Tag: মূল্যস্ফীতি

  • খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে!

    খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে!

    মূল্যস্ফীতি কমাতে নানা উদ্যোগ নিলেও বাজারে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। খাবারের খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাধারণ মানুষের আয়ও বাড়ছে না।

    সরকারি হিসাবেই দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১২.৫৬ শতাংশে পৌঁঁছেছে। যা গত বছরের এই সময়ে ছিল ৮.৫০ শতাংশ। গত মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে ছিল ১২.৩৭ শতাংশ।

    সোমবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অক্টোবর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে মূল্যস্ফীতির এমন ঊর্ধ্বমুখী চিত্র দেখা যায়।

    বিবিএস-এর প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ বছরওয়ারী পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে এক লাফে এবার খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪ দশমিক ০৬ শতাংশ।

    অক্টোবর মাসে আলু, মাছ, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস।

    বিবিএসের হিসাবে, গত আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ১১ বছর আগে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশে উঠেছিল।

    চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকার মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশের মধ্যেই আছে। অক্টোবর মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশে।

    অক্টোবর মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এর অর্থ হলো গত বছরের অক্টোবর মাসে যে খাদ্যপণ্য ১০০ টাকায় কেনা গেছে, এ বছরের অক্টোবরে তা কিনতে হয়েছে ১১২ টাকা ৫৬ পয়সায়। অর্থাৎ মাত্র ১০০ টাকার খাবার কিনতে এক বছরে ১২ টাকা ৫৬ পয়সা বাড়তি খরচ করতে হয়েছে নাগরিকদের। এটা যদি এক হাজার টাকায় হিসাব করি তাহলে বাড়তি খরচের পরিমাণ ১২৫ টাকার বেশি।

  • বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ, মূল্যস্ফীতি কমবে : আইএমএফ

    বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ, মূল্যস্ফীতি কমবে : আইএমএফ

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূবাভাস সংশোধন করে ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। তবে এসময়ে মূল্যস্ফীতির হার কমে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ হবে।

    এর আগে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এ বছরের জন্য ৬ দশমিক ৫ শতাংশের পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএমএফ।

    আজ মঙ্গলবার আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে ওই পূর্বাভাস সংশোধন করে ৬ শতাংশ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

    প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি আইএমএফ জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা ৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২০২৮ সালে তা ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নামতে পারে। এছাড়া চলতি হিসাবে ভারসাম্যে ঘাটতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আইএমএফ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ঘাটতি জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

    সংস্থাটি বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিজনিত সংকট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে বিশ্ব অর্থনীতি। যুদ্ধের কারণে খাদ্য ও জ্বালানি বাজার বিঘ্নিত হয়েছে; সেই সঙ্গে উচ্চ মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে নীতি সুদহার অভূতপূর্ব হারে বাড়ানো হয়েছে। এসব কারণে বিশ্ব অর্থনীতি গতি হারালেও থমকে যায়নি। প্রবৃদ্ধি যে সবখানে একই হারে হচ্ছে তা নয়; সেই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে মতানৈক্য বাড়ছে।

    এ পরিস্থিতিতে আইএমএফের পূর্বাভাস হলো— চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ৩ শতাংশে নেমে আসবে। আগের বছরে যা ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে তা ২ দশমিক ৯ শতাংশে নামতে পারে। এটা ঐতিহাসিক গড় মানের চেয়ে কম। তবে চলতি বছর সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হারও কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। ২০২৩ সালে বৈশ্বিক গড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। আগের বছরে যা ছিল ৯ দশমিক ২ শতাংশ। সেই সঙ্গে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য ব্যতীত মূল্যস্ফীতির যে হিসাব, সেই মূল্যস্ফীতির হারও কমে আসবে।