র খামসহ স্মারক নোটটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা এবং ফোল্ডার ও খামসহ স্মারক নোটটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। এছাড়া স্বর্ণ স্মারক মুদ্রাটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে স্মারক বাক্সসহ ৫৩ হাজার টাকা এবং রৌপ্য স্মারক মুদ্রাটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে স্মারক বাক্সসহ তিন হাজার ৫০০ টাকা।

  • মুজিবশতবর্ষ উদযাপনে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের প্রস্তুতি সভা

    মুজিবশতবর্ষ উদযাপনে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের প্রস্তুতি সভা

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ে মুজিবশতবর্ষ উদযাপনে আলোচনা সবা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের অয়োজনে বুধবার (৪ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহ: সাদেক কুরাইশী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নুর কুতুবুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিনুল ইসলাম, সম্বিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক বদরুদ্দোজা বদর, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মনতোষ কুমার দে প্রমুখ।

    সভায় আগামী ১৭ মার্চ ভোরে ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মুজিবশতবর্ষ উদযাপনের কর্মসূচী শুরু ,জেলা পরিষদ ডাক বাংলোয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন সহ অন্যান্য কর্মসূচী পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।