Tag: মুশফিকুর রহিম

  • ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৬৭ নম্বর পাওয়া ফল বিক্রেতার মেয়ে তাইরিনার পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন মুশফিক

    ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৬৭ নম্বর পাওয়া ফল বিক্রেতার মেয়ে তাইরিনার পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন মুশফিক

    স্পোর্টস ডেস্ক : আরেকবার মানবিকতার পরিচয় দিলেন বাংলদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।

    নিজ শহর বগুড়া থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় রেকর্ড ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৬৭ নম্বর পাওয়া ফল বিক্রেতার মেয়ে তাইরিনা সাবরিন তোরার পড়ালেখার সব দায়িত্ব নিয়েছেন বগুড়ার সন্তান টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ক।

    মুশফিকের পক্ষ থেকে শনিবার তোরার হাতে বই, পোশাক ও ভর্তির খরচের টাকা তুলে দেন চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎস পরিষদ (স্বাচিব) বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি বিশিষ্ট সমাজকর্মী ডা.শামির হোসেন মিশু ও মিতুর সহপাঠী স্বেচ্ছাসেবী মাসুদুর রহমান বাপ্পী।

    দুপুরে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে (ভিএম) এই অর্থ প্রদান করা হয়। এ সময় তাইরিন সাবরিনা তোরার স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন এবং তোরা বাবা তোয়ায়েল আহম্মেদ ও মা শামিমা আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুশফিকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাসুদুর রহমান বাপ্পী।

    শনিবার (১৩ জুন) ফেইবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি জানান, গত ৮ জুন দুপুরে মুশফিক তাকে ফোন করে। বিভিন্ন কথার মাঝে একটি খবরের কথা জানিয়ে বলে, এই বিষয়ে তাকে আগে কেন জানানো হয়নি।

    খবরটি ছিল এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ১৩০০ নম্বরের মাঝে ১২৬৭ নম্বর পেয়ে বগুড়া জেলার ভেতর রেকর্ড নাম্বার পেয়ে পাস করেছে তোরা। সেখানে তোরার পারিবারিক অস্বচ্ছলতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছিল।বাপ্পী আরো জানান, মুশফিক নিজেই তোরার স্কুলের (বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) প্রধান শিক্ষিকা ও বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পড়ালেখার যাবতীয় খরচ একাই বহন করবে বলে জানিয়ে দিতে বলেন। প্রাথমিকভাবে কলেজে ভর্তি, পোষাক আর বইয়ের জন্য কিছু অর্থ পাঠিয়ে দেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। শনিবার তোরার হাতে এই টাকা তুলে দেন বাপ্পী ও সামীর হোসেন মিশু।

    এছাড়া তোরাকে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেয়া হয়েছে। কলেজ শুরু হলে সেখানে প্রতিমাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বৃত্তি হিসেবে দেবেন মুশফিক, যা দিয়ে অনায়াসে তোরা লেখাপড়ার খরচ বহন করতে পারবে। ভবিষ্যতে ফরম ফিল-আপ ও রেজিষ্ট্রেশন ফি’র জন্যেও আলাদা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন মুশফিক।শুধু ক্রিকেটার হিসেবেই নন, মানুষ হিসেবেও যে মুশফিক বড় মনের একজন মানুষ তার প্রমাণ আরো একবার দিলেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ১৭ লাখ টাকায় মুশফিকের ব্যাট কিনলেন আফ্রিদি

    ১৭ লাখ টাকায় মুশফিকের ব্যাট কিনলেন আফ্রিদি

    বাংলাদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের কারণে ভাইরাসের গতিরোধ করা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজন বড় অঙ্কের অর্থ সহায়তা।

    সেই ভাবনা থেকেই নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাট নিলামে তুলেছিলেন মুশফিকুর রহিম। জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালে ২০১৩ সালে দেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন মুশফিক। গল টেস্টের সেই ইনিংসে মুশফিক যে ব্যাট দিয়ে কিনেছিলেন, তা তোলা হয়েছিল নিলামে। সেই ব্যাট কিনে নিয়েছে পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির গড়া শহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন।

    ভুয়া বিডিংয়ের কারণে কিছুটা ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হলেও ব্যাটটির নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ১৭ লাখ (১৬ লাখ ৮০ হাজার) টাকায় ব্যাটটি বিক্রি হয়েছে নিলামে, যার ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছিল ৬ লাখ টাকা। গত ১০ মে রাতে মুশফিকের ব্যাটের নিলাম শুরু হয়। ব্যাট বিক্রির পুরো অর্থই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কাজে খরচ করা হবে।

    ২০১৩ সালে গল টেস্টে ঐতিহাসিক এক কীর্তি করে বসেছিলেন মুশফিকুর রহিম। দেশের ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এরপর তিনি হাঁকিয়েছেন আরও একটি ডাবল সেঞ্চুরি। কিন্তু গলের সেই ২০০ রানের ইনিংস স্বভাবতই বিশেষ কিছু হয়ে আছে। বিশেষ কিছু হয়ে আছে সেই ব্যাটটিও, যে ব্যাট দিয়ে ২০০ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন মুশফিক। প্রিয় ও ঐতিহাসিক সেই ব্যাটটিই তিনি তোলেন নিলামে।

    যদিও ভুয়া বিডিংয়ে নিলাম একপর্যায়ে স্থগিত করা হয়। নিলাম শুরুর পরপরই চড়া মূল্য হাঁকাচ্ছিলেন বেনামী ভুয়া বিডাররা। সংশোধিত তথ্য হালনাগাদের পর আবারো বেনামী ও নীল সিনেমার তারকাদের নামধারী বিডাররা দর হাঁকাতে থাকেন। এতে ব্যাটের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ব্যাটের নিলাম স্থগিত করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা’য় অসহায়দের সেবায় নিজের প্রিয় দ্বিশতক ব্যাট নিলামে তুললেন মুশফিক

    করোনা’য় অসহায়দের সেবায় নিজের প্রিয় দ্বিশতক ব্যাট নিলামে তুললেন মুশফিক

    ২৪ ঘণ্টা ক্রীড়া ডেস্ক || প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে লকডাউনে ঘরবন্দি দেশের অসহায় মানুষের পাশে এবার বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।

    করোনা পরিস্থিতিতে কাজ না থাকায় অসহায় হয়ে পড়া খেটে খাওয়া মানুষগুলোর পাশে দাড়িয়েছেন বাংলাদেশের উইকেট রক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।

    এবার নিজের প্রিয় ও ঐতিহাসিক দ্বিশতক হাঁকানো সেই ব্যাটটি নিলামে তুলতে যাচ্ছেন তিনি। নিলাম থেকে পাওয়া অর্থ তিনি অসহায়-দুস্থদের সহায়তায় ব্যয় করবেন।

    ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাটের নিলামে ভালো সাড়া পেলে, দুস্থদের সহায়তায় আরো কিছু স্মারক নিলামে তুলবেন মুশফিকুর রহিম।

    বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যান ধরা হয় এ মুশফিকুর রহিমকে। দেশের টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিও এসেছিল তার ব্যাট থেকে। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে তিনি লিখেছিলেন সেই ইতিহাস।

    এরপর আরো দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক। কিন্তু প্রথম দ্বিশতক হাকানো ব্যাটটি বরাবরই তাঁর প্রিয়। অসহায়দের জন্য কিছু করার প্রত্যয়ে এবার তার সে প্রিয় ব্যাটটি নিলামে তুলনেন।

    এর আগেও জাতীয় দলের অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিজের বেতনের অর্ধেকটা অনুদান তহবিলে জমা দিয়েছিলেন মুশফিক। এছাড়া বগুড়ায় স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ২০০ পিপিই, ২০০ গ্লাভস ও ২০০ মাস্কও পাঠান তিনি।

    মুশফিক ছাড়াও করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন এবং মাশরাফীর নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন।

    মানবতার জয়গান তুলে সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন ড্যাশিং ওপেনার দলনায়ক তামিম ইকবা।

    ২৪ ঘণ্টা/ রাজীব প্রিন্স

  • মুশফিক-মমিনুল-নাঈমে মিরপুর টেস্ট বাংলাদেশের দখলে

    মুশফিক-মমিনুল-নাঈমে মিরপুর টেস্ট বাংলাদেশের দখলে

    মিরপুরে একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে। ম্যাচের তৃতীয় দিনে মুমিনুল হকের শতকের সাথে মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরির পর নাঈম হাসানের স্পিন বিষে চালকের আসে স্বাগতিকরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৮৬ রানে লিড নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ দল।

    মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে গুঁটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। পরে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। তৃতীয় দিনে আজ (সোমবার) মুমিনুল ৭৯ এবং মুশফিক ৩২ রান নিয়ে আবার ব্যাট করতে নামেন।

    দিনের শুরুর দিকেই ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। ১৫৬ বলে ক্যারিয়ারের নবম এবং অধিনায়ক হিসেবে প্রথম শতক পূরণ করা বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান ১২টি চার হাঁকান। ৩৫২ রানে লাঞ্চ বিরতিয় যায় বাংলাদেশ। দুপুরের খাবার সেরে এসে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুশফিকও। ১০০ রানের কোটা পূরণ করতে ১৬০টি বল ব্যবহার করেন তিনি।

    এরপর খানিক ছন্দপতন হয় বাংলাদেশ শিবিরে। ১৩২ রানে থাকা মুমিনুল আউট হলে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে দুজনের ২২২ রানের পার্টনারশিপ। খানিক পর মিঠুনও ১৭ রান করে ফিরে গেলে মুশফিককে সঙ্গ দেন লিটস দাস। টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করা লিটন নিজের অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ৯৩ বলে।

    ফিফটির স্বাদ পাওয়া লিটন ৫৩ রানে সাজঘরে ফেরার পর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসবে টেস্টে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। একই সাথে তামিম ইকবালকে টপকে বাংলাদেশের হয়ে এ ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান।

    মুশফিকের দ্বিশতকের পর ৬ উইকেটে দলীয় ৫৬০ রানে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ দল। যেখানে মুশফিক ২০৩ এবং তাইজুল অপরাজিত থাকেন ১৩ রান নিয়ে।

    শেষ বিকেলে বাংলাদেশ থেকে ২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং নামে জিম্বাবুয়ে। যেখানে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সফরকারী শিবিরে আঘাত হানেন টাইগার স্পিনার নাঈম হাসান। শূন্য রানে ফেরান ওপেনার মাসভাউরেকে। পরের বলেই নাঈমের শিকার নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাট করতে নামা টিরিপানো।

    পরে দলকে আর কোনো বিপদ হতে না দিয়ে ৯ রানে দিনের খেলা শেষ করে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ থেকে ২৮৬ রান পিছিয়ে কাসুজা ৮ এবং টেলর ১ রান নিয়ে আগামীকাল ম্যাচের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    জিম্বাবুয়ে: প্রথম ইনিংস- ২৬৫/১০
    আরভিন ১০৭, মাসভাউর ৬৪, চাকাভা ৩০; নাঈম ৪/৭০, রাহী ৪/৭১, তাইজুল ২/৯০।

    দ্বিতীয় ইনিংস- ৯/২
    কাসুজা ৮*, টেলর ১*; নাঈম ৪/২।

    বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস ৫৬০/৬ ডিক্লেয়ার
    মুশফিক ২০৩*, মুমিনুল ১৩২, শান্ত ৭১; লোভু ২/১৭০, তাসুমা ১/৮৫।

  • মুশফিক-মিরাজ ঝড়ে কুমিল্লাকে বিদায় করে প্লে-অফে খুলনা

    মুশফিক-মিরাজ ঝড়ে কুমিল্লাকে বিদায় করে প্লে-অফে খুলনা

    বিপিএলের চলতি আসরে নিজেদের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আজ খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এই ম্যাচ হেরে এবারের বিপিএল পর্ব শেষ হলো কুমিল্লার। তবে ৯২ রানে ম্যাচ জিতে প্লে-অফ নিশ্চিত করলেও মাত্র ২ রানের আক্ষেপে পুড়তে হলো টাইগার্স দলপতি মুশফিকুর রহিমকে।

    এদিন শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করত নামে খুলনা। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করত এসে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ইরফান হোসেনের বলে আউট হয়েছেন ১ রান করে। এরপর নিজ ব্যাটে ঝড় তুললেও তা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি রাইলি রুশো। ১১ বলে ৩টি ছয়ের মারে করেন ২৪ রান।

    এরপরের গল্পটা কেবলি মুশফিক আর মেহেদী হাসান মিরাজের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে কুমিল্লার বোলারদের নাস্তানুবাদ করে ছাড়েন দুজন। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে মিরপুরের ভরা গ্যালারীকে আনন্দে ভাসান এ দুই ক্রিকেটার। শুরুতে মাত্র ৩৩ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন মিরাজ। খানিক পর একই পথে হাঁটেন মুশফিকও। ফিফটি পূরণ করতে মুশফিকের লাগে ৩৮ বল।

    তবে বিপত্তি বাঁধে ইনিংসের ১৯তম ওভারে। ৭৪ রানে থাকা মিরাজকে ফিরতে হয় পেশিতে টান পেয়ে। মিরাজের সুযোগ না থাকলেও মস্ত বড় সুযোগ পেয়েছিলেন মুশফিক। তবে আজও সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া হয়নি তার।

    শেষপর্যন্ত মাত্র ৫৭ বলে ৯৮ রানে অপরাজি থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। ততক্ষণে রান পাহাড়ে চেপে বসেছে খুলনা টাইগার্স। ২০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে জমা করে ২১৮ রান।

    হারলেই বিদায় নিশ্চিত। এমন সমীকরণ নিয়ে ব্যাট করতে নেমেও সুবিধা করতে পারেনি কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ইনিংসের শুরুর ওভারে কোন রান না করে ফেরেন সাব্বির রহমান। পরে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৪১ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। যার দুইটা শিকার করেন শহিদুল ইসলাম, একটা মোহাম্মদ আমিরের।

    এরপর কুমিল্লার হাল ধরার চেষ্টা করেন উপুল থারাঙ্গা ও সৌম্য সররকার। তবে চতুর্থ উইকেটে ২৮ রানের বেশি যোগ কর‍তে পারেননি দুজন। যেখানে আউট হওয়ার আগে থারাঙ্গার ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। খানিক পর আমিরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সৌম্য ফেরেন ১০ রান করে।

    পরে ইয়াসির আলী ২০ ও ফারদীন ২২ রান ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান সুবিধা করতে না পারলে মাত্র ১২৬ রানে থামে কুমিল্লার ওয়ারিয়র্সের ইনিংস। ফলে ৯২ রানের জয়ে চতুর্থ ও শেষ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করে খুলনা টাইগার্স। এই ম্যাচ হারের ফলে ১২ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ করলো কুমিল্লা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    খুলনা টাইগার্স: ২১৮/২ (২০ ওভার)
    মুশফিক ৯৮*, মিরাজ ৭৪, রুশো ২৪; মুজিব ১/১৮, ইরফান ১/৩৮

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১২৬/৯ (২০ ওভার)
    থারাঙ্গা ৩২, ইয়াসির ২০, ফারদীন ২২; শহিদুল ৩/২৮, বিপ্লব ২/১৯, আমির ২/২৪।

    ফল: খুলনা ৯২ রানে জয়ী।

  • মুশফিকের ব্যাটে রাজশাহীর দুর্দান্ত জয়

    মুশফিকের ব্যাটে রাজশাহীর দুর্দান্ত জয়

    চলতি বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনকে টপকে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দলগতভাবে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ পায় রাজশাহী রয়্যালস। তবে সেটা পর্যাপ্ত হলো না জয়ের জন্য। মুশফিকুর রহিমের ৯৬ রানের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। এতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল দলটি।

    ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে খুলনার সামনে ১৯০ রানের লক্ষ্যে ছুঁড়ে দেয় রাজশাহী। পাহাড়সম এই রান টপকাতে নেমে শুরুতেই খালি হাতে ফিরে যান ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। খানিক বাদে একই পথের সারথি হন আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো রহমতউল্লাহ গুরবাজ। এরপর রুশোকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন অধিনায়ক মুশফিক। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৭২ রান। ৪২ রানে থাকা রুশোকে ফিরিয়ে এই পার্টনারশিপ ভাঙেন রাব্বি।

    সেখান থেকে শামসুর রহমানকে নিয়ে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন মুশফিক। মাঝে মাত্র ৩০ বলে তুলে নেন নিজের অর্ধশতক। পরে শামসুর ২৯ রানে বিদায় নিলেও জয় পেতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি খুলনাকে। শেষদিকে মুশফিকের ৯৬ রানের কল্যাণে ৫ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা টাইগার্স। ৫১ বলের ইনিংসটি মুশফিক সাজিয়েছেন ৯টা চার ও ৪টা ছয়ের সাহায্যে।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী। দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন লিটন দাস ও হযরতউল্লাহ জাজাই। তবে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি এই দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় ২৬ রানের মাথায় সাজঘরের পথ ধরেন তারা। এরপর আফিফ হোসেনও ১৯ রান করে আউট হলে রাজশাহীর হয়ে দলের হাল ধরেন শোয়েব মালিক এবং রবি বোপারা। এরই এক ফাঁকে মাত্র ৩৫ বলে নিজের অর্ধশতকটা তুলে নেন মালিক। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এটি মালিকের ৫৫তম ফিফটি।

    পঞ্চাশ রানের কোটা পার করার পর আরো বেশি আগ্রাসী হয়ে যান পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার। লেগ স্পিনার বিপ্লবের করা দলীয় ১৬তম ওভারেই ৩টা ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে ইনিংসের শেষে দিকে এসে খানিক আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মালিককে। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে থাকতে আমিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। ৫০ বলে মালিকের ৮৭ রানের সাথে ২৬ বলে বোপারার অপরাজিত ৪০ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৮৯ রানের সংগ্রহ পায় রাজশাহী রয়্যালস।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৮৯/৪ (২০ ওভার)
    মালিক ৮৭, বোপারা ৪০*, লিটন ১৯; আমির ২/৩৬, ফ্রাইলিঙ্ক ১/২৯ শহিদুল ১/৩৫।

    খুলনা টাইগার্স: ১৯২/৫ (১৯.৪ ওভার)
    মুশফিক ৯৬, রুশো ২৯, শামসুর ২৯; রাসেল ২/৪১, রাব্বি ১/১৮।

    ফলাফল: খুলনা ৫ উইকেটে জয়ী।

  • মুশফিকের ব্যাটে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

    মুশফিকের ব্যাটে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

    মুশফিকুরের ব্যাটে ভারতকে হারিয়ে দিল্লি জয় বাংলাদেশের। শেষ ৪ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২ রান। হোয়াইড করে বাংলাদেশের ঝুলিতে এক রান জুড়ে দেন শিবম দুবে। এরপর ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জেতান মাহমুদুল্লাহ। ৪৩ বলে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর। ভারতের ছুঁড়ে দেওয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রিয়াদ-মুশফিকরা জয় পেয়েছেন ৩ বল হাতে রেখেই। ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ।

    আজকের ম্যাচটি ছিল ইতিহাসের হাজারতম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, আবার অন্যদিকে দিল্লীর অতিমাত্রার দূষণ। একাধিক কারণে এই ম্যাচ ছিল আলোচনায়। আর আলোচিত সে ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

    দলে নেই সেরা দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। বিভিন্ন কারণে দেশের ক্রিকেটে বিগত কদিন ধরে অস্থিরতা। ছিল সংশয়, অস্বস্তি। এই এক জয়েই যেন সব অস্বস্তির মেঘ কেটে উঁকি দিয়েছে সূর্যের হাসি। ধীর উইকেটে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান জড়ো করে ভারত। রোহিত শর্মা দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিলেও প্রথম ওভারেই তাকে ফেরান শফিউল ইসলাম। অধিনায়কের বিদায়ের পর শিখর ধাওয়ান ও লোকেশ রাহুল প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের শিকার হয়ে রাহুল ফেরেন ব্যক্তিগত ১৫ রানে।

    এরপর ১৩ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ধাওয়ানকে সঙ্গ দেন শ্রেয়াস আইয়ার। তবে দলীয় ৭০ রানে তিনি বিপ্লবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ও ৯৫ রানে ধাওয়ান (৪২ বলে ৪১) রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।

    এরপর রিশাভ পান্টের ২৬ বলে করা ২৭ রানের ইনিংস ভারতকে সম্মানজনক সংগ্রহের পথে নিয়ে যায়। রিশাভ শফিউলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার পর ১ রান করা অভিষিক্ত শিভাম ডুবেকে ফেরান আফিফ হোসেন ধ্রুব। শেষদিকে ক্রুনাল পান্ডিয়ার ৮ বলে ১৫ ও ওয়াশিংটন সুন্দরের ৫ বলে ১৪ রানের ইনিংস দলীয় সংগ্রহ নিয়ে যায় ১৪৮ রানে।

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ বলে ৭ রান করে লিটন দাস দীপক চাহারের ডেলিভারিতে ফেরেন সাজঘরে। অভিষিক্ত নাইম শেখকে নিয়ে ওয়ান ডাউনে নামা সৌম্য সরকার প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে যান।

    তবে নাইমের ইনিংস থামে ২৮ বলে ২৬ রান করে। এরপর সৌম্য মুশফিকুর রহিমের সাথে দেখেশুনে খেলে গেলেও বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান উঠছিল না। ৩৫ বলের মোকাবেলায় ৩৯ রান করে সৌম্য বিদায় নিলে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

    ১৯তম ওভারে খলিল আহমেদের করা ওভারে ১৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এতে ম্যাচ হেলে যায় বাংলাদেশের দিকে। শেষদিকে জয়ের জন্য টাইগারদের প্রয়োজন ছিল ৪ রান।

    মুশফিক হাঁকান দুর্দান্ত অর্ধ-শতক। ৪৩ বলের মোকাবেলায় ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি, হাঁকান ৮টি চার ও ১টি ছক্কা। ৭ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ।

    টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ভারত: ১৪৮/৬ (২০ ওভার)
    ধাওয়ান ৪১, পান্ট ২৭, আইয়ার ২২, ক্রুনাল ১৫*
    বিপ্লব ২২/২, শফিউল ৩৬/২, আফিফ ১১/১

    বাংলাদেশ ১৫৪/৩ (১৯.৩ ওভার)
    মুশফিক ৬০*, সৌম্য ৩৯, নাইম ২৬, রিয়াদ ১৫
    চাহাল ২৪/১, চাহার ২৪/১, খলিল ৩৭/১

    ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।

     

  • সাকিবের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে:মাশরাফি

    সাকিবের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে:মাশরাফি

    এক বছর ক্রিকেট মাঠে দেখা যাবে না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা তারকা সাকিব আল হাসানকে।

    ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব তিনবার পেয়েও আইসিসি কিংবা বিসিবিকে জানান নি এই অলরাউন্ডার। এ কারণে আইসিসি দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে। যার মধ্যে আছে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। টানা এক বছর বাংলাদেশ অধিনায়ক থাকবেন না ক্রিকেট মাঠে। এমন খবরে অন্য অনেকের মতো হতাশ বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

    প্রিয় সতীর্থদের জন্য মন পুড়ছে মাশরাফির। ওয়ানডে অধিনায়ক মঙ্গলবার রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এনিয়ে লিখলেন আবেগঘন স্ট্যাটাস। যেখানে সতীর্থদের জন্য বিনিদ্র রাত কাটানোর কথাও বললেন ম্যাশ।

    ওয়ানডে অধিনায়ক লিখেছেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছরের সহযোদ্ধার আজকের ঘটনায় নিশ্চিতভাবেই কিছু বিনিদ্র রাত কাটবে আমার। তবে কিছুদিন পর এটা ভেবেও শান্তিতে ঘুমাতে পারব যে, তার নেতৃত্বেই ২০২৩ সালে আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলব। কারণ নামটি তো সাকিব আল হাসান…!!!’

    সব ধরণের ক্রিকেটে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিবের পাশে দাঁড়িয়েছেন তার আরেক সতীর্থ মুশফিকুর রহিমও। মাশরাফির মতো তারও বিশ্বাস আরও বেশি দাপট নিয়েই ফিরবেন প্রিয় সতীর্থ। মুশফিক তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আমরা ১৮ বছর ধরে এক সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলেছি। এটা খুবই দুঃখজনক তোমাকে (সাকিব) ছাড়া মাঠে নামতে হবে। আমি আশা করি, সাকিব বীরের মতো ফিরে আসবে। তোমার জন্য আমার এবং পুরো বাংলাদেশের সমর্থন থাকবে। শক্ত থাকো। ইনশা আল্লাহ।’

    সাকিব আল হাসানের নিজের কণ্ঠেও ফেরার প্রত্যয়। তিনি মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা শুনে মিরপুর বিসিবি কার্যালয়ে আসেন। বিমর্ষ এই মহাতারকা বলেন, ‘আমি শাস্তি মেনে নিয়েছি। সকল খেলোয়াড়ের মতো আমিও চাই ক্রিকেটটা দুর্নীতিমুক্ত থাকুক। তরুণদের উন্নয়নে আমি কাজ করব। আপনারা আমাকে যেভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন, সেভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাবেন, তাহলে আমি দ্রুত ক্রিকেটে ফিরে আসতে পারব।’

    সাকিবের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। এর চেয়ে বেশি মর্মান্তিক কিছু হতে পরে বলে আমার জানা নেই। কারণ আমি বহুবার বলেছি, দুজন খেলোয়াড়ের বিকল্প আমাদের নেই। একজন অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি, অন্যজন সাকিব। আমি মনে করি আমাদের সকলকে সাকিবের পাশে এখন থাকা উচিত। ওর এখন খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। ভেঙে পড়ার কোনো কারণ নেই। ও অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের সঙ্গে সহযোগিতা করার কথা বলেছে। সেটা করে যাক এবং যেভাবে যখন যেভাবে সাপোর্ট করা দরকার বিসিবি ওর পাশে থাকবে।’

    গত দুই বছরে তিনবার একজন চিহ্নিত ক্রিকেট জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পান সাকিব। তখন সেই প্রস্তাব উড়িয়ে দেন তিনি। তবে জুয়াড়ির কাছ থেকে এই প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়ে তিনি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) কে জানাননি। এটাই তার বড় ভুল। আর সেই ভুলের ফাঁদে পড়েই আজ ক্রিকেট দুনিয়ায় নিষিদ্ধ হলেন সাকিব।

    বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্ছ সংস্থা আইসিসির কোড অব কনডাক্টে আছে-অনৈতিক প্রস্তাব লুকোনোও বড় অপরাধ। সেটিই করেছেন টাইগারদের অধিনায়ক। যার মাশুল দিয়ে এখন ক্রিকেটেরই বাইরে চলে গেলেন দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই তারকা!